বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করে থাকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক মামলার জালে পড়েছে। এতে আটকে যাচ্ছে একের পর এক নিয়োগ প্রক্রিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক মামলা করা হয়েছে এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে দুই শতাধিক মামলা ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে। এখনও চলমান রয়েছে তিন শতাধিক মামলা।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি ঠিক আমরা যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজগুলো শুরু করি, শেষ পর্যন্ত নানা জটিলতায় তা আর শেষ করতে পারছি না। এর মধ্যে অন্যতম সমস্যা মামলা।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক চাকরিপ্রার্থী না বুঝেই মামলা করে পুরো প্রক্রিয়াটি আটকে দিচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু সেটিও মামলা জটিলতায় দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়েছে। কিছুদিন আগে আমরা বিষয়টির সমাধান করেছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, সর্বশেষ তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। এই তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধেও প্রায় ২৭টি মামলা করা হয়েছিল। পরে সব মামলা নিষ্পত্তি করে তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ ঠেকাতেও মামলা করা হয়েছে। পরে কোর্টের মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করা হয়।
এখনও এনটিআরসিএ-র বিরুদ্ধে তিন শতাধিক মামলা চলমান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঁচ শতাধিক মামলা করা হয়েছে এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে দুই শতাধিক মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। এখনও চলমান রয়েছে তিন শতাধিক মামলা।
জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০০৫ সাল থেকে সনদ দিয়ে আসছিল এনটিআরসিএ, যদিও নিয়োগের ক্ষমতা ছিল গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালে এই পদ্ধতির পরিবর্তন আনে সরকার। এর পর থেকে এনটিআরসিএ সনদ দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশও করে।
সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে প্রার্থীদের প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক ও জাতীয় সম্মিলিত মেধাতালিকায় স্থান পেতে হয়। এরপর নিয়োগের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি বা সার্কুলারের মাধ্যমে প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নেয়া হয়। চূড়ান্ত ধাপে মেধাতালিকা অনুসরণ করে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে একজন শিক্ষককে সেই পদে সুপারিশ করা হয়।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৭৩টি পদে বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।
যদিও গত বছরের ১৫ জুলাই ৩৮ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছিল এনটিআরসিএ।
গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ ২০ হাজার ৯৯৬টি।
এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। আর ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদ রিট মামলায় অংশ নেয়াদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।
৫১ হাজার ৭৬১টি পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও গত বছরের ১৫ জুলাই সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীকে। তাদের মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জন এবং নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জন।
আর ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি নারী কোটায় প্রার্থী না পাওয়ায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফল দেয়নি এনটিআরসি।
আরও পড়ুন:দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘র্যাগ ডে’ উদযাপন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
সোমবার রাতে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের একটি রায়ের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র্যাগ ডে উদযাপন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সাধারণত কোনো ব্যাচের শিক্ষা সমাপ্ত হওয়ার পর র্যাগ ডে পালন করা হয়। সাধারণত এটি অনার্স অথবা মাস্টার্স শেষে হয়ে থাকে। এটিকে অনেকে শিক্ষা সমাপনী উৎসবও বলেন।
সোমবার রাতে ইউজিসির বেসরকারি শাখার পরিচালক ওমর ফারুকের সই করা অফিস আদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগ ডে উদযাপন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-৪৫১৫/২০২২ এর একটি আদেশে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘র্যাগ ডে’ উদযাপনের নামে সব ধরনের অশ্লীলতা, নগ্নতা, ডিজে পার্টি, অশোভন আচরণ, নিষ্ঠুর ও নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড এবং বুলিং অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আরও বলা হয়, হাইকোর্ট ডিভিশনের উল্লিখিত নির্দেশনা মোতাবেক সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উক্ত রূপ কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
গত ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগ ডের নীতিমালা অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, র্যাগ ডের নতুন নাম হবে ‘শিক্ষা সমাপনী উৎসব’। এই উৎসব উদযাপনে শিক্ষার্থীদের মানতে হবে একগুচ্ছ নিয়ম।
গত ১৭ এপ্রিল ‘র্যাগ ডে’ পালনের নামে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজে পার্টিসহ নগ্ন, অশ্লীল, উন্মত্ত, কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর কর্মকাণ্ড বন্ধে ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
ঢাকার ডিপিএস এসটিএস স্কুলের এ বছরের গ্র্যাজুয়েশন সেরেমনি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিপ্লোমা অর্জনকারী ১১১ গ্রাজুয়েট নিয়ে ডিপিএস সিনিয়র সেকশন অডিটোরিয়ামে শুক্রবার এই সেরেমনি অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ আয়োজনে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা একে একে মঞ্চে ওঠে সনদ গ্রহণ করেন এবং স্কুলের প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের সঙ্গে ছবি তোলেন।
সনদ বিতরণ শেষে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ আমাদের সবার জন্যই অত্যন্ত কঠিন ছিল। কিন্তু অদম্য তারুণ্য, সহনশীলতা ও সাহসের কারণেই সংকটপূর্ণ সময় কাটিয়ে এই গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব হয়েছে।’
প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাডেমিক অভিজ্ঞতা সবার সামনে তুলে ধরেন ভ্যালেডিক্টোরিয়ান আয়মান আলম। তিনি বলেন, ‘আমি আমার সব শিক্ষক, বন্ধু এবং মা-বাবাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। জীবনের এ পর্যায়ে আসতে তারা আমাদের যথেষ্ট সহায়তা করেছেন।’
আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ সময় গ্র্যাজুয়েশন ক্লাসের বিশেষ মুহূর্তগুলো স্মরণ করে বানানো একটি ভিডিও দেখানো হয়। শিক্ষার্থীরা গ্র্যাজুয়েট হিসেবে তাদের টুপি বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে মুহূর্তটি উদযাপন করেন। গ্র্যান্ড ডিনারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সেরেমনির আয়োজন।
