শিক্ষার জন্য বয়স যে কোনো বাধা নয়, সেটা আরেকবার প্রমাণ করলেন বেলায়েত শেখ। ৫৫ বছর বয়সী এ ব্যক্তি অংশ নিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায়।
ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য বেলায়েত ফরম পূরণ করেছেন। আগামী ১১ জুন এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
বেলায়েতের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরে। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। বিবাহিত বড় ছেলে ব্যবসা করছেন। ছোট ছেলে শ্রীপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন।
বেলায়েতের বড় ছেলের স্ত্রীও একটা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন। গাজীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়ার সময় ২০১৭ সালে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন বেলায়েত।
নতুন করে শুরু
বেলায়েত শেখের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৮৩ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। সে সময় বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। পরে তিনি আর শিক্ষাজীবন সচল রাখতে পারেননি।
বেলায়েত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি নিজে যেহেতু পড়তে পারিনি, তাই ভাইদের লেখাপড়া করিয়ে উচ্চশিক্ষিত করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটাও পারিনি। এরপর নিজের সন্তানদের পড়াতে চেয়েছিলাম। তারাও অর্ধেক করে আর আগ্রহ দেখায়নি।
‘পরে তাদের প্রতি রাগ করে ৫০ বছর বয়সে ২০১৭ সালে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া শুরু করি। সে সময় আমার ছোট ছেলে ক্লাস এইটে পড়াশোনা করছে।’
২০১৯ সালে বেলায়েত ঢাকার বাসাবোর দারুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাস করেন। আর ২০২১ সালে তিনি রাজধানীর রামপুরার মহানগর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এসএসসিতে বেলায়েত হোসেনের জিপিএ ৪.৪৩। আর এইসএসসিতে তার জিপিএ ছিল ৪.৫৮।
বেলায়েত বলেন, ‘এইচএসসিতে সাত মাস পড়ে পরীক্ষা দিয়েছি। অনেক সময় রাত জেগেও পড়ালেখা করেছি।’
বর্তমানে বেলায়েত শ্রীপুরের মাওনার সাইফুর’স শাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোচিং করছেন।
পরিবার চলছে কীভাবে
বর্তমানে পরিবারের ব্যয়ভার কীভাবে বহন করছেন জানতে চাইলে বেলায়েত বলেন, ‘এক মাস ধরে আমার বড় ছেলেই সংসার চালাচ্ছে। সে স্যানিটারির ব্যবসা করে।
‘আর আমি দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় শ্রীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে কিছু নিউজ করলে মানুষজন কিছু টাকা-পয়সা দেয়।’
কেমন ছিল ক্লাসে ফেরার অভিজ্ঞতা
২০১৭ সালের যে সময় থেকে বেলায়েত শেখ পড়াশোনা শুরু করেন, তখন থেকে এই পর্যন্ত অভিজ্ঞতা কেমন জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুরুর দিকে এটা আমার জন্য একটু কঠিনই ছিল। কারণ সে সময় আমার কাছের মানুষজনও আমাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করত, তবে একটা সময় গিয়ে সেটা ঠিক হয়ে যায়। এখন আমার বউ আমি কোন সময় ক্লাসে যাব, সেটা স্মরণ করিয়ে দেয়।’
সহপাঠীদের আচরণ কেমন ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যাদের সঙ্গে ক্লাস করেছি, তাদের কাছ থেকে খারাপ কোনো অভিজ্ঞতার শিকার হইনি। আমার সঙ্গে যেসব মেয়ে ক্লাস করে, তারা আমাকে ‘আঙ্কেল’ ডাকে। আর আমি তাদের ‘আম্মু’ ডাকি।
“এক ছেলে আমাকে ‘বুড়া’ ডেকেছিল। পরে তাকে আমি ঝাড়ি দিয়ে বলেছি, ‘এই ছেলে আমি কি বুড়া হইছি? আমাকে ‘দাদা ভাই’ না হয় ‘বড় ভাই’ বা ‘আঙ্কেল’ ডাকবি।’ এটা নিয়ে তারা হাসাহাসি করে বেশি।”
বেলায়েত বলেন, ‘আমার নিজেকে বয়স্ক লাগে না; ইয়ংয়ের মতোই লাগে। কিছু চুল পেঁকে গেছে। এগুলো কালি দিয়ে রাখি। কারণ কালি দিয়ে না রাখলে এগুলোর জন্য নিজেকে বয়স্ক মনে হয়। আর তখন মনটা দুর্বল হয়ে যায়।’
সংসার পরিচালনা এবং কাজ করেও যে লেখাপড়া করা যায়, সেটা বর্তমান প্রজন্মকে দেখাতে চান বেলায়েত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেতে সবার কাছে দোয়াও চেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এ ইউনিটের বিজ্ঞান ও অ-বিজ্ঞান গ্রুপে যথাক্রমে ৪৬ শতাংশ এবং ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। এতে গড় পাসের হার ৪৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার সোমবার এ ফল প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ফলের ভিত্তিতে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় এই ইউনিটে বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে ৭৪ হাজার ৫৭৭ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৬১ হাজার ১১৯ জন। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৯১ জন পাস করেন।
পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৩২ হাজার ৬৫৮ জন ফেল করেন। ওএমআর বাতিল হয়েছে ৩৬৬ পরীক্ষার্থীর।
বিজ্ঞান গ্রুপে পাসের হার ৪৬ শতাংশ। এ শাখায় সর্বোচ্চ নম্বর ৯৬।
