জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তির তৃতীয় মেধাতালিকা ও দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান সোমবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও তিন ইউনিটের মেধাতালিকা পাওয়া যাবে।
‘এ’ ইউনিটে নতুন করে মোট ৩১৮ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। ‘বি’ ইউনিটে নতুন করে ১৫৬ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৩৬ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিষয় (সাবজেক্ট) পেয়েছেন।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে তৃতীয় মেধাতালিকায় বিষয়প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আগামী ২৮ নভেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ৩০ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে নির্ধারিত ওয়েবসাইট (http://gstadmission.ac.bd) এর মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
প্রত্যেক আবেদনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতকৃত মেধাক্রম ও প্রদত্ত বিভাগ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট বিভাগে প্রাথমিক ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ইউনিট এবং বিশেষায়িত বিভাগ মিলিয়ে সর্বমোট ৪৩ হাজার ৫৫১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন।
‘এ’ ইউনিটের জন্য ১৩ বিভাগে মোট ৮২৫টি এবং ‘বি’ ইউনিটে মোট ১ হাজার ২৭০ আসন রয়েছে৷ এর মধ্যে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৮৫০টি, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ২৭০টি এবং বাণিজ্য ও অন্যান্য বিভাগের জন্য ১৫০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
‘সি’ ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ৫২০টি। এর মধ্যে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৪৬০ টি আসন এবং বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
তৃতীয় মেধাতালিকায় নতুন করে মনোনীত শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য নির্দেশনা:
১. অনলাইনে প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও প্রাথমিক ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা ২৮ নভেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ৩০ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
২. মূল কাগজপত্র জমা: ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র আবেদনকারীর প্রাথমিক ভর্তির জন্য মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে। অন্যথায়, প্রাথমিক ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। মূল নম্বরপত্র দুটি আবেদনকারীর নাম ও GST রোল নম্বর লিখে একটি A4 সাইজের খামে করে জমা দিতে হবে।
ইতোমধ্যে প্রাথমিক ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা:
১. GST-ভুক্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে ভর্তি সম্পন্ন করে থাকলে পুনরায় ভর্তি হতে হবেনা।
২. কোনো আবেদনকারী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি থাকা অবস্থায় অন্য এক বা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জন্য মনোনীত হলে পছন্দ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইগ্রেশন করতে পারবেন।
৩. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে নিজ দায়িত্বে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসরণ করে https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশনের জন্য অনলাইনে ২৮ নভেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ৩০ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
৪. সেক্ষেত্রে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন নেই৷ মূল কাগজপত্র যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে সেখানেই থাকবে।
মেধাতালিকাসহ ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (http://admission.jnu.ac.bd) পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির চলমান পদযাত্রার পরবর্তী সময় ও স্থান চূড়ান্ত করেছে দলটি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রোববার দুপুর ২টায় যাত্রাবাড়ী থেকে পদযাত্রা শুরু হবে, যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহবায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
পরদিন সোমবার দুপুর ২টায় গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হবে পদযাত্রা, যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুল হক।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় মুগদা স্টেডিয়াম থেকে পদযাত্রা শুরু করবে বিএনপি, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাস। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
এর আগে গতকাল শনিবার রাজধানীতে পদযাত্রা করে বিএনপি। বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে এটি শেষ হয়।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়া এক আসামির ফোনালাপে।
মায়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কারাগার থেকে মাকে হত্যা মামলার কথা জানিয়েছিলেন মো. আরিফ। পরে রিমান্ডে নেয়া হলে পুলিশের কাছে আগের হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন তিনি।
রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি জানান, গত ২২ জানুয়ারি ভোরে যাত্রাবাড়ীর ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের পাশের সড়কে ছুরিকাঘাতে খুন হন খলু মিয়া। সিসি টিভি ফুটেজে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যেতে দেখা যায় কয়েকজনকে।
