জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে।
রোববার বিকেল ৪টা থেকে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ৯ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব (স্নাতক, সম্মান) অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন এ তথ্য জানান।
জানা যায়, আগ্রহী প্রার্থীকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ আড়াইশ টাকা সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ১১ জুনের মধ্যে জমা দিতে হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস ৩ জুলাই থেকে শুরু হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
ক) বাংলাদেশে স্বীকৃত যে কোনো শিক্ষা বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক শাখা থেকে ২০১৮/২০১৯ সালের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ এবং ২০২০/২০২১ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় ৪র্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
খ) বাংলাদেশে স্বীকৃত যে কোনো শিক্ষা বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ২০১৮/২০১৯ সালের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ এবং ২০২০/২০২১ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় ৪র্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
গ) বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে শুধু এইচএসসি (ভোকেশনাল) এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট)/ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অনুচ্ছেদ-১ এর খ নম্বর শর্তপূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবে।
ঘ) আবেদনকারীদের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার পঠিত বিষয়সমূহ থেকে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য বিষয় নির্ধারণ করা হবে এবং এই বিষয়ে (২০০ নম্বরের) ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩ থাকতে হবে।
ঙ) ২০১৮/২০১৯ সালের ও-লেভেল পরীক্ষায় তিনটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ অন্তত চারটি বিষয়ে উত্তীর্ণ এবং ২০২০/২০২১ সালের এ-লেভেল পরীক্ষায় একটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ অন্তত দুইটি বিষয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এ ভর্তি কার্যক্রমে অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবে।
এসব শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন না করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিন, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর সরাসরি/ই-মেইলে আবেদনপত্র পাঠাবে। সাদা কাগজে লিখিত আবেদনপত্রে আবেদনকারীর নাম, বাবা-মার নাম, ভর্তিচ্ছু বিষয়, প্রতিষ্ঠানের নাম ও নিবন্ধিত ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
ভর্তিচ্ছু বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অধিভুক্ত থাকতে হবে।
চ) বিদেশি সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে স্বীকৃত যে কোনো শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক তাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের নম্বরপত্রের সমতা নিরূপণ করা হলে তারাও এ ভর্তি কার্যক্রমে অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবে।
এসব শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন না করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিন, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর সরাসরি/ই-মেইলে আবেদনপত্র পাঠাবে। সাদা কাগজে লিখিত আবেদনপত্রে আবেদনকারীর নাম, বাবা-মার নাম, ভর্তিচ্ছু বিষয়, প্রতিষ্ঠানের নাম ও নিবন্ধিত ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
ভর্তিচ্ছু বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অধিভুক্ত থাকতে হবে।
এ ছাড়া আবেদনপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীর সব পরীক্ষার ট্রান্সক্রিপ্ট, শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সমতা নিরুপনের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি সত্যায়িত ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
ছ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান)/স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল/স্নাতক (পাস) নিয়মিত/প্রাইভেট কোর্সে বর্তমানে অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থী ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে না। তবে এসব শিক্ষার্থী ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বাতিল করে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে।
জ) একই শিক্ষাবর্ষে অথবা দুটি ভিন্ন শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষার্থী স্নাতক (সম্মান)/ স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল/স্নাতক (পাস) নিয়মিত/প্রাইভেট কোর্সে ভর্তি হলে ভর্তি আবেদন বাতিল হবে।
আবেদন ফির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ: এ জন্য কলেজকে Login-এর মাধ্যমে Application Payment Info (Honours) অপশনে ক্লিক করে Pay Slip ডাউনলোড করতে হবে। যা ১৩ জুন থেকে ২০ জুনের মধ্যে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংক শাখায় নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।
গাজীপুর জেলার বোর্ডবাজারে ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি কলেজ এখন ২ হাজার ২৭৪টি। এর মধ্যে ২৭৯টি সরকারি কলেজ আর বাকিগুলো বেসরকারি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ।
আরও পড়ুন:এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীদের খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার থেকে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুধু টেলিটক সিম ব্যবহার করে ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি লাগবে ১৫০ টাকা।
পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে- RSC<Space> Board Name (First 3 letters)<Space>Roll<Space>Subject Code লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে। একাধিক Subject Code Type এর ক্ষেত্রে কমা (,) ব্যবহার করতে হবে। যেমন-১০১,১০২,১০৩।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যায় বড় ধরনের অবনতি লক্ষ করা গেছে। গত বছরের শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এবার সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক-তৃতীয়াংশেরও নিচে।
ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাত্র ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। অথচ, গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। সেই হিসাবে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।
অন্যদিকে, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গতবছর শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। সে হিসেবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করেছে।
বিগত বছরগুলোর মতো এবার ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা না হলেও সার্বিক বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কথা বলেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির।
