× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Nalisa Odhikar Parishad has filed a complaint with the DU authorities against the Chhatra League
google_news print-icon

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ অধিকার পরিষদের

ছাত্রলীগের-বিরুদ্ধে-ঢাবি-কর্তৃপক্ষের-কাছে-নালিশ-অধিকার-পরিষদের-
অভিযোগ নিয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে যাচ্ছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাবি শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যখন প্রক্টর স্যারের সঙ্গে দেখা করেছিলাম তখন সেখানে আরও সাতজন সহকারী প্রক্টর স্যার উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রলীগের এই হামলাকে প্রক্টর স্যার অমানবিক ও নিষ্ঠুর বলে মন্তব্য করেন এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটতে এসে হামলার শিকার হওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা।

১৭ ফেব্রুয়ারির ওই হামলায় ১০ জনকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বুধবার বিকেলে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীবসহ আরও কয়েকজন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

এ সময় অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যখন প্রক্টর স্যারের সঙ্গে দেখা করেছিলাম তখন সেখানে আরও সাতজন সহকারী প্রক্টর স্যার উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রলীগের এই হামলাকে প্রক্টর স্যার অমানবিক ও নিষ্ঠুর বলে মন্তব্য করেন এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে আমরা স্যারকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। এর মধ্যে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। তবে স্যার যেহেতু আশ্বাস দিয়েছেন আমরা আশা করি স্যার তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবেন।’

ছাত্র অধিকার পরিষদ হামলায় জড়িত বলে যাদের চিহ্নিত করেছে তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ বাবু, শাকিরুল ইসলাম সাকিব, কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল আব্দুল মুনাফ, হাজী মোহাম্মদ মুহসিন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার শহীদ শুভ, এম আর জিহাদ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ জামান, কবি জসিমউদদীন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাশেদুজ্জামান রনি, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আলম চৌধুরী এবং ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ইবনে আব্দুল হক রাব্বি।

হামলার ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ১৭ ফেব্রুয়ারি ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বেলা সাড়ে দশটার দিকে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির গেটে উপস্থিত হন। সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ টিএসসির গেটে উপস্থিত হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের টিএসসিতে প্রবেশে বাধা দেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বেলা আনুমানিক পৌনে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তারা রাস্তার মাঝখানের সিমেন্টের তৈরি কংক্রিটের ডিভাইডার ব্লক ফেলে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস সানির পা ভেঙে ফেলেন। ৩০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে রাস্তায় ফেলে গুরুতর জখম করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যায়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, তাদের লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। তাদের দাবির বিষয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। কর্তৃপক্ষ সবকিছু বিবেচনা করে পরবর্তীতে কিছু হলে আশা করি আপনারা জানতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি এটা কী ধরনের অভিযোগ। এটি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তাদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের সহযোগিতাও চেয়েছি। আর এই ধরনের অবস্থা পরিহার করতে তাদের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ঢাবির সাবেক অধ্যাপক রাশিদুল হাসানের মৃত্যু
সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা ঢাবি ছাত্রলীগের
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মিনারে যাওয়ার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Dabdah Primary schools closed for 7 days

দাবদাহ: ৭ দিন বন্ধ স্কুল কলেজ

দাবদাহ: ৭ দিন বন্ধ স্কুল কলেজ স্কুল প্রাঙ্গণে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের উপপরিচালক (কলেজ-১) মো. ওয়াহিদুজ্জামান শনিবার বিকেলে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ সাত দিন বন্ধ থাকার সিদ্ধান্তের কথা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন।

দেশে চলমান দাবদাহের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের উপপরিচালক (কলেজ-১) মো. ওয়াহিদুজ্জামান শনিবার বিকেলে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ সাত দিন বন্ধ থাকার সিদ্ধান্তের কথা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন।

এর আগে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।’

তারও আগে দেশজুড়ে চলমান দাবদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’

গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে দাবদাহ। কোনো কোনো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ।

ভারত সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন বাস্তবতায় দৈনন্দিন কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে গেছে বিভিন্ন বয়সীদের।

আরও পড়ুন:
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাময়িক পরীক্ষা হবে না
৫০ জনের কম শিক্ষার্থীর স্কুল পাশের প্রাথমিকে একীভূত হবে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ
গাংনী সরকারি কলেজের পিয়নের বিরুদ্ধে স্কুলে শিক্ষকতার অভিযোগ
মাধ্যমিক স্কুল খোলা ২৫ মার্চ পর্যন্ত, ২১ মার্চ পর্যন্ত প্রাইমারি

