× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
137 teachers employees of Ruet learned after two years that their appointment was illegal
google_news print-icon

রুয়েটের ১৩৭ শিক্ষক-কর্মচারী দু’বছর পর জানলেন তাদের নিয়োগ অবৈধ

রুয়েটের-১৩৭-শিক্ষক-কর্মচারী-দুবছর-পর-জানলেন-তাদের-নিয়োগ-অবৈধ
রাজশাহী প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। একটি তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চাকরি বাতিলের এই চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া ১৩৭জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এসব নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে উল্লেখ করে এসব নিয়োগ বাতিল করতে বলা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিটি গত ৪ এপ্রিল রুয়েট উপাচার্য বরাবরে পাঠানো হয়। এই খবর জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট নিয়োগপ্রাপ্তরা চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের এই আদেশের প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তারা রুয়েট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভও করেছেন। তারা বলছেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল বা অনিয়ম হয়ে থাকলে তার জন্য তো আমরা দায়ী নই।

দুই বছর চাকরি করার পর বেকার হওয়ার ঝুঁকিতে পড়াদের একজন সৌমিক সরকার রাহুল। তিনি রুয়েটে চাকরি করছেন সহকারী নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। ২০২১ সালের ১ জুন এই পদে যোগদান করেন তিনি। এরপর সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে।

শুধু সৌমিকই নন, তার মতো রুয়েটের ১৩৭ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীই এক অনিশ্চিত জীবনের মুখে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের দায়ে তাদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এই নির্দেশনা বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সৌমিক সরকার রাহুল বলেন, ‘আমি যোগ্য প্রার্থী হিসেবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পেয়েছি। নিয়োগ বোর্ডে কে থাকবে আর কে থাকবে না তা চাকরিপ্রার্থীর জানার বিষয় নয়। এখন হঠাৎ করে চাকরি নেই বললে আমরা কোথায় যাবো? এখানে আমাদের দোষ কোথায়?’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সাবেক উপাচার্যের মেয়াদে দেয়া নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত ৪ এপ্রিল পাঠানো চিঠিতে চারটি নির্দেশনা দেয়া আছে। প্রথমটি হলো- যেহেতু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ ও বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩ এর ১০ (৩) এবং ১১ (৮) ধারার প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় আইনের মৌখিক প্রিন্সিপাল অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গৃহীত ও সম্পাদিত কার্যক্রম শুরু থেকে বাতিল হিসেবে গণ্য হবে মর্মে উল্লেখ আছে যেহেতু এ সংক্রান্ত সব নিয়োগ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো।

এদিকে, নিয়োগ বাতিলের এই চিঠি দেখে ভুক্তভোগী শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রুয়েট প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা অবিলম্বে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন।

নিয়োগপ্রাপ্ত সেকশন অফিসার আ. ফ. ম. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে একজন অতিরিক্ত সচিব সিন্ডিকেট সদস্য আমাদের নিয়োগ অনুমোদন ও বৈধতা দিয়েছেন। কিন্তু এতদিন পর ওই মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা কিভাবে সম্ভব তা আমাদের বোধগম্য নয়।’

কেয়ারটেকার মেহেদী হাসান পান্না বলেন, ‘আমার পরিবার আমার উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল। এতদিন পর যদি চাকরি না থাকে তাহলে আমার ও আমার পরিবারের কী হবে? আমার চাকরিতে আবেদন করার বয়সও শেষ।’

সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. নাঈম রহমান নিবিড় বলেন, ‘আমি ২০২১ সালের ১ জুন থেকে রুয়েটের সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত। ইতোপূর্বে আমি বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় কার্ড পাওয়ার পরও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিনি। এখন নিয়োগ বোর্ডে কোন অনিয়ম বা স্বজনপ্রীতির দায়ভার তো আমার না। আমরা দোষী না হয়েও শাস্তি পাবো এটা মেনে নেয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে যা যা করার দরকার করবো।’

এদিকে রাজশাহী প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। একটি তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চাকরি বাতিলের এই চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
The new vice chancellor of Chabi is Professor Abu Taher

চবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের

চবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। ছবি: সংগৃহীত
প্রজ্ঞাপনে উপাচার্যের নির্ধারিত কোনো মেয়াদ উল্লেখ করা হয়নি। তাকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের(ইউজিসি) সদস্য ও চবি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে উপাচার্যের নির্ধারিত কোনো মেয়াদ উল্লেখ করা হয়নি। তাকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা এক ধারা অনুসারে অধ্যাপক ড. আবু তাহেরকে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেয়া হলো।

নানা কর্মকাণ্ড ও শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক আলোচিত ছিল বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। নিয়োগ ইস্যুকে কেন্দ্র করে গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে চবি উপাচার্য শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য(শিক্ষা) অধ্যাপক বেনু কুমার দের পদত্যাগ দাবিতে টানা আন্দোলনে নামে চবি শিক্ষক সমিতি।

নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহেরের জন্মস্থান চট্টগ্রামের সাতকানিয়া। সেখানকার কাঞ্চনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পন্ন করেন তিনি।

কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন আবু তাহের। ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি ওই বিভাগের অধ্যাপক হন।

অধ্যাপক আবু তাহের বিভাগের সভাপতি ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডেপুটেশনে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে লিয়েনে ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়াও তিনি জীবন বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন। পরে পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০২০ সালে অধ্যাপক আবু তাহেরকে সরকার ৪ বছরের জন্য ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়।

আরও পড়ুন:
কুবিতে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত, উপাচার্যকে ‘ডাস্টবিন’ বললেন শিক্ষক সমিতির সম্পাদক
চবির নতুন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী
চবিসাসের ৭ পদে নির্বাচন বুধবার
চবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু শনিবার, আসনপ্রতি প্রার্থী ৪৯
ভর্তি পরীক্ষার আয়-ব্যয়ের হিসাব সাধারণ শিক্ষকরা জানেন না

মন্তব্য

শিক্ষা
Bobbi students hanging body recovered

স্বামীর বাড়িতে ববি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ

স্বামীর বাড়িতে ববি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ প্রাণ হারানো দেবশ্রী রায়। ছবি: নিউজবাংলা
বরগুনা সদর থানার ওসি এ কে মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে দেবশ্রী আত্মহত্যা করেছে। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল বলে জেনেছি আমরা।’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বরগুনায় স্বামীর বাসা থেকে রোববার বিকেলে দেবশ্রী রায়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাণ হারানো দেবশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার জেলার তালা উপজেলায়।

বরগুনা সদর থানার ওসি এ কে মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে দেবশ্রী আত্মহত্যা করেছে। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল বলে জেনেছি আমরা।’

তিনি জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘তার বাবার সঙ্গে কথা হয়। ময়নাতদন্তের পর তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার ক্লাস প্রতিনিধি আমাকে জানিয়েছে পারিবারিক কলহের কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।’

আরও পড়ুন:
হাসপাতাল থেকে চুরির ৭ মাস পর নবজাতক উদ্ধার, ২ নারী গ্রেপ্তার
ফকিরাপুলের আবাসিক হোটেলে ঠিকাদারের মরদেহ
চট্টগ্রামে হোটেল থেকে পোলিশ নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজের দুদিন পর নদীতে স্কুলছাত্রীর মরদেহ
নওগাঁয় সড়কের পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

শিক্ষা
Kubi Teachers Association announces 7 day class boycott if demands are not met

দাবি না মানায় ৭ দিন ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির

দাবি না মানায় ৭ দিন ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির সোমবার জরুরি সাধারণ সভা শেষে কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের একটি সাংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। ছবি: নিউজবাংলা
কুবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংকটে হস্তক্ষেপ করুক। এই প্রশাসন থেকে আমরা আর এই সংকটের সমাধান পাবো বলে আশ্বাস রাখতে পারছি না।’

সাত দফা দাবি না মানায় আবারও সেমিস্টার পরীক্ষা ব্যতীত সাত কর্মদিবসের জন্য সকল শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

সোমবার জরুরি সাধারণ সভা শেষে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের একটি সাংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের আগের যে দাবিগুলো ছিল, সেগুলো উপাচার্য মানেননি। তাই আমরা আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল (১৯ মার্চ) থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করছি।’

এই ক্লাস বর্জন প্রক্রিয়ায় মিডটার্ম, অ্যাসাইনমেন্ট- এগুলো অন্তর্ভুক্ত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত পরীক্ষা (সেমিস্টার) হবে, তবে বাকি মিডটার্ম বা প্রেজেন্টেশন অ্যাসাইনমেন্ট- সকল বিষয়ই এর অন্তর্ভুক্ত।’

এদিন দুপুরের পর শিক্ষক লাউঞ্জে জরুরি সাধারণ সভা ডাকে শিক্ষক সমিতি। সভা শেষে সমিতির আগে নেয়া সিদ্ধান্ত এবং দাবি-দাওয়ার বিষয় কথা বলতে উপাচার্য দপ্তরে যান তারা। উপাচার্যের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার পর তার দপ্তর থেকে ক্ষুব্ধ অবস্থায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সমিতির নেতাদের। সেখান থেকে আসার পর বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করে সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংকট দেখছেন না বলছেন৷ উনি বলছেন, এই সংকট শিক্ষক সমিতির, উনার নয়। আমাদের আগের যে সিদ্ধান্ত এবং দাবিসমূহ নিয়ে একটি চিঠি তাকে দিয়েছিলাম, সেটি তিনি পড়েও দেখেননি। আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংকটে হস্তক্ষেপ করুক। এই প্রশাসন থেকে আমরা আর এই সংকটের সমাধান পাবো বলে আশ্বাস রাখতে পারছি না।’

