উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিটিসি, সমতুল্য ও প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। যা চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত।
সোমবার ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আদেশে বলা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিটিসির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে ২৪ মে, যা চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইনে e-SIF ফরম পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে হবে।
আরও বলা হয়, এ ছাড়া সমতূল্য ও প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ২৩ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বোর্ড রেজিস্ট্রেশন শেষ করবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজ বিটিসির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে না পারলে পরে সৃষ্ট কোনো জটিলতায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না বলেও অফিস আদেশে বলা হয়।
চোখের ছানিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধযোগ্য। বর্তমানে দেশে পাঁচ লাখের বেশি ছানি রোগী রয়েছে। এসব রোগীর ৮০ ভাগই বাস করে গ্রামে। আর তাদের সিংহভাগই চিকিৎসার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বুধবার দুপুরে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরেন চক্ষু চিকিৎসকরা।
চোখের ছানি সচেতনতা মাস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ক্যাটার্যাক্ট অ্যান্ড রিফ্ল্যাকটিভ সার্জনস (বিএসসিআরএস)।
সভায় বক্তারা জানান, চোখের ছানিজনিত অন্ধত্ব হলো সারা বিশ্বে প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্বের এক নম্বর কারণ। এটি প্রতিরোধে সচেতনতার ওপর জোর দেয়ার বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, ‘একটা সময়ে অনেকেই চোখের ছানি অপারেশন করতে ভয় পেত। সেই ভয় অনেকটা দূর হয়ে গেছে। তবে চোখের রোগ নিয়ে সবার মাঝে সচেতনতা আরো বাড়াতে হবে।’
বিএসএমএমইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশে স্বাস্থ্য সেবায় চিকিৎসকসহ দক্ষ জনবল প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। আমাদেরকে বেশি বেশি চিকিৎসক তৈরি করতে হবে। শুধু চক্ষু চিকিৎসক নয়, তাদের সার্জারি বিষয়েও জ্ঞান থাকতে হবে।
‘২০৩২ সালের মধ্যে দেশে ৩ হাজার ২০০ জন চক্ষু চিকিৎসকের প্রয়োজন পড়বে। এখন আছেন মাত্র ১ হাজার ৪০০।’
বিএসসিআরএসের বৈজ্ঞানিক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ৫ লাখের বেশি ছানি রোগী রয়েছে। প্রতি বছর নতুন করে ১ লাখ ৩০ হাজার রোগী যোগ হচ্ছে। এর মধ্যে এক লাখ রোগী সেবা পাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ ছানি সার্জনের অভাবে সব রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।’
বিএসসিআরএস সভাপতি অধ্যাপক ডা. জাফর খালেদের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসসিআরএসের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তাক আহমেদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছানি সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, ডা. আব্দুর রকিব তুষার, ডা. মো. শওকত কবির প্রমুখ।
আরও পড়ুন:আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আগামী ৫ জুলাই থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে। ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলও ঈদের ছুটিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইনস্টিটিউট, বিভাগীয় অফিস ও প্রশাসনিক দপ্তর বন্ধ হচ্ছে ৯ জুলাই থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান ও ছাত্রীহলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শামীমা বেগম নিউজবাংলাকে ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ও হল বন্ধের বিষয়ে দুটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আগামী ৫ জুলাই মঙ্গলবার থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সব ক্লাস বন্ধ থাকবে এবং ৯ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সব ইনস্টিটিউট, বিভাগীয় অফিস এবং প্রশাসনিক দপ্তর বন্ধ থাকবে।
ছুটির পর ১৫ ও ১৬ জুলাই যথাক্রমে শুক্র ও শনিবার হওয়ায় এবার মোট বন্ধ থাকছে ১২ দিন। ১৭ জুলাই থেকে যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম চলবে।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট শামীমা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামী ৫ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল বন্ধ থাকবে। ছাত্রীদের ৬ জুলাই বিকাল পাঁচটার মধ্যে হল ত্যাগ করার জন্য বলা হয়েছে।’
হল ত্যাগ করার আগে ছাত্রীদের নিজেদের মূল্যবান জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে রাখা, নিজ কক্ষে তালা দেয়া, নিজ কক্ষের জানালা বন্ধ রাখা, নিজ কক্ষের লাইট ও ফ্যানের সুইচ বন্ধ রাখা, বাথরুম ও টয়লেটের পানির কল বন্ধ রাখা এবং বেসিন ও ফিল্টারের কল বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারে সাভারে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা ও নড়াইলের শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর মতো ঘটনাকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার অন্তরায় হিসেবে দেখছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল।
এসব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে শিক্ষকরা বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়ন সাধন করছে এবং বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে তখন কিছু কুচক্রিমহল এই অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল এই অশুভচক্রকে শক্ত হাতে দমনের জন্য জোর দাবি জানিয়েছে।
বুধবার নীলদলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১৭ জুন ২০২২ তারিখ কথিত ধর্ম অবমাননার পোস্টে সমর্থনের অভিযোগে নড়াইলের সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানো হয়। ২৫ জুন সাভারের আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক জনাব উৎপল কুমার সরকার একজন উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থীর দ্বারা আক্রান্ত হন এবং পরবর্তীতে ২৭ জুন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দুটি ঘটনাই সামাজিক অস্থিরতার চরম বহিঃপ্রকাশ যা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার অন্তরায়।’
