প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটতে এসে হামলার শিকার হওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা।
১৭ ফেব্রুয়ারির ওই হামলায় ১০ জনকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বুধবার বিকেলে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীবসহ আরও কয়েকজন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
এ সময় অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যখন প্রক্টর স্যারের সঙ্গে দেখা করেছিলাম তখন সেখানে আরও সাতজন সহকারী প্রক্টর স্যার উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রলীগের এই হামলাকে প্রক্টর স্যার অমানবিক ও নিষ্ঠুর বলে মন্তব্য করেন এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে আমরা স্যারকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। এর মধ্যে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। তবে স্যার যেহেতু আশ্বাস দিয়েছেন আমরা আশা করি স্যার তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবেন।’
ছাত্র অধিকার পরিষদ হামলায় জড়িত বলে যাদের চিহ্নিত করেছে তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ বাবু, শাকিরুল ইসলাম সাকিব, কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল আব্দুল মুনাফ, হাজী মোহাম্মদ মুহসিন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার শহীদ শুভ, এম আর জিহাদ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ জামান, কবি জসিমউদদীন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাশেদুজ্জামান রনি, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আলম চৌধুরী এবং ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ইবনে আব্দুল হক রাব্বি।
হামলার ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ১৭ ফেব্রুয়ারি ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বেলা সাড়ে দশটার দিকে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির গেটে উপস্থিত হন। সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ টিএসসির গেটে উপস্থিত হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের টিএসসিতে প্রবেশে বাধা দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বেলা আনুমানিক পৌনে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তারা রাস্তার মাঝখানের সিমেন্টের তৈরি কংক্রিটের ডিভাইডার ব্লক ফেলে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস সানির পা ভেঙে ফেলেন। ৩০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে রাস্তায় ফেলে গুরুতর জখম করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যায়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, তাদের লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। তাদের দাবির বিষয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। কর্তৃপক্ষ সবকিছু বিবেচনা করে পরবর্তীতে কিছু হলে আশা করি আপনারা জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি এটা কী ধরনের অভিযোগ। এটি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তাদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের সহযোগিতাও চেয়েছি। আর এই ধরনের অবস্থা পরিহার করতে তাদের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:গুচ্ছভুক্ত দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের ‘এ’ ইউনিটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। পরীক্ষায় পাসের হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাতে ফল প্রকাশের পর গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং জিএসটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ২০২২-২৩ এর টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহবায়ক চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়েবাসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ফল দেখতে পারবেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক জানান, ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৩ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৯ জন। পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩০ ও এর বেশি পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬৮ হাজার ৩২২ জন। এটা মোট পরীক্ষার্থীর ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষায় ৮৬ দশমিক ৫০ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন শাহরিয়ার আলম পাটোয়ারী। তিনি সিলেটের স্কলারহোমের শিক্ষার্থী। তার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
ভর্তি পরীক্ষায় ৮৮ জনের খাতা বাতিল হয়েছ। তাদের মধ্যে ৫ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার, ভুল রোল নম্বর লেখায় ২৯ জনের খাতা বাতিল, ডুপ্লিকেট রোল লেখায় ১১ জনের খাতা বাতিল ও সেট নম্বর ভুল লেখায় ৪৩ জনের খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি।
উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার জানান, ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৫ নম্বরের উপরে পেয়েছেন মাত্র একজন। ৮০ নম্বরের উপরে পেয়েছেন ৫ জন, ৭৫ নম্বরের উপরে পেয়েছেন ৪০ জন, ৭০ নম্বরের উপরে পেয়েছেন ৫৬১ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে পেয়েছেন ১৪৭৭, ৬০ নম্বরের উপরে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭২৯, ৫৫ নম্বরের উপরে পেয়েছেন ৭ হাজার ৯১০, ৫০ নম্বরের উপরে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৭১ জন শিক্ষার্থী। এবার সর্বনিম্ন নম্বর মাইনাস ১৩ দশমিক ২৫।
শনিবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞান ইউনিটে ৯ হাজার ৮৭৫টি আসনের বিপরীতে সারাদেশে মোট পরিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৩ জন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষামেলা ‘এডুকেশন এক্সপো -২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (সিইউবি)।
মঙ্গলবার দিনব্যাপী চলা এ এক্সপোর আয়োজন করে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)। সকলের জন্য উন্মুক্ত এ অনুষ্ঠান সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে সিইউবিসহ ৬০টির বেশি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণা, প্রকাশনা ও উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। এক্সপোতে একাডেমি-ইন্ডাস্ট্রিজ লিংকেজ সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইউবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক।
অনুষ্ঠানে আগত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সিইউবি’র মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘গুডউইল অ্যাম্বাসেডর কার্ড’। এই কার্ডের মাধ্যমে যে কোনো শিক্ষার্থী কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে বিশেষ সুবিধা নিয়ে ভর্তি হতে পারবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মেডিক্যাল সেন্টারে পুনরায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে আগের মতো এই সেবা চালু হবে।
সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপাচার্য মনোবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের অবকাঠামো, সব কিছু প্রস্তুত আছে। উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে দ্রুতই কাউন্সিলিং সেবা চালু করা হবে। মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা এই সেবা দেবেন।’
এর আগে রোববার এক সেমিনারে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘আমরা দেখছি আমাদের ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই খুব হতাশায় ভুগে, ট্রমাতে চলে যায়। আমাদের দুই ছাত্রী আত্মহত্যা করার পর, আমি সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টকে আমাদের মেডিক্যাল সেন্টারে যে কাউন্সিলিং করা হতো সেটার অনুমতি দিয়েছি। ভবিষ্যতে আমরা সবগুলো হলে কাউন্সিলিং শুরু করব।’
চবি মেডিক্যাল সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে চবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় কাউন্সেলিং সেবা চালু করা হয়। মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা কাউন্সিলিং সেবাটি দিত। ওই সময় সেবা নিয়ে অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। তবে করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় এই সেবা।
দীর্ঘ এক মাসের ছুটিতে যাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রোকসানা বেগম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, আগামী ৯ জুন উপাচার্য তার ছেলে ও ছেলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আমেরিকা যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ৭ জুলাই পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
পরে সেপ্টেম্বরের ২-৩ তারিখ তিনি ১৩তম উত্তর আমেরিকা বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনে যোগদান করবেন।
আদেশপত্রে আরও বলা হয়, এ ছুটির ব্যক্তিগত ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল ব্যয় তার ছেলে বহন করবে এবং সম্মেলনের ব্যয় বহন করবে সংগঠন। এতে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। তার অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম।
হাবিবুর রহমান। জন্মগতভাবেই নেই দুই হাত। তবুও দমে যাননি তিনি। ছোট বেলা থেকে পা দিয়ে লিখেই চালিয়ে গেছেন পড়াশোনা। স্কুল, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে এবার অংশ নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভর্তিযুদ্ধে। এ বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়েই বড় আলেম হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
সোমবার ইবি’র ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।
হাবিবুরের বাবা আব্দুস সামাদ পেশায় কৃষক ও মা হেলেনা খাতুন গৃহিনী। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট হাবিবুর।
২০২০ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৩ ও ২০২৩ সালে আলিম পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫৭ নিয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। প্রতিবন্ধকতা ছাপিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশ সেবায় নিয়োজিত হতে চান হাবিবুর। সেই স্বপ্ন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান তিনি।
এর আগে হাবিবুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আলিম পরীক্ষার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন জাগে। পরিবারের অনুপ্রেরণা পেয়েই আমি আজ এতদূর আসতে পেরেছি। তবে কখনো প্রতিবন্ধকতার কারণে হেয় শিকার হতে হয়নি। সবাই ভালোভাবে নিয়েছে। আমি জীবনে ভালো মানুষ হতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবকিছু সম্ভব। চেষ্টা করলেই আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিবেন। চেষ্টা না করলে আসলে কোনো কিছু সম্ভব না।
‘সবাইকে চেষ্টা করা উচিত। কষ্ট হবে, বিপদ আসবে। এর মাধ্যমে জয় করতে হবে। চেষ্টা না করলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়।’
