× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Question papers leaked due to negligence of UNO in Kurigram
google_news print-icon

‘ভূরুঙ্গামারীর ইউএনওর অবহেলায়’ এসএসসির প্রশ্ন ফাঁস

ভূরুঙ্গামারীর-ইউএনওর-অবহেলায়
এসএসসির-প্রশ্ন-ফাঁস
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড ভবন। ফাইল ছবি
ভূরুঙ্গামারী ‍উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউএনও যদি শুরুতেই তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতেন, তাহলে প্রশ্ন ফাঁসের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটার সম্ভাবনা ছিল না। এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষাকে গুরুত্ব না দেয়ায় প্রশ্ন ফাঁসের দায় ইউএনও এড়াতে পারেন না।’

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মার গাফিলতির কারণেই চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এক কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর পাঁচ-সাত দিন আগে কেন্দ্র সচিব বা তার প্রতিনিধি এবং ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে ট্রাংকে রক্ষিত প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের চাহিদা সঠিকভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। কোনো গরমিল থাকলে সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে লিখিতভাবে জানাতেও বলা হয়।

‘...ইউএনও সেই কাজ না করে এক-দুই দিনের মধ্যে একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে প্রশ্নপত্র সর্টিং করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। একজন কর্মকর্তার পক্ষে হাজার হাজার প্রশ্নপত্র এক-দুই দিনের মধ্যে যাচাই-বাছাই, কাগজে স্বাক্ষর করা এবং নজরদারি-হিসাব করে প্রতিবেদন দেয়া প্রায় অসম্ভব। আর এই সুযোগে অসাধু কিছু শিক্ষক প্রশ্নপত্র কৌশলে বের করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউএনও যদি শুরুতেই তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতেন, তাহলে প্রশ্ন ফাঁসের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটার সম্ভাবনা ছিল না। এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষাকে গুরুত্ব না দেয়ায় প্রশ্ন ফাঁসের দায় ইউএনও এড়াতে পারেন না।’

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চলতি এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) এবং দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সেটের প্যাকেট সর্টিং এবং যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব ছিল ইউএনও দীপক কুমারের। তার সই করা একটি পত্রে গত ১১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও অন্যান্য গোপনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহমানকে বলা হয়।

এতে বলা হয়, ভূরুঙ্গামারী থানায় প্রশ্নপত্র ও অন্য গোপনীয় কাগজপত্র সংরক্ষিত রয়েছে। সিলগালাকৃত এসব প্রশ্নপত্র বিবরণী মোতাবেক ঠিক আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করে ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

পত্রে আরও বলা হয়, পরীক্ষার সময়সূচি অবশ্যই খামের ওপর লিখতে হবে।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসিসহ উপজেলার ছয়টি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবদেরও এই পত্রের অনুলিপি দেয়া হয়।

একই তারিখে ইউএনওর স্বাক্ষরিত আরও একটি অফিস আদেশে ভূরুঙ্গামারী পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে কৃষি কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ ও সমবায় কর্মকর্তা নুর কুতুবুল আলম, নেহাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী ও পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রায়হান হক, সোনাহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও প্রতিবন্ধীবিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ, সোনাহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর আতিকুর রহমান ও সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা কেন্দ্রে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, দিয়াডাঙ্গা আইডিয়াল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সহকারী প্রোগ্রামার রুবেল সরকার এবং দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমানকে ট্যাগ অফিসার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

তারা পরীক্ষার দিনগুলোতে থানা থেকে নির্ধারিত প্রশ্নপত্র উত্তোলন নিশ্চিত এবং পরীক্ষা চলাকালীন সার্বক্ষণিক কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে পরীক্ষা গ্রহণ করবেন বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভূরুঙ্গামারী থানায় প্রশ্ন যাচাই-বাছাইয়ের সময় নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের যোগসাজশে বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের ভেতর বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ঢুকিয়ে নেন। একই সঙ্গে প্যাকেট সিলগালা করেন। ওই সময় তারা গণিত, কৃষিবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞানের প্রশ্নপত্রও নিয়ে নেন। এ ছাড়া মোবাইলে জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিতের প্রশ্নের ছবি তুলে নেন।

সিলগালা করা প্রশ্নপত্রের ওই প্যাকেটের ওপর স্বাক্ষর করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান।

