গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর (বশেমুরবিপ্রবিপি)-এর প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন।
শনিবার সকালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের নিয়ে তিনি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ-এর বিশিষ্ট অধ্যাপকগণ তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও জাতির পিতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। পরে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য কাজী সাইফুদ্দীন।
রাষ্ট্রপতি ও বশেমুরবিপ্রবিপি-এর চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ ১৮ সেপ্টেম্বর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীনকে এই পদে নিয়োগ দেন।
অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের (২০২২-২৩ সেশন) শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম সশরীরে শুরুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
রোববার বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন হয়।
এসময় শ্রেণী কার্যক্রম সশরীরে শুরুর পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার ও ২০২৩-২৪ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা দ্রুত নেয়ার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগি সামিয়া বলেন, ‘অনলাইনে পাঠদানের কারণে শিক্ষার গুণগত মান নেমে গেছে। নেটওয়ার্কের দুর্ভোগ, ইন্টারনেট খরচ বহন করার সামর্থ্য দেশের সব শিক্ষার্থীর নেই। জাবির নবীনতম শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস শুরু তাদের পড়াশোনার গুণগত মান হারাবে।
‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগে থেকেই বলেছে নতুন ছয়টি হল তৈরি হয়ে গেলে আর গণরুম থাকবে না। দুর্ভাগ্যবশত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থীদেরকে এখনও গণরুমে থাকতে হচ্ছে। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের গণরুমের মাধ্যমেই সশরীরে ক্লাস শুরু করতে হয়েছে। আর এখন ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থীদের ছয় মাস ঘরে বসিয়ে রেখে অনলাইনে ক্লাস শুরু করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ ভালো গবেষক তৈরি করা, শিক্ষার মান উন্নয়ন করা। কিন্তু জাবি প্রশাসন অর্থ উপার্জনের উপায় খোঁজা নিয়েই ব্যস্ত। এই অথর্ব প্রশাসন বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য তোড়জোড় করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছে। অথচ তারা ভর্তি পরীক্ষার পর ছয় মাস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ঘরে বসিয়ে রেখেছে।’
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অনেক আনন্দ নিয়েই নতুন হলগুলো উদ্বোধন করলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলগুলো এখনও চালু করতে পারেনি। প্রশাসন নিজের স্বার্থের জন্য যেকোনো কাজে যুক্ত হতে পারে। এই প্রশাসনের মাথায় তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে গাছ কেটে নতুন ভবন নির্মাণ করা যায় ও অর্থ লুটপাট করা যায় সে বুদ্ধি আসে। কিন্তু এটা আসে না যে কীভাবে দ্রুততম সময়ে সশরীরে ক্লাস শুরু করা যায়।’
আরও পড়ুন:শিক্ষাক্রমে ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলে তা সংশোধন করা হবে জানিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, এ নিয়ে যেকোনো ধরনের অপপ্রচার করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি রোববার এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
এনসিটিবির সচিব নাজমা আখতার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রাক প্রাথমিক হতে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের মানসম্পন্ন শিক্ষা উন্নয়ন ও প্রসারে এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা লক্ষ করছি স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী সম্প্রতি নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনমনে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে বা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পরিপন্থি কাজকে শিক্ষাক্রমের কাজ বলে প্রচার করা হচ্ছে।
‘নবীর ছবি আঁকতে বলা হয়েছে লিখে মিথ্যাচার করছে। হিন্দি গানের সাথে স্কুলের পোশাক পরা কিছু ছেলেমেয়ে ও ব্যক্তির অশ্লীল নাচ আপলোড করে বলা হচ্ছে শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা, যা সর্বৈব মিথ্যা। কিছু লোক ব্যাঙের লাফ বা হাঁসের ডাক দিচ্ছে, এমন ভিডিও আপলোড করে বলা হচ্ছে এটা নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষক প্রশিক্ষণের অংশ, যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। নতুন শিক্ষাক্রমে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলা হয়, ‘আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে বিকশিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বিপন্ন করার প্রচেষ্টা যারা করছেন, তাদের এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে।
‘শিক্ষাক্রমের কোনো ত্রটিবিচ্যুতি থাকলে তা আমাদের জানালে আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিমার্জন করব, কিন্তু অপপ্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমতাবস্থায় সর্বসাধারণকে মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এনসিটিবি অনুরোধ জানাচ্ছে এবং এরূপ মিথ্যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড, শেয়ার বা কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:রাঙ্গামাটিতে সেনাবাহিনী পরিচালিত লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের মার্কেটিং বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের হেলাল উদ্দিন।
মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে কলেজে যোগ দেন তিনি। ওই সময় তাকে কলেজের অধ্যক্ষ ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
হেলাল উদ্দিন শাহপরীর দ্বীপের হাজি বশির আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেন। ২০১৩ সালে কক্সবাজার কমার্স কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও ২০১৯ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেন।
শাহপরীর দ্বীপের ডাংগরপাড়ার প্রয়াত আবদুল মোতালেবের ছেলে হেলাল উদ্দিন।
শিক্ষক হিসেবে যোগদানের বিষয়ে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস যেমন ভালোবাসায় পূর্ণ, তেমনি বিশ্বাসকে সংহত রাখতে আমি কখনোই আপস করিনি। শত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সোনার বাংলা গড়ার এই অভিযাত্রায় যুক্ত হওয়ার তীব্র ইচ্ছে আমার এবং আমার পরিবারের।’
হেলালের কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত টেকনাফের অনেক বাসিন্দা। তিনি যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েছেন, সেখানকার শিক্ষক ফযেজ উল্লাহ বলেন, ‘কলেজের শিক্ষক হওয়া মধুর প্রাপ্তি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সে পেশাদারত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলবে, এ কামনা করি আমরা সবাই।
