× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
One mistake after another in the textbook
google_news print-icon

পাঠ্য বইয়ে একের পর এক ভুল

পাঠ্য-বইয়ে-একের-পর-এক-ভুল
নতুন শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে বেশ কিছু তথ্যগত ভুল করেছে এনসিটিবি। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
এনসিটিবির চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যাদের দিয়ে লিখিয়েছি, আপনি তাদের প্রোফাইল দেখেন। যাদের দিয়ে যৌক্তিক মূল্যায়ন করেছি, তাদের প্রোফাইল দেখেন। যাদের দিয়ে পরিমার্জনা করালাম, তাদের প্রোফাইল দেখেন। সব হাই ক্লাস লোক। এখানে ভুল হলে আমাদের কী করার?’

২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নবম-দশম শ্রেণির মানবিক শাখার জন্য নির্বাচিত ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’ বইয়ের ১৮১ পৃষ্ঠায় ‘অবরুদ্ধ বাংলাদেশ ও গণহত্যা’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘২৬শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশজুড়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী নির্যাতন, গণহত্যা আর ধ্বংসলীলায় মেতে ওঠে।’ বইতে ২৫ মার্চের কালরাতের কথা উল্লেখ করা হয়নি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ঢাকা শহরে এক বর্বর গণহত্যা চালায়।

নতুন শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে এ রকম বেশ কিছু তথ্যগত ভুল করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বেশির ভাগ ভুল ইতিহাসকেন্দ্রিক। কিছু বানান ও যতিচিহ্ন সংক্রান্ত ভুলও আছে। তবে এনসিটিবি বলছে, এগুলো বিশেষজ্ঞরা লিখেছেন। তারাই পরিমার্জন করেছেন। এখানে এনসিটিবির দায় নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনসিটিবি তাদের দায় এড়াতে পারে না।

নবম শ্রেণির এই বই রচনা করেছেন বলে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক ড. সুলতানা নিগার চৌধুরী ও অধ্যাপক প্রদ্যুত কুমার ভৌমিক। এ ছাড়া সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ইতিহাসবিদ এবং বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ও অধ্যাপক তাসলিমা বেগম।

গণহত্যার তারিখ ২৫ না ২৬ মার্চ জানতে চাওয়া হলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যখন এই ভুলের কথা বলা হয়, তখন যিনি সম্পাদনা করেছেন তিনি জানাচ্ছেন যে, তিনি (প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান) পাকিস্তানে পৌঁছানোর পরে টিক্কা খান অপারেশন সার্চলাইটের আদেশ দেন। ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি (ইয়াহিয়া) ঢাকা থেকে বিমানে ওঠেন। এর মানে এই অপারেশন ১২টার পরে শুরু হলে তা ২৬ তারিখ হয়।’

তবে ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘২৫ মার্চ যেভাবে জেনে আসছি, সেটিই। তাই আমরা এখন কোনো কিছুই করতে পারছি না। আমরা ১২টা ১ মিনিটে ২১ ফেব্রুয়ারির ফুলের মালা দিই। তাই এইগুলো যদি ধরা হয়, তাহলে দ্বিধায় পড়ে যাব। তার পরও আমরা বিশেষজ্ঞকে বলেছি।’

এর আগে ২০২১ সালে সেপ্টেম্বরে পাঠ্যবইয়ে ভুলের কারণে সে সময় (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান এবং সদস্যকে (কারিকুলাম) তলব করে হাইকোর্ট। তখন ভুলগুলো ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নিয়ে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. আলমগীর আলম পাঠ্যপুস্তকের ভুলের বিষয়ে রিট আবেদন করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনসিটিবি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে তলব করা হয়।

পাঠ্যপুস্তক সম্পাদনার সঙ্গে কয়েক বছর ধরে জড়িত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২৬ মার্চ থেকে গণহত্যা হয়েছে এটা ভুল। ওটা আসলে ২৫ মার্চ রাত ১১টার দিকে শুরু হয়েছে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের আগে তিনি অয়্যারলেসের মাধ্যমে চট্টগ্রামে স্বাধীনতার বার্তা পাঠান।’

ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘উনি (বঙ্গবন্ধু) সাড়ে ১২টার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন আর আক্রমণ শুরু হয়েছে রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে। তখন তো ২৫ মার্চ।’

রাজারবাগ পুলিশক্যাম্প’, ইপিআরক্যাম্প

নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্য বই বিজ্ঞান শাখার জন্য নির্বাচিত ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’-এর ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ২৫ মার্চের গণহত্যার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে ‘পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ ক্যাম্প, পিলখানা ইপিআর ক্যাম্প ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আক্রমণ চালায় ও নৃশংসভাবে গণহত্যা ঘটায়।’ এই একই তথ্য ছিল গত বছরের বইয়ে, যা ভুল হিসেবে তখনই গণ্য হয়েছিল। এখানে তথ্যগত ভুল হলো, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসকে পুলিশ ‘ক্যাম্প’ এবং পিলখানায় ইপিআর সদর দপ্তরকে ‘ক্যাম্প’ লেখা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুকে শপথ পড়িয়েছেন কে?

একই শ্রেণির মানবিক শাখার জন্য নির্বাচিত ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’ বইয়ের ২০০ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, ‘১২ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের নিকট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।’ এটিও সঠিক তথ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শপথ পড়িয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। আর এই শপথ পড়ানোর খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয় সে সময়ের বিভিন্ন দৈনিকে। সে সময়ের জাতীয় দৈনিক পূর্বদেশ-এর প্রধান শিরোনাম ছিল : ‘বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে উত্তরণ: বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী’। সেখানে শপথ অনুষ্ঠানের যে ছবি ছাপা হয়, তাতেও বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে শপথবাক্য পাঠ করাতে দেখা যায়।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনি যদি এক লাইনের কথা বলেন তাহলে ভুল। আর আগে-পিছে মিলিয়ে ন্যারেটিভ আমরা দেখেছি। এর মধ্যে একটা ভুলকেই ভুল হিসেবে দেখা হচ্ছে আর সেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শপথ পড়ানোর নাম নিয়ে।’

চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা হারুন স্যারের (অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ) মতামত নিয়েছি। হারুন স্যার বইটির সম্পাদক ছিলেন। স্যার ফোন ধরেই বলেন, কারে দিয়ে বই লেখান? তখন বললাম স্যার আপনিই তো ছিলেন সম্পাদক। আমি তো চেয়ারম্যান আর আমি তো বই লিখি না।’

এই ভুল নিয়ে আরও ব্যাখ্যা দিয়ে ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যাদের দিয়ে লিখিয়েছি, আপনি তাদের প্রোফাইল দেখেন। যাদের দিয়ে যৌক্তিক মূল্যায়ন করেছি, তাদের প্রোফাইল দেখেন। যাদের দিয়ে পরিমার্জনা করালাম, তাদের প্রোফাইল দেখেন। সব হাই ক্লাস লোক। এখানে ভুল হলে আমাদের কী করার?’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিটিবির এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভুল বের হওয়ার পর সম্পাদক যিনি ছিলেন, তাকে টেক্সট পাঠানো হলে তিনি কিছু জিনিস জানিয়েছেন। এনসিটিবি সেগুলো পর্যালোচনা করছে। এরপর আরও কিছু বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হবে। যদি তারা বলেন ভুল হয়েছে, তাহলে তা পরিবর্তনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শপথ পড়ানো নিয়ে যেটি ছাপা হয়েছে, সেটি ভুল। এটা তথ্যগত ভুল।’

তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১২ জানুয়ারি অপরাহ্নে মানে দুপুর ১২টার পরে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছ থেকে শপথ গ্রহণ করেছেন। তার আগে বঙ্গবন্ধু যেহেতু মুজিবনগর সরকারের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তাই ১১ তারিখ তিনি একটি প্রেসিডেনশিয়াল অর্ডার দিয়েছিলেন। সেই অর্ডারে বলেছেন, আমাদের সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হবে এবং সংসদ না বসা পর্যন্ত মন্ত্রণালয় একজন রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করবেন ও একজন বিচারপতি নিয়োগ করবেন। ওই বিচারপতির কাছ থেকে শপথ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। আবু সাঈদ তখন প্রেসিডেনশিয়াল অর্ডারে বঙ্গবন্ধুকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন। তখন বঙ্গবন্ধু শপথ নিয়েছেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছ থেকে। ১১ তারিখ এসব ঘোষণা বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন। ১২ তারিখ তা কার্যকর হয়েছে। আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে নিয়োগ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।’

আরও যেসব ভুল

নবম-দশম শ্রেণির ‘পৌরনীতি ও নাগরিকতা’ বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে (পৃষ্ঠা-১) ‘অংশগ্রহণের’ বদলে ‘অংশগ্রহনের’ ছাপা হয়েছে। ‘ছিল না’র বদলে ছাপা হয়েছে ‘ছিলনা’। এই বইয়েও কোলনের ব্যবহার বেশির ভাগই ভুল। বেশির ভাগ পাঠ্য বইয়ে হাইফেন, ড্যাশ ও কোলনের ব্যবহার যথাযথ হয়নি।

নবম ও দশম শ্রেণির ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’ বিষয়ের ১১ পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে, ১৬৭ আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে ‘একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা’ অর্জন করে। কিন্তু অর্ধেকের বেশি আসন হলে তাকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বলা হয়।

একই শ্রেণির ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’ তৃতীয় অধ্যায়ের (পৃষ্ঠা-২৫) শুরুর দিকেই একাধিক জায়গায় ‘সময়কাল’ শব্দ উল্লেখ আছে। সময় ও কাল দুটি শব্দ, তবে একই অর্থ। তাই যেকোনো একটি ব্যবহৃত হবে। একই পৃষ্ঠায় এক জায়গায় আছে ‘নদ-নদীগুলো’। ‘নদনদী’ শব্দটিই বহুবচন। আরেক জায়গায় ‘কোনো দেশের’ বদলে ‘কোন দেশের’ ছাপা হয়েছে। এ ছাড়া যতিচিহ্ন কোলনের ব্যবহার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঠিক হয়নি। কোনো কোনো বইয়ে ‘পরিপ্রেক্ষিত’ শব্দের বদলে একই অর্থে ‘প্রেক্ষিত’ ছাপা হয়েছে।

একই বইয়ের ২০৩ পৃষ্ঠায় ‘সংবিধানের বৈশিষ্ট্য’ অনুচ্ছেদে এক জায়গায় আছে ‘পঞ্চমভাগে জাতীয় সংসদ’। এটি হবে ‘পঞ্চমভাগে আইনসভা’।

কী করবে এনসিটিবি

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যেসব ভুল পাব, তা রেকটিফিকেশন লেটার (সংশোধনী চিঠি) দিয়ে প্রতিটি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠাব। ওনাদের বলব, সেগুলো প্রিন্ট করে প্রতিটি স্কুলে দিয়ে দিতে, যাতে শিক্ষকরা পড়ানোর সময় ঠিক করে পড়ান।’

প্রতিবার ভুল থাকার বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি আমাদের এনসিটিবির কেউ দায়ী থাকেন, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। মন্ত্রণালয়ের কাছে তার শাস্তির সুপারিশ করা হয়। তবে বাইরের কিছু হলে এই দায়িত্ব তো আমার মধ্যে পড়ে না। আমরা সেটি জানাতে পারি। পরে সংশোধন করতে পারি।’

অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যাদের জড়িত রেখে দেখানোর (সম্পাদনা) দরকার, যাদের নিষ্ঠা আছে, ভালোবাসা আছে, দরদ আছে, সেগুলো না করে কতগুলো ভাড়াটে লোক দিয়ে দেখায়, যারা পয়সা পায়। এখান-ওখান থেকে নিয়ে লেখে। কেউ সিরিয়াসলি নেয় না।’

