পেশাজীবীদের জন্য এক্সিকিউটিভ এমবিএতে (ই-এমবিএ) ৬০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)।
রাজধানীর প্রগতি সরণিতে নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্প্রিং ২০২৩ সেমিস্টারের ভর্তি চলছে। এতে রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিশেষ সুযোগ। এক্সিকিউটিভ এমবিএ কোর্সে ভর্তি হলেই মিলবে বৃত্তিসহ টিউশন ফিতে ৬০ শতাংশ ছাড়।
বর্তমান সময়ের অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন ডিগ্রি এমবিএ। প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সব যোগ্যতা অর্জন হয় এ ডিগ্রির মাধ্যমে। এই ডিগ্রিধারীদের চাকরির ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে খুব দ্রুত।
ব্যাংক, বিমা, এয়ারলাইনস, টেলিকম, বিয়েল এস্টেট কোম্পানি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, প্রাইভেট কোম্পানি ও করপোরেট অফিসগুলোতে এক্সিকিউটিভ ও ম্যানেজারিয়াল পদে চাকরির শর্ত পূরণে এ ডিগ্রি অর্জনের পেছনে ছুটছেন অনেকে।
সিউবিতে ফাইন্যান্স, অ্যাকাউন্টিং, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড অপারেশনস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এমবিএ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত একটি বিষয়কে মেজর বা প্রধান হিসেবে বেছে নিতে হয়। মেজর কোর্সটিকে প্রাধান্য দিয়ে পড়ানো হয় আরও নানা বিষয়।
সাধারণত এমবিএ পড়ার জন্য দুই ধরনের প্রোগ্রাম আছে। রেগুলার এমবিএ ও এক্সিকিউটিভ এমবিএ। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য রেগুলার এমবিএ ও চাকরিজীবীদের কথা চিন্তা করে এক্সিকিউটিভ এমবিএর কোর্স ডিজাইন করা হয়েছে।
রেগুলার এমবিএতে সাধারণত ৬০ ক্রেডিট ইন্টার্নশিপ এবং এক্সিকিউটিভ এমবিএতে ৪৮ ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হয়। পাশাপাশি হাইব্রিড মোডে এক বছর সময়ের মধ্যে এক্সিকিউটিভ এমবিএ সম্পন্ন করা যায়।
সিইউবিতে ক্লাসের জন্য অনসাইট, অনলাইন দুই ব্যবস্থাই আছে। পুরো ডিগ্রি করতে খরচ পড়বে ৯৭ হাজার ২০০ টাকা। এখানে অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক ক্লাসরুম, ডিজিটালাইজড লাইব্রেরির ব্যবস্থা রয়েছে।
রেগুলার এমবিএ করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হলো ন্যূনতম ব্যাচেলর ডিগ্রি। এক্সিকিউটিভ এমবিএর ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা একই। তার সঙ্গে দুই বছর কর্ম অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.cub.edu.bd) পাওয়া যাবে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ফোন করা যাবে ০১৭০-৭০৭০২৮০, ০১৭০-৭০৭০২৮১, ০১৭০-৭০৭০২৮৪ নম্বরে। এ নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করেও চ্যাট করা যাবে অ্যাডমিশন দলের সঙ্গে।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের ঠিকানা: প্লট-খ, ২০১/১, প্রগতি সরণি, ঢাকা-১২১২।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় এক বিচারকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে বিচারকের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত।
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “এই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে বগুড়ার জজ আদালতের এক বিচারকের মেয়ে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকে। সোমবার ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডতা হয়।
“ওই রাতেই বিচারকের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মাধ্যমে মেসেঞ্জারে তার সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে উল্লেখ করে পোস্ট দেয়। সে পোস্টে উল্লেখ করে, ‘তোরা বস্তির মেয়ে। আমার মা জজ। তোদের মায়েদের বল আমার মায়ের মতো জজ হতে।’
“ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের চার সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে ওই বিচারক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মঙ্গলবার অভিভাবকদের ডাকতে বলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। সে সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে দেয়ার হুমকি দেন। এ সময় দুই অভিভাবককে ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।”
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, ‘বিচারকের মেয়ে ও কিছু শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে বিচার বসানো হয়। এ সময় বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জেলে দেয়ার হুমকি দিলে দুইজন অভিভাবক নিজে থেকেই পা ধরে ক্ষমা চান। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি বা পা ধরতে বলেনি।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের সন্তানদের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব কাজ করে।
‘যতটুকু জেনেছি সোমবার বিচারকের মেয়ের ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে সে তিন মাস আগেই স্কুলে আসায় এই পরিবেশ হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি। এজন্য সে ঝাড়ু দিতে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে কাজটি সম্পন্ন করে। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ক্রিটিসাইজ করে। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।’
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘এ কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে ডাকা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু অভিভাবকদের মাফ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে। অভিভাবকেরা ভয় পেয়ে এভাবে মাফ চেয়েছেন। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি।’
এদিকে অভিভাবকদের লাঞ্ছনা ও শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার বিদ্যালয়ে আসেন। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দেন।
একইসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
বিছানায় শুয়ে মোবাইল চালাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। পা টিপছেন শাখা ছাত্রলীগেরই দুই নেতা।
এমনই একটি ছবি সোমবার দিনজুড়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা।
শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষের চিত্র এটি। এই কক্ষে থাকেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। অন্যদিকে পা টিপতে থাকা দুই নেতা হলেন, উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ ও উপক্রীড়া সম্পাদক শফিউল ইসলাম।
তবে সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের দাবি ছবিটি আড়াই বছর আগের। তার অসুস্থ থাকাকালীন এই ছবি দিয়ে অপরজনীতি করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
রুবেল বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম, আমার ছোট ভাই দুইজন আমার সেবা করেছে। এটা মানবিক বিষয়। ছাত্রলীগের সভাপতি বলে কি কেউ আমার সেবা করতে পারবে না? আমার সঙ্গেরই কেউ সেই সময় ছবি তুলে এখন অপরাজনীতি করছে।
তিনি বলেন, অসুস্থ হলে মানুষ মানুষকে এমনিতেই দেখতে আসে, সেবা-যত্ন করে। এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। ছবিতে ওষুধপথ্য দেখা যাচ্ছে। যারা অপরাজনীতি করছেন তারা অমানবিক কাজ করছেন। আমি নিজেও প্রেসিডেন্ট হয়ে পা টিপেছি, সেবা করেছি, এমন ছবিও আমার ওয়ালে দিয়েছি। সেটা ভাইরাল করুক।
পা টেপার বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ বলেন, রুবেল ভাই অসুস্থ ছিলেন। আমরা ওনার পায়ে মলম লাগিয়ে দিয়েছি। পরিবারে কেউ অসুস্থ হলে অন্যরা যেমন সেবা করেন, এটাও তেমন।
বিশ্ববদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রেজাউল হক রুবেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি স্নাতক পাস করেন ২০১০ সালে। স্নাতকোত্তর পাস করেছেন ২০১৩ সালে। আর ২০১৯ সালে ১৪ জুলাই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। সভাপতির মেয়াদ এক বছর হলেও তিনি এখনো এই পদে রয়ে গেছেন। তার শিক্ষাবর্ষের অন্য শিক্ষার্থীরা অন্তত ৯ বছর আগে স্নাতকোত্তর শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন। তবে তিনি এখনও ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরীসহ জয় পেয়েছেন আওয়ামীপন্থি গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের ২৫ প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রোববার এ ফল ঘোষণা করেন।
এই নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪, ১১ ও ১৪ মার্চ ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ হয়।
গত ১৮ মার্চ ঢাকায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। গণনা শেষে ১৯ মার্চ ফল ঘোষণা করা হয়।
দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ইন্ধনের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর পদত্যাগ এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে বসেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী।
টানা ১০ দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেও কোনো ফল না আসায় শেষ পর্যন্ত অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন তারা।
রোববার বিকেল ৪টায় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্যের পাদদেশে লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ, আইসিটি বিভাগের দুই শিক্ষার্থী কাজল হোসেন ও ইমতিয়াজ শাহরিয়া এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরী অনশনে বসেন।
সন্ধ্যা ৭টায় অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন উপাচার্য। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়ে দেন তারা।
বৃষ্টি উপেক্ষা করেও তাদের এই আমরণ অনশন চলমান রয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টায়ও বৃষ্টিতে ভিজে তাদেরকে অনশন করতে দেখা যায়।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ‘৮ মার্চ ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক সংলগ্ন তাজান্না ভূঁইয়া কনফেকশনারির সামনে ‘প্রক্টর সমর্থিত’ ছাত্রলীগের ক্যাম্পাসের বাইরের অংশের হাতে হামলার শিকার হন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী হৃদয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ইমতিয়াজ শাহরিয়া ও কাজল হোসাইন।
এর আগে ১৬ মার্চ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর জাস্টিস’-এ রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে দাবি আদায়ে তারা আল্টিমেটাম দেন। একই সময়ে প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তারা।
আল্টিমেটাম দেয়া সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়ে অনশনে বসেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অনশনকারী শিক্ষার্থী কাজল হোসাইন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় অনশনকারী শিক্ষার্থীদেরকে দেখতে এসে সান্ত্বনা দিয়ে চলে যান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান। সে সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর না দিয়েই স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনও অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে আসেন। ভিসির সামনে অনশনে অনড় থাকার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে অনশনরতরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন উপাচার্য।
সে সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান।
আরও পড়ুন:কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের মিডিয়া কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগ এবং চরকির সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে অলটাইম প্রেজেন্টস নতুন ওয়েব সিরিজ ‘ইন্টার্নশিপ’ ।
রোববার সিইউব-এর মিলনায়তনে ওয়েব সিরিজের প্রথম আটটি পর্বের প্রথম দুইটির প্রদর্শনী করা হয় ।
‘ইন্টার্নশিপ’ ওয়েব সিরিজের অভিনেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান চরিত্রে থাকা সৌম্য জ্যোতি, তাসলিমা হোসেন নদি, মোরশেদ মিশু, মীর রাব্বি, কারিনা কায়সার প্রমুখ। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন ওয়েব সিরিজের নির্মাতা রেজাউর রহমান।
প্রদর্শনীর সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ'র অধ্যাপক ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ রিদওয়ানুল হক, লামিয়া সেলিম, হেড অফ এক্সটার্নাল আফ্যেয়ারস এন্ড পার্টনারশিপ এবং চরকির টিম থেকে ছিলেন মার্কেটিং অ্যান্ড গ্রোথের প্রধান জনাব ফয়সাল মুজিবুর রহমান।
