× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
The principal of Vikarunnisa wanted the land
google_news print-icon

জমি চাইলেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ

জমি-চাইলেন-ভিকারুননিসার-অধ্যক্ষ
আন্দোলনরত ছাত্রীদের স্কুলে ফিরিয়ে নিতে আসেন অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার। ছবি: নিউজবাংলা
অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমাদের অনেক অভিভাবক সামর্থ্যবান আছেন। তারা সহযোগিতা করতে পারেন। অথবা কেউ চাইলে আমাদের জমি দান করে পাশে দাঁড়াতে পারেন।’

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের ক্যাম্পাস স্থায়ীকরণের দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার। এই আশ্বাসে রাস্তা ছেড়েছেন ছাত্রীরা। এসময় তিনি ক্যাম্পাস স্থায়ী করতে বিত্তবান অভিভাবকদের কাছে জমি দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ধানমন্ডি ৭ নম্বর এলাকায় মিরপুর সড়ক বন্ধ করে দেয় ভিকারুননিসার ছাত্রীরা।

বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনরত ছাত্রীদের দাবির বিষয়ে কথা বলতে আসেন অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার। এ সময়ে আন্দোলনরত ছাত্রীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি।

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই ক্যাম্পাস বন্ধ হচ্ছে না। এমনকি ধানমন্ডি ক্যাম্পাস বন্ধের কোনো আলোচনা হয়নি। স্থায়ী ক্যাম্পাস করার চেষ্টা চলবে। পরবর্তীতে এই বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সেটি শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

স্থায়ী ক্যাম্পাস করার জন্য জমির সন্ধান করা হবে জানিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমাদের অনেক অভিভাবক সামর্থ্যবান আছেন। তারা সহযোগিতা করতে পারেন। অথবা কেউ চাইলে আমাদের জমি দান করে পাশে দাঁড়াতে পারেন।’

এদিকে দুপুর ৩টার দিকে অধ্যক্ষের প্রতিনিধি হয়ে ছাত্রীদের স্কুলে ফিরিয়ে নিতে আসেন শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা। অধ্যক্ষ নিজে না এসে প্রতিনিধি পাঠানোয় অভিভাবক ও ছাত্রীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি।

পরে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও এসিল্যান্ড ধানমন্ডি (রাজস্ব) সার্কেল শহীদুল ইসলাম সোহাগ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আন্দোলনরত ছাত্রী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সভাপতি ঢাকা জেলার প্রশাসক। তিনি নিজে বিষয়টি জেনেছেন। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ধানমন্ডি শাখা বন্ধ হচ্ছে না। পাশাপাশি স্থায়ী ক্যাম্পাস করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আন্দোলনরত ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে এসে ব্যর্থ হন ধানমন্ডি দিবা শাখার প্রধান পারভীন আক্তার। তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস ছেড়ে দেয়ার আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কয়েকজন শিক্ষককে মোবাইল ফোনে পছন্দের ক্যাম্পাসে বদলির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। এই বিষয়টি ছড়িয়ে যাওয়ায় ছাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছে।

ক্যাম্পাস ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি গুজব কি না জানতে চাইলে শাখাপ্রধান বলেন, ‘কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা সেটি তদন্ত করে বলতে হবে। তবে ইতোমধ্যে কিছু শিক্ষক বদলি হয়েছেন।’

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাস্তা বন্ধ থাকায় রাস্তার দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। দাবি মানার আশ্বাসের পর প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর রাস্তা ছাড়ে ছাত্রীরা।

রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এহসানুল ফেরদাউস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোয়া ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছাত্রীরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। এই সময়ে জানমালের ক্ষতির কোনো খবর পাইনি।’

আরও পড়ুন:
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপ: রিপোর্ট দাখিলে বাড়ল সময়
অধ্যক্ষের মুখে এমন শব্দ অপ্রত্যাশিত: হাইকোর্ট
ভিকারুননিসায় ‘ব্যয় মানেই অনিয়ম’
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের অডিওর ফরেনসিক চান সুমন
ভিকারুননিসার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
The parents held the feet of the judge protesting the students

বিচারকের পা ধরলেন অভিভাবকরা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বিচারকের পা ধরলেন অভিভাবকরা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অভিভাবকদের লাঞ্ছনার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: নিউজবাংলা
বগুড়ার জজ আদালতের এক বিচারকের মেয়ে অন্যদের মতো শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে না চাওয়ায় সহপাঠিদের সঙ্গে বচসা হয়। এ ঘটনায় ওই বিচারক বিদ্যালয়ে এসে কয়েকজন অভিভাবককে ডেকে আনেন। অভিযোগ উঠেছে, জেলের ভয় দেখানো হলে দুজন অভিভাবক বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চান। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে শিক্ষার্থীরা।

