× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Questions about SSC HSC result release
google_news print-icon

‘ঘটা করে’ এসএসসি, এইচএসসির ফল প্রকাশ নিয়ে প্রশ্ন

এসএসসি
এসএসসির একটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
শিক্ষাব্যবস্থাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উৎসবের মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের রীতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে পিছিয়ে থাকা কিংবা অকৃতকার্য হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ওপর। সব শিক্ষার্থীর মানসিক দিক বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন দেশ অনেক আগেই এই আয়োজন থেকে সরে এসেছে। 

এসএসসি বা এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার দিন দেশজুড়ে তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। পরীক্ষায় ভালো ফল করা শিক্ষার্থীরা মাতেন উচ্ছ্বাসে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অভিভাবক, শিক্ষকেরাও। ভালো ফল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খবর ফলাও করে প্রকাশ হয় সংবাদমাধ্যমে। পরের কয়েক দিন কৃতী শিক্ষার্থীদের নিয়েও প্রকাশ হয় প্রতিবেদন।

বছরের পর বছর এমন রীতিই চলছে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা ঘিরে। তবে শিক্ষাব্যবস্থাসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎসবের এই জোয়ার কৃতী শিক্ষার্থীদের আলোড়িত করলেও সম্পূর্ণ বিপরীত প্রভাব ফেলছে পিছিয়ে থাকা কিংবা অকৃতকার্য হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ওপর। পরীক্ষায় ‘খারাপ করা’ শিক্ষার্থীর আত্মহননের মতো ঘটনাও ঘটছে প্রতিবছর।

তারা বলছেন, উৎসবের মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের রীতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। সব শিক্ষার্থীর মানসিক দিক বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন দেশ অনেক আগেই ঘটা করে ফল প্রকাশের ব্যবস্থা থেকে সরে এসেছে।

দেশের একটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওই দিন একজন শিক্ষার্থী আমাকে ফোন করেই কাঁদতে শুরু করে। সে জানায়, পরীক্ষায় খারাপ ফলের কথা জানাজানি হওয়ায় বাবা-মা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইছে। যদি আমি (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) তার দায়িত্ব না নিই সে (শিক্ষার্থী) আত্মহত্যা করবে।’

বিশেষজ্ঞরা জানান, এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের পর রোল ও নিবন্ধন নম্বর দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো শিক্ষার্থীর ফল যে কারও পক্ষে জানা সম্ভব। তবে উন্নত দেশে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে ফলটি জানায় তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে এক শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফল অন্য কারও জানার সুযোগ নেই। পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেডিংয়ের শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও সেখানে প্রকাশ করা হয় না।

তারা বলছেন, দেশে জিপিএ ফাইভকে শীর্ষ মানদণ্ড ধরে নেয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বেড়েছে। এতে যোগ দিয়েছেন অভিভাবক-শিক্ষকও। সরকারের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমও বিষয়টিতে জোর দিচ্ছে।

শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করছেন ঘটা করে পরীক্ষার ফল প্রকাশের রীতি একটি ‘অত্যন্ত অপ্রয়োজনীয় চর্চা’।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই পাবলিক পরীক্ষার ফল কেন ঘটা করে প্রকাশ করতে হবে? এখানেই তো গোড়ায় গলদ।’

ইংরেজি মাধ্যমে পড়া নিজের ছেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে যখন এ-লেভেল এবং ও-লেভেলের পরীক্ষা দিল তখন কেউ জানল না। সে রেজাল্ট পেয়ে গেল। নিজের কম্পিউটারে চলে এলো, সে আমাকে দেখাল, বন্ধুদের সঙ্গে মজা করল। ওরা ওরা মজা করে পৃথিবীর সব পথে বেরিয়ে গেল।’

তিনি একটি ইংরেজি দৈনিকের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা (পরীক্ষায় কৃতিদের সামনে আনা) ঘটা করে তারা শুরু করেছে। তারা শীর্ষ জিপিএ প্রাপ্তদের রিসিপশন দেয়। একটা ভজঘট ব্যাপার হচ্ছে।’

