চলমান এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে চারটি বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলাম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থগিত করা বিষয়গুলো হলো গণিত, কৃষিবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞান।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চলতি এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম এবং দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্রসচিবসহ তিন শিক্ষককে আটকের পর দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে এই ৪ বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।
যদিও অনিবার্য কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তবে একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আগেই গণিত এবং বিজ্ঞান বিভাগের ৪টি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেছে। তাই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
দুটি বিষয়ের ‘প্রশ্ন ফাঁস’
সোমবার ইংরেজি প্রথম পত্র এবং মঙ্গলবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আগের রাতে এই দুই বিষয়ের হাতে লেখা দুটি প্রশ্নপত্র পরীক্ষার পর মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়; যা মঙ্গলবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
বলা হচ্ছে, ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন দুটি ফাঁস হয়। হাতে লেখা এসব প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগের রাতেই হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের হাতে চলে যায়।
বিষয়টি নজরে এলে নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জোবায়েরকে আটক করে পুলিশ।
২০০ থেকে ৫০০ টাকায় মিলেছে প্রশ্ন
নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসন পড়েছে এমন একজন শিক্ষার্থীর বর্ণনায়, ‘আমি এই কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছি। হলরুমে অনেক শিক্ষার্থী আলোচনা করে, তারা ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় প্রশ্নের উত্তরপত্র পেয়েছে। এভাবে যদি পরীক্ষার প্রশ্ন আউট হয়, তাহলে আমরা ভালো পরীক্ষা দিয়ে কী লাভ?’
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের আলাপ শুনেছেন চানাচুর বিক্রেতাও। তার ভাষ্য, ‘দুই দিন থেকে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এখানে গল্প করেন, প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়েছে। তারা ২০০ হতে ৫০০ টাকায় প্রশ্ন কিনতে পাওয়া যায় বলেও গল্প করেছিলেন। তবে কেনা-বিক্রি করা আমি দেখিনি।’
কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মাইদুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘আমি এইচএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াই। সেখানকার এবং কলেজের অনেক শিক্ষার্থী আমার কাছে হাতে লেখা প্রশ্ন নিয়ে আসে সমাধানের জন্য। পরে জানতে পারি কুড়িগ্রাম, রংপুর, ভূরুঙ্গামারী থেকে বিভিন্নজনের মাধ্যমে এগুলো পেয়েছে। বিষয়টি পরে স্থানীয় প্রেস ক্লাবসহ প্রশাসনকে অবহিত করি।’
মধ্যরাতে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
ঘটনা জানতে পেরে মঙ্গলবার রাতেই দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, সচিব জহির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা কয়েক দফায় বৈঠক করেন।
প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জোবাইর হোসেনকে রাতে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় উপরোল্লিখিত কর্মকর্তারাও সেখানে ছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনজনকে থানায় রেখে সেখান থেকে ইউএনওর কার্যালয়ে যান কর্মকর্তারা। রাতে সাড়ে ১২টার দিকে বেরিয়ে এলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলে দ্রুত চলে যান দিনাজপুর বোর্ডের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলামসহ অন্যরা।
কিছু সময় পর ওই কেন্দ্রসচিবসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান।
জানা গেছে, এ ঘটনায় মঙ্গলবার মধ্য রাতেই মামলা হয়েছে। নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরীর করা মামলাটিতে মো. লুৎফর রহমান, জোবাইর হোসেন, মো. আবু হানিফ ও মো. আমিনুর রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি ভূরুঙ্গামারী থেকে কোনো প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মিল-অমিল আছে কি না আমার দেখার বিষয় না। সরকারের অনেক বিভাগ আছে, পুলিশ আছে; এটা তাদের দায়িত্ব।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটি মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে ধরা হবে।’
এজাহারে যা বলা হয়েছে
মঙ্গলবার কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আদম মালিক চৌধুরী ভূরুঙ্গামারী থানা থেকে সীলমোহর অক্ষত অবস্থায় ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র প্রশ্নের দুটি প্যাকেট সংগ্রহ করেন। পরে তারা প্রশ্নপত্র নিয়ে নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন। কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর লুৎফর রহমান তার নিজ কক্ষের একটি বইয়ের তাকে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট দুটি রাখেন। আনুমানিক সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে আদম মালিক চৌধুরী কেন্দ্র সচিবের কক্ষে যান। এ সময় কেন্দ্র সচিব প্যাকেট খুলে প্রশ্নপত্র বের করেন। পরে ১০টা ৫০ মিনিটে প্রশ্নপত্রগুলো কেন্দ্রের কক্ষভিত্তিক দায়িত্বরত শিক্ষকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওই দিন আনুমানিক বেলা দেড়টার দিকে তিনি ওই কেন্দ্র সচিবের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে বলে জানতে পারেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার শর্মাকে জানান। পরীক্ষা শেষে ইউএনও দীপক কুমার শর্মার উপস্থিতিতে লুৎফর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে লুৎফর কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
