বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিযুদ্ধ।
বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও দেশের সাত বিভাগের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এ পরীক্ষা হবে।
কোন বিভাগীয় শহরে কতজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে সেটা জানা যায়নি।
‘গ’ ইউনিটে এবার মোট আবেদনকারী ৩০ হাজার ৭১৯ জন। আসনসংখ্যা ৯৩০টি। সে হিসাবে আসনপ্রতি পরীক্ষার্থী ৩৩ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ইউনিটে ৬ হাজার ৩৫টি আসনের বিপরীতে এবার আবেদন করেছেন ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৮৪ জন। সে হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৪৮ জন।
‘ক’ ইউনিটের ১ হাজার ৮৫১ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭১০ জন, ‘খ’ ইউনিটের ১ হাজার ৭৮৮ আসনের জন্য ৫৮ হাজার ৫৫১ জন, ‘ঘ’ ইউনিটে ১ হাজার ৩৩৬ আসনের বিপরীতে ৭৮ হাজার ২৯ জন এবং ‘চ’ ইউনিটে ১৩০ আসনে ভর্তি হতে আবেদন করেছেন ৭ হাজার ৩৫৭ জন।
সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য ‘ক’ ইউনিটে ৬২, ‘খ’ ইউনিটে ৩৩, ‘ঘ’ ইউনিটে ৫৮ ও ‘চ’ ইউনিটে ৫৭ জন লড়বেন৷
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৪ জুন কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট, ১০ জুন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিট এবং ১১ জুন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হবে। আর ১৭ জুন বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) হবে।
বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশাপাশি সাতটি বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়৷
আরও পড়ুন:২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে।
এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রতিটি শিক্ষার্থী তার উচ্চমাধমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সাল এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরের মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবেন।
শিক্ষার্থীরা রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক অথবা টেলিটক নম্বর থেকে DU KHA টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে সেন্ড করে ফিরতি মেসেজে তাদের ফল জানতে পারবেন।
উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীকে আগামী ৪ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে ২১ জুলাই বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ১৭ থেকে ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম কলা অনুষদের ডিন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে। যথাযথভাবে ফরম পূরণ করে সে সময়ের মধ্যে ডিন অফিসে জমা দিতে হবে।
ফল নিরীক্ষণের জন্য ফি প্রদান সাপেক্ষে আগামী ২৯ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত কলা অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করা যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ৯.৮৭ শতাংশ। এর মানে দাঁড়াচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৯০.১৩ শতাংশই অকৃতকার্য হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে।
এ পরীক্ষায় পাস করেছে ৯.৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।
এর মানে দাঁড়াচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৯০.১৩ শতাংশই অকৃতকার্য হয়েছে।
কলা অনুষদভুক্ত এই ইউনিটে গতবার পাসের হার ছিল ১৬.৮৯ শতাংশ। গত ৪ জুন ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা হয়েছিল।
সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এবার তৃতীয়বারের মতো নৈর্ব্যক্তিকের পাশাপাশি লিখিত অংশও ছিল।
‘খ’ ইউনিটে ১ হাজার ৭৮৮ আসনের বিপরীতে ৫৮ হাজার ৫৭৩ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করেন। পরীক্ষায় অংশ নেন ৪৬ হাজার ৯৭২ জন।
ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত ও নৈর্ব্যক্তিক অংশে সমন্বিতভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫ হাজার ৬২২ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার ফল জানা যাবে ওয়েবসাইটে।
দুপুর ১টার দিকে উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের আবদুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ফল ঘোষণা করেন।
ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ‘খ’ ইউনিট পরীক্ষার সমন্বয়ক এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরসহ ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন পড়েছে প্রায় ৩ লাখ। তিনটি ইউনিটে প্রায় ২ লাখ ৯৩ হাজার শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছেন।
গুচ্ছভুক্ত টেকনিক্যাল কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার নিউজবাংলাকে রোববার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে তিন ইউনিটে মোট আবেদন পড়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে।
গুচ্ছের টেকনিক্যাল সাবকমিটি সূত্রে জানা গেছে, ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৬০ হাজারের কিছু বেশি, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ৯০ হাজারের অধিক ও মানবিকের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ‘সি’ ইউনিটে ৪২ হাজার ভর্তীচ্ছু আবেদন করেছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘব এবং সময় বাঁচাতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা মাত্র একটি আবেদনের মাধ্যমেই ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
শিক্ষার্থীরা www.gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে ঢুকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সব তথ্য পাবেন।
