গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২২–২০২৩ শিক্ষাবর্ষে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে ১৮ এপ্রিল, মঙ্গলবার। আবেদন করা যাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
প্রাথমিক আবেদনের যোগ্যতা
২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০২১ ও ২০২২ সালের এইচএসসি/সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল), A লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় (সমমান নির্ধারণ কমিটির অনুমোদনক্রমে) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই কেবল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা থেকে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে যথাক্রমে ইউনিট A ইউনিট B ও ইউনিট C-তে আবেদন করতে পারবে। ইউনিটভিত্তিক আবেদনের যোগ্যতা নিচে দেওয়া হলো।
এ ইউনিট
বিজ্ঞান শাখা থেকে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান শাখাসহ মাদ্রাসা বোর্ড (বিজ্ঞান) এবং ভোকেশনাল (এইচএসসি) বিজ্ঞান শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে।
বি ইউনিট
মানবিক শাখা থেকে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.০০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মানবিক শাখাসহ মিউজিক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং মাদ্রাসা বোর্ড (সাধারণ, মুজাব্বিদ) মানবিক শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে।
সি ইউনিট
বাণিজ্য শাখা থেকে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.৫০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বাণিজ্য শাখাসহ ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (এইচএসসি) এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্স বাণিজ্য শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে।
জিসিই
জিসিইর ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (O লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে ৩টি বিষয়ে B গ্রেডসহ ৫টি বিষয়ে পাস এবং আইএএল (A লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে ২টি বিষয়ে B গ্রেডসহ ৩টি বিষয়ে পাস থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট নম্বরপত্র আপলোডসহ আবেদনের পর সমমান ও যোগ্যতা নির্ধারণ কমিটির অনুমোদনক্রমে আবেদন করতে হবে।
আগ্রহীরা এই লিংকে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
কোন দিন কোন ইউনিটের পরীক্ষা
বি ইউনিট: ২০ মে, ২০২৩
সি ইউনিট: ২৭ মে, ২০২৩
এ ইউনিট: ৩ জুন,২০২৩
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অন্যকে দিয়ে অংশ নিয়ে পার পেলেও মৌখিক পরীক্ষায় এসেছেন ধরা পড়েছেন ৭ পরীক্ষার্থী।
রোববার মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসলে ওই সাতজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে শনিবার তাদের লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে প্রক্সি দেন অন্য শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় নিয়োগ কমিটির (সদস্য-সচিব) শিমুল আক্তার বাদী হয়ে সোমবার সকালে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ফিরোজ উদ্দিন (রোল নম্বর- ৩২০০০২৯৮), তাড়াশ উপজেলার নিমগাছীর বিষমডাঙ্গা গ্রামের লোকমান হোসেন (রোল নম্বর- ৩২০০২৯০৩), কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট গ্রামের রাশিদুল ইসলাম সুজন (রোল নম্বর-৩২০০২৩৯৮), শাহজাদপুর উপজেলার মুরুটিয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (রোল নম্বর- ৩২০০১১৬৮), উল্লাপাড়া উপজেলার বাখুয়া গ্রামের মজিবর রহমান (রোল নম্বর- ৩২০০৪১২৫), কামারখন্দ উপজেলার চর-দোগাছি গ্রামের হাবিবুল্লা বেলালী (রোল নম্বর- ৩২০০৪৬০৫) ও উল্লাপাড়া উপজেলার গোয়ালজানী পূর্বপাড়া গ্রামের এনামুল হক (রোল নম্বর- ৩২০০৪৩৩৯)।
সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের রোববার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), অফিস কক্ষে নিয়োগ বাছাই কমিটির মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষা হয়। পরে তাদের কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের সময় তাদের হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার মিল পাওয়া যায়নি। পরে পরীক্ষার্থীরা স্বীকার করে তাদের লিখিত পরীক্ষায় অন্যদের দ্বারা পরীক্ষার উত্তরপত্র লিখিয়েছেন।
পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সাতজন পরীক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রক্সি নিয়েও ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হলো যে, এই নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। এই ৭ জনের লিখিত পরীক্ষা যারা দিয়েছিলেন, তাদের সম্পর্কের খোঁজ নেয়া হচ্ছে।’
সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, মামলাসহ আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) ১৬তম পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলে সহকারী জজ হিসেবে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন নুসরাত জেরিন।
তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ছাত্রী।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ. এম. রেজা জাকের স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত ফলাফলে রোববার বিকেলে এ তথ্য জানা যায়।
সেখানে ১৬তম বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও সহকারী জজ হিসেবে মনোনীত ১০৪ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, নুসরাত জেরিন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নে বড় দূর্গাপুর গ্রামের এ কে এম আবদুর নুর ও শিরিন্তাজ বেগমের প্রথম মেয়ে সন্তান। নুসরাতের বাবা বাসুদেবপুর চন্দ্র কিশোর স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ। এ ছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন উপজেলা শাখার সভাপতি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। নুসরাতের মা শিরিন্তাজ বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
নুসরাত জেরিন বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও বগুড়া আজিজুল হক সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞানে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে বিএ অনার্স শেষ করেন। বর্তমানে নুসরাত মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষার ফলপ্রত্যাশী। এর মধ্যেই তিনি সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ পেলেন।
নুসরাতের বাবা একেএম আবদুর নুর মুঠোফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব থেকে খুশি ব্যক্তিটিই মনে হয় আমি। আমার তিন সন্তানের মধ্যে নুসরাত বড়। আরও এক ছেলে এক মেয়ে আছে আমার। আমার প্রত্যাশা ছিল নুসরাত অনেক ভালো কিছু করবে, তাই করেছে।’
তিনি বলেন, ‘নুসরাত আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হতে চেয়েছিল। আমিই তাকে বিসিএসে ট্রাই করার পরামর্শ দেই।’
ওই সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নুসরাতের কাছে প্রত্যাশা করব, ও সবসময়ই সততার সঙ্গে চলবে ও ন্যায়বিচার করবে। তার দ্বারা কোনো বিচার প্রার্থীই যেন অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
আরও পড়ুন:ষোড়শ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (১৬তম বিজেএস) পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী জজ নিয়োগর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
রোববার বিজেএস কমিশন সচিবালয় এই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে। এতে মোট ১০৪ জনকে মনোনীত করা হয়েছে।
বিজেএসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০৪ জন প্রার্থীর রোল নম্বরসহ মেধাক্রম প্রকাশ করা হলো। ৯৯ থেকে ১০৪তম প্রার্থী একই নম্বর পেয়েছন। স্থাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের কোথায়, কবে যেতে হবে, তা জানানো হবে পত্রিকা ও ওয়েবসাইটে।
ফল জানতে ক্লিক করুন
গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ভর্তিতে মাইগ্রেশনের বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি।
দুই ধরনের মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া রোববারের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার শনিবার রাতে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
গুচ্ছ ভর্তির ওয়েবসাইটেও এরই মধ্যে মাইগ্রেশনের বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
কী আছে নির্দেশনায়
নির্দেশনায় বলা হয়, পরবর্তী মাইগ্রেশনের প্রস্তুতি হিসেবে বর্তমানে চূড়ান্তভাবে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা দুই ধরনের মাইগ্রেশনের স্টপ (বন্ধ) প্রক্রিয়া ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবেন। প্রথমত, সাবজেক্ট মাইগ্রেশনের স্টপ সম্পন্ন করলে বর্তমানে যে বিষয়ে ভর্তি আছেন, সেই বিষয় ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো বিষয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।
দ্বিতীয়ত, ইউনিভার্সিটি মাইগ্রেশনের স্টপ সম্পন্ন করলে বর্তমানে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আছেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন না, তবে বর্তমানে ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের পছন্দক্রমের অন্যান্য বিষয়ে মাইগ্রেশন চলমান থাকবে।
ফাঁকা দুই হাজারের বেশি আসন
এদিকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২ হাজার ১০০ আসন ফাঁকা আছে। এসব আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি এখনও। শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েই এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক আসন ফাঁকা রয়েছে। আগামীকাল সোমবার টেকনিক্যাল কমিটি ফাঁকা থাকা আসনে কীভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যায়, সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে। এরপর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পন্ন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
