মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার ফ্যাকাল্টি টাওয়ার ৩, ৪, অ্যাডমিন টাওয়ার ও হল অফ ফেমের উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমআইএসটির সাবেক কমান্ড্যান্টবৃন্দ, সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্থাপনাগুলো উদ্বোধনের মাধ্যমে এমআইএসটির প্রতিটি অনুষদের বিপরীতে একটি করে স্বতন্ত্র টাওয়ার বিল্ডিং-এ একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সহজ হবে। উদ্বোধন করা ফ্যাকাল্টি টাওয়ারগুলোতে সর্বাধুনিক (স্টেট অফ আর্টস) গবেষণাগার রয়েছে, যা এমআইএসটি তথা বাংলাদেশের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।
আইএসপিআর জানায়, হল অফ ফেম-এর দেয়ালে সংরক্ষিত হয়েছে এমআইএসটির প্রতিষ্ঠা থেকে এ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, সব স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের নাম, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাগুলোর উল্লেখযোগ্য সাফল্য।
সেনাপ্রধানের উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করা এমআইএসটির পেট্রোলিয়াম ও লুব্রিকেটিং স্টেটিং ল্যাব বাংলাদেশে ব্যবহৃত পেট্রোলিয়ামজাত জ্বালানির সঠিক মান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সেনাপ্রধান একইসঙ্গে সাইবার সিকিউরিটিতে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত সাইবার রেঞ্জও পরিদর্শন করেন।
নতুন প্রশাসনিক ভবনে ৪৫ হাজার বর্গফুটের এমআইএসটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরি রয়েছে। লাইব্রেরির একটি অংশে একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রায় চার হাজার বই সংবলিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে লাইব্রেরিতে আনুমানিক আড়াই হাজার বই নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ ‘শেখ রাসেল আঙ্গিনা’, যা শেখ রাসেল সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের জানতে সাহায্য করবে।
১৯৯৯ সালে নতুন কোনো অবকাঠামো নির্মাণ ছাড়াই সেনাবাহিনীর নিজস্ব স্থাপনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন ছাত্র অফিসার নিয়ে মিরপুর সেনানিবাসে যাত্রা শুরু করে এমআইএসটি। বর্তমানে চারটি অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে ২ হাজার ৯১৭ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি এমআইএসটিতে ৮টি বিভাগে এমএসসি, ৩টি বিভাগে এমফিল এবং ৭টি বিভাগে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু আছে।
শিক্ষক পদে ছাত্রলীগ কর্মীর চাকরি না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। একই সঙ্গে শাটল ট্রেন অবরোধ করে রেখেছে তারা।
চবির সিন্ডিকেট সভা চলাকালে সোমবার বিকাল চারটার দিকে ভাঙচুর চালানো হয়।
চবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মঈনুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘ছাত্রলীগের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ছেলেকে চাকরি না দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন নেতা ও জামাত-শিবির মদদপুষ্ট নিয়োগপ্রার্থীকে নেয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি এদেরকে বাদ দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত জামাত-শিবির মদদপুষ্ট নিয়োগপ্রার্থীকে বাদ দেয়া হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ট্রেন অবরোধ থাকবে।’
চবির প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, ‘ভাঙচুর কেন হয়েছে সেটা তদন্ত সাপেক্ষে বুঝা যাবে। নিয়োগের বিষয়ে এক্সপার্ট বোর্ড যাদের ভালো মনে করছে তাদের নিয়েছে। শাটলের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
আরও পড়ুন:পাঠ্যবইয়ের ভুলভ্রান্তি সংশোধনের পাশাপাশি এর পেছনে কারও গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে দুটি কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিগগিরই এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রটি জানায়, বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম ওয়াহিদুজ্জামানকে। বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এই কমিটি করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের বিভিন্ন ভুল পর্যালোচনা করে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি ভুল সংশোধন করবেন।
