× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Technical and madrasa teachers and students are getting grants
google_news print-icon

অনুদান পাচ্ছেন কারিগরি ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

অনুদান-পাচ্ছেন-কারিগরি-ও-মাদ্রাসার-শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত পরিচালন বাজেটে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ অনুদান হিসেবে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। বরাদ্দ র্অথ হতে আর্থিক অনুদান বাবদ নির্বাচিতদের এ অর্থ প্রদান করা হবে।

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন শিক্ষার্থী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাচ্ছেন ৫ কোটি টাকার অনুদান। এর মধ্যে রয়েছেন ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, ৩০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৫০০ শিক্ষক। এ অর্থ বিতরণ করা হবে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের মাধ্যমে।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবিনা ইয়াসমিনের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত পরিচালন বাজেটে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ অনুদান হিসেবে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। বরাদ্দ র্অথ হতে আর্থিক অনুদান বাবদ নির্বাচিতদের এ অর্থ প্রদান করা হবে।

আরও বলা হয়, মনোনীত প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার করে মোট ৭৫ লাখ টাকা, শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রত্যেককে ১০ হাজার করে এই টাকা দেয়া হবে।

এ ছাড়া ইবতেদায়ী স্তরের (১ম থেকে ৫ম) ৭৬৬ শিক্ষার্থীকে ৩ হাজার করে প্রায় ২৩ লাখ টাকা, দাখিল ও ভোকেশনাল পর্যায়ে ৪ হাজার ৫০১ শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার করে ২ কোটি ২৫ লাখ ৫০০ টাকা, এইচএসসি (বিএম) আলিম ও ডিপ্লোমা পর্যায়ে ১ হাজার ৪৯২ শিক্ষার্থীকে ৬ হাজার করে সাড়ে ৮৯ লাখ এবং কামিল, ফাজিলসহ তদুর্ধ্ব শ্রেণি পর্যন্ত ৫৩৫ জনকে ৭ হাজার করে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা প্রদান করা হবে।

অনুদানের শর্তে বলা হয়, কেউ দুইবার মঞ্জুরি হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে তাকে এক দফায় অর্থ ছাড় করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে দিতে হবে।

অনুদান প্রদানে গত বছরের মার্চে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়। এরপর আবেদন যাচাই-বাছাই করে আলাদাভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি মাদ্রাসা বিভাগ থেকে অনুদানের অর্থ ছাড় দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
করোনায় শিক্ষার ক্ষতি কাটাতে আসছে নতুন প্রকল্প
সব স্কুলে হচ্ছে কিশোর-কিশোরী ক্লাব
স্বল্পদৈর্ঘ্য ৬ সিনেমা পেল সরকারি অনুদান
প্রযোজক সারা, শাকিব, অপু- নির্মাতা অমিতাভ, উজ্জ্বল পেলেন অনুদান
করোনায় স্কুল ছেড়েছে ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Sexual harassment Teknafs teacher dismissed

যৌন নিপীড়ন: টেকনাফের সেই শিক্ষক বরখাস্ত

যৌন নিপীড়ন: টেকনাফের সেই শিক্ষক বরখাস্ত কক্সবাজারের টেকনাফের কচুবনিয়া এমপি বদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক আলী আকবর সাজ্জাদ। ফাইল ছবি
জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেওয়া হয়।

ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বরখাস্ত করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের কচুবনিয়া এমপি বদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আকবর সাজ্জাদকে।

জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেওয়া হয়।

জেলা শিক্ষা অফিসারের চিঠিতে বলা হয়, ‘টেকনাফ উপজেলার কচুবনিয়া এমপি বদি সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলী আকবর সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। আজকে থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হবে।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহীন মিয়া বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আলী আকবর সাজ্জাদ কর্তৃক উক্ত বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানির করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জাতীয় গণমাধ্যম নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলাকে ধন্যবাদ জানাই সত্য নিউজ করার জন্য।এ ছাড়া যেকোনো স্কুলে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য শিক্ষকদের সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলার নতুন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান আরজু বলেন, ‘এমপি বদি কচুবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলী আকবর সাজ্জাদকে বরখাস্ত করার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের চিঠি হাতে পেয়েছি। ফলে তিনি এখন আর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নন। এ জন্য প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।’

এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এসব অভিযোগ সামনে আসার পরপরই কর্তৃপক্ষ আমলে নিলে এ রকম ঘটনা ঘটত না। এসব বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালে কিন্তু অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে তিনি আরও সাহস পেয়ে যান। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

গত বছরের ২৫ নভেম্বর ‘টেকনাফে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে’ শিরোনামে নিউজবাংলায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ নভেম্বর যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়।

কক্সবাজার জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. সাজ্জাদকে আহ্বায়ক করে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি সরেজমিনে গিয়ে গোপন ও প্রকাশ্যে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অভিযোগকারী তিন ছাত্রী ও অভিভাবকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

শিক্ষার্থীদের একজন বলে, “স্যার আমাদের বলেন, ‘তোমরা স্কুলে আসার সময় দুই ঘণ্টা আগে আসবা।’ খালি ক্লাসরুমে প্রবেশ করায় দরজা বন্ধ করে আমাদের সবসময় যৌন হয়রানির করত। স্যার আমাদের বলত যে, ‘তোমাদের পরীক্ষায় ভালো নম্বর দিয়ে পাস করিয়ে দিব এবং তোমরা প্রতিজ্ঞা করবা, তোমাদের সঙ্গে যা ঘটছে জীবনেও তা কারও কাছে কিছু বলা যাবে না।’ পরে এগুলো বলে আমাদের স্পর্শকাতর স্থানে হাতে হাত দেয়।”

এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, ‘আমার মেয়ে স্কুলে যায় না। মেয়ের মার থেকে জানতে চাইলাম কেন হঠাৎ স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিছে। বিষয়টি মাও জানে না। ১০ বছরের ছোট্ট মেয়ে। তাই ভয়ে আমাদের জানায়নি, কিন্তু ওদের বান্ধবীরা একদিন মেয়ের মাকে বিষয়টি অবগত করল যে, আপনার মেয়েকে হেড স্যার যৌন হয়রানির করে আসছে। তাই উনি স্কুলে যাচ্ছে না।

‘আমি বিষয়টি স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের জানাই। তারা আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে বলেন। পরে আমি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করি।’

আরও পড়ুন:
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষক ও স্ত্রীর
শাহবাগ অবরোধ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের, জলকামান ও লাঠিচার্জ পুলিশের
প্রাথমিকের সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল
খুলনার সাবেক কাউন্সিলর হত্যা: আরেক সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
কক্সবাজারে হোটেলের সামনে খুলনার সাবেক কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা

মন্তব্য

শিক্ষা
The elementary head teachers to the tenth grade verdict

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডের রায় বহাল

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডের রায় বহাল সুপ্রিম কোর্ট ভবন। ফাইল ছবি
এ সংক্রান্ত রিভিউ নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার রায় দেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত এবং দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এ সংক্রান্ত রিভিউ নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার রায় দেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ।

আজকের এ রায়ের ফলে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে এবং দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে বেতন ভাতা ও মর্যাদা পাবেন বলে জানান শিক্ষকদের পক্ষের আইনজীবী।

আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম এবং অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করে। এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ সংক্ষুব্ধ ৪৫ শিক্ষক। সে রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) ১১তম ও ১২তম স্কেলে বেতন নির্ধারণ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একপর্যায়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত করতে এবং দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়।

হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হয়।

আরও পড়ুন:
জেলা ও বিভাগে প্রাথমিক শিক্ষার নতুন টাস্কফোর্স কমিটি
সরকারি প্রাথমিকে সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের যোগদান ১২ মার্চ
প্রাথমিকের ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের যোগদানে বাধা নেই
শেখ পরিবারের নামে থাকা ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা সব আইনি প্রক্রিয়া মেনে: উপদেষ্টা

মন্তব্য

শিক্ষা
On March 12 5000 teachers joined the government primary

সরকারি প্রাথমিকে সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের যোগদান ১২ মার্চ

সরকারি প্রাথমিকে সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের যোগদান ১২ মার্চ প্রাথমিক স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক। ফাইল ছবি
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচিত ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র জারি, যোগদান ও পদায়নের বিষয়ে প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর তৃতীয় গ্রুপের (ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগ) নির্বাচিত ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি, যোগদান ও পদায়নের বিষয়ে নির্দেশক্রমে প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান করা করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, নির্বাচিত প্রার্থীদের, যারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে অন্যান্য নথিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনুকূলে ৪ মার্চ নিয়োগপত্র জারি করা হবে। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ১২ মার্চের মধ্যে যোগদান করতে হবে।

প্রার্থীদের যথাযথভাবে পূরণকৃত পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য জেলা পুলিশ সুপার অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে প্রেরণ ১৩ মার্চ এবং একই দিন পদায়ন আদেশ জারি করা হবে।

নির্ধারিত সময়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি না হলে জেলা অফিসে যোগদান না করলে বা পদায়িত বিদ্যালয়ে যোগদান না করলে (কারণ ও মতামতসহ) ২০ মার্চ তালিকা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।

আরও পড়ুন:
প্রাথমিকের ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের যোগদানে বাধা নেই
শেখ পরিবারের নামে থাকা ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা সব আইনি প্রক্রিয়া মেনে: উপদেষ্টা
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষক ও স্ত্রীর
শাহবাগ অবরোধ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের, জলকামান ও লাঠিচার্জ পুলিশের

মন্তব্য

শিক্ষা
There is no barrier to joining the 5 thousand 5 assistant teachers of the primary

প্রাথমিকের ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের যোগদানে বাধা নেই

প্রাথমিকের ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের যোগদানে বাধা নেই প্রাথমিক স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক। ফাইল ছবি
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে সোমবার এ আদেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের চাকরিতে যোগদানে বাধা নেই।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে সোমবার এ আদেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ।

আজকের এ আদেশের ফলে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জনের চাকরিতে যোগদানে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ।

ছয় হাজার ৫৩১ জন শিক্ষকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, আইনজীবী ফজলুর রহমান ও মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। আর রিটকারী ১৫৪ জনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মিফতা উদ্দিন চৌধুরী।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। সে রিটের শুনানিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা (অ্যাবসোলুট) করে ওই রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের রায়ে আপিল বিভাগের কোটাসংক্রান্ত ২০২৪ সালের সর্বশেষ রায় অনুসরণ করে নতুন ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের ওই রায়ের কারণে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম আটকে যায়।

আরও পড়ুন:
শাহবাগ অবরোধ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের, জলকামান ও লাঠিচার্জ পুলিশের
প্রাথমিকের সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময়কে জামিন নয় কেন: হাইকোর্ট
বিদ্যুতে হাত-পা হারানো শিশুকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ
সামিনা লুৎফাকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির নির্দেশ

মন্তব্য

শিক্ষা
The result of appointment of assistant teachers admits all the legal processes advisors

সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা সব আইনি প্রক্রিয়া মেনে: উপদেষ্টা

সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা সব আইনি প্রক্রিয়া মেনে: উপদেষ্টা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ছবি: ইউএনবি
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘যখন ফল ঘোষণা করা হয়েছে আমাদের মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে ফল ঘোষণা করেনি। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই ফল ঘোষণা করেছি। ফলে আমরা মনে করছি আমরা আইনি কাঠামোতেই আমাদের কাজগুলো করেছি। সে হিসাবে তারা (আন্দোলনরতরা) যেটা চাচ্ছেন তাদের সঙ্গে আমাদের সহানুভূতি রয়েছে।’