এজাহারের নথি অনুযায়ী, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে লুৎফর স্বীকার করেন, তার কাছে পরের একাধিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আছে। এরপর লুৎফর রহমানের কক্ষের বইয়ের তাক থেকে একটি কাপড়ের ব্যাগ পাওয়া যায়। ওই ব্যাগের ভেতর থেকে গণিত, উচ্চতর গণিত, কৃষিশিক্ষা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের প্রশ্নপত্রের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে একটি প্যাকেট ছাড়া সব কটি প্যাকেটের মুখ খোলা ছিল।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ভূরুঙ্গামারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাঈদ মো. আতিক নুর প্রশ্নপত্রগুলো জব্দ করেন এবং লুৎফর রহমানকে আটক করেন।
অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে লুৎফর বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হানিফের সহায়তায় কৌশলে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটগুলো কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। পরে প্রশ্নপত্রগুলো আবু হানিফ, অন্য দুই শিক্ষক জোবাইর হোসেন, আমিনুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনের মাধ্যমে গোপনে প্রশ্নগুলো ফাঁস করে দেয়া হয়।
তদন্ত কমিটি
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘যেসব বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেসব বিষয়ে কোনো সমস্যা নাই।’
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর জহির উদ্দীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে ৪টি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩-এর তৃতীয় গ্রুপের (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার নিরীক্ষিত ও সংশোধিত ফল রোববার প্রকাশ হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন রোববার গভীর রাতে বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।’
গত ২৯ মার্চ তৃতীয় গ্রুপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.mopme.gov.bd) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) ফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
গত বছরের ১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশ হয়।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সোনালী সেবার মাধ্যমে ৬ মে পর্যন্ত ফি পরিশোধ করা যাবে। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত। আর সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।
এবার বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের দুই হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য দুই হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ করা হবে।
এছাড়া পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্ল গাইডস ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নেয়া হবে।
অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ এবং রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। বিলম্ব ফি ১০০ টাকা।
কেন্দ্র ফি বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ৪৫০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের পত্রপ্রতি ২৫ টাকা দিতে হবে। আর ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি দিতে হবে ২০ টাকা।
প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয় ১৬ এপ্রিল। এই কার্যক্রম ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর করার সময়সূচি ছিল। আর বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণের সুযোগ ছিল ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ জুন।
মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে।
পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। প্রথম দিন হবে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট এবং ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
গত বছর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু পরে তা পিছিয়ে ৩০ জুন করা হয়।
এর আগে ২০২৩ সালে আটটি শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা ১৭ আগস্ট শুরু হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট। এবার ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেছিল।
২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার রুটিন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন:শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের পঞ্চম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
রোববার বিকেলে এনটিআরসিএ-এর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান সদস্য (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বাসসের
এতে বলা হয়, স্কুল ও কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। প্রত্যেক আবেদকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন।
এতে বলা হয়, প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে পারবেন। ই-এপ্লিকেশন পূরণ ও ফি জমা প্রদান শুরু হবে ১৭ এপ্রিল দুপুর ১২টা থেকে। অন্যদিকে ই-এপ্লিকেশন জমা দেয়ার শেষ সময়সীমা ৯ মে রাত ১২ টা পর্যন্ত। তবে, রাত ১২টা থেকে শুধু আইডি প্রাপ্ত প্রার্থীরা পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অর্থাৎ ১০ মে রাত ১২ টা পর্যন্ত এসএমএস এর মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন।
আগামী জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করবে সরকার। সে জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রুমানা আলী।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেউ যেন প্রতারিত না হয় কিংবা কেউ যেন প্রতারণা না করতে পারে সে জন্য সরকার সব ব্যবস্থা নেবে। আগামী জুনের মধ্যেই ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরিদর্শন করেছি। সেখানে খুব ভালোভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, তবে এ বছর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম।’
