× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Having a case is not a transfer of primary teachers
google_news print-icon

মামলা থাকা প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি নয়

মামলা-থাকা-প্রাথমিক-শিক্ষকদের-বদলি-নয়
আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর, তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আবেদনের সময় ৬ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়।

গত মাসের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি আবেদন শুরু হলেও বদলি হতে পারবেন না মামলা থাকা শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন সুলতানা সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে একই উপজেলার মধ্যে অনলাইন বদলি আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্তমানে এ বদলি কার্যক্রমে যে সকল শিক্ষক পদে মামলা চলমান আছে বা স্থগিতাদেশ রয়েছে এরূপ পদে বদলি করা হলে পরে আইনগত জটিলতার আশঙ্কা রয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষক পদে মামলা চলমান বা স্থগিতাদেশ রয়েছে এমন পদে বদলি কার্যক্রম গ্রহণ না করার জন্য বলেছে অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিপত্র অনুযায়ী, আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর, তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আবেদনের সময় ৬ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়।

গত ৩০ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। নতুন করে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।

আরও পড়ুন:
প্রাথমিকে নিয়োগ: মৌখিক পরীক্ষায় যাচাই হবে হাতের লেখা
আখাউড়ার ইউএনও-এসিল্যান্ডকে রাঙ্গামাটি-বান্দরবানে বদলি
নার্সদের বদলিতে শত কোটি টাকার ‘বাণিজ্য’, দুদককে তদন্তের নির্দেশ
প্রাথমিকে নিয়োগ: প্রয়োজনীয় কাগজ জমা ২৩ মে পর্যন্ত
নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস সরবরাহের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা আটক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Appointment of Vice Chancellor in five universities

পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ

পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, হাবিপ্রবিতে অধ্যাপক এম এনামুল্লাহ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে সঙ্গে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-­­­উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনগুলোতে সই করেছেন উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। যোগদানের তারিখ থেকে তিনি চার বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক এম এনামুল্লাহ। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক। আগামী চার বছরের জন্য তাকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। তাকেও চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক। আগামী চার বছর তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

একই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতেও উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়টির নতুন উপাচার্য হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. মো. ফরিদ উদ্দিন খান। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক। আগামী চার বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

একইসঙ্গে রাবিতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) পদেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মইন উদ্দিন।

অন্যদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফিন্যান্স বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. মতিয়ার রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ পদে চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

একই দিনে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) উপ-উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ফ্যাকাল্টি অফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাউসার এ পদে চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ডিসি নিয়োগে ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্তে তিন উপদেষ্টা
বিআরটিএ ও বিআইডব্লিউটিসিতে নতুন চেয়ারম্যান
নিয়োগ হচ্ছে ৩৬০০ কনস্টেবল, আবেদন শুরু ১ অক্টোবর
ববির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন
ইবির উপাচার্য হলেন অধ্যাপক নকীব নসরুল্লাহ

মন্তব্য

শিক্ষা
Bangabandhu Sheikh Mujib University new Vice Chancellor Dilip Barua

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য দিলীপ বড়ুয়া

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য দিলীপ বড়ুয়া অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক দিলীপ কুমার বড়ুয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুড্ডিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক। ১৯৯৫ সালে তিনি লেকচারার পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। এরপর তিনি ক্রমান্বয়ে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক হয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

অধ্যাপক দিলীপ কুমার বড়ুয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুড্ডিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক। ১৯৯৫ সালে তিনি লেকচারার পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। এরপর তিনি ক্রমান্বয়ে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক হয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর বুড্ডিস্ট হেরিটেজ অ্যান্ড কালচারের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণিতে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করায় স্বামী বিবেকানন্দ পদক পেয়েছিলেন।

২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য হতে যাচ্ছেন অধ্যাপক দিলীপ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য জেড এম পারভেজ সাজ্জাদও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে উপাচার্য পদে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার) বছর হবে। এই পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাও ভোগ করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

এদিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক দিলীপ কুমার বলেন, রক্তস্রোতের পর পাওয়া নতুন বাংলাদেশে আমি এই দায়িত্ব পেয়েছি। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, আহত হয়েছে। আন্দোলনের যে আদর্শ সেটি আমি বাস্তবায়ন করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম, সমৃদ্ধি এবং গ্রহণযোগ্যতা আরও বৃদ্ধির জন্য আমার যতটুকু করণীয় করে যাবো।

আরও পড়ুন:
নিয়োগ হচ্ছে ৩৬০০ কনস্টেবল, আবেদন শুরু ১ অক্টোবর
ববির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন
ইবির উপাচার্য হলেন অধ্যাপক নকীব নসরুল্লাহ
কুবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ
ইবিতে উপাচার্য নিয়োগে আল্টিমেটাম, সড়ক অবরোধ

মন্তব্য

শিক্ষা
18th Teacher Registration Written Exam Result Publish

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ
এনটিআরসিএ এর আগে ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। তাতে গড় পাসের হার ছিল ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। এরপর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১২ ও ১৩ জুলাই।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন পরীক্ষার্থী। এবার গড় পাসের হার ২৪ শতাংশ।

সোমবার বিকেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইট থেকে এই ফল প্রকাশের তথ্য জানা যায়।

এনটিআরসিএ এর আগে ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। তাতে গড় পাসের হার ছিল ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ১২ ও ১৩ জুলাই।

গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত ওই প্রিলিমিনারিতে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। তাতে স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে মোট পাস করেন চার লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন চাকরিপ্রার্থী। সে হিসাবে প্রিলিমিনারিতে ৮ লাখ ৬০ হাজারের বেশি প্রার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি।

আরও পড়ুন:
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
নির্বাচনের আগেই ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ২৪ সেপ্টেম্বর

মন্তব্য

শিক্ষা
Anger over the appointment of pro VC and treasurer in Shekribi

শেকৃবিতে প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ

শেকৃবিতে প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেকৃবি এলামনাই সদস্য বলেন, ‘নীতিনির্ধারণী পদে এমন জুনিয়র ও যথাযথ যোগ্যতাহীন শিক্ষক নিয়োগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্ষেত্রেই অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে। আশা করি সিনিয়রিটি বিবেচনায় নিয়ে যোগ্যতম ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ে (শেকৃবি) প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগ ইস্যুতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ দুটি পদে নিয়োগের জন্য পাঠানো সামারিতে যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি হিসেবে উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. বেলাল হোসেন এবং ট্রেজারার হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রফেসর আবুল বাশারের নাম প্রস্তাব করে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি বরাবর সামারি পাঠানো হয়েছে।

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক এবং ছাত্র কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা উল্লিখিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে তাদেরকে নিয়োগে যোগ্যতার প্রশ্ন তুলেছেন।

তারা বলছেন, ড. বেলাল হোসেন ও আবুল বাশার বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে জুনিয়র শিক্ষক। তার ওপর আবুল বাশারের কোনো পিএইচডি ডিগ্রি নেই। তাছাড়া চাকরিতে যোগদানের সময় তার বয়স ৩০ বছরের বেশি থাকার অভিযোগ থাকায় বিষয়টি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংসের আওতায় ছিল।

এমন জুনিয়র শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষক। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেকৃবি এলামনাই সদস্য সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘নীতিনির্ধারণী পদে এমন জুনিয়র ও যথাযথ যোগ্যতাহীন শিক্ষক নিয়োগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্ষেত্রেই অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে।

‘অনেক যোগ্যতম শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও পিএইচডি না থাকা শিক্ষক বা এতটা জুনিয়র শিক্ষক তদবিরের জোরে এই সুযোগটা পাওয়াটা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিয়োগ ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আশা করি এসব ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি বিবেচনায় নিয়ে যোগ্যতম ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’

আরও পড়ুন:
ইবিতে উপাচার্য নিয়োগে আল্টিমেটাম, সড়ক অবরোধ
নতুন উপাচার্য পেল আরও তিন বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন উপাচার্য পেল পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য

