ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ও ফি জমা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রার্থীরা ২০ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন এবং ফি জমা দিতে পারবেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং অথবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
১৮ এপ্রিল থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা ৬ মে, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর পরীক্ষা ১২ মে, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর পরীক্ষা ১৩ মে এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। সব ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
‘চারুকলা ইউনিট’ ব্যতীত অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের MCQ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের MCQ এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা নেয়া হবে।
চারুকলা ইউনিটের MCQ পরীক্ষা ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষা ৬০ মিনিট সময় ধরে নেয়া হবে। অন্যান্য ইউনিটের MCQ পরীক্ষা ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষা ৪৫ মিনিট-এ অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বর এবং মাধ্যমিক/সমমান ও উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।
ভর্তি পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫; ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০; ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট'-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ ও আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ ও আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।
এছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত নির্দেশনা ও তথ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট https://admission.eis.du.ac.bd-এ দেখা যাবে।
আরও পড়ুন:এশিয়া মার্কেটিং ডে-২০২৩ এবং আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলারের ৯২তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে শনিবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৭টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে এশিয়ান মার্কেটিং ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশে এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে মার্কেটিং সোসাইটি অফ বাংলাদেশ।
মহতী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ছিল কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)।
বাংলাদেশের তরুণদের আরও ক্ষমতায়িত করা এবং স্মার্ট নাগরিকের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল উপজীব্য ছিল ‘স্মার্ট জাতি ও স্মার্ট নাগরিক সৃষ্টিতে মার্কেটিংয়ের ভূমিকা’।
সেমিনারের লাইভ প্যানেলে প্রধান বক্তা হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলার। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে মার্কেটিং দুনিয়ার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
সিইউবি অংশে অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক প্রফেসর মুহাম্মদ রিদওয়ানুল হক।
লাইভ প্যানেল সেশনের মেম্বার হিসেবে সিইউবি’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অফ বিজনেসের ডিন ড. জহুরুল আলম ও স্কুল অফ বিজনেসের প্রধান এস এম আরিফুজ্জামান।
সেমিনারে লাইভ প্যানেল সেশনের মেম্বার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অফ মার্কেটিংয়ের অনারারি সেক্রেটারি হাসলিনা বিন্তি আযলান এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-এর মহাপরিচালক ও চিফ ইনোভেশন অফিসার ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। পরীক্ষায় পাসের হার ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফল প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২২ ও ২৩ মে একাধিক শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছর ‘ডি’ ইউনিটে এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৯ হাজার ৭৭০ জন। পাস করেছেন ১৩ হাজার ৫৭ জন। আর ন্যূনতম ৪০ নম্বর না পেয়ে ফেল করেছেন ২৬ হাজার ৭১৩ জন শিক্ষার্থী।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ‘ডি’ ইউনিট ভর্তি কমিটির কো-অর্ডিনেটর ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ (শনিবার) ফল প্রকাশ করেছি। মোট ৩৯ হাজার ৭৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩ হাজার ৫৭ জন। পরীক্ষায় পাসের হার ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।’
