× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Students are not getting textbooks on time
google_news print-icon

জুনের আগে সব পাঠ্যবই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা

জুনের-আগে-সব-পাঠ্যবই-পাওয়া-নিয়ে-অনিশ্চয়তা
বছরের প্রথম দিনে দেশজুড়ে নতুন বই হাতে শিক্ষার্থীদের এমন উচ্ছ্বাস এবার দেখতে পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
মুদ্রণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া আল্টিমেটাম অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ পাঠ্যবই দেয়া সম্ভব হবে না। তার বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে বড়জোর ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ বই সরবরাহ করা যাবে। বাকি বই পুরোপুরি সরবরাহ করতে জুন পর্যন্ত সময় লাগবে।’

উৎসবমুখর পরিবেশে নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেয়ার যে রীতি তৈরি হয়েছে, সেটা আগামীতেও অব্যাহত রাখতে চায় সরকার। সে লক্ষ্যে ডিসেম্বরের মধ্যেই বই মুদ্রণ কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে কাগজের দাম বেড়ে যাওয়া, সরবরাহে ঘাটতি এবং জ্বালানি সাশ্রয়ে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠ্যবই মুদ্রণের কর্মযজ্ঞ শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মুদ্রণকারীরা।

মুদ্রণ ব্যবসায়ী মনে করছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ বই ছাপানো সম্ভব হবে। আর অবশিষ্ট বই পেতে অপেক্ষায় থাকতে হবে অন্তত আরও ছয় মাস।

মুদ্রণ শিল্প-সংশ্লিষ্টদের এসব যুক্তিকে আমলে নিতে চান না জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। তাদের কথা, এটা অজুহাত। চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মুদ্রণকারীদের পাঠ্যবই সরবরাহ করতে হবে। নইলে করোনাভাইরাসে শিখন ঘাটতির পর আরও একবার শিক্ষা খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।

আগামী বছরের জন্য প্রায় ৩৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৩ হাজার পাঠ্যবই ছাপানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে প্রাথমিক স্তরের ৯ কোটি ৯ লাখ ৫৩ হাজার এবং মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার পাঠ্যবই ছাপানো হবে।

মুদ্রণ শিল্প সমিতি বলছে, কাগজের সংকট তো আছেই, বেড়েছে কালির দাম। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এলসি করতে না পারায় কাগজ তৈরির মণ্ড (পাল্প) আমদানি করতে পারছেন না মিল মালিকরা। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সম্প্রতি (২৯ অক্টোবর) এক অনুষ্ঠানে প্রাসঙ্গিক কারণে সংকটের কথা তুলে ধরলে সেখানে উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী তার জবাব দেন। তিনি জানিয়েছেন, পাঠ্যবই মুদ্রণ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে।

‘মন্ত্রী মহোদয়ের আল্টিমেটাম অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে শতভাগ বই দেয়া সম্ভব হবে না। বড়জোর ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ বই সরবরাহ করা যাবে ডিসেম্বরের মধ্যে। বাকি বই পুরোপুরি সরবরাহ করতে জুন পর্যন্ত সময় লাগবে।’

কেন সম্ভব হবে না তা জানতে চাইলে মুদ্রণ শিল্পের এই প্রতিনিধি বলেন, ‘পাল্প (মণ্ড) নেই। এই শিল্প-সংশ্লিষ্ট সবই আমদানি করতে হয়। অথচ ডলারের দাম বেশি। আরেকটি বড় সমস্যা লোডশেডিং।’

শেষ পর্যন্ত ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০/৩৫ ভাগ বই ছাপা হলেও সেগুলো কোন শ্রেণির জন্য হবে, এমন প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।

মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৩৫ ভাগ বই মানে এমন নয় যে বাকি ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী বই পাবে না। সব মিলিয়ে ৩৫ ভাগ হবে। কোনো শ্রেণিতে সব বই যেতে পারে, আবার কোনো শ্রেণিতে বই নাও যেতে পারে।’