জিজ্ঞাসাবাদে আরও বেরিয়ে আসে, ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার দিন যথানিয়মে থানা থেকে বাংলা প্রথম পত্রের প্যাকেট এনে তা থেকে ওই প্রশ্নগুলোর খামটি সরিয়ে ফেলেন কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানসহ তার সহযোগীরা। কেন্দ্রে দায়িত্বরত ট্যাগ কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমানকে বোর্ডের দেয়া তালিকা অনুযায়ী পাঠানো প্রশ্নপত্রের খাম গণনা করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি।

পরে এই প্রশ্নগুলোর কয়েকটি হাতে লেখা উত্তরপত্র তৈরি করে তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। পরীক্ষার আগের রাতে ফাঁস হওয়া উত্তরপত্রের সঙ্গে পরের দিন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিলে যায়। আর এসব উত্তরপত্র অনেকেই মোবাইলের মাধ্যমে গোপনে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় অন্যান্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছে বিক্রি করেন।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে কোনো চিঠি নেই। প্রশ্নপত্রে আমরা শুধু এসকর্ট (নিরাপত্তা) দিয়ে থাকি। বাকিটা সভাপতি (ইউএনও) এবং তার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা করেন। সিলগালা রাখা না রাখা তাদের দায়িত্ব।’

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমাকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমি বর্তমানে হসপিটালাইজড আছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’

এসব বিষয়ে জানতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মাকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিধি মোতাবেক ইউএনওকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তার পরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

আরও পড়ুন:
দিনাজপুর বোর্ডে স্থগিত পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন ২ ঘণ্টা পরই
এসএসসি: দিনাজপুর বোর্ডে স্থগিত ৪ বিষয়ের সূচি ঘোষণা
এসএসসির ‘প্রশ্ন ফাঁস’: কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার আরও ৩
প্রশ্নফাঁসেই দিনাজপুরে এসএসসির চার পরীক্ষা স্থগিত, আটক ৩
এসএসসি ‘প্রশ্ন ফাঁস’: দিনাজপুর বোর্ডে ৪ বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
After 5 years the appointment of 5 BCS was found in the 26th BCS

১৭ বছর পর নিয়োগের রায় পেলেন ২৭তম বিসিএসের ১১৩৭ জন

১৭ বছর পর নিয়োগের রায় পেলেন ২৭তম বিসিএসের ১১৩৭ জন সুপ্রিম কোর্ট ভবন। ছবি: বাসস
২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাতিল করে দেয় সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে মনির হোসেনসহ কয়েকজন হাইকোর্টে রিট করেন।

২৭তম বিসিএস পরীক্ষার ১৭ বছর পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে নিয়োগের রায় পেলেন এক হাজার ১৩৭ জন।

রিভিউ পর্যায়ে আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

আদালতে বাদ পড়াদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাউদ্দীন দোলন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।

২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাতিল করে দেয় সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে মনির হোসেনসহ কয়েকজন হাইকোর্টে রিট করেন।

সেই রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আবদুর রশিদ ও বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৮ সালের ৩ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলে পিএসসির সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এ পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের পক্ষে মো. সোহেল রানাসহ বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আরেকটি রিট করেন। পরবর্তী সময়ে বিচারপতি মিফতাহ্ উদ্দিন চৌধুরী রুমী ও বিচারপতি এবি সিদ্দিকীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বরের দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

সে রায়ে প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তিন মাসের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া এবং দ্বিতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে নিযুক্তদের বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা তিনটি আপিলের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১১ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ রায় দেন। ওই রায়ে ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিল বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এ রায়ের ১৪ বছর পর রিভিউ পর্যায়ে এসে লিভ টু আপিলটি গত ৭ নভেম্বর মঞ্জুর করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুমে গোলাম আযমের মৃত্যু: জামায়াত আমির
নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময়কে জামিন নয় কেন: হাইকোর্ট
গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবেন নেতানিয়াহু
উত্তর গাজায় ফিরল ২ লাখ ফিলিস্তিনি

মন্তব্য

শিক্ষা
The HSC examination begins on June 25

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
সূচি অনুযায়ী, তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।

আগামী ২৬ জুন শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা।

সূচি অনুযায়ী, তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।

আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার বুধবার সময়সূচিতে সই করেন।

এতে পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনাবলীও জানানো হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।

প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

ব্যবহারিক বিষয় সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট ও ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।

পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ এবং সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ করা হবে। সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০টা ২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ।

দুপুর দুইটায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২টা ২৫ মিনিট।

প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।

পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

প্রত্যেক পরীক্ষার্থী শুধু রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লেখিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।

পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না।

আরও পড়ুন:
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ৪ নভেম্বর থেকে, পরীক্ষা শুরু ৪ জানুয়ারি
এইচএসসি উত্তীর্ণ ৫৬ বছর বয়সী আবদুল হান্নানকে সংবর্ধনা
সিলেটে রেকর্ড জিপিএ-৫, বেড়েছে পাসের হারও
এইচএসসির ফলে এবারও এগিয়ে মেয়েরা
ঢাকা বোর্ডে সর্বোচ্চ ৪৮ হাজার ৫৪৮ জিপিএ ফাইভ

মন্তব্য

শিক্ষা
Start the admission war in Jabi

জাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু

জাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। ফাইল ছবি
সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মোট পাঁচ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে রবিবার, যা চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মোট পাঁচ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরের দিন সোমবার প্রথম চার শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রথম দুই শিফটে ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটে ছাত্রীদের এবং দ্বিতীয় শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন তৃতীয় শিফট থেকে পঞ্চম শিফট পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়াও বুধবার পাঁচ শিফটে ‘এ’ ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর বৃহস্পতিবার ছয় শিফটে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম তিন শিফটে ছাত্রীদের এবং পরবর্তী তিন শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন সোমবার প্রথম শিফটে ‘সি১’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং পরের তিন শিফটে ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে প্রথম দুই শিফটে ছাত্রী এবং তৃতীয় শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।’

সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে রোভার স্কাউট সদস্য, সার্বিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ১৫০ জন পোশাকধারী সশস্ত্র ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ ফোর্স এবং অতিরিক্ত ৬০ জন আনসার সদস্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন।

ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বিভিন্ন ভবনে ১২০ জন বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্য শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক (ডেইরি গেট), জয় বাংলা ফটক (প্রান্তিক গেট) ও বিশমাইল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) চালু রাখা হয়েছে।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাতে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
জবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর
জবি শিক্ষার্থী নিহত: রিকশাচালকের বিচার দাবিতে মশাল মিছিল
রিকশার ধাক্কায় ছাত্রী নিহত: জাবিতে অবরোধ শিক্ষার্থীদের
জাবি ক্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় ছাত্রী নিহত
মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি

মন্তব্য

শিক্ষা
The application fee for admission in Chabi is not decreasing there is no pet quota

চবিতে ভর্তির আবেদন ফি কমছে না, থাকছে পোষ্য কোটা

চবিতে ভর্তির আবেদন ফি কমছে না, থাকছে পোষ্য কোটা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো, পোষ্য কোটা বাতিল, চাকসু নির্বাচন ও গুপ্ত হামলার সুষ্ঠু বিচারসহ নয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিতে গেলে তাদেরকে ওয়েটিং রুমে বসতে বলে বেরিয়ে যান উপাচার্য। তবে পরীক্ষার আবেদন ফি না কমিয়ে এক হাজার টাকা বহাল রাখার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো, পোষ্য কোটা বাতিল, চাকসু নির্বাচন ও গুপ্ত হামলার সুষ্ঠু বিচারসহ নয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিতে গেলে তাদেরকে ওয়েটিং রুমে বসতে বলে বেরিয়ে যান উপাচার্য। তবে পরীক্ষার আবেদন ফি না কমিয়ে এক হাজার টাকা বহাল রাখার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিতে প্রশাসনিক ভবনে যান তারা। তখন উপাচার্যের পিএস তাদেরকে ওয়েটিং রুমে বসিয়ে রেখে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতারকে অন্য দরজা দিয়ে বের করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

ছাত্র অধিকার পরিষদ চবি শাখার সদস্য সচিব মো. রোমান রহমান বলেন, ‘আজকে প্রশাসনিক ভবনে নয় দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিতে গেলে ওয়েটিং রুমে আমাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করি।

‘এক সময় দেখা যায় ভিসি স্যার প্রশাসনিক ভবন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নেমে স্যারের গাড়ির সামনে দাঁড়াই। স্যারকে বিষয়টি অবগত করি। কিন্তু তিনি আমাদের কোনো কথাই শুনতে রাজি ছিলেন না। তার ভাষ্যমতে, তাকে এ ব্যাপারে কেউ জানায়নি।