চবির ‘ডি’ ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান/গণিত/অর্থনীতি ও মানসিক দক্ষতার ওপর ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা হয়। জিপিএ’র ওপর আরও ২০ নম্বর হিসাব করে মোট ১২০ নম্বরের ওপর ফল তৈরি করা হয়।
প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা হয় দশমিক ২৫ নম্বর। পরীক্ষায় কোনো লিখিত অংশ ছিল না। দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কাটা হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানী ঢাকায় পথচারীদের নির্বিঘ্নে হাঁটাচলার সুবিধা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যানজটপূর্ণ ঢাকা শহরে সড়কগুলোতে পর্যাপ্ত সুবিধার অভাব পথচারীদের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে।
সাম্প্রতিতকালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের একটি বড় অংশ শিক্ষার্থী। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী দেশে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৬ হাজার ২৮৪ জনেরর মধ্যে ৮০৩ জনই শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই হেঁটে যাতায়াত করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারিত না থাকা, অপর্যাপ্ত গতিরোধক, জেব্রাক্রসিং ও হেঁটে চলাচলের উপযোগী ফুটপাত না থাকাই এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
শুক্রবার সেন্টার ফর ল’ অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্সের (সিএলপি) উদ্যোগে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অব এনজিও’স ফর রোড সেফটি-এর সহযোগিতায় ঢাকার মোহাম্মদপুরের বেঙ্গল মিডিয়াম হাই স্কুল ও আজিজ খান রোডে অবস্থিত ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের সড়কে পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের বিষয়ে একটি সচেতনতামূলক কার্যক্রমে বক্তার এ কথা বলেন।
ওই কার্যক্রমে দুই স্কুলের প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে সিএলপিএ-এর প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার আমিনুল ইসলাম বকুল পথচারী নিরাপত্তা খসড়া প্রবিধানমালা, ২০২১ দ্রুত বাস্তাবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বেঙ্গল মিডিয়াম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র দাস বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদে হেঁটে স্কুলে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হলো স্কুলের আশেপাশে ফুটপাতগুলোতে ময়লা আবর্জনা ও বিভিন্নভাবে দখল হয়ে যাওয়া।
‘স্কুলের আশেপাশে জেব্রা ক্রসিং, স্পিড ব্রেকার না থাকায় তারা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করছে। তাছাড়া রাস্তায় প্রাইভেট গাড়ি পার্কিং করা ও প্রাইভেট গাড়ির আধিক্যের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ মনে করে না।’
সড়কে পথচারীদের নিরাপদ করতে হলে অবশ্যই এ বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি নিজেদেরও সচেতন হতে আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম এ মান্নান মনির বলেন, ‘ফুটপাতগুলোতে দোকনের সরঞ্জামাদি রাখার কারণে ছাত্র-শিক্ষক ও অবিভাবকরা নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করতে পারছেন না। তাছাড়া ফুটপাতগুলো মেইন রাস্তা থেকে তুলনামুলক উঁচু হওয়ায় বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
‘স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গ যদি স্থানীয়ভাবে এসব সমস্যার বিষয়ে এগিয়ে আসেন, তবে এর সমাধান হবে। এক্ষেত্রে কমিউনিটির চাহিদা অনুযায়ী সমস্যার সমাধানে তারা নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব।’
তাছাড়া ট্রাফিক সিগন্যালও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেন জানান তিনি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, নিরাপদে সড়কে হেঁটে চলাচলের ক্ষেত্রে তারা প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সড়কে পর্যাপ্ত জেব্রা ক্রসিং ও স্পিড ব্রেকার না থাকা তারা নিজেদের অনিরাপদ মনে করে।