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার দর্শন হচ্ছে প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে নয়, প্রতিযোগিতা হবে নিজের সঙ্গে। আমি কত জোরে দৌড়াতে পারি আমার সক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুটা নিয়ে আমি কাজ করে ওই লক্ষ্যে দৌড়াব। এমন অনেকে আছে যারা জিপিএ ফাইভ পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেনি। জিপিএ ফাইভ বাচ্চাদের একটা ফাঁদের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। পরিবারগুলোকে একটা ধন্ধের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এগুলো বাচ্চাদের ওপর মানসিকভাবে অনেক প্রভাব ফেলে। যারা জিপিএ ফাইভ পায়নি তারা নিজেদের অধম মনে করে। তাদের আত্মবিশ্বাসের ভিত কেঁপে যায়। এরা আর সেই ভিত খুঁজে পায় না। অথচ অনেক ছেলে-মেয়ে বাইরে পড়াশোনা করতে গেছে যারা জিপিএ ফাইভ পায়নি।’

অভিভাবকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘মা-বাবারা এখন ফেসবুকে পাবলিসিটি করেন। এতে বাচ্চাদের ওপর একটা চাপ তৈরি হয়ে যায়। যে সময়ে পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করার কথা নয়, শিক্ষার আনন্দ পাওয়ার কথা সেই সময়ে তাদের ভি সাইন দেখিয়ে, ড্রাম বাজিয়ে বিশেষ করে পত্রিকাগুলো এ ব্যাপারে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে।

‘সব মিডিয়া ঢাকাতে ভিকারুননিসা, আইডিয়াল, না হয় উত্তরা মডেল নিয়ে ব্যস্ত। এখানকার ছেলে-মেয়েদের ছবি দেখিয়ে তারা সন্তুষ্টি পায়। অথচ যে বাচ্চা এই চাপের মধ্যে পড়ে আত্মহত্যা করল, তার খবর কেউ রাখে না।’

নীতিনির্ধারকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘এই রেজাল্ট শুধু বাচ্চারা জানবে, স্কুল জানবে। ঘটা করে ফল প্রকাশের দিনের কোনো দরকার নেই। এটা প্রত্যেকটা বোর্ড শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দেবে। তারাই শুধু জানবে। জিপিএ ফাইভ উৎসব অন্যদের জন্য বিষাদের দিন তৈরি করে। এটা অত্যন্ত অপ্রয়োজনীয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির ফ্রাঙ্ক এইচ নেটার এমডি মেডিসিন স্কুলের ইআইডি অনুষদের সহযোগী ডিনের দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক সেজান মাহমুদ।

আমেরিকায় এভাবে ঘটা করে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় না জানিয়ে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো পরীক্ষার ফল জানানোর ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কতার সীমা বিবেচনা করা হয়। ১৮ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সাধারণত বাবা-মা বা লিগ্যাল গার্জিয়ানকে ডেকে ফল শেয়ার করা হয়। এর চেয়ে বেশি বয়সের ক্ষেত্রে সন্তানের অনুমতি সাপেক্ষে বাবা-মা রেজাল্ট দেখতে পারেন।’

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বাবা-মা খুব গুরুত্বপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীর সঙ্গে যুক্ত থাকেন বলে পরীক্ষার রেজাল্ট পরিবারের নির্দিষ্ট কারও কাছে এবং ছাত্রছাত্রীদের কাছে পাঠানো যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই প্রকাশ্যে পত্রিকায় বা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে নামসহ পরিচয়সহ দেয়া উচিত নয়। বড়জোর যেকোনো আইডির শেষ চার নম্বর দিয়ে ফল দেয়া যেতে পারে।’

চিকিৎসাবিজ্ঞানী সেজান মাহমুদ বলেন, ‘যাদের ফল আশানুরূপ হচ্ছে না তারা নানান মানসিক বিপর্যয়ের স্বীকার হচ্ছে। স্ট্রেস, ডিপ্রেশন, এমনকি সুইসাইডের ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে। আমাদের মনে রাখা দরকার একবারের রেজাল্টই জীবনের সবকিছু নয়।’

শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীদের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার। এরপরেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল অন্যদের মাঝে প্রকাশ হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে দায়ী করছেন তিনি।

