× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Joby received a Skyfinder subscription for the research
google_news print-icon

গবেষণার জন্য ‘স্কাইফাইন্ডার’ সাবস্ক্রিপশন পেল জবি

গবেষণার-জন্য-স্কাইফাইন্ডার-সাবস্ক্রিপশন-পেল-জবি
স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের ফলে রসায়ন বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার ক্ষেত্রে প্রকাশিত সব প্রয়োজনীয় তথ্য জার্নাল, কনফারেন্স, পেপার, অ্যাবস্ট্রাকট, প্যাটেন্ট ইত্যাদি দ্রুত ও সহজে সংগ্রহ করতে পারবে, যা মৌলিক গবেষণা তৈরি ও বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।

আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার জন্য দেশের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘স্কাইফাইন্ডার’ সাবস্ক্রিপশনের অনুমোদন পেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

এতে দ্রুত ও সহজে তথ্য সংগ্রহ করে মৌলিক গবেষণা তৈরি ও বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সহায়তা পাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক অনুমোদন করেছে।

স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের ফলে রসায়ন বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার ক্ষেত্রে প্রকাশিত সব প্রয়োজনীয় তথ্য জার্নাল, কনফারেন্স, পেপার, অ্যাবস্ট্রাকট, প্যাটেন্ট ইত্যাদি দ্রুত ও সহজে সংগ্রহ করতে পারবেন, যা মৌলিক গবেষণা তৈরি ও বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের অনুমোদন প্রদান এবং আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থার জন্য বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের জন্য রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুর রহমান উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আগামী তিন বছরের জন্য স্কাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশন বাবদ ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৯২ টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বলেন, ‘স্কাইফাইন্ডার এ অ্যাকসেসের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সারা বিশ্বে চলমান তাদের গবেষণাসংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য জানতে পারবেন। এর ফলে আমাদের গবেষকরা আধুনিক মানের গবেষণার পরিচালনা ও পরিকল্পনা করা সহজতর হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘এটা আনন্দের খবর। আমরা গবেষণায় জোর দিচ্ছি। গবেষণা বাড়াতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছি। গবেষণা বাড়াতে বাজেট বৃদ্ধিসহ নানা উদ্যোগ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আমরা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র‌্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থান অর্জন করছি। আমাদের অনেক শিক্ষক বিভিন্ন গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।’

স্পেনের সিমাগো ইনস্টিটিউশন র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রসায়ন বিষয়ে গবেষণা সূচকে প্রথম স্থান অর্জন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্কাইফাইন্ডারে সাবস্ক্রিপশনের অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) এ অনুমোদন রয়েছে।

আরও পড়ুন:
জবির দুই অনুষদে নতুন ডিন
জবিতে সেমিস্টারে ভর্তিতে জরিমানার শর্ত সাময়িক শিথিল
চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে জবিতে কর্মচারীদের অবস্থান
জবিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে বন্ধ ক্লাস, চলবে পরীক্ষা
নিজেদের দ্বিতল বাসে চড়বে জবি শিক্ষার্থীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Sundarban crocodiles roam in Pirojpur with satellite tags

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানোর পর সুন্দরবনের খালে অবমুক্ত করা হয় কুমির। ছবি: সারোয়ার আলম দীপু
গবেষণার জন্য চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনের নদী ও খালে। সেগুলোর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনেই বিচরণ করছে। বাকি কুমিরটি মংলা, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ হয়ে মাত্র ১১ দিনে প্রায় একশ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। বুধবার সেটির অবস্থান ছিল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে।

সুন্দরবনের লোনা পানির চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পর দেখা যাচ্ছে, এর তিনটি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি বহু পথ ঘুরে এখন বরিশাল বিভাগের জেলা পিরোজপুরের নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের বিশাল এলাকায় চলে যায়। তবে একটি কুমির বন ছেড়ে মংলা, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ হয়ে পিরোজপুরে ঢুকে পড়েছে।

মাত্র ১১ দিনে প্রায় একশ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি। গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কুমিরটি বুধবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের আশা, নির্দিষ্ট সময় পর আবারও সুন্দরবনে ফিরে আসবে। তবে আপাতত সে তার নিজের জন্য নিরাপদ পরিবেশ খুঁজছে।

স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে ১৬ মার্চ কুমিরটি অবমুক্ত করা হয়েছিল সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে। এরপর এটি মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে পিরোজপুরে ঢুকেছে।

বন সংরক্ষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমরা মূলত এই গবেষণার মাধ্যমে তাদের আচরণ ও বসবাসের পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করেছি। যে কুমিরটি বনের বাইরে গেছে সে হয়তো তার বসবাসের জন্য সুবিধাজনক জায়গা খুঁজছে।’

কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌথভাবে করছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিআইজেড)।

আইইউসিএন-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বলেন, ‘সুন্দরবনের কুমির কোথায় কিভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো গবেষণা হয়নি। সে কারণেই স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে গবেষণাটি করা হচ্ছে।’

বিশ্বে পাখি, কচ্ছপ, নেকড়েসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে তাদের আচরণ নিয়ে গবেষণার নজির রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কুমির নিয়ে এভাবে গবেষণা এই প্রথম।

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে
স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানো কুমিরগুলোর অবস্থান। ছবি: আইইউসিএন

গবেষণাটি যেভাবে শুরু

লোনা পানির মোট চারটি কুমিরের গায়ে ১৩ থেকে ১৬ মার্চের মধ্যে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়। এর মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রী কুমির।

এদের মধ্যে পুরুষ কুমির ‘জুলিয়েট’ সুন্দরবনের করমজলে অবস্থিত দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরে ছিল। আর স্ত্রী কুমির ‘মধু’কে সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ির মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া বাকি দুটি কুমির ফাঁদ পেতে ধরা হয় সুন্দরবনের খাল থেকে। এই চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ স্থাপন করে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনের খালে।

