× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Book Festival In Secondary Kapasia and Primary DU
google_news print-icon

বই উৎসব: মাধ্যমিক কাপাসিয়ায় আর প্রাথমিক ঢাবিতে

বই-উৎসব-মাধ্যমিক-কাপাসিয়ায়-আর-প্রাথমিক-ঢাবিতে
এনসিটিবি চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিকের বই উৎসব করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর মাধ্যমিকের বই উৎসব গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’

মাধ্যমিক ও প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০২৩ এর জন্য পৃথক ভেন্যু নির্বাচন নির্ধারণ করা হয়েছে। মাধ্যমিকের বই উৎসব হবে ঢাকার অদূরে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। আর প্রাথমিকের বই উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। উৎসব শুরু হবে সকাল ১০টায়।

বৃহস্পতিবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিকের জন্য বই উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অপরদিকে মাধ্যমিকের বই উৎসব গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’

ফরহাদুল ইসলাম জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের মাঠে বই উৎসবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী, সচিব ও ডিজি উপস্থিত থাকবেন। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকবেন কাপাসিয়ার আয়োজনে।

ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা সারাদেশে চাহিদার ৮০ ভাগ বই সরবরাহ করেছি। আশা করছি ১ জানুয়ারি সফলভাবেই বই উৎসব করতে পারব আমরা।’

এর আগে মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে ১ জানুয়ারি ‘পাঠপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩’ উদযাপন করা হবে।

২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রায় ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৩ কপি পাঠ্যবই ছাপানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে প্রাথমিক স্তরের ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৯৭৮ কপি এবং মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৫ কপি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে।

এবার কাগজ সংকট, নিম্নমানের কাগজে বই ছাপানো ও নির্ধারিত সময়ে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই না পৌঁছানোসহ নানা অভিযোগ থাকলেও এনসিটিবি জানিয়েছে যে ১ জানুয়ারির উৎসবেই তারা শিক্ষার্থীদের হাতে ৮০ ভাগ বই পৌঁছে দেবে।

দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ২০১০ সাল থেকে বিনামূল্যে নতুন বই দিয়ে আসছে সরকার। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:
বই উৎসব নিশ্চিত করল সরকার
জুনের আগে সব পাঠ্যবই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
সারা দেশে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই
উৎসব না হলেও বই পৌঁছে যাবে যথাসময়ে
১০ দিনব্যাপী ভাসানী বই উৎসব শুরু শুক্রবার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
UNO warned that the classes were going on during the closure

বন্ধের মধ্যেই চলছিল ক্লাস, সতর্ক করলেন ইউএনও

বন্ধের মধ্যেই চলছিল ক্লাস, সতর্ক করলেন ইউএনও টিনশেডের ঘরে ক্লাস করতে করতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে একটি শিশু। কোলাজ: নিউজবাংলা
ইউএনও উপস্থিত হওয়ার পরপরই গরমে রায়হান নামের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। অথচ সেখানে কোনো পানির ব্যবস্থা ছিল না। এমতাবস্থায় ইউএনও তার গাড়িতে রাখা খাবার পানি এনে শিশুটির মাথায় ও চোখমুখে দেয়ার ব্যবস্থা করান।

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়। সে নির্দেশ অমান্য করায় টাঙ্গাইলের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছেন গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার সূতি পলাশ মহল্লার দারুল কোরআন ও কওমী মাদ্রাসায় যান ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা। সেখান গিয়ে তিনি দেখতে পান সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে টিনের ঘরে দমবদ্ধ পরিবেশে ছোট ছোট শিশুরা ক্লাস করছে।

তিনি উপস্থিত হওয়ার পরপরই গরমে রায়হান নামের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। অথচ সেখানে কোনো পানির ব্যবস্থা ছিল না। এমতাবস্থায় ইউএনও তার গাড়িতে রাখা খাবার পানি এনে শিশুটির মাথায় ও চোখমুখে দেয়ার ব্যবস্থা করান।

খবর পেয়ে শিশুটির বাবা বাছেদ মিয়া সেখান হাজির হন এবং চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যান।

পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বাছেদ মিয়া বলেন, প্রচণ্ড গরমে যেখান কোথাও একদণ্ড তিষ্ঠানো (থাকা) যায় না, সেখান প্রতিষ্ঠান প্রধান সরকারি নির্দেশে ছুটি না দিয়ে জলন্ত দুপুরজুড়ে ক্লাস নেন। অভিভাবকরা সন্তানদের ক্লাসে পাঠাতে বাধ্য হন।’

তিনি বলেন, ‘দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। তখন টিনের ঘর নারকীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানে আইপিএস বসানোর জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফিসও আদায় করা হয়েছে, কিন্তু আইপিএস বসানো হয়নি।’

সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে ক্লাস চালু রাখায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শেখ সাদী ইউএনওর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সরকারি নিয়ম মানার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে মুচলেকা দেন।

