প্রাথমিকের প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণ সহজ করতে উদ্বোধন হয়েছে নতুন প্রকল্প ‘এসো শিখি’। মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান জোরালো করতেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউএসএইড যৌথভাবে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘শিক্ষার্থীর মেধা, মনন ও চেতনার বিকাশে মাতৃভাষার ভূমিকা বিশাল, বিরাট এবং ব্যাপক। মাতৃভাষা ছাড়া শিক্ষার ভিত নির্মাণ করা যায় না। তাই শিক্ষার্থীর দক্ষতা ও সাবলীলভাবে জ্ঞানার্জনে মাতৃভাষার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
‘মাতৃভাষার গাঁথুনি শক্ত ও দৃঢ় হলে এর ওপর ভর করে অন্য ভাষা শেখাও সহজে সম্ভব হবে। তখন যেকোনো ভাষায় রচিত ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, বিজ্ঞানের গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে জ্ঞানার্জনের পরিধি বিস্তৃত করা যাবে। এ জন্য সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিশুদের মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।’
নতুন প্রকল্পটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশ এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করবে বলে সচিব মনে করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডি স্টিভেনস।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। যার মাধ্যমে সারা দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ১০ হাজার বিদ্যালয়ে ২০ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। মাতৃভাষার মাধ্যমে কার্যকর শিখন পদ্ধতির সক্ষমতা অর্জনে তারা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা পড়া ও শেখার দক্ষতা অর্জন করবে বিশেষ এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্র প্রমিজ নাগের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুরাইয়া ইসলাম মিমকে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সোনাডাঙ্গা থানায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে প্রমিজের চাচাতো ভাই প্রীতিশ কুমার নাগ আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় প্রমিজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মামলার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ হাসান মৃধা।
এজাহারে বলা হয়েছে, একই বিশ্ববিদ্যলায়ের লেখাপড়ার সুবাদে প্রমিজ নাগ ও সুরাইয়া ইসলামের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুরাইয়া প্রায়ই প্রমিজের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে বিয়ে করার জন্য সুরাইয়া প্রমিজের ওপর চাপ দেয়া শুরু করেন। কিন্তু দুজন ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় প্রমিজ তাকে বিয়ে করতে রাজি হননি।
গত ২০ জুন সুরাইয়া আবারও প্রমিজের বাসায় এসে বিয়ের বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করেন। একপর্যায়ে প্রমিজের মাথায় ল্যাপটপ দিয়ে আঘাত করে নানা হুমকি দিয়ে চলে যান।
২২ জুন বুধবার সুরাইয়া আবারও প্রমিজের বাসায় এসে দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে পাশের মেসের ছেলেদের নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা প্রমিজকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ ঘটনার পর সুরাইয়া পালিয়ে যান। পরে প্রমিজকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এজাহারে বলা হয়, সুরাইয়া ইসলামের নির্যাতন ও প্ররোচনা সহ্য করতে না পেরে প্রমিজ নাগ আত্মহত্যা করেছেন।
কেএমপি সোনাডাঙ্গার সহকারী পুলিশ কমিশনার আতিক বলেন, ‘প্রমিজের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও শরীরে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ঘরে বেশ কিছু স্থানে রক্তের দাগ রয়েছে ও সিসিটিভির ফুটেজে মরদেহ উদ্ধারের আগে ওই ঘর থেকে তার এক বান্ধবীকে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে দেখা গেছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে প্রমিজের বাবা-মাকে উদ্দেশ করে লেখা হয়েছে, কেউ একজন তার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করছিলেন। তাকে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথা লেখা আছে। তাই পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করে আমরা এটি শুধুমাত্র আত্মহত্যা হিসেবে নিতে পারছি না।’
কেএমপি কর্মকর্তা বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে যে মেয়েটিকে প্রমিজের ঘর থেকে বের হতে দেখা গেছে তিনিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। প্রমিজের সহপাঠীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বর্তমানে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আসামি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
প্রমিজের বন্ধু আজগর রাজ বলেন, ‘সুরাইয়ার সঙ্গে প্রমিজের সম্পর্কের বিষয়টি আমাদের বিভাগের সবাই জানত। কিছুদিন আগে ক্যাম্পাসে কথা-কাটাকাটির পর তিনি প্রমিজকে মারধরও করেছিলেন।’
একই কথা জানিয়েছেন প্রমিজের চাচাতো ভাই দীপংকর নাগও। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে ওই তরুণী প্রমিজকে উপহারও পাঠিয়েছেন। সেগুলোর মূল্য ফেরত চাচ্ছিলেন প্রমিজের কাছ থেকে। প্রমিজ বাড়িতে এসব কথা শেয়ার করে টাকাও চেয়েছিলেন।’