আইইউসিএন এই কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে কুমির গবেষক ড. সামারাভিরা ও পল বেরিকে।

আইইউসিএন-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বলেন, ‘গবেষক টিমের পরিকল্পনা ছিল মোট পাঁচটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানোর। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করি আমরা। তবে শেষ পর্যন্ত একটি বাদে মোট চারটি কুমিরের গায়ে বসানো হয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার।’

যেভাবে বসানো হল স্যাটেলাইট ট্যাগ

১৩ মার্চ সুন্দরবনের করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে বাছাই করা হয় জুলিয়েট নামের একটি কুমিরকে। সকালেই সেটির শরীরে ট্যাগ বসানোর কাজ শুরু হয়। ট্যাগ বসানো শেষে কুমিরটিকে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনে করমজলের খালে।

যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা ‘মধু’ নামের কুমিরটি আনা হয়েছিলো আগেই। একই দিনে সেটির গায়েও স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে ছাড়া হয় একই খালে।

গবেষক দল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইল্ড লাইফ কম্পিউটার নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার কিট। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি পানির নিচে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

কুমিরের গায়ে বসানো এই ট্রান্সমিটার কিটটির মেয়াদ এক বছর। ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রে থাকে একটি ক্ষুদ্র অ্যান্টেনা, যেটি সরাসরি যুক্ত থাকে স্যাটেলাইটের সঙ্গে। ট্যাগ লাগানোর পরই চালু হয়ে যায় এর লোকেশন অপশন। সেটি প্রতি ঘণ্টার আপডেট তথ্য ম্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করে।

গবেষক দলের সদস্য দীপু বলেন, ‘কিটটির মেয়াদ এক বছর হলেও চাইলে তা আরও বাড়ানো যাবে।’

এর পরের দুদিন রাতের অন্ধকারে সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা হয় আরও দু’টি কুমির। সেই দুটির গায়েও একইভাবে বসানো হয় এই স্যাটেলাইট ট্যাগ।

কুমিরের মাথার উপরের অংশে আঁশের মতো স্কেল থাকে। স্যাটেলাইট ট্যাগটি বসানোর জন্য সেখানে ছোট একটি ছিদ্র করতে হয়। ওই ছিদ্রের মধ্যেই বসানো হয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বলেন, ‘এই ট্রান্সমিটার চিপ খুব হালকা। ওজন দুই গ্রামেরও কম। এ ধরনের চিপ বসানো হলে তাতে কুমিরের কোনো ক্ষতি হয় না।’

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে
কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যান্সমিটার বসানোর প্রস্তুতি। ছবি: আইইউসিএন

ট্যাগ বসানো কুমিরগুলো এখন কোথায়?

কুমির প্রজনন কেন্দ্রের জুলিয়েট, যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা মধু এবং সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা আরও দুটি কুমিরের গতিপথ পর্যালোচনা করা হচ্ছে অবমুক্ত করার দিন থেকেই।

গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এর মধ্যে তিনটি কুমিরই আছে সুন্দরবনের মধ্যে। কিন্তু একটি কুমির অন্য পথে চলতে শুরু করেছে।

১৬ মার্চ যে কুমিরটিকে সুন্দরবনের জংলা খাল থেকে ধরে গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়, এর পরদিন থেকেই কুমিরটি সুন্দরবন ছেড়ে ছুটছে লোকালয়ের দিকে।

গত দশ দিনে গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কুমিরটি সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্ট থেকে মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলায় পৌঁছেছে।

স্যাটেলাইট তথ্য বলছে, বাকি তিনটি কুমিরই এখন অবস্থান করছে সুন্দরবনের মধ্যে নদী ও খালে। এর মধ্যে জুলিয়েট ও মধু হারবাড়িয়া পয়েন্টের কাছাকাছি নদীতে রয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। অন্য কুমিরটিকে করমজল থেকে ধরে ট্যাগ বসিয়ে সেখানকার খালে ছাড়া হয়েছিলো। সেটি এখন আশপাশের খালেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।

তিনটি কুমির সুন্দরবনের মধ্যে থাকলেও একটি কেন এত পথ পাড়ি দিয়ে লোকালয়ের নদীগুলোতে ঢুকে পড়েছে সেটি নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন আছে গবেষক দলেরও।

গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বলছেন, ‘লোনা পানির কুমিরগুলো আসলে কোন দিকে মুভ করে সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য আমাদের এক গবেষণার ধারণাকে স্পষ্ট করছে।’

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিচের দিকে সমুদ্রের কাছে নদীতেও অনেক স্যালাইন থাকে। আবার কোনো কুমির যদি কম লবণাক্ততা পছন্দ করে, সে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে আশপাশের নদী-খালগুলোতে যায়।

বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বলেন, ‘ওই এলাকার পানিতে লবণাক্ততা কম বলে হয়তো কুমিরটি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। কিংবা সে যা খায় সেগুলো হয়তো সে বেশি পাচ্ছে। আর সে কারণে কুমিরটি ওদিকে অগ্রসর হচ্ছে।’

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে
কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যান্সমিটার বসানোর পর ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। ছবি: সারোয়ার আলম দীপু

কুমির নিয়ে এ ধরনের গবেষণা কেন?

