চলমান এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে চারটি বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলাম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থগিত করা বিষয়গুলো হলো গণিত, কৃষিবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞান।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চলতি এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম এবং দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্রসচিবসহ তিন শিক্ষককে আটকের পর দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে এই ৪ বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।
যদিও অনিবার্য কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তবে একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আগেই গণিত এবং বিজ্ঞান বিভাগের ৪টি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেছে। তাই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
দুটি বিষয়ের ‘প্রশ্ন ফাঁস’
সোমবার ইংরেজি প্রথম পত্র এবং মঙ্গলবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আগের রাতে এই দুই বিষয়ের হাতে লেখা দুটি প্রশ্নপত্র পরীক্ষার পর মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়; যা মঙ্গলবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
বলা হচ্ছে, ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন দুটি ফাঁস হয়। হাতে লেখা এসব প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগের রাতেই হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের হাতে চলে যায়।
বিষয়টি নজরে এলে নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জোবায়েরকে আটক করে পুলিশ।
২০০ থেকে ৫০০ টাকায় মিলেছে প্রশ্ন
নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসন পড়েছে এমন একজন শিক্ষার্থীর বর্ণনায়, ‘আমি এই কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছি। হলরুমে অনেক শিক্ষার্থী আলোচনা করে, তারা ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় প্রশ্নের উত্তরপত্র পেয়েছে। এভাবে যদি পরীক্ষার প্রশ্ন আউট হয়, তাহলে আমরা ভালো পরীক্ষা দিয়ে কী লাভ?’
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের আলাপ শুনেছেন চানাচুর বিক্রেতাও। তার ভাষ্য, ‘দুই দিন থেকে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এখানে গল্প করেন, প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়েছে। তারা ২০০ হতে ৫০০ টাকায় প্রশ্ন কিনতে পাওয়া যায় বলেও গল্প করেছিলেন। তবে কেনা-বিক্রি করা আমি দেখিনি।’
কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মাইদুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘আমি এইচএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াই। সেখানকার এবং কলেজের অনেক শিক্ষার্থী আমার কাছে হাতে লেখা প্রশ্ন নিয়ে আসে সমাধানের জন্য। পরে জানতে পারি কুড়িগ্রাম, রংপুর, ভূরুঙ্গামারী থেকে বিভিন্নজনের মাধ্যমে এগুলো পেয়েছে। বিষয়টি পরে স্থানীয় প্রেস ক্লাবসহ প্রশাসনকে অবহিত করি।’
মধ্যরাতে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
ঘটনা জানতে পেরে মঙ্গলবার রাতেই দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, সচিব জহির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা কয়েক দফায় বৈঠক করেন।
প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জোবাইর হোসেনকে রাতে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় উপরোল্লিখিত কর্মকর্তারাও সেখানে ছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনজনকে থানায় রেখে সেখান থেকে ইউএনওর কার্যালয়ে যান কর্মকর্তারা। রাতে সাড়ে ১২টার দিকে বেরিয়ে এলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলে দ্রুত চলে যান দিনাজপুর বোর্ডের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলামসহ অন্যরা।
কিছু সময় পর ওই কেন্দ্রসচিবসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান।
জানা গেছে, এ ঘটনায় মঙ্গলবার মধ্য রাতেই মামলা হয়েছে। নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরীর করা মামলাটিতে মো. লুৎফর রহমান, জোবাইর হোসেন, মো. আবু হানিফ ও মো. আমিনুর রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি ভূরুঙ্গামারী থেকে কোনো প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মিল-অমিল আছে কি না আমার দেখার বিষয় না। সরকারের অনেক বিভাগ আছে, পুলিশ আছে; এটা তাদের দায়িত্ব।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটি মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে ধরা হবে।’
এজাহারে যা বলা হয়েছে
মঙ্গলবার কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আদম মালিক চৌধুরী ভূরুঙ্গামারী থানা থেকে সীলমোহর অক্ষত অবস্থায় ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র প্রশ্নের দুটি প্যাকেট সংগ্রহ করেন। পরে তারা প্রশ্নপত্র নিয়ে নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন। কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর লুৎফর রহমান তার নিজ কক্ষের একটি বইয়ের তাকে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট দুটি রাখেন। আনুমানিক সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে আদম মালিক চৌধুরী কেন্দ্র সচিবের কক্ষে যান। এ সময় কেন্দ্র সচিব প্যাকেট খুলে প্রশ্নপত্র বের করেন। পরে ১০টা ৫০ মিনিটে প্রশ্নপত্রগুলো কেন্দ্রের কক্ষভিত্তিক দায়িত্বরত শিক্ষকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওই দিন আনুমানিক বেলা দেড়টার দিকে তিনি ওই কেন্দ্র সচিবের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে বলে জানতে পারেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার শর্মাকে জানান। পরীক্ষা শেষে ইউএনও দীপক কুমার শর্মার উপস্থিতিতে লুৎফর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে লুৎফর কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