শ্রেণি ধরে পরিষ্কার হিসাব দিতে না পারলেও জহুরুলের দাবি, অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের মুদ্রণ যথা সময়ে শেষ হবে।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নির্ভর করে মুদ্রণকারীদের ওপর। যে আগে অর্ডার পাবে সে সেটি আগে দেবে। এখন পর্যন্ত ক্লাস সেভেনের ডামিও হাতে আসেনি মুদ্রণে। আবার প্রাইমারির ডামিও এখনও সব পাস হয়নি। যে বই আগে পাস হবে সেটিই আগে যাবে। অষ্টম ও নবম শ্রেণির ডামি আগে পাস হয়েছে বিধায় এই শ্রেণির বই শতভাগ সরবরাহ হবে।’

মুদ্রণ-সংশ্লিষ্টদের এসব কথা আমলে নিতে চায় না এনসিটিবি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনি (মুদ্রণ মালিক) যাবতীয় শর্ত মেনে আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তাহলে কেন আপনি জুনের কথা বলবেন? আমরা উনাদের ওইসব শর্ত মানি না। আমরা এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছি। মুদ্রণ শিল্প সমিতি প্রত্যেক বছর শেষদিকে এসে এক-একটা অজুহাত দাঁড় করিয়ে সুবিধা নিতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘তারা এখন কেন বলবে যে মণ্ড পাচ্ছে না। আমরা সেদিন যখন বসলাম তখন মন্ত্রী মহোদয় কাগজ আমদানির কথা বললে তারা জানিয়েছিল লাগবে না। তারা তো সম্মত হয়েছিল। নইলে আমরা তখনই কাগজ আমদানির উদ্যোগ নিতাম।’

এনসিটিবির অনড় অবস্থানে অসন্তুষ্ট মুদ্রণ মালিকরা। এ নিয়ে জহুরুল বলেন, ‘উনারা (এনসিটিবি) তো বাস্তবতা বুঝতে চান না। দায়িত্বশীল পোস্টে যারা আছেন তারা গা বাঁচানোর জন্য সব হয়ে যাবে, সব ঠিক আছে, এ ধরনের কথা বলেন।

‘এবার ৩০ ভাগ দিয়েই শুরু করবে বই উৎসব। বাকি বই আস্তে আস্তে যাবে। এ ছাড়া আমার কাছে কোনো সমাধান নেই। বাকিটা চেয়ারম্যান (এনসিটিবি) সাহেব বলতে পারবেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মুদ্রণ ব্যবসায়ী বলেন, ‘এটা একটা জটিল বিষয়। অনেকেই ভাসা ভাসা কথা বলেন। যেখানে কাগজ নেই সেখানে মন্ত্রী বা এনসিটিবি কী বলেন সেটা তো ইস্যু হতে পারে না আমাদের জন্য।’

জহুরুল বলেন, ‘পাঠ্যবই মুদ্রণে প্রয়োজনীয় কাগজ উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে সাতটি পেপার মিল। এর মধ্যে ওয়েস্টেজ পেপার দিয়ে যে মিলগুলো বানাচ্ছে তারা হয়তো কিছু উৎপাদনে আসবে, কিন্তু পাল্পে যারা আছে, সেখানে আমরা ছাড়া কেউ নেই। আর লিপি কিছু বানাচ্ছে। এ ছাড়া সব ওয়েস্টেজ থেকে বানাচ্ছে। আবার দেখা যাচ্ছে ওয়েস্টেজও নেই।

‘কার্যাদেশ অনুযায়ী বই ছাপাতে হলে কাগজের প্রয়োজন হবে এক লাখ ২০ হাজার টন, কিন্তু ৩০ হাজার টনের বেশি কাগজ মিলগুলোর কাছে জোগাড় নেই।’

এমন সমস্যা কী এবারই হয়েছে, নাকি অন্য বছরগুলোতেও এসব সমস্যা থাকে, এমন প্রশ্নের জবাবে জহুরুল বলেন, ‘পাল্পের এমন আকাশচুম্বী দাম ছিল না।’

