সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে শিগগিরই।
বৃহস্পতিবার বা আগামী সপ্তাহেই এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
একযোগে না করে বরং বিভাগভিত্তিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি।
অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, তিন বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোনো কারণে তা না হলে আগামী সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে।
তিনি জানান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কা হবে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে। এই ধাপের বিজ্ঞপ্তির পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ১৫ অক্টোবর। ওই দিন সকাল ১১টায় স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানেরা এই ফল প্রকাশ করবেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার সোমবার বিকেলে বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে টেলিফোনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য সময়ে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করতেন। তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তা করছেন না। এবার স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরাই ফল প্রকাশ করবেন।’
চলতি বছরের ৩০ জুন সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। নয় হাজার ৪৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী দুই হাজার ২৭৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেন।
আট দিনের পরীক্ষা শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আরও তিনবার পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
অবশেষে সব পরীক্ষা স্থগিত করে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী গত ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
গত ২৪ আগস্ট এইচএসসির বাকি সব পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেদিন সচিবালয়ে কিছু শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছভুক্ত (জিএসটি) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস আগামী ২০ অক্টোবর শুরু হবে।
এ ছাড়াও চতুর্থ ধাপের প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া শনিবার শুরু হচ্ছে। আগামী ৫ অক্টোবর ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি নেয়া হবে।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন শনিবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটেও একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান তিনি। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘চতুর্থ পর্যায়ের প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া ২৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টা হতে ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটি ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd) ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইনে ৫ হাজার টাকা প্রাথমিক ভর্তি ফি দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।’
তিনি জানান, চূড়ান্ত ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন কোটার ভর্তিসহ চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করবে। স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কোটা ও চূড়ান্ত ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।
তিনি আরও জানান, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে প্রাথমিক ভর্তিকৃত এবং বিভিন্ন কোটায় ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের মূল নম্বরপত্রগুলো (এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান) চূড়ান্ত ভর্তির সময় জমা দিতে হবে। ২০ অক্টোবর থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হবে।
স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় সুবিধা অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। চূড়ান্ত ভর্তি ও কৃষি গুচ্ছের ভর্তি প্রক্রিয়ার পর আসন শূন্য থাকা বা হওয়া সাপেক্ষে জিএসটি গুচ্ছের সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশনের মাধ্যমে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্ত করা হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রাথমিক ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর মূল নম্বরপত্র দুইটি (এসএসসি ও এইচএসসি) সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চূড়ান্ত ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেয়ার তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোণা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অক্টোবরের মধ্যে এই ফল প্রকাশের জন্য কাজ চলছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ফল প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর খাতা মূল্যায়নের পাশাপাশি বাকি বিষয়গুলোতে এসএসসির নম্বর ম্যাপিং করে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ফল প্রকাশের দিন-তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
গত ৩০ জুন সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী দু’হাজার ২৭৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
আট দিনের পরীক্ষা শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আরও তিনবার পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
অবশেষে সব পরীক্ষা স্থগিত করে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী গত ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
গত ২৪ আগস্ট এইচএসসির বাকি সব পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেদিন সচিবালয়ে কিছু শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে দেশের নয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ অক্টোবর এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বেলা ১১টায় সারাদেশে একযোগে কৃষিগুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এবং কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামালের সভাপতিত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির এক জুম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) দুজন সদস্য, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য, ইউজিসির সচিব, সিভাসুর রেজিস্ট্রার এবং ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য কৃষি গুচ্ছের ভর্তির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