অ-বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে আবেদন করেন এক হাজার ৭৭৮ জন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৬৯৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে এক হাজার ৩৬৮ জন পাস করেন, যা মোট অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ।
এ গ্রুপে এক জন পরীক্ষার্থীর ওএমআর বাতিল করা হয়। এ শাখায় সর্বোচ্চ নম্বর ৮৭।
‘সি’ ইউনিটভুক্ত বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। চলতি শিক্ষাবর্ষে ‘সি’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ৫১৭টি। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবেন।
ডেন্টালে (বিডিএস) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তিনটি ওয়েবসাইট এবং সরাসরি এসএমএসের মাধ্যমে এই ফল জানা যাচ্ছে।
পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন কেএম মুহতাসিম সাদিক তানিম নামে এক শিক্ষার্থী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৩.৭৫।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইট (www.mefwd.gov.bd), স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dgme.gov.bd) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dghs.gov.bd) থেকে ভর্তি পরীক্ষার ফল জানা যাবে। এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ৫৪৫ জন (৩৫৮ জন ছাত্রী ও ১৮৭ জন ছাত্র) নির্বাচিত হয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী এই ৫৪৫ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৮ মার্চ) দেশের ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১২টি কেন্দ্রে ২০টি ভেন্যুতে ৩৭ হাজার ৮৭৩ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের চারুকলা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ পরীক্ষা শনিবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এ বছর ১৩০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেন সাত হাজার ৫২ জন শিক্ষার্থী।
একমাত্র চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্য তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চারুকলা ইউনিটে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা হয়। এ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়।
অন্যান্য ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের চারুকলা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার শুরু হয়েছে।
বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এ পরীক্ষা চলবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এ বছর ১৩০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেন সাত হাজার ৫২ জন শিক্ষার্থী।
একমাত্র চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্য তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চারুকলা ইউনিটে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা হবে। এ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
অন্যান্য ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পরীক্ষার্থী বহন করা সিএনজিতে ট্রাক উলটে পড়ে আরকানুল ইসলাম নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও চারজন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁশখালীর গন্ডামারা ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আরকান স্থানীয় জাগির আহমদের ছেলে। সে গন্ডামারা ইউনিয়নের আনোয়ারা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
সিএনজিচালক রিদুয়ান আহমদসহ আহতরা হলো- শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা সায়মা, হাবিবা বিনতে নুরি, মিফতাহুল জান্নাত জেনি। এরা সবাই আনোয়ারা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গন্ডামারা ব্রিজের ওপর উঠতে গিয়ে একটি চালবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছনে চলে যায়। ট্রাকের পেছনেই ছিল পরীক্ষার্থীদের বহন করা সিএনজি অটোরিকশাটি। ট্রাকটি উলটে পড়লে এর নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়, আহত হন চালক ও সঙ্গে থাকা বাকি তিন পরীক্ষার্থী।
আনোয়ারা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, ‘সঙ্গে থাকা ২ ছেলে শিক্ষার্থী লাফ দিয়ে প্রাণে বাঁচতে পারলেও সামনের সিটে থাকা আরকানুল ইসলাম বের হতে পারেনি। সৌভাগ্যবশত ভেতরে থাকা মেয়েরা আহত হলেও সুস্থ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।’
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির বাধার প্রেক্ষিতে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সমিতির নেতারা। এক পর্যায়ে উপাচার্যকে ‘ডাস্টবিন’ সম্বোধন করে তাকে পদত্যাগ করতে বলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার পর প্রথমে শিক্ষক সমিতির নেতারা উপাচার্য ও অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে নানা বিষয়ে তর্ক করতে থাকেন। এসময় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘আপনি পদত্যাগ করেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করেন।’
এই কথার জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আপনার কথায় পদত্যাগ! হু আর ইউ টু আস্ক মি টু রিজাইন?’