দুটি ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুষ্কৃতিকারীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ৩০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, ‘চলমান ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে আরও ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করবে মন্ত্রণালয়।’
কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বুুধবার আয়োজিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনলাইনে বদলির পাইলটিং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অনলাইনে এ বদলির কার্যক্রম শিক্ষকদের স্বস্তি দেবে। তারা পাঠদানে ভালোভাবে মনোনিবেশ করতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ছেড়ে কেজি স্কুলে ভর্ত্তি হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘অনলাইন বদলি কার্যক্রম শিক্ষকদের দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে অধিদপ্তরের অন্যান্য পর্যয়ের কর্মকর্তারাও এ প্রক্রিয়ায় চলে আসবেন। তিনি পাইলটিং এর কোন ত্রুটি হলে তা নিয়ে সমালোচনা না করে কর্তৃপক্ষের নজরে আনার অনুরোধ জানান।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহিবুর রহমান, অধিদপ্তরের পরিচালক বদিয়ার রহমান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমানসহ আরও অনেকে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির সময় বাড়ানো হয়েছে। বন্যার্ত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এ সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক-পূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যার্ত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রমে প্রথম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন ফরম পূরণের সময় ৬ জুলাই বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
প্রথম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি হয়ে থাকলে তাকে অবশ্যই ৫ জুলাইয়ের মধ্যে পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বাতিল করে অনলাইনে চূড়ান্ত ভর্তি ফরম পূরণ করতে হবে। অন্যথায় দ্বৈত ভর্তির কারণে শিক্ষার্থীর ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল বলে গণ্য হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রথম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী তার বিষয় পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক হলে, তাকে চূড়ান্ত ভর্তি ফরমে বিষয় পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ঘরে এবং অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিষয় পছন্দক্রম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজে বিষয়ভিত্তিক শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে বিষয় পরিবর্তন করা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ২০ জুলাই।
দেশের ১৮ জেলার ৮৫টি উপজেলায় এক হাজার ১২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৪ জন শিক্ষার্থী বন্যার কবলে পড়েছে।
মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মাউশির প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দেশের ১৮টি জেলার ৮৫টি উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ১ হাজার ১২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৪ জন শিক্ষার্থী বন্যার কবলে পড়েছে। তবে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার কবলে পড়েনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর ১২৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে। আংশিকভাবে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে ১০৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর ৮৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও পাঠদান সম্ভব নয়। বন্যাকবলিত এলাকার ৬৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে।
সিলেটসহ সারা দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পর ২২ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং থেকে সব আঞ্চলিক পরিচালক ও উপ-পরিচালককে তথ্য পাঠানোর অফিস আদেশ জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমানে অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে পানি নেমে আসায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মাউশির আওতাধীন জেলা/উপজেলায় কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত এবং কতসংখ্যক শিক্ষার্থী বন্যাকবলিত রয়েছে তার তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ের ই-মেইলে ([email protected]) পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন:শিক্ষকদের ওপর চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানির অভিযোগে চাকরি হারিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালক ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আমিনুল ইসলাম খান সই করা প্রজ্ঞাপনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইফতেখার হোসেনের বিরুদ্ধে নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অর্থের বিনিময়ে বদলি বাণিজ্য, বিভাগীয় মামলার ভয় দেখিয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। এ অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও তথ্য অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
একই সঙ্গে তিনি ব্যক্তিগত শুনানি চান কি না জানতে চাওয়া হয়। লিখিত জবাব দিলেও ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ না নেয়ায় বিভাগীয় মামলাটি তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে মতামত দেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। পরে তিনি ওই নোটিশের জবাব দেন।
জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত চাওয়া হলে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের সঙ্গে কমিশন একমত পোষণ করেন।
ইফতেখার হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও ৩(ঘ) মোতাবেক অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উক্ত বিধিমালার অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য