ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার। তবে সম্মেলনে কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়নি। ৬ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে কেন্দ্রের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি ঘোষণা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিকেল ৩টায় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে ঢাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। এর প্রায় দুই মাসের মাথায় ৩১ জুলাই ঢাবি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাদ্দাম হোসেন নেতৃত্বে আসেন। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে আসতে আগ্রহীদের কাছ থেকে জীবন-বৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়। সম্মেলনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি রায়হান কাউসারকে।
আগ্রহী প্রার্থীরা শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে গোলঘর থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দেন।
রায়হান কাউসার বলেন, ‘২৩৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।’
জানা যায়, ঢাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদের জন্য বিভিন্ন হল, অনুষদ, ইনস্টিটিউট, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাবি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির পদপ্রাপ্তরা প্রার্থী হয়েছেন।
সম্মেলন উপলক্ষে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘সম্মেলন হলে তৃণমূল কর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাসমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। সংগঠনেও গতিশীলতা আসে। সংগঠনে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছাত্রলীগকে আরও বেগবান করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন-২০২২ গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগে আগামীতে এমন নেতৃত্ব আসুক যারা শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষহীন। তারা যেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য ভূমিকা রাখতে পারবে।’
নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে যারা
সম্মেলন ঘিরে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা লবিং-তদবিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। একইসঙ্গে মধুর ক্যান্টিনসহ দৃশ্যমান স্থানে নিজেদের ছবিসংবলিত ব্যানার-পোস্টার টানিয়ে নিজেদের প্রার্থিতার জানান দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিগত কয়েক কমিটির তথ্য বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখায় নেতৃত্ব দেয়াদের মধ্যে যেকোনো একজন ঢাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে এসেছেন।
বর্তমান ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস আগে জগন্নাথ হল শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে সাধারণ সম্পাদক হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে ছিলেন না। তিনি হল রাজনীতিতে স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এর আগে ২০১৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
২০১১ সালে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা আগে স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
এসব কিছু বিবেচনায় এবারও হল ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্য থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব চান পদপ্রত্যাশী অনেকে। আর সে লক্ষ সামনে রেখে হল ছাত্রলীগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এরকম প্রত্যেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঢাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে আসার দৌড়ে এগিয়ে আছেন- হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের সভাপতি শহিদুল হক শিশির ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ হলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হল শাখার সভাপতি মেহেদি হাসান শান্ত, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজিব ও সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখার সভাপতি তানভীর শিকদার, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা, স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম এবং ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন নাইম।
এছাড়াও আলোচনায় আছেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সাহিত্য বিষয়ক উপ-সম্পাদক জয়দ্বীপ দত্ত (জয়জিৎ), নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ, সহ-সম্পাদক দিদারুল আলম, এস এম রাকিব সিরাজী, ঢাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ তালুকদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম।
এদিকে বেশ কয়েকজন নারী নেতাও আলোচনায় রয়েছেন। তারা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফরিদা পারভীন, তিলোত্তমা শিকদার, উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বী এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক রওনক জাহান রাইন।