মন্তব্য

শিক্ষা
Dabdah Closed assembly in government primary schools

দাবদাহ: সরকারি প্রাথমিক স্কুলে বন্ধ অ্যাসেম্বলি

দাবদাহ: সরকারি প্রাথমিক স্কুলে বন্ধ অ্যাসেম্বলি নওগাঁ সদরের চকরামচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলিতে শিশুরা। ছবি: রিফাত হোসেন সবুজ/নিউজবাংলা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’

দেশজুড়ে চলমান দাবদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’

গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে দাবদাহ। কোনো কোনো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ।

ভারত সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন বাস্তবতায় দৈনন্দিন কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে গেছে বিভিন্ন বয়সীদের।

আরও পড়ুন:
৫০ জনের কম শিক্ষার্থীর স্কুল পাশের প্রাথমিকে একীভূত হবে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ
গাংনী সরকারি কলেজের পিয়নের বিরুদ্ধে স্কুলে শিক্ষকতার অভিযোগ
মাধ্যমিক স্কুল খোলা ২৫ মার্চ পর্যন্ত, ২১ মার্চ পর্যন্ত প্রাইমারি
রোজায় স্কুল খোলা থাকবে

মন্তব্য

শিক্ষা
Bengali New Year in Mahasamarohe Jabi

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে জবি ক্যাম্পাস থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। ছবি: নিউজবাংলা
জবি উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। পারিবারিকভাবেই নারী-পুরুষের সমতা, নারীকে মানুষ ভাবার মানসিকতার শিক্ষা দিতে হবে, নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে লিখতে হবে, বলতে হবে।’

মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে মহাসমারোহে বাংলা বর্ষবরণ পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাড়ম্বরে পালিত হয় বাংলা নববর্ষ-১৪৩১।

বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে জবি ক্যাম্পাস থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসে।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, জবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ

মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ‘রিকশাচিত্র’কে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন/ মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘের মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ শোভাযাত্রায় স্থান পায়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিল চারুকলা অনুষদ।

আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল সোয়া দশটার দিকে আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও সীমিত অবকাঠামো ও স্বল্প পরিসর নিয়েও সকলের সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে।

‘পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান ও তারপর বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্য। বঙ্গবন্ধুর এই অবদান যেন আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের চিন্তা চেতনায় ধারণ করতে পারে।’

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ

তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। পারিবারিকভাবেই নারী-পুরুষের সমতা, নারীকে মানুষ ভাবার মানসিকতার শিক্ষা দিতে হবে, নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে লিখতে হবে, বলতে হবে।’

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সভাপতি প্রমুখ।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বিকেলে জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠির পরিবেশনা এবং জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হয়।

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ

এ সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলে আনন্দে নেচে গেয়ে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বর্ষবরণকে আনন্দবহ করে তোলেন।

প্রকাশনা প্রদর্শনী

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহিদ রফিক ভবনের নীচতলায় দিনব্যাপী ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বার্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ স্থান পায়।

মন্তব্য

শিক্ষা
Professor Fazlul Halim Chowdhurys 28th death anniversary today

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কুমিল্লা জেলার কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল আজিজ চৌধুরী একজন শিক্ষাবিদ, মাতা আফিফা খাতুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের বাবা অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৯ এপ্রিল)।

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৫১ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৫৬ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কো দিল্লির বিজ্ঞান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফলিত রসায়ন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সভাপতি।

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কুমিল্লা জেলার কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল আজিজ চৌধুরী একজন শিক্ষাবিদ, মাতা আফিফা খাতুন।

বরেণ্য এ অধ্যাপকের মেয়ে হয়েছেন বাবার মতো গুণী। অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
BUET should have both student politics and learning environment
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার পরিবেশ দুই-ই থাকা উচিত

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার পরিবেশ দুই-ই থাকা উচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি অবদান রেখেছে। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে। কিন্তু আমি অবাক যে সেখানে একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয়। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আবার সেখানে আন্দোলনও হয়।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুয়েটে অবশ্যই ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত। তেমনই শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

বাংলাদেশের সব অর্জনের সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্রলীগ যুক্ত বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধ, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশ গঠন এবং এরশাদ ও জিয়া যখন আমাদের গণতন্ত্রকে শেকল পরিয়েছিলেন তখন গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি অবদান রেখেছে। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে- যারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দিচ্ছেন। কিন্তু আমি অবাক যে সেখানে একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয়। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আবার সেখানে আন্দোলনও হয়।