বর্তমানে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবন এলাকাতেই প্রাকৃতিক পরিবেশে লোনা পানির কুমির দেখা যায়। তারপরও এই পরিবেশে লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন খুব একটা হচ্ছে না।

আইইউসিএন-এর গবেষক দলটি বলছে, কুমির নিয়ে এর আগে কিছু গবেষণা হলেও বিশদ কোনো কাজ হয়নি। এ কারণেই কুমিরের অভ্যাস আচরণ জানার জন্য এই গবেষণা করা হচ্ছে।

গবেষক দীপু বলেন, ‘কুমির কোন অঞ্চলে ডিম পাড়ে, কোন অঞ্চলে স্ত্রী-পুরুষের সংখ্যা কেমন সেটা জানার জন্য এমন গবেষণার পরিকল্পনা অনেক দিন আগে থেকেই ছিল। এবার প্রথমবারের মতো তা শুরু হয়েছে।’

বিশেষজ্ঞ ও বন কর্মকর্তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা লবণাক্ততা বাড়া-কমার কারণেও জীবন-জীবিকায় এক ধরণের প্রভাব পড়ছে। হুমকির মুখে পড়ছে এই বন্যপ্রাণীটি। কুমিরগুলোকে বাঁচাতে তাই এ ধরনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

জিআইজেড-এর ‘ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অব সুন্দরবন ম্যানগ্রোভস অ্যান্ড দ্য মেরিন প্রোটেকটেড এরিয়া সোয়াস অফ নো গ্রাউন্ড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় গবেষণাটি চলছে।

বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘লোনা পানির কুমির নিয়ে এই গবেষণা ফলপ্রসূ হলে মিঠা পানির কুমির নিয়েও এভাবে গবেষণা করা দরকার বলে মনে করি আমরা।’

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে
রাতের অন্ধকারে কুমিরের গায়ে বসানো হচ্ছে স্যাটেলাইট ট্যাগ। ছবি: আইইউসিএন

কেন হুমকির মুখে কুমির?

বাংলাদেশে লোনা পানির কুমির সুন্দরবনের বাইরে দেখা যায় না। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বিপন্ন প্রাণীর একটি তালিকা তৈরি করে। ‘আইউসিএন রেড লিস্ট’ নামে পরিচিত ওই তালিকায় লোনা পানির কুমিরকে বাংলাদেশে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশেই লোনা পানির কুমির দেখা যায়। এর বাইরে অন্য যেসব কুমির রয়েছে তার অধিকাংশই চিড়িয়াখানাগুলোতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন তেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

তাই কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও লালন-পালনের জন্য ২০০০ সালে সুন্দরবনের করমজলে বন বিভাগের উদ্যোগে কুমির প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

কুমির প্রজনন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আজাদ কবীর বলেন, ‘এ পর্যন্ত কয়েক দফায় এই প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া লোনা পানির দুই শতাধিক কুমির ছাড়া হয়েছে সুন্দরবনের খালগুলোতে। এর মধ্যে লোনা পানির কুমির ১০৭টি আর মিষ্টি পানির কুমির আছে মাত্র তিনটি।’

গবেষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, পানিতে লবণাক্ততা হ্রাস-বৃদ্ধি, নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরা, নৌযান চলাচল বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কারণে সুন্দরবনে কুমিরের সংখ্যা দিন দিন কমছে।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বলেন, ‘আমাদের নদীগুলোর মধ্যে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে জাল ফেলে মাছ ধরা হয় না। মিঠা পানির কুমিরগুলো জালে ধরা পড়ে। অনেক কুমির এ কারণে হারিয়ে গেছে। একই কারণে হুমকিতে আছে লোনা পানির কুমিরও।’

বর্তমানে সুন্দরবনে কতগুলো কুমির আছে তা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য পাওয়া গেলেও এ নিয়ে সঠিক কোনো জরিপ বা তথ্য নেই বন বিভাগ কিংবা গবেষকদের কাছে। কেননা বিভিন্ন সময় যে গবেষণা হয়েছে সেসব তথ্যে বেশ গরমিল রয়েছে।

গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বলেন, ‘একটি গবেষণা তথ্য বলছে সুন্দরবনে কুমির আছে দেড়শ’ থেকে দুশ’টি। আরেক গবেষণার তথ্য বলছে আড়াইশ’ থেকে তিনশ” লোনা পানির কুমির আছে সুন্দরবনে। সঠিক কোনো তথ্য কারও কাছে নেই।’

এই গবেষক একটি ধারণা দিয়ে বলেন, ‘সুন্দরবনে কুমির বসবাসের পরিবেশ ও ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী কুমির অনেক কম রয়েছে।’

তবে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনি বলছেন, ‘সুন্দরবনের নদী ও খালে বর্তমানে দুশ’র বেশি কুমির নেই।’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘পর্যটক বৃদ্ধি, মাছ ধরাসহ নানা কারণে আস্তে আস্তে কুমির যে বন থেকে সরে যাচ্ছে তার একটি উদাহরণ হতে পারে এই গবেষণা। যেমনটি দেখা গেছে স্যাটেলাইটের তথ্যেও।’

আরও পড়ুন:
৩৮ কোটিতে কুমিরের খামার বেচে পি কে হালদারের ঋণ শোধের চেষ্টা
পালিয়ে যাওয়া ৭০ কুমির ধরতে অভিযান, ভয়ে বাসিন্দারা
নগরবাসীর সৌভাগ্য ফেরাতে কুমিরকে বিয়ে করলেন মেয়র
৭২ বছরের খামারির দেহ ছিন্নভিন্ন করে ফেলল ৪০ কুমির
কুমিরের পেটে মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ

মন্তব্য

শিক্ষা
Infectious disease category Sikrubir holds first place in innovative category

উদ্ভাবনী পদমর্যাদায় ‘ইনফেকশাস-ডিজিজ’ বিষয়ে প্রথম স্থান সিকৃবির

উদ্ভাবনী পদমর্যাদায় ‘ইনফেকশাস-ডিজিজ’ বিষয়ে প্রথম স্থান সিকৃবির সিকৃবির লোগো। ছবি: সংগৃহীত
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘এই অর্জন সবার। উদ্ভাবন হলো অগ্রগতির প্রাণশক্তি। কৃষি শিক্ষার প্রেক্ষাপটে একটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নের ভবিষ্যৎ গঠনে উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