কেমন নেতৃত্ব চান- এমন প্রশ্নে শহিদুল্লাহ হলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘আমাদের নেত্রী ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী বাংলাদেশ গঠন করতে চাচ্ছেন। এজন্য কিন্তু বিজ্ঞানমনষ্ক কিছু ছেলের দরকার আছে। আর আমাদের সামনে জাতীয় নির্বাচন আছে।
‘সেই নির্বাচনে রক্ত বিসর্জন দিয়েও যে রাজপথে থাকতে পারবে, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থেকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য কাজ করতে পারবে এবং সততা দেশপ্রেম ও ত্রিশ লাক শহীদের রক্তের ঋণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে রাজনীতি করবে- এমন নেতৃত্ব আসবে এমন প্রত্যাশা আমার।’
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখার সভাপতি তানভীর শিকদার বলেন, ‘হল ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে যারা সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিল তাদেরকে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আনলে তারা নিজেদের আরও মেলে ধরার সুযোগ পাবেন।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে, পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, নিয়মিত শিক্ষার্থী, বিতর্কমুক্ত, সৎ ও যোগ্যদেরই কমিটিতে স্থান দেয়া হবে। যারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের কমিটিতে রাখা হবে না। আমাদের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব নির্বাচনে এসব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিকতার প্রাধান্যও থাকবে। সে ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপুর, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের প্রাধান্য থাকবে।
বিগত কয়েকটি কমিটির তথ্য-বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের প্রার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে এসেছেন। এর বাইরে উত্তরবঙ্গ, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ-ঢাকা অঞ্চলের প্রার্থীদেরও বিবেচনা করা হবে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান ও বিতর্কমুক্তদের প্রাধান্য দেয়া হবে।
এছাড়া করোনাকালে যেসব নেতা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভুক্তভোগীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেবা পৌঁছে দিয়েছেন তাদেরও বিবেচনায় রাখা হবে।
আরও পড়ুন:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে নওগাঁ জেলায় হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে।
এদিকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ’ বিল পাসের খবরে আনন্দে ভাসছে নওগাঁ। এমন বড় উপহার দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
সংসদ অধিবেশনে বিলটির উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। তবে তাদের সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। পরে বিলটি পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেয় সংসদীয় কমিটি।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষত বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী সংসদ সদস্য বা স্থানীয় সরকারের কোনো পদে প্রার্থী হতে চাইলে ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে ইস্তফা দেবেন।
আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ-১৯৭৩ এর বিধানাবলি পরিপালন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তিনি নির্ধারিত শর্তে স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছরের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ করবেন। নিয়োগ বাতিলের ক্ষমতাও তাঁর হাতে থাকবে।
নওগাঁয় আনন্দ মিছিল
জাতীয় সংসদে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ’ বিল সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার খবরে আনন্দে ভাসছে নওগাঁ। এমন বড় উপহার দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের হয়েছে। তাদের এই খুশির স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলার নিয়ামতপুর, সাপাহার, মহাদেবপুর, বদলগাছী ও পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
পাবলিক এই বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে নওগাঁবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নওগাঁ কিংবা উত্তারাঞ্চল নয়, পুরো দেশের জন্যই শিক্ষার নতুন দার উন্মোচন করবে। সরকারি সফরে জাপানে থাকায় মোবাইল ফোনে গণমাধ্যমকে এই অভিব্যক্তি জানান তিনি।
নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার বলেন, এটি নওগাঁবাসীর জন্য আশীর্বাদ।
সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। আমার পিতা প্রয়াত নেতা আব্দুল জলিলেরও স্বপ্ন ছিলো এমন একটি বিদ্যাপিঠ প্রতিষ্ঠার। দীর্ঘদিন পর হলেও এমন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক নারীকে হেনস্তা এবং তার স্বামীকে মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে দেয়া পত্রের উত্তর ৭ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য রাহুল রায় ও কবি জসিম উদ্দীন হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজীর আরাফাত তুষার।
তাদের মধ্যে তুষার ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আর রাহুল ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাহুল আর তুষারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না মর্মে পত্রপ্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী সেই নারী।