অন্যদিকে প্রশাসনিক কমিটির প্রধান করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তারকে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে এই কমিটি করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকে ভুলের পেছনে কারও গাফিলতি আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বইয়ে কী ধরনের ভুল বা বিতর্ক রয়েছে তা যাচাই-বাছাই করার জন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আমাদের রিপোর্ট দেবে, আমরা বই সংশোধন করব। পাশাপাশি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মতো কোনো বিষয় যেন না থাকে সে জন্য কাজ করব।’
আরও পড়ুন:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দ্বাদশ বাংলাদেশ রসায়ন অলিম্পিয়াড ২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করা দেশের বিভিন্ন কলেজের ৩৪০ জন শিক্ষার্থী থেকে সেরা ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি ও রসায়ন বিভাগের যৌথ আয়োজনে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এর মূল পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি অলিম্পিয়াড কার্যক্রমের প্রাইমারি রাউন্ডে ৩৪০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। তাদের মধ্যে থেকে মূল পর্বের জন্য ৯৯ জন নির্বাচিত হন। ফাইনাল রাউন্ডে পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করে ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
তারা হলেন- নটরডেম কলেজের আর্জ কর, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের তামিম মো. রাঈদ, সরকারি তোলারাম কলেজের আহাদ ইসলাম তালুকদার, সোনারবাংলা কলেজের ইরফান আহমেদ, নটরডেম কলেজের সঞ্জয় কুমার, চট্রগ্রাম কলেজের নিলয় দেব, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের লিহান হায়দার, চট্টগ্রাম কলেজের আয়মান রাফী, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের নিশাত সুলতানা এবং বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের অভিষেক মজুমদার।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেরা ১০ জনকে সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও ক্যালকুলেটর উপহার দেয়া হয় এবং প্রথম স্থান অধিকারীর হাতে একটি ট্যাব তুলে দেয়া হয়। এই সেরা ১০ জনের মধ্য থেকে বাছাইকৃত প্রথম ৪ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সুইজারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক রসায়ন অলিম্পিয়াডে পাঠানো হবে।
রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শামসুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান এবং বাংলাদেশ ক্যামিকেল সোসাইটির সভাপতি মো. রজিউর রহমান মল্লিক।
অলিম্পিয়াডের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমান।
আরও পড়ুন:নিয়মিত জিমে যাওয়া ও পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণসহ স্বাস্থ্য রক্ষার সব নিয়ম মানার পরও শুকিয়ে যাচ্ছিলেন আবিদ ও সেজান (ছদ্মনাম)। অথচ তাদের বয়স যথাক্রমে ২২ ও ২৫ বছর। এক পর্যায়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হয়ে তারা জানতে পারলেন কারণটা।
স্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি মাসলম্যান হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত জিমে যাওয়াটাই তাদের জন্য কাল হয়েছে। জিমে অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে তারা লিভার এনজাইম ও হরমোনাল ইমব্যালেন্স-এর মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
তাদের একজনের লিভার এনজাইমের মাত্রা অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে। আরেকজনের টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণত এই বয়সে এমন শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার কথা নয়।
জিমে গিয়ে স্টেরয়েড সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক বয়সে না নেয়ায় তাদের আচরণে অস্বাভাবিকতা চলে আসে। পরিবারের সদস্যরাও বিষয়টি ধরতে পারেন। কারণ জিম করেও তারা শুকিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে চিকিৎসার জন্য এই দুই তরুণকে ঢাকায় আনা হয়।
