বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়ার আন্তর্জাতিক আবাসিক স্কুল ‘হেইলিবারি ভালুকা’ ১৫ মিলিয়ন ডলারের অ্যাকাডেমিক এক্সেলেন্স স্কলারশিপ চালু করেছে। রাজধানী ঢাকায় লে মেরিডিয়ান হোটেলে বুধবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ‘হেইলিবারি অ্যাকাডেমিক এক্সেলেন্স স্কলারশিপ ফান্ড’ চালু করেছে হেইলিবারি ভালুকা। এই ফান্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শতভাগ পর্যন্ত মেধাভিত্তিক এই বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা স্কুলে শিক্ষাগ্রহণের বছরগুলোতে অনন্য এই শিক্ষাবৃত্তির আওতায় পড়ার সুযোগ পাবে। গ্রেড-৬ (অথবা সপ্তম বছর) ও এর উপরের ক্লাসের শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য বিবেচিত হবে। আর হেইলিবারি ভালুকায় ভর্তি শিক্ষার্থীরাই কেবল এই বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ পাবে।
১১ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে তাদের কগনিটিভ অ্যাবিলিটিজ টেস্ট ৪ (সিএটি৪) দিতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী কগনিটিভ অ্যাবিলিটিজ টেস্ট, সাক্ষাৎকার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে উত্তীর্ণ হবে, তাদের হেইলিবারি অ্যাকাডেমিক এক্সেলেন্স স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।
হেইলিবারি অ্যাকাডেমিক এক্সেলেন্স স্কলারশিপ ফান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের শিল্প, শিক্ষা খাত ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সাইমন ও’গ্রেডি স্কলারশিপের খুঁটিনাটি ও কোন কোন অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে স্কুলটি বাকিদের চেয়ে আলাদা তা সবার সামনে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের হেড অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ড্যান পাশা, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর জিম ও’নীল এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান মাদিহা মুর্শেদ।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ ব্যাপারে বলেন, ‘বাংলাদেশমুখী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনন্য নিদর্শন এই হেইলিবারি স্কলারশিপ ফান্ড। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, দেশের শিক্ষাসহ অন্যান্য খাতে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ বাড়ছে।’
হেইলিবারি ভালুকা’র প্রধান শিক্ষক সাইমন ও’গ্রেডি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা নিশ্চিত করবে হেইলিবারি। অতীত থেকে ধারণা নিয়ে ও বর্তমান সময়কে ধারণ করে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরিতে মনোনিবেশ করতে চাই আমরা।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক বোর্ডিং স্কুলের শাখা হিসেবে গত বছরের ১৫ অক্টোবর হেইলিবারি স্কুলটির সফট-লঞ্চ করা হয়। স্কুলটি বাংলাদেশের লাক্সারি, হসপিটালিটি ও শিক্ষা খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বেস্ট সার্ভিসেস লিমিটেড গ্রুপের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইনডিপেন্ডেন্ট স্কুল হেইলিবারি’র যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বোর্ডিং স্কুল হিসেবে ইংরেজি শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা দেবে স্কুলটি। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান লক্ষ্য কল্যাণ ও বিশ্ব-মানসিকতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এশিয়া অঞ্চলের সেরা হিসেবে গড়ে তোলা। সামনেই হেইলিবারি ভালুকায় ক্লাস শুরু হবে।
জীবনের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেছেন পাঠদানে। শিক্ষার্থীদের সফলতাই ছিল তার সাফল্য। শিক্ষকতার ৪০ বছর তিনি বাইসাইকেলেই যাতায়াত করেছেন স্কুলে।
এমন এক শিক্ষকের বিদায় ছিল বৃহস্পতিবার। চিরচেনা সেই ক্লাসে এখন আর শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে আসবেন না তিনি।
প্রিয় শিক্ষককে বিদায় জানাতে সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা করলেন ব্যাপক আয়োজন। ফুলে সজ্জিত গাড়ি, সামনে মোটরসাইকেলের শোডাউন। হাত নাড়িয়ে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে ফিরছেন বাড়ি।
এতসব আয়োজন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৈয়দ মো. আবদুল আউয়ালের বিদায় উপলক্ষে।
৪০ বছরে শিক্ষকতার জীবনের ইতি টেনে বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরেন শিক্ষক সৈয়দ মো. আবদুল আউয়াল। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ম্যানেজিং কমিটি ও সাবেক শিক্ষার্থীরা অশ্রুসিক্ত চোখে বিদায় জানান জাতি গড়ার এ কারিগরকে।
