২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: প্রয়োজন গবেষণা, প্রকাশনা ও কূটনৈতিক তৎপরতার তাৎপর্য’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ দাবি জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম বলেন, ‘২৫ মার্চকে গণহত্যা বা জেনোসাইডের স্বীকৃতি দিতে হবে- এই দাবি নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমরা জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেলাম কি পেলাম না সেদিকে না তাকিয়ে আমাদের দাবি তুলে ধরতে হবে।
‘বাঙালিকে ধর্ম দিয়ে বিভক্তিকরণের চেষ্টা সবসময়ই ছিল। তারপরও আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান।
রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাফিস আহমদের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষকা এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হাবিবুর রহমান। জন্মগতভাবেই নেই দুই হাত। তবুও দমে যাননি তিনি। ছোট বেলা থেকে পা দিয়ে লিখেই চালিয়ে গেছেন পড়াশোনা। স্কুল, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে এবার অংশ নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভর্তিযুদ্ধে। এ বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়েই বড় আলেম হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
সোমবার ইবি’র ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।
হাবিবুরের বাবা আব্দুস সামাদ পেশায় কৃষক ও মা হেলেনা খাতুন গৃহিনী। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট হাবিবুর।
২০২০ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৩ ও ২০২৩ সালে আলিম পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫৭ নিয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। প্রতিবন্ধকতা ছাপিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশ সেবায় নিয়োজিত হতে চান হাবিবুর। সেই স্বপ্ন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান তিনি।
এর আগে হাবিবুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আলিম পরীক্ষার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন জাগে। পরিবারের অনুপ্রেরণা পেয়েই আমি আজ এতদূর আসতে পেরেছি। তবে কখনো প্রতিবন্ধকতার কারণে হেয় শিকার হতে হয়নি। সবাই ভালোভাবে নিয়েছে। আমি জীবনে ভালো মানুষ হতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবকিছু সম্ভব। চেষ্টা করলেই আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিবেন। চেষ্টা না করলে আসলে কোনো কিছু সম্ভব না।
‘সবাইকে চেষ্টা করা উচিত। কষ্ট হবে, বিপদ আসবে। এর মাধ্যমে জয় করতে হবে। চেষ্টা না করলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়।’
হাবিবুরের প্রতিবেশী আজমল হোসেন বলেন, ‘সে সম্পর্কে আমার ভাতিজা হয়। শারীরিক গঠনে অন্য দশজনের মতো না হলেও কোন দিক দিয়ে সে পিছিয়ে নেই। হাবিবুর ছোট থেকেই অনেক মেধাবী।’
আরও পড়ুন:তীব্র তাপদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ আপাতত বন্ধ হচ্ছে না। তবে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম পরিচালনায় ৬টি শর্ত মানার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
সোমবার মাউশির এক অফিস আদেশে যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শাখা রয়েছে, সেই স্কুলগুলোর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির কার্যক্রমও আগামী ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ছাড়াও পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রাত্যহিক সমাবেশ স্থগিত ও রোদের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলাধুলাসহ অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
তবে ৭ জুন থেকে অর্ধবার্ষিকী মূল্যায়ন ও পরীক্ষা থাকায় মাধ্যমিক স্তর বন্ধ হচ্ছে না বলে জানায় মাউশি।
মাউশির অফিস আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র কর্তৃক প্রকাশিত তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা অনুসারে, আগামী ৫ থেকে ৬ দিন দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু, মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এর আলোকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ছয়টি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সেগুলো হলো-
#যেসব স্কুলে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত রয়েছে সেখানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির কার্যক্রম আগামী ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
#পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রাত্যহিক সমাবেশ স্থগিত থাকবে।
#শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রোদের মধ্যে খেলাধুলাসহ অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে।
#শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনে নিজ বাসা থেকে পর্যাপ্ত পানি সাথে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবে।
#শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের জন্য প্রতিষ্ঠানের সকল জানালা ও দরজা সম্পূর্ণ খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
#শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন ও কর্মচারীদের কক্ষে প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক পাখা সক্রিয় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর নিম্ন মাধ্যমিক স্তর বন্ধ ঘোষণা করা হলেও অর্ধবার্ষিকী মূল্যায়ন ও পরীক্ষার কারণে মাধ্যমিক স্তর বন্ধ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
তিনি জানান, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকবে। কারণ, ৭ জুন থেকে অর্ধবার্ষিকী মূল্যায়ন ও পরীক্ষা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তরের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে গরমের কারণে গতকাল রোববার দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত মোট চার দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ কর্মসূচিতে যোগ দি ৩০ শিক্ষার্থী অতিরিক্তি গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, জেলা পুলিশের সচেতনতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বেলা ১১টার দিকে তীব্র গরমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খোলা মাঠে দীর্ঘ সময় অ্যাসেম্বলি করানো হয়। কর্মসূচিতে সিরাজদিখান থানার এএসআই কামরুল ইসলাম যৌন হয়রানি ও মাদকবিরোধী বক্তব্য দেয়ার সময় ওই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আমিন উদ্দিন বলেন, ‘দুই মাস আগেই আমাদের স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে শ্রেণিকক্ষে প্রার্থনা ও শপথ করানো হয়।
‘কামরুল ইসলাম নামে সিরাজদিখান থানার একজন অফিসার আমাদের বিদ্যালয়ে এসে সচেতনতামূলক কথা বলার জন্য শিক্ষার্থীদের মাঠে বের করেছিলেন। ওই সময় শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।’
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘ভবানীপুর বিদ্যালয়ের ১৩ শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে আমার এখানে চিকিৎসা নিয়েছে।’