বগুড়ায় এক বিচারকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে বিচারকের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত।

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “এই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে বগুড়ার জজ আদালতের এক বিচারকের মেয়ে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকে। সোমবার ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডতা হয়।

“ওই রাতেই বিচারকের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মাধ্যমে মেসেঞ্জারে তার সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে উল্লেখ করে পোস্ট দেয়। সে পোস্টে উল্লেখ করে, ‘তোরা বস্তির মেয়ে। আমার মা জজ। তোদের মায়েদের বল আমার মায়ের মতো জজ হতে।’

“ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের চার সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে ওই বিচারক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মঙ্গলবার অভিভাবকদের ডাকতে বলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। সে সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে দেয়ার হুমকি দেন। এ সময় দুই অভিভাবককে ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।”

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, ‘বিচারকের মেয়ে ও কিছু শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে বিচার বসানো হয়। এ সময় বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জেলে দেয়ার হুমকি দিলে দুইজন অভিভাবক নিজে থেকেই পা ধরে ক্ষমা চান। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি বা পা ধরতে বলেনি।’

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের সন্তানদের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব কাজ করে।

‘যতটুকু জেনেছি সোমবার বিচারকের মেয়ের ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে সে তিন মাস আগেই স্কুলে আসায় এই পরিবেশ হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি। এজন্য সে ঝাড়ু দিতে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে কাজটি সম্পন্ন করে। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ক্রিটিসাইজ করে। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।’

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘এ কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে ডাকা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু অভিভাবকদের মাফ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে। অভিভাবকেরা ভয় পেয়ে এভাবে মাফ চেয়েছেন। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি।’

এদিকে অভিভাবকদের লাঞ্ছনা ও শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার বিদ্যালয়ে আসেন। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দেন।

একইসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।

মন্তব্য

শিক্ষা
Photo of Chabi Chhatra League President tapping his feet is viral

বিছানায় চবি ছাত্রলীগ সভাপতি, পা টিপছেন ২ নেতা

বিছানায় চবি ছাত্রলীগ সভাপতি, পা টিপছেন ২ নেতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল পা টিপছেন ছাত্রলীগের দুই নেতা। ছবি: নিউজবাংলা
পা টেপার বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ বলেন, রুবেল ভাই অসুস্থ ছিলেন। আমরা ওনার পায়ে মলম লাগিয়ে দিয়েছি। পরিবারে কেউ অসুস্থ হলে অন্যরা যেমন সেবা করেন, এটাও তেমন।

বিছানায় শুয়ে মোবাইল চালাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। পা টিপছেন শাখা ছাত্রলীগেরই দুই নেতা।

এমনই একটি ছবি সোমবার দিনজুড়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা।

শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষের চিত্র এটি। এই কক্ষে থাকেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। অন্যদিকে পা টিপতে থাকা দুই নেতা হলেন, উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ ও উপক্রীড়া সম্পাদক শফিউল ইসলাম।

তবে সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের দাবি ছবিটি আড়াই বছর আগের। তার অসুস্থ থাকাকালীন এই ছবি দিয়ে অপরজনীতি করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

রুবেল বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম, আমার ছোট ভাই দুইজন আমার সেবা করেছে। এটা মানবিক বিষয়। ছাত্রলীগের সভাপতি বলে কি কেউ আমার সেবা করতে পারবে না? আমার সঙ্গেরই কেউ সেই সময় ছবি তুলে এখন অপরাজনীতি করছে।

তিনি বলেন, অসুস্থ হলে মানুষ মানুষকে এমনিতেই দেখতে আসে, সেবা-যত্ন করে। এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। ছবিতে ওষুধপথ্য দেখা যাচ্ছে। যারা অপরাজনীতি করছেন তারা অমানবিক কাজ করছেন। আমি নিজেও প্রেসিডেন্ট হয়ে পা টিপেছি, সেবা করেছি, এমন ছবিও আমার ওয়ালে দিয়েছি। সেটা ভাইরাল করুক।

পা টেপার বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ বলেন, রুবেল ভাই অসুস্থ ছিলেন। আমরা ওনার পায়ে মলম লাগিয়ে দিয়েছি। পরিবারে কেউ অসুস্থ হলে অন্যরা যেমন সেবা করেন, এটাও তেমন।