ফুলে সজ্জিত গাড়িতে বিদায়ের আগে উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়ে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সৈয়দ মো. আবদুল আউয়ালের ব্যক্তিত্ব ও দায়িত্বশীল শিক্ষকতার প্রশংসা করেন অতিথিরা। স্কুল, ম্যানেজিং কমিটি, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী দেয়া হয় তাকে।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৩ সালে নাঙ্গলকোটের টুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন আবদুল আউয়াল। ১৯৮৩ সালে উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। তার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে আছে।
উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মাসুদুল হক বলেন, ‘তিনি আমার শিক্ষক ও দীর্ঘদিনের সহকর্মী। এমন নম্র, ভদ্র ও জ্ঞানী মানুষ খুব কমই হয়। স্যারের বিদায়ে আমরা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছি।’
বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইদ্রিছ মিয়া বলেন, ‘তিনি আমার ভালো একজন সহকর্মী ছিলেন। আমরা চেষ্টা করেছি ব্যতিক্রমভাবে তাকে বিদায় দিতে।’
বিদ্যালয় সভাপতি ডা. খায়রুল ইমরান অনি বলেন, ‘তিনি ভালো মানুষ। দায়িত্বের প্রতি ছিলেন আন্তরিক। তার পরবর্তী সময়গুলো ভালো কাটুক।’
৪০ বছর চাকরিজীবন শেষ করে বিদায় অনুভূতি জানাতে গিয়ে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আলহাজ সৈয়দ মো. আবদুল আউয়াল বলেন, ‘এটি আমার জীবনের বড় পাওয়া। আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি) বিজনেস ক্লাব-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মিট দ্য মার্কেটিং সুপারস্টার’।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের মার্কেটিং জগতের সুপারস্টার ও মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) ফাস্ট-মুভিং কনজিউমার গুডস (এফএমসিজি) বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ আলমগীর। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক মুহাম্মদ রিদওয়ানুল হক ও সিইউবির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর এস এম আরিফুজ্জামান।
সৈয়দ আলমগীর নিজ জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, উপস্থাপনা ও কারিগরি নৈপুণ্যসহ বিভিন্ন সফট স্কিল বা বিষয়গত পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান শুধু কাঠামোগত পাঠ্যসূচির মধ্য দিয়ে অর্জন সম্ভব নয়। এগুলো শিখতে হয় সারাজীবন জুড়ে এবং প্রতিনিয়ত ও প্রাত্যহিক জীবনযাপনের ভেতর দিয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বেনজীর রহমানের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে সিইউবির বিভিন্ন অনুষদ সদস্য ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সিইউবি-র শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন:বিয়ে করলেন অনলাইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক এবং একই স্কুলের জনপ্রিয় ইংরেজি শিক্ষক মুনজেরিন শহীদ।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের মসজিদে তাদের আকদ সম্পন্ন হয়। আয়মান ও মুনজেরিন দুজনেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিয়ের শাড়িতে আয়মানের সঙ্গে হাতে হাত ধরা একটি ছবি পোস্ট করেছেন মুনজেরিন। তিনি লিখেছেন, আলহামদুল্লিাহ। আমি আমার তারকাকে পেয়েছি।
একই ছবি দিয়ে আয়মান লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ! অনুভূতিটা অদ্ভুত।
এই দম্পতির বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সেনাকুঞ্জে। এরই মধ্যে আমন্ত্রণপত্রও দেয়া হয়েছে অতিথিদের।
অনেক দিন ধরে গুজব থাকলেও সম্প্রতি এই আয়মান আর মুনজেরিনের বিয়ের একটি দাওয়াতকার্ড ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এক পর্যায়ে তাদের ঘনিষ্ঠজনরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ শেষ করে ২০১৫ সালে ‘টেন মিনিট স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন আয়মান। ফোর্বসের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সেরা ৩০০ তরুণ উদ্যোক্তার একজন তিনি।
আর মুনজেরিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান করে পরে বৃত্তি নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন।
নওগাঁবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে জেলার এক জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর চার বছর পর ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত বিলের খসড়া অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।
চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ বিল-২০২৩’ পাস হয়। এর পর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য নওগাঁ শহরের পার্শ্ববর্তী দিঘলীর বিল, নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতড়ার বিল, মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটা (চৌমাশিয়া বাজার) এবং বদলগাছীর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার সংলগ্ন চারটি স্থান প্রাথমিকভাবে আলোচনায় আসে। তবে শহরের খুব কাছাকাছি নয়, আবার শহর থেকে খুব দূরেও নয় এমন স্থান নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয় সে সময়।
সে হিসেবে দিঘলীর বিলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে নওগাঁ শহরের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে। আর ছাতড়ার বিল সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত এলাকা। সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ততোটা উন্নত না হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়বেন। তবে কোথায় হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’, তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি নওগাঁর নওহাটায় (চৌমাশিয়া বাজার) স্থাপনের দাবিতে শোভাযাত্রা হয়েছে। সম্প্রতি নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া বাজারে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘হেল্প লাইন, হ্যালো নওগাঁ’ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
উপজেলার নওহাটা মোড়ে স্থানীয় সচেতন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দুই শতাধিক মানুষ এই আয়োজনে অংশ নেয়। পরে তারা শোভাযাত্রা বের করে।
এ ছাড়া নওগাঁ শহরের আশপাশে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য বেশ কয়েকবার মানববন্ধন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ঠিকানা শেষ পর্যন্ত ঠিক কোথায় হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি।
জেলার মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটা মোড় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন যৌক্তিক স্থান মনে করেন বলিহার ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু নাছের।
তিনি বলেন, ‘চৌমাশিয়া বাজারটি শহরের খুব কাছাকাছি নয়, আবার শহর থেকে খুব দূরেও নয়। জেলা শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে। নওহাটা মোড়ের ওপর দিয়ে বিভাগীয় শহর রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাসহ নওগাঁর সাতটি উপজেলায় যাওয়া যায়।
‘পার্শ্ববর্তী সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধা হবে। নওহাটা বাজারের পাশে প্রায় ৩০০ একর খাস জমি আছে। এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে সরকারের রাজস্ব খাত থেকে জমি অধিগ্রহণের খরচ অনেকাংশেই কমে যাবে।’
সবশেষ যৌক্তিক স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনের সড়কে ‘মুভমেন্ট ফর ডেভলপমেন্ট অফ নওগাঁ’র উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে মুভমেন্ট ফর ডেভলপমেন্ট অফ নওগাঁর আহ্বায়ক শফিকুর রহমান মামুন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধা, খণ্ডকালীন আয়ের উৎস, শিক্ষার পরিবেশ ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা থাকবে, এমন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা প্রয়োজন। কিন্তু একটি মহল ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের স্বার্থে জেলা শহরের বাইরে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের চেষ্টা করছে। শিক্ষার জন্য সেখানে উপযুক্ত জায়গা নয়।
‘ছাত্রদের সুবিধার কথা তাদের মাথায় নেই। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় হলে তারা জমি কিনে ব্যবসা করবেন। অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। এর ব্যত্যয় হলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আমরা জেলা শহরের খুব কাছেই যৌক্তিক স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় চাই। এটাই আমাদের প্রাণের দাবি।’
নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান বলেন, ‘অষ্টম শতাব্দীর পর একবিংশ শতাব্দীতে আমরা একটি বিশ্ববিদ্যালয় পেতে যাচ্ছি, যা আমাদের জন্য একটি গর্বের বিষয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এই জেলার ছেলে-মেয়েরা বাইরের জেলায় গিয়ে পড়াশোনা করাটা সত্যিই কষ্টকর ছিল। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় হলে জেলাবাসীর জন্য সুবিধা হবে।
‘এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করা যাবে। কৃষিপ্রধান এই জেলা ধান, আম ও সবজির জেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব নিয়ে গবেষণা করা হলে আর্থ-সামাজিক দিক দিয়েও উত্তরের এই জনপদ এগিয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সভ্যতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে এগিয়ে যাবে। আমাদের আরও বেশি মানোন্নয়ন হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিসীম প্রয়োজন আছে, যা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু অনেক পরে হলেও তা হচ্ছে। তবে এমন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় হোক যাতে করে সবার জন্যই সুবিধা হয়।’