তিনি বলেন, ‘আমি আজ অনেক খুশি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ভাই আর সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
এর আগে ১৭ জানুয়ারি ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে রাহুল, তুষারসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
সে সময় ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘আমার স্বামীকে নিয়ে রোববার সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের দিকে যাই। আমার স্বামী বাইক খুব ধীরগতিতে চালাচ্ছিল। তখন রাহুল এসে আমাকে হেনস্তা করে। এরপর তারা কয়েকজন আমার স্বামীর বাইক থামিয়ে তাকে মারতে থাকে।
‘আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে পাশে থাকা আনসারের চেয়ার নিয়ে আমাকে তিনবার আঘাত করে রাহুল। পরে আমার চেঁচামেচিতে লোকজন জড়ো হয়। এর মধ্যে আমি থানায় গেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে আমার স্বামীকে উদ্ধার করেন।’
বাজারে ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরির পাশাপাশি নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সরকারপ্রধানের কার্যালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঔষধ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রস্তাবিত আইনে নতুন করে কসমেটিক বিক্রির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গত বছরের ১১ আগস্ট ঔষধ আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগের দুইটি আইনকে এক করে সেখানে নতুন কিছু বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করে ঔষধ আইন করা হচ্ছে। এই আইনের খসড়ায় নতুন করে কসমেটিকের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি জানান, ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরির পাশাপাশি নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ উৎপাদন এবং সরকারি ওষুধ বিক্রি করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে।
সচিব জানান, আইনটি পাস হলে কসমেটিক ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিবন্ধন লাগবে।
তিনি আরও জানান, প্রস্তাবিত আইনে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণের ধারা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:শিক্ষাক্রম নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আর কোনো ইস্যু না পেয়ে এখন একটি গোষ্ঠী এর পেছনে লেগেছে।’
শনিবার চাঁদপুর স্টেডিয়ামে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে আমাদের পুরো পঠন ও শিখন পদ্ধতি সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। সেটির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দময় শিক্ষা পাচ্ছে, সত্যিকার অর্থে শিখছে, যেটি তারা সারা জীবন ধারণ করবে, আত্মস্থ ও প্রয়োগ করতে পারবে প্রয়োজন মতো।
এই ডামাডোলের মধ্যে সে বিষয়টি চাপা পড়ে যাচ্ছে। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যে গুণগত পরিবর্তন এসেছে, তারা এটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাচ্ছেন। এর অর্থ হচ্ছে সবাই একটি ভাসা ভাসা জিনিস নিয়ে কথা বলছি। একজন চিৎকার করছেন এবং অন্যজন তার সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ ক্যান্টিনে খাবারের মধ্যে তেলাপোকা পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন হলের আবাসিক ছাত্রীরা।
শুক্রবার দুপুরে ক্যান্টিনে খাবার খেতে যান হলের রুহিনা রুহি নামে এক শিক্ষার্থী। এ সময় তার পাশে বসে খাবার খাওয়া অনেক শিক্ষার্থী খাবারের মধ্যে তেলাপোকা দেখতে পান। পরে খাবার নিয়ে দেখানো হলে নতুন করে খাবার দেয়া হলেও ক্যান্টিনের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর বিষয়টিকে তেমন পাত্তা দেননি।
আবাসিক ছাত্রীদের অভিযোগ, ডাইনিংয়ের খাবারে প্রায়ই তেলাপোকা ও মাছি পাওয়া যায়। বিষয়টি বার বার জানালেও দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা গুরুত্ব দেন না। এছাড়া খুব নিম্নমানের চাল দিয়ে ভাত রান্নাসহ বাসি ভাত পরিবেশন করা হয়। অন্যদিকে গ্যাস সংকটে নিজেরা রান্না করেও খেতে পারছেন না তারা।
ছাত্রীদের হল ডাইনিংয়ে দুপুর ও রাত মিলে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীর জন্য খাবার রান্না করা হয়। শুক্রবার খাবার খেতে গিলে খিচুড়ির মধ্যে তেলাপোকা দেখতে পেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিলে ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠে আসে।
সমাপ্তি নামে এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলে পানির সমস্যা, গ্যাস নেই, কিচেন নোংরা৷ এখন আবার তেলাপোকা ভর্তাও খেতে হচ্ছে। অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছে না।’
এদিকে চাল বা ডালে পোকা ছিলো না দাবি করে ক্যান্টিন ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘রান্নাঘরের উপরে টিনের ছাউনি। সেখানে অনেক ময়লা থাকায় পোকামাকড় আসতে পারে। অনেকদিন ধরে ময়লা সরানো হচ্ছে না, তেলাপোকা তো আসবেই! অনেক সময় ছাত্রীরাও উপর থেকে ময়লা ফেললে ক্যান্টিনের খাবারের ঘরে এসে পড়ে। এসব থেকে তেলাপোকা আসে।’
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বিষয়টি অবগত হয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি হলের ক্যান্টিন কমিটির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব। হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন হাউজ টিউটর ছুটিতে থাকায় একটু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
