বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীনে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বেসরকারি এনটিআরসিএর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, এবার মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৬ জন। স্কুল-২ পর্যায়ে ১৫ হাজার ৩৭৯ জন, স্কুল পর্যায়ে ৬২ হাজার ৮৬৪ জন ও কলেজ পর্যায়ে ৭৩ হাজার ১৯৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাসের হার ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
গত ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
http://ntrca.teletalk.com.bd/result/- এই ঠিকানায় প্রবেশ করে পরীক্ষার দেখা যাবে। প্রার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানিয়ে দেয়া হবে।
দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার শুরু হচ্ছে।
মানবিক বিভাগের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে গুচ্ছ পদ্ধতির এই ভর্তিযুদ্ধ। ১৯টি কেন্দ্রে এক সঙ্গে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরীক্ষা চলবে। ১০০ নম্বরের এ পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩০।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক এবং টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার শুক্রবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক জানান, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে এবার সর্বমোট আবেদন পড়েছে ৯৬ হাজার ৪৩৪টি। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ৭ হাজার ৭৪৬ টি, যেখানে প্রতি আসন লড়বেন ১৩ জন। ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন। এবার ‘বি’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আবেদন করেছেন ২১ হাজার ৬৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিবেন ১২ হাজার ৮৪৫ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, তিনটি উপকেন্দ্র উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল, নটরডেম কলেজ ও উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন বিন্যাস করা হয়েছে। এর মধ্যে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে পরীক্ষা দিবেন ৩ হাজার ৩৯৬ জন শিক্ষার্থী, নটরডেম কলেজে ৩ হাজার ১০৪ জন ও উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিবেন ১ হাজার ৭২০ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার জানান, ১৯ কেন্দ্রের রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এই চারটি কেন্দ্রের উপকেন্দ্র রয়েছে।
তিনি জানান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ হাজার ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ২ হাজার ১৩৬ জন পরীক্ষার্থী ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ২০৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। তবে নির্ধারিত কক্ষ খোলা হবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে। প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোনো ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। প্রতি বেঞ্চে এবার দুই জন পরীক্ষা দিবেন। শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাসও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
২০ মে মানবিক বিভাগ, ২৭ মে বাণিজ্য বিভাগ ও ৩ জুন বিজ্ঞান বিভাগের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ জুনের মধ্যে। ভর্তি পরীক্ষার সকল তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (www.gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর)।
আরও পড়ুন:৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে শুক্রবার সকাল ১০টায়।
২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
রাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেয়ার আগের এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)।
১. পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা ২৫ মিনিটের মধ্যে নির্ধারিত পরীক্ষা হলে নিজ নিজ কক্ষে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট আসনে বসতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় প্রার্থীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
২. সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ৯টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে প্রার্থীদের মধ্যে উত্তরপত্র বিতরণ করা হবে। উত্তরপত্রের চারটি সেট থাকবে। যেমন: সেট ১, ২, ৩ ও ৪। প্রার্থীরা উত্তরপত্রে নিজ জেলা ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখবেন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সংশ্লিষ্ট বৃত্তগুলো কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করবেন। প্রার্থীরা হাজিরা তালিকায় সই করবেন। এ সময় প্রবেশপত্র টেবিলের ওপর খুলে রাখতে হবে। প্রবেশপত্রের ছবি এবং স্বাক্ষরের সঙ্গে হাজিরা তালিকার ছবি ও স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখা হবে। গরমিল পাওয়া গেলে বহিষ্কারসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩. সকাল ১০টায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। উত্তরপত্রের অনুরূপ প্রশ্নপত্রেরও চারটি সেট থাকবে। যেমন: সেট ১, ২, ৩ ও ৪। প্রার্থী যে সেট নম্বরের উত্তরপত্র পাবেন, তাকে সে সেট নম্বরের প্রশ্নপত্র দেয়া হবে। উত্তরপত্রের সেট নম্বর এবং প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এক ও অভিন্ন হতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রার্থীরা উত্তর দেয়া শুরু করবেন।
৪. দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শেষ হবে। প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে অবস্থান করবেন। পরিদর্শকরা উত্তরপত্র সংগ্রহ করবেন। পরিদর্শকরা উত্তরপত্র সংগ্রহ করে বুঝে নেয়ার পর প্রার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ধীরে ধীরে কক্ষ ছাড়বেন। প্রার্থীরা প্রশ্নপত্র সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন:৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া ২০০ নম্বরের পরীক্ষা চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্দেশনা
রাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেয়ার আগের এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)।
১. পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা ২৫ মিনিটের মধ্যে নির্ধারিত পরীক্ষা হলে নিজ নিজ কক্ষে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট আসনে বসতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় প্রার্থীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
২. সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ৯টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে প্রার্থীদের মধ্যে উত্তরপত্র বিতরণ করা হবে। উত্তরপত্রের চারটি সেট থাকবে। যেমন: সেট ১, ২, ৩ ও ৪। প্রার্থীরা উত্তরপত্রে নিজ জেলা ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখবেন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সংশ্লিষ্ট বৃত্তগুলো কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করবেন। প্রার্থীরা হাজিরা তালিকায় সই করবেন। এ সময় প্রবেশপত্র টেবিলের ওপর খুলে রাখতে হবে। প্রবেশপত্রের ছবি এবং স্বাক্ষরের সঙ্গে হাজিরা তালিকার ছবি ও স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখা হবে। গরমিল পাওয়া গেলে বহিষ্কারসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩. সকাল ১০টায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। উত্তরপত্রের অনুরূপ প্রশ্নপত্রেরও চারটি সেট থাকবে। যেমন: সেট ১, ২, ৩ ও ৪। প্রার্থী যে সেট নম্বরের উত্তরপত্র পাবেন, তাকে সে সেট নম্বরের প্রশ্নপত্র দেয়া হবে। উত্তরপত্রের সেট নম্বর এবং প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এক ও অভিন্ন হতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রার্থীরা উত্তর দেয়া শুরু করবেন।
৪. দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শেষ হবে। প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে অবস্থান করবেন। পরিদর্শকরা উত্তরপত্র সংগ্রহ করবেন। পরিদর্শকরা উত্তরপত্র সংগ্রহ করে বুঝে নেয়ার পর প্রার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ধীরে ধীরে কক্ষ ছাড়বেন। প্রার্থীরা প্রশ্নপত্র সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন:নোয়াখালীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের ছবি তুলে নকল সরবরাহের অভিযোগে একটি স্কুলের দপ্তরিকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ওই কক্ষে দায়িত্বরত দুই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বুধবার সদর উপজেলার চর মটুয়া ইউনিয়নের পানামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ।
সাজাপ্রাপ্ত নূর করিম উপজেলার চর কাউনিয়া গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। তিনি শান্তির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অফিস সহকারী নূর করিমকে টয়লেটে প্রশ্নোত্তর লিখতে দেখে কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য বিষয়টি মোবাইল ফোনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। ইউএনও’র নির্দেশে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ। এ সময় নুর করিমের মোবাইল ফোনে পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর পাওয়া যায়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ বলেন, ‘নূর করিম প্রথম পরীক্ষা থেকেই এভাবে প্রশ্নের ছবি তুলে সমাধান করতেন। তার মোবাইল ফোনে আগে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর ছবি ও উত্তর পেয়েছি। তবে তার সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও উত্তর সংবলিত লিখিত কাগজ আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।’
ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মোবাইল ফোনে পরীক্ষার প্রশ্নের ছবি তুলে নকল সরবরাহের অভিযোগ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকার করেন নুর করিম। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। প্রশ্ন সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলা করায় দুই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।’
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে সোমবার সব শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার রোববার বিকেলে নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সোমবার সব বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরও জানান, সোমবার অনুষ্ঠেয় পরীক্ষায় সব বোর্ডের প্রশ্নপত্র অভিন্ন ছিল। পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার এটাও একটা কারণ।
স্থগিত হওয়া পরীক্ষা কখন হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান আবুল বাশার।
তিনি বলেন, সময়সূচি পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় দেশের ছয় শিক্ষাবোর্ডে রোববার অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। এবার সোমবারের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বরিশাল, ও যশোর শিক্ষা বোর্ড; বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রোববার ও সোমবার অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অন্যান্য বোর্ডে ওই দিনের পরীক্ষা যথারীতি চলবে।
স্থগিত হওয়া পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে শনিবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষার শেষ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা।
এ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির লড়াই। গত ২৯ এপ্রিল চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ঢাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আগের নাম ‘গ’ ইউনিট। এই ইউনিটে আসনসংখ্যা ১ হাজার ৫০টি। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৫টি, মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি এবং বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৩০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
এই ইউনিটের মোট আসনের বিপরীতে ৪১ হাজার ৩৬৮ জন শিক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়ে। যদি আবেদন করা সবাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন, তাহলে প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়তে হবে ৩৯ জন শিক্ষার্থীকে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান বিদেশে অবস্থান করায় তার রুটিন দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবনের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এবার আটটি বিভাগীয় শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পরীক্ষার্থী রয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৫৬ জন। এরপরের অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এই বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ২৯৮ জন।
রাজশাহী বিভাগে ২ হাজার ৩৫৮ জন, খুলনায় ২ হাজার ১৬৬ জন, রংপুরে ১ হাজার ৬৯৯, ময়মনসিংহে ১ হাজার ২১৫ জন, বরিশালে ৫১৯ জন আর সিলেটে পরীক্ষা দিতে আবেদন করেন ৪৫৭ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ভর্তি পরীক্ষায় চারটি ইউনিটে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৯৬৫টি। এসব আসনের বিপরীতে মোট ২ লাখ ৯৮ হাজার ৪৩০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন।
আগে পাঁচ ইউনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর থেকে শুধু চারটি ইউনিটেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পরীক্ষা। বাদ দেয়া হয়েছে পূর্বের ‘ঘ’ ইউনিট।
এ বছর ইউনিটগুলোর নামও পরিবর্তন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগের ‘ক’ ইউনিটের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বিজ্ঞান ইউনিট। ‘খ’ ইউনিটের নাম পরিবর্তন করে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ‘গ’ ইউনিটের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট। আর ‘চ’ ইউনিটের নাম পরিবর্তন করে চারুকলা ইউনিট রাখা হয়েছে।
প্রতিটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সময় দেড় ঘণ্টা। এর মধ্যে চারুকলা ইউনিট ছাড়া বাকি সব ইউনিটে ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা ছিল।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং এসএসসি বা সমমান ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার ফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। ২০ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য