তবে চবির ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর বিষয়ে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ফি কমানোর বিষয়ে আলাপ হয়েছিলো। তবে আগের বছরের খরচ বিবেচনা করে এ বছর ফি কমানো সম্ভব হয়নি।’

পোষ্য কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পোষ্য কোটা আমরা নির্দিষ্ট আসন থেকে দিচ্ছি না। কোনো বিভাগে ১০০ আসন থাকলে এই আসনগুলোতে পোষ্য কোটা প্রযোজ্য হবে না। বরং এর বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত হিসেবে ওই বিভাগে দুই বা তিনটি আসন রেখে পোষ্যদের ভর্তি নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে ওই বিভাগে ১০২ বা ১০৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন।

শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি হলো- ভর্তি আবেদন ফি ২০০ টাকা করতে হবে; মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা, পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে হবে; বন্ধ হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব এবং মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ ও অতিদ্রুত নতুন দুটি হল নির্মাণ করতে হবে; ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল এক্সট্রা কারিকুলার সংগঠনসমূহকে অফিস বরাদ্দ দিতে হবে; অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ করতে হবে; অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দিতে হবে; প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান ও অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইনভিত্তিক করতে হবে; সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হামলার সুষ্ঠু বিচার ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন:
‘একাত্তরের স্বাধীনতা কোনো দলের নয়, আপামর সবার’
মধ্যরাতে চবির দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, ‘জঙ্গলে নিয়ে মেরে ফেলার হুমকি’
চবি শিবিরের কমিটিতে তিন সমন্বয়ক ও এক সহ-সমন্বয়ক
ফরহাদ-হৃদয়হীন চবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু
চবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ৬ অক্টোবর

মন্তব্য

শিক্ষা
Decision to take independent admission test in Kubi

কুবিতে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত

কুবিতে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী বছরের ১৮, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল তিনটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্ত ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে।

গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। ২০২৫ সালের ১৮, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল তিনটি ইউনিটে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্ত ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর করা হবে।

এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)।

রোববার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড মো. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, প্রক্টরিয়াল বডি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের ডিন ও ১৯টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা।

সভার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছে। অনেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এরপর আমরা আজ জরুরি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ্বান করি। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়র জন্য গত ১১ ডিসেম্বর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শাখা ছাত্রদলও একই দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে।

আরও পড়ুন:
বদলে গেল কুবির দুই হলের নাম
কুবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ
কুবির সাবেক ভিসি-প্রক্টরসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজীব-মাসুমের নেতৃত্বে কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরাম
উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে কুবির দায়িত্বে অধ্যাপক জাকির ছায়াদউল্লাহ

মন্তব্য

শিক্ষা
SSC exam start 10th April routine published

এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল, রুটিন প্রকাশ

এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল, রুটিন প্রকাশ এসএসসির কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ৮ মে। ১০ মে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। ১৮ মে’র মধ্যে সবাইকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে। সে অনুযায়ী ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের ১০ এপ্রিল।

প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ৮ মে। ১০ মে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। ১৮ মে’র মধ্যে সবাইকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত কয়েক বছর ধরে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিল। তবে আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণ সিলেবাস এবং পূর্ণমান ও পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
BCS oral examination mark application fee reduced by half

বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর, আবেদন ফি অর্ধেক কমল

বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর, আবেদন ফি অর্ধেক কমল পিএসসি ভবন। ফাইল ছবি
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। আর আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৪৭তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার আবেদন ফি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৫০ টাকা করা হয়েছে।

একই সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। আর আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর বিকেলে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে আবেদন ফি আগের মতো ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ধরা হয় ১০০ টাকা।

এর কয়েক ঘণ্টা পর আবেদন ফি কমানোর ঘোষণা দেয় পিএসসি।

৪৭তম বিসিএসের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ২০১টি পদে নিয়োগ দেয়া হবে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে আবেদন, যা চলবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

এবার সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর বয়সীরা আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:
৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু ১০ ডিসেম্বর, শূন্যপদ ৩৬৮৮
৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল পুনঃপ্রকাশ, উত্তীর্ণ ২১৩৯৭
পাঁচ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাচ্ছেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
৪৪তম বিসিএস: ৩৯৩০ জনের মৌখিক পরীক্ষা বাতিল
মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি

মন্তব্য

p
উপরে