নড়াইলে পুলিশের সামনে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা দিয়ে লাঞ্ছিত ও কলেজে সহিংসতার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
রোববার বিকেলে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান মাউশির বেসরকারি কলেজ শাখার উপপরিচালক মো. এনামুল হক হাওলাদার।
তিনি বলেন, ‘নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে অপদস্থ করার ন্যক্কারজনক ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে। মাউশির খুলনা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক শেখ হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত দল আজ থেকে সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছে।’
কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আশা করছি দুই-তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে আসবে। এরপর আমরা তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ফেসবুকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে কলেজের এক হিন্দু শিক্ষার্থীর পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন দিনভর বিক্ষোভ, সহিংসতা চলে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে। গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয় ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস।
এরপর পুলিশ পাহারায় বিকেল ৪টার দিকে স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দাঁড় করিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয় একদল ব্যক্তি। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।
মোবাইল ফোনে ধারণ করা এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পুলিশের সামনে শিক্ষকের এমন অপদস্থ হওয়ার ঘটনায় তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ।
ঘটনার ৯ দিন পর গত ২৭ জুন দুপুরে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন পুলিশের উপপরিদর্শক ও মির্জাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ মোরছালিন। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৭০ থেকে ১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার পর সেদিন রাতেই মির্জাপুরের শাওন খান, মনিরুল ইসলাম ও সৈয়দ রিমন আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় রহমত উল্লাহ রনি নামের যুবককে। শাওন ও রনিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সরাসরি অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিতে দেখা গেছে বলে জানায় পুলিশ।
ঘটনা তদন্তে পুলিশের পাশাপাশি একাধিক টিম কাজ করছে। মাউশি গত ২৯ জুন তদন্ত কমিটি গঠন করে। মাউশির খুলনা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক শেখ হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে এ কমিটিতে আছেন উপপরিচালক (কলেজ) এস কে মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী পরিচালক (কলেজ) মো. নিজামুল ইসলাম।
তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে অধ্যাপক শেখ হারুনুর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আজ তদন্তের কাজ শুরু করেছি। ভুক্তভোগী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস ওই দিনের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য আমাদের জানিয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি।’
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি শনিবার রাতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে এ কমিটিতে ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান ও নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত কবীর।
প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরের দিনই (রোববার) জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির সদস্য নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত কবীরকে নড়াইল থেকে সরিয়ে খুলনা আরআরএফ (রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স)-এ সংযুক্ত করা হয়েছে।
একই ঘটনায় পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল নড়াইল জেলা পুলিশ। এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলামকে। অন্য সদস্যরা হলেন- ডিআই ওয়ান মীর শরীফুল হক ও পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ) রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাউয়াবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি দ্বিতল ভবন। অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়ে শনিবার বিকেলে ভবনটি বিকট শব্দে নদীতে ধসে যায়।
নিউজবাংলার হাতে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, যমুনা নদীর তীব্র স্রোতে ভাঙছে বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের অংশ। সে সঙ্গে খণ্ড খণ্ড জমি গিলে নিচ্ছে যমুনার স্রোত। একপর্যায়ে তীব্র স্রোতে বিদ্যালয়ের পুরো ভবনটিই নদীতে ভেঙে পড়ে।
দুঃখ প্রকাশ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুম মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি যমুনার গর্ভে চলে যায়। ১৫ দিন আগেও ভাঙন এলাকা থেকে ১৫০ মিটার দূরত্বে ছিল ভবনটির অবস্থান।
‘২৬ জুন নিলামে ভবনটি বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ভবনটি সরিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করেন শ্রমিকরা। তার আগেই তীব্র স্রোতে নদীগর্ভে চলে যায় পুরো ভবন। ভবনটি নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
প্রধান শিক্ষক জানান, যমুনায় পানি কিছুটা কমে আসায় অব্যাহত ভাঙনের মুখে পড়ে ভবনটি। শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ভবনটির পুরো অংশই নদীতে দেবে যায়।
কাউয়াবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালে। ২০০৯ সালে দ্বিতল ভবনটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। এই ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলে আসছিল।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে বিদ্যালয়ের ভবনটি দেখতে গিয়ে ছবি ও ভিডিও করি। সেখান থেকে ফেরার পরপরই ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার খবর পাই। বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জমির মধ্যে ৩০ শতাংশই এখন নদীর বুকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে পাঠদানের কোনো ভবন নেই। তবে পাশেই নিজের আরেকটি জমিতে বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করতে চাই।
‘টিনশেড কিংবা অবকাঠামো নির্মাণে হাতে কোনো অর্থ নেই আমাদের। সরকারি সহযোগিতা না পেলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধের আশঙ্কা রয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভবনটি নিলামে কিনেছিলেন ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘আড়াই লাখ টাকায় কেনার পর ভবনটি ভেঙে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছিল। কয়েক দিন ধরে শ্রমিকরা ভবনের কিছু ইট ও রড সরিয়