বিশ্ববদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রেজাউল হক রুবেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি স্নাতক পাস করেন ২০১০ সালে। স্নাতকোত্তর পাস করেছেন ২০১৩ সালে। আর ২০১৯ সালে ১৪ জুলাই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। সভাপতির মেয়াদ এক বছর হলেও তিনি এখনো এই পদে রয়ে গেছেন। তার শিক্ষাবর্ষের অন্য শিক্ষার্থীরা অন্তত ৯ বছর আগে স্নাতকোত্তর শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন। তবে তিনি এখনও ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন।

আরও পড়ুন:
বিচার চেয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ: কী বলছেন অধ্যাপক তানজীম
পরীক্ষা কেন্দ্রে তালা দিল ছাত্রলীগ
জবিতে ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ
রাজশাহী কলেজে সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নির্যাতনের অভিযোগ
ছাত্রলীগ নেতার প্রতারণা, ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও!

মন্তব্য

শিক্ষা
Kubirs 4 students are on hunger strike to get their demands

দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে কুবির ৪ শিক্ষার্থী

দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে কুবির ৪ শিক্ষার্থী ৫ দফা দাবি আদায়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমরণে অনশনে চার শিক্ষার্থী। ছবি: নিউজবাংলা
রোববার বিকেলে ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ, আইসিটি বিভাগের কাজল হোসেন ও ইমতিয়াজ শাহরিয়া এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরী।

দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ইন্ধনের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর পদত্যাগ এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে বসেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী।

টানা ১০ দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেও কোনো ফল না আসায় শেষ পর্যন্ত অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন তারা।

রোববার বিকেল ৪টায় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্যের পাদদেশে লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ, আইসিটি বিভাগের দুই শিক্ষার্থী কাজল হোসেন ও ইমতিয়াজ শাহরিয়া এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরী অনশনে বসেন।

সন্ধ্যা ৭টায় অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন উপাচার্য। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়ে দেন তারা।

বৃষ্টি উপেক্ষা করেও তাদের এই আমরণ অনশন চলমান রয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টায়ও বৃষ্টিতে ভিজে তাদেরকে অনশন করতে দেখা যায়।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ‘৮ মার্চ ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক সংলগ্ন তাজান্না ভূঁইয়া কনফেকশনারির সামনে ‘প্রক্টর সমর্থিত’ ছাত্রলীগের ক্যাম্পাসের বাইরের অংশের হাতে হামলার শিকার হন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী হৃদয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ইমতিয়াজ শাহরিয়া ও কাজল হোসাইন।

এর আগে ১৬ মার্চ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর জাস্টিস’-এ রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে দাবি আদায়ে তারা আল্টিমেটাম দেন। একই সময়ে প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তারা।

আল্টিমেটাম দেয়া সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়ে অনশনে বসেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে অনশনকারী শিক্ষার্থী কাজল হোসাইন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।

বিকেল সাড়ে ৫টায় অনশনকারী শিক্ষার্থীদেরকে দেখতে এসে সান্ত্বনা দিয়ে চলে যান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান। সে সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর না দিয়েই স্থান ত্যাগ করেন তিনি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনও অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে আসেন। ভিসির সামনে অনশনে অনড় থাকার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে অনশনরতরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন উপাচার্য।

সে সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান।

আরও পড়ুন:
অন্তর্কোন্দলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করল কুবি ছাত্রলীগ

মন্তব্য

শিক্ষা
Charkis internship at Canadian University of Bangladesh

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে চরকির ‘ইন্টার্নশিপ’

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে চরকির ‘ইন্টার্নশিপ’ রোববার সিইউব-এর মিলনায়তনে নতুন ওয়েব সিরিজ ‘ইন্টার্নশিপ’-এর প্রদর্শনী কেক কাটা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনই ইন্টার্ন ছিলেন না বা হুমায়ূন আহমেদও ছিলেন না কিন্তু আজকের এই সময়ের সুযোগ গুলোই ভবিষ্যতের দুয়ার উন্মোচিত করতে সাহায্য করবে। আমরা এমন একটি সুন্দর আয়োজনের জন্য একত্রিত হতে পেরে খুবই আনন্দিত।’

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের মিডিয়া কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগ এবং চরকির সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে অলটাইম প্রেজেন্টস নতুন ওয়েব সিরিজ ‘ইন্টার্নশিপ’ ।

রোববার সিইউব-এর মিলনায়তনে ওয়েব সিরিজের প্রথম আটটি পর্বের প্রথম দুইটির প্রদর্শনী করা হয় ।