এনসিটিবি দায় দিচ্ছে সম্পাদনা ও পরিমার্জনার সঙ্গে জড়িতদের। সেই বিষয়ে অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমাকে ফোন করেছিল, আমি তো সব দিয়ে দিয়েছি, বই সহকারে রেফারেন্স দিয়ে। এই দায় তো এনসিটিবির। এটা অমার্জনীয় ভুল আর এটার দায়দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে এনসিটিবিকেই।’

আরও পড়ুন:
ধর্ম শিক্ষা নিয়ে অপপ্রচারে বিএনপি-জামায়াত: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনের ভুল তথ্য প্রত্যাহার করলেন এমপি ফখরুল
পাঠ্যবইয়ে অমুসলিমদের হেয় করার অভিযোগ কতটা সত্য?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Moushis new DG Professor Ehtesam

মাউশির নতুন ডিজি অধ্যাপক এহতেসাম

মাউশির নতুন ডিজি অধ্যাপক এহতেসাম শিক্ষা ভবন। ফাইল ছবি
ড. ইহতেসাম উল হক এ বি এম রেজাউল করীমের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুব আলমের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার এ তথ্য জানানো হয়।

ড. ইহতেসাম উল হক এ বি এম রেজাউল করীমের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

আগের ডিজি অবসরে যাওয়ার এক মাসের বেশি সময় পর এ পদে নিয়োগ দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ৪ জানুয়ারি চাকরি শেষ করে অবসরে যান মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক রেজাউল করীম।

এর আগে গত বছরের ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর ২১ আগস্ট মাউশির মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভাগনে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

আরও পড়ুন:
এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি-জিরো তত্ত্ব’
গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে হাসিনা-ঘনিষ্ঠরা: গভর্নর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর
ডিজিএফআইয়ের নতুন প্রধান মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হলেন ড. মোহাম্মদ আজম

মন্তব্য

শিক্ষা
Name change of 13 universities named after Sheikh family

শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ছবি: ইউএনবি
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

তার পোস্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নেত্রকোণার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে শুধু শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছে সরকার।

এ ছাড়া নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়, মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি করা হয়েছে।

পাশাপাশি জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এখন থেকে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নারায়াণগঞ্জে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এখন থেকে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বলে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।

এ ছাড়াও গোপালগঞ্জের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

আরও পড়ুন:
বোরো জমিতে যুবকের নাক-কান কাটা মরদেহ
রাজধানীর সরকারি দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের লিফট যেন মৃত্যুফাঁদ 
ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
বদলে গেল কুবির দুই হলের নাম

মন্তব্য

শিক্ষা
Four new chairmen in education boards

চার শিক্ষা বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান

চার শিক্ষা বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান শিক্ষা ভবন। ফাইল ছবি
প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বোর্ডে অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম, যশোর বোর্ডে অধ্যাপক খোন্দকার কামাল হাসান, সিলেট বোর্ডে অধ্যাপক শামছুল ইসলাম এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও যশোর শিক্ষা বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বোর্ডে অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম, যশোর বোর্ডে অধ্যাপক খোন্দকার কামাল হাসান, সিলেট বোর্ডে অধ্যাপক শামছুল ইসলাম এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

এর আগে গত ১ জানুয়ারি এ চার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তারা হলেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. নিজামুল করিম, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু তাহের ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. অলিউর রহমান।

দেশের ১১ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সাধারণ ৯টি। এগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, সিলেট, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড।

বাকি দুটি বোর্ডের একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং অন্যটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। ১১ বোর্ডে কর্মীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার।

আরও পড়ুন:
প্যারোলে মেলেনি মুক্তি, বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারেননি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান
ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে পুলিশে দিলেন ছাত্ররা
গণমাধ্যমকে নিজের সম্পদের বিবরণ দিলেন দুদক চেয়ারম্যান
ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি সচিবের অভিযোগে চেয়ারম্যান বরখাস্ত
দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন

মন্তব্য

শিক্ষা
I cant say when all the textbooks will be provided Education Advisor

সব পাঠ্যবই কবে দেয়া যাবে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব না: শিক্ষা উপদেষ্টা

সব পাঠ্যবই কবে দেয়া যাবে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব না: শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
পাঠ্যবই ছাপা ও বিতরণে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত করে ড. ওয়াহিউদ্দীন মাহমুদ বলেন, ‘কাজটা যুদ্ধের মতো হয়েছে। ঠিক কবে নাগাদ সব বই ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া যাবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব না।’

পাঠ্যবই ছাপা ও বিতরণে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত করে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ বলেছেন, ‘কাজটা যুদ্ধের মতো হয়েছে। ঠিক কবে নাগাদ সব বই ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া যাবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব না।’

বুধবার ‘পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন ও মোড়ক উন্মোচন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলছেন ১৫ জানুয়ারি আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলছেন ৩০ জানুয়ারির মধ্যে সব বই দেয়া যাবে। আমি কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো কমিটমেন্ট দেবো না। পাঠ্যবই কবে ছাপা শেষ হবে, তা নিয়ে আমি কিছু বলবো না।’

ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ বলেন, ‘প্রথম সমস্যাটা হলো- আমরা বিদেশে বই ছাপাব না। তারপর শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে অনিবার্য কারণে। তাতে বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। যখন কাজ শুরু করা হয়েছিল, সেটা অনেক দেরিতে হয়েছে। অনেক বই পরিমার্জন করতে হয়েছে।

‘রাজনীতিতে নিরপেক্ষ বলে কিছু থাকে না। দলীয় রাজনীতিনিরপেক্ষ সবকিছু যেন বইয়ে থাকে, সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শিশুদের কাছে বই যাবে। সেটা ভালো কাগজে ছাপা না হলে তো হয় না। সেজন্য উন্নত মানের ছাপা, উন্নত মানের কাগজ ও মলাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

‘তাছাড়া এনসিটিবিতে আগে যারা কাজ করেছেন তাদের অনেককে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। যাদের বসানো হয়েছে, তারা অভিজ্ঞ। কিন্তু মুদ্রণ শিল্প সমিতির যে নেতা, তাদের সঙ্গে কীভাবে বোঝাপড়াটা করতে হয়, এটা তাদের অভিজ্ঞতায় নেই। বই একটু দেরিতে পেলেও শিক্ষার্থীরা ভালো বই পাবে। বছরের মাঝামাঝি সময়ে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে যাবে না।’

পাঠ্যবই নিয়ে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘গল্পের একেবারে শেষে গিয়ে ছাড়া যেমন ষড়যন্ত্রকারী কে তা বোঝা যায় না, এখানেও তেমন। সেটা সরকারের কেউ হোক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হোক, এনসিটিবির হোক, মজুতদার হোক, সিন্ডিকেট হোক। মানে, যে কেউ হতে পারে।

‘তবে এখনই আমি কাউকে দোষারোপ করছি না। এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে আমরা একচেটিয়া ব্যবসা কমিয়ে আনবো। এটা আমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় হয়ে থাকবে।’

নতুন যে শিক্ষাক্রম আওয়ামী লীগ সরকার করেছিল, তা বাস্তবায়নযোগ্য নয় জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেকে সমালোচনা করছেন- কেন পেছনের শিক্ষাক্রমে ফিরে গেলাম আমরা। আমি মনে করি, যে শিক্ষাক্রম করা হয়েছিল নতুন করে, সেটাতে থাকলে শিক্ষার্থীদের আরও পশ্চাৎপদে নিয়ে যাওয়া হতো।’

তিনি বলেন, ‘দুই বছর এ শিক্ষাক্রম চালিয়ে গেলে সেখান থেকে ফেরার উপায় ছিল না। সেটা সহজও হতো না। সেজন্য আমরা সাময়িকভাবে পেছনের শিক্ষাক্রমে গেছি। এটা আবার এগিয়ে নেয়ার কাজ করা হবে।

