চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেনি ২ লাখ ৫০ হাজার ৫১৮ জন। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের এই সংখ্যা গত বছরের চেয়ে এক লাখেরও বেশি।
এ বছর ২ হাজার ৯৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে, তবে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি। গত বছর এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৮। ২০২১ সালে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান ছিল ৫ হাজার ৪৯৪।
প্রশ্ন উঠেছে, আগের বছরের তুলনায় এবার পাসের হারে কেন এত অবনতি? এটি ধারাবাহিক ঘটনা কি না, কী এর কারণ- তেমন প্রশ্নও উঠছে।
তবে কয়েকটি বছরের ফল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের পরিসংখ্যান বাদ দিলে এর আগের বছরগুলোর তুলনায় পাসের হারে এবার বড় ধরনের হেরফের নেই। বরং ২০১৯ বা ২০২০ সালের তুলনায় এবার পাসের হার খানিকটা বেশি।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সামগ্রিকভাবে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ এ বছর ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
আগের বছর ২০২১ সালে মাত্র ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেনি।
তবে ২০২০ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, অর্থাৎ সে বছর ১৭ দশমিক ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
তারও আগের বছর ২০১৯ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। চারটি বছরের ফল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গত বছরটিতেই কেবল আকস্মিকভাবে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে আসে।
এসএসসির ফলে বিশেষ উন্নতির পেছনে কী কারণ ছিল ২০২১ সালে?
শিক্ষা বোর্ড এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরা বলছেন, করোনাকালীন বিশেষ পরিস্থিতি ২০২১ সালের পরীক্ষায় বিস্ময়কর পাসের হারে ভূমিকা রেখেছে। করোনা মহামারির অচলাবস্থার পর গত বছরের এসএসসিতে মাত্র তিনটি পরীক্ষা নেয়া হয়।
গত বছর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা/উচ্চতর গণিত বিষয়ে তিনটি পরীক্ষা হয়। মানবিকে ছিল ভূগোল ও পরিবেশ, বাংলাদেশের ইতিহাত ও বিশ্বসভ্যতা, পৌরনীতি ও নাগরিকতা/অর্থনীতির ওপর তিনটি পরীক্ষা। আর ব্যবসায়ে শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা হিসাববিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগ বিষয়ে পরীক্ষা দেয়।
অন্য বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে নম্বর যোগ হয় জেএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে। ফলে অনেক চাপমুক্ত থেকে পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অকৃতকার্যের হারও ছিল অনেক কম। বিপরীতে এ বছর নয়টি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
পরীক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল কেমন হলো তা সঠিক পর্যালোচনা করতে তুলনাটি করতে হবে করোনা স্থবিরতা তৈরি হওয়ার আগের বছরগুলোর সঙ্গে। আর সে ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২০২০ সাল বা ২০১৯ সালের তুলনায় পাসের হার এবার বেড়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এবারের ফলের সঙ্গে ২০২১ সালের তুলনা করা উচিত হবে না। তুলনা করতে হলে ২০১৯ বা ২০২০ সালের সঙ্গে করা উচিত।
‘২০২১ সালে শিক্ষার্থীরা সুবিধা পেয়েছে বেশি। অর্ধেক নম্বরের ওপর পরীক্ষা ছিল। এবার কিন্তু তা ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘২০১৯ অথবা ২০২০ সালে পরীক্ষার্থীদের জন্য কোনো আলাদা সুযোগ ছিল না। করোনা পূর্ববর্তী সময়ের হওয়াতে সবগুলো বিষয়ের ওপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছিল।’
যশোর শিক্ষা বোর্ডের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতবার কম বিষয়ের কারণে পাসের হারও বেশি ছিল। শর্ট সিলেবাসে তারা বেশি সুযোগ পেয়েছে। এবার সিলেবাসও কম ছিল আবার পরীক্ষায় অপশন বেশি ছিল। তবে এবার যারা পাস করেছে তারা সবাই ভালো করেছে।’
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরজাহান বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যদি আমরা ফলাফল ও শিখনের ওপর গুরুত্ব দিই তবে আমাদের এবারের ফল ২০২০ সালের চেয়ে ভালো। ২০২১ সালে মাত্র তিনটি বিষয়ে অর্ধেক নম্বরের ওপর পরীক্ষা হলেও এবার নম্বর ও বিষয় বেড়েছে।’
বরিশাল জিলা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ সাহা অবশ্য মনে করছেন এবারের ফলের ওপরেও করনাকালীন পরিস্থিতির প্রভাব রয়ে গেছে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার একটা প্রভাব থেকেই যাবে। যত সুযোগ দেয়া হোক না কেন একটা শিখন ঘাটতি থাকবে। অনেকেই সে সময় ঝরে গেছে, যারা ছিল তারাই ভালো করেছে। এটা ঠিক হতে কিছু বছর সময় লাগবে।’
প্রভাব ফেলেছে বন্যাও
এসএসসি পরীক্ষার সময়ে সিলেট বিভাগে বন্যা ওই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ফলাফলে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। এবার সিলেট বোর্ডে সবচেয়ে কম ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সোমবার ফলের বিস্তারিত তুলে ধরার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিও এ বিষয়টি তোলেন।
পরীক্ষায় পাসের হার নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই সব শিক্ষার্থী পাস করবে। আমাদের সবকিছুই ঠিক ছিল, তবে একটা কারণে (বন্যা) সেটা হয়নি। সবকিছু বাদ দিয়েছি। নতুন করে আবার রুটিন দিয়েছি। এ কারণে কিন্তু শিক্ষার্থীর ওপর একটা চাপ পড়ে। একরকম প্রিপারেশন থাকে, সেটা ব্যাহত হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বোর্ডের রেজাল্ট কিন্তু একটা আলাদা আলাদা প্রভাব ফেলে। যশোর বোর্ডে যেমন ৯৫ ভাগ আছে, আবার কোথাও কোথাও ৭৮ ভাগ। বন্যার কারণে এটা হতেই পারে। অনেক স্কুলে সমস্যা হয়েছে, অনেক পরীক্ষার্থীকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হয়েছে।’
কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পাসের হার নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকবার এটা নিয়ে যে ব্যবস্থা নিই, এবারও সেটা নেব। আমরা কতটা সাপোর্ট দিয়ে থাকি আর কোথায় ঘাটতি আছে সেটা দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটা লার্নিং গ্যাপ আছে। এটা সারা বিশ্বেই আছে। তবে এটা পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের লার্নিং গ্যাপ করোনার সময় বাড়েনি। অনেক দেশে এটা অনেক বেড়েছে। এখানে সে সময় ৯৩ ভাগ শিক্ষার্থীর কাছে অ্যাসাইনমেন্টপদ্ধতি পৌঁছে গিয়েছিল, এতে তারা নিজেরাই শিখন ঘাটতি পূরণ করেছে।’
গত বছরের চেয়ে এবার বেড়েছে জিপিএ ফাইভ
গত বছরের চেয়ে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার কমলেও জিপিএ ফাইভ বেড়েছে প্রায় ১ লাখ। চলতি বছর জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ শিক্ষার্থী।
এবার সাধারণ বোর্ডে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০ শতাংশ।
দাখিলে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪৫৭ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ।
কারিগরি বোর্ডে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৫৫ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন:দেশজুড়ে চলমান দাবদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’
গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে দাবদাহ। কোনো কোনো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ।
ভারত সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন বাস্তবতায় দৈনন্দিন কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে গেছে বিভিন্ন বয়সীদের।
মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে মহাসমারোহে বাংলা বর্ষবরণ পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাড়ম্বরে পালিত হয় বাংলা নববর্ষ-১৪৩১।
বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে জবি ক্যাম্পাস থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসে।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, জবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ‘রিকশাচিত্র’কে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন/ মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।
শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘের মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ শোভাযাত্রায় স্থান পায়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিল চারুকলা অনুষদ।
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল সোয়া দশটার দিকে আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও সীমিত অবকাঠামো ও স্বল্প পরিসর নিয়েও সকলের সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে।
‘পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান ও তারপর বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্য। বঙ্গবন্ধুর এই অবদান যেন আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের চিন্তা চেতনায় ধারণ করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। পারিবারিকভাবেই নারী-পুরুষের সমতা, নারীকে মানুষ ভাবার মানসিকতার শিক্ষা দিতে হবে, নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে লিখতে হবে, বলতে হবে।’
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সভাপতি প্রমুখ।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বিকেলে জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠির পরিবেশনা এবং জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হয়।
এ সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলে আনন্দে নেচে গেয়ে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বর্ষবরণকে আনন্দবহ করে তোলেন।
প্রকাশনা প্রদর্শনী
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহিদ রফিক ভবনের নীচতলায় দিনব্যাপী ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বার্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ স্থান পায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের বাবা অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৯ এপ্রিল)।
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৫১ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৫৬ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কো দিল্লির বিজ্ঞান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফলিত রসায়ন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সভাপতি।
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কুমিল্লা জেলার কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল আজিজ চৌধুরী একজন শিক্ষাবিদ, মাতা আফিফা খাতুন।
বরেণ্য এ অধ্যাপকের মেয়ে হয়েছেন বাবার মতো গুণী। অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুয়েটে অবশ্যই ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত। তেমনই শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
বাংলাদেশের সব অর্জনের সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্রলীগ যুক্ত বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধ, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশ গঠন এবং এরশাদ ও জিয়া যখন আমাদের গণতন্ত্রকে শেকল পরিয়েছিলেন তখন গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি অবদান রেখেছে। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে- যারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দিচ্ছেন। কিন্তু আমি অবাক যে সেখানে একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয়। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আবার সেখানে আন্দোলনও হয়।