এজাহারের নথি অনুযায়ী, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে লুৎফর স্বীকার করেন, তার কাছে পরের একাধিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আছে। এরপর লুৎফর রহমানের কক্ষের বইয়ের তাক থেকে একটি কাপড়ের ব্যাগ পাওয়া যায়। ওই ব্যাগের ভেতর থেকে গণিত, উচ্চতর গণিত, কৃষিশিক্ষা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের প্রশ্নপত্রের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে একটি প্যাকেট ছাড়া সব কটি প্যাকেটের মুখ খোলা ছিল।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ভূরুঙ্গামারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাঈদ মো. আতিক নুর প্রশ্নপত্রগুলো জব্দ করেন এবং লুৎফর রহমানকে আটক করেন।
অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে লুৎফর বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হানিফের সহায়তায় কৌশলে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটগুলো কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। পরে প্রশ্নপত্রগুলো আবু হানিফ, অন্য দুই শিক্ষক জোবাইর হোসেন, আমিনুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনের মাধ্যমে গোপনে প্রশ্নগুলো ফাঁস করে দেয়া হয়।
তদন্ত কমিটি
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘যেসব বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেসব বিষয়ে কোনো সমস্যা নাই।’
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর জহির উদ্দীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে ৪টি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:২৭তম বিসিএস পরীক্ষার ১৭ বছর পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে নিয়োগের রায় পেলেন এক হাজার ১৩৭ জন।
রিভিউ পর্যায়ে আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আদালতে বাদ পড়াদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাউদ্দীন দোলন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।
২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাতিল করে দেয় সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে মনির হোসেনসহ কয়েকজন হাইকোর্টে রিট করেন।
সেই রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আবদুর রশিদ ও বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৮ সালের ৩ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলে পিএসসির সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের পক্ষে মো. সোহেল রানাসহ বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আরেকটি রিট করেন। পরবর্তী সময়ে বিচারপতি মিফতাহ্ উদ্দিন চৌধুরী রুমী ও বিচারপতি এবি সিদ্দিকীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বরের দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।
সে রায়ে প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তিন মাসের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া এবং দ্বিতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে নিযুক্তদের বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা তিনটি আপিলের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১১ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ রায় দেন। ওই রায়ে ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিল বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়।
অন্যদিকে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এ রায়ের ১৪ বছর পর রিভিউ পর্যায়ে এসে লিভ টু আপিলটি গত ৭ নভেম্বর মঞ্জুর করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন:আগামী ২৬ জুন শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা।
সূচি অনুযায়ী, তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।
আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার বুধবার সময়সূচিতে সই করেন।
এতে পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনাবলীও জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
ব্যবহারিক বিষয় সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট ও ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।
পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ এবং সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ করা হবে। সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০টা ২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ।
দুপুর দুইটায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২টা ২৫ মিনিট।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী শুধু রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লেখিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।
কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না।
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে রবিবার, যা চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মোট পাঁচ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরের দিন সোমবার প্রথম চার শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রথম দুই শিফটে ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটে ছাত্রীদের এবং দ্বিতীয় শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন তৃতীয় শিফট থেকে পঞ্চম শিফট পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়াও বুধবার পাঁচ শিফটে ‘এ’ ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর বৃহস্পতিবার ছয় শিফটে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম তিন শিফটে ছাত্রীদের এবং পরবর্তী তিন শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন সোমবার প্রথম শিফটে ‘সি১’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং পরের তিন শিফটে ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে প্রথম দুই শিফটে ছাত্রী এবং তৃতীয় শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।’
সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে রোভার স্কাউট সদস্য, সার্বিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ১৫০ জন পোশাকধারী সশস্ত্র ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ ফোর্স এবং অতিরিক্ত ৬০ জন আনসার সদস্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন।
ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বিভিন্ন ভবনে ১২০ জন বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্য শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক (ডেইরি গেট), জয় বাংলা ফটক (প্রান্তিক গেট) ও বিশমাইল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) চালু রাখা হয়েছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাতে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো, পোষ্য কোটা বাতিল, চাকসু নির্বাচন ও গুপ্ত হামলার সুষ্ঠু বিচারসহ নয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিতে গেলে তাদেরকে ওয়েটিং রুমে বসতে বলে বেরিয়ে যান উপাচার্য। তবে পরীক্ষার আবেদন ফি না কমিয়ে এক হাজার টাকা বহাল রাখার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিতে প্রশাসনিক ভবনে যান তারা। তখন উপাচার্যের পিএস তাদেরকে ওয়েটিং রুমে বসিয়ে রেখে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতারকে অন্য দরজা দিয়ে বের করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র অধিকার পরিষদ চবি শাখার সদস্য সচিব মো. রোমান রহমান বলেন, ‘আজকে প্রশাসনিক ভবনে নয় দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিতে গেলে ওয়েটিং রুমে আমাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করি।
‘এক সময় দেখা যায় ভিসি স্যার প্রশাসনিক ভবন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নেমে স্যারের গাড়ির সামনে দাঁড়াই। স্যারকে বিষয়টি অবগত করি। কিন্তু তিনি আমাদের কোনো কথাই শুনতে রাজি ছিলেন না। তার ভাষ্যমতে, তাকে এ ব্যাপারে কেউ জানায়নি।
তবে চবির ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর বিষয়ে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ফি কমানোর বিষয়ে আলাপ হয়েছিলো। তবে আগের বছরের খরচ বিবেচনা করে এ বছর ফি কমানো সম্ভব হয়নি।’
পোষ্য কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পোষ্য কোটা আমরা নির্দিষ্ট আসন থেকে দিচ্ছি না। কোনো বিভাগে ১০০ আসন থাকলে এই আসনগুলোতে পোষ্য কোটা প্রযোজ্য হবে না। বরং এর বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত হিসেবে ওই বিভাগে দুই বা তিনটি আসন রেখে পোষ্যদের ভর্তি নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে ওই বিভাগে ১০২ বা ১০৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন।
শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি হলো- ভর্তি আবেদন ফি ২০০ টাকা করতে হবে; মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা, পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে হবে; বন্ধ হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব এবং মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ ও অতিদ্রুত নতুন দুটি হল নির্মাণ করতে হবে; ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল এক্সট্রা কারিকুলার সংগঠনসমূহকে অফিস বরাদ্দ দিতে হবে; অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ করতে হবে; অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দিতে হবে; প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান ও অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইনভিত্তিক করতে হবে; সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হামলার সুষ্ঠু বিচার ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন:গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। ২০২৫ সালের ১৮, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল তিনটি ইউনিটে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্ত ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর করা হবে।
এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)।
রোববার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড মো. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, প্রক্টরিয়াল বডি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের ডিন ও ১৯টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা।
সভার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছে। অনেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এরপর আমরা আজ জরুরি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ্বান করি। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়র জন্য গত ১১ ডিসেম্বর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শাখা ছাত্রদলও একই দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে।
আরও পড়ুন:আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে। সে অনুযায়ী ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের ১০ এপ্রিল।
প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ৮ মে। ১০ মে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। ১৮ মে’র মধ্যে সবাইকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত কয়েক বছর ধরে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিল। তবে আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণ সিলেবাস এবং পূর্ণমান ও পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
৪৭তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার আবেদন ফি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৫০ টাকা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। আর আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর বিকেলে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে আবেদন ফি আগের মতো ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ধরা হয় ১০০ টাকা।
এর কয়েক ঘণ্টা পর আবেদন ফি কমানোর ঘোষণা দেয় পিএসসি।
৪৭তম বিসিএসের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ২০১টি পদে নিয়োগ দেয়া হবে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে আবেদন, যা চলবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
এবার সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর বয়সীরা আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য