রাজধানীর গ্রীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ডা. রায়হান শহীদুল্লাহ বলেন, এই দুই তরুণ এখনও পুরোপুরি রিকভার করে উঠতে পারেনি। আর এই শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল।
ডা. রায়হান বলেন, ‘স্টেরয়েড সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো চিকিৎসকরা বিভিন্ন রোগ বুঝে প্রেসক্রাইব করেন। আর জিমে যে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয় তা আর্টিফিসিয়াল বডি বিল্ডিংয়ের জন্য।
‘বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো এই স্টেরয়েড উৎপাদন করে না। এগুলোর বেশিরভাগই চীন থেকে আনা হয়। প্রতিবেশী ভারত থেকেও নিয়ে আসা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই স্টেরয়েড প্রেসক্রাইব করার কোনো অথেনটিসিটি নেই। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে জিমে সাপ্লিমেন্ট দেয়া যায়। তবে কোনো চিকিৎসকই বডি বিল্ডিংয়ের জন্য স্টেরয়েড প্রেসক্রাইব করেন না। কারণ এর কোনো অনুমোদন নেই। এগুলোর বেশিরভাগই আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রাগ।
‘কোনো ফার্মেসিতেও এটা পাবেন না। দুই-একটা পাওয়া গেলেও সেটা নির্দিষ্ট কোনো রোগ যেমন ব্রেইন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার- এসব ক্ষেত্রে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর এগুলো খুবই ব্যয়বহুল। আবার চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র কোনো ফার্মেসি বিক্রিও করবে না।’
পার্শপ্রতিক্রিয়া
স্টেরয়েডের প্রধান কাজ হলো মাসল বৃদ্ধি। জিমে নিয়মিত ব্যায়াম করে এক বছরে যেটুকু মাসল বাড়ানো যায় সেটা স্টেরয়েড ব্যবহার করে দুই বা তিন মাসেই করা সম্ভব। এর বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো, শরীরে প্রাকৃতিকভাবে যে হরমোন তৈরি হয় সেটা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ছেলেদের ক্ষেত্রে দেখা গেল, টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরিই বন্ধ হয়ে গেল। তখন নানাভাবে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। যদি মেইল হরমোন অর্থাৎ ছেলেদের হরমোনই তৈরি না হয় সে ক্ষেত্রে তো ওই মানুষটি পুরুষের মতো আচরণই করবে না। তখন প্রজনন ক্ষমতার ক্ষেত্রেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এছাড়া পরিমাণ না বুঝে স্টেরয়েড ব্যবহারে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হার্ট ফেইলিউরও হতে পারে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে দেখা যায়, অনেক বডি বিল্ডার কম বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছে। স্টেরয়েডের অস্বাভাবিক ব্যবহার এর অন্যতম একটি কারণ।
তাহলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না জেনেই কি জিমে স্টেরয়েডের ব্যবহার হচ্ছে- এমন প্রশ্নে ডা. রায়হান শহীদুল্লাহ বলেন, ‘বছর দশেক আগেও মানুষ এ বিষয়ে তেমন একটা জানত না। অনেকে এগুলোকে সাপ্লিমেন্ট মনে করত। তিন/চার বছর ধরে মানুষ কিছুটা হলেও জানতে পারছে।
‘সঠিক নিয়মে জিম না করলে জয়েন্টে ইফেক্ট পড়তে পারে। লিগামেন্ট ছিঁড়ে যেতে পারে। এমনকি অপারেশন পর্যন্ত করতে হতে পারে।
‘তাই স্টেরয়েড নিলেও চার সপ্তাহ পর তা বন্ধ করে দিতে হবে। হরমোনাল ব্যালান্স আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য ‘Post Cycle Therapy’ দিতে হয়।
অলি-গলিতে জিম, নেই প্রশিক্ষক
রাজধানী ঢাকা তো বটেই, দেশের বিভাগ, জেলা এমনকি উপজেলা সদর পর্যায়েও গড়িয়ে উঠেছে জিম। এর সঠিক পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য খাত-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও জানে না।
ফিটনেস সেন্টার হিসেবে পরিচালিত এসব জিমে নেই সার্টিফিকেটধারী কোনো প্রশিক্ষক। ফলে এসব জায়গায় স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য গিয়ে অনেকেই কাঙ্ক্ষিত সেবাটা পাচ্ছেন না। উপরন্তু মাত্রাজ্ঞান ছাড়া স্টেরয়েডের ব্যবহারে তারা আক্রান্ত হচ্ছেন জটিল রোগে।
ট্রেনিং-এর বিষয়ে মিস্টার বাংলাদেশ এবং ফিটনেস কোচ সাকিব নাজমুস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মালয়েশিয়া থেকে ছয় মাসের একটি ট্রেনিং নিয়েছি। সব জিমে ট্রেনার নেই, আবার জিম করতে করতে অভিজ্ঞতা হয়ে গেলে ট্রেনার হয়ে যায়। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা তাদের নেই। এর অবশ্য একটি বড় কারণ, জিমে ট্রেনিং দেয়ার মতো কোনো প্রতিষ্ঠানই দেশে নেই।’