প্রমিজ নাগ খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সাচিয়া গ্রামে।
তবে তিনি খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গার গোবরচাকা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখান থেকেই বুধবার সন্ধ্যায় তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
সুরাইয়া ইসলাম একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। তার বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বাবুপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন:ক্যাম্পাসে পানি ঢুকে পড়ায় গত ১৭ জুন ৮ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান ও পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল।
কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির পুরোপুরি উন্নতি না হওয়ায় ঈদের আগে আর খুলছে না বিশ্ববিদ্যালয়টি।
ঈদের ছুটি শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস থেকে পানি নেমে গেছে। তবে সিলেটসহ দেশের অনেক জায়গায় এখনও বন্যার পানি রয়ে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি গিয়েও বন্যার কারণে আটকা পড়েছেন। এসব বিবেচনায় বুধবার রাতে জরুরি সভায় ঈদুল আজহা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।’
মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন জানান, আগামী ৬ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদুল আজহার ছুটি থাকবে। বুধবার সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের ছুটির পর ক্লাস ও পরীক্ষা হবে। এর আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে, তবে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
রেজিস্ট্রার বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে বাকি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাগুলো ১৫ জুলাই থেকে শুরু হবে। সময়সূচি স্ব স্ব বিভাগ ঠিক করবে।’
গত ১৫ জুন থেকে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। আর ১৭ জুন পানিতে তলিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনও। প্রায় দুই যুগ পর এবার বন্যার পানি ঢোকে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে।
এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়ায় ২৫ জুন পর্যন্ত ক্লাস–পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে প্রায় ১২০০ ছাত্রী পানিবন্দি হয়ে পড়েন। পরে বিশ্ববিদ্যায়ল প্রশাসন বিজিবির সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেয়।
পরীক্ষার উত্তরপত্রে অযাচিত এক বাক্য লিখে বেকায়দায় পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৬তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী। এমন আচরণের ব্যাখ্যা দিতে তাকে ডেকে পাঠিয়েছে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ।
তানভীর মাহতাব নামের এই শিক্ষার্থী পরীক্ষার অতিরিক্ত উত্তরপত্রে ‘স্যার, আজকে আমার মন ভালো নেই’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছেন তিনি।
মিডটার্ম পরীক্ষা শেষে অতিরিক্ত একটি উত্তরপত্র সঙ্গে নিয়ে আসেন তানভীর মাহতাব। বুধবার রাতে সেই উত্তরপত্রে ‘আজকে আমার মন ভালো নেই’ লিখে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন তিনি। তারপর বিষয়টি সব জায়গায় ভাইরাল হয়ে যায়। পরে তিনি পোস্টটি ডিলিট করলেও এ নিয়ে চলছে হাসি-তামাশা।
তানভীর বলেন, ‘নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ নিয়ে টাইমলাইনে ফানি পোস্ট দিয়েছিলাম। উত্তরপত্রে ইনভিজিলেটরের স্বাক্ষরটাও আমার দেয়া। বুঝতে পারিনি বিষয়টি এভাবে ভাইরাল হয়ে যাবে। পরে বেকায়দা বুঝতে পেরে পোস্টটি ডিলিট করেছি।’
ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দীন এ বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা পরিষ্কারভাবে এখনো কিছু জানি না। ওই শিক্ষার্থীকে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখা করতে বলা হয়েছে। তখন আমরা বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। আর ভাইরাল হওয়া ওই অতিরিক্ত উত্তরপত্রে ইনভিজিলেটরের স্বাক্ষরটি ইংরেজি বিভাগের কোনো শিক্ষকের নয়।’
বিষয়টিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলে ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বহিষ্কার করতে পারি না। এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে রোববার ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত দেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখনও কিছু জানি না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে এম আক্তারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বিভাগ যা বলবে তার ওপর পদক্ষেপ নির্ভর করছে। তাছাড়া উত্তরপত্রটি আমি দেখিনি। তাই এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল।
বৃহস্পতিবার নীল দলের সভাপতি পরিমল বালা ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের এর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়।