রাস্তায় যে ফুটপাত রয়েছে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হেঁটে চলাচলের অনুপযোগী। অনেক ফুটপাতে ভাঙ্গাচোরা জিনিস, ময়লা-আবর্জনা ও প্রাইভেট গাড়ি পার্কিং এবং বিভিন্ন দোকান-পাটের কারনে দখল হয়ে যাওয়ায় তারা হাঁটতে সাচ্ছন্ন বোধ করে না।
অনেক রাস্তায় ট্রাফিক থাকে না। ফুটপাতের পাশাপাশি রাস্তাও ময়লা আবর্জনায় নোংরা হয়ে থাকে। নিরাপদে হেঁটে স্কুলে আসতে তারা এ সকল বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে।
সিএলপিএ-এর পলিসি অ্যানালিস্ট আসরার হাবিব নিপু বলেন, ‘সড়কে প্রায় ৯৫ শতাংশ পথচারী। সড়ক দূর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সড়ক ব্যবস্থাপনার সংশ্লিষ্ট প্রসাশন ও সড়ক ব্যাবহারকারী দুই পক্ষকেই দ্বায়িত্ব নিতে হবে। সড়কে চলাচলে যে আইন রয়েছে, সবাইকে সে অনুযায়ী নিয়ম মেনে রাস্তা ব্যবহার করতে হবে।’
সিএলপিএ-এর পলিসি অ্যানালিস্ট কামরুন্নিছা মুন্না বলেন, ‘রাস্তায় হেঁটে চলাচলে অবকাঠামোগত সুবিধাগুলো যেমন নিশ্চিত করা প্রয়োজন, পাশাপাশি রাস্তায় যারা হেঁটে চলাচল করেন, তাদেরও সচেতন হতে হবে। রাস্তায় চলাচলে আমাদের অবশ্যই রাস্তার বাম পাশ দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে হবে এবং জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করতে হবে।’
সচেতনতামূলক কার্যক্রমের বক্তরা প্রসাশনের কাছে রাস্তায় ফুটপাতে গাড়ি পার্কিং, ময়লা আবর্জনা ও দোকানপাট দ্বারা দখলমুক্ত রাখতে অভিযান, ফুটপাত উঁচু না রাখা, রাস্তায় পর্যাপ্ত জেব্রা ক্রসিং ও স্পিড ব্রেকারের ব্যাবস্থা করার সুপারিশ করেন।
পাশাপাশি সকলকে সড়কে নিয়ম মেনে চলাচলের আহবান জানান।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একই বিষয়ে দুই শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমপিও কাঠামো অনুযায়ী একজন মৌলভী শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই বিদ্যালয়ে আট বছর ধরে দুজন মৌলভী শিক্ষক বেতন উত্তোলন করছেন।
তেঁতুলিয়ার ফকিরপাড়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটেছে এমন ঘটনা। শিক্ষক দুজন হলেন আইবুল হক ও জাহাঙ্গীর হোসেন। এ পর্যন্ত তারা ৪২ লাখ টাকা বেতন উত্তোলন করেছেন বলে বিদ্যালয় সুত্র জানিয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তবে শিক্ষা অধিদপ্তরের মুদ্রণ ত্রুটির কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধানশিক্ষক আজিজুল হক।
বিদ্যালয় সুত্র জানায়, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৭ সালে আইবুল হককে সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০৪ সালে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক হিসেবে দায়িত্বও পালন করেন তিনি। পরে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবেও কিছুকাল দায়িত্ব পালন করতে হয় তাকে।
একসময় সামাজিক বিজ্ঞানে ৩ জন শিক্ষক থাকায় আইবুল হক কোন বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, তা নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাঝে দ্বিধার সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে ২০০৯ সালে ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষকের তালিকা চাওয়া হলে আইবুল হককেও মৌলভী শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়।
২০১৫ সাল থেকে দুজনই মৌলভী শিক্ষক (এমআরটি) হিসেবে বেতন তুলছেন। এর মধ্যে টাইম স্কেলের জন্য আইবুল হক আবেদন করলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে তাকে মৌলভী শিক্ষকের পদ পরিবর্তন করার নির্দেশনা দেয়। কিন্তু সে নির্দেশনা উপেক্ষা করেই তিনি প্রতি মাসে বেতন তুলছেন।
চলতি বছরের এমপিও শিট অনুযায়ী আইবুল হক ২৬,৭৯০ টাকা এবং জাহাঙ্গীর হোসেন ২৩,৩৩৪ টাকা করে প্রতি মাসে বেতন তুলছেন।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ নিয়োগের মাধ্যমে ২০০৯ সালে আমি মৌলভী শিক্ষক (এমআরটি) হিসেবে নিয়োগ পেয়ে শিক্ষকতা করে আসছি। আমি আইবুল হককে বলেছিলাম, আপনার পদ সংশোধন করে নেন। কিন্তু তিনি সে সময় আমাকে বলেন যে এটা প্রধানশিক্ষকের ব্যাপার।’
বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষক আইবুল হক বলেন, ‘আমি মৌলভী শিক্ষক নই। বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করি আমি। আমার পদ সংশোধনের জন্য এর মধ্যে আমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় শিক্ষক দানিয়েল হোসেন বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম বৈধ শিক্ষক। আমি মনে করি ফকিরপাড়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয়ে মৌলভী শিক্ষকের পদ যেহেতু একটি, তাই একজন মৌলভী শিক্ষকের বেতন হওয়া উচিত।’
প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক বলেন, ‘আমাদের ভুল হয়েছে। আট বছর ধরে শিক্ষক আইবুল হক তার পদ সংশোধনের তেমন কোনো চেষ্টা করেননি। তবে এ বছর আমরা তার পদ সংশোধনের আবেদন করেছি। আমরা ভুল সংশোধনের চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিন আকতার বলেন, ‘নথিপত্র না দেখে এবং তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না।’
আরও পড়ুন:গুচ্ছভুক্ত দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের মানবিক বিভাগের ‘বি’ ইউনিটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। পরীক্ষায় পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ভর্তি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক মঙ্গলবার রাতে ফল প্রকাশের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ফল দেখতে পারবেন।
অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক জানান, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ নম্বর ৯৩ দশমিক ২৫ এবং সর্বনিম্ন নম্বর মাইনাস (-) ১১ দশমিক ২৫।
প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সিসরাত জাহান। তার রোল নম্বর ৩০৯১৪৭, কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। তার কলেজ ছিল কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ।
তিনি আরও জানান, ‘বি’ ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী আবেদন করেন ৯৬ হাজার ৪৩৪ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৯৪ হাজার ৬৪১ জন, যা মোট আবেদনকারীর ৯৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। এছাড়া অনুপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ৭৯৩ জন অর্থাৎ ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৫৩ হাজার ২৯৬ জন, যা মোট অংশগ্রহণকারীর ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। এছাড়া অকৃতকার্য হয়েছেন ৪১ হাজার ৩৩৮ জন। অর্থাৎ পরীক্ষার্থীদের ৪৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। অকৃতকার্য সবাই ৩০-এর কম নম্বর পেয়েছেন।
এদিকে ৭ জন পরীক্ষার্থীর খাতা বাতিল হয়েছ। তাদের মধ্যে ২ জনকে বহিষ্কার, রোল নম্বর ভুল লেখায় ৪ জনের খাতা বাতিল ও সেট নম্বর ভুল লেখায় একজনের খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি।
২১ মে শনিবার দেশের ২২টি পাবলিক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বমোট ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়।
গুচ্ছভুক্ত টেকনিক্যাল সাব-কমিটির একাধিক সূত্র জানায়, ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৯০ ও এর বেশি নম্বর পেয়েছেন মাত্র ২ জন। ৮০ নম্বরের উপরে পেয়েছেন ১০৩ জন, ৭৫ ও এর উপরে পেয়েছেন ৩৪৫ জন, ৭০-এর উপরে পেয়েছেন ৯৯১ জন।
এছাড়া ৬৫ ও এর বেশি নম্বর পেয়েছেন ২ হাজার ৩৩৩ জন, ৬০ ও এর উপরে পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৪১ জন, ৫৫ ও এর উপরে পেয়েছেন ৮ হাজার ৯৮৫ জন, ৫০ ও এর উপরে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৭০ জন, ৪৫ ও ওর উপরে পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৮৩ জন, ৪০ ও এর উপরে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৩৬ জন, ৩৫ ও এর উপরে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৪৫ জন এবং ৩০ ও এর উপরে পেয়েছেন ৫৩ হাজার ২৯৬ জন।
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সহপাঠীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক জেবউন্নেসা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম হাসান মো. মুবাশ্বির ফাহিম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীও একই বিভাগ ও বর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ১৭ এপ্রিল বিকেলে ভুক্তভোগী ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে একটি স্টোরি শেয়ার করেন। স্টোরিতে একটি লিংক দেয়া ছিল যেটিতে ক্লিক করে পরিচয় গোপন রেখে পরবর্তীতে মেসেজ পাঠানোর সুযোগ থাকে। তবে অভিযুক্ত হাসান মো. মুবাশ্বির ফাহিম পরিচয় গোপন না করে স্টোরির রিপ্লাই দিয়ে মেসেজ পাঠান। মেসেজটি শুধু যৌন ইঙ্গিতপূর্ণই নয়, পাশাপাশি কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক।
