চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কর্মরত এক সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।
সোমবার বিকেলে চবি প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
হেনস্তার শিকার গিয়াস উদ্দিন বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির চবি প্রতিনিধি। আর অভিযুক্ত সুমন নাছির শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও ট্রেনের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ সিএফসির নেতা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গিয়াস।
তিনি জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সংবাদ সংগ্রহের কাজে চবি প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়ে যান তিনি। সে সময় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমন নাছিরসহ নেতা-কর্মীরা ভিসি অফিসের অভ্যর্থনা কক্ষে বসা ছিলেন।
এই সংবাদকর্মী জানান, এ সময় সুমন নাছির চোখ রাঙিয়ে তাকে ভেতরে যেতে নিষেধ করেন এবং তাদের দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। নিষেধের কারণ জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় সুমন নাছির তাকে গালাগালি এবং মারমুখী আচরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘সুমন নাছির আগেও সংবাদ উপস্থাপনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকবার আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।’
গিয়াস বলেন, ‘সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ আছে। সেটি দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। আমি এই ঘটনায় মঙ্গলবার প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমন নাছির পাল্টা অভিযোগ দিয়ে বলেন, ‘সে (গিয়াস) এসেই আমার ওপর চড়াও হয়েছে। সে ঢুকেই আমার দিকে তাকিয়ে চোখ গরম করছে। আমি জিজ্ঞেস করেছি কী হইছে? সে আমাকে বলে আমি তার দিকে কীভাবে তাকাচ্ছি। আমিও পাল্টা জিজ্ঞেস করলাম তুমিও আমার দিকে কীভাবে যেন তাকাচ্ছ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের (উপাচার্য) সঙ্গে কথা বলতে সেখানে গিয়েছিলাম। আমরা ছাত্রলীগের বডি সেখানে ছিলাম। ম্যাডাম আমাদেরও অভিভাবক। তাকে পরে আসতে বলি। এরপরই সে জিজ্ঞেস করে, আমি কি তাকে মারব? আমি উত্তরে বলি, তুমি কি শিবির যে তোমাকে মারব। এরপর গিয়াস চলে যায়। সে কারো এজেন্ট হয়ে যদি হেনস্তার অভিযোগ তোলে, সেখানে সিসিটিভি আছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’
সম্প্রতি জন্মদিনে না যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর ওপর। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন:ডাকে একটি বেনামি চিঠি পাঠিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
রোববার সকালে বিভাগের চেয়াম্যানের চিঠির বাক্স থেকে তিনি এই চিঠি পান বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন।
অধ্যাপক মিল্টন জানয়েছেন, চিঠিতে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে কলাম লেখার কারণে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, চার পৃষ্ঠার চিঠিটিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার নিয়ে কটূক্তি করাসহ অশ্লীল ভাষায় গাল-মন্দ করে সরকারের সমালোচনা করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ ৯টি ছবির ওপর বিভিন্ন লেখা আছে।
এর আগেও ২০১৪ সালে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কলাম লেখার কারণে অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল।
চিঠির বিষয়ে অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস বলেন, যারাই এসব কাজের সাথে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করবো।
আরও পড়ুন:রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় প্রথম সমাবর্তন উপলক্ষে ভর্তি ফিতে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ।
‘কনভোকেশন স্পেশাল অ্যাডমিশন কার্নিভাল’ নামের ছাড় উৎসবে দুই সপ্তাহব্যাপী এইচএসসি ও এ-লেভেলের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি ফি ৪ হাজার টাকা এবং ডিপ্লোমাধারীদের জন্য ১ হাজার টাকা থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে টিউশন ফির ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি থাকছে। পাশাপাশি তিন বা তার বেশি শিক্ষার্থী একসঙ্গে ভর্তি হলে টিউশন ফিতে ৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে।
এমবিএর শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফিতে ৫০ শতাংশ এবং এক্সিকিউটিভ এমবিএর জন্য ৬০ শতাংশ ছাড় থাকছে। সব বিষয়ে ভর্তিচ্ছুদের জন্য টিউশন ফির ওপর রয়েছে ৪০ শতাংশ ছাড়।
চলতি মাসের শেষের দিনে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শান্তিতে নোবেলজয়ী ও ভারতের শিশু অধিকারকর্মী কৈলাস সত্যার্থী সমাবর্তন বক্তা হিসেবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক পর্যায়ে বিবিএ, ইইই, সিএসই, ইংরেজি, এলএলবি, মিডিয়া কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এবং শিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম সায়েন্সে পড়ার সুযোগ আছে শিক্ষার্থীদের।
স্নাতকোত্তর পর্যায়ে রয়েছে মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস, এমবিএ এবং এক্সিকিউটিভ এমবিএতে অধ্যয়নের সুযোগ।