এর আগে চলতি বছরের ২০ জুন গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। একই বছরের ২০ মে ‘বি’ ইউনিট, ২৭ মে ‘সি’ ইউনিট ও ৩ জুন ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়।
চলতি বছর ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) পাসের হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ‘বি’ ইউনিটে (মানবিক) পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় অনুষদ) পাসের হার ৬৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষার সব তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (www.gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।
গুচ্ছভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো
গুচ্ছভুক্ত ২২ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোণা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর)।
আরও পড়ুন:৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২৭ নভেম্বর থেকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে এক সঙ্গে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার হল ও আসনসহ সব বিষয়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে জানানো হবে।
এর আগে গত ৬ জুন ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ১২ হাজার ৭৮৯ জন উত্তীর্ণ হন।
তার আগে ১৯ মে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩ লাখ ৪৬ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে এতে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের বনাটি গ্রামের রমজান মিয়ার মেয়ে ফারিয়া আক্তার। নান্দাইলের সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজের এ শিক্ষার্থী স্বামীকে নিয়ে থাকেন দক্ষিণ কোরিয়ায়।
এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করে টাকা জমা দিয়ে গত বছর অকৃতকার্য হওয়া এক বিষয়ের পরীক্ষা দিতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দেশে আসেন তিনি। কিন্তু দিতে পারলেন না সেই পরীক্ষা।
এ ঘটনায় অভিযোগের তীর কলেজের অধ্যক্ষের দিকে। তার গাফিলতির কারণেই পরীক্ষা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ ফারিয়াসহ তার পরিবারের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর ওই কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে এইচএসসি পরীক্ষায় বিএম শাখা থেকে অংশগ্রহণ করেন ফারিয়া। কিন্তু অসুস্থতার কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসা ব্যবস্থাপনা বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারেননি।
ওই অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি দেন ফারিয়া। সেখান থেকেই মামার মাধ্যমে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ওই একটি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন ও যথাসময়ে টাকা জমা দিয়ে ফরম পূরণ করেন। প্রবেশপত্র পাওয়া যাবে- অধ্যক্ষের এমন আশ্বাসে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ওই শিক্ষার্থী দেশে আসলেও পাননি প্রবেশপত্র। ফলে অংশগ্রহণ করতে পারেননি পরীক্ষায়।
ফারিয়া আক্তারের মামা সাদেক হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘গত ২৬ জুলাই একটি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফারিয়ার পক্ষে আমি কলেজে গিয়ে রসিদমূলে দুই হাজার ১০০ টাকা জমা দিয়ে ফরম পূরণ করেছি। পরে ৩০ আগস্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের কথামতো ফারিয়ার প্রবেশপত্র আনতে কলেজে গেলে প্রবেশপত্র না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমাকে কয়েক দিন পর আসতে বলেন। পরে গেলে জানানো হয়, ফারিয়ার ফরম পূরণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
‘তাই প্রবেশপত্র আসেনি। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে ঢাকা থেকে প্রবেশপত্র আনা যাবে। এজন্য দিতে হবে আরও ১০ হাজার টাকা।’
তিনি জানান, পরে চাহিদা অনুযায়ী ১০ হাজার টাকাও প্রদান করা হলেও প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি। ফলে গত ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি ফারিয়া। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চায় ফারিয়ার পরিবার।
শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার বলেন, ‘ফরম পূরণ করার অনেক আগে থেকেই মামা কলেজে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। সবসময় বলা হয়েছে প্রবেশপত্র আসবে এবং আমি পরীক্ষা দিতে পারবো। এজন্য গত ৮ আগস্ট স্বামীকে নিয়ে দুই লক্ষাধিক টাকা খরচ করে দেশের বাড়িতে চলে আসি। কিন্তু অধ্যক্ষের গাফিলতির কারণে প্রবেশপত্র পাইনি, পরীক্ষাও দিতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ঘটানাটির তদন্ত করে অধ্যক্ষসহ কলেজ কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করছি আমরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জ্যোতিষ চন্দ্র সাহা রায় বলেন, ‘প্রবেশপথ আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু নানা জটিলতায় সেটি সম্ভব হয়নি। ভেবেছিলাম পরীক্ষা দিতে পারবে তাই কখনো না করিনি। পরীক্ষা দিতে পারবে না, এটি আগেই জানা সম্ভব ছিলনা।’