বাগবিতণ্ডা চলাকালে উপাচার্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। তার নামে প্রকাশিত আর্টিকেল তিনি টাকা দিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।
তার দাবি, উপাচার্যের নিজের কোনো ভালো মানের আর্টিকেল নেই, অথচ শিক্ষকদের ওপর ভালো আর্টিকেলের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছেন।
জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আমার ৩৯টি আর্টিকেল রয়েছে। আর যে সময় আমি আর্টিকেল প্রকাশ করেছি, সেসময় বিদেশি জার্নালে বাংলাদেশি কারও আর্টিকেল গ্রহণ করত না।’
তিনি বলেন, ‘যারা অযোগ্য, তারা প্রমোশন পাবে না। ভালো জার্নালে একটি আর্টিকেল লেখার যোগ্যতা যাদের নেই, তারা কীভাবে প্রমোশন পাবে?
‘কোনো অযোগ্য শিক্ষককে আমি নিয়োগ দেই না, প্রমোশনও দেই না। পত্রপত্রিকায় অযোগ্য শিক্ষকদের লিস্ট দিলে দেখতে পাবেন কারা অযোগ্য। আমি তাদের প্রমোশন দেই না।’
এক পর্যায়ে শিক্ষক সমিতির নেতারা প্রশ্ন তোলেন, ‘কোনো ভালো জার্নালে আপনার একটি ভালো মানের প্রকাশনা নেই। তাহলে আপনি কীভাবে অধ্যাপক হলেন?’
জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আমি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে প্রমোশন পেয়েছি। আমাকে যিনি নিয়োগ দিয়েছেন উনি আমার বিষয়টি অ্যাসেস (যাচাই) করেই দিয়েছেন। আমিও যাকে দেব তারটাও অ্যাসেস করেই দেব।’
বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী রানাকে জিগ্যেস করেন, ‘উনি টিচারদের অপমান করে কেন? স্টপ হিম। স্টপ দিস ডাস্টবিন। দিস ডাস্টবিন, জাস্ট স্টপ হিম। দিস ইজ কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি।’
তখন উপাচার্য অধ্যাপক মঈন জিগ্যেস করেন, ‘আপনি কি বললেন? আই উইল টেক ইউ ইন দ্য রাইট প্লেস।’
প্রত্যুত্তরে মেহেদী হাসান বলেন, ‘আই এম নট টকিং টু ইউ। আই এম টকিং টু হিম (প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী)।’
এ সময় উপাচার্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ক্লাস না নেয়ার অভিযোগ তুললে শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, ‘আপনি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যাচার করতে পারেন না। আমরা ক্লাস না নিলে ক্লাস কে নেয়? আপনি তো ক্লাস নেন না।
‘আমরা যদি ক্লাস না নেই, তাহলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট কমিয়ে এত এগিয়ে যাচ্ছে কীভাবে? র্যাংকিংয়ে উন্নয়ন হচ্ছে কীভাবে?’
নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে শিক্ষক সমিতির নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, সিলগালাহীন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, বিশেষজ্ঞের অনুপস্থিতি, কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে আনয়ন, ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের অনুপস্থিতি ইত্যাদি অনিয়মের অভিযোগ তুলে পরীক্ষায় বাধা দেন। পরে পরীক্ষা পিছিয়ে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল দশটায় শুরু হবার কথা থাকলেও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয় সাড়ে দশটায়। তার আগে (সকাল দশটার দিকে) শিক্ষক সমিতির সদস্যরা উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করে এই পরীক্ষা বন্ধ করতে বলেন।
এরপর সাড়ে দশটায় উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নম্বর কক্ষে চলা পরীক্ষার হলে গেলে সেখানে শিক্ষক সমিতির সদস্যরাও প্রবেশ করেন। এ সময় তারা নিয়োগ পরীক্ষা ‘অবৈধ’ ও ‘প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছে’ অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুষদের ডিন ও বিভাগটির বিভাগীয় প্রধানের অনুপস্থিতিতে এই পরীক্ষা কোনোভাবে বৈধ নয় বলেও অভিযোগ করেন।
পরীক্ষা বোর্ড কমিটির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। তারা ছাড়াও দুজন বহিরাগত পরীক্ষকের (এক্সটারনাল) মধ্যে একজন উপস্থিত ছিলেন। কমিটির দুই সদস্য, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকারও অনুপস্থিত ছিলেন।
নিয়োগ পরীক্ষায় বাধা দেয়ার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে বাধা নয়, আমরা অবৈধ এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে চেয়েছি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও নীতিমালাবিরোধী। আজকের এই পরীক্ষার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ৷
‘কোনো প্রকার খাম ছাড়াই খোলা প্রশ্ন একজন কমিটির বাইরের লোককে দিয়ে পরীক্ষার হলে নিয়ে আনা হয়েছে।’
নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সাধারণ শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ। যেহেতু শিক্ষক সমিতি সাধারণ শিক্ষকদেরই প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠন, তাই শিক্ষক সমিতির যে সেন্টিমেন্ট, তার সঙ্গে অন্যান্য সকল সাধারণ শিক্ষকের মতো আমিও একমত। সেজন্য বোর্ডে যাইনি।’
তিনি বলেন, ‘যদি বিদ্যমান সংকটগুলোর সমাধান করা হয়, তবেই আমি বোর্ডে যাব। আর যতদিন এইসব সমস্যার সমাধান না হবে, আমি বোর্ডে যাব না।’
এই বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনকে ফোন করলে তিনি তার অফিসে গিয়ে কথা বলতে বলেন। পরে অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন সাংবাদিকদের জানান, ‘শিক্ষক সমিতি প্রশ্নফাঁসের যে অভিযোগ এনেছে, তা পুরোপুরি মিথ্যে ও বানোয়াট।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। এই ভর্তিযুদ্ধ চলবে ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে ইতোমধ্যে ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। শুধু ক্যাম্পাস নয়, নগরী জুড়েই সৃষ্টি হয়েছে ভিন্ন এক ধরনের আবহ। হোটেল-মোটেলগুলোতে কোনো কক্ষ ফাঁকা নেই। শহরের বাসিন্দাদেরও প্রায় সবার ঘরে ভর্তিচ্ছু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে অতিথি হয়েছেন অভিভাবকরা।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের জালিয়াতি ঠেকাতে তৎপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সজাগ রয়েছে।
রাবি’র জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে আজ চার শিফটে সি ইউনিটের বিজ্ঞান গ্রুপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত গ্রুপ-১ এর রোল ৩১০০০১ থেকে ৩২৮৬৪৪; বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গ্রুপ-২ এর রোল ৩৩০০০১ থেকে ৩৪৮৬৪৪; দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত গ্রুপ-৩ এর রোল ৩৫০০০১ থেকে ৩৬৮৬৪৪ এবং বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত গ্রুপ-৪ এর রোল ৩৭০০০১ থেকে ৩৮৮৬৪৫ এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে ভবনগুলোর গেট এবং ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষের দরজা খুলে দেয়া হবে। এবার এক ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি-পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতে নেয়া হচ্ছে। পরীক্ষা চলাকালে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কক্ষের বাইরে যেতে পারবেন না। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ও ক্যালকুলেটরসহ মেমোরিযুক্ত অন্য কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নেয়া যাবে না।
রাবির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে জানান, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা প্রদানের জন্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সহজগম্য স্থানে ১২টি হেল্প ডেস্ক-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিভাবকদের অবস্থানের জন্য প্রতিটিতে ২০০ আসনবিশিষ্ট ১১টি টেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বসার জন্য নির্দিষ্ট টেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে খাবার পানি ও চিকিৎসা সুবিধারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন আবাসিক হলে ও বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেসিয়ামে সীমিত আকারে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনোরূপ হয়রানি ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড এবং দোকানগুলোতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও খাদ্যের অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খাবারের মান বজায় রাখার স্বার্থে ভোক্তা অধিদপ্তরের ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি টিম সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত থাকবে।
পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো রকম গুজবের (সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলেও) বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ক্যাম্পাসের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো, এলাকাবাসী, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘এ বছর ৪ হাজার ৪৩৮টি আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮০টি চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো ধরনের জালিয়াতি বা কারসাজির সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা সজাগ রয়েছে।’
উপাচার্য জানান, ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের বিশেষ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু থাকবে।
পরীক্ষা চলাকালে রাবি চিকিৎসা কেন্দ্র পরিচালিত একটি মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। সার্বক্ষণিকভাবে চারটি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে।
এছাড়া কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন পরিচালিত দুই সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসা সহায়তা দেবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং ২ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিমও কাজ করবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য