ইইই ও সিএসইতে রয়েছে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ভর্তির সুযোগ।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশই দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনাময় ‘শিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম সয়েন্স’ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেয়া হয়।
ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.cub.edu.bd) পাওয়া যাবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ফোন করা যাবে ০১৭০-৭০৭০২৮০, ০১৭০-৭০৭০২৮১, ০১৭০-৭০৭০২৮৪ নম্বরে। ওই নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করেও চ্যাট করা যাবে সিইউবির অ্যাডমিশন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের ঠিকানা: প্লট-খ, ২০১/১, প্রগতি সরণি, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত বছর আন্দোলনে নেমেছিলেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ২৮ শিক্ষার্থী অনশনও শুরু করেন। পরে ২৬ জানুয়ারি ‘সরকারের উচ্চপর্যায়ের আশ্বাসে’ তাদের অনশন ভাঙান এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এরপর আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
‘উচ্চপর্যায়ের’ সেই আশ্বাসের এক বছর পেরিয়েছে এরই মধ্যে। তবে এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি। স্বপদেই বহাল আছেন উপাচার্য । এ ছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা একটি মামলাও এখন পর্যন্ত প্রত্যাহার হয়নি। পুলিশের স্পিল্টারে আহত শিক্ষার্থী সজল কুন্ডুর চিকিৎসাব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
২০২১ সালের জুনে দ্বিতীয় মেয়াদে শাবির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন। তার নির্ধারিত চার বছর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনে। এই সময়ের মধ্যে উপাচার্যের পদত্যাগে সরকারের ‘আশ্বাস’ বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কিত খোদ আন্দোলনকারীরাই।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ করার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। সেই আশ্বাসেই আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু এক বছরেও উপাচার্যের পদত্যাগসহ কয়েকটি দাবি পূরণ হয়নি। এগুলো আদৌ পূরণ হবে কি না এ নিয়ে আমরা নিজেরাই শঙ্কিত।’
তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে ক্যাম্পাসে একটি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। সরকারের তরফ থেকেও আমাদের সঙ্গে আর কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হচ্ছে না।’
আন্দোলনের শুরু ও শেষ যেভাবে
সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবিতে গত বছরের জানুয়ারিতে আন্দোলনে নামেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এই দাবিতে ১৬ জানুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ টিয়ারসেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে আনে। এ সময় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, পুলিশসহ অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী।
১৬ জানুয়ারি রাতেই সিন্ডিকেট সভা ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য। পরদিন দুপুরের মধ্যে হল ছাড়তেও শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে এই নির্দেশনা অমান্য করে ওই রাত থেকেই উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৯ জানুয়ারি বিকেল থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১ জন শিক্ষার্থীর বাবার অসুস্থতার কারণে অনশন ত্যাগ করেন এবং আরও পাঁচ শিক্ষার্থী অনশনে বসেন। এক পর্যায়ে উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎসংযোগও বন্ধ করে দেন তারা।
২৬ জানুয়ারি ভোররাতে ক্যাম্পাসে আসেন জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ড. ইয়াসমীন হক। তারা দুজনই শাবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়া হবে, তারা দুজন এমন আশ্বাস দিলে ১৬৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙেন ২৮ শিক্ষার্থী।
ওইদিন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তোমাদের দাবিগুলো দ্রুততম সময়েয় মধ্যে মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। তাদের আশ্বাস না পেলে আমি এখানে আসতাম না। এখন যদি তারা কথা না রাখেন তা কেবল আমার সঙ্গে না দেশের সকল প্রগতিশীল মানুষের সাথেই মিথ্যাচার হবে’।
যেসব দাবি ছিল শিক্ষার্থীদের
শাবি শিক্ষাথীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১১ ফেব্রুয়ারি সিলেটে এসে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচটি দাবি এবং আট দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন।
তাদের দাবিগুলো ছিল- উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগসহ ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ, ক্যাম্পাসের সব আবাসিক হল সচল রাখার বিষয়ে উদ্যোগ, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সাহায্য দেয়া পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন ও অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং অনশনরত শিক্ষার্থী ও উপাচার্যের নির্দেশে পুলিশের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ভার বহন।
সেদিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদেরকে সব দাবি মেনে নেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন এবং উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। এই আশ্বাসের পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডিতে পরিবর্তন আনা হয়, ক্যাম্পাসের সব আবাসিক হল সচল হয়, শিক্ষার্থীদের অর্থ সাহায্য দেয়া পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন পান এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
একবছরেও পূরণ হয়নি প্রধান দাবি
একবছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রধান দাবিসহ কয়েকটি দাবি পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ‘আমাদের প্রথম এবং প্রধান দাবি ছিল দ্রুততম সময়ে ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে উপাচার্য পদ থেকে অপসারণ করে একজন গবেষণামনা, শিক্ষাবিদ ও অবিতর্কিত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক। মন্ত্রী এই বিষয়ে বলেছিলেন, ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আচার্যের কাছে উপস্থাপন করা হবে। আচার্য এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু এতদিন পরেও ফরিদ উদ্দিন আহমদ শাবিপ্রবির উপাচার্য পদে বহাল আছেন।’
তিনি বলেন, ‘১৬ জানুয়ারির হামলার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সজল কুন্ডুকে অন্তত ৯ম গ্রেডের একটি চাকরি এবং নগদ ক্ষতিপূরণ দেয়ার স্পষ্ট আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সজল এখনো শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ বা চাকরি কোনোটাই পাননি।
‘উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তিনি যে ক্যাফেটেরিয়াটি চালাতেন সেটিও কেড়ে নেয়া হয়েছে। প্রথম কিছুদিন সরকারী তত্ত্বাবধানে সজলের নিয়মিত চেকআপের ব্যবস্থা করা দুই তিনমাস পর তাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
অনশনকারী শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখপাত্র শাহারিয়ার আবেদীন বলেন, ‘জাফর স্যারের সঙ্গে আমাদের মাঝেমাঝে কথা হয়। স্যারও এ বিষয়ে হতাশ। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এখনো স্যারকে আমাদের দাবি পূরণে কাজ চলছে বলে জানানো হচ্ছে।’
দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি বৈঠক আয়োজনে অধ্যাপক জাফর ইকবাল চেষ্টা করছেন বলে জানান শাহারিয়ার।
কথা বলতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও তাদের দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ।
এ বিষয়ে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন বলেন, ‘তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। এগুলো আমার এখতিয়ারে নেই।
‘ওই ঘটনার পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সুন্দর ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট ছিলাম। তাতে সফলও হয়েছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক অনেক ভালো।’
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১১টি পদে জয়লাভ করেছে আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ এবং অন্য চারটি পদে জয়লাভ করেছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনিরুদ্ধ কাহালি এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে সভাপতি হয়েছেন গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ। সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) অধ্যাপক ড. এম শামীম কায়সার।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে সম্পাদক পদে তিনটি জয় এসেছে। এর মধ্যে সহসভাপতি পদে প্রাণিবিদ্যাবিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং যুগ্ম সম্পাদকপদে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন জয় পেয়েছেন।
সদস্য পদে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষক প্যানেল থেকে ৯টি পদে জয় এসেছে। তারা হলেন অধ্যাপক আহমেদ রেজা, অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার, অধ্যাপক ফারহা মতিন জুলিয়ানা, অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিক উর রহমান, অধ্যাপকমিজানুর রহমান, অধ্যাপক সুবর্ণা কর্মকার, অধ্যাপক সাব্বির আলম, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম ও মাহফুজাখাতুন।
এছাড়া সদস্য পদে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল রাকিব জয়লাভ করেছেন।
এর আগে সকাল ৯টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন শুরু হয়ে দুপুর দেড়টায় শেষ হয়। এ নির্বাচনে মোট ৬০১ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ৫৭৫ জন ভোটার।
আরও পড়ুন:পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন বিভাগের ১৪ শিক্ষার্থীকে সাজা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনকে এক সেমিস্টার বহিষ্কার, দুজনের কোর্স বাতিল ও একজনের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার আদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির ৬১তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে বুধবার জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল।