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন।
এ ছাড়াও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।
উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল। এবার ফল তৈরি হয়েছে বাস্তব মূল্যায়ন নীতিতে।
এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৮টি কেন্দ্রে বিদেশি পরীক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন, পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
৮টি কেন্দ্র থেকে মোট ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।
তাদের মধ্যে ৩৭৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন আর অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ৫৪ জন। ১টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
এবার সারাদেশে মোট পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জনে। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।
এ বছর সারা দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। মোট উপস্থিতি ছিল ১৯ লাখ আট হাজার ৮৬ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তেরো লাখ তিন হাজার ৪২৬ জন।
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এ বোর্ডে সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৬ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। সে হিসাবে পাসের হার অনেক কমেছে।
ছাত্রীদের পাসের হার ৭১.০৩ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৬৫.৮৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এবারও পাসের হারে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। এ নিয়ে টানা ১০ বছর এসএসসিতে পাসের হারে এগিয়ে ছাত্রীরা।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি (SEU) সামার সেমিস্টার ২০২৫-এ ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে ২ ও ৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস দুইদিনব্যাপী নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক স্কুলের উদ্যোগে চারটি পৃথক সেশনের মাধ্যমে আয়োজিত এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যাত্রাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
২ জুলাই প্রথম সেশনে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (SSE) এর অধীনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেটাসফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মঞ্জুর মাহমুদ। একই দিনে দ্বিতীয় সেশনে SSE-এর আওতাধীন আর্কিটেকচার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE), এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এ সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (IEB)-এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহিউদ্দিন আহমেদ (সেলিম)।
৩ জুলাই তৃতীয় সেশনে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (SASS) অর্থনীতি, ইংরেজি ও বাংলা বিভাগের নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। এ সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এবং SANEM-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক বাজিউল হক খোন্দকার।
সেদিনই চতুর্থ ও শেষ সেশনে সাউথইস্ট বিজনেস স্কুল (SBS) তাদের বিবিএ ও এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন আয়োজন করে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মাহবুবুর রহমান, এফসিএ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি-এর সিএফও। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনের আহ্বান জানান।
সবগুলো সেশনে সভাপতিত্ব করেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। এছাড়া প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন এবং রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল মো. আনোয়ারুল ইসলাম, SUP, ndu, psc (অব.) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন সেশনে সংশ্লিষ্ট স্কুলের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানগণও উপস্থিত ছিলেন।
এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল নতুন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ, মূল্যবোধ ও বিভিন্ন সুবিধার সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়া, যাতে তারা একটি প্রাণবন্ত বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করতে পারে।
৪৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা শুরু হবে আগামী ৮ জুলাই থেকে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পিএসসি।
এবার চাকরি প্রত্যাশীরা তাদের আবেদনের পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবেন কিংবা আবেদনের ক্রমও বহাল রাখতে পারবেন সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করার আগে। তবে পছন্দক্রম পরিবর্তনের ফরমটি তাৎক্ষণিক চাকরিপ্রার্থীদের সরাসরি হাতে সরবরাহ করা হবে এবং তা পূরণ করে সাক্ষাৎকার বোর্ডে জমা দিতে হবে।
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় সাময়কিভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে ২০৬ জন, সাধারণ ও কারিগরি /পেশাগত উভয় ক্যাডারে ১৮১ জন এবং শুধু কারিগরি/পেশাগত ক্যারের পদগুলোর ৬৫ জনসহ মোট ৪৫২ জন প্রার্থীর সাক্ষাৎকারের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, যা কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশে চীন দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চীন সফরে যোগদান করবেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। আগামী ৬ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত (ভ্রমণ সময় ব্যতীত) মোট ৬ দিনের সফরে যাচ্ছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত পহেলা জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এএসএম কাশেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল খরচ বাংলাদেশে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন দূতাবাস বহন করবেন। এতে বাংলাদেশ সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আর্থিক সম্পৃক্ততা থাকবেন না। মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে কর্মস্থলে যোগদান করবেন। ভ্রমণের একটি প্রতিবেদন তাঁর প্রত্যাবর্তনের ১৫ (পনের) কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। এছাড়া উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ইয়াকুব আলী উপাচার্যের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।
ইবি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) গোলাম মাহফুজ মঞ্জু জানান, উপাচার্যের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৬ তারিখে উপাচার্যের সফরে যাবেন। তিনি উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ইউজিসির চেয়ারম্যানের অধীনে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যাচ্ছেন।
ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ জানান, ‘উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ইউজিসির অধীনে একটা বড় প্রতিনিধিদল নিয়ে চীন সফরে যাওয়া হচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাস্ট) উপাচার্যগণ সঙ্গে থাকবেন।
মন্তব্য