চট্টগ্রামে চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় গণিতের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত গণিত পরীক্ষার একদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাতে লেখা ৬টি প্রশ্নের দুই পৃষ্ঠার একটি প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরদিন অনুষ্ঠিত গণিত পরীক্ষায় সরবরাহ করা কর্ণফুলী ১ নং সেট প্রশ্নপত্রের ১, ৩ ও ৬ নম্বর প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সোমবার রাত ১০টার দিকে আমার এক স্টুডেন্ট ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটি প্রশ্নপত্র দিয়ে সমাধান করে দেয়ার অনুরোধ করে। আজ (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৩টির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নের হুবহু মিল পেয়েছি।’
চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পেয়েছে বলে জানান তিনি।
গোলাম নসরাত নামের একজন বলেন, ‘আমার ছোট বোন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। কয়েকদিন ধরে সে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কথা বলতেছিল। আমি গুরুত্ব দিইনি।
‘গণিতের দিন সে বলল যে, গত দুই বছরে এমন কোনো দিন নেই যেদিন সে লেখাপড়া করেনি। কিন্তু প্রশ্ন পেয়ে যারা ১০০ নম্বরের মধ্যে ১০০ নম্বরই পাবে বলে উল্লাস করতেছে তারা তো তার মতো পরিশ্রম করেনি। এমনকি প্রশ্ন পেয়ে টেস্ট পরীক্ষায় পাস না করা শিক্ষার্থীও ভালো নম্বর পাবে বলে বলতেছে। এ নিয়ে সে খুবই বিষণ্ণ।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ‘আমরা শুনিনি, কেউ আমাদের বলেনি। প্রশ্ন ফাঁস হলে পুরো মিলতে হয়, দুইটা-তিনটা মিললে হবে না।’
সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে এভাবে এক বা একাধিক প্রশ্ন হুবহু মিলতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেন, অনেক সময় গাইড থেকে প্রশ্ন হয় না? আমি জানি না, আমি দেখিনি। দেখলে বলতে পারব।’
প্রশ্ন কোন মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে, কোথায় ছড়িয়েছে জানালে গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) অবহিত করবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সব ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করেন।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন গভর্নমেন্ট এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী মণ্ডল। তার স্কোর ১০৫ দশমিক ৭৫।
এই ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জুবায়দা জাহান। তার স্কোর ১০২ দশমিক ৩৪।
আর বাণিজ্য বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের ইসরাত জাহান ইকতা। তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ৯৬।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন অথৈ ধর। তিনি চট্টগ্রামের গভর্নমেন্ট কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তার প্রাপ্ত স্কোর ১০৫ দশমিক ৫০।
এই ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন বি এ এফ শাহীন কলেজের মাহতাব সরকার জামি। তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ৯২ দশমিক ৫০। আর মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের রিদোয়ানুল করিম রাইয়ান। তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ১০১।
বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তার স্কোর ১১১ দশমিক ২৫। তিনি নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এই ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের নাফিসা তাবাসসুম। তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ৯৮ দশমিক ৫। আর বাণিজ্য বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন। তিনি পেয়েছেন ৯৪ নম্বর।
এছাড়া চারুকলা ইউনিটে প্রথম হয়েছে বাঁধন তালুকদার। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮ দশমিক ১৬।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সব ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করেন।
ফল ঘোষণার শুরুতে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ফল প্রকাশের পর তা ওয়েবসাইটে দেখা যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ।
এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন গভর্নমেন্ট এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী মণ্ডল। তার স্কোর ১০৫ দশমিক ৭৫।
আর ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ১ হাজার ৫০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী। পাস করেন ৯ হাজার ৭২৩ শিক্ষার্থী। পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
এই ইউনিটে প্রথম হয়েছে অথৈ ধর। তিনি চট্টগ্রামের গভর্নমেন্ট কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী। তার প্রাপ্ত স্কোর ১০৫ দশমিক ৫০।
বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১ মার্চ। ১ হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তার স্কোর ১১১ দশমিক ২৫। তিনি নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৯ মার্চ। ১৩০ আসনের বিপরীতে অংশগ্রহণ করেন ৪ হাজার ৫১০ জন শিক্ষার্থী। আর পাস করেছেন ৫৩০ জন। পাসের হার ১১ দশমিক ৭৫।
এই ইউনিটে প্রথম হয়েছে বাঁধন তালুকদার। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮ দশমিক ১৬।
যেভাবে ফল জানা যাবে
ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরে মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।
তাছাড়া যেকোনো মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS , বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI , ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য DU BUS , চারুকলা ইউনিটের জন্য DU FRT টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
উত্তীর্ণ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলো
উত্তীর্ণ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ৩ এপ্রিল বিকেল ৩টা থেকে ২৫ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করবেন।
বিষয় পছন্দক্রম অনলাইনে দেয়ার সুবিধার্থে ১ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা তার ভর্তিযোগ্য বিষয়ের তালিকা ওয়েবসাইট থেকে নামাতে পারবেন। তালিকাটি প্রিন্ট করে তাতে পছন্দক্রম আগে লিখে রাখলে পছন্দক্রম অনলাইনে প্রদানে ভুল এড়ানো যাবে।