তিনি বলেন, ‘স্টেরয়েড ব্যবহারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অবশ্যই থাকে। তবে সমস্যাটা হয় এটা দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার করলে। স্টেরয়েড ব্যবহার করতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য। সর্বোচ্চ ৫ মাস এর ব্যবহার করা যেতে পারে। আর মঞ্চে পারফর্ম করার মতো কোনো বিষয় যদি না থাকে তাহলে আমি সাজেস্ট করব স্টেরয়েড ব্যবহার থেকে দূরে থাকা। এর ব্যবহারকে আমি নিরুৎসাহিত করতে চাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই স্টেরয়েড ব্যবহারের সাজেস্ট করি না, যদি না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটি প্রতিযোগিতায় যায়।
‘এটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য নিলে আবার রিমুভ করা যায়। এর জন্য কিছু মেডিসিন ও ইনজেকশন আছে। তবে সেটারও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ওজন কমানো বা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হলেও স্টেরয়েড আসলে কোনোভাবেই অনুমোদিত নয়।’
প্রতিরোধ
ডা. রায়হান বলেন ‘প্রতিটি জিমে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করা যেতে পারে। বাংলাদেশে বডি বিল্ডিংয়ের প্রচলন বেড়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যগত সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ারও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা দরকার। কারণ হুজুগে গা ভাসালে হবে না। এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কেও সবার জানা থাকা দরকার।
সবচেয়ে বড় কথা, যেহেতু স্টেরয়েডের ব্যবহার শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, তাই জেনেশুনে কারও এটা ব্যবহার করা উচিত নয়। জিম চলবে শারীরিক সুস্থতার জন্য। মাসলম্যান বানানোটা এর উদ্দেশ্য হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ, মিডিয়া, অভিভাবক- সবাইকে বুঝতে হবে স্টেরয়েড ব্যবহার করলেই স্বাস্থ্যবান থাকা যাবে না। বাহ্যিক দৃষ্টিতে হেলদি মনে হবে এটুকুই। তাই এটার ব্যবহার থেকে দূরে থাকাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।’
যা বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জিমগুলোতে যথেচ্ছ ব্যবহার ও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে দেশের স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বড় কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোনো খোঁজখবর রাখে না।
নিউজবাংলার পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমনটা জানা গেছে। একইসঙ্গে তারা বলেছেন, এখন থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জিমে স্টেরয়েডের ব্যবহার হয় এটি আমি ভাবতেই পারি না। স্টেরয়েড সাধারণত চিকিৎসকরা বিশেষ কিছু রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করেন। মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য চিকিৎসককে যখন কোনো জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয় তখন রোগীকে বাঁচানোর জন্য স্টেরয়েড দেয়া হয়।
বিষয়টি জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘আমি জিমে খোঁজ নেব। এটি তো হতে পারে না। বডি বিল্ড ন্যাচারালি হয়। মাসল বিল্ড একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেটি তো হবেই, আর সেজন্য একটা নির্দিষ্ট টাইম লাগবে। তাড়াহুড়া করে বডি বিল্ড করার নামে ব্যবসা করবে, এটা তো মেনে নেয়া যাবে না। প্রপার চ্যানেলের মাধ্যমে আমি বিষয়টি দেখব।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও এর অধিভুক্ত কলেজের ১১৪ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী, সাময়িক ও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি। এর মধ্যে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও পরীক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে ১০৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
আর নানা কারণে আরও পাঁচজনকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। তবে এসব সুপারিশের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে সিন্ডিকেটে৷