এ ব্যাপারে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমি উনাদের বলেছি যে, বিষয়গুলো নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে, কিন্তু উনারা আমার রুমে এসে নিজেরা নিজেরা গোলযোগ করেন। কথা বলার কোনো পরিবেশ রাখেন না তারা।

‘তাদের বলেছি, আপনাদের আইনসিদ্ধ যেকোনো দাবি অবশ্যই কার্যকর করব। শুধু শুধু শিক্ষার্থীদের জিম্মি করবেন না।’

এর আগে, গত ১২ মার্চ জরুরি ভিত্তিতে ডাকা এক সাধারণ সভায় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি ও তিন সিদ্ধান্ত পেশ করা হয়।

শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবিগুলো হলো-

১. গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্যের উপস্থিতিতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও কিছু অছাত্র কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলায় নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কারপূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার ও জড়িত সবার সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিত করা এবং হামলায় মদদদানকারী প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ।

২. শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজ অবমুক্ত করা।

৩. অধ্যাপক গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।

৪. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদসমূহের ডিন নিয়োগ এবং ইতোমধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসব বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যাহার করা।

৫. শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে আইনবহির্ভূত ও অবৈধ শর্ত আরোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ণ করার মাধ্যমে যে সীমাহীন বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে, দ্রুততম সময়ে সেসবের নিষ্পত্তিকরণ।

৬. ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা রহিত করে আগের নীতিমালা বহাল রাখা।

৭. ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

আরও পড়ুন:
কুবি ভিসির নামে আবারও ভুয়া অ্যাকাউন্ট
৭ দাবি বাস্তবায়নে ক্লাস বর্জন কুবি শিক্ষক সমিতির
কুবিতে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত, উপাচার্যকে ‘ডাস্টবিন’ বললেন শিক্ষক সমিতির সম্পাদক
আগে ফুল দেয়া নিয়ে শহীদ মিনারে কুবি শিক্ষকদের হট্টগোল
কুবি শিক্ষক সমিতির নতুন সভাপতি তাহের, সম্পাদক মেহেদী

মন্তব্য

শিক্ষা
Jabirs new proctor is Alamgir Kabir

জাবির নতুন প্রক্টর আলমগীর কবীর

জাবির নতুন প্রক্টর আলমগীর কবীর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীর। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট সাব্বির আলমকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’। এর পরিপ্রেক্ষিতে আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে সাময়িকভাবে প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে তাকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে চলতি বছরের ১৮ মার্চ অপরাহ্ন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হলো। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।’

নতুন দায়িত্ব পালনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীর। তিনি বলেন, ‘আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি উত্তরণে আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করব।’

প্রসঙ্গত, ১১ মার্চ থেকে ৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’। ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট সাব্বির আলমকে ১৭ মার্চের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। পরে উপাচার্য ১৮ মার্চ অব্যাহতি দেয়ার আশ্বাস দিলে নতুন প্রশাসনিক ভবনের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন:
প্রক্টর প্রভোস্টকে অব্যাহতির আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ স্থগিত
প্রক্টর-প্রভোস্টের অব্যাহতিসহ পাঁচ দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
প্রক্টরের অপসারণসহ ৫ দফা দাবি জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

মন্তব্য

শিক্ষা
The committee wants information about the involvement of Deen Islam in Avantikas death

অবন্তিকার মৃত্যুতে দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তথ্য চায় কমিটি

অবন্তিকার মৃত্যুতে দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তথ্য চায় কমিটি ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা ও দ্বীন ইসলাম। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
জাকির হোসেন বলেন, কারও কাছে কোনো তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণ থাকলে তা আগামী ২০ মার্চের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনের কাছে জমা দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় প্ররোচনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ চেয়েছে তদন্ত কমিটি।

সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের সম্পৃক্ততার তথ্য চাওয়া হয়েছে।

সোমবার তদন্ত কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কমিটির সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন পেশ করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত ঘটনা বিষয়ে তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণাদি প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, কারও কাছে কোনো তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণ থাকলে তা আগামী ২০ মার্চের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনের কাছে জমা দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

এর আগে রোববার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে দেড়টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টাব্যাপী কমিটির আহ্বায়কের কক্ষে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্য ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, প্রথম সভায় ঘটনা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নিজেরা বিশ্লেষণ করেছে। সেগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আরও তিন-চারটা সভার পর তদন্ত কোন দিক দিয়ে আগাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে অবন্তিকার গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও অব্যাহতি দেয়া হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার দাস।

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে শোক র‍্যালি ও মানববন্ধন করেছেন তার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনে প্রকৃত অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় তার সহপাঠী ও শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়ে এরই মধ্যে রিমান্ডে আছেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Human chain at Jabi demanding justice in the case of Avantikas death