শিক্ষার্থীরা জানান, ফাহিমের মেসেজটির লিংকে গিয়ে দেখা যায়, পরিচয় গোপন করে মেসেজটি পাঠানো ছিল না। বরং ইনস্টাগ্রামের স্টোরির রিপ্লাই দেয়া হয়েছিল। তাই ফাহিমের পরিচয়সহ মেসেজটি ভুক্তভোগীর আইডিতে আসে।
এ ব্যাপারে অন্য সহপাঠীরা ফাহিমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি দোষ স্বীকার করেন।
ফাহিমের দাবি, তিনি মজা করে মেসেজটি দিয়েছিলেন। এ রকম মেসেজ তিনি আরও অনেককেই দিয়ে থাকেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘অভিযুক্তের কাছ থেকে এ রকম হেনস্তাকর মন্তব্যের সম্মুখীন হওয়া আমার জন্য হুমকিস্বরূপ। অভিযুক্ত যেহেতু বলেছেন, তিনি এমন বার্তা অনেককে পাঠান, সেহেতু আমার অন্য সহপাঠীরাও তার সঙ্গে ক্লাস করতে বা পরীক্ষা দিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’
অভিযুক্ত হাসান মো. মুবাশ্বির ফাহিম বলেন, ‘ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অ্যানোনিমাস যে লিংক শেয়ার করা হয়েছে, ওখানে রিপ্লাই না দিয়ে ভুলক্রমে মেসেজের রিপ্লাই দিয়ে ফেলি। এ জন্য ওর কাছে আমার পরিবারসহ গিয়ে ক্ষমা চাই। কিন্তু যেহেতু যৌন নিপীড়ন সেলে অভিযোগ চলে গিয়েছে, তাই ওখানে গিয়ে কথা বলতে হবে।’
এ বিষয়ে অধ্যাপক জেবউন্নেসা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে উপাচার্য স্যার তদন্তের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। শিগগিরই তদন্ত কাজ শুরু হবে।’
আরও পড়ুন:সাইবার বা ভার্চুয়াল জগতকে বড় ফাঁদ উল্লেখ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই ফাঁদে কেউ যদি একবার পড়ে যায় তাহলে তার জীবটাই শেষ হয়ে যাবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করছে জঙ্গি ও মাদকচক্র।’
শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিবারের শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি ও উচ্চশিক্ষা সহায়ক বৃত্তি-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শুধু ভালো রেজাল্ট করলে হবে না, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।’
‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হতে হবে’- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই বাণীকে ধারণ করে ডিএমপি পরিবারের মেধাবী সন্তানদের অনুপ্রেরণা জোগাতে ৯৩৩ শিক্ষার্থীকে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়। বৃত্তিপ্রাপ্তদের সবাই এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়া এবং সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, বুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, রুয়েটসহ বিভিন্ন পাবলিক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী।
২০১৭ সাল থেকে এই মেধাবৃত্তি ও উচ্চশিক্ষা সহায়ক বৃত্তি দিয়ে আসছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এ পূণ্যভূমি রাজারবাগ থেকেই থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে দেশমাতৃকার টানে আত্মত্যাগ করেন আমাদের পূর্বসূরীরা। তোমরা সেই দেশপ্রেমিকদের সন্তান। শুধু ভালো রেজাল্ট করলে হবে না, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘সন্তান এ প্লাস পেয়েছে, ভালো জায়গায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে- এ জন্য আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। আপনার সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মেশে- সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এ সময়টা অত্যন্ত পিচ্ছিল; সন্তানের স্বপ্নপূরণের জন্য এ পথচলায় তাদের হাতটা আরও শক্ত করে ধরতে হবে।’
ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নাগরিক সেবা দেয়ার পরও ডিএমপি পরিবারের সন্তানরা এত ভালো রেজাল্ট করায় তিনি সন্তানের মায়েদের এ সময় ধন্যবাদ জানান।
পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনের গুরুত্ব উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, ‘শত ব্যবস্তার মাঝেও সন্তানকে সময় দিতে হবে। তাদের সঙ্গে খেলতে হবে; ঘুরতে যেতে হবে।’
বৃদ্ধ বয়সে পিতা-মাতার প্রতি খেয়াল রাখার জন্যও সন্তানদের অনুরোধ করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য