শিক্ষা
Dr Hashanat Ali is the Vice Chancellor of Naogaon University

নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন ড. হাছানাত আলী

নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন ড. হাছানাত আলী অধ্যাপক ড. মোহা. হাছানাত আলী। ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. হাছানাত আলী। তাকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিন।

নওগাঁ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. হাছানাত আলী। তাকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিন।

রোববার বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মো. শাহীনুর ইসলাম সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. হাছানাত আলী বিধি অনুযায়ী পদ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

ড. হাছানাত আলী ১৯৮৫ সালে নিজ জেলা বগুড়া থেকে দাখিল ও ১৯৮৭ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে ১৯৯১ সালে স্নাতক ও ১৯৯২ সালে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন ড. হাছানাত আলী। এরপর ১৯৯৯ সালে সহকারী অধ্যাপক হন।

ড. হাছানাত আলী ২০০৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস স্টাডিজ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। দেশ-বিদেশে অধ্যাপক হাছানাত আলীর ২৯টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ববির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন
ইবির উপাচার্য হলেন অধ্যাপক নকীব নসরুল্লাহ
কুবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ
নতুন উপাচার্য পেল আরও তিন বিশ্ববিদ্যালয়
চবির নতুন উপাচার্য ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার

মন্তব্য

শিক্ষা
Haste to reform textbooks may lead to mistakes Education adviser

পাঠ্যবই সংস্কারে তাড়াহুড়ায় ভুলত্রুটি হতে পারে: শিক্ষা উপদেষ্টা

পাঠ্যবই সংস্কারে তাড়াহুড়ায় ভুলত্রুটি হতে পারে: শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফাইল ছবি
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিপাকে পড়েছি। সামনের বছরের পাঠ্যপুস্তকে পরিমার্জন অল্প সময়ে করতে হয়েছে। এ জন্য হয়তো কিছু ভুল থাকতে পারে। ভবিষ্যতে তা সংশোধন করা হবে।’

পাঠ্যবই সংস্কারে তাড়াহুড়ায় কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

আগামীতে এর পুনরাবৃত্তি হবে না প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, যে ভুল হয়েছে, সেগুলো সংশোধন করা হবে। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিপাকে পড়েছি। সামনের বছরের পাঠ্যপুস্তকে পরিমার্জন অল্প সময়ে করতে হয়েছে। এ জন্য হয়তো কিছু ভুল থাকতে পারে। ভবিষ্যতে তা সংশোধন করা হবে।’

শিক্ষা সংস্কার নিয়ে কাজ করছেন জানিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষা কমিশন অনেক কঠিন কাজ। যারা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসবে, তারাই পূর্ণাঙ্গ কমিশন করবে। আমরা কিছু সংস্কার করব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষকদের বেতন অনেক কম। এটা শিক্ষকতায় মনোযোগের অন্তরায়। প্রতিটি পর্যায়ে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। বেসকরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দূর-দূরান্তে গিয়ে চাকরি করছেন। এটা পুরোপুরি সমাধান না হলেও আংশিক সমাধানে কাজ করা হবে।

‘অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষকরা বঞ্চিত, এটা ঠিক। তেমনি অন্যান্য পেশার মতো তাদেরও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’

বর্ষীয়ান এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অপরিকল্পিত। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির নামে শুধু অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে, কিন্তু শিক্ষার মান উন্নয়ন করা হয়নি। কর্মসংস্থানের যোগসূত্র তৈরি করিনি। এ জন্যই শিক্ষিত বেকার তৈরি হয়েছে। শিক্ষার বৈষম্যই অর্থনৈতিক বৈষম্যর প্রধান কারণ।’

ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের কারণে ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছিল। ছাত্ররা তো ভোটার। তাদের সুষ্ঠু রাজনীতি চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও নিজস্ব আচরণবিধিও তৈরি করা যেতে পারে।’

আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরুর অপেক্ষা
মালদ্বীপ ও কাতার থেকে সাজাপ্রাপ্তদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ
সাইবার নিরাপত্তাসহ সব কালো আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শনিবার
প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ

মন্তব্য

শিক্ষা
University Teachers Networks Open Letter to Principal Advisers

প্রধান উপদেষ্টাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের খোলা চিঠি

প্রধান উপদেষ্টাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের খোলা চিঠি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাবে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে খোলা চিঠি পাঠ করেন অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন। ছবি: নিউজবাংলা
খোলা চিঠি পাঠকালে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক ও নৈরাজ্যবাদী জমায়েত আমরা লক্ষ্য করছি। সেসব জমায়েত থেকে অপছন্দের গোষ্ঠী ও দলের বিরুদ্ধে কেবল হিংসাত্মক কথাবার্তাই বলা হচ্ছে না, ক্ষেত্রবিশেষে হামলাও চালানো হচ্ছে।’

দেশব্যাপী অসহিষ্ণুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষী আচরণের বিষয়ে সরকারের নীতির ‘অস্পষ্টতা’ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বরাবর খোলা চিঠি দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক (ইউটিএন)। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই চিঠি পাঠানো হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, ধর্ম উপদেষ্টা ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাকে চিঠির অনুলিপি দেয়ার কথা জানিয়েছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় শিক্ষক নেটওয়ার্কের হয়ে এই খোলাচিঠি পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন।

খোলা চিঠি পাঠকালে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘পরিতাপের বিষয়, অভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক ও নৈরাজ্যবাদী জমায়েত আমরা লক্ষ্য করছি। সেসব জমায়েত থেকে অপছন্দের গোষ্ঠী ও দলের বিরুদ্ধে কেবল হিংসাত্মক কথাবার্তাই বলা হচ্ছে না, ক্ষেত্রবিশেষে সেসব মানুষের ওপর হামলাও চালানো হচ্ছে।

‘তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ হিংস্রতায় নিহত হয়েছেন তিনজন। অপরাধীদের ধরতে গিয়ে একজন সেনা কর্মকর্তা হামলায় নিহত হয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ভিন্ন জাতিসত্তার মানুষকে।’

গীতি আরা নাসরিন আরও বলেন, ‘রাস্তায় ও পর্যটন অঞ্চলে নারীদের ওপর হামলা, নিগ্রহ এবং চরম হেনস্তা করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিগৃহীত করেছে মালিক পক্ষের গুণ্ডারা। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও দপ্তরে ছোট ছোট অজস্র হিংস্রতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। মাজার, মন্দির, শিল্প-স্থাপনা ভাঙচুর থেকে শুরু করে বাউল এবং আহমদিয়াদের ওপরও আক্রমণ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা সমাজের মধ্যকার দীর্ঘদিনের নানাবিধ অমীমাংসা ও গণতন্ত্রহীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে আমরা মনে করি। এভাবে চলতে থাকলে নাগরিকদের নিরাপত্তাবোধের অভাব তীব্রতর হবে এবং সংকট উত্তরণে সরকারকে আরও বেগ পেতে হবে। আমরা দু-একদিনের মধ্যেই এই চিঠি পাঠাব।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সায়েদ ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা সরকারকে সময় না দিয়ে নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছি। মালিক পক্ষের গুন্ডারা শ্রমিকদের অত্যাচার করছে। মাজার, মন্দির ও বিভিন্ন শিল্প স্থাপনা ভাঙচুর করা হচ্ছে।

‘আমরা দেখেছি, একটা গোষ্ঠী আমাদের অনেক শিক্ষককে ইসলামবিদ্বেষী বলে ট্যাগ দিচ্ছে। আমাদের যোগ্যতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে কেন এসব ট্যাগ দিয়ে শিক্ষকদের হেনস্তা করা হচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-রাজনীতি কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু সেখানে গণতন্ত্র থাকতে হবে। রাজনীতির নামে কেউ চাঁদাবাজি, হল দখল, সিট দখল করলে সেটা তো কোনো রাজনীতি নয়।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী প্রমুখ এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ‘নতুন বাংলাদেশের’ সঙ্গে নতুনভাবে সম্পৃক্ত হোন
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে কী থাকছে
শেখ হাসিনা অপরাধী হলে দেশে এনে বিচার করা উচিত: ড. ইউনূস
মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
সংস্কার ও ভোটার তালিকা তৈরির পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

মন্তব্য

p
উপরে