বাংলাদেশের ৪১টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উদ্ভাবনী পদমর্যাদায় ‘ইনফেকশাস-ডিজিজ’ বিষয়ে প্রথম স্থান, সামগ্রিক র‌্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থান এবং কৃষিবিষয়ক র‌্যাঙ্কিংয়ে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)।

স্পেনের সিমাগো ইনস্টিটিউশন র‌্যাঙ্কিং ওয়েবসাইটে সম্প্রতি এ র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ হয়।

এ ছাড়াও ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বায়োকেমিস্ট্রি, জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিষয়ে এবং ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘ইনফেকশাস-ডিজিজ’ বিষয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে সিকৃবি ।

সিলেটের আরেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২১তম স্থান অর্জন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন ও ই-গভর্ন্যান্স কমিটির ফোকাল পয়েন্ট খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেন, ‘সারা বিশ্বে ২০২৪ সালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, সামাজিকতা, স্বাস্থ্য, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয় যাচাই করে এই র‌্যাঙ্কিং নির্ধারণ করেছে।

সামগ্রিক র‌্যাঙ্কিংয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। সামগ্রিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে পঞ্চম স্থানে।

কৃষি ও জীববিজ্ঞানবিষয়ক অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় স্থান এবং শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে।

কৃষিবিষয়ক র‌্যাঙ্কিংয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সপ্তম স্থানে।

এ বিষয়ে সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘এই অর্জন সবার। উদ্ভাবন হলো অগ্রগতির প্রাণশক্তি। কৃষি শিক্ষার প্রেক্ষাপটে একটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নের ভবিষ্যৎ গঠনে উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

‘আজকের দ্রুত বিকশিত বিশ্বে কৃষি খাতের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলি বৈচিত্র্যময় এবং জটিল। এই চ্যালেঞ্জগুলিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে আমাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে আমরা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তত্ত্বাবধানে এপিএকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের ইনোভেশন ও ই-গভর্ন্যান্স টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভবনী কার্যক্রম তদারকি করছে। সেবা সহজিকরণ ও ইনোভেশন শোকেসিংয়ের মতো কর্মসূচি তারা হাতে নিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।’

মন্তব্য

শিক্ষা
Countrys first hippo skeleton in Pavipravi

পবিপ্রবিতে দেশের ‘প্রথম’ জলহস্তী কঙ্কাল

পবিপ্রবিতে দেশের ‘প্রথম’ জলহস্তী কঙ্কাল জলহস্তী কঙ্কালের সামনে পবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
শিক্ষার্থী‌দের দাবি, এটি বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জলহস্তী কঙ্কাল। পবিপ্রবির পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান অর্জনে এটি কাজে লাগবে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) প্রস্তুত করা হয়েছে দেশের প্রথম ও একমাত্র জলহস্তী কঙ্কাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের অ্যানাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কঙ্কালটি শিক্ষা ও গবেষণার জন্য প্রস্তুত করেছেন। এটি রাখা হয়েছে বিভাগের ল্যাবরেটরিতে।

অ্যানাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে বলেন, ‘রংপুর চিড়িয়াখানায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হয় লিওন নামে এক জলহস্তীর। প‌রে প্রাণী‌টির দৈহিক গঠন, উৎপত্তি, বয়স, লিঙ্গ নির্ধারণ, বিভিন্ন রোগ, মৃত্যুর কারণ, প্রজাতির ভিন্নতাসহ নানা অ্যানাটমিক্যাল ও এনথ্রোপলজিক্যাল বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়।’

‌বিশ্ববিদ‌্যালয় সূ‌ত্র জানায়, অধ্যাপক সাইদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিসিপ্লিনের ছাত্র-ছাত্রীরা কঙ্কালটি প্রস্তুত করেছেন। কাজটি শেষ করতে তাদের ১১ মাস সময় লেগেছে।

শিক্ষার্থী‌দের দাবি, এটি বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জলহস্তী কঙ্কাল। পবিপ্রবির পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান অর্জনে এটি কাজে লাগবে। জলহস্তীর পাশাপাশি মেছো বাঘ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও কচ্ছপের কঙ্কাল তৈরির কাজও চলমান ব‌লে জানান তারা।

আরও পড়ুন:
কবর থেকে কঙ্কাল চুরি করল কে
ইদিলপুরের কবরস্থানের কঙ্কাল যাচ্ছে কোথায়
অপহরণের ৫ বছর পর মাটি খুঁড়ে মিলল কঙ্কাল
কবরস্থান থেকে ৯ কঙ্কাল চুরি
মাটি খুঁড়তে গিয়ে কঙ্কাল উদ্ধার, তদন্তে কমিটি

মন্তব্য

শিক্ষা
Saharia Kanak on special duty in the Canadian police is the winner of the difficult journey

কানাডা পুলিশে বিশেষ দায়িত্বে সাহারিয়া কনক, কঠিন যাত্রার বিজয়ী যাত্রী!