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে হাইকোর্ট ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ফল ঘোষণা করা হয়েছিল। এ কারণে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীদের প্রতি তাদের সহানুভূতি রয়েছে।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‌‘আদালত থেকে একটি রায় হয়েছে, যেটিতে তারা ক্ষুব্ধ। আমরা আপিল করেছি।

‘যেহেতু এটি এখন আদালতে বিচারাধীন বিষয়, তাই প্রশাসনিকভাবে আলাদা কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই।’

বিধান রঞ্জন রায় জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই তারা ফল ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘যখন ফল ঘোষণা করা হয়েছে আমাদের মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে ফল ঘোষণা করেনি। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই ফল ঘোষণা করেছি। ফলে আমরা মনে করছি আমরা আইনি কাঠামোতেই আমাদের কাজগুলো করেছি।

‘সে হিসাবে তারা (আন্দোলনরতরা) যেটা চাচ্ছেন তাদের সঙ্গে আমাদের সহানুভূতি রয়েছে।’

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর থেকে আন্দোলন করছেন ফল বাতিল হওয়া শিক্ষক প্রার্থীরা।

মন্তব্য

শিক্ষা
The appointment of six and a half thousand teachers of the primary is canceled

প্রাথমিকের সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল

প্রাথমিকের সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল সুপ্রিম কোর্ট ভবন। ছবি: বাসস
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ধাপে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে মেধার ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে ৩০ চাকরিপ্রার্থীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। বৃহস্পতিবার সেই রুলের ওপর রায় দেওয়া হলো।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফয়েজ উদ্দিন আহমদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।

২০২৩ সালের ১৪ জুন ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৩১ অক্টোবরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রাথমিক তালিকা প্রণয়ন করা হয়।

গত বছরের ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ আদেশ সংবলিত নির্দেশনা জারি করে। এ সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল।

ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী গত নভেম্বরে রিটটি করেন।

রিটে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৩ জুলাই কোটা পদ্ধতি সংশোধনের পর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের জারি করা পরিপত্রসহ আগের এ সংক্রান্ত সব পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন বা আদেশ রহিত করা হলো। ফলে আগের কোনো আদেশ বহাল থাকছে না।

অথচ ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়েছে। এ অনুসারে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, ৪ শতাংশ অন্যান্য কোটা ছিল।

এ রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল দিয়ে নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।

রুলে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে করা আবেদনের (লিভ টু আপিল) শুনানি নিয়ে গত ৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আপাতত বহাল রাখেন। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত রুল ২৫ জানুয়ারির মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি করে রায় দেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন:
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হলেন সরওয়ার আলম
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হলেন নাসিমুল গনি
৪২তম বিসিএসে উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের দ্রুত নিয়োগের দাবি
পুলিশে ১৫ বছরে ৯০ হাজার নিয়োগ রাজনৈতিক পরিচয়ে
মেজর আখতারের রোষানলে ফিরতে পারছেন না চাকরিতে, অভিযোগ কলেজশিক্ষকের

মন্তব্য

শিক্ষা
The white partys ban on the exclusion of the blue party
জবিশিস নির্বাচন

নীল দলের বর্জনে সাদা দলের বাজিমাৎ

নীল দলের বর্জনে সাদা দলের বাজিমাৎ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল বর্জন করায় বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৫ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। এতে দীর্ঘ ১৪ বছর পর বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৫-এর ফলাফল ঘোষণা করেন।

এতে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেন সভাপতি এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্‌দীন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

সহ-সভাপতি পদে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজম খাঁন, কোষাধ্যক্ষ পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া সদস্য পদে ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নূরুল্লাহ, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক, সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোন্তাফিজ আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদ এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তারেক বিন আতিক নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কুতুব উদ্দিন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রুমানা তাছমীন এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান।

