ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে৷
পরীক্ষায় অংশ নেয়া ২৯ হাজার ৯৯৭ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ২৮৯ জন।
এ ইউনিটে চলতি বছর পাসের হার ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর মানে দাঁড়াচ্ছে পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রায় ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন।
গত ৩ জুন ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষা হয়েছিল। ৯৩০ জন পরীক্ষার্থী এবার এ ইউনিটের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফল ঘোষণা করেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারছেন। এ ছাড়া রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক বা টেলিটক নম্বর থেকে ‘DU GA Roll NO’ ফরম্যাটে ১৬৩২১ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাচ্ছে৷
‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাক্রম ১ থেকে ১ হাজার ১০০ পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে আগামী ৬ জুলাই বেলা তিনটা থেকে ২১ জুলাই বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ঢাবির ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে৷
কোটায় আবেদনকারীদের ৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম বাণিজ্য অনুষদের ডিন কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তা যথাযথভাবে পূরণ করে ওই সময়ের মধ্যে ডিন কার্যালয়ে জমা দিতে হবে৷
কারও ফল নিয়ে সন্দেহ থাকলে তা নিরীক্ষার জন্য ১ হাজার টাকা ফি দিয়ে ৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত বাণিজ্য অনুষদের ডিন কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন:গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ‘বি’ ইউনিটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ৫৬.২৬ শতাংশ।
মঙ্গলবার বিকেলে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়েবাসাইটে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ফলাফল দেখতে পারবেন।
গুচ্ছভুক্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নাছিম আখতার এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক মো. নাছিম আখতার জানান, বি ইউনিটের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পাওয়া নম্বর ৮২.২৫ এবং সর্বনিম্ন মাইনাস (-) ১২.২৫। প্রথম স্থান অধিকার করেছেন দিগন্ত বিশ্বাস। তার রোল ৩০২২৪৯ ও কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার কলেজ ছিল দিনাজপুরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ।
এই ইউনিটে মোট আবেদন করেন ৯৫ হাজার ৬৩৭ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৮৫ হাজার ৫১২ জন যা মোট আবেদনকারীর ৯৪.৩৫ শতাংশ। এ ছাড়াও অনুপস্থিত ছিলেন ৫ হাজার ১২৫ জন অর্থাৎ ৫.৬৫ শতাংশ।
এই ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৪৮ হাজার ১০৬ জন। যা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর ৫৬.২৬ শতাংশ। এ ছাড়াও অকৃতকার্য হয়েছেন ৩৭ হাজার ৩৫১ জন। অর্থাৎ পরীক্ষার্থীদের ৪৩.৬৮ শতাংশ। অকৃতকার্য সকলেই ৩০ এর কম নম্বর পেয়েছেন।
এদিকে ৫৫ জন পরীক্ষার্থীর খাতা বাতিল হয়েছ। যা মোট পরীক্ষার্থীর ০.০৬ শতাংশ৷ এদের মধ্যে ৭ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার, রোল নম্বর ভুল লেখায় ১২ জনের খাতা বাতিল ও সেট নম্বর ভুল লিখায় ৩৬ জনের খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি।
আরও পড়ুন:দেশের তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রম আগামী ২০ আগস্ট শুরু হবে। চলবে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে ২৮ আগস্ট একযোগে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. কে এম আজহারুল হাসান এবং সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আবু ইউসুফ শুক্রবার রাতে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান তারা।
যে তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা হবে সেগুলো হলো চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. কে এম আজহারুল হাসান বলেন, মেধাস্থান প্রাপ্ত সব প্রার্থীকে আগামী ২০ আগস্ট থেকে ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে।
ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষাসংক্রান্ত ওয়েবসাইট www.admissionckruet.ac.bd এই লিংকে আবেদন করা যাবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, মেধাস্থানপ্রাপ্ত সব প্রার্থীকে আগামী ২০ আগস্ট থেকে ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের পছন্দক্রম প্রদান করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য ৩৯টি পছন্দসহ একটি পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। এ ছাড়া স্থাপত্য বিভাগের জন্য ৩টি পছন্দসহ আলাদা একটি পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য ও পছন্দক্রম ২৭ আগস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা পরিবর্তন করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থী যে কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ওই কেন্দ্রেই উপস্থিত হয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশের তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মেধাস্থান অনুযায়ী মেধাতালিকা প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ পছন্দ প্রদানের নির্দেশনা, ভর্তির নিয়মাবলি ও ভর্তির তারিখ প্রকাশিত হয়।
গত ৪ জুলাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হয় ৬ জুন সকাল ১০টা থেকে এবং শেষ হয় ১৯ জুন বিকেল ৫টায়।
ভর্তির তারিখ, ওরিয়েন্টেশন, ক্লাস শুরুর তারিখ ও সময় এবং ভর্তিসংক্রান্ত অন্য বিজ্ঞপ্তি প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড, নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে জানানো হবে।
গত বছরও এসব বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছিল। এবার ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্বে রয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)। গতবারের পরীক্ষার নেতৃত্বে ছিল চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।
প্রকৌশল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, এবার ভর্তীচ্ছুদের খাতা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছে। সেখানে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৬ আগস্ট প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার চুয়েট কেন্দ্রে ‘ক’ বিভাগে ৮ হাজার ৭৪০ জন এবং ‘খ’ বিভাগে ৭৩৭ জন মিলিয়ে মোট ৯ হাজার ৪৭৭ জন পরীক্ষার্থী; কুয়েট কেন্দ্রে ‘ক’ বিভাগে ৮ হাজার ৫৫৩ জন এবং ‘খ’ বিভাগে ৮৭০ জন মিলিয়ে মোট ৯ হাজার ৪২৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষার্থীয় অংশগ্রহণ করছেন।
রুয়েট কেন্দ্রে সর্বমোট ৯ হাজার ৪৯৫ জন ভর্তীচ্ছু অংশ নিচ্ছে। ‘ক’ গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে সর্বমোট ৮ হাজার ৮৭৩ জন এবং ‘খ’ গ্রুপে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলোতে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগে অংশ নিয়েছেন ৬২২ জন ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন:গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে আগামী ২০ আগস্ট থেকে।