কানাডা পুলিশে বিশেষ দায়িত্বে সাহারিয়া কনক, কঠিন যাত্রার বিজয়ী যাত্রী! সাহারিয়া কনক। ছবি: সংগৃহীত
বরিশালের এই সাহারিয়াই প্রথম বাংলাদেশি কানাডিয়ান যিনি ওপিপি নীতিনির্ধারণী লেভেলে হায়ার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।

বাংলাদেশের দক্ষিণের এক জেলায় সাহারিয়া কনকের জন্ম। বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভৌগলিক দূরত্ব ও সাংস্কৃতিক ফারাক কতটা, তা প্রযুক্তির এ যুগে এসে হয়তো সহজেই সবার বোধে এসে যায়। তবে এই ভৌগলিক, আর্থ সামাজিক দূরত্ব আর অনেকখানি বন্ধুর পথ পেরিয়ে বাঙালি একজন নারী দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করতে যোগ্য হয়ে ওঠেন তা নিয়ে ধারণা পাওয়া খুব সহজ কিছু নয়।

সেই যোগ্য বাঙালি নারী হলেন আমাদের আজকের আলোচিত সাহারিয়া কনক। তিনি কানাডার অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশে অধীনে (অন্টারিও মিনিস্ট্রি অফ সলিসিটির জেনারেল) রিজিওনাল বিসনেস এনালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।

বরিশাল থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে জাপান, এরপর জাপান থেকে কানাডা। সাহারিয়ার সব পথ একরৈখিক করেছে শিক্ষাগত যোগ্যতা, সততা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি। এর মধ্যে দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেছে, সমৃদ্ধ হয়েছে তার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার। তবে অভিজ্ঞতা সবসময় সুখকর ছিল না। নিরলস চেষ্টায় তিনি পৌঁছেছেন তার কাঙিক্ষত লক্ষ্যে।

সাহারিয়া নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন সেসব উদ্দীপক গল্প।

কানাডা পুলিশে বিশেষ দায়িত্বে সাহারিয়া কনক, কঠিন যাত্রার বিজয়ী যাত্রী!
কানাডার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সাহারিয়া কনক। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই মেধাবী মানুষটির। স্কুলের শিক্ষা শেষে বিএম কলেজে, এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে। এই পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে বৈবাহিক সূত্রে ২০০১ সালে বাংলাদেশ থেকে জাপানে যান তিনি।

সাহারিয়া জানান, তার স্বামী সেই সময়ে এনভারনমেন্টাল ইঞ্জনিয়ারিংয়ে জাপানে পিএইচডি করছিলেন। বৈবাহিক কারণে জাপানে গেলেও নিজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন নিজের উচ্চ শিক্ষা এবং ক্যারিয়ার তৈরির বিষয়ে। সাহারিয়ার স্বামী ড.আনিসুর রহমান এ ব্যাপারে তার পাশে থেকেছেন সবসময়, এটি এ সফল নারীর পরম পাওয়া।

জাপানে যেখানে ছিলেন সাহারিয়া, সেখানে ভার্সিটির সোশ্যাল সাইয়েন্স ডিপাটরমেন্টে জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি ছাড়া কোনো রিসার্চ করার সুযোগ ছিল না মাস্টারস লেভেলে! আর সরাসরি পিএইচডি প্রোগ্রামে এনরোলমেন্ট হওয়ার মতো রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ডও তার ছিল না। অবশ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্সকালীন সময়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রজেক্টে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে তার দুই বছরের অভিজ্ঞতা ছিল।

কানাডা পুলিশে বিশেষ দায়িত্বে সাহারিয়া কনক, কঠিন যাত্রার বিজয়ী যাত্রী!
স্বামীর সঙ্গে সাহারিয়া কনক। ছবি: সংগৃহীত

অনেক প্রচেষ্টার পরে প্রফেসর ডক্টর ইউসিয়াকি ইগুনির তত্ত্বাবধানে তার রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ শেখার সুযোগ মেলে সাহারিয়ার। কোনো বেতন বা স্কলারশিপ ছাড়াই দুই বছর টানা কাজ করার পর জাপান সোসাইটি ফর প্রোমোশন অফ সায়েন্সে বেশ বড় রিসার্চ প্রোজেক্ট ফান্ড/অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন তিনি। এই ফান্ড দেয়া হয় রিচার্স ফেলোশিপ ফর ইয়াং সায়েন্টিস্ট-এর আওতায়। সাহারিয়া এর আওতায় সংসার,পুত্র সবসামলে বাংলাদেশের মাইক্রোফিন্যান্স নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে ২০০৭ সালে অক্টোবরে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পোস্ট ডক্টরেট ফেলো হিসেবে তিনি চাকরি করেন।

সাহারিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে জাপানের পার্থক্য যা দেখেছি; দুর্দান্ত সিস্টেমেটিক, ট্রান্সপারেন্ট এবং কমিটেড সোশ্যাল কালচার। কিন্তু বাংলাদেশের মতো হাইলি পপুলেটেড, কারণ জাপানে ৭৫% পাহাড়ি বন ঘেরা এরিয়া, বাকি ২৫% ফ্লাট ল্যান্ড। জাপান বিশ্বের থার্ড লার্জেস্ট ইকোনমি এবং সেকেন্ড ডেভোলপড দেশ হলেও তা এশিয়য়ার অন্তৰ্ভুক্ত। তাই ফ্যামিলি নর্মস, ভ্যালুস, সামাজিকতায় অনেক মিল আছে আমাদের কোর ভ্যালুর সাথে জাপানিজ কালচারেরসব থেকে পজিটিভ ইনফ্লুয়েন্স ছিল আমার ক্ষেত্রে, তাদের বিনয়, ওয়ার্কম্যানশিপ, অনেস্টি এবং সিম্পল লাইফ স্টাইল।’

কানাডা পুলিশে বিশেষ দায়িত্বে সাহারিয়া কনক, কঠিন যাত্রার বিজয়ী যাত্রী!
কানাডার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাহারিয়া কনক। ছবি: সংগৃহীত

এখানেই থেমে থাকেননি সাহারিয়া, ২০০৫ সালে কানাডায় নাগরিকত্ব নিলেও ২০০৮ সালের নভেম্বরে জাপান থেকে কানাডার অন্টারিও প্রদেশে অভিবাসন করেন তিনি। সে পথও কতটা বন্ধুর ছিল তা উঠে আসে সাহারিয়ার কথায়।

তিনি বলেন, ‘এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে নতুন করে ক্যারিয়ার আর জীবন শুরু, যা সব অভিবাসীর মতোই কঠিন। এ যেন কাজী নজরুলের ইসলালের ভাষায়- দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার হে। লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুঁশিয়ার!