তপন কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বোর্ড থেকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল পাঠিয়ে থাকি। সেখান থেকে প্রতিষ্ঠান রেজাল্ট পেয়ে থাকে। নৈতিকভাবে তারা সেটা উন্মুক্ত করতে পারে না।

‘আমাদের বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে চাইলেই যে কারও ফল জানার সুযোগ নেই, কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সুযোগ আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের ফল পাঠাতে হয়। এটা ব্রিটিশ সময় থেকে আছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এটা ডিজক্লোজ করবে কি না, সেটা তাদের বিষয়। এটা তাদের নীতি-নৈতিকতার বিষয়। এখানে আমাদের কোনো ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই।’

ঘটা করে ফল প্রকাশ না করার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই প্রস্তাবটি ভেবে দেখা যায়। এটি আমি এরপর নির্ধারিত ফোরামে আলোচনা করব। ফলাফলটা যার যার তার তার হয়, সামাজিকভাবে অন্য কেউ যেন না জানে।’

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জামাল নাছের অভিভাবকদের আরও সচেতনতার তাগিদ দিচ্ছেন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অভিভাবকরা এখন সন্তানদের নিয়ে অনেক বেশি অশান্ত পরিবেশ তৈরি করে থাকেন, যা তাদের আরও ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।

‘এই আয়োজনটা (উৎসব করে ফল প্রকাশ) আমাদের এখানে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তবে এখন পরিবেশ ও পরিস্থিতি বদলে গেছে। আমাদের ছেলেমেয়েদের ইমোশনাল জায়গাটা বেড়ে গেছে। তারা একটু স্পর্শকাতর হয়েছে। এখন এটা করা যেতে পারে যে একটি নির্দেষ্ট তারিখের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটে রেজাল্ট পাবে। অবশ্য অভিভাবক সচেতন না হলে তাতেও একই ঘটনা ঘটতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এখন অভিভাবকরা ভাবেন তার বাচ্চাকে এটা করতেই হবে, এই ফল আনতেই হবে। এটা একটা প্রেস্টিজিয়াস ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এই জায়গা থেকে তাদের সরে আসতে হবে।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারও মনে করছেন ‘উৎসব করে’ পাবলিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অনেক শিক্ষার্থীর ওপর।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো বাচ্চা যখন রেজাল্ট খারাপ করে, আর তার বন্ধু যখন রেজাল্ট ভালো করে সেটা যখন ফেসবুকে বা পত্রিকাতে আসে, তখন খারাপ করা শিক্ষার্থীর মধ্যে হতাশা কাজ করে। সে এটা কাউকে বলতেও পারে না। এ জন্য আমরা অনেক সময় দেখি সুইসাইড পর্যন্ত করে ফেলছে। এটা দুঃখজনক।’

শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা ঘটা করে ফল প্রকাশের পেছনে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাকেও দায়ী করেছেন। তবে এর সঙ্গে একমত নন সাংবাদিক নেতা ও টিভি টুডের সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। তিনি বলছেন, পরিবার ও সামাজের অতিমাত্রায় সংবেদশীলতা ও অতিমাত্রায় কম সহনশীলতার কারণেই পরীক্ষার ফল নিয়ে ঝুঁকিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে কিন্তু এটা (কৃতীদের নিয়ে প্রতিবেদন) আরও বেশি হতো। তখন মেধা তালিকায় যারা প্রথম দশে থাকতেন বা স্ট্যান্ড করতেন তাদের ছবিসহ ছাপানো হতো। তারা কে কী হতে চান সেটাও জানানো হতো।

‘আমাদের বর্তমান স্পিকার যখন ফার্স্ট হলেন তখন তার ছবি ছাপানো হয়েছিল। তখন কিন্তু এখনকার মতো এত সংবেদনশীল হিসেবে দেখা হয়নি। এটা নতুন হচ্ছে তা নয়, বরং এটা আগে বেশি হতো। এটা আগের ধারাবাহিকতাতেই চলছে।’