এর আগে গত ১৫ জুন গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন শুরু হয়। ২৫ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলে আবেদন গ্রহণ।
এবার ৩০ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগ, ১৩ আগস্ট মানবিক বিভাগ এবং ২০ আগস্ট বাণিজ্য বিভাগের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার ফি এবার ধরা হয়েছে ১৫০০ টাকা।
আবেদনের যোগ্যতা
২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমান এবং ২০২০ ও ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল), A লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় (সমমান নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনক্রমে) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই কেবল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা হতে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে যথাক্রমে ইউনিট-এ, ইউনিট-বি ও ইউনিট-সি-তে আবেদন করতে পারবে।
গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন:ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বিশেষজ্ঞ বা টেকনিক্যাল পার্সন ছাড়াই ইভিএম যাচাইয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ১০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।
বৈঠক শেষে দলগুলোর জন্য ইভিএম প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে আগ্রহ দেখা যায়নি কোনো দলের।
বৈঠক শেষে একটি দলের কয়েকজন প্রতিনিধি ইভিএমের পাশে দাঁড়ালেও তাদের কোনো বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না।
ইভিএম যাচাইয়ের জন্য প্রথম পর্বে ১৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানায় নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সাড়া দেয় ১০টি। রোরবার
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিকেল তিনটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠক হয়।
আগামী ২১ ও ২৮ জুন আরও ১৩টি করে দলটি দলকে এভাবে ইভিএম যাচাইয়ের সুযোগ দেবে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের দেয়া চিঠি পছন্দ না হওয়ার কথা জানিয়ে এতে অংশ নেয়নি আবদুল কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। অন্যদিকে 'ইভিএম যাচাই করতে এসে সময় নষ্ট করতে চায় না’ জানিয়ে আসেনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি না, এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মত নিতে চায় কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। সম্প্রতি কমিশনার মো. আলমগীর নিউজবাংলাকে এক সাক্ষাৎকারে জানান, তারা এক শ আসনে যন্ত্রটি ব্যবহারের চিন্তা করছেন। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সিইসি।
টেকনিক্যাল পার্সন ছাড়াই ইভিএম সংলাপে আসার প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই আসছি।’
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রতিনিধি রুহুল আমিন বলেন, ‘কোনো এক্সপার্ট নিয়ে আসি নাই। যারা একটু বেশি বোঝে তাদের নিয়ে আসছি। এছাড়া কোনো দলের প্রতিনিধি ইসির ইভিএম প্রদর্শন করে নাই। এ বিষয়ে ইসির কোনো কার্যত পদক্ষেপ ছিল না।’
বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, তিনি তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। সেই মেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়েন।
গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ‘না আমরা কোনো টেকনিক্যাল টিম আনি নাই। আমরাই আসছি।’
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন- এনডিএমের যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমীন বলেন, ‘আমরা আজকে আনি নাই। তবে পরে নিয়ে আসব।’
সভার শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে মতামত কারও উপর চাপিয়ে দেয়ার ইচ্ছা নেই।’
বৈঠকে অংশ নিয়ে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ‘ইভিএমে যান্ত্রিক ত্রুটি হয়। এর কারণে ভোটে বিলম্বিত হয়। গোপন কক্ষে ক্ষমতাসীনরা প্রভাব বিস্তার করে জোর করে ভোট দিয়ে দেয় অথবা ক্যান্সেল করে।’
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, ‘ইভিএমে হার্ডওয়্যারের বিষয়টি আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু সফটওয়্যারের ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ না করতে পারলে সামান্য কিছু আসনে ইভিএমে ভোট করার প্রয়োজন নাই।’
জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু আসনে ব্যালট, বাকি আসনে ইভিএমে ভোট বৈষম্য তৈরি করবে।’
ইভিএমে কারগরি ত্রুটি থাকতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন। তিনি বলন, ‘কিন্ত ইভিএমের ভোটের ফলাফল প্রকাশ নিয়ে কোন প্রশ্ন নাই।’
পৃথিবীর কোনো প্রযুক্তিই শতভাগ সঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলন, “অনেকে উদাহারণ দিয়েছেন বিভিন্ন দেশ ইভিএম ব্যবহার করে না। কিন্তু একটু তথ্যে ভুল আছে।’
অনুষ্ঠানে না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বিজেপির সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। এই বিষয়টা ঠিক না করে ইভিএম নিয়ে আলাপ করে লাভ নাই। এর ফলে আমাদের সময় নষ্ট এবং নির্বাচন কমিশনের সময় নষ্ট।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, তাদের কাছে মনে হয়েছে কমিশনের চিঠি হয় নাই।
‘আমাদের সম্মানহানি হয়েছে। ওনাদের সঙ্গে আমরা পরিচিতই হতে পারলাম না, তারা আমাদের ইভিএম যাচাইয়ের প্রস্তাব দিল। এটা কোনো কথা হলো?’-বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৯ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার শুক্রবার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী ১৯ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া সব শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি জেনারেল, এসএসসি ভোকেশনাল এবং দাখিল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে।’