‘নতুন দেশ, নতুন কালচার সবকিছু নতুন করে জানা শেখা। সাড়ে ৪ শ’র বেশি কালচারাল অরিজিন কানাডায় বসবাস করে। তা ছাড়া ভৌগোলিক বিশালত্ব- অন্টারিও বাংলাদেশের থেকে ৭.৫ টাইমস বড়! এখানে ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে প্রতিদিন জব করা খুবই স্বাভাবিক। তাই কালচারাল শিফট ছিল সিগনিফিকেন্ট।’

কানাডা পুলিশে বিশেষ দায়িত্বে সাহারিয়া কনক, কঠিন যাত্রার বিজয়ী যাত্রী!
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাহারিয়া কনক। ছবি: সংগৃহীত

সাহারিয়া বলেন, ‘২০০৮ সালের নভেম্বরে যখন এসেছি, তখন ওয়ার্ল্ড রিসেশন চলছে; যার প্রভাব কানাডায় প্রকট ছিল। জব মার্কেট খুবই ভালনারবল। কিন্তু আমি আশাহত না হয়ে গভর্নমেন্ট-এর নিউ-কামার ট্রেনিং শুরু করি, যা আমাকে এই দেশ সম্পর্কে, জব নিডস এবং আমার স্কিল এসেসমেন্ট এ সাহায্য করবে বলেই বিশ্বাস ছিল।

‘কারণ কানাডা গভর্নমেন্ট বিনা খরচে প্রতিটি নিউ ইমিগ্র্যান্টকে (এন্ট্রির পরে প্রথম তিন বছর সবাইকে নিউ ইমিগ্র্যান্ট হিসাব করে যার যে ধরেন সাপোর্ট দরকার, তার এসেসমেন্টে সাহায্য করার বিভিন্ন সরকারি ফান্ডেড নন প্রফিট অর্গানিজশন আছে প্রতিটি শহরে) বিভিন্ন স্কিল ট্রেনিং এবং কালচারাল এসিমিলেশন- এর অপশন রেখেছে, যা সবাইকে এই দেশে অভিসংযোজিত হতে সাহায্য করে।’

দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে এ রকম একটি অর্গানাইজেশন নিউ-কামার সেন্টার অফ পিল-এ রিজিউম কভার লেটার রাইটিং অ্যান্ড কানাডিয়ান ইন্টারভিউ স্কিল বিল্ডআপের তিন মাসের ট্রেনিং শেষ করে ওখানেই ভলান্টিয়ার পজিশনে মাইগ্রেশন সেটেলমেন্ট অফিসে জয়েন করি। কানাডিয়ান জব এক্সপেরিয়েন্স নেয়ার জন্য দীর্ঘ ৮ মাস বিনা বেতনে ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সোমবার থেকে শুক্রবার কাজ করেছি।

কানাডা পুলিশে বিশেষ দায়িত্বে সাহারিয়া কনক, কঠিন যাত্রার বিজয়ী যাত্রী!
সাহারিয়া কনক। ছবি: সংগৃহীত

‘এরপর ২০০৯ সালের অক্টোবরে ওই অর্গানিজশনের ডিরেক্টরের রেফারেন্সে একটি প্রাইভেট অর্গানিজশনে অ্যাডমিন কোঅর্ডিনেটর পজিশন ইন্টারভিউ পাই। মোট ১০জনকে নির্বাচিত করা হয়েছিল ইন্টারভিউয়ের জন্য। এদের মধ্যে একমাত্র আমি নির্বাচিত হয়ে ওখানে জয়েন করি, যদিও বাসা থেকে বেশ দূরে এবং ড্রাইভিং করতে হতো তিনটা ব্যস্ত হাইওয়েতে। এটা এ কারণেই উল্লেখ করছি, এখানে প্রতিদিন নিউ-কামার অবস্থায় অনেকেই এটা করতে সাহস করবে না। কিন্তু আমি আমার জাপানের অভিজ্ঞতা, ওদের পরিশ্রমের সেই পজিটিভিটি মাথায় রেখে জবটা একসেপ্ট করে ওখানে ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত কাজ করেছি।’

সাহারিয়া বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেক জবে অ্যাপ্লাই করেছি, কোথাও কোথাও ইন্টারভিউ পেলেও সফল হয়নি। এটা মনে হয়েছিল যে, এখানকার এডুকেশন না থাকায় ইন্টারভিউ পেলেও ঠিকমত কম্পিট করতে পারছি না; নিজেকে আরেকটু এনরিচ করতে হবে ড্রিম জব পাবার জন্য। তাই ২০১৩ সালে ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াটারলু-এর প্রফেশনাল মাস্টার্স ডিগ্র-এমপিএস (মাস্টার অফ পাবলিক সার্ভিস)- এ ভর্তি হই। ২০১৪ এর অল কোর্স ওয়ার্ক শেষ করেই দ্য অন্টারিও মিনিস্ট্রি অফ ফাইন্যান্স-এ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে জয়েন করি।