এসএসসি ও এইচএসসি প্রথম পর্যায়ের পাবলিক পরীক্ষা বলে এটি উৎসবের মতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন যেটা হচ্ছে সেটা হলো একজন ছাত্র বা ছাত্রী ফেল করলে সে যেন অচ্ছুৎ হয়ে পড়ে। আগে এমন হতাশা বা আত্মহত্যা ছিল, তবে কম ছিল। এখনকার বাচ্চারা একসঙ্গে বড় হচ্ছে, মোবাইলের কারণে সবকিছু জানতে ও জানাতে পারছে।

‘ফল ছাপানোর ক্ষেত্রে তো আমি বাধা দিতে পারব না। পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট ছাপা হবে। সেখানে যারা ভালো করবে, সেটাও ছাপা হবে। যারা খারাপ করে সেটা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। তাই খবরের চেয়ে জরুরি হলো পরিবারকে শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াতে হবে।’

কারও সাফল্যের গল্প বা ভালো কিছু ছাপা বন্ধ করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে অকৃতকার্য হচ্ছে তার মধ্যে এটার প্রভাব পড়বে, কিন্তু এর মানে এই না যে সফল হচ্ছে তার কথা বলা আমি বন্ধ রাখতে পারব।’

আরও পড়ুন:
পা দিয়ে লিখে জিপিএ ফাইভ পেল মানিক
উপযুক্ত শিক্ষকের অভাব আছে: শিক্ষামন্ত্রী
৪৫ বছরে এসএসসি দিয়ে পেলেন জিপিএ ফাইভ
বাবার মরদেহ রেখে পরীক্ষা দেয়া সুমাইয়া পেল জিপিএ ফাইভ
রাজশাহীতে পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ ফাইভ, এগিয়ে মেয়েরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Bengali New Year in Mahasamarohe Jabi

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে জবি ক্যাম্পাস থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। ছবি: নিউজবাংলা
জবি উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। পারিবারিকভাবেই নারী-পুরুষের সমতা, নারীকে মানুষ ভাবার মানসিকতার শিক্ষা দিতে হবে, নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে লিখতে হবে, বলতে হবে।’

মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে মহাসমারোহে বাংলা বর্ষবরণ পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাড়ম্বরে পালিত হয় বাংলা নববর্ষ-১৪৩১।

বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে জবি ক্যাম্পাস থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসে।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, জবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ

মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ‘রিকশাচিত্র’কে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন/ মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘের মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ শোভাযাত্রায় স্থান পায়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিল চারুকলা অনুষদ।

আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল সোয়া দশটার দিকে আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও সীমিত অবকাঠামো ও স্বল্প পরিসর নিয়েও সকলের সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে।

‘পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান ও তারপর বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্য। বঙ্গবন্ধুর এই অবদান যেন আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের চিন্তা চেতনায় ধারণ করতে পারে।’

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ

তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। পারিবারিকভাবেই নারী-পুরুষের সমতা, নারীকে মানুষ ভাবার মানসিকতার শিক্ষা দিতে হবে, নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে লিখতে হবে, বলতে হবে।’

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সভাপতি প্রমুখ।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বিকেলে জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠির পরিবেশনা এবং জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হয়।

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ

এ সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলে আনন্দে নেচে গেয়ে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বর্ষবরণকে আনন্দবহ করে তোলেন।

প্রকাশনা প্রদর্শনী

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহিদ রফিক ভবনের নীচতলায় দিনব্যাপী ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বার্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ স্থান পায়।

মন্তব্য

শিক্ষা
Professor Fazlul Halim Chowdhurys 28th death anniversary today

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কুমিল্লা জেলার কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল আজিজ চৌধুরী একজন শিক্ষাবিদ, মাতা আফিফা খাতুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের বাবা অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৯ এপ্রিল)।

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৫১ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৫৬ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কো দিল্লির বিজ্ঞান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফলিত রসায়ন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সভাপতি।

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কুমিল্লা জেলার কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল আজিজ চৌধুরী একজন শিক্ষাবিদ, মাতা আফিফা খাতুন।

বরেণ্য এ অধ্যাপকের মেয়ে হয়েছেন বাবার মতো গুণী। অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
BUET should have both student politics and learning environment
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার পরিবেশ দুই-ই থাকা উচিত