উত্তীর্ণ বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে কোটার ফরম সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের অফিস থেকে সংগ্রহ এবং যথাযথভাবে তা পূরণ করে ডাউনলোডকৃত বিষয় পছন্দক্রমের কপিসহ ওই সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ডিনের অফিসে জমা দিতে হবে।
ফল নিরীক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের অফিসে এক হাজার টাকা ফি প্রদান সাপেক্ষে ৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস চলাকালীন আবেদন করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর ট্রান্সজেন্ডার কোটায় কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করেননি। আর প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া সব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ বছর থেকে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে বৃত্তি প্রদানের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষের পথে রয়েছে।
আরও জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক্সটেনশন ভবনটি আগামী জুনের শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে বুঝে পাবে। সেখানে এক হাজার শিক্ষার্থীর আসন সংকুলান করা হবে। এতে কিছুটা কমবে আসন সমস্যা।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে সব ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হবে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট; বিজ্ঞান ইউনিট; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এবং চারুকলা ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রকাশ করা হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবেন।
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা। বিভিন্ন ইউনিটের পরীক্ষা চলে ৯ মার্চ পর্যন্ত।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বর এবং মাধ্যমিক (এসএসসি) বা সমমান ও উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ওপর ২০ নম্বর বরাদ্দ দেয়া ছিল।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বুয়েটের ওয়েবসাইটে ভর্তি পরীক্ষার এ ফল প্রকাশ করা হয়।
বুয়েটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কমিটির সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জীবন পোদ্দারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত এবং অপেক্ষমান প্রার্থীদের তালিকা বুয়েটের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। মেধাতালিকা ও পছন্দক্রম অনুসারে প্রার্থীদের বিভাগ বন্টনও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত এবং অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত ওয়েবসাইটে বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীগণকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভর্তি ফি প্রদান এবং মূল সনদ, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট এবং ভর্তি ফি-র রশিদ জমা প্রদান সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতি বছরের মতো এবারও দুই ধাপে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এ পরীক্ষায় মনোনীত শিক্ষার্থীরা গত ৯ মার্চ মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এ ইউনিটের বিজ্ঞান ও অ-বিজ্ঞান গ্রুপে যথাক্রমে ৪৬ শতাংশ এবং ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। এতে গড় পাসের হার ৪৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার সোমবার এ ফল প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ফলের ভিত্তিতে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় এই ইউনিটে বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে ৭৪ হাজার ৫৭৭ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৬১ হাজার ১১৯ জন। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৯১ জন পাস করেন।
পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৩২ হাজার ৬৫৮ জন ফেল করেন। ওএমআর বাতিল হয়েছে ৩৬৬ পরীক্ষার্থীর।
বিজ্ঞান গ্রুপে পাসের হার ৪৬ শতাংশ। এ শাখায় সর্বোচ্চ নম্বর ৯৬।
অ-বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে আবেদন করেন এক হাজার ৭৭৮ জন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৬৯৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে এক হাজার ৩৬৮ জন পাস করেন, যা মোট অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ।
এ গ্রুপে এক জন পরীক্ষার্থীর ওএমআর বাতিল করা হয়। এ শাখায় সর্বোচ্চ নম্বর ৮৭।
‘সি’ ইউনিটভুক্ত বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। চলতি শিক্ষাবর্ষে ‘সি’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ৫১৭টি। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবেন।
ডেন্টালে (বিডিএস) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তিনটি ওয়েবসাইট এবং সরাসরি এসএমএসের মাধ্যমে এই ফল জানা যাচ্ছে।
পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন কেএম মুহতাসিম সাদিক তানিম নামে এক শিক্ষার্থী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৩.৭৫।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইট (www.mefwd.gov.bd), স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dgme.gov.bd) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dghs.gov.bd) থেকে ভর্তি পরীক্ষার ফল জানা যাবে। এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ৫৪৫ জন (৩৫৮ জন ছাত্রী ও ১৮৭ জন ছাত্র) নির্বাচিত হয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী এই ৫৪৫ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৮ মার্চ) দেশের ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১২টি কেন্দ্রে ২০টি ভেন্যুতে ৩৭ হাজার ৮৭৩ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের চারুকলা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ পরীক্ষা শনিবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এ বছর ১৩০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেন সাত হাজার ৫২ জন শিক্ষার্থী।
একমাত্র চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্য তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চারুকলা ইউনিটে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা হয়। এ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়।
অন্যান্য ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য