এ সময় প্রতিমন্ত্রী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় আজ। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে লিখিত পরীক্ষা।
এ ধাপে কুমিল্লা জেলায় ৩২ হাজার ১৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৭৬৭ জন এবং পুরুষ ১৭ হাজার ৪৩২ জন।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সব ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করেন।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন গভর্নমেন্ট এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী মণ্ডল। তার স্কোর ১০৫ দশমিক ৭৫।
এই ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জুবায়দা জাহান। তার স্কোর ১০২ দশমিক ৩৪।
আর বাণিজ্য বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের ইসরাত জাহান ইকতা। তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ৯৬।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন অথৈ ধর। তিনি চট্টগ্রামের গভর্নমেন্ট কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তার প্রাপ্ত স্কোর ১০৫ দশমিক ৫০।
এই ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন বি এ এফ শাহীন কলেজের মাহতাব সরকার জামি। তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ৯২ দশমিক ৫০। আর মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের রিদোয়ানুল করিম রাইয়ান। তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ১০১।
বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তার স্কোর ১১১ দশমিক ২৫। তিনি নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এই ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের নাফিসা তাবাসসুম। তিনি মোট নম্বর পেয়েছেন ৯৮ দশমিক ৫। আর বাণিজ্য বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন। তিনি পেয়েছেন ৯৪ নম্বর।
এছাড়া চারুকলা ইউনিটে প্রথম হয়েছে বাঁধন তালুকদার। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮ দশমিক ১৬।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সব ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করেন।
ফল ঘোষণার শুরুতে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ফল প্রকাশের পর তা ওয়েবসাইটে দেখা যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ।
এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন গভর্নমেন্ট এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী মণ্ডল। তার স্কোর ১০৫ দশমিক ৭৫।
আর ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ১ হাজার ৫০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী। পাস করেন ৯ হাজার ৭২৩ শিক্ষার্থী। পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
এই ইউনিটে প্রথম হয়েছে অথৈ ধর। তিনি চট্টগ্রামের গভর্নমেন্ট কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী। তার প্রাপ্ত স্কোর ১০৫ দশমিক ৫০।
বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১ মার্চ। ১ হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তার স্কোর ১১১ দশমিক ২৫। তিনি নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৯ মার্চ। ১৩০ আসনের বিপরীতে অংশগ্রহণ করেন ৪ হাজার ৫১০ জন শিক্ষার্থী। আর পাস করেছেন ৫৩০ জন। পাসের হার ১১ দশমিক ৭৫।
এই ইউনিটে প্রথম হয়েছে বাঁধন তালুকদার। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮ দশমিক ১৬।
যেভাবে ফল জানা যাবে
ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরে মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।
তাছাড়া যেকোনো মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS , বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI , ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য DU BUS , চারুকলা ইউনিটের জন্য DU FRT টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
উত্তীর্ণ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলো
উত্তীর্ণ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ৩ এপ্রিল বিকেল ৩টা থেকে ২৫ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করবেন।
বিষয় পছন্দক্রম অনলাইনে দেয়ার সুবিধার্থে ১ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা তার ভর্তিযোগ্য বিষয়ের তালিকা ওয়েবসাইট থেকে নামাতে পারবেন। তালিকাটি প্রিন্ট করে তাতে পছন্দক্রম আগে লিখে রাখলে পছন্দক্রম অনলাইনে প্রদানে ভুল এড়ানো যাবে।
উত্তীর্ণ বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে কোটার ফরম সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের অফিস থেকে সংগ্রহ এবং যথাযথভাবে তা পূরণ করে ডাউনলোডকৃত বিষয় পছন্দক্রমের কপিসহ ওই সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ডিনের অফিসে জমা দিতে হবে।
ফল নিরীক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের অফিসে এক হাজার টাকা ফি প্রদান সাপেক্ষে ৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস চলাকালীন আবেদন করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর ট্রান্সজেন্ডার কোটায় কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করেননি। আর প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া সব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ বছর থেকে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে বৃত্তি প্রদানের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষের পথে রয়েছে।
আরও জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক্সটেনশন ভবনটি আগামী জুনের শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে বুঝে পাবে। সেখানে এক হাজার শিক্ষার্থীর আসন সংকুলান করা হবে। এতে কিছুটা কমবে আসন সমস্যা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য