এ সময় নির্বাহী কমিটির নেতারা ছাড়াও, অনুষদ কমিটির সদস্যরা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অধ্যাপক পরিমল বালা বলেন, ‘পদ্মা সেতু বাঙালির গর্বের একটি অর্জন। দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি কঠিন জবাব। পদ্মা সেতু বিশ্বের বুকে বাঙালি ও বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছে।’
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সততা, সাহসিকতা, বিচক্ষণতা ও দেশপ্রেমের অনন্য স্থাপনা। এটি আমাদের স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন।’
মিছিল শেষে এক আলোচনায় নেতারা বলেন, এই সেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তারা কৃতজ্ঞ।
বক্তারা বাংলাদেশের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। আলোচনা শেষে উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরই পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যায় তারা। ঋণচুক্তি হয় বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে।
তবে দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্প থেকে সরে যাওয়া, দাতা সংস্থাটির এই অভিযোগ তোলার পেছনে দেশের একটি শ্রেণির হাত থাকার অভিযোগ নিয়ে শুরু থেকেই তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকে।
পরে সরকার নিজ অর্থে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে ২০১৭ সালে কানাডায় করা একটি মামলার রায়ে বিচারক বিশ্বব্যাংকের অভিযোগকে ‘গালগপ্প’ বলে উড়িয়ে দেয়।
এসব ঘটনায় পদ্মা সেতু কেবল একটি স্থাপনা হয়ে থাকেনি, এর সঙ্গে রাজনীতিও জড়িয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রতীক হিসেবে দেখাতে চাইছে। দেশীয় অর্থায়নে এর আগে এত বড় প্রকল্প কখনও হয়নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নিজ অর্থে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন, তখন অর্থনীতিবিদদের একটি অংশ বলেছিলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এই চাপ সামলাতে পারছে না।
এসব নানা ঘটনার কারণে জমকালো আয়োজনে সেতুর উদ্বোধন করতে যাচ্ছে সরকার।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের দেখার সুযোগ করে দিতে আগামী শনিবার কোনো ক্লাস না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ফোরকান উদ্দীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সাধারণত প্রায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। তবে বুয়েটের সাপ্তাহিক ছুটি বৃহস্পতি ও শুক্রবার।
বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের (ডিএসডব্লিও) পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত ১৮ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে একটা আবেদন এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি তারা দেখতে চায়। তারা সেদিন ক্লাস বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে।’
‘শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাই আমরা উদ্বোধনের দিন সকল ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি সব কার্যক্রম চলবে।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে এদিন বুয়েটে মিষ্টি বিতরণ করা হবে বলেও একটি সংবাদ ফেসবুকে ছড়িয়েছে। এর সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
‘তবে আমি শুনেছি, আমাদের শিক্ষককদের একটি ক্লাব আছে। সেখানে সেদিন মিষ্টি থাকবে। যারা ক্লাবে যাবে তারা মিষ্টি খেতে পারবে। আর হলের প্রাধ্যক্ষরা আবাসিক শিক্ষার্থীদের মিষ্টি বিতরণ করবে কি না সেটি তাদের বিষয়।’
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরই পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যায় তারা। ঋণচুক্তি হয় বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে।
তবে দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্প থেকে সরে যাওয়া, দাতা সংস্থাটির এই অভিযোগ তোলার পেছনে দেশের একটি শ্রেণির হাত থাকার অভিযোগ নিয়ে শুরু থেকেই তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকে।
পরে সরকার নিজ অর্থে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে ২০১৭ সালে কানাডায় করা একটি মামলার রায়ে বিচারক বিশ্বব্যাংকের অভিযোগকে ‘গালগপ্প’ বলে উড়িয়ে দেয়।
এসব ঘটনায় পদ্মা সেতু কেবল একটি স্থাপনা হয়ে থাকেনি, এর সঙ্গে রাজনীতিও জড়িয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রতীক হিসেবে দেখাতে চাইছে। দেশীয় অর্থায়নে এর আগে এত বড় প্রকল্প কখনও হয়নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নিজ অর্থে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন, তখন অর্থনীতিবিদদের একটি অংশ বলেছিলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এই চাপ সামলাতে পারছে না।