‘২০১৫ মার্চে এমপিএস- এর রিচার্স পেপার শেষ করে ডিগ্রি লাভের পর পাবলিক সার্ভেন্ট অফ কানাডা হিসেবে রেগুলার পজিশনে দ্য অন্টারিও মিনিস্ট্রি অফ চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়ুথ সার্ভিসে রিচার্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করি। কিন্তু ততদিনে স্বপ্নের পরিধি বড় হচ্ছিল। এখানে প্রভিন্সিয়াল গর্ভমেন্টে এ প্রতিটি পজিশনের জন্য আলাদা সিভিল সার্ভিস কম্পিটিশন, তাই ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের এ সময়ে আমি অন্তত ৩০ ইন্টারভিউ দিয়েছি, কিন্তু জব অ্যাপ্লাই করেছি ১০০-এরও বেশি।’

কানাডা পুলিশে বিশেষ দায়িত্বে সাহারিয়া কনক, কঠিন যাত্রার বিজয়ী যাত্রী!
সাহারিয়া কনক। ছবি: সংগৃহীত

সাহারিয়া বলেন, ‘ওয়াটারলু-এর মাস্টার্স ডিগ্রি খুবই সহায়ক ছিল। জব সার্চিং প্রসেস ফর গর্ভমেন্ট, এই ডিগ্রি আমাকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করেছে কানাডার পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন বাংলাদেশে। আব্বা ছিলেন আমার জীবনের আদর্শ পুরুষ। আমার শৈশব এর সব থেকে স্মৃতিময় সময় ছিল, আব্বা যখন তার ইউনিফর্ম পরে কাজ শেষে বাসায় ফিরতেন হাতে বিভিন্ন ধরেনর ফল আর চকলেট নিয়ে। সেই ক্ষণ ছিল স্বপ্নের মতো।’

বাবার কাছ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের অনেক কিছুই তার শোনা, সাহারিয়ার প্রয়াত বাবা যেমন পুলিশ বাহিনী নিয়ে গর্বিত ছিলেন তেমনি কিছু ব্যাপারে তার দুঃখ ছিল অপিরিসীম। বাংলাদেশ পুলিশ সুযোগ-সুবিধায় সুরক্ষিত নয় ও জনগণের বিশ্বাস অর্জনে ব্যর্থ। উদাহরণ স্বরূপ আরও বলা যেতে পারে,পুলিশ বাহিনীর জনগনকে মানবিক সেবা দিয়ে যে সম্মান পাওয়ার কথা তাতে ব্যাপক ঘাটতি, কিংবা আসামির স্বীকারোক্তি আদায়ের অমানবিক পদ্ধতি ও বাংলাদেশের স্বাক্ষী সুরক্ষা আইনের অষ্পষ্টতা নিয়েও তার বাবার মনে কষ্ট ছিল।

কানাডা পুলিশে বিশেষ দায়িত্বে সাহারিয়া কনক, কঠিন যাত্রার বিজয়ী যাত্রী!
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাহারিয়া কনক। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করে তাদের প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠেছে, বাংলাদেশে যেটি এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে । কানাডায় সর্বস্তরের পুলিশ বাহিনীর স্বচ্ছতা, রেস্পেক্ট এবং সর্বোপরি জনগণের আস্থা বা গ্রহণযোগ্যতা অপরিসীম। এসব সাহারিয়ার অবচেতন মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। তাই কানাডার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হওয়া ছিলো তার স্বপ্নের দ্বিতীয় ধাপ। এই লক্ষকে সামনে রেখে সাহারিয়া সিটি, মিউনিসিয়াপলিটি এবং প্রভিন্সিয়াল পুলিশ -এ জব সার্চ এবং অ্যাপ্লাই শুরু করেন।

অবশেষে ২০১৮ এর এপ্রিলে ৬ মাসের ৫ লেভেল এর বাছাই পর্ব শেষে ফার্স্ট লেভেল অফ সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স পার হয়ে অন্টারিও মিনিস্ট্রি অফ সলিসিটর জেনারেলের অধীনস্থ অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশে রিজিওনাল বিসনেস এনালিস্ট হিসেবে যোগ দেন তিনি।

বাংলাদেশের বরিশালের এই সাহারিয়াই প্রথম বাংলাদেশি কানাডিয়ান যিনি ওপিপি নীতিনির্ধারণী লেভেলে হায়ার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
ARFB embarked on a new horizon in research

গবেষণায় নবদিগন্তের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা করল এআরএফবি

গবেষণায় নবদিগন্তের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা করল এআরএফবি জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও এআরএফবির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয়। ছবি: সংগৃহীত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই গবেষণা সংস্থার উদ্বোধন হয়। একইসঙ্গে সংগঠনটির ১৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

দেশের গবেষণা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করল অ্যাডভান্সড রিসার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এআরএফবি। ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই গবেষণা সংস্থার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে এই অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট গবেষক, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও এআরএফবির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে কেক কাটা হয়। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে নানা বয়সী শিশুরাও অংশ নেয়।

পরে আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে এআরএফবির ১৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এআরএফবি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মো. ফসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক এআরএফবির সহ-সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. জহিরুল হক, এআরএফবির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক-গবেষক ড. জহির বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জালাল উদ্দিন ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান।

আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লতিফুল বারী, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ নাদিম, কারিতাস বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. থিওফিল নকরেক, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমেটেডের সাবেক ডিজিএম সেলিনা বানু, চিত্রশিল্পী দেলোয়ার হোসেন, মেটাডোর কোম্পানির কো. সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন, সংগীত গবেষক ড. এবিএম রেজাউল রিপন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, পদোন্নতিতে অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাওয়ায় আনিকা সুবাহ্ আহমেদকে সন্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ষড়যন্ত্রের শিকার: টুকু
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতা
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আজ

মন্তব্য

শিক্ষা
Zabir 95 researchers in the list of the worlds best

বিশ্বসেরার তালিকায় জবির ৯৫ গবেষক

বিশ্বসেরার তালিকায় জবির ৯৫ গবেষক
অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স-২০২৩ এ বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন তারা। তালিকায় দেশের ১৬৮টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ৬ হাজার ৩৩৫ জন গবেষক রয়েছেন।