‘এটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নয় এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেই আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই আদেশ বাতিল করেছে এবং সেখানে ছাত্র রাজনীতির দুয়ার খুলেছে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগকে বলবো- সেখানে যেন নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি হয়, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি যেন না ঢোকে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতা তৈরি হয়।

এ সময় নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘আমি ১৫ বছর বয়সে ক্লাস টেনে পড়ার সময় থেকে ছাত্রলীগের কর্মী। আর ১৬ বছর বয়সে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হয়েছি।’

মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘রাজনীতি যে দেশ ও মানুষের সেবা এবং সমাজ পরিবর্তনের একটি ব্রত, সেটি অনেক রাজনীতিবিদ ভুলে গেছেন। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি কারও পেশা হওয়া উচিত নয়।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বস্তুগত উন্নয়নের সঙ্গে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু-কন্যা বহু কল্যাণ ভাতা চালু করেছেন। সেই ব্রত ধারণ করেই আজকে ছাত্রলীগ দুস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য তাদেরকে অভিনন্দন।’

সভা শেষে সমবেতদের মাঝে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আরও পড়ুন:
জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্রাজিল সফরের সম্ভাবনা, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপি নেতা-কর্মীরাও: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিএনপি নেতারা ভোটে না আসার যন্ত্রণা বুঝতে পারছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের ১৮০ সেনা ফিরে যাবে, তবে এখনই নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

শিক্ষা
HC orders BUET rabbi to return hall seat

বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট। ফাইল ছবি
বুয়েটের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।

এর আগে রোববার ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে বুয়েটের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে ইমতিয়াজের হলে সিট ফেরত দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। সোমবার ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করেন।

জানা যায়, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বুয়েট ক্যাম্পাসে ২৭ মার্চ বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের একটি দল প্রবেশ করে। এর প্রতিবাদে ২৯ মার্চ বেলা আড়াইটা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে বুধবার মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেনকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল (আবাসিকতা) বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

পরে ২৯ মার্চ রাতে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদারের নির্দেশে ইমতিয়াজ হোসেনের হলের আসন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বুয়েটের রেজিস্ট্রার মো. ফোরকান উদ্দিন।

একইসঙ্গে জানানো হয়, সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশ দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এদিকে ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়। ২০১৯ সালে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা স্থগিত করে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন:
বুয়েটের ছাত্রলীগমনা ২১ শিক্ষার্থীর প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি
রাজনীতিমুক্ত বুয়েটের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ছাত্রদলের সংহতি প্রত্যাখ্যান করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা
‘হত্যার হুমকি’ পাচ্ছেন বুয়েটের ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা, উপাচার্যের কাছে আবেদন
প্রধানমন্ত্রীকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি, প্রয়োজনে আইন সংশোধনের অনুরোধ

মন্তব্য

শিক্ষা
Distribution of Eid gifts among street children in DU

ঢাবিতে পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ

ঢাবিতে পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সুইমিংপুল সংলগ্ন মাঠে বিতরণের এ আয়োজন করা হয়। আয়োজন শেষে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে নতুন কাপড় তাদের ঈদের খুশি এনে দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে থাকা ভাসমান সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের পক্ষ থেকে এই উপহার বিতরণ করেছেন।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সুইমিংপুল সংলগ্ন মাঠে বিতরণের এ আয়োজন করা হয়। আয়োজন শেষে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে নতুন কাপড় তাদের ঈদের খুশি এনে দিয়েছে।

ঈদ উপহার পেয়ে টিএসসির এক সুবিধাবঞ্চিত শিশু রাব্বি বলেন, আমাদের সবাইকে অনেক সুন্দর সুন্দর কাপড় দিয়েছে। অনেক খুশি লাগছে আমার। এবার ঈদের দিন এই পাঞ্জাবিটা পরে ইদ করবো আমি৷

এই আয়োজনের দায়িত্বে থাকা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম বাসেত বলেন, প্রত্যেক বাগান মালিই তার বাগানের ফুলগুলোর যত্ন করে। ওরা আমাদের বাগানের ফুল, আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ ওদের যত্ন নেয়া। আমাদের সভাপতি শয়ন ভাই সবসময় ওদের খোঁজ খবর রাখেন।

এসময় সেখানে অন্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদিন, রেজাউল করিম রিয়াদ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মাউনজিরা বিশ্বাস সুরভী, নাট্য ও বিতর্ক উপসম্পাদক সাইফ আকরাম, মানবসম্পদ উপসম্পাদক মিজানুর রহমান, গণযোগাযোগ উপসম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ তিতাস প্রমুখ।
মনিরুল

মন্তব্য

p
উপরে