সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো খুদেবার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নির্বাচিত প্রার্থীদের মোবাইল নম্বরে খুদেবার্তার মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেয়া হবে। এ ছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্বাচিত প্রার্থীদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব সনদের মূল কপি ও তিন কপি জাতীয় পরিচয়পত্র, যথাযথভাবে পূরণ করা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম, সিভিল সার্জন প্রদত্ত সুস্থতার সনদ নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে।
প্রাথমিকের ফল দেখা যাবে এই লিংকে ক্লিক করে।
গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, প্রকৃত শূন্য পদ যাচাইবাছাই শেষে ১৪ ডিসেম্বর বিকেলের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, পাঁচ হাজারের মতো পদ বাড়ানো হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পদের সংখ্যা ৩২ হাজার ৫৭৭। অনুমোদিত পদের সঙ্গে পাঁচ হাজার পদ বাড়ানো হলে মোট পদ হবে ৩৭ হাজারের কিছু বেশি।
এর আগে নভেম্বরে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও সেটি হয়নি। করোনাভাইরাসের কারণে নিয়োগে পদসংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেন প্রার্থীরা। তখন পদ বাড়ানোর আশ্বাস দেয়া হলেও পরে বলা হয় বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফল প্রকাশ হবে। এর ফলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চসংখ্যক শূন্য পদে নিয়োগ এবং পদসংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে ৬১ জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপিও দেন চাকরিপ্রার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে পদসংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়।
২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে এ নিয়োগের আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।
নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হয়।
প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২। দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন উত্তীর্ণ হন।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি বুধবার প্রকাশ করা হয়। তবে এতে কতজন নিয়োগ পাবেন তা জানানো হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আবেদন শুরু হবে আগামী ৩০ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। চলবে ১৪ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
একযোগে না করে বরং বিভাগভিত্তিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়েছে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি।
অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও। এই ধাপের বিজ্ঞপ্তির পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:
ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএস ২০২২-২৩-এর পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন ইংরেজি ভাষা-ভাষী বিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের সহায়তা করতে এ পুরস্কার দেয়া হয়। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন, এজন্য এ পুরস্কারের মাধ্যমে তাদের ৩ হাজার পাউন্ডের আর্থিক সহায়তা দেয় ব্রিটিশ কাউন্সিল।
বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, ঘানা, কেনিয়া, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা- এ ছয়টি দেশের আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য এ বছরের প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত ছিল।
প্রতিযোগিতামূলক আবেদন প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এ পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশ থেকে সাতজন বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়; যারা তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা লাভ করবেন। বিজয়ীরা হলেন- সোয়াবিবা সোয়াদ, ইতমাম মির্জা, কাজী রাকিব হাসান, সাজিদ আই আউয়াল, জয়শ্রী চৌধুরী, জাকিয়া নিশাত এবং আহমেদ আল মাহবুব তালুকদার।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টম মিশসা বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা এ বছর আইইএলটিএস পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের অভিনন্দন। শিক্ষার্থীদের বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়তার পাশাপাশি আইইএলটিএস পুরস্কার তাদের নতুন দেশ ভ্রমণের, নতুন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার এবং বৈশ্বিক আইইএলটিএস কমিউনিটির অংশ হওয়ার সুযোগ করে দেবে।
বাংলাদেশের আবেদনকারীরা পুরস্কার ও আবেদন প্রক্রিয়াসহ এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে ভিজিট করতে পারেন: https://takeielts.britishcouncil.org/take-ielts/study-work-abroad/ielts-prize.
মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এবার প্রথম হওয়ার কথা কল্পনাও করেননি রাফসান জামান। তবে ঠিকই প্রথম হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেকটা আপ্লুত হয়ে পড়লেন এই শিক্ষার্থী। জানালেন, চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে প্রথম হওয়া রাফসান রোববার বিকেলে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভালো লাগছে। বেশ কষ্টের পর আমি চান্স পেয়েছি। আব্বু-আম্মুও খুশি হয়েছে। আল্লাহতায়ালার কাছে কৃতজ্ঞ। আব্বু-আম্মুর কাছেও। নিজেও রেজাল্ট দেখে বিশ্বাস করতে পারিনি। বাবা-মা অনেক খুশি।’
রাফসান বলেন, ‘আমার টার্গেট ছিল চেষ্টা করব। আমি আমার শুধু সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমার চেষ্টার মধ্যে কোনো কমতি ছিল না। এ ছাড়া স্পেশাল কিছু না।’
এদিন দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন রাফসান জামান। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের এই শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ৯৪.২৫।
এই ভর্তি পরীক্ষায় এবার অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ জন। পাস করেছেন ৪৯ হাজার ১৯৫ জন। পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সারা দেশে ভর্তির জন্য আসন আছে ৪ হাজার ৩৫০টি।
আরও পড়ুন:দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এবারও ছাত্রী সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শুক্রবার সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, ‘আমরা সারা দেশে খোঁজ খবর রেখেছি। কোথাও থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর এখনও আসেনি। পরীক্ষার পরিবেশও চমৎকার।