প্রাথমিকের কোনো বই এখনও ছাপাই শুরু হয়নি। মাধ্যমিকের বই ছাপানোর কাজ অবশ্য চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি বই ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে, কিন্তু চাহিদা প্রায় ২৫ কোটি। অন্যদিকে প্রাথমিকের চাহিদা ৯ কোটির বেশি।

রাজধানীর মাতুয়াইলে গিয়ে দেখা যায়, প্রেসগুলোতে চলছে পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ, কিন্তু বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ে ছাপায় ব্যাঘাত ঘটছে। এ নিয়ে খুব বিরক্ত মুদ্রণ-সংশ্লিষ্টরা।

কাগজের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়েও চিন্তিত তারা। মুদ্রণকারীদের দাবি, জিরো জিএসএম কাগজের দাম বেড়েছে প্রতি টনে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। আর ৬০ জিএসএম কাগজের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।

মাতুয়াইলের এক ব্যবসায়ী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে বই সরবরাহ করার। আমরা চেষ্টা করছি, তবে এই সময়ের মধ্যে শতভাগ বই সরবরাহ করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। সর্বোচ্চ ৬০ ভাগ দেয়া সম্ভব হতে পারে। অন্তত বিদ্যুতের লোডশেডিংটা কমলেও ছাপা কিছুটা বাড়ানো সম্ভব হতো।’

চাহিদামতো কাগজ পাওয়া যায়নি জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা যোগাযোগ করেছি। আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আর মিলগুলো বিদ্যুতের জন্য কাগজ তৈরি করতে পারছে না। আমাদের কাগজের চাহিদা ছিল এক হাজার টন। অথচ পেয়েছি তার অর্ধেক।’

বই সময়মতো না পাওয়ার জন্য মুদ্রণ-সংশ্লিষ্টরা দরপত্র আহ্বান প্র্রক্রিয়ায় দেরি হওয়াকেও কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন, অন্য সময়ে নভেম্বরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি বই ছাপা হয়ে যায়।

এবার দরপত্রের কাজ শেষ হয়েছে মে মাসে। আর এ কারণে এবার মাধ্যমিকের বই ছাপানো অক্টোবরে শুরু হলেও প্রাথমিকের বই ছাপানো শুরুই হয়নি। আবার ওয়েস্টেজ কাগজ ব্যবহারের ফলে বইয়ের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।

প্রাথমিকের বই ছাপানো বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে জানিয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইতিমধ্যে কাগজের ছাড় শুরু হচ্ছে। এই সংকট থাকবে না। টেন্ডার মে মাসে হোক আর জুন মাসে হোক এটার সঙ্গে মিল মালিকের সম্পর্ক নেই। তারা কাগজ উৎপাদন করবে। আর আমি টেন্ডারে সময় কম দিয়েছি। সেটা তো বিবেচনা করেছি সময়স্বল্পতা বিবেচনা করেই।’

পেপার মিলগুলো এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে কাগজের দাম বাড়াতে চায় বলে মনে করেন ফরহাদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকবার তারা এমন বলে। প্রেস মালিকরা জানেন বই দিতে হবে। তারা জানেন এটা রাজনৈতিক একটি ইস্যু। সরকার বই দিতে চাইবে।

‘আমরা সেই সুবিধা নিতে চাই। এই ধরনের চালাকি তারা প্রতি বছর করে আসছে। এবার দেখি আমরা, আগামীবার তো আবার অনেক রকম সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় নেবে, তখন দেখা যাবে।’

শেষ পর্যন্ত ৫০ ভাগ বই সরবরাহ পেলেও ১ জানুয়ারির বই উৎসব ভালোভাবেই সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী এনসিটিবি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘কোনো স্কুলেই শতভাগ বই দেয়া হয় না। ৪০ ভাগ বই দেয়া হয়। নবম ও দশম শ্রেণিতে তো আরও পরে বই পায়, তবে শেষ পর্যন্ত আমরা ভালো অবস্থানে থাকব। জানুয়ারির ১০ বা ১২ তারিখের মধ্যে শত ভাগ বই দিতে পারব।’