বন্ধের মধ্যেই চলছিল ক্লাস, সতর্ক করলেন ইউএনও

এরপর তপ্ত দুপুরজুড়ে ক্লাস নেয়ার অভিযোগ পেয়ে পৌর শহরের কোনাবাড়ী বাজারে লাইটহাউজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড আলহেরা নূরানী মাদ্রাসায় হাজির হন ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা। সেখানে গিয়েও অভিযোগের সত্যতা পান তিনি।

ওই স্কুলের কয়েকজন অভিভাবক নিউজবাংলাকে জানান, স্কুলপ্রধান মৌখিক ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোনো শিশু ক্লাস না করলে পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেয়া হবে। ফলে অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে বাচ্চাদের ক্লাসে পাঠাচ্ছেন।

ওই স্কুল ও মাদ্রাসাপ্রধান হাবিবুর রহমানও ইউএনওর কাছে মুচলেকা দেন।

ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যের চেয়ে শিক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে, শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রেখে কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শর্তসাপেক্ষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মন্তব্য

শিক্ষা
In the new curriculum no more than 55 students per class
ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

নতুন কারিকুলামে এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয়

নতুন কারিকুলামে এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয়
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপা বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে সব সমস্যারই সমাধান হবে।’

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা।

সাভারে ব্র্যাক সিডিএমে বৃহস্পতিবার আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে সব সমস্যারই সমাধান হবে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ‘ডিসেমিনেশন অফ নিউ কারিকুলাম’ স্কিমের বাস্তবায়নাধীন শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও এসইডিপির কর্মকর্তাদের ‘নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং’ বিষয়ক দুদিনব্যাপী বরবা কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতও হয়তো কাঙ্ক্ষিত মানে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার সময় এসেছে। শিক্ষার রূপান্তরের সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্ব এবং কর্তব্যেরও রূপান্তর জরুরি।’

শামসুন নাহার বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে মূল্যায়ন নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মনে উদ্বেগ রয়েছে। সবাইকে এই নতুন ভাবনার সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করতে হবে।’

কর্মশালা বিষয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে সহযোগিতা করবে। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেট বা অর্থসংস্থান কোনো বড় বাধা নয়। শিক্ষায় আগের তুলনায় বরাদ্দ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং স্কিমের পরিচালক অধ্যাপক মাহফুজ আলী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব উন্নয়ন ও এসইডিপির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ খালেদ রহীম এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শর্তসাপেক্ষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মন্তব্য

শিক্ষা
Holidays are not increasing schools are opening on Sunday amid the heat wave

তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শর্তসাপেক্ষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শর্তসাপেক্ষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছবি: সংগৃহীত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের বাইরের কোনো কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো যাবে না।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিন থেকে যথারীতি চলবে ক্লাস। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের বাইরের কোনো কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দিয়ে না করানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

প্রজ্ঞাপনে চারটি সিদ্ধান্তের উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার জানিয়েছিলেন, বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে শুক্রবার অথবা শনিবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

কোনো বিকল্প পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে তো আছে, সেটা আমরা পরে দেখব। গ্রাম পর্যায়ে স্কুল আছে, তারা তো অনলাইনে অভ্যস্ত না। অতএব সবকিছু চিন্তা করেই আমাদের কাজ করতে হবে। শুক্র বা শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব।’

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।

আরও পড়ুন:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, শনিবার সিদ্ধান্ত
আরও এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত আসছে
ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি

মন্তব্য

শিক্ষা
Chuet is closed indefinitely and students are instructed to vacate the hall
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের চুয়েট বন্ধ ও হলত্যাগের নির্দেশ দেয়ার পর বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ছবি: নিউজবাংলা
কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এদিন দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে হল না ছাড়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে চতুর্থ দিনের মতো বৃহস্পতিবারও ক্যাম্পাসে নিহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন।

এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এদিন দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভায় চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।

চুয়েটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপাচার্যের সভাপতিত্বে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

এদিকে হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় দুপুরের দিকে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিকেল পৌনে ৫টায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব দাবির বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসবের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা একমত হননি। তাই আন্দোলন চলবে। তারা হল ত্যাগ করবেন না।

রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বার বার আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আশানুরূপভাবে সাড়া দেয়নি। তাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হল না ছাড়লে কী হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসচাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন। দুর্ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু নামে আরেক শিক্ষার্থী। এ ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে অবস্থান নেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা।

ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত ১০টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।

পরবর্তীতে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর বুধবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় চলা আন্দোলনের রেশ বৃহস্পতিবারও ছিলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন:
বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

মন্তব্য

শিক্ষা
The ministry is preparing to open educational institutions from Sunday

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, শনিবার সিদ্ধান্ত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, শনিবার সিদ্ধান্ত
প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশের স্কুল-কলেজ এক সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, শুক্র বা শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে দেশের স্কুল-কলেজ এক সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আবহাওয়ার সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে কি না সে বিষয়ে শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে।

তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে শনিবারও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালু রাখা হবে।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাপমাত্রার কথা তো বলা যায় না। আপ-ডাউন হয়। সামনে দুদিন (শুক্র ও শনিবার) বন্ধ আছে। আমরা একটু দেখি, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এদিকে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পূর্বাভাসের প্রেক্ষাপটে কিছু প্রস্তাব দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। স্কুল খুলে দেয়া হলেও শিশুদের স্কুলের সময় এগিয়ে আনা এবং ক্লাস সংখ্যা কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে শামসুন নাহার বলেন, ‘সেটা নিয়ে কাজ করব পরে। আগে সামনে যেটা আছে সেটা শেষ করে নেই।’

কোনো বিকল্প পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইনে তো আছে, সেটা আমরা পরে দেখব। গ্রাম পর্যায়ে স্কুল আছে, তারা তো অনলাইনে অভ্যস্ত না। অতএব সবকিছু চিন্তা করেই আমাদের কাজ করতে হবে।

‘শুক্র বা শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব। দুদিনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’

দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই বইছে তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে। অর্থাৎ দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে ছুটি এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। সে হিসাবে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে স্কুল খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।

তাপপ্রবাহ চলমান থাকার এই পরিস্থিতিতে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে কীনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা প্রশাসনের অধিদপ্তরগুলোতে আলোচনা চলছে।

সেসব আলোচনায় কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। যেমন চলমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। তাছাড়া দেশের সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রা সমান নয়। তবে ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।

আর রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও কিছু শর্ত থাকবে। যেমন শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। আর শিখন ঘাটতি পূরণে ৪ মে থেকে শনিবারও ক্লাস চলবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Written complaint of students collecting extra money in HSC exam form

এইচএসসি পরীক্ষা: ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের লিখিত অভিযোগ

এইচএসসি পরীক্ষা: ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের লিখিত অভিযোগ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার উপজেলা পরিষদ প্রশাসনিক ভবনে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
গজারিয়ার ইউএনও কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আমার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ 

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে কলেজটির অধ্যক্ষের নামে লিখিত অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।

উপজেলার কলিম উল্লাহ কলেজের শিক্ষার্থীরা রোববার দুপুরে নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে অবস্থা নিয়ে আন্দোলন করে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে চার থেকে ছয় হাজার টাকা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের সঙ্গে রোববার দুপুরে কথা বলে জানা যায়, উন্নয়ন ফির নামে তাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির চাইতে অনেক বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীরা এত বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করতে পারছেন না।

তারা জানায়, ফরম পূরণের শেষ সময় চলে আসায় বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে তারা তাদের আপত্তির বিষয়টি কলেজটির অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের জানিয়েছে। তবে তারা এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত না করায় বাধ্য হয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এসেছে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গজারিয়া উপজেলার ইউএনওর কাছে তারা একটি লিখিত অভিযোগ করে। নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খবর নিয়ে জানা যায়, শিক্ষা বোর্ডগুলোর নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের মোট ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয় প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ হবে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কলেজটির অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দীন মর্তুজা বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে তারা অধিকাংশ টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থী। ফরম পূরণে চার হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে তা সত্যি নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত টাকার বাহিরে যে টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে তা হলো বেতন ও উন্নয়ন ফির টাকা। উন্নয়ন ফি বাবদ ১ হাজার ১৪০ টাকার মতো আদায় করা হচ্ছে। আমরা এমপিওভুক্ত কলেজ। এ টাকাটুকু যদি না আদায় করি, তাহলে কলেজ কীভাবে চলবে?’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন রোববার বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। আমাদের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাও এ বিষয়ে সম্পর্কে অবগত আছেন। আমি সোমবার সকালে কলেজটি পরিদর্শনে যাব। সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

গজারিয়ার ইউএনও কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আমার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রবাসীকে হত্যার বিচার দাবি  
মুন্সীগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ ঢাকা ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত পথচারী
শ্রীনগরে আগুনে পুড়ল পাঁচ ঘর
নদীতে জাল ফেলে ফেরার পথে বজ্রপাতে মৃত্যু

মন্তব্য

শিক্ষা
After correcting errors in the evaluation of the answer sheet the result will be published at night
প্রাথমিকে তৃতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি, সংশোধন শেষে রাতেই ফল প্রকাশ

উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি, সংশোধন শেষে রাতেই ফল প্রকাশ ফাইল ছবি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফল স্থগিত করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে রোববার রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি, সংশোধন শেষে রাতেই ফল প্রকাশ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ফল রোববার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক স্মারকে প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৫৭ জন প্রার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে।

মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আইআইসিটি, বুয়েটের কারিগরি টিম ইতোমধ্যে পুনঃমূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে। রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রোববার দুপুরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। অনেক প্রার্থী ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে মেঘনা ও যমুনা কোডের প্রার্থীরা গ্রুপ খুলে সেখানে কারা কারা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল পাননি তা জানাতে থাকেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিপদপ্তরের দৃষ্টিগোচর করলে দুই সেটের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন:
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ঈদের পরপরই তৃতীয় ধাপের ফল
৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী

মন্তব্য

p
উপরে