ওইদিন বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা শেষে এই কার্যক্রম শুরু হবে। পরীক্ষার্থীদের এ জন্য ফি দিতে হবে দুই হাজার টাকা।
গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক শুক্রবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
উপাচার্য ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি মনে করে তাদের ফলাফলে অসংগতি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তারা ফল চ্যালেঞ্জের সুযোগ পাবে। তবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শেষ হলে অর্থাৎ আগামী ২০ আগস্ট বাণিজ্য অনুষদের পরীক্ষা শেষে ফল চ্যালেঞ্জের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতি শিক্ষার্থীকে দুই হাজার টাকা ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ করার পর কোনো শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হলে সে আবেদন ফি অর্থাৎ দুই হাজার টাকা ফেরত পাবে। আর পরিবর্তন না হলে সব একই থাকবে। শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুবিধা বিবেচনায় এই সুযোগ দেয়া হবে।’
আগামী ১৩ আগস্ট মানবিক অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিট এবং ২০ আগস্ট বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে।
আরও পড়ুন:গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার প্রথম পরীক্ষায় বিজ্ঞান ‘ক’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ছিল ৯৪.১০ শতাংশ।
এই ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সমন্বয়কারী ও জবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান নিউজবাংলাকে রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অন্য কেন্দ্রের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আটটি কেন্দ্রেও সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে পরীক্ষায় অংশ নেননি ৫.৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী।
অধ্যাপক ড. শাহজাহান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আটটি কেন্দ্রে শনিবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন ৬০ হাজার ৬৪৯ জন শিক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ৫.৯ শতাংশ। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
যেসব ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারণ করেছিলেন তাদের আসন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট আটটি কেন্দ্রে সাজানো হয়েছিল।
বাকি কেন্দ্রগুলো হচ্ছে ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজ, গভর্মেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স, ইডেন মহিলা কলেজ, নটর ডেম কলেজ ও ভিকারুননেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
এই আটি কেন্দ্রে মোট ৬৪ হাজার ৪৫৮ জন পরীক্ষার্থীর আসন সাজানো হয়েছিল। সে হিসাবে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৯৪.১০ শতাংশ ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থী।
পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিউজবাংলার এক প্রশ্নে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, প্রথমবার শিক্ষার্থীদের আসনবিন্যাস নিয়ে যে সমস্যাগুলো হয়েছিল এবার কষ্টের বিনিময়ে হলেও আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করেছি। যার ধারাবাহিকতায় সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু শিক্ষার্থী কেন্দ্র ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে এসেছিল। তাদের যেন ভোগান্তি না হয় সে জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১৩ আগস্ট মানবিক অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট এবং ২০ আগস্ট বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ইউনিটে পরীক্ষার জন্য মোট আবেদন পড়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছিল বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে। এই ইউনিটে এক লাখ ৬১ হাজার ৭২৬ জন ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থী ভর্তি আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন:২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার অঙ্কন অংশের ফল প্রকাশ হয়েছে।
গত ২ জুলাই অনুষ্ঠিত অঙ্কন পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১ হাজার ৫০২ জনের মধ্যে ২৪১ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
পরীক্ষায় পাসের হার ১৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। ১৩০ পরীক্ষার্থী এবার এই ইউনিটের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ ফল প্রকাশ করেন।
ওই সময় চারুকলা অনুষদের ডিন ও ‘চ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক নিসার হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষার বিস্তারিত ফল ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এ ছাড়া টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক নম্বর থেকে DU CHA <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে সেন্ড করলে ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যাবে।
দুই ধাপে চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা হয়। গত ১৭ জুন ‘চ’ ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা হয়। এতে ৬ হাজার ১৫৬ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
২৩ জুন সাধারণ জ্ঞান অংশের ফল প্রকাশ করা হয়। ফলে কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম এক হাজার ৫০২ জন পরীক্ষার্থীকে অঙ্কন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৪১ শিক্ষার্থীকে আগামী ২৪ থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে।
বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারী উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের কোটার ফরম আগামী ২৪ থেকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে চারুকলা অনুষদের ডিন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সেটি যথাযথভাবে পূরণ করে ওই সময়ের মধ্যে একই অফিসে জমা দিতে হবে।
আর ফল নিরীক্ষণের জন্য নির্ধারিত ফি দিয়ে আগামী ২৪ থেকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে চারুকলা অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করা যাবে।
আরও পড়ুন:ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নানা অসংগতি ও বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন জীবনব্যাপী শিক্ষার কথা বলছি, তখন জায়গায় জায়গায় দেয়াল তুলছি কেন! এই বয়সের পর আর ভর্তি হওয়া যাবে না, একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যাবে না, এই বিষয়ে ভর্তি হবার পর অন্য বিষয়ে পড়া যাবে না। এগুলো আমরা কেন বলছি, সেটা আমার বোধগম্য নয়।’
‘আইন বিষয়ে পড়ার পর আমি চাইলে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ব, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার পর আমি চাইলে সাহিত্য নিয়ে পড়ব, কিন্তু কেন আমি পড়তে পারব না। আমাদের কেন দেয়াল তুলতে হবে!’
বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে উচ্চ শিক্ষায় অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ক সম্মেলন ও অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনায় না নিয়ে শুধু শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনায় না নিয়ে আমরা শুধু শিক্ষার্থী ভর্তি করে যাচ্ছি। কত বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারছি, সেটা নিয়ে ব্যস্ত আমরা।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের পাশাপাশি একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের কথা বলেছেন। তারপরও আমরা তা করছি না। আমরা মাস্টারপ্ল্যান করার জন্য বারবার তাগাদা দিচ্ছি।’
দীপু মনি বলেন, ‘১৮ বছর বয়সে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান বা রসায়ন নিয়ে পড়ব। ছয় মাস, এক বছর, তিন বছর পর আমার মনে হল আমি এই বিষয়ে পড়তে চাই না। কিন্তু আমার সামনে পথ খোলা নেই। আমাকে ধরে নিতে হবে, এটা আমার ব্রেক অফ স্টাডি। সারা বিশ্বে এটা পারলে বাংলাদেশে কেন পারবে না!
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১০০ বছর পূর্ণ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ১০০ বছর আগে যে বিষয়গুলো চালু হয়েছিল, আজকের দিনে তার প্রতিটি বিষয় একইভাবে প্রাসঙ্গিক কিনা সেটা আমাদের দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সমাবর্তনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে সুন্দর একটা সার্টিফিকেট তুলে দিচ্ছি। কিন্তু এই সার্টিফিকেট সে তার জীবনে কতটা কাজে লাগাতে পারছে, কর্মজগতে তার শেখাটা কত ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারছে, সেটা দেখা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। কাজেই আমাদের কর্মজগতের চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেকে তৈরির আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের নিজেদের তৈরি করতে হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষায় গুণগত মান আমাদের অর্জন করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। সেজন্য অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়া অনেক বেশি জরুরি। অ্যাক্রিডিটেশন একটা ফলপ্রসূ প্রক্রিয়া।
‘শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নির্ণয় হবে, এমনটি নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সেল্ফ অ্যাসেসমেন্টের মধ্যে দিয়ে অনেক কিছু শিখবে। নিজেদের ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়ায় আসলে খুব দ্রুত সুফল পাবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। বিশাল যুব সমাজকে কর্মমুখী করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের দক্ষ যুব সমাজ দরকার। উচ্চ শিক্ষায় দক্ষতা নিশ্চিত করার ফ্রেমওয়ার্ক হতে পারে অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে গুণগত মানে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের নভেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে রোববার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশার কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মাঝখানে দুই মাসের বিরতির প্রয়োজন হয়। সে হিসাবে এসএসসি পরীক্ষা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি হলে এইচএসসি নভেম্বরের মাঝামাঝি হওয়ার কথা। কিন্তু এবার শিক্ষা বোর্ডগুলো একটু বেশি কষ্ট করবে। তারা চেষ্টা করবে এসএসসি শুরুর ৪৫ দিন পর এইচএসসি শুরু করতে। এ ক্ষেত্রে নভেম্বরের গোড়ায় এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।’
এর আগে মন্ত্রী জানান, বন্যার কারণে স্থগিত হওয়া চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে।
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা এখনও নেয়া সম্ভব হয়নি। গত বছর এসএসসি পরীক্ষা নেয়া গেলেও এইচএসসিতে শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেয় সরকার।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করা হয় চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস।
২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গনগুলো আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে।
২ মার্চ শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস। টানা দুই বছর বন্ধের পর ১৫ মার্চ প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হয়।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দুই দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের দুয়ার।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য