মুদ্রণ সমিতি জানিয়েছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য চুক্তি হওয়ার কথা ৪ নভেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তির মেয়াদ থাকবে আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। তাহলে ডিসেম্বরে সব বইয়ের দাবি কীভাবে করা হয়, তা নিয়েও সমিতি বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন:
সারা দেশে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই
উৎসব না হলেও বই পৌঁছে যাবে যথাসময়ে
১০ দিনব্যাপী ভাসানী বই উৎসব শুরু শুক্রবার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Expatriate Bangladeshis not harmed in Dubai floods Minister of State for Expatriate Welfare

দুবাইয়ে বন্যায় প্রবাসীদের তেমন ক্ষতি হয়নি: প্রতিমন্ত্রী

দুবাইয়ে বন্যায় প্রবাসীদের তেমন ক্ষতি হয়নি: প্রতিমন্ত্রী সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুশিয়ারা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। ছবি: নিউজবাংলা
সভাপতির বক্তব্যে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার সংগ্রামে সন্ধিৎসু ও দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

স্মরণকালের রেকর্ড বৃষ্টিপাতে নজিরবিহীন বন্যা দেখা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই শহরে, তবে এ বৃষ্টিতে শহরটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের তেমন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

কুশিয়ারা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমরা আরব আমিরাতের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছি। এখন পর্যন্ত বন্যায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের বড় কোনো ক্ষতি হওয়ার খবর পাইনি।’

ইসরাইলে ইরানের হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দেয়ার প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ বাধলে তো সবারই ক্ষতি। তার প্রভাব আমাদের ওপরও পড়বে, তবে এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব পড়েনি।’

সমাবর্তন উৎসবে সভাপতির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি মানবিক মানুষ হয়ে গড়ে উঠার আহ্বান জানান।

এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক, বরেণ্য ইতিহাসবিদ, লেখক এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মেসবাহ উদ্দিন আহমদ এবং ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ আলমগীর।

এ ছাড়াও সম্মানিত অতিথি ছিলেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের প্রধান উপদেষ্টা এমপি শফিউল আলম চৌধুরী এবং ট্রাস্টের চেয়ারপারসন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শামীম আহমদ। সমাবর্তন উৎসব শুরু হয় মহান জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর নিতাই চন্দ্র চন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার সংগ্রামে সন্ধিৎসু ও দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে মানসম্মত ধীমান শিক্ষার্থী সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবনসহ নানান নিরীক্ষাধর্মী কর্মযজ্ঞে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার কোনো বিকল্প থাকতে পারে না। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে মানবসম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে এ মহাযজ্ঞে কৃতিত্বের ছাপ রাখবে।’

সমাবর্তনে ফল ২০০৯ থেকে স্প্রিং ২০২১ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বিভাগের মোট ৬ হাজার ৭২৩ জন শিক্ষার্থী গ্র‍্যাজুয়েট সনদ অর্জন করেন। এ ছাড়াও চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান, ডিন এবং স্পেশাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে মোট ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে এ অনুষ্ঠানে পদক প্রদান করা হয়।

মন্তব্য

শিক্ষা
Eid reunion of 2011 batch at Saitshaila High School

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী ঈদের পরদিন সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
ঈদুল ফিতরের পরদিন সকাল ১১টায় গান-বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। দুপুরে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। বিকেলে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১১ এর শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ঈদুল ফিতরের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ১১টায় গান-বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। দুপুরে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। বিকেলে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান।

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন। সভাপতিত্ব করেন নবগঠিত বিদ্যালয় পরিচালনা অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাহবুব উল আলম খান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষিকা রেহেনা জাহান খান, সিনিয়র শিক্ষকমণ্ডলী এবং সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেকে।

প্রসঙ্গত, ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সাইটশৈলা গ্রামে বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। এটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময় পরিক্রমায় প্রয়োজনের তাগিদে এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
High court verdict fraud primary education officer arrested

হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার শিবচরের গ্রেপ্তারকৃত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলাম। ছবি: সংগৃহীত
অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় জাল রায় প্রস্তুত করে বিচারপতিদের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই স্বাক্ষর দেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলাম। তিনি রিট শাখাসহ আরডি শাখার কর্মরত অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় মামলার রেকর্ড থেকে মূল রায় সরিয়ে জাল রায় ঢুকিয়ে রাখেন। সংশ্লিষ্ট রিট শাখার অনুলিপি বিভাগ থেকে জাল রায়ের নকল সংগ্রহ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অন্যায় সুবিধা নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি নেয়ার অভিযোগে করা মামলায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার শাহাবাগ থানা পুলিশ। এ মামলার বাদী হাইকোর্টের কোর্ট কিপার ইউনুস খান।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মুন্সী রুহুল আসলাম সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে কর্মরত অবস্থায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য কোটা সংরক্ষণের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার কিছু অবজারভেশনসহ রুলটি খারিজ হয়ে যায়, যা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও রয়েছে।

পরবর্তীতে এ কর্মকর্তা অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় জাল রায় প্রস্তুত করে বিচারপতিদের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই স্বাক্ষর দেন। তিনি রিট শাখাসহ আরডি শাখার কর্মরত অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় মামলার রেকর্ড থেকে মূল রায় সরিয়ে জাল রায় ঢুকিয়ে রাখেন। সংশ্লিষ্ট রিট শাখার অনুলিপি বিভাগ থেকে জাল রায়ের নকল সংগ্রহ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অন্যায় সুবিধা নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

পুলিশ আরও জানায়, তবে ফেনী পিটিআইয়ের পরিদর্শক (বিজ্ঞান) মো. জাকির হোসেন আগেই রেকর্ড থেকে মূল রায়ের একটি সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। ২০২২ সালের ২১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর মূল রায়ের সার্টিফাইড কপির ফটোকপিসহ এ সংক্রান্ত একটি জালিয়াতির অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনা হলে তিনি বিচারপতি নাইমা হায়দার, জাকির হোসেন ও জিনাত হকের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন। এ বেঞ্চ ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করে ২০১৬ সালের মামলার রুল ডিসচার্জ করে দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টারকে অনুসন্ধান করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার নির্দেশ দেন।

এর ফলে শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলাম পেনাল কোডের ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় ফৌজদারি অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।

এরপর গত ১৫ এপ্রিল বাদি হয়ে হাইকোর্টের কোর্ট কিপার ইউনুস খান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। আদালত ঢাকার শাহাবাগ থানায় মামলা নথিভুক্তর আদেশ দেন। মামলার পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে শাহাবাগ থানা পুলিশ শিবচর থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় যায়।

শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, ‘শাহাবাগ থানা পুলিশ শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

মন্তব্য

শিক্ষা
Time to collect admit card is nearing its end
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষের পথে

প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষের পথে ফাইল ছবি।
সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজেদের আইডিতে প্রবেশ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের আসন বিন্যাসও দেখতে পারবেন।

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজেদের আইডিতে প্রবেশ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের আসন বিন্যাসও দেখতে পারবেন।

এছাড়াও যেসব ভর্তিচ্ছুর ছবি বা সেলফি কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুযায়ী আপলোড করা হয়নি, তাদেরকেও সোমবারের মধ্যে সংশোধিত ছবি বা সেলফি আপলোডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার সোমবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার বলেন, ‘২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সুযোগ আজই (সোমবার) শেষ হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ২৩ মার্চ এটি উন্মুক্ত করা হয়।

‘যেসব আবেদনকারীর ছবি বা সেলফি অথবা উভয়টি জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুযায়ী গৃহীত হয়নি, তারা সোমবার রাত ১০টার মধ্যে অবশ্যই জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবি বা সেলফি অথবা উভয়টি আপলোড সম্পন্ন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। না হলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না।’

উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এ বছর প্রায় ২১ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬। এবার প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে গড়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (সি ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার সব তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (https://gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন:
ঢাবিতে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চয়তায় সাইফুল
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম যারা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল ঘোষণা
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