কৃষি গুচ্ছভুক্ত দেশের নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন প্রক্রিয়া গত ২২ এপ্রিল শুরু হয়ে ৩০ মে পর্যন্ত চলে। এতে ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেন।
প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ৩০ মে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে তা কয়েক দফা পেছানোর পর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে আয়োজক ভর্তি কমিটি।
আরও পড়ুন:বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, যোগ্য ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের থেকে ভিসি নিয়োগের চেষ্টা চলছে।
বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে বিশেষ পদ্ধতিতে ফলপ্রকাশের উদ্যোগকে অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘দেশের ৪২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য। এই পরিস্থিতিতে ক্লাস-পরীক্ষাও ব্যাহত হচ্ছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে অন্যান্য বেসরকারি কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে।
‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষককে আমরা চিনি তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব এবং প্রশাসনিক দক্ষতার দিক থেকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এরকম শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করছি। যত দ্রুত সম্ভব আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি নিয়োগ দেব।’
শিক্ষা উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো থেকেও অনেক শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। অনেকে আবার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে নিজে থেকে সরে যাচ্ছেন। দেশের বেসরকারি কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছিল। তাতে শিক্ষক নিয়োগে যে অনিয়ম হয়েছে সেটা ছিল পুঞ্জীভূত অনিয়ম।
‘অত্যন্ত অসঙ্গত কারণে অনেককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এরকম হাজার হাজার অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। এগুলো নীতিগত সিদ্ধান্ত ছাড়া তো ঠিক করা যাবে না। তবে কথা হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনে ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে, বল প্রয়োগ করা যাবে না, ব্যক্তিগতভাবে অপমানিত করা যাবে না।’
আগের দিন কয়েকশ’ শিক্ষার্থীর অব্যাহত চাপ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার বাকি অংশ বাতিল করে বিশেষ পদ্ধতিতে ফলপ্রকাশের উদ্যোগ অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে আমার একার সিদ্ধান্ত নেয়ার কিছু নেই। জানিও না। বোর্ডগুলো সিদ্ধান্ত নেবে।’
পরীক্ষা বাতিল করার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘কালকে (মঙ্গলবার) অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। এ সম্পর্কে আমি এখনও চিন্তাও করিনি। আমার মাথায় এটা ঢুকছে না এখনও। এটা নিয়ে আমি একক কিছু করব না। বোর্ডগুলো এক্সপার্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
‘এইচএসসির এবার অর্ধেক পরীক্ষা হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে তারা যা করবেন সেটাই সিদ্ধান্ত হবে। এই পরীক্ষা নিয়ে যে কোনো ঘোষণা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান দেয়ার কথা। তিনি যে ঘোষণা দিয়েছেন সেটাই ঘোষণা।’
সারাদেশে শিক্ষাঙ্গনে নানারকম বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যত ধরনের অন্যায় আছে আমরা সেগুলো চিহ্নিত করব। এখন তো শুরু করেছি প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে। আমি বলব- বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করা যাবে না।’
আরও পড়ুন:এইচএসসি ও সমমানের বাকি পরীক্ষাগুলো আর হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রাতে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।
তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০২৪ এর স্থগিত পরীক্ষাসমূহ বাতিল করা হলো।
এইচএসসি ও সমমানের বাকি পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে অনুষ্ঠিত হবে। আর পুনরায় পরীক্ষা শুরুর তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরও দুই সপ্তাহ পেছানো হবে।
তবে শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের দাবি জানান। কারণ হিসেবে তারা বলেন, অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অনেকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
অবশেষে পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করা হলো। ওই বিষয়গুলোর মার্কিং কীভাবে হবে তা পরে জানানো হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘আমাদের দাবি একটাই-পরীক্ষা বাতিল চাই’, ‘দাবি মোদের একটাই- পরীক্ষা বাতিল চাই', ‘আপস না সংগ্রাম- সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘পরীক্ষা না বিকল্প- বিকল্প-বিকল্প’, ‘যুক্তি দিয়ে আন্দোলন- বন্ধ করা যাবে না’, ‘চলছে লড়াই-চলবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সকাল থেকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হন পরীক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে দুপুরের দিকে তারা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন।
পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করে। সে সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আরও পড়ুন:এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষাগুলোর সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের এইচএসসি কর্নারে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বর ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে স্থগিত পরীক্ষা শুরু হবে। ৮ অক্টোবর ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এ পরীক্ষা শেষ হবে।
এ ছাড়া ১৫ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর নাগাদ ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।
স্থগিত পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি জানতে ক্লিক করুন লিংকে।
মন্তব্য