‘এবার কিছু পরিমার্জন হয়েছে। আগামীতে আরও পরিমার্জন করা হবে, যাতে শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিকতার কোনো ঘাটতি না থাকে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম।

আরও পড়ুন:
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক নিরুদ্দেশ: শিক্ষা উপদেষ্টা
মাতৃভাষায় বই পেল গারো শিশুরা
‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে লিগ্যাল নোটিশ
পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে
পাঠ্যবইয়ের ভুলভ্রান্তি দেখভালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কমিটি

মন্তব্য

শিক্ষা
Strict action will be taken if all coaching centers do not comply with the 22 day closure order

সব কোচিং সেন্টার ২২ দিন বন্ধের নির্দেশ, না মানলে কঠোর ব্যবস্থা

সব কোচিং সেন্টার ২২ দিন বন্ধের নির্দেশ, না মানলে কঠোর ব্যবস্থা ফাইল ছবি।
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য আজ বুধবার থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত সব মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং সেন্টারের অফলাইন ও অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য আজ বুধবার থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং সেন্টারের অফলাইন ও অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিজিএমই) মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য দেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারণী মহল সজাগ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এবং সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, সতর্কতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার নির্দেশনার আলোকে ১ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সব পর্যায়ে ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত মেডিক্যাল কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি সব মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আর ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি।

মন্তব্য

শিক্ষা
The names of two government primary schools in the capital have been changed

রাজধানীর সরকারি দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

রাজধানীর সরকারি দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন মিরপুরের আর সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শেখ কামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। কোলাজ: নিউজবাংলা
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হলো। রাজধানীর মিরপুরের আর সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নাম ‘লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরপুর ঢাকা’ এবং একই এলাকা মিরপুরের শেখ কামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নাম ‘আনন্দ নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরপুর, ঢাকা’।”

রাজধানীর সরকারি দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মিরপুরের আর সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম হবে ‘লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরপুর ঢাকা’। আর শেখ কামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম হবে ‘আনন্দ নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরপুর, ঢাকা’।

গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রজ্ঞাপনটি মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হলো। রাজধানীর মিরপুরের আর সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নাম ‘লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরপুর ঢাকা’ এবং একই এলাকা মিরপুরের শেখ কামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নাম ‘আনন্দ নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরপুর, ঢাকা’।”

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৩–এর তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ জন। অন্যদিকে শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন।

আরও পড়ুন:
স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারি ১৭ ডিসেম্বর
ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ: সেই কিশোরের জামিন
স্কুলছাত্রকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ 
টেকনাফে স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ

মন্তব্য

শিক্ষা
Zabisas President Mehdi Mamun Secretary Abdullah Al Mamun

জাবিসাসের সভাপতি মেহেদী মামুন, সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন

জাবিসাসের সভাপতি মেহেদী মামুন, সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন
কার্যকরী পরিষদের অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি বায়েজীদ হাসান রাকিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ রাজীব রায়হান এবং দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহ্ আলম।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জাবিসাস) ২০২৫ সেশনের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে বণিক বার্তার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মেহেদী মামুন ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন মনোনীত হয়েছেন।

সোমবার দুপুর ২টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। পরে বেলা ১টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলে।

কার্যকরী পরিষদের অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে বায়েজীদ হাসান রাকিব (দৈনিক ইনকিলাব), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে জোবায়ের আহমেদ (ডিবিসি নিউজ), কোষাধ্যক্ষ পদে রাজীব রায়হান (প্রতিদিনের বাংলাদেশ) এবং দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে শাহ্ আলম (ডেইলি অবজারভার)।

এছাড়া কার্যকরী সদস্য হয়েছেন- সৈকত ইসলাম (জাগো নিউজ), আশরাফুল মিয়া (দ্য নিউজ) ও রাসেল মাহমুদ (ব্রেকিংনিউজনেট.কম)।

নির্বাচনে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল রকিব এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইউসুফ হারুন।

মন্তব্য

p
উপরে