প্রফেসর মুহাম্মদ রিদওয়ানুল হক তার বক্তব্যে বলেন- ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনই ইন্টার্ন ছিলেন না বা হুমায়ূন আহমেদও ছিলেন না কিন্তু আজকের এই সময়ের সুযোগ গুলোই ভবিষ্যতের দুয়ার উন্মোচিত করতে সাহায্য করবে। আমরা এমন একটি সুন্দর আয়োজনের জন্য একত্রিত হতে পেরে খুবই আনন্দিত।’
প্রদর্শনী শেষে ইন্টার্নশিপ ওয়েব সিরিজের অভিনেতারা তাদের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং কেক কাটা হয়।
কক্সবাজারের টেকনাফে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিচাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ব্রে-কুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের স্টাফদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট চত্বরে অবস্থান নেন বিভাগটির শতাধিক শিক্ষার্থী।
ওই সময় তারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে ১টার দিকে তারা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যহার করেন।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা
১. এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জাহাজের স্টাফদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার।
২. বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের লাইসেন্স আজীবনের জন্য বাতিল করা।
৩. বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজ কর্তৃপক্ষের বিবৃতি প্রত্যাহার করে লিখিত মুচলেকা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা।
৪. জাহাজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জানমালের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান।
৫. দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
আন্দোলনরত স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন করেছিলাম। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল জড়িতদের আটক করবে, কিন্তু কাউকে আটক করা হয়নি; বরং আটক একজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ দেখতে চাই৷ আমরা পাঁচ দফা দাবি দিয়েছি।’
আনোয়ার হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মামলা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে। আমরা সেই ব্যাপারে এখনও কোনো পদক্ষেপ দেখিনি।
‘আমাদের শিক্ষক বাদী হয়ে মামলা করেছে, তবে আমরা চাই এই দায়িত্ব যেন বিশ্ববিদ্যালয় নেয়, তারা যেন মামলা করে।’
অন্যদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে করা চবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন থেকে দাবি জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে যেন এই ঘটনায় মামলা ও আইনি পদক্ষেপ নেয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, অর্থনীতি বিভাগ, প্রক্টরিয়াল বডি ও চবি শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠনের দাবি জানানো হয়।
চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘এই ঘটনায় একটি মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে এবং এটিকে ফলোআপে রাখতে হবে। ঢাকাসহ কেন্দ্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কারও সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে যে প্রক্রিয়ায় দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়, সেইভাবে এই ঘটনায় জড়িতদের অতি দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এই ঘটনার পর দ্রুত বিচার হবে, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কিন্তু আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা স্থানীয় প্রশাসন থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখতে পাইনি।
‘এখন আর সমঝোতার প্রশ্ন নেই, যারা লাঞ্ছিত হয়েছেন, তারা আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী নয়, সমগ্র দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমাজকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি মামলার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর নয়। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। মূলত এইসব বিচ্ছিন্ন ঘটনার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা বর্তমান সরকারের সাফল্যকে ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা যদি কার্যকর পদক্ষেপ না দেখি, আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
প্রেক্ষাপট
গত ১৪ মার্চ সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট ও টেকনাফ জেটিঘাটে পরপর দুই দফা জাহাজ স্টাফ ও স্থানীয় লোকজনের হাতে হামলার শিকার হন চবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর টেকনাফ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার পরে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর এলাকা এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।
আরও পড়ুন:সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও মানবীয় যোগাযোগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরীর লক্ষ্যে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু করলো ‘মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম’ বিভাগ।
বিভাগের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান বুধবার সকালে ইউআইইউ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
ইউআইইউর মাননীয় উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার এবং দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট উন্নয়ন সাংবাদিক এবং চ্যানেল আই’র পরিচালক ও বার্তা প্রধান জনাব শাইখ সিরাজ।
সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের উপদেষ্টা এবং প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউআইইউ’র ‘মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম’ বিভাগের প্রধান ড. শেখ শফিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বরা মিডিয়া ও যোগাযোগ বিষয়ে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানব সম্পদ তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষার উপর জোর দিতে আহ্বান জানান। এছাড়াও অতিথিরা মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগ চালুর জন্য ইউআইইউ’কে ধন্যবাদ জানান এবং এই বিভাগ দেশের দক্ষ গণমাধ্যমকর্মী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য