‘এটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নয় এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেই আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই আদেশ বাতিল করেছে এবং সেখানে ছাত্র রাজনীতির দুয়ার খুলেছে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগকে বলবো- সেখানে যেন নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি হয়, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি যেন না ঢোকে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতা তৈরি হয়।
এ সময় নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘আমি ১৫ বছর বয়সে ক্লাস টেনে পড়ার সময় থেকে ছাত্রলীগের কর্মী। আর ১৬ বছর বয়সে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হয়েছি।’
মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘রাজনীতি যে দেশ ও মানুষের সেবা এবং সমাজ পরিবর্তনের একটি ব্রত, সেটি অনেক রাজনীতিবিদ ভুলে গেছেন। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি কারও পেশা হওয়া উচিত নয়।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বস্তুগত উন্নয়নের সঙ্গে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু-কন্যা বহু কল্যাণ ভাতা চালু করেছেন। সেই ব্রত ধারণ করেই আজকে ছাত্রলীগ দুস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য তাদেরকে অভিনন্দন।’
সভা শেষে সমবেতদের মাঝে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন:বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।
এর আগে রোববার ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে বুয়েটের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে ইমতিয়াজের হলে সিট ফেরত দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। সোমবার ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করেন।
জানা যায়, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বুয়েট ক্যাম্পাসে ২৭ মার্চ বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের একটি দল প্রবেশ করে। এর প্রতিবাদে ২৯ মার্চ বেলা আড়াইটা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে বুধবার মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেনকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল (আবাসিকতা) বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
পরে ২৯ মার্চ রাতে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদারের নির্দেশে ইমতিয়াজ হোসেনের হলের আসন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বুয়েটের রেজিস্ট্রার মো. ফোরকান উদ্দিন।
একইসঙ্গে জানানো হয়, সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশ দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এদিকে ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়। ২০১৯ সালে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা স্থগিত করে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে থাকা ভাসমান সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের পক্ষ থেকে এই উপহার বিতরণ করেছেন।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সুইমিংপুল সংলগ্ন মাঠে বিতরণের এ আয়োজন করা হয়। আয়োজন শেষে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে নতুন কাপড় তাদের ঈদের খুশি এনে দিয়েছে।
ঈদ উপহার পেয়ে টিএসসির এক সুবিধাবঞ্চিত শিশু রাব্বি বলেন, আমাদের সবাইকে অনেক সুন্দর সুন্দর কাপড় দিয়েছে। অনেক খুশি লাগছে আমার। এবার ঈদের দিন এই পাঞ্জাবিটা পরে ইদ করবো আমি৷
এই আয়োজনের দায়িত্বে থাকা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম বাসেত বলেন, প্রত্যেক বাগান মালিই তার বাগানের ফুলগুলোর যত্ন করে। ওরা আমাদের বাগানের ফুল, আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ ওদের যত্ন নেয়া। আমাদের সভাপতি শয়ন ভাই সবসময় ওদের খোঁজ খবর রাখেন।
এসময় সেখানে অন্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদিন, রেজাউল করিম রিয়াদ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মাউনজিরা বিশ্বাস সুরভী, নাট্য ও বিতর্ক উপসম্পাদক সাইফ আকরাম, মানবসম্পদ উপসম্পাদক মিজানুর রহমান, গণযোগাযোগ উপসম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ তিতাস প্রমুখ।
মনিরুল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (ববি) ছাত্রলীগের কমিটি শিগগিরই গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
ইনান বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত ইউনিট। এটি গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরিচালিত হয়। আমরা গত এক যুগের অবসান ঘটিয়ে আশা করছি খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ববি শাখার সাংগঠনিক কমিটির রূপদান করতে পারব।’
এ বিষয়ে ববি ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, ‘ববির সমসাময়িক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে আরও আগে, তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বেশ কয়েকবার আশ্বস্ত করলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। সবসময়ই সরব ভূমিকা দেখা যায় ববি ছাত্রলীগকে।
‘বিভিন্ন দিবস পালনসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান হয় ববি ছাত্রলীগের ব্যানারে। বিভিন্ন সময় বিভিন্নজন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কালের বিবর্তনে এখন অনেকে হারিয়ে গেছেন, কিন্তু তাদের কেউ ছাত্রলীগের কমিটিতে জায়গা পাননি।’
মন্তব্য