শৃঙ্খলা কমিটি সূত্রে জানা যায়, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের মো. রনি মিয়া ও একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জারিন তাসনিম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দর্শন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ইকবাল হোসেন শরীফ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রেহানা খাতুন, আকাশ মন্ডল, মো. শাকিল খান, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. শাহরিয়ার ইমন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের জান্নাতুল মাওয়া সাথী, একই বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের মো. রফিকুল হাসান, সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের সানজিদা শারমিনকে এক সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফারজানা আক্তার মুক্তা, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের রেজওয়ান করিম সংশ্লিষ্ট কোর্সে বহিষ্কার, আইন বিভাগের প্রফেশনাল কোর্সে ২০২২-২৩ সেশনে আশিকুল ইসলাম নাসিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় তাদেরকে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে শিবিরকর্মী সন্দেহে এক শিক্ষার্থীকে জেরা এবং কয়েক দফায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
রোববার রাত ১১টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত এক টানা হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে জেরা ও নির্যাতন করেন। তবে জেরার কথা স্বীকার করলেও নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।
ঘটনার পর হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে ছাত্রলীগ কর্মীরা ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম শাহরিয়াদ মিয়া সাগর। তিনি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
নির্যাতনের শিকার সাগরের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক হাসান সাইদী, হল ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাজেদুর রহমান, গণযোগাযোগ উপসম্পাদক শাকিবুল ইসলাম সুজন, সাহিত্য সম্পাদক ইউসুফ তুহিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক বায়েজিদ বোস্তামী, সহ আরো বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী তাকে নির্যাতন করেন।
অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত এগারোটার দিকে শিবির সন্দেহে শাহরিয়াদকে পদ্মা ব্লকের ৪০০৮ নম্বর রুমে নিয়ে জেরা এবং মারধর করতে থাকেন ছাত্রলীগ নেতারা। জেরার এক পর্যায়ে তিনি শিবিরকর্মী বলে স্বীকার করেন।
এরপর তার সঙ্গে আরও কে বা কারা জড়িত তাদের নাম প্রকাশ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। পরে কিছু নাম সংগ্রহ করে সকালে তাকে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ছাত্রলীগ। কিন্তু সকালে তাকে বের হতে না দিয়ে আবারও জেরা এবং বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
পরে সকাল আটটার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল বাছির হলে এসে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি শাহরিয়াদকে প্রক্টোরিয়াল টিমের হাতে তুলে দেন।
প্রক্টরিয়াল টিমের গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই শিক্ষার্থীকে আবারও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ভুক্তভোগী শাহরিয়াদ বলেন, এক জুনিয়রের সঙ্গে আমার ফোনে একটু কথা হয়েছিল। এটার সূত্র ধরে তারা আমাকে পদ্মা ব্লকের ৪০০৮ নম্বার কক্ষে নিয়ে আমাকে মারধর করে। আমাকে সবচেয়ে বেশি মেরেছে সুজন, তুহিন আর মাজেদ।
মাজেদুল ইসলাম নামের এক অভিযুক্ত বলেন, সে শিবির করার কথা আমাদের সামনে স্বীকার করেছে। তার বিষয়টি রাতেই আমরা প্রভোস্ট স্যারকে জানিয়েছি। তাকে কোনো ধরনের মারধর করা হয়নি।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি, প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। ছাত্রলীগ মারধরের রাজনীতি করে না। মারধরের সাথে কেউ জড়িত থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্র শিবিরের সঙ্গে ওর সম্পৃক্ততা আছে বলে জেনেছি। সে এখন অনুতপ্ত। যেহেতু সে স্বীকার করেছে, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী এসব বিষয় প্রক্টর দেখবেন।
ভুক্তভোগীকে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, মারধরের ঘটনাটা শিক্ষার্থীদের মধ্যে না হওয়াই ভালো। তবে ভুক্তভোগী যদি মারধরের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন:আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে। এ অবস্থায়, বর্ণিত অনুশাসন অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘দায়িত্ব নেয়ার শুরু থেকেই সমাবর্তন আয়োজনের ব্যাপারে আমরা আন্তরিক ছিলাম। উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ার পরপরই সিন্ডিকেট আহ্বান করে ফেব্রুয়ারিতে সমাবর্তন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেই। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তিনি আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সমাবর্তন আয়োজনের সম্মতি দিয়েছেন।’
২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য