হাফিজ আক্তার জানান, খলু মিয়া নারায়ণগঞ্জের রূপসী এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ওইদিন গাইবান্ধা থেকে সোনালী পরিবহনে করে রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটায় গোলাপবাগে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে হেঁটে যাওয়ার সময় ছুরিকাঘাতের শিকার হন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ক্লুলেস এ ঘটনার তদন্তে নেমে বেশকিছু ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করেও কোন কুলকিনারা করতে পারছিল না থানা পুলিশ। এরই মধ্যে ২৬ জানুয়ারি একটি ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী এলাকার নিজ বাসা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর কারাগার থেকে আরিফ তার মায়ের সঙ্গে ফোনালাপে জানান, অন্য কোনো ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, আগের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিএমপির এই কর্মকর্তা জানান, আরিফের এই বক্তব্য সন্দেহজনক হওয়ায় খলু মিয়া হত্যা মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এর ভিত্তিতে আরিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
তিনি জানান, রিমান্ডে আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদেই বেরিয়ে আসে খলু মিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য। একপর্যায়ে খলু মিয়াকে খুনের দায় স্বীকার করেন আরিফ, পরে তার হেফাজত থেকে খলু মিয়ার খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে হাফিজ আক্তার জানান, একাধিক ছিনতাই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ায় আরিফ দীর্ঘদিন ধরে তার নিজ বাসায় অবস্থান না করে পলাতক ছিলেন। কিন্তু খুনের ঘটনার পরপর পুলিশি তৎপরতা দেখে হত্যার ঘটনা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আগের ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার হতে তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন।
তিনি জানান, ঘটনার সময় আরিফ সহযোগীদের নিয়ে একটি ছুরিসহ ধলপুর নতুন রাস্তায় একটি ব্যাটারির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। খলু মিয়া রাস্তা দিয়ে আসার পথে তারা তার গলায় ছুরি ধরলে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে খলুর বুকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যান আরিফসহ কয়েকজন।
আরও পড়ুন:হিটার হৃদয় গত ২ থেকে ৩ বছর ধরে মোহাম্মদপুর এলাকায় ‘বিডিএসকে’ (ব্রেভ ডেঞ্জার স্ট্রং কিং) গ্যাং এর নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। সে স্থানীয় একটি স্কুল থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। হৃদয় বিভিন্ন সময়ে লেগুনার হেলপার হিসেবে কাজ করত। পাশাপাশি ‘বিডিএসকে’ গ্যাং পরিচালনা করত।
সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘বিডিএসকে’ গ্যাং এর প্রধান হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয়সহ আটজন সদস্যকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে ফরিদপুর, রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ স্টেশন, মোহাম্মদপুর বেড়িবাধ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ‘বিডিএসকে’ গ্রুপের লিডার শ্রীনাথ মন্ডল ওরফে হৃদয় ওরফে হিটার হৃদয়, রবিন ইসলাম ওরফে এসএমসি রবিন, রাসেল ওরফে কালো রাসেল, আলামিন ওরফে ডিশ আলামিন, লোমান ওরফে ঘাড়ত্যাড়া লোমান, আশিক ওরফে হিরো আশিক, জোবায়ের ইসলাম ওরফে চিকনা জোবায়ের, সুমন ওরফে বাইট্টা সুমনকে গ্রেপ্তার করে।
রোববার দুপুরে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রুপের সদস্যদের মাধ্যমে হৃদয় মোহাম্মদপুর, আদাবর ও বেড়িবাধ এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা পরিচালনা, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে একাধিকবার কারাভোগ করেছে।
তিনি আরও জানান, ৭ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৮টায় রাজধানীর আদাবর তিন রাস্তার মোড় এলাকায় একজন ভুক্তভোগীকে জখম করে তার কাছে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনতাইকারীরা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ভুক্তভোগীকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। একইভাবে কিছুদিন আগে একই এলাকার এক কলেজ শিক্ষার্থীর কাছ থেকেও একই কায়দায় ছিনতাইকারীরা মোটা অংকের অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
র্যাব উক্ত ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে উল্লেখিত সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। যেখানে দেখা যায়, ৮ থেকে ১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল।
পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মোহাম্মদপুরে তাদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি চাপাতি, ১টি রামদা, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৪টি চাকু (বড় ও ছোট), ২টি হাঁসুয়া, ১টি কাঁচি এবং ১টি লোহার রড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে খন্দকার আল মঈন জানান, ‘বিডিএসকে গ্যাং এর প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছে। তাদের গ্যাং লিডার হৃদয়ের নেতৃত্বে গত ২ থেকে ৩ বছর আগে গ্যাং গঠন করে। এই গ্রুপের সদস্যরা আগে সবুজ বাংলা গ্রুপ, টপ টেন গ্রুপ ও ভাই বন্ধু গ্রুপের অন্তর্ভূক্ত ছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত।