এদিকে হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদানের অভিযোগ তুলে আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচন-২০২৫ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

নীল দলের শিক্ষক নেতারা বলছেন, যেকোনো সভ্য সমাজে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণে প্রতিনিধি নির্বাচন বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের প্রথম ধাপ। শিক্ষকদের এই সংগঠনকে অকার্যকর করতে যারা লিখিত চিঠি ও হুমকি প্রদান করেছেন এবং করে আসছেন, তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী নন।

নির্বাচন কমিশনারকে দেয়া এক চিঠিতে নীল দলের শিক্ষক নেতারা বলেন, ২০১২ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে একটি পেশাগত সংগঠন হিসেবে প্রতিবছর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সম্মান-মর্যাদা বৃদ্ধি, শিক্ষার সামগ্রিক মানোন্নয়নে শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে অত্যন্ত দৃঢ় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

এরই ধরাবাহিকতায় প্রতিবছরের মতো এবারও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেওয়া হয় এবং শিক্ষকবৃন্দ নির্বাচনের জন্য মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকেন। মনোনয়ন ফরম উত্তোলন ও জমাদানের সময় গত ৮ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠি দিয়ে শিক্ষকদের একটি বড় অংশকে (বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দের সংগঠন নীল দলের শিক্ষকদের) মনোনয়ন ফরম প্রদান না করার জন্য লিখিতভাবে হুমকি ও চাপ প্রদান করে।

শিক্ষার্থীদের চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় সহকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা ও ভীতির সঞ্চার করেছে এবং সামগ্রিকভাবে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্পাসের এই অস্থিতিশীল পরিবেশে নিজেদের সম্মান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিবেচনায় আমরা নীল দলের শিক্ষকরা আসন্ন শিক্ষক সমিতি নির্বাচন-২০২৫ বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৫ নির্বাচনে আওয়ামী মতাদর্শের কোনো শিক্ষককে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দিতে ও তাদের কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রয় না করতে নির্বাচন কমিশন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের পক্ষে আবু বকর খান, মো. রাকিব, ফেরদৌস, মো. তানজিল, সিয়াম হোসাইন অনিক কুমার দাস স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবে হাজারো প্রাণের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসর আওয়ামী প্রেতাত্মাদের জুলুম থেকে মুক্তি পেয়েছি। আন্দোলন চলাকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী মতাদর্শের অনুসারী নীল দলের শিক্ষকরা প্রকাশ্যে আমাদের বিরোধিতা করেছেন। ৪ আগস্ট আন্দোলনকারীদের নাশকতাকারী ও জঙ্গি আখ্যা দিয়ে কঠোরভাবে দমন ও হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়ে শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রকাশ্যে মানববন্ধন করেছেন।

৩ আগস্ট রাতে অনেক শিক্ষক ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যার পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে পরদিন আমাদের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সাজিদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ওই সময়ে শিক্ষকদের প্রকাশ্য ইন্ধনে জবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে গুলি করে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। আমাদের বন্ধু অনিক, ফয়সাল, ফেরদৌস, সিয়াম, ইভান, মারুফ, বাপ্পী, মাহমুদ, সজীব, কাজী আহাদসহ অনেকে আহত হয়েছে। নুরনবী, সিয়াম, তুষারসহ অনেককে ওই শিক্ষকরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, আসন্ন শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি নীলদলের শিক্ষকদের অংশগ্রহণ করতে দেয়া মানেই জুলাই বিপ্লবের হাজারো শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা। দলটির বিচার না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথে আওয়ামী মতাদর্শের কাউকে কোনো নির্বাচন বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নির্বাচন-২০২৫’র প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ভোটার আছেন ৬৫৮ জন। এর মধ্যে যে কেউ এসে ফরম উত্তোলন করতে পারে। কেউ নির্বাচন বর্জন করছে কি না, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।

মন্তব্য

p
উপরে