বিশ্বসেরা গবেষক র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন বিভাগের ৯৫ জন গবেষক। তাদের মধ্যে ৯৩ জন শিক্ষক ও ২ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স-২০২৩ এ বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন তারা। তালিকায় দেশের ১৬৮টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ৬ হাজার ৩৩৫ জন গবেষক রয়েছেন।

তালিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, দ্বিতীয় সালেহ আহাম্মেদ ও তৃতীয় স্থানে মো. শরিফুল আলম। তালিকায় বাংলাদেশি শীর্ষ ৫ হাজার গবেষকের মধ্যে জবির ৮৯ জনের নাম রয়েছে।

ইনডেক্স অনুযায়ী বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১৯তম, আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ১৫০৮তম আর বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে ৪৫৩৩তম।

এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স বিশ্বের ২১৬টি দেশের ১৯৫২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ লাখ ৪১ হাজার ৫২৩ জন বিজ্ঞানী বা বৈজ্ঞানিক গবেষকের তালিকা করেছে। তাদের সবার গবেষণাসহ বিভিন্ন কর্ম বিশ্লেষণ করে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও দেশভিত্তিক বিজ্ঞানী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং করা হয়েছে।

সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত পাঁচ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স ও সাইটেশনের তথ্যের ভিত্তিতে এই র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ‘এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‍্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এটি আমাদের জন্য গর্বের। তবে এ তালিকায় স্থান পাওয়ার যোগ্য আরও অনেক শিক্ষকই আছেন, যারা বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করেছেন। কিন্তু গবেষণাপত্র অনলাইনে আপলোড না করায় তাদের নাম আসেনি। আমরা আশাবাদী, আগামীতে এই সংখ্যা অনেক বাড়বে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক স্থান পেয়েছেন তাদের অভিনন্দন। ইতোমধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে বুয়েট, ঢাবিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছি। আগামীতে গবেষণায় আরও ভালো ফল আসবে এবং মান আরও উন্নত হবে বলে আশা করছি।’

এর আগে ২০২১ সালে প্রকাশিত তালিকায় দেশের মোট এক হাজার ৭৮৮ জন গবেষকের মধ্যে জবির ২১ জন এবং ২০২২ সালে দুই হাজার ৭৭২ জনের মধ্যে ৬৩ জন গবেষক স্থান পেয়েছিলেন।

এদিকে বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের তালিকা ও র‌্যাংকিং প্রকাশ করা এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স লিমিটেডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকার শীর্ষ ১০ বা ১০০-তে বাংলাদেশের কোনো বিজ্ঞানীর নাম নেই। তবে সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় বাংলাদেশের ৩ জন ঠাঁই পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এবং আইসিডিডিআর,বির ২ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে শীর্ষে আছেন আইসিডিডিআর,বির বিজ্ঞানী রাশিদুল হক।

আরও পড়ুন:
আলোকসজ্জায় বর্ণিল রাজধানী
গবেষণায় জবির সঙ্গে কাজ করবে রোমানিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
জবিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
জবিতে আর্জেন্টিনাকে হারাল ব্রাজিল
জবিতে যিশুখ্রিষ্টের প্রাক-জন্মদিন উদযাপন

মন্তব্য

শিক্ষা
Researchers at DU develop black fever detection method

ঢাবিতে কালাজ্বর শনাক্তকরণ পদ্ধতি উদ্ভাবন

ঢাবিতে কালাজ্বর শনাক্তকরণ পদ্ধতি উদ্ভাবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে কালাজ্বর নির্ণয়ের নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এখানে বিশ্বমানের অনেক গবেষক ও বিজ্ঞানী রয়েছেন। নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম।’

প্রাণঘাতী রোগ কালাজ্বর নির্ভুলভাবে শনাক্ত করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মনজুরুল করিমের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে কালাজ্বর নির্ণয়ের এই নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগমসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক দলের সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য এই অসাধারণ উদ্ভাবনের জন্য গবেষক দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের অনেক গবেষক ও বিজ্ঞানী রয়েছেন। নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আধুনিক ও সমৃদ্ধ ল্যাব স্থাপন করা গেলে শিগগির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ টিকাসহ বিভিন্ন ধরনের টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদন করা যাবে।’

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ মনজুরুল করিম জানান, ‘রিয়েল টাইম পিসিআরভিত্তিক এই মলিকুলার ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি সম্পূর্ণ নির্ভুল ও নিখুঁতভাবে কালাজ্বর শনাক্তকরণের একটি রোগীবান্ধব পদ্ধতি। মূত্রের নমুনা ব্যবহার করে এই পদ্ধতিতে মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে কালাজ্বর শনাক্ত করা সম্ভব।

‘কালাজ্বর শনাক্তকরণে আগে রক্তের ইমিউনোক্রোমাটোগ্রাফিক পরীক্ষা এবং অস্থি-মজ্জা, যকৃত, প্লিহা, লিম্ফ নোড-এর টিস্যু অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হতো। এতে রোগ শনাক্তকরণের জন্য ৭দিন সময় লেগে যেত। নতুন এই পদ্ধতিতে কালাজ্বর নির্ণয় ও নির্মূলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে গেল।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকদের এই গবেষণা ইতোমধ্যে বিশ্বখ্যাত জার্নাল PLOS Global Public Health-এ প্রকাশ হয়েছে।

আরও পড়ুন:
জনবল নিচ্ছে বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন জবির ৯০ শিক্ষার্থী
ঢাবিতে প্রেজেন্টেশন-পরীক্ষায় মুখ খোলা রাখার নির্দেশনা বাতিলের দাবি

মন্তব্য

p
উপরে