তার দাবি এখানে অধ্যক্ষ হিসেবে তার কোনো গাফিলতি নেই।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। ওই শিক্ষার্থীর একটি অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় শিক্ষকের ভুল সিদ্ধান্তে এইচএসসির পৌরবিজ্ঞান ও সুশাসন বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারেননি এক পরীক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার সকালে সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের প্রভাষক ফিরোজ ইসলামকে কেন্দ্রে থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থী মুন্নী আক্তার দরগ্রাম সরকারী ভিকু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের মানবিক শাখার শিক্ষার্থী। নাগরপুর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের রাথুরা এলাকার রমজান আলীর স্ত্রী তিনি।
স্থানীয়দের বরাতে সূত্র জানায়, সকালে স্বামী রমজান আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নাগরপুর উপজেলার রাথুরা থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে পৌরবিজ্ঞান ও সুশাসন পরীক্ষা দিতে সাটুরিয়ার সৈয়দ কালুশাহ কলেজে আসছিলেন মুন্নী আক্তার। পথিমধ্যে মোটরসাইকেলের চাকার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি রাস্তা পড়ে যান এবং মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন তিনি। ওই অবস্থায় সকাল পৌনে ১০টার দিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হন তিনি।
এসময় চিকিৎসার জন্য মুন্নী আক্তারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে বলেন সৈয়দ কালুশাহ কলেজের প্রভাষক ফিরোজ ইসলাম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা নিয়ে পৌনে ১১টার দিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেন তিনি। ততক্ষণে পৌরবিজ্ঞান ও সুশাসন প্রশ্নপত্রের এমসিকিউ পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে যায় এবং এমসিকিউ পরীক্ষা দিতে না পারায় বাকি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি মুন্নী।
স্বামী রমজান আলী বলেন, ‘অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার পরও আমার স্ত্রী পরীক্ষা দিতে এসেছিল, কিন্তু ফিরোজ স্যারের জন্য আমার স্ত্রী পরীক্ষা দিতে পারল না। আমরা তো স্যারের কোনো ক্ষতি করি নাই। তাহলে স্যার আমাদের এত বড় ক্ষতি করল কেন! কারণ স্যারে হাসপাতালে যেতে না বললে তো আমরা হাসপাতালে যেতাম না।’
পরীক্ষার্থী মুন্নী আক্তার বলেন, ‘প্রত্যেকের জন্য এমসিকিউ বাধ্যতামূলক এবং ৩০ মিনিটে ৩০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে পরীক্ষার বাকি অংশ দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
‘তাছাড়া আমি তো পরীক্ষা শুরুর আগেই কেন্দ্রে এসেছিলাম। আর কেন্দ্রে তো ডাক্তার থাকেন। স্যার চাইলে আমাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে চিকিৎসা দিয়ে বিশেষ কোনো উপায়ে পরীক্ষা নিতে পারতেন। কারণ কেউ অসুস্থ হলে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আছে। স্যারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল। স্বামীর সংসার করে, খুব কষ্ট করে পড়ালেখা করেছিলাম। আমার সব শেষ হয়ে গেল।’
অব্যাহতি পাওয়া প্রভাষক ফিরোজ ইসলাম জানান, পরীক্ষার্থীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে উপজেলা হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছিল। কারণ তার মাথা ফেটে ও হাত কেটে যাওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষণ হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসা নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে আসতে এমসিকিউ পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। তাই সে আর বাকি আড়াই ঘণ্টার পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব গণেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘পরীক্ষার প্রায় একঘণ্টা পর বিষয়টি জানতে পারি এবং তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানাই। একইসঙ্গে বিষয়টি শিক্ষাবোর্ডকেও অবহিত করেছি আমি। তবে ইউএনও এবং শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে বিশেষ ব্যবস্থায় তার পরীক্ষা নেয়া উচিত ছিল।’
সাটুরিয়ার ইউএনও শান্তা রহমান বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব আমাকে অবহিত করলে বিশেষ ব্যবস্থায় তার পরীক্ষা নেয়া যেত। কিন্তু পরীক্ষার্থী বা শিক্ষক কেউ আমাকে বিষয়টি জানাননি। ঘটনা শোনার পর প্রভাষক ফিরোজ ইসলামকে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। কারণ পরীক্ষার্থীদের জন্য সকল ব্যবস্থা কেন্দ্রের ভেতরে রাখা হয়েছে। যা ঘটেছে বিষয়টি দুঃখজনক।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য