‘লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নে তার এই অগ্রযাত্রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন:দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
লটারির এ অনুষ্ঠানটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ফেসবুক পেজ এবং টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
মাউশি থেকে জানা যায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৬৫৮টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয় গত ২৪ অক্টোবর। এই প্রক্রিয়া চলমান ছিল ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
এ প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী ৩ হাজার ৮৪৬টি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার নয়টি শূন্য আসনের চাহিদা পাওয়া যায়। শূন্য আসনের বিপরীতে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ২৫৮ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি গতবারের চেয়ে কমেছে।
গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিলো ২১ হাজার ৮৫৫জন। এ বছর শতভাগ পাশ করেছে ৩৭ টি কলেজের শিক্ষার্থীরা। শতভাগ ফেল করেছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪টি।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, এবার রাজশাহী বোর্ডে মোট পাস করেছে এক লাখ ৮হাজার ৫৮০জন। পাসের হার ও জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে ছাত্রদের চেয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। ছাত্রীদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর ছাত্রদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৫৫ ভাগ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রীর সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৩ জন। আর জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৪৫ জন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের আওতায় বিভাগের আট জেলায় এবার পরীক্ষার্থী ছিলো ১ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জন। এর মধ্যে পরীক্ষা দেয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯০জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭৩ হাজার ২২৩ জন আর ছাত্রী ৬৫ হাজার ১৬৭জন। বিভাগের আট জেলার ৭৪৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থী ২০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
পাসের হারে এগিয়ে রাজশাহী জেলা, জিপিএ-৫ এ বগুড়া সেরা
পাসের হার বিবেচনায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সেরা হয়েছে রাজশাহী জেলা। তবে জিপিএ -৫ এ রাজশাহী বিভাগের মধ্যে সবার উপরে আছে বগুড়া জেলা।
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম এসব
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষনে দেখা যায, রাজশাহী জেলাতে পাস করেছে ২৩ হাজার ৮৫ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৬২৫ জন, পাসের হার ৮৩ দশমিক ৩৯। চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাস করেছে ৭ হাজার ৩৫৯ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪৩১ জন, পাসের হার ৭১ দশমিক ৫৬।
নাটোরে পাস করেছে ৯ হাজার ২৯ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৫৮৪ জন, পাসের হার ৭৮ দশমিক ০৯। নওগাঁয় পাস করেছে ৯ হাজার ৮৬০ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩৯৮ জন, পাসের হার ৭৬ দশমিক ৪৭। পাবনায় পাস করেছে ১৪ হাজার ২৪৩ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১হাজার ৩৭ জন, পাসের হার ৭৬ দশমিক ৩৩।
সিরাজগঞ্জে পাস করেছে ১৮ হাজার ২৫৪ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১ হাজার ২১৪ জন, পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭৪। বগুড়া জেলায় পাস করেছে ২১ হাজার ৮৭৪ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮৬ জন, পাসের হার ৮৩ দশমিক ২৩, জয়পুরহাট জেলায় পাস করেছে ৪ হাজার ৮৭৬ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২৮৩ জন, পাসের হার ৭৩ দশমিক ৮৫।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় সাদিয়া আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
রোববার দুপুরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের সতারো রশি গ্রামে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। সাদিয়া আক্তার উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের আলী হোসেনের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সাদিয়া সদরপুর সরকারি কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরিক্ষা অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে জেনে নিজের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেয় সাদিয়া। পরে প্রতিবেশীরা তাকে সদরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে সদরপুর থানা ওসি মামুন আল রশিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সিলেট বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। এবার বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।
এ ছাড়া এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮২ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪ হাজার ৮৮১ জন। এবার পেয়েছে ১ হাজার ৬৯৯ জন।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল বোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ইংরেজিতে খারাপ করা ও গ্রামাঞ্চলের কলেজগুলো ভালো ফলাফল করতে না পারায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। এ ছাড়া গত তিন বছর সীমিত পরিসরে পরীক্ষা হওয়ায় পাসের হার বেশি ছিলো। এবার সম্পূর্ণ সিলেবাস ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হওয়ায় ফলাফলে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। সিলেট ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীই মানবিকে পড়ে। অথচ অন্তত ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগে পড়লে শিক্ষার মান অনেক বাড়তো। পাসের হার এবং জিপিএ-৫ বাড়তো। বিজ্ঞানে শিক্ষার্থী বাড়াতে শিক্ষা বিভাগের সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩ হাজার ১২৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৫৯ হাজার ৫৩৬ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৩ হাজার ৯১৬ ছেলে ও ৩৫ হাজার ৬২০ মেয়ে। এর মধ্যে ৮১৯ ছেলে ও ৮৮০ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
এবার সিলেটে শতভাগ পাস করেছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে শূন্য পাস নেই কোন প্রতিষ্ঠানেই।
গত বছর এইচএসসিতে সিলেট বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬৬ হাজার ৪৯১ জন। পাস করেছিল ৫৪ হাজার ১৪২ জন। পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর আগের বছর ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।
মন্তব্য