এসব নানা ঘটনার কারণে জমকালো আয়োজনে সেতুর উদ্বোধন করতে যাচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন:অবশেষে এক দশক পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে শিক্ষা আইন। আইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৈঠকে আইনটির নানা দিক যাচাই-বাছাই শেষে চলতি মাসেই পাঠানো হবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেখানে অনুমোদন শেষে তা উঠবে সংসদে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) খালেদা আক্তার বলেন, শিক্ষা আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করতে ২২ জুন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখযোগ্য কী কী বিষয় থাকছে শিক্ষা আইনে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জানা যায়, শিক্ষা আইন-২০২২ এ চার স্তরের শিক্ষাব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশি পাঠক্রমে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনার জন্য নিবন্ধন, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের মানোন্নয়নে পদক্ষেপ, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন নেয়াসহ বেশ কয়েকটি বিধান যুক্ত থাকছে।
কী আছে শিক্ষা আইনে
প্রস্তাবিত আইনে চার স্তরের শিক্ষাব্যবস্থার স্তরগুলো হচ্ছে: পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক, দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি উচ্চ মাধ্যমিক স্তর, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা স্তর।
এ ছাড়া আলাদাভাবে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের কথাও আছে আইনে। বলা হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে প্রাক-প্রাথমিক স্তর।
দেশের সব শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক এবং এটিকে শিশুর মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আইনে। প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সরকার পর্যায়ক্রমে নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করবে বলেও আইনে বলা হয়েছে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদানের উপযুক্ত ব্যবস্থা, শিশুদের প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না করা, অনগ্রসর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার এবং নিরাপদ ও শিশুবান্ধব শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও বলা হয়েছে শিক্ষা আইনে।
মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আইনে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষার ধারা হবে তিনটি- সাধারণ শিক্ষা, মাদ্রাসা এবং কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা। এতে বিদ্যমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণিতে চলমান পরীক্ষা সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
আইনে ইংরেজি মাধ্যমের বা বিদেশি পাঠ্যক্রমের শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়েছে, সাধারণ ধারার সমপর্যায়ের বাংলা, বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাংলাদেশ স্টাডিজ এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিষয় বাধ্যতামূলকভাবে পড়াতে হবে। না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিদেশি পাঠ্যক্রমে পরিচালিত স্কুল, কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসা অথবা বিদেশি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে শাখা স্থাপন বা পরিচালনার জন্য নিবন্ধন করতে হবে। বিদেশি পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন, টিউশন ও অন্যান্য ফি আইন, বিধি বা আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হবে।
প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে আরও বলা হয়েছে, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর নিজ সংস্কৃতির পরিপন্থি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যক্রম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালনা করা যাবে না।
টিউশন ফিয়ের ক্ষেত্রে আইনে বলা হয়েছে, বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি ভারসনের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন, টিউশন ও অন্য ফি আদায়ের ক্ষেত্রে অযৌক্তিকভাবে উচ্চহারে আদায় করা হয়েছে- এমন প্রতীয়মান হলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকার কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
শিক্ষকদের টিউশনিতে মানা
প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের নোট বই বা গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে না। এ বিধান কেউ লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ লাখ টাকা অর্থ বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নোট বই, গাইড বই ক্রয় বা পাঠে বাধ্য করলে বা উৎসাহ দিলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সহায়ক বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ ও বাজারজাত করা যাবে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদান করতে পারবেন না। তবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুল সময়ের পূর্বে বা পরে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারবেন। নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীকে অর্থের বিনিময়ে প্রাইভেট টিউশন বা কোচিংয়ের মাধ্যমে পাঠদান করতে পারবেন না। এটি অসদাচরণ বলে ও শাস্তিযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