মন্তব্য

শিক্ষা
Eid gift to students with tiffin money

দুই জেলায় টিফিনের টাকায় শিক্ষার্থীদের ঈদ উপহার

দুই জেলায় টিফিনের টাকায় শিক্ষার্থীদের ঈদ উপহার কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন বৃহস্পতিবার ঈদ উপহার বিতরণ করেন। ছবি: নিউজবাংলা
শিশুদের টিফিনের টাকায় ছয় বছর ধরে ঈদ উপহার বিতরণ করছে ‘ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন’ নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ’-এর আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক উপহার দেয়া হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের শিশুকাল থেকে মানবতার শিক্ষা দিতে তাদের টিফিনের টাকায় ছয় বছর ধরে ঈদ উপহার বিতরণ করছে ‘ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন’ নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, কুমিল্লা রেল স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ’-এর আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক উপহার দেয়া হয়েছে।

ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন প্রাঙ্গণে পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাছেদ মিয়ার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈদ উপহার বিতরণে প্রধান অতিথি ছিলেন অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ছয় বছর ধরে পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নে ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের একদিনের টিফিনের টাকার সঙ্গে শিক্ষক, অভিভাবক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা মিলিয়ে প্রতি বছর নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করা হয়।

এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শতাধিক স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে দুধ, চিনি, সেমাই, নুডুলস, সাবানসহ ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এ ঈদ উপহার বিতরণের মাধ্যমে শিশুদের মানবিক ও পরোপকারী করে গড়ে তোলার জন্য এ আয়োজনকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপস্থিত এক বক্তা বলেন, ‘আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এ আয়োজন করতে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।’

দুই জেলায় টিফিনের টাকায় শিক্ষার্থীদের ঈদ উপহার
কুমিল্লা রেল স্টেশন এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ। ছবি: নিউজবাংলা

অন্যদিকে, কুমিল্লা রেল স্টেশনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বৃহস্পতিবার সকালে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণের মাধ্যমে সারা দেশে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ৭০টি শিশুকে ঈদের নতুন পোশাক দেয়া হয়।

সংগঠনটির সদস্যরা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী। তারা নিজেদের একদিনের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে শিশুদের মুখে হাঁসি ফুটাতে ঈদের নতুন জামা উপহার দিচ্ছেন।

আগামী পাঁচ দিন ধারাবাহিক এ কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে ঈদের নতুন জামা উপহার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

এ বিষয়ে লাল-সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল বলেন, ‘১৩ বছর ধরে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঠদান, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ ছাড়াও মাদক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি।’

মন্তব্য

শিক্ষা
BUET Chhatra Ligamna students receiving death threats appeal to the vice chancellor

‘হত্যার হুমকি’ পাচ্ছেন বুয়েটের ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা, উপাচার্যের কাছে আবেদন

‘হত্যার হুমকি’ পাচ্ছেন বুয়েটের ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা, উপাচার্যের কাছে আবেদন বুয়েট ক্যাম্পাসে এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগমনা এক শিক্ষার্থী। ছবি: নিউজবাংলা
বুয়েট ক্যাম্পাসে এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন শিক্ষার্থী আশিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের জীবন নিয়ে থ্রেট দেয়া হচ্ছে। সবকিছুর প্রমাণ নিয়ে আমরা উপাচার্য স্যারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি, যেন এটি বন্ধ করা হয়। আমরা ছাড়াও আরও যারা এটার ভুক্তভোগী তাদের নামও আবেদনে উল্লেখ করেছি।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা হত্যার হুমকি পাচ্ছেন দাবি করে নিরাপত্তা চেয়ে উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

আবেদনে তারা বলেছেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর ও শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় আমাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা এসব আর নিতে পারছি না।’

বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা। এ সময় সেখানে ছয়জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কেমিকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুল আলম ও সাগর বিশ্বাস।

আশিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের জীবন নিয়ে থ্রেট দেয়া হচ্ছে। আজ আমরা উপাচার্য স্যারের কাছে সবকিছুর প্রমাণ নিয়ে লিখিত আবেদন করেছি, যেন এটি বন্ধ করা হয়। আমরা ছাড়াও আরও যারা এটার ভুক্তভোগী তাদের নামও আমরা লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছি।