হাবিবুরের প্রতিবেশী আজমল হোসেন বলেন, ‘সে সম্পর্কে আমার ভাতিজা হয়। শারীরিক গঠনে অন্য দশজনের মতো না হলেও কোন দিক দিয়ে সে পিছিয়ে নেই। হাবিবুর ছোট থেকেই অনেক মেধাবী।’
আরও পড়ুন:নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনস্থ অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া মানববন্ধনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য-দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, হামলা এবং মামলার মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক মতানুসারীদের দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদও জানান সাদা দলের নেতারা।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা দাবি করেন, আমেরিকা ভিসানীতির মাধ্যমে বৈশ্বিক পর্যায়ে অপমানের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে। তারা মনে করেন, এই নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে উগান্ডা-নাইজেরিয়ার সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে কারা দায়ী, সরকার কেন তাদের ধরছে না। কারণ তারা সরকারের চেয়ে আরও শক্তিশালী। তারাই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বার বার প্রমাণিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সেজন্য নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সারাদেশের মানুষ আন্দোলনে ফুঁসে উঠেছে। আমরা তাদের সাথে একাত্মতা জানাই।
যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেটা নজীরবিহীন। লোডশেডিংয়ের কারণে বাংলাদেশের জনজীবন এখন বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। এই মুহুর্তেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে বিদ্যুৎ নেই, অথচ সব বিভাগে ক্লাস চলছে। বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে লুটপাটের একটা নজির আমরা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের জীবন একেবারে যখন নাবিশ্বাস উঠেছে, তখন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এর প্রতিবাদও করতে পারবো না। আমাদের উপর নানাভাবে মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এবিএম শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা সবসময় চাই, এদেশ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। ভোটারবিহীন নির্বাচন যেন আর না হয়। বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, রাতের আঁধারে ভোটের মাধ্যমে আপনারা যেভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন সেই দিন শেষ হয়ে গিয়েছে, আর নয়।
মানববন্ধনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন খান, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সহযোগী অধ্যাপক এম এ কাউসার প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চারুকলা’ ইউনিটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১৩০টি আসনের বিপরীতে এই ইউনিটের এবারের ভর্তি পরীক্ষায় চার হাজার ৭২৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র ২১২ জন পাস করেছেন।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
‘চারুকলা’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী নিসার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অন্য বছর চারুকলা ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন পরীক্ষা আলাদা দিনে হলেও এবার দুই পরীক্ষায় এক সঙ্গে নেয়া হয়েছে। গত ২৯ এপ্রিল চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সৌম্যদিপ্ত মন্ডল। তার ভর্তি পরীক্ষার রুল নম্বর ৪১০৭০২৪। তিনি ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৮২ আর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের ফলসহ ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ১০২ নম্বর।
দ্বিতীয় হয়েছেন আদমজী ক্যান্টেনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাফাত হোসাইন রিশতা। তিনি ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৮১.৫ নম্বর। আর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের ফলসহ ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ১০১.৫ নম্বর।
তৃতীয় হয়েছেন আদমজী ক্যান্টেনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী হৃদিতা নৌশিন। তিনি ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৭৯.৭৫ নম্বর। আর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের ফলসহ ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৯৯.৭৫ নম্বর।
এই ইউনিটের ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (https://admissions.eis.du.ac.bd) থেকে ফলাফল জানতে পারছেন৷ এ ছাড়া ফোনের মেসেজ অপশনে রবি, বাংলালিংক বা টেলিটক নম্বর থেকে DU টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও ফলাফল জানা যাবে৷
‘চারুকলা’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীকে ১৮ জুন বেলা ৩টা থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে৷
কোটায় আবেদনকারীদের ৬ জুন থেকে ১২জুন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম চারুকলা অনুষদের ডিন কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে হবে৷ তা যথাযথভাবে পূরণ করে ওই সময়ের মধ্যে ডিন কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
কারো ফলাফল নিয়ে সন্দেহ থাকলে তা নিরীক্ষার জন্য ফি দেয়া সাপেক্ষে ৬ জুন থেকে ১২জুন পর্যন্ত চারুকলা অনুষদের ডিন কার্যালয়ে আবেদন করা যাবে৷
মন্তব্য