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার পরিবেশ দুই-ই থাকা উচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি অবদান রেখেছে। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে। কিন্তু আমি অবাক যে সেখানে একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয়। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আবার সেখানে আন্দোলনও হয়।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুয়েটে অবশ্যই ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত। তেমনই শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

বাংলাদেশের সব অর্জনের সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্রলীগ যুক্ত বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধ, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশ গঠন এবং এরশাদ ও জিয়া যখন আমাদের গণতন্ত্রকে শেকল পরিয়েছিলেন তখন গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি অবদান রেখেছে। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে- যারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দিচ্ছেন। কিন্তু আমি অবাক যে সেখানে একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয়। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আবার সেখানে আন্দোলনও হয়।

‘এটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নয় এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেই আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই আদেশ বাতিল করেছে এবং সেখানে ছাত্র রাজনীতির দুয়ার খুলেছে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগকে বলবো- সেখানে যেন নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি হয়, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি যেন না ঢোকে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতা তৈরি হয়।

এ সময় নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘আমি ১৫ বছর বয়সে ক্লাস টেনে পড়ার সময় থেকে ছাত্রলীগের কর্মী। আর ১৬ বছর বয়সে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হয়েছি।’

মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘রাজনীতি যে দেশ ও মানুষের সেবা এবং সমাজ পরিবর্তনের একটি ব্রত, সেটি অনেক রাজনীতিবিদ ভুলে গেছেন। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি কারও পেশা হওয়া উচিত নয়।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বস্তুগত উন্নয়নের সঙ্গে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু-কন্যা বহু কল্যাণ ভাতা চালু করেছেন। সেই ব্রত ধারণ করেই আজকে ছাত্রলীগ দুস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য তাদেরকে অভিনন্দন।’

সভা শেষে সমবেতদের মাঝে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আরও পড়ুন:
জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্রাজিল সফরের সম্ভাবনা, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপি নেতা-কর্মীরাও: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিএনপি নেতারা ভোটে না আসার যন্ত্রণা বুঝতে পারছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের ১৮০ সেনা ফিরে যাবে, তবে এখনই নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

শিক্ষা
HC orders BUET rabbi to return hall seat

বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট। ফাইল ছবি
বুয়েটের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।

এর আগে রোববার ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে বুয়েটের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে ইমতিয়াজের হলে সিট ফেরত দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। সোমবার ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করেন।

জানা যায়, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বুয়েট ক্যাম্পাসে ২৭ মার্চ বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের একটি দল প্রবেশ করে। এর প্রতিবাদে ২৯ মার্চ বেলা আড়াইটা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে বুধবার মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেনকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল (আবাসিকতা) বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

পরে ২৯ মার্চ রাতে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদারের নির্দেশে ইমতিয়াজ হোসেনের হলের আসন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বুয়েটের রেজিস্ট্রার মো. ফোরকান উদ্দিন।

একইসঙ্গে জানানো হয়, সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশ দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এদিকে ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়। ২০১৯ সালে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা স্থগিত করে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন:
বুয়েটের ছাত্রলীগমনা ২১ শিক্ষার্থীর প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি
রাজনীতিমুক্ত বুয়েটের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ছাত্রদলের সংহতি প্রত্যাখ্যান করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা
‘হত্যার হুমকি’ পাচ্ছেন বুয়েটের ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা, উপাচার্যের কাছে আবেদন
প্রধানমন্ত্রীকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি, প্রয়োজনে আইন সংশোধনের অনুরোধ

মন্তব্য

শিক্ষা
Distribution of Eid gifts among street children in DU

ঢাবিতে পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ

ঢাবিতে পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সুইমিংপুল সংলগ্ন মাঠে বিতরণের এ আয়োজন করা হয়। আয়োজন শেষে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে নতুন কাপড় তাদের ঈদের খুশি এনে দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে থাকা ভাসমান সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের পক্ষ থেকে এই উপহার বিতরণ করেছেন।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সুইমিংপুল সংলগ্ন মাঠে বিতরণের এ আয়োজন করা হয়। আয়োজন শেষে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে নতুন কাপড় তাদের ঈদের খুশি এনে দিয়েছে।