‘ইন্টার্নশিপ’ ওয়েব সিরিজের অভিনেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান চরিত্রে থাকা সৌম্য জ্যোতি, তাসলিমা হোসেন নদি, মোরশেদ মিশু, মীর রাব্বি, কারিনা কায়সার প্রমুখ। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন ওয়েব সিরিজের নির্মাতা রেজাউর রহমান।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে চরকির ‘ইন্টার্নশিপ’

প্রদর্শনীর সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ'র অধ্যাপক ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ রিদওয়ানুল হক, লামিয়া সেলিম, হেড অফ এক্সটার্নাল আফ্যেয়ারস এন্ড পার্টনারশিপ এবং চরকির টিম থেকে ছিলেন মার্কেটিং অ্যান্ড গ্রোথের প্রধান জনাব ফয়সাল মুজিবুর রহমান।

প্রফেসর মুহাম্মদ রিদওয়ানুল হক তার বক্তব্যে বলেন- ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনই ইন্টার্ন ছিলেন না বা হুমায়ূন আহমেদও ছিলেন না কিন্তু আজকের এই সময়ের সুযোগ গুলোই ভবিষ্যতের দুয়ার উন্মোচিত করতে সাহায্য করবে। আমরা এমন একটি সুন্দর আয়োজনের জন্য একত্রিত হতে পেরে খুবই আনন্দিত।’

প্রদর্শনী শেষে ইন্টার্নশিপ ওয়েব সিরিজের অভিনেতারা তাদের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং কেক কাটা হয়।

মন্তব্য

শিক্ষা
Official launch of Department of Media Studies and Journalism at UIU

ইউআইইউতে ‘মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম’ বিভাগের আনুষ্ঠানিক যাত্রা

ইউআইইউতে ‘মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম’ বিভাগের আনুষ্ঠানিক যাত্রা ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বুধবার মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগ উদ্বোধন হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ইউআইইউর মাননীয় উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া’র সভাপতিত্বে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার এবং দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান।

সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও মানবীয় যোগাযোগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরীর লক্ষ্যে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু করলো ‘মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম’ বিভাগ।

বিভাগের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান বুধবার সকালে ইউআইইউ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।

ইউআইইউর মাননীয় উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার এবং দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট উন্নয়ন সাংবাদিক এবং চ্যানেল আই’র পরিচালক ও বার্তা প্রধান জনাব শাইখ সিরাজ।

সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের উপদেষ্টা এবং প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউআইইউ’র ‘মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম’ বিভাগের প্রধান ড. শেখ শফিউল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বরা মিডিয়া ও যোগাযোগ বিষয়ে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানব সম্পদ তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষার উপর জোর দিতে আহ্বান জানান। এছাড়াও অতিথিরা মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগ চালুর জন্য ইউআইইউ’কে ধন্যবাদ জানান এবং এই বিভাগ দেশের দক্ষ গণমাধ্যমকর্মী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
পুলিৎজার পেল নিউ ইয়র্ক টাইমস, ইউক্রেনীয় সাংবাদিকদের সম্মাননা
‘দৈনিক ইন্তেকাল’ সত্যি নয়, নাটক
সাংবাদিক নান্টু পুরস্কৃত নিউজবাংলায়
সাংবাদিকতার নক্ষত্র স্যার হ্যারল্ড ইভানস

মন্তব্য

শিক্ষা
7 Chhatra League leaders expelled from Chamek

চমেক থেকে বহিষ্কার ৭ ছাত্রলীগ নেতা

চমেক থেকে বহিষ্কার ৭ ছাত্রলীগ নেতা ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারিতে হোস্টেলে যে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। তদন্তে প্রতিবেদনে দেয়া সেই কমিটির সুপারিশেই এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা সাধারণ ছাত্রদের জন্য একটা সতর্কবার্তা।’

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে শিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের সাত নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার।

৫৯ ব্যাচের অভিজিৎ দাশকে তিন বছরের জন্য, ৫৯ ব্যাচের রিয়াজুল ইসলাম, ৬২ ব্যাচের সাজু দাশ ও একই ব্যাচের সৌরভ দেবনাথকে দুই বছরের জন্য, মাহিন আহমেদ, জাকির হোসেন ও ইব্রাহিম খলিলকে দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া সাতজনের মধ্যে ইব্রাহিম খলীল ছাড়া বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে আগেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে কিছুদিন পর তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি মওকুফ করা হয়। এদের প্রত্যেকেই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারিতে হোস্টেলে যে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। তদন্তে প্রতিবেদনে দেয়া সেই কমিটির সুপারিশেই এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা সাধারণ ছাত্রদের জন্য একটা সতর্কবার্তা।’

তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বের শাস্তি মওকুফের পরও তারা না শোধরানোয় ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।’

চমেক সূত্রে জানা যায়, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সাত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ছাড়াও ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আরো কিছু সিদ্ধান্ত হয়। এরমধ্যে বহিষ্কৃত ছাত্রদের অভিবাকদের ডেকে এনে কঠোরভাবে সতর্ক করা, প্রধান ছাত্রাবাসে সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়াতে একজনের পরিবর্তে একাধিক হোস্টেল সুপার নিয়োগ, হোস্টেলে আগত সবার জন্য রেজিষ্ট্রার খাতার ব্যবস্থা করা বিষয় রয়েছে।

এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত হলেই হোস্টেলের সিট বরাদ্দ বাতিল করা, সম্পূর্ণ ছাত্রাবাস সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা এবং পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ছাত্রাবাস ও কলেজ ক্যাম্পাস পুলিশ প্রশাসনের উপর ন্যাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ৬২ তম ব্যাচের ৪ শিক্ষার্থীকে হল থেকে ডেকে নিয়ে পৃথক কক্ষে মারধর করেন কলেজ থেকে বহিষ্কৃত কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা। পরদিন দুপুরে পুলিশের সহযোগিতায় দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করায় কলেজ প্রশাসন। বাকি দুজনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মারধারকারীরা।

মারধরের শিকার চারজন হলেন ৬২ তম ব্যাচের এম এ রায়হান, মোবাশ্বির হোসেন শুভ্র, জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল এবং সাকিব হোসেন। এরমধ্যে জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল এবং সাকিব হোসেনকে শুরুতে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি হলে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বাড়িতে নিয়ে যান অভিবাবকরা।

আরও পড়ুন:
অবশেষে চট্টগ্রামে নির্মাণ হচ্ছে বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট
নিরাপত্তাহীনতায় চমেকের হোস্টেলছাড়া ২০ শিক্ষার্থী
চমেকে ৪ ছাত্রকে শিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের মারধরের অভিযোগ

মন্তব্য

শিক্ষা
British Councils IELTS award was won by 7 Bangladeshis

ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএস পুরস্কার পেলেন ৭ বাংলাদেশি  

ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএস পুরস্কার পেলেন ৭ বাংলাদেশি  
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টম মিশসা বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা এ বছর আইইএলটিএস পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের অভিনন্দন। শিক্ষার্থীদের বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়তার পাশাপাশি আইইএলটিএস পুরস্কার তাদের নতুন দেশ ভ্রমণের, নতুন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার এবং বৈশ্বিক আইইএলটিএস কমিউনিটির অংশ হওয়ার সুযোগ করে দেবে।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএস ২০২২-২৩-এর পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন ইংরেজি ভাষা-ভাষী বিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের সহায়তা করতে এ পুরস্কার দেয়া হয়। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন, এজন্য এ পুরস্কারের মাধ্যমে তাদের ৩ হাজার পাউন্ডের আর্থিক সহায়তা দেয় ব্রিটিশ কাউন্সিল।

বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, ঘানা, কেনিয়া, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা- এ ছয়টি দেশের আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য এ বছরের প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত ছিল।

প্রতিযোগিতামূলক আবেদন প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এ পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশ থেকে সাতজন বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়; যারা তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা লাভ করবেন। বিজয়ীরা হলেন- সোয়াবিবা সোয়াদ, ইতমাম মির্জা, কাজী রাকিব হাসান, সাজিদ আই আউয়াল, জয়শ্রী চৌধুরী, জাকিয়া নিশাত এবং আহমেদ আল মাহবুব তালুকদার।

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টম মিশসা বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা এ বছর আইইএলটিএস পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের অভিনন্দন। শিক্ষার্থীদের বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়তার পাশাপাশি আইইএলটিএস পুরস্কার তাদের নতুন দেশ ভ্রমণের, নতুন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার এবং বৈশ্বিক আইইএলটিএস কমিউনিটির অংশ হওয়ার সুযোগ করে দেবে।

বাংলাদেশের আবেদনকারীরা পুরস্কার ও আবেদন প্রক্রিয়াসহ এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে ভিজিট করতে পারেন: https://takeielts.britishcouncil.org/take-ielts/study-work-abroad/ielts-prize.

আরও পড়ুন:
ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডস ২০২২-২৩ অনুষ্ঠিত
নারীদের স্টেম বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়তে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৃত্তি প্রকল্প
দুবাইয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সম্মেলনে শিক্ষায় উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা

মন্তব্য

p
উপরে