‘আরিফ রায়হান দ্বীপ ভাইয়াকে খুনের আগে তাকে নিয়েও এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুলিং করা হয়েছিল। এরপরও যখন উনি দমছিলেন না তারপর ওনাকে নৃশংসভাবে আমাদের বুয়েট প্রাঙ্গণে হত্যা করা হয়। একই কায়দায় আমাদের বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহাম্মেদ ভাইয়াকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমাদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস হচ্ছে। তাই আমরা উদ্বিগ্ন।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আমাদেরকে পাবলিকলি এবং ব্যক্তিগতভাবেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। যারা আমাদেরকে এই হুমকি দিচ্ছে তাদের নামগুলো উপাচার্য স্যারের কাছে দেয়া লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছি।

‘আমাদের পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে বলা হচ্ছে- আপনার সন্তানকে দেখে রাখুন নয়তো পরে পাবেন না। এই কথাগুলোর মানে কী। এসব কিছুই করা হচ্ছে আমরা হিজবুত তাহরীর ও শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলছি বলে।’

আশিকুল আলম বলেন, ‘বাঁশের কেল্লাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ গ্রুপে আমাদের ছবি পাঠানো হচ্ছে; যার স্ক্রিনশট আমাদের কাছে রয়েছে।’

আশিক বলেন, ‘এই শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করেছিল তাদের ৬ দাবির কোথাও হিজবুত তাহরীর, শিবির বা ছাত্রদলের নাম উল্লেখ ছিল না। শুধু ছাত্রলীগের ইমতিয়াজ রাব্বিসহ আরও যারা সেখানে ছিল তাদের বহিষ্কার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন কেন তারা শিবির বা হিজবুত তাহরীর নিয়ে কথা বলছে? এটা কিন্তু ভাববার বিষয়।

‘আমরাই প্রথম শিবির ও হিজবুত তাহরীরের পয়েন্ট এনেছি। তারা এখন আমাদের এই পয়েন্ট নিয়ে পুরো আন্দোলনকে ঘুরিয়ে দিতে চাচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘কয়েকদিন আগে কিছু শিক্ষার্থী বুয়েটে বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগিয়েছিল। কিন্তু এরও ৬ মাস আগে থেকে আমাদের মুজিব কর্নারের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবিটি ছেঁড়া অবস্থায় ছিল। সেটির দেয়ালের দিকে তাকানোও যাচ্ছে না। পরে আমরা সেই জায়গাটি সংস্কারের আবেদন করেছিলাম ডিএসডব্লিউ স্যারের কাছে। কিন্তু তিনি আমাদেরকে সেটি সংস্কারের অনুমতি দেয়ার সাহসও করেননি।’

এই শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘হাইকোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছে আর উপাচার্য স্যারও যেহেতু বলেছেন যে হাইকোর্টের রায় শিরোধার্য, তাই যদি উপাচার্যের অনুমতি থাকে আমরা বুয়েটে প্রগতিশীলতার রাজনীতি চালু করতে চাই।’

সম্প্রতি ‘বুয়েটে আড়িপেতে শোনা’ নামে বুয়েটের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের একটি প্রাইভেট গ্রুপে ছাত্র রাজনীতি চালুর পক্ষ-বিপক্ষে ভোট চেয়ে পোল খোলা হয়। সেই পোলে ৪ হাজার ৭৯৬জন ভোট দেন। রাজনীতি চালুর পক্ষে ভোট পড়ে ২০টি আর ‘না’-তে ভোট পড়েছে ৪ হাজার ৭৭৬টি।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সংবাদ সম্মেলনে সাগর বিশ্বাস বলেন, ‘সেই পোলে যারা ভোট দিচ্ছে তাদের পরিচয় দেখার সুযোগ না থাকলে রেজাল্টটা এমন হতো না। অনেকেই আছেন যারা রাজনীতির পক্ষে। কিন্তু এখানে ভোট দিলে তাদেরকেও সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে এই ভয়ে তারা ভোট দেননি।’

