× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Swapad VC Farid Uddin has not withdrawn the case of Shabi students
google_news print-icon

স্বপদে শাবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন, প্রত্যাহার হয়নি শিক্ষার্থীদের মামলাও

স্বপদে-শাবি-ভিসি-ফরিদ-উদ্দিন-প্রত্যাহার-হয়নি-শিক্ষার্থীদের-মামলাও
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি
‘উচ্চপর্যায়ের’ সেই আশ্বাসের এক বছর পেরিয়েছে এরই মধ্যে। তবে এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি। স্বপদেই বহাল আছেন উপাচার্য । এ ছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা একটি মামলাও এখন পর্যন্ত প্রত্যাহার হয়নি। পুলিশের স্পিল্টারে আহত শিক্ষার্থী সজল কুন্ডুর চিকিৎসাব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।

উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত বছর আন্দোলনে নেমেছিলেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ২৮ শিক্ষার্থী অনশনও শুরু করেন। পরে ২৬ জানুয়ারি ‘সরকারের উচ্চপর্যায়ের আশ্বাসে’ তাদের অনশন ভাঙান এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এরপর আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

‘উচ্চপর্যায়ের’ সেই আশ্বাসের এক বছর পেরিয়েছে এরই মধ্যে। তবে এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি। স্বপদেই বহাল আছেন উপাচার্য । এ ছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা একটি মামলাও এখন পর্যন্ত প্রত্যাহার হয়নি। পুলিশের স্পিল্টারে আহত শিক্ষার্থী সজল কুন্ডুর চিকিৎসাব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।

২০২১ সালের জুনে দ্বিতীয় মেয়াদে শাবির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন। তার নির্ধারিত চার বছর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনে। এই সময়ের মধ্যে উপাচার্যের পদত্যাগে সরকারের ‘আশ্বাস’ বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কিত খোদ আন্দোলনকারীরাই।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ করার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। সেই আশ্বাসেই আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু এক বছরেও উপাচার্যের পদত্যাগসহ কয়েকটি দাবি পূরণ হয়নি। এগুলো আদৌ পূরণ হবে কি না এ নিয়ে আমরা নিজেরাই শঙ্কিত।’

তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে ক্যাম্পাসে একটি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। সরকারের তরফ থেকেও আমাদের সঙ্গে আর কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হচ্ছে না।’

স্বপদে শাবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন, প্রত্যাহার হয়নি শিক্ষার্থীদের মামলাও

আন্দোলনের শুরু ও শেষ যেভাবে

সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবিতে গত বছরের জানুয়ারিতে আন্দোলনে নামেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এই দাবিতে ১৬ জানুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ টিয়ারসেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে আনে। এ সময় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, পুলিশসহ অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী।

১৬ জানুয়ারি রাতেই সিন্ডিকেট সভা ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য। পরদিন দুপুরের মধ্যে হল ছাড়তেও শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে এই নির্দেশনা অমান্য করে ওই রাত থেকেই উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৯ জানুয়ারি বিকেল থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১ জন শিক্ষার্থীর বাবার অসুস্থতার কারণে অনশন ত্যাগ করেন এবং আরও পাঁচ শিক্ষার্থী অনশনে বসেন। এক পর্যায়ে উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎসংযোগও বন্ধ করে দেন তারা।

২৬ জানুয়ারি ভোররাতে ক্যাম্পাসে আসেন জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ড. ইয়াসমীন হক। তারা দুজনই শাবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়া হবে, তারা দুজন এমন আশ্বাস দিলে ১৬৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙেন ২৮ শিক্ষার্থী।

ওইদিন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তোমাদের দাবিগুলো দ্রুততম সময়েয় মধ্যে মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। তাদের আশ্বাস না পেলে আমি এখানে আসতাম না। এখন যদি তারা কথা না রাখেন তা কেবল আমার সঙ্গে না দেশের সকল প্রগতিশীল মানুষের সাথেই মিথ্যাচার হবে’।

যেসব দাবি ছিল শিক্ষার্থীদের

শাবি শিক্ষাথীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১১ ফেব্রুয়ারি সিলেটে এসে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচটি দাবি এবং আট দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন।

তাদের দাবিগুলো ছিল- উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগসহ ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ, ক্যাম্পাসের সব আবাসিক হল সচল রাখার বিষয়ে উদ্যোগ, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সাহায্য দেয়া পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন ও অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং অনশনরত শিক্ষার্থী ও উপাচার্যের নির্দেশে পুলিশের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ভার বহন।

সেদিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদেরকে সব দাবি মেনে নেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন এবং উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। এই আশ্বাসের পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডিতে পরিবর্তন আনা হয়, ক্যাম্পাসের সব আবাসিক হল সচল হয়, শিক্ষার্থীদের অর্থ সাহায্য দেয়া পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন পান এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

স্বপদে শাবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন, প্রত্যাহার হয়নি শিক্ষার্থীদের মামলাও

একবছরেও পূরণ হয়নি প্রধান দাবি

একবছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রধান দাবিসহ কয়েকটি দাবি পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ‘আমাদের প্রথম এবং প্রধান দাবি ছিল দ্রুততম সময়ে ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে উপাচার্য পদ থেকে অপসারণ করে একজন গবেষণামনা, শিক্ষাবিদ ও অবিতর্কিত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক। মন্ত্রী এই বিষয়ে বলেছিলেন, ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আচার্যের কাছে উপস্থাপন করা হবে। আচার্য এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু এতদিন পরেও ফরিদ উদ্দিন আহমদ শাবিপ্রবির উপাচার্য পদে বহাল আছেন।’

তিনি বলেন, ‘১৬ জানুয়ারির হামলার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সজল কুন্ডুকে অন্তত ৯ম গ্রেডের একটি চাকরি এবং নগদ ক্ষতিপূরণ দেয়ার স্পষ্ট আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সজল এখনো শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ বা চাকরি কোনোটাই পাননি।

‘উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তিনি যে ক্যাফেটেরিয়াটি চালাতেন সেটিও কেড়ে নেয়া হয়েছে। প্রথম কিছুদিন সরকারী তত্ত্বাবধানে সজলের নিয়মিত চেকআপের ব্যবস্থা করা দুই তিনমাস পর তাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।

অনশনকারী শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখপাত্র শাহারিয়ার আবেদীন বলেন, ‘জাফর স্যারের সঙ্গে আমাদের মাঝেমাঝে কথা হয়। স্যারও এ বিষয়ে হতাশ। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এখনো স্যারকে আমাদের দাবি পূরণে কাজ চলছে বলে জানানো হচ্ছে।’

দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি বৈঠক আয়োজনে অধ্যাপক জাফর ইকবাল চেষ্টা করছেন বলে জানান শাহারিয়ার।

কথা বলতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও তাদের দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ।

এ বিষয়ে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন বলেন, ‘তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। এগুলো আমার এখতিয়ারে নেই।

‘ওই ঘটনার পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সুন্দর ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট ছিলাম। তাতে সফলও হয়েছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক অনেক ভালো।’

আরও পড়ুন:
শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি কবীর, সম্পাদক মাহবুব
কমিটিহীন শাবি ছাত্রলীগ বিভক্ত সাত গ্রুপে
শাবিতে ভিসিবিরোধী আন্দোলন : ৫ ছাত্রকে মামলা থেকে অব্যাহতি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
100 discount on Canadian University of Bangladesh admission fee

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে ভর্তি ফিতে শতভাগ ছাড়

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে ভর্তি ফিতে শতভাগ ছাড় ভর্তি উৎসবে প্রতি দিন ভর্তি হওয়া পাঁচজন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতি দিন ভর্তি উৎসবে ভর্তি হওয়া পাঁচজন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। এ ছাড়া ভর্তি হওয়া প্রথম তিনজনও এ সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ।

ভর্তি ফির ওপর শতভাগ ছাড়ে ভর্তি উৎসব শুরু হয়েছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে।

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ ভর্তি উৎসব।

এ উৎসবে প্রতি দিন ভর্তি হওয়া পাঁচজন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। এ ছাড়া ভর্তি হওয়া প্রথম তিনজনও এ সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে।

স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ থাকছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, সিএসই, ইইই, বিবিএ, ইংলিশ, এলএলবি, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি চলছে এমবিএ, ইএমবিএ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ) এবং মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিভাগে।

ভর্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. গিয়াস ইউ আহসান।

অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক ক্লাসরুম, ডিজিটালাইজড লাইব্রেরি ও মডার্ন ল্যাবের সুব্যবস্থা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশকে ক্রমেই জনপ্রিয় করে তুলছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

বাংলাদেশে একমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স এবং মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিষয়ে শিক্ষার সুবিধা রয়েছে, যেটা আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। মিডিয়া গ্র্যাজুয়েটদের রয়েছে শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে থাকা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া উচ্চতর পড়াশোনার জন্য সুযোগ থাকছে কানাডা, ইউকে, মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ভর্তি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন- 01707070280, 01707070284 (হোয়াটসঅ্যাপ)।

অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

আরও পড়ুন:
প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষের পথে
ঢাবিতে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চয়তায় সাইফুল
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম যারা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল ঘোষণা
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার

মন্তব্য

শিক্ষা
Chuet is closed indefinitely and students are instructed to vacate the hall
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের চুয়েট বন্ধ ও হলত্যাগের নির্দেশ দেয়ার পর বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ছবি: নিউজবাংলা
কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এদিন দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে হল না ছাড়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে চতুর্থ দিনের মতো বৃহস্পতিবারও ক্যাম্পাসে নিহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন।

এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এদিন দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভায় চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।

চুয়েটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপাচার্যের সভাপতিত্বে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

এদিকে হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় দুপুরের দিকে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিকেল পৌনে ৫টায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব দাবির বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসবের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা একমত হননি। তাই আন্দোলন চলবে। তারা হল ত্যাগ করবেন না।

রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বার বার আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আশানুরূপভাবে সাড়া দেয়নি। তাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হল না ছাড়লে কী হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসচাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন। দুর্ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু নামে আরেক শিক্ষার্থী। এ ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে অবস্থান নেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা।

ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত ১০টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।

পরবর্তীতে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর বুধবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় চলা আন্দোলনের রেশ বৃহস্পতিবারও ছিলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন:
বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

মন্তব্য

শিক্ষা
Indefinitely closed exams in Jabi classes are online
তাপপ্রবাহ

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ, ক্লাস অনলাইনে

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ, ক্লাস অনলাইনে ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র তাপদাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরার জন্য সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।

দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় অনলাইনে ক্লাস চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার তীব্র দাবদাহে করণীয় নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে সকল ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘অনলাইনে ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র তাপদাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরার জন্য সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল দুপুরে বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে উপাচার্যের ডাকা জরুরি সভায় প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ২২ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে তাপমাত্রা না কমায় তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে সারা দেশের সব স্কুল-কলেজে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও সশরীরে ক্লাস স্থগিত করে অনলাইনে ক্লাস চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অধিভুক্ত সব কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মন্তব্য

শিক্ষা
Kabir Vice Chancellor Treasurer and Proctor Office Tala Jhulal Teachers Association

কুবির উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টর কার্যালয়ে শিক্ষক সমিতির তালা

কুবির উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টর কার্যালয়ে শিক্ষক সমিতির তালা তিন কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষক সমিতি। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘আমরা আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। সে সময় শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই কার্যালয়গুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

প্রশাসনিক ভবনে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের দপ্তরে তালা লাগানো আছে।

দপ্তর থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার সকাল থেকে দপ্তরে আসেননি।

এই বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘আমরা আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। সে সময় শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।’

শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি হলো- গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্যের উপস্থিতিতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও কিছু অছাত্র কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলায় নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সাময়িক বহিষ্কারপূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার ও জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় মদদ দানকারী প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, অধ্যাপক গ্রেড-১ ও অধ্যাপক গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদসমূহে ডিন নিয়োগ এবং ইতোমধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসকল বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের প্রত্যাহার করা, শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে আইন বহির্ভূত অবৈধ শর্ত আরোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ণ করার মাধ্যমে যে সীমাহীন বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে দ্রুততম সময়ে সেসবের নিষ্পত্তিকরণ, ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা রহিত করে পূর্বের নীতিমালা বহাল রাখা এবং ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর উপাচার্যের কক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং ছাত্রলীগের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা নিয়ে কর্মসূচি দেয় শিক্ষক সমিতি।

মন্তব্য

শিক্ষা
The security guard is accused of harassing the family in front of the teacher in EB

ইবিতে শিক্ষকের সামনেই পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে

ইবিতে শিক্ষকের সামনেই পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে ফাইল ছবি
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, প্রক্টর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের প্রতিও অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের পারিবারকে হয়রানি ও অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন, তার স্বামী ও সন্তানকে হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম আব্দুস সালাম ওরফে সেলিম।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, প্রক্টর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের প্রতিও অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়।

অভিযোগে বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ছেলে সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তার স্বামী। এ সময় মেইন গেট অতিক্রমকালে উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তাদেরকে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে চরমভাবে অপমান করেন। স্বামীর সামনে তাকেও অপমানজনক কথাবার্তা বলেন সালাম।

সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সম্মানার্থে আমি এতদিন ধৈর্য ধরে ছিলাম। ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এর একটা বিচার করবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় তারা বিষয়টি নিয়ে কোন সম্মানজনক সমাধানের ব্যবস্থা করে নাই। এটা শিক্ষক সমাজের জন্য অপমান ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা।

তিনি বলেন, ওইদিন আমার স্বামী সন্তানকে নিয়ে তার মায়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় মেইন গেটে নিরাপত্তা কর্মকর্তা তাকে থামিয়ে অকারণে আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কথাবার্তা বলেন। এ নিয়ে প্রক্টরের কাছে মৌখিকভাবে জানালেও কোনো সম্মানজনক সমাধান পাইনি।

অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা সালাম বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের সাথে কথা বললে আসল সত্য সামনে আসবে। ইদের পর বহিরাগতদের চাপে মেইনগেটে অনেক ভিড় থাকে। ম্যামের স্বামী বাইক নিয়ে ঢোকা বা বের হওয়ার সময় বাইকের হর্ন বাজিয়ে মেইনর গেটে উপস্থিত দারোয়ানদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে মেইনগেট খুলে দিতে বলেন। ছোট গেট দিয়েও তিনি বাইক নিয়ে যেতে পারতেন। তার স্বামীর সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি। বিষয়টা সঠিক তদন্ত করা হোক।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলা হচ্ছে। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব করে যাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়েছি। শিক্ষকের বিষয় যেহেতু সেনসিটিভ। অভিযোগটি শিগগিরই উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তিনিই যা ব্যবস্থা নেয়ার নেবেন।

আরও পড়ুন:
অধ্যাপক ছাড়াই চলছে ইবির ৩৬ বিভাগের ১৪টি
ইবি উপাচার্যকে ব্যতিক্রমী ঘুষের প্রস্তাব
সরকারি চাকুরেদের সম্পদের তথ্য জমা বাতিল হলে দুর্নীতি বাড়বে

মন্তব্য

শিক্ষা
Resignation of the house tutor in Kubi

কুবিতে এবার হাউস টিউটরের পদত্যাগ

কুবিতে এবার হাউস টিউটরের পদত্যাগ মু. আলী মুর্শেদ কাজেম
এ ছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে প্রায় ১৩ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। এবার নতুন করে পদত্যাগ করছেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরাও।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের হাউস টিউটরের পদ ছাড়লে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. আলী মুর্শেদ কাজেম।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান।

পদত্যাগপত্রে মুর্শেদ কাজেম উল্লেখ করেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা, পদোন্নতিতে অযাচিত শর্তারোপ ও জৈষ্ঠতা লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সম্মানিত সাধারণ শিক্ষকদের উত্থাপিত সব ন্যায্য দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে বর্তমানে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।

এ ছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে প্রায় ১৩ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। এবার নতুন করে পদত্যাগ করছেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরাও।

মন্তব্য

শিক্ষা
Summer vacation in Rabi is delayed in coordination with Eid ul Azha

রাবিতে গ্রীষ্মের ছুটি পিছিয়ে ঈদুল আজহার সঙ্গে সমন্বয়

রাবিতে গ্রীষ্মের ছুটি পিছিয়ে ঈদুল আজহার সঙ্গে সমন্বয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুনর্বিন্যস্ত ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ ৯ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত এবং অফিসসমূহ ৯ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ৩০ জুন থেকে ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মের ছুটি পিছিয়ে ঈদুল আজহার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে বুধবার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রণব কুমার পান্ডে।

জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মাবকাশ ৫ থেকে ৯ মে এবং ১৬ থেকে ২৪ জুন ঈদ-উল-আযহার ছুটি পূর্বনির্ধারিত ছিল, কিন্তু চলমান তাপদাহের কারণে পানি সংকটের আশঙ্কা এবং শিক্ষার্থীদের এতদসংক্রান্ত নানাবিধ অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ছুটিসমূহ পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুনর্বিন্যস্ত ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ ৯ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত এবং অফিসসমূহ ৯ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ৩০ জুন থেকে ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়াও গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত ২ মে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে বিভাগসমূহ প্রয়োজনবোধে ৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আরও পড়ুন:
পিএসসির সদস্য হলেন রাবি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে রাবি শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সুপারিশ
রাবিতে সংঘর্ষ: তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য এক বছরেও অজানা
রাবির হলে গরুর মাংস সমাচার
দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে তারাবি পড়ার আহ্বান

মন্তব্য

p
উপরে