এ বছর ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন এবং দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন ও কারিগরিতে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ জন।
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মাধ্যমিক (এসএসসি) ও এপ্রিলে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনার কারণে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা এখনও নেয়া সম্ভব হয়নি। গত বছর এসএসসি পরীক্ষা নেয়া গেলেও এইচএসসিতে শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেয় সরকার।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করা হয় চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস।
২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গনগুলো আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে।
গত ২ মার্চ শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস। টানা দুই বছর বন্ধের পর গত ১৫ মার্চ প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হয়।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দুই দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর প্রথম দফায় গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের দুয়ার।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের অধীনে ১ম বর্ষ বিএফএ (সম্মান) শ্রেণির সাধারণ জ্ঞান অংশের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অঙ্কন অংশের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শুক্রবার ‘চ’ ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান অংশের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য এই তথ্য জানান।
সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষায় ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে শুধু প্রথম দেড় হাজার পরীক্ষার্থীকে অঙ্কন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে।
এ বছর ‘চ’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ১৩০টি। এসব আসনের বিপরীতে ৭ হাজার ৩৫৬ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। সে হিসাবে এই ইউনিটে আসনপ্রতি লড়েছেন ৫৬ জন শিক্ষার্থী। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে সাড়ে ১১টায় শেষ হয় এই পরীক্ষা।
বেলা ১১টা ১০ মিনিটে কলা ভবনের কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন উপাচার্য আখতারুজ্জামানসহ ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সাতটি বিভাগীয় শহরে এই ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন ও অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘বরাবরের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা সমুন্নত রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।’
উপাচার্য বলেন, ‘ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকরা পরীক্ষার্থীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছেন।’
যানবাহন চলাচলসহ জনসমাগম সীমিত রাখতে সহযোগিতা করায় উপাচার্য অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা শেষ করার ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কর্তৃপক্ষ, গণমাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের বহুনির্বাচনি অংশের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সাতটি বিভাগের আরও সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় সাড়ে ১১টায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিস জানায়, এবার ‘চ’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ১৩০টি। এসব আসনের বিপরীতে ৭ হাজার ৩৫৬ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এই হিসাবে এই ইউনিটে আসনপ্রতি লড়েছেন ৫৬ জন শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি চার (ক,খ,গ,ঘ) ইউনিট থেকে এই ইউনিটেই সবচেয়ে কম প্রতিযোগী। সবচেয়ে কম আবেদন করেছেও এই ইউনিটেই। এবছর এই ইউনিটে আবেদন করেছেন ৭ হাজার ৩৫৬ শিক্ষার্থী। আর গত বছর এই ইউনিটে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৫৯৬জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিট একসঙ্গেই পরীক্ষা নিয়ে নিলেও ‘চ’ ইউনিটে দুই ধাপে ভর্তি পরীক্ষা হয়। একটি হলো ‘বহুনির্বাচনি’ অংশ এবং অন্যটি ‘অঙ্কন’।
বহুনির্বাচনি পরীক্ষা হয় ৪০ নম্বরে এবং অঙ্কন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৬০ নম্বরে। বহুনির্বাচনির জন্য ৩০ মিনিট এবং অঙ্কনের জন্য ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকে।
বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে শুধু প্রথম দেড় হাজার পরীক্ষার্থীকে দ্বিতীয় অংশের ‘অঙ্কন’ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। তবে এই দেড় হাজার শিক্ষার্থীর অঙ্কন পরীক্ষার তারিখ কবে অনুষ্ঠিত হবে সেটি এখনও অনুষদ থেকে জানানো হয়নি।
গত ৩ জুন থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এদিন বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইউনিটে এবার মোট ১২০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে মূল পরীক্ষায় (বহুনির্বাচনি ও লিখিত) ১০০ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ১০ করে মোট ২০ নম্বর ছিল। ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনি ও ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ ছিল। উভয় অংশের জন্য সময় ছিল ৪৫ মিনিট।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য