এ সময় তিনি এই গ্রুপগুলো যারা পরিচালনা করছে তাদের পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘সেই গ্রুপগুলোতে হেট স্পিচ ছড়ানো হচ্ছে। আমাদের ছবি নিয়ে মকারি করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি, প্রয়োজনে আইন সংশোধনের অনুরোধ
বুয়েট শহীদ মিনারে বসবে ছাত্রলীগ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে করবে আলোচনা
‘সংকটময় মুহূর্তে’ শিক্ষকদের পাশে চান বুয়েট শিক্ষার্থীরা
বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া হতে দেয়া যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করল হাইকোর্ট

মন্তব্য

শিক্ষা
Smile Jobs and Tuition makes tuition stress free

টিউশনকে টেনশন ফ্রি করছে ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশন’

টিউশনকে টেনশন ফ্রি করছে ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশন’ প্রতীকী ছবি
২০১৮ সালে ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশনস’-এর শুরু করেন আদনান। শুরুতে একটা ডায়েরিতে শিক্ষক-অভিভাবকদের তথ্য লিখে রাখতেন তিনি। আর এখন পাঁচজনের টিম নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন টিউশনির এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতটাকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখার মধ্যে আনার জন্য।

আপনার সন্তান কিংবা নিজের জন্যে একজন যোগ্য হাউস টিউটর খুঁজে বের করাটা বলতে গেলে বেশ কঠিন কাজ। সাধারণত স্কুলের শিক্ষক বা পরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে খোঁজ-খবর নেয়ার মাধ্যমে হাউস টিউটর ঠিক করা হয়। তবে এই শিক্ষকরা আপনার সন্তানের উপযুক্ত কি না, সেটা জানতে-বুঝতেই অন্তত একমাস চলে যায়। অথচ পরে অনেক সময় মনে হয় যে সিদ্ধান্তটা ঠিক হয়নি। যোগ্য হাউস টিউটর খোঁজার এই প্রক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রে এভাবে চলতেই থাকে।

অন্যদিকে, মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণ ছাত্ররা টিউশনি করাতে চাইলে উপযুক্ত ছাত্র খুঁজে পায় না। কীভাবে বিজ্ঞাপন করবে, দেয়ালে-ল্যাম্পপোস্টে পোস্টার লাগাবে- সেটা ভেবে হয়রান হয়।

স্কুলের ছাত্র থাকাকালে আফতাব আদনানের জন্য একজন ভালো হাউস টিউটর খুঁজতে ঝামেলা পোহাতে হয়েছে তার বাবা-মাকে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে নিজে যখন টিউশনি করতে চেয়েছেন, তখনও ছাত্র খুঁজে নেয়া বা অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে নানা বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির আইডিয়া মাথায় আসে তার, যেখানে হাউস টিউটর নিয়োগের ব্যাপারটা হবে সহজ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়।

টিউশনকে টেনশন ফ্রি করছে ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশন’

সেই ভাবনা থেকেই সাহস যুগিয়ে ২০১৮ সালে ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশনস’-এর শুরু করেন আদনান। শুরুতে একটা ডায়েরিতে শিক্ষক-অভিভাবকদের তথ্য লিখে রাখতেন তিনি। আর এখন পাঁচজনের টিম নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন টিউশনির এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতটাকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখার মধ্যে আনার জন্য।

বর্তমানে ‘স্মাইল জব অ্যান্ড টিউশনস’-এ রেজিস্টার্ড টিউটরের সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি। প্রায় ১২০০ অভিভাবক তাদের সন্তানের জন্য পছন্দমতো হাউস টিউটর খুঁজে নিয়েছেন ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশনস’ থেকে।

এখন ঢাকার মধ্যে কার্যক্রম পরিচালিত হলেও এ যুবকের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য দেশজুড়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং টিউটরদের মধ্যে যোগসূত্র ঘটানো।

আদনান বিশ্বাস করেন যে তিনি পারবেন। কারণ এই স্বপ্নটা তিনি ঘুমিয়ে দেখেন না, বরং এটিই তাকে জাগিয়ে রাখে।

মন্তব্য

p
উপরে