গ্যাস সংকটের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা প্রধান প্রকৌশলী এবং বাপেক্সকে চিঠি দিয়েছি। উপাচার্যের সঙ্গেও বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এটার সমাধান হবে।’
আরও পড়ুন:মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে মেহেরপুর জেলা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এ লক্ষ্যে একটি বিল পাস হয়েছে।
অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেহেরপুর বিল-২০২৩’ উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা। তাদের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর বিলের ওপর আনীত সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন স্পিকার।
১০ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ-১৯৭৩ এর বিধানাবঈ পরিপালন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য।
আচার্য নির্ধারিত শর্তে স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছরের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ দেবেন। কোনো ব্যক্তি একাদিক্রমে বা অন্য কোনোভাবে উপাচার্য হিসেবে দুই মেয়াদের বেশি নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। আচার্য যেকোনো সময় উপাচার্যের নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলী নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী, সংসদ সদস্য বা স্থানীয় সরকারের কোনো পদে নির্বাচিত হতে প্রার্থী হতে চাইলে ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে ইস্তফা দেবেন।
বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনে আচার্যের অনুমোদন নিয়ে ‘বিজনেস ইনকিউবেটর’ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। বিজনেস ইনকিউবেটর হলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্থাপিত বা পরিচালিত কোনো বিজনেস ইনকিউবেটর, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে সব সহযোগিতা দেয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষার্থী কর্তৃক কোনো উদ্ভাবন, মেধাস্বত্ব, আবিষ্কার বা প্রক্রিয়া, বাজারজাত এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য সহযোগিতা প্রদান।
আরও পড়ুন:কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গলবার। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এবং শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী।
রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বলেন, ‘এটিই হয়তো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আমার শেষ উপস্থিতি। দেশজ নাম ও ব্র্যান্ডকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এবং গর্বের সঙ্গে নিজেদের পণ্যকে ধারণ করতে হবে।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বহু বছর সাফল্যের সঙ্গে কানাডায় নিজের ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। এখন তিনি দেশে ফিরে বিভিন্ন খাতে বিপুল বিনিয়োগ করছেন। আমি প্রবাসী সব ব্যবসায়ীকে আহবান জানাই দেশে বিনিয়োগ করার জন্য।’
সমাবর্তন বক্তা নোবেল বিজয়ী কৈলাস সত্যার্থী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে বলেন, ‘আপনাদের স্বপ্ন দেখতে হবে, নিজেকে আবিষ্কার করতে হবে। যে কোনো ভালো কাজের উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়িত করতে হবে। হয়তো কোনো একদিন এই কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশেরই এক ছাত্র নোবেল বিজয়ী হবে। আমি সেদিন নিজে আসব বিজয় উৎসবে অংশ নিতে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট-২০১০, জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০১০, উচ্চ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনসহ নানা শিক্ষাবান্ধব উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশে শিক্ষার হার প্রশংসনীয়ভাবে বেড়েছে। আমরা এখন দক্ষ জনবল সরবরাহ করি। যারা এখন সারাবিশ্বেই তাদের কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে বিশ্বের বুকে স্থান করে নিচ্ছে।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ‘গেস্ট অফ অনার’ হিসেবে যোগদান করেন। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত তার বক্তব্যে বলেন, ‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে রয়েছে আধুনিক সময়োপযোগী বিভিন্ন বিভাগ। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে রয়েছে বৃত্তির সুযোগ। ইনফরমেশন সিস্টেমস অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।’
মালয়েশিয়ার বিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য যোসেফ আদাইকালাম, অ্যারো বিজনেস এবং জিই গ্যাস পাওয়ারের সিইও দিপেশ নন্দ বিশেষ বক্তা হিসেবে যোগ দেন সমাবর্তনে।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ৪৩০ জন গ্রাজুয়েট রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ডিগ্রি গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে চারজন- সামিয়া বিনতে নাঈম, সুমাইয়া সুলতানা, ফারজানা বিন্ত মোহাম্মদ ও মো. সাখাওয়াত হোসেন স্বর্ণপদক পান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য