ঈদ উপহার পেয়ে টিএসসির এক সুবিধাবঞ্চিত শিশু রাব্বি বলেন, আমাদের সবাইকে অনেক সুন্দর সুন্দর কাপড় দিয়েছে। অনেক খুশি লাগছে আমার। এবার ঈদের দিন এই পাঞ্জাবিটা পরে ইদ করবো আমি৷

এই আয়োজনের দায়িত্বে থাকা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম বাসেত বলেন, প্রত্যেক বাগান মালিই তার বাগানের ফুলগুলোর যত্ন করে। ওরা আমাদের বাগানের ফুল, আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ ওদের যত্ন নেয়া। আমাদের সভাপতি শয়ন ভাই সবসময় ওদের খোঁজ খবর রাখেন।

এসময় সেখানে অন্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদিন, রেজাউল করিম রিয়াদ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মাউনজিরা বিশ্বাস সুরভী, নাট্য ও বিতর্ক উপসম্পাদক সাইফ আকরাম, মানবসম্পদ উপসম্পাদক মিজানুর রহমান, গণযোগাযোগ উপসম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ তিতাস প্রমুখ।
মনিরুল

মন্তব্য

শিক্ষা
Bobby Chhatra League committee soon Sheikh Inan

ববি ছাত্রলীগের কমিটি শিগগিরই: ইনান

ববি ছাত্রলীগের কমিটি শিগগিরই: ইনান ছাত্রলীগের লোগো। ফাইল ছবি
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত ইউনিট। এটি গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরিচালিত হয়। আমরা গত এক যুগের অবসান ঘটিয়ে আশা করছি খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ববি শাখার সাংগঠনিক কমিটির রূপদান করতে পারব।’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (ববি) ছাত্রলীগের কমিটি শিগগিরই গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।

ইনান বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত ইউনিট। এটি গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরিচালিত হয়। আমরা গত এক যুগের অবসান ঘটিয়ে আশা করছি খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ববি শাখার সাংগঠনিক কমিটির রূপদান করতে পারব।’

এ বিষয়ে ববি ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, ‘ববির সমসাময়িক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে আরও আগে, তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বেশ কয়েকবার আশ্বস্ত করলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। সবসময়ই সরব ভূমিকা দেখা যায় ববি ছাত্রলীগকে।

‘বিভিন্ন দিবস পালনসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান হয় ববি ছাত্রলীগের ব্যানারে। বিভিন্ন সময় বিভিন্নজন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কালের বিবর্তনে এখন অনেকে হারিয়ে গেছেন, কিন্তু তাদের কেউ ছাত্রলীগের কমিটিতে জায়গা পাননি।’

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫
প্রায় ১১ বছর পর শাবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি
রাজধানীতে সেহরি বিতরণ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের
মাসব্যাপী ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে ছাত্রলীগ
শাবি ছাত্রলীগের ৮ কর্মীকে হল থেকে বহিষ্কার

মন্তব্য

শিক্ষা
Scam in the name of job vice chancellor by opening fake email

ভুয়া ইমেইল খুলে জবি উপাচার্যের নামে স্ক্যাম

ভুয়া ইমেইল খুলে জবি উপাচার্যের নামে স্ক্যাম কোলাজ: নিউজবাংলা
সবাইকে এই অসাধু উদ্দেশ্যে তৈরি ইমেইল থেকে আসা সব বার্তা পরিহার করে চলতে ও এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতেও অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নামে ভুয়া ইমেইল আইডি খুলে করে বিভিন্ন মানুষকে স্ক্যাম মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি অসাধু মহল [email protected] নামের ইমেইল অ্যাড্রেসটি থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে স্ক্যাম মেসেজ পাঠাচ্ছে। এই ইমেইলটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নয় এবং এর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়র কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই।

স্ক্যামের উদ্দেশ্যে তৈরি করা এ ইমেইলটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া সবাইকে এই অসাধু উদ্দেশ্যে তৈরি ইমেইল থেকে আসা সব বার্তা পরিহার করে চলতে এবং এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ওসি শাহীনুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের অধীনে পরিচালিত সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

‘তারা বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ জিডির বিস্তারিত গোপন রেখেছে।’

মন্তব্য

p
উপরে