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচনের ব্যাপারে এখনও নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলে ইউজিসির কমিটি গঠনের মাধ্যমে পরিত্যক্ত অথবা এক ফসলি জমি নির্ধারণ করা হবে। নওগাঁবাসীর সার্বিক উন্নয়ন এবং শিক্ষা ও গবেষণার উপযোগী পরিবেশসহ সার্বিক বিষয় দেখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি, নওগাঁর স্থানীয় মন্ত্রী-এমপিরা তাদের পছন্দের জায়গা নির্বাচন করে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তাদের মাঝে স্থান নির্বাচনের ব্যাপারে সমঝোতা না হলে সরকার স্থানীয় প্রশাসন অথবা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থান নির্বাচনের দায়িত্ব দিতে পারে। শিক্ষার্থীদের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, খাদ্যদ্রব্য সব বিবেচনায় নিয়ে স্থান নির্বাচন করা উচিত বলে মনে করছি।’
দেশে আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে। ঠাকুরগাঁও ও শরীয়তপুরে নতুন এ দুইটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে আজ বৃহস্পতিবার সংসদে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আলাদা দুটি বিল উত্থাপন করেন।
বিল দুটি উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
এসময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সংসদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ দুটি বিল আগামী অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে পাস হতে পারে।
প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, ঠাকুরগাঁওয়ে হবে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যদিকে শরীয়তপুরে হবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করা হবে বঙ্গবন্ধুর নামে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করার লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা অতি প্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত।’
বর্ষায় বিদ্যালয়ের চারপাশে কচুরিপানা ও মেঝেতে পানি উঠলেই ব্যাহত হয় টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।
বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রেও আছে শতেক ভোগান্তি। বর্ষাকালে নৌকা দিয়েই বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, পানি মেঝে থেকে নেমে গেলেও বিদ্যালয়ের চারপাশটা কচুরিপানার রাজ্য। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে পারছেন না শিক্ষকরা।
বাসাইল উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপজেলায় ২৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১১টি মাদরাসা ও তিনটি কলেজ রয়েছে।
চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার তন্বীর বক্তব্য, ‘বর্ষায় স্কুলের চারপাশে পানি উঠে যায়। আমরা পড়াশোনা করতে পারি না। কয়েকদিন আগেও পানি উঠেছিল। তখন স্কুলেও যেতে পারি নাই। টাগই (কচুরি) পানায় ভরে গেছে চারপাশ। নৌকা নিয়ে আসতেও কষ্ট হয়। অন্যান্য স্কুল খোলা আছে। শুধু আমাদের স্কুলই বন্ধ। আমরা পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি। আমরা সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা করতে চাই।’
আরেক শিক্ষার্থী প্রসেনজিৎ সরকার বলে, ‘কষ্ট করে আমাদের ক্লাসে আসতে হয়। চারপাশ পানি আর পানায় ভরে গেছে।’
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের মিয়া বলেন, ‘দুই বছর ধরে বিদ্যালয়টির নতুন ভবন করা হবে বলে জানিয়ে আসছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই পর্যন্তই। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। নিম্নাঞ্চল হওয়ায় এখানে বর্ষাকাল এলেই মাঠে ও স্কুল ঘরের মেঝেতে পানি উঠে যায়। তখন শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
‘বিদ্যালয় ভবনের মেঝে থেকে পানি নেমে গেছে। তবে বিদ্যালয়ের চারপাশে কচুরিপানা রয়েছে। দ্রুত বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা উচিত।’
রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা আক্তার পপি বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকেই আমি চেষ্টা করছি নতুন ভবন ও বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র আনার জন্য। তা বাস্তবায়ন হলে ভবনের নিচতলা খোলা থাকবে আর উপরে পাঠদান চলবে। গতবছরও আমি তার জন্য আবেদন করেছি।
‘২০২১ সালে যখন বড় বন্যা হয় তখনও ছবিসহ আবেদন করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ বছরও আমি অফিসারদের ম্যাসেঞ্জারে বিদ্যালয়ের ছবি পাঠিয়েছি। ওনারা যদি ব্যবস্থা না নেন তাহলে আমার তো করার কিছু নেই।’