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে জবিতে মানববন্ধন

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে জবিতে মানববন্ধন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: নিউজবাংলা
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আইন বিভাগের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মতো একজন ফাইটারের এভাবে চলে যাওয়া আমরা কেউই মেনে নিতে পারছি না। এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে শোক র‍্যালি ও মানববন্ধন করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনের প্রকৃত অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে আইন বিভাগের ব্যানারে একটি শোক র‍্যালী পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে আইন বিভাগের শিক্ষকসহ অনুষদের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আইন বিভাগের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মতো একজন ফাইটারের এভাবে চলে যাওয়া আমরা কেউই মেনে নিতে পারছি না। এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

এ সময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী এনামুল হক বিজয় বলেন, আজকে মানববন্ধনে এই বার্তাই থাকবে যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি কোথাও-ই যেন এমন যৌন হয়রানিমূলক ঘটনা না ঘটে এবং আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার চাই। শুধু গ্রেপ্তার নয় যতদিন পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার না হয় ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ মানববন্ধন চলবে।

আরেক শিক্ষার্থী ফারিয়া তাহসিন বলেন, অভিযুক্তরা দোষী হয়ে থাকলে তারা যেন সর্বোচ্চ শাস্তিটা পায়, এটাই আমাদের দাবি। গ্রেপ্তার হয়েছে এটাই সবকিছু নয়। তদন্ত কমিটি হয়েছে তারা যেনো সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে, মূল ঘটনা উত্থাপন করে আর এর পেছনে আরও কারা জড়িত তাদের বের করে শাস্তির আওতায় আনে এটাই আমাদের চাওয়া।

বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, অবন্তিকা আপু সাতবার প্রশাসনের কাছে গেছেন।তবুও বিচার পাননি। এখানে অবশ্যই প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে। আমরা তাদেরও বিচার চাই।

ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ল বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী জান্নাত সরকার নিতু বলেন, সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ মানববন্ধন চলবে। এর আগেও আমরা অনেককে হারিয়েছি। পরবর্তীতে যেন এমন কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা উচিৎ।

আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আলী আক্কাস বলেন, অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনে কারা জড়িত তা যথাযথ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে শোক র‍্যালি করেছি। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বের করে এটাই আমাদের আজকের মানববন্ধনের মূল দাবি।

এর আগে রোববার রাতে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করে মশাল মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছয় দফা দাবি আদায়ে নতুন করে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেনআন্দোলনকারীরা। একই সময়ে বামপন্থীরা গলায় রশি বেঁধে ও মুখে টেপ মেরে প্রতীকী আন্দোলন করে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে গলায় রশি বাঁধা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয় অবন্তিকার। মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।

এরপর থেকেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত ওই দুজনকে।

আরও পড়ুন:
জবি ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা: সহপাঠী, সহকারী প্রক্টর রিমান্ডে
অবন্তিকার মৃত্যুতে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল
অবন্তিকার আত্মহত্যা: কাগজপত্র হাতে পেল তদন্ত কমিটি

মন্তব্য

শিক্ষা
Avantikas suicide The investigation committee received the documents

অবন্তিকার আত্মহত্যা: কাগজপত্র হাতে পেল তদন্ত কমিটি

অবন্তিকার আত্মহত্যা: কাগজপত্র হাতে পেল তদন্ত কমিটি ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। ছবি: সংগৃহীত
তদন্ত কমিটির প্রথম সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করছি। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বলে অভিযুক্তদের সবাইকে আমরা ধারাবাহিকভাবে ডাকার চেষ্টা করব।’

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ওই শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কমিটির আহ্বায়কের কক্ষে রোববার দুপুর ১২টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করছি। শুরু থেকেই এই ঘটনায় যারা যারা সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের সবাইকে আমরা ধারাবাহিকভাবে ডাকার চেষ্টা করব।’

তদন্ত কমিটির দ্বিতীয় সভা সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।

তদন্ত কমিটির সদস্য ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রথম সভায় ঘটনা-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নিজেরা বিশ্লেষণ করেছি। সেগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আরও তিন/চারটি সভার পর তদন্ত কোন দিক দিয়ে এগিয়ে নেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারব।

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার দাস।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ‘পিসি পার্ক স্মরণিকা’ নামের ১০ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় অবন্তিকা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

আত্মহত্যার ১০ মিনিট ‌আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেন। একইসঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
অবন্তিকার আত্মহত্যা: অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অবন্তিকা
অবন্তিকার আত্মহত্যার নেপথ্যে উঠে এলো আরও যাদের নাম
জবি ছাত্রীর মৃত্যু: অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বহিষ্কার, শিক্ষক বরখাস্ত
আত্মহত্যা নিয়ে স্ট্যাটাসের পর জবি ছাত্রীর মৃত্যু, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

মন্তব্য

p
উপরে