তিনি আরও জানান, তারা বিভিন্ন সময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ আশেপাশের এলাকায় মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত। তারা এই এলাকাগুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির স্বার্থ হাসিলের জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করত। এ ছাড়াও তারা মাদকসেবনসহ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশের নামে মাদক, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারিসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর পল্লবীতে শুটিং স্পটে দগ্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী শারমিন আঁখি।
শনিবার একটি টেলিফিল্মের শুটিংয়ে দগ্ধ এই অভিনেত্রীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আঁখির স্বামী নির্মাতা রাহাত কবির নিউজবাংলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নায়ক সজলের সঙ্গে একটি টেলিফিল্মের শুটিং ছিল মিরপুরের পল্লবীতে। শনিবার দুপুরের দিকে আঁখি মেকআপ নিয়ে ওয়াশরুমে যায় চুল ডিজাইন করার জন্য। হেয়ার স্টেটমেন্ট অন কিংবা অফ করতে গিয়ে বিস্ফোরণে আগুনের ঘটনা ঘটে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার এস এম আইউব হোসেন বলেন, শনিবার রাতে মিরপুরের পল্লবী থেকে শারমিন আঁখি নামে একজন নারী দগ্ধ হয়ে এখানে এসেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরে ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার ইনহেলিসন বার্ন রয়েছে।
শারমিনের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তার স্বামী রাহাত বলেন, এ বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসক অনেকগুলো পরীক্ষা দিয়েছেন। সেগুলোর ফলাফলের পর বলা যাবে পরিস্থিতি।
তিনি বলেন, তবে হাসপাতালে প্রায় এক মাস থাকতে হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে প্রায় ১ বছর সময় লাগতে পারে তার। সবার কাছে আঁখির জন্য দোয়া চাই।
আরও পড়ুন:দেশে ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা দুর্নীতিকেই প্রধান বাধা হিসেবে দেখছেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে জরিপের সময় ব্যবসায়ীরা এমন মত দেন বলে জানায় সংস্থাটি।
ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম বিশ্বজুড়ে এ জরিপ পরিচালনা করে। গত দুই দশকের মতো গত বছরও সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে জরিপের কাজে অংশ নেয় সিপিডি।
উদ্যোক্তা মতামত জরিপের ফল প্রকাশ করে রোববার এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সিপিডি জানায়, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৪.৬ শতাংশ ব্যবসায়ী দুর্নীতিকে তাদের ব্যবসার প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখেছেন। লাইসেন্স নেয়া কিংবা কর দেয়ার মতো কাজে গিয়ে তাদের ঘুষ দিতে হয়েছে।
সংস্থাটির ভাষ্য, ব্যবসায় অন্যান্য প্রধান সমস্যার মধ্যে রয়েছে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া এবং অদক্ষ আমলাতন্ত্র, যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার অস্থিতিশীলতা ও নীতি ধারাবাহিকতার অভাব। এসব কারণে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
দেশে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার পরিবেশ আরও খারাপ হয়েছে জানিয়ে সিপিডি বলেছে, বেসরকারি খাতে সুশাসন, নীতিশাস্ত্রের অভাব এবং দুর্বল তদারকির কারণে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের অবনতি হয়েছে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘২০২১-এর তুলনায় ২০২২ সালে ব্যবসার পরিবেশ দুর্বল ছিল। কর কাঠামোতে এখনও ভারসাম্য আনা যায়নি। সড়ক, রেল, নৌপথে অনেক অবকাঠামো মানসম্মত নয়।’
সুপারিশ
জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের মত ও নিজেদের সুপারিশ পেশ করে সিপিডি।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তুলতে বিদেশি সহযোগীদের কাছ থেকে আলাদা ঋণ আসা উচিত। এতে পরিবেশ দূষণ অনেকাংশে কমবে।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে ব্যবসায় মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রা সংকট ও অস্থিতিশীল নীতির মতো নতুন চ্যালেঞ্জ মাথাচাড়া দিয়েছে জানিয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন ও সুদহারের সীমা উন্মুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।
সংস্থাটির মতে, বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত মেনে চলার অংশ হিসেবে ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধন, ঋণে সুদহারের সীমা তুলে নেয়া, বকেয়া ঋণে স্বচ্ছতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির (আইডিআরএ) কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।
জরিপ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতা কমিশন, ভোক্তা অধিকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের যথাযথ ভূমিকা পালন করা উচিত।
আরও পড়ুন:দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় নিয়মিত শীর্ষ দশে থাকা ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে জানিয়েছে আইকিউএয়ার।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে রোববার বেলা ১১টা ২ মিনিটে দূষিত বাতাসে ৯৯টি শহরের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