তিনি জানান, বিদ্যালয়ের চারপাশে কচুরিপানা রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের মেঝেতে এক ফুট পানি ছিল। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার তিনটি পরীক্ষা বিদ্যালয়ে নিতে পারলেও আর তিনটি পরীক্ষা রাশড়া করিম বাজার গ্লোবাল কিন্ডার গার্টেনে নিতে হয়েছে। তিনটি পরীক্ষা নেয়ার পর বিদ্যালয়ের মেঝেতে পানি চলে আসে। পানি মেঝে থেকে নেমে গেলেও বিদ্যালয়ের চারপাশে কচুরিপানা রয়েছে।
পপি বলেন, ‘আশা করছি সামনের সপ্তাহ থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালু করতে পারব।’
বাসাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনজুম আরা বেগম বীথি বলেন, ‘আমি উপজেলাতে নতুন এসেছি। শুনতে পেরেছি এই বিদ্যালয়টিতে প্রতি বছর পানি ওঠে। আমি নতুন এলেও রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। শুধু রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, আরও কিছু বিদ্যালয়ে বর্ষা মৌসুমে পানি ওঠে। এই বিদ্যালয়গুলো বন্যার আশ্রয়ণ কেন্দ্র করা দরকার ছিল। বিষয়টির বিস্তারিত তুলে ধরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবো।’
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন করে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা ও অন্য ৬ জন চিকিৎসক। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ফোন সেট, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাকসুদা আক্তার মালা, ডা. কে এম বশিরুল হক, ডা. অনিমেষ কুমার কুণ্ডু, জাকিয়া ফারইভা ইভানা, সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী, জাকারিয়া আশরাফ ও মৈত্রী সাহা।
মিরপুর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের শেষে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সিআইডি সূত্র জানায়, সবশেষ গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাকসুদা আক্তার মালা ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। ২০১৫ সালে নিজের মেয়ে ইকরাসহ আরও ৭ শিক্ষার্থীকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন তিনি।
অন্যদের মধ্যে ডা. কে এম বশিরুল হক থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের পরিচালক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন তিনি।
এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া একাধিক আসামির সিআরপিসি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ডা. বশিরুল হকের নাম রয়েছে। প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীমের গোপন ডায়েরিতিও তার নাম কাছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ডা. অনিমেষ কুমার কুণ্ডু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন মেডিক্যাল অফিসার। ২০১৫ সালে ১০ জন শিক্ষার্থীকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রে পড়িয়েছেন তিনি। তাদের মধ্যে ৮ জনই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।
আর জাকিয়া ফারইভা ইভানা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি ২০০৬-০৭ সেশনের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ৬০তম স্থান অর্জন করেন। প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতা ডা. ময়েজ উদ্দিন আহমেদ প্রধানের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়ে তিনি ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
এছাড়া সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ২০১৫-১৬ সেশনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তারকৃত ডা. অনিমেষের মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে চান্স পান তিনি।
গ্রেপ্তার হওয়া জাকারিয়া আশরাফ ও মৈত্রী সাহা ২০১৫-১৬ সেশনের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী। তারাও অভিযুক্ত ডা. অনিমেষের মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
সূত্র জানায়, সিআইডির সাইবার টিম এর আগে চলতি বছরের ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১ চিকিৎসকসহ ১৭জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে ১০ জন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্যান্য সদস্য ও ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া যায়। এছাড়াও এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীম উদ্দিন ভূইয়া মুন্নুর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গোপন ডায়েরি থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা চক্রের সদস্যদের তথ্য পাওয়া যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১০ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য