‘গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে চার হাজার কম রয়েছে। এবারও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা বেশি। মোট আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ মেয়ে আর ৪৬ শতাংশ ছেলে। পাশের ক্ষেত্রেও নারীরা এগিয়ে আছে। এর মাধ্যমে বুঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নারীরা সবদিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা পিছিয়ে ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে তারা পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটি যে প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পৌঁছাবার সময় কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থী বন্ধু এবং অভিভাবকদের অনুরোধ করব তারা যেন হুজুগে কান না দেয়। রিউমারে কান না দিয়ে যদি তারা ভালোভাবে পড়াশোনা করে তাহলে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। অতিদ্রুত আমরা রেজাল্ট প্রকাশ করব।’
আরও পড়ুন:দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে।
রাজধানীর পাঁচটিসহ দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়, যা শেষ হয় বেলা ১১টায়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন।
সরকারি মেডিক্যালে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি। সে হিসাবে আসনপ্রতি লড়েন ৩২ শিক্ষার্থী।
সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৮ মেডিক্যাল কলেজে আসন ১১ হাজার ১২২টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েন ১২ পরীক্ষার্থী।
দেশে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ৩৭টি। সরকারি মেডিক্যালে এমবিবিএসে আসন চার হাজার ৩৫০টি।
এসব আসনে মেধা কোটায় তিন হাজার ৩৮৪, জেলা কোটায় ৮৪৬, বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮৭ এবং উপজাতি কোটায় ৩৩ জনের ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
৭১টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ছয় হাজার ৭৭২টি আসন রয়েছে।
যারা আবেদন করতে পেরেছিলেন
২০২২ সালে এইচএসসি ও ২০২০ সালে এসএসসি অথবা ২০২১ সালে এইচএসসি ও ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছেন, তবে শর্ত ছিল যে, এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের পূর্ববর্তী দুই বছরের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নসহ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদনের যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন।
দুটি পরীক্ষায় জিপিএ কমপক্ষে ৯ হওয়ার শর্ত ছিল। উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীরা দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ আট হলেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে নির্বাচিত বলে গণ্য হন, তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০–এর কম পাওয়া ভর্তিচ্ছুরা আবেদন করতে পারেননি।
সবার জন্য এইচএসসি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪ না থাকলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় পাওয়া নম্বর এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা করা হবে।
আরও পড়ুন:স্থগিত হওয়া প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল বুধবার রাতের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে।
সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
সফটওয়্যারের টেকনিক্যাল কোডিংয়ে ভুল হওয়ায় মঙ্গলবার প্রকাশিত এই পরীক্ষার ফল স্থগিত রয়েছে।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা। প্রায় দুই মাস পর মঙ্গলবার দুপুরে এর ফল প্রকাশ করা হয়। তবে ঘোষণার চার ঘন্টার মধ্যেই কারিগরি ত্রুটির কারণ দেখিয়ে ফল স্থগিত করা হয়।
বৃত্তির ফল প্রকাশের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) উত্তর কুমার দাশ বলেন, যেসব সমস্যার কারণে ফল স্থগিত করা হয়েছিল, তা চিহ্নিত করে সমাধান করা হয়েছে। যে কোনো সময় ফল প্রকাশ করতে পারব।
সবকিছু প্রস্তুত থাকার পরও ফল অধিকতর যাচাইয়ের জন্য পরামর্শ চেয়ে বিকেলে মহাপরিচালকের নেতৃত্বে টেকনিক্যাল কমিটি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) যায়। বুয়েটের পরামর্শ অনুসারে যাচাই-বাছাই শেষে ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
এদিকে ফলের কারিগরি ত্রুটি খতিয়ে দেখতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) মোছা. নূরজাহান খাতুনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে কমিটি।
মোছা. নূরজাহান খাতুন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে কারও গাফিলতির প্রমাণ আমরা পায়নি। এটা নিছক কারিগরিটির ত্রুটির কারণে হয়েছে বলে ধারণা করছি।
আগেরদিন মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলে বৃত্তি পায় ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী। ট্যালেন্টপুলে (মেধা বৃত্তি) ৩৩ হাজার ও ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পায়।
আরও পড়ুন:পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার এবং সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন বৃত্তি পেয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন মঙ্গলবার সচিবালায় এক সংবাদ সম্মেলনে বৃত্তির ফল ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা উঠে যাওয়ায় গত বছর আগের মত গতানুগতিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল শিক্ষার্থীরা।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা করে এবং সাধারণ কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসের ২২৫ টাকা করে পাবে। এছাড়া বৃত্তি পাওয়া সব শিক্ষার্থী প্রতি বছর ২৫০ টাকা করে এককালীন হিসেবে পাবে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি পাবে তারা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওযবেসাইট www.dpe.gov.bd, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে বৃত্তি পরীক্ষার ফল জানা যাবে।
করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রাথমকি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ওই দুই বছর বৃত্তি দেয়া হয়নি। গত বছর থেকে পঞ্চমের সমাপনী পরীক্ষা উঠিয়ে দিয়েছে সরকার। গত ৩০ ডিসেম্বর ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০৪ জন শিক্ষার্থী বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ে ২ ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য