তবে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদানের উদ্দেশ্যে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা এ আইনে নিষিদ্ধ হবে না। কোচিং সেন্টারে কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠদান করতে পারবেন না। এটি অসদাচরণ বলে গণ্য হবে।
এ ছাড়া চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কোচিং, বিভিন্ন ভর্তি কোচিং, বিদেশি শিক্ষাক্রমে ভর্তির উদ্দেশ্যে কোচিং সেন্টার পরিচালনায় বৈধতা দেয়া হয়েছে খসড়া আইনে।
বলা হয়েছে নিবন্ধন ছাড়া কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা যাবে না। তা করলে অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন
সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা যাবে না। এমনকি বাংলাদেশি কারিকুলামে বিদেশে প্রতিষ্ঠান স্থাপনেও অনুমতি লাগবে। ট্রাস্ট বা সংস্থা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে অনুমতি সাপেক্ষে।
যেভাবে শুরু হয় শিক্ষা আইন প্রণয়ন
২০১০ সালে প্রণয়ন করা জাতীয় শিক্ষানীতিতে দেশের শিক্ষা কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সমন্বিত শিক্ষা আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছিল।
শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছিল, শিক্ষাসংক্রান্ত সব আইন, বিধিবিধান, আদেশগুলো একত্রিত করে শিক্ষানীতির আলোকে এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সমন্বিত শিক্ষা আইন প্রবর্তনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এমন প্রেক্ষাপটে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের পরপর ২০১১ সালের জানুয়ারিতে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে ২৪টি উপকমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, যার একটি ছিল শিক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়ন। এরপর তিন-চার দফা শিক্ষা আইনের খসড়া তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। পরে ‘অসংগতিপূর্ণ’ ও অপেক্ষাকৃত ‘দুর্বল’ খসড়ার কারণে তা ফেরত পাঠায় মন্ত্রিসভা।
আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদ শুরু হলে শিক্ষা আইনের খসড়াটি আবারও পর্যালোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং সাবেক একজন সচিবকে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে চূড়ান্ত হচ্ছে ‘শিক্ষা আইন-২০২২’ এর খসড়া।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দের সংগঠন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল ২০২২’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ টি অনুষদের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার নীল দলের নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যদের সম্মতিতে নীল দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরিমল বালা ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এর স্বাক্ষরে অনুমোদিত হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল ২০২২ এর দপ্তর সম্পাদক কাজী ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নীল দলের মাধ্যমে নবগঠিত অনুষদ কমিটিগুলোর প্রত্যেকটিতে একজনকে আহ্বায়ক ও একজনকে সদস্য সচিব করে মোট ৩৮ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো মমিন উদ্দীনকে কমিটিতে কলা অনুষদের আহবায়ক করা হয়েছে। সদস্য সচিব ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো আব্দুস সামাদ এবং সদস্য হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ. জি. এম. সাদিদ জাহান। সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহমুদুল হাসান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতিয়ার রহমান, সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশা সরকার ও আইইআর এর প্রভাষক সানজিদা তান্নী।
বিজ্ঞান অনুষদের আহবায়ক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, সদস্য সচিব পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সানোয়ার হোসেন। সদস্য হিসেবে রয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ারুল ইসলাম ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ পারভীন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আহবায়ক সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়েশা সিদ্দিকী ও সদস্য সচিব সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো জাফর ইকবাল। সদস্য হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আজমীর সুলতানা, অর্থনীতি বিভাগ সহকারী অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান ও লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ মো. আজিমুল এহসান।
এ ছাড়াও আইন অনুষদের আহবায়ক ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খ্রিষ্টীন রিচার্ডসন, সদস্য সচিব আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম এবং সদস্য হয়েছেন আইন বিভাগের মো. মেফতাহুল হাসান।
আহবায়ক কমিটি ঘোষণার বিষয়ে নীল দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সংগঠনকে গতিশীল এ শক্তিশালী করতে আমরা ফ্যাকাল্টি কমিটি গঠন করেছি। পরবর্তীতে অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
মন্তব্য