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা শিক্ষার্থীর নাম জীম নাজমুল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এই ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি।
বিভিন্ন মেয়াদে সাময়িক বহিষ্কার হওয়াদের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধবিরোধী আচরণ ও অ্যালকোহল গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।
প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘নানা অভিযোগে ১১৪ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে শৃঙ্খলা বোর্ড৷ এর মধ্যে এক নারীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ছাত্র জীম নাজমুলকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে৷ এছাড়া দুজনকে দুই বছর ও অন্য দুজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে৷’
শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ৪৭টি এজেন্ডা ছিল জানিয়ে প্রক্টর বলেন, ‘পরীক্ষার হলে অসদুপায় অবলম্বন, কর্তব্যরত শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, জালিয়াতি, মাদক সেবন ও ইভটিজিংয়ের অভিযোগগুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আরও কয়েকটি বিষয়ে অধিক তদন্ত ও প্রমাণসাপেক্ষে সামনের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:১৫ বছর বয়সেই যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড বাল্টিমোর কাউন্টি (ইউএমবিসি) থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানের ‘ডেটাবেজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ২০২২-২৩’ স্নাতক (সম্মান) সমমানের মাইক্রোমাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছে রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মাহীর আলী রুশো।
সেই সঙ্গে রুশো গত ১৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো বোল্ডারে ৯০ শতাংশ স্কলারশিপ নিয়ে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
এ ইউনিভার্সিটিতে ডিগ্রি নিতে দুই ধরনের পদ্ধতিতে ভর্তি হতে পারেন শিক্ষার্থীরা। এর একটি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট হিসেবে সিজিপিএর ভিত্তিতে এবং আরেকটি দক্ষতার ভিত্তিতে। মূলত যারা মাইক্রোমাস্টার ডিগ্রি সম্পন্ন করেছে, তারা দক্ষতার ভিত্তিতে অল্প বয়সেই ভর্তির সুযোগ পায়, যেটি পেয়েছে বাংলাদেশের ছেলে রুশো।
এর আগেও রুশো তার অর্জন দিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনায় এসেছে। বিশেষ করে তার বয়সের কারণে। কম বয়সেই সে দেশ-বিদেশের জার্নালে ২৫টির বেশি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে রুশো সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডে অলিম্পিয়া গ্লোবাল লন্ডন রাউন্ডে রুশো ও তার দল একটি স্বর্ণপদক ও একটি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক গণিত প্রতিযোগিতা (আইএমসি) ২০২২ আয়োজনে চতুর্থ বিভাগে ব্রোঞ্জ জেতে রুশো। আইএমসি হলো বিশ্বের স্কুল বয়সী বিভিন্ন গ্রেডের শিক্ষার্থীদের জন্য গণিতভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগিতা। তার আগে ২০২১ সালে অনলাইন আইএমসিতে ৯৬টি দেশের ৯ শতাধিক স্কুলের ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সেখানেও ভালো করেছিল রুশো।
রুশোর বাবা-মা দুজনেই চিকিৎসক। ছেলের ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞান আর গণিতের প্রতি ঝোঁক দেখে কিছুটা অবাক হয়েছেন। প্রথম দিকে নিজেরা বিশ্বাসও করতে চাননি, কিন্তু যখন দেখেন একের পর এক জটিল এবং উচ্চপর্যায়ের গাণিতিক সমস্যার সমাধান করছে তাদের ছেলে, তখন তারাও এগিয়ে আসেন। হাতে তুলে দেন তার পছন্দের বইপত্র।
তার বাবা রাজধানীর সেন্ট্রাল মেডিক্যাল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সে যখন ক্লাস ফাইভে পড়ে, তখন থেকেই তার বিজ্ঞানের প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। সে সময় আমার একটা ল্যাপটপ ছিল। সেটাও খুব বেশি ভালো ছিল না। একটা পর্যায়ে আমি খেয়াল করি, সে আমার ল্যাটপটে ভিডিও দেখছে। এসব ভিডিও ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথের ভিডিও। আর সবগুলোই তার চেয়ে অনেক আপার লেভেলের।
‘এরপর আমি একদিন তাকে বলি, বাবা তুমি যেসব ভিডিও দেখো সেসব কি তুমি বুঝো, নাকি শুধু দেখো? তার উত্তর ছিল, বাবা আমি বুঝি। তারপর তার সঙ্গে কয়েক দিন আমি নিয়মিত কথা বলি। দেখলাম আসলেই সে বোঝে।’
মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘তার (রুশো) বয়স যখন ১১ বছর, তখন সে ক্যালকুলাস এবং জ্যামিতিক বিভিন্ন সমাধান রপ্ত করে ফেলে। ১২ বছর বয়সে কলেজ পর্যায়ের গণিত ও ফিজিক্স অনায়াসে করতে পারত।’
রুশোর মা চিকিৎসক রুমা আক্তার বলেন, ‘তাকে অনেক ছোটবেলা থেকেই দেখেছি পড়ালেখার প্রতি ভীষণ ঝোঁক। আমার জন্য যখন কোনো বই কিনেছি, তখন তার জন্যও আমি কিনেছি বই। আসলে সন্তানকে বুঝতে হবে। সে কী চায় সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক সময় তার চাওয়ার থেকে আমাদের চাওয়াকে বেশি গুরুত্ব দিই, যা তাদের বিকাশকে বাধা দেয়।’
রুশোর ইচ্ছা পদার্থবিদ্যায় নিজের দখল আরও বাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় কাজ করার। সে জানায়, সেই লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করছে।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও অর্জন
রুশো দেশ-বিদেশের অনেক প্রতিযোগিতা ও অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ওপেন কনটেস্ট অলিম্পিয়াডে রুশো প্রতিযোগিতা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে। সেন্ট জোসেফ ন্যাশনাল পাই অলিম্পিয়াডে নটরডেমের শিক্ষার্থীকে হারিয়ে প্রথম হয়েছে সে।
বাংলাদেশ ম্যাথমেটিক্স অলিম্পিয়াড, বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড, জামাল নজরুল কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াড চ্যাম্পিয়ন এবং জামাল নজরুল জ্যোতির্বিদ্যা উৎসব, ন্যাশনাল সাইবার অলিম্পিয়াড, বাংলাদেশ জ্যোতির্বিদ্যা অলিম্পিয়াডসহ অনেক প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক বিজয়ী রুশো।
বাংলাদেশ আইকিউ অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন, ভারতের সিপিএস অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছে রুশো। বাংলাদেশ বিজ্ঞান সংগঠন থেকে গুগল-আইটি অলিম্পিয়াডে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। হিগসিনো বায়োলজি অলিম্পিয়াড বিজয়ী হয় রুশো। সেন্ট জোসেফ থেকে সুডোকু উৎসব, বাংলাদেশ সায়েন্স কংগ্রেসের ফটোগ্রাফিং ডিসক্রাইবিং কনটেস্টে চূড়ান্ত বিজয়ীও এ কিশোর।
অন্য কার্যক্রম
রুশো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ইয়ুথ ফিজিক্স চ্যালেঞ্জ (iphoc.org)-এর সিইও, কোয়ান্টাম লার্নিং ইউটিউব চ্যানেল, রুশো এডুকেশন প্ল্যানেটে শিক্ষা ও গবেষণার কাজ করে।
সে নিয়মিত গিটহাবে কোয়ানটাম কম্পিউটিং, ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং ডেটা অ্যানালিটিক্স করছে। এ পর্যন্ত তার গিটহাবে ৪৭টি রিপজিটরিস রয়েছে।
আরও পড়ুন:জেলা প্রশাসকরা শিক্ষাবিষয়ক একটি পূর্ণকালীন টেলিভিশন চ্যানেল চালু করার দাবি জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
দীপু মনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকরা শিক্ষাবিষয়ক একটি পূর্ণকালীন টেলিভিশনের কথা বলেছেন। আমরা মনে করি এটা যৌক্তিক দাবি। প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের বদান্যতায় আমরা সংসদ টেলিভিশনটি ব্যবহার করি। যদি পূর্ণাঙ্গ আরেকটি টেলিভিশন পাওয়া যায় তাহলে খুব ভালো হয়। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি এবং তা জেলা প্রশাসকদের জানিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য একটি আচরণ বিধিমালা করার প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা। আমরা মনে করি এটি ভালো প্রস্তাব। এটি নিয়ে আমরা কাজ করব।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পদবি পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা।
দীপু মনি বলেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা কর্মকর্তাদের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা কর্মকর্তাদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা করার কথা বলেছেন ডিসিরা। এটি করা যেতে পারে।’
এছাড়া হাওর অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছুটির সময় পৃথক ক্যালেন্ডারে করার দাবি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা। মন্ত্রী তাদেরকে জানিয়েছেন, এ বিষয়েও কাজ চলছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য