র্যাঙ্কিংয়ে দূষিত বাতাসের দিক থেকে ওই সময়ে শীর্ষে ছিল ভারতের রাজধানী দিল্লি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সকালের নির্দিষ্ট ওই সময়ে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ২২২। এর মানে হলো খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।
আইকিউএয়ার জানায়, রোববার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৩৪ দশমিক ৪ গুণ বেশি।
আরও পড়ুন:নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের মুফতি হান্নানসহ একাধিক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি গ্রেপ্তার হওয়ায় হরকাতুল জিহাদ সংগঠনটি নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে এসে ফখরুল ইসলাম জঙ্গি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সদস্য সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) ফখরুল ইসলামসহ ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. ফখরুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. সুরুজ্জামান, হাফেজ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. দীন ইসলাম এবং মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শনিবার দুপুরে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত নয়টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
কে এই ফখরুল ইসলাম
সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিদেশ থেকে জঙ্গি বিষয়ে ট্রেনিং প্রাপ্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সক্রিয় সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম ১৯৮৮ সালে গাজীপুর জেলার টঙ্গী তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় দারোয়ানের চাকরি করতেন।
‘পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে কাজের উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের করাচি শহরে যান। পাকিস্তানে অবস্থানের সময় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুফতি জাকির হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মুফতি জাকির হোসেন পাকিস্তানের করাচি শহরে ইসলামীয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং আল কায়েদার সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
‘মুফতি জাকির আল কায়েদা সংগঠনের জিহাদি ট্রেনিংয়ের কমান্ডার। মুফতি জাকির ফখরুল ইসলামকে জিহাদের দাওয়াত দিলে সে দাওয়াত গ্রহণ করেন। ফখরুল ইসলাম জিহাদি ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য মুফতি জাকিরের সঙ্গে একাধিকবার পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে দীর্ঘকালীন প্রশিক্ষণে যান।’
আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ
ফখরুল ওই ট্রেনিংয়ে বিভিন্ন অস্ত্র প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র একে-৪৭, এলএমজি ও রকেট লাঞ্চার পরিচালনা শেখেন। ট্রেনিংয়ের সময় কান্দাহারের সমশেদ পাহাড়ে তিনি নিয়মিত ফায়ারিং অনুশীলন করতেন। অনুশীলনের সময় ফখরুল ইসলাম একে-৪৭সহ সশস্ত্র অবস্থায় প্রশিক্ষণ এলাকায় চার ঘণ্টা করে নিরাপত্তামূলক পাহারা ডিউটি করতেন।
সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ওই সময়ে ফখরুল আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ও মোল্লা ওমরের সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেন। তিনি আফগানিস্তানে বিভিন্ন মেয়াদে জিহাদি ট্রেনিং করার পর আবার পাকিস্তানের করাচিতে ফিরে আসেন। করাচি থেকে ১৯৯৫ সালে ইরানের রাজধানী তেহরান যান এবং প্রায় ৩ বছর সেখানে থাকার পর করাচিতে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে ইসলামাবাদ থেকে ভারতের ভিসা নিয়ে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে চলে আসেন।
বিভিন্ন এনক্রিপটেড অ্যাপস ব্যবহারে যোগাযোগ
সিটিটিসি জানায়, ফখরুল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্বশরীরে ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম ব্যবহার করে অব্যাহত রাখতেন। তিনি অত্যাধুনিক সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে এনক্রিপটেড অ্যাপস বিপ ব্যবহারের মাধ্যমে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের এবং বাংলাদেশের অন্যান্য হুজি সদস্যদের সঙ্গে উগ্রবাদী ও আক্রমণাত্মক বিষয়ে আলোচনা করে ম্যাসেজ আদান-প্রদান করতেন এবং যেকোনো সময় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা পরিচালনার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে পরিকল্পনা করতেন।
রোহিঙ্গাদের রিক্রুট ও পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করতে চেয়েছিল হুজি
বাংলাদেশের হুজি সদস্যদের বান্দরবান পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করেছিল গ্রেপ্তারকৃতরা। ফখরুল ও তার ছেলে গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম অন্যান্য হুজি সদস্যদের নিয়ে একাধিকবার কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের তাদের সংগঠনে রিক্রুটের উদ্দেশে এবং জিহাদি কার্যক্রমের অংশ হিসাবে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশে তাদেরকে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকা অনুদান করেন।
যেভাবে দেয়া হতো বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ
নিষিদ্ধ ঘোষিত হুজির একটি এনক্রিপটেড অ্যাপের প্রাইভেট চ্যানেল থেকে প্রাপ্ত কনটেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন তার সংগঠনের পরিচিত দুই একজনকে হাতে কলমে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ লাভের উদ্দেশে এবং বোমা বানানোর নির্দেশনা দিয়ে শেয়ার করেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য