মুন্সীগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত জানান, বিদ্যালয়গুলোর নিয়মিত এসেম্বলিতে অল্প সময়ের জন্য শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও মাদক বিষয়ক সচেতনতামূলক বার্তা দেয়া হয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ পড়ে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাবদাহের কারণে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার দিন ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘দেশব্যাপী বিদ্যমান তীব্র তাপদাহের কারণে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম আগামী ৫ জুন ২০২৩ সোমবার থেকে ০৮ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’
দাবদাহ বা তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এতে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে গরম। ঘরে কিংবা বাইরে অসহনীয় হয়ে উঠেছে তাপমাত্রা। এ থেকে কবে নিষ্কৃতি মিলতে পারে, তা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিউজবাংলাকে জানান, দাবদাহের কারণে দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও সামগ্রিক তাপমাত্রা কমছে না। তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে ১২ জুনের পর।
তিনি আরও জানান, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষের দিক থেকে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। শেষ সপ্তাহ থেকে সহনীয় হতে পারে তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে দেশের বাইরে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। তবে নির্বাচনে ষড়যন্ত্রকারীদের সাবধান থাকতে হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে সিআরআই ও ইয়াং বাংলার উদ্যোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি দেশটিতে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না- এমন প্রশ্নে জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে চান, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সাবধান থাকতে হবে তাদের যারা ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বয়কট করে; নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করে এবং নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশের মানুষের সাধারণ মানুষের জান-মালের ক্ষতি করে।
‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতান্ত্রিক পন্থায় বাংলাদেশে নির্বাচন করে আসছি। আগামীতেও স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হবে।’
শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ডিপিপির কাজ শেষ হয়েছে। সেটি মূল্যায়ন চলছে। এটি একনেকে আসলে তবেই চূড়ান্ত রূপ পাবে।’
সেটি খুব শীঘ্রই তারা করবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
উচ্চশিক্ষায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হার কমে যাবার প্রশ্নে দীপু মনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব। এখন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ডিগ্রি পাশ করেও অন্য কোনো বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এছাড়া অনেক ডিপ্লোমা কোর্সেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর শাহ আজম, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনসহ সিআরআই ও ইয়াং বাংলার সদস্যরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভোট শুরু হয়। অনুষদের ১৫৮ জন শিক্ষক এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন।
সিনিয়র প্রতিনিধি পদে ১ জন, আহ্বায়ক পদে ১ জন ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ২ জনসহ মোট ৪টি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ৭৭ ভোট পেয়ে সিনিয়র প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাসান আল শাফী। এ পদে বাকি প্রার্থীদের মধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিককতা বিভাগের অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ পেয়েছেন ১৫ ভোট, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান পেয়েছেন ৬৪ ভোট।
৯৬ ভোট পেয়ে আহ্বায়ক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। বাকি প্রার্থীদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চক্রবর্তী পেয়েছেন ৪১ ভোট, ওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ পেয়েছেন ১১ ভোট ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ড. কাজী শাহেদুল হালিম পেয়েছেন ৮ ভোট।
যুগ্ম আহ্বায়কের দুই পদে সবচেয়ে বেশি ভোট অর্থাৎ ১০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএম নাজমুস সাকিব ও ৮৫ ভোট পেয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন ভূঞা। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বাকি প্রার্থীদের মধ্যে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৩৪ ভোট আর টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের এসএম ইমরান হোসেন পেয়েছেন ৪০ ভোট।
আরও পড়ুন:ইসলামি বিশ্বের গৌরবময় ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নিজেদের ভেতরের মতভেদ ও দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে বিজ্ঞান, দর্শন, চিকিৎসা ও জ্ঞানচর্চার অন্যান্য ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মুসলিমরা বর্তমানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদের অধিকারী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে এই সম্পদ ব্যবহার করে আমরা আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারি। আমি এটা বিশ্বাস করি।
‘ইসলামের স্বর্ণযুগে মুসলিম পণ্ডিতরা বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসাবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোলসহ জ্ঞানের অনেক শাখায় সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন। এ ছাড়া সে যুগের মুসলিম পণ্ডিতরা সংস্কৃতি, জ্ঞান আহরণ, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও সমসাময়িক সাহিত্যে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন।’
এ সময় অতীতে গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী মুসলমানদের পতনের কারণ বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রীতির অভাব ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভাবকেই কারণ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমন অনেক বিষয় (উপরিউক্ত) মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হারানো এ গৌরব পুনরুদ্ধার করতে, আমি মনে করি, আমাদের মুসলিম উম্মাহকে মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
‘বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে মুসলিম দেশগুলোকে, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের, শিক্ষা ও বিজ্ঞানে আরও বেশি আত্মনিয়োগ করতে হবে।’
এ সময় মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও স্বীকৃতির ব্যাপারে দুঃখপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক যুগে মুসলিমরা মাত্র তিনটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এটাই আধুনিক যুগে গবেষণা, প্রযুক্তি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহর অবদানের প্রকৃত চিত্র।
‘মুসলিম দেশগুলোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও জোরালো প্রচেষ্টা দরকার, যাতে তারা আরও বেশি অবদান রাখতে পারে।’
‘বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও অন্যান্য প্রযুক্ত খাতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে উদ্ভূত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া উচিত নয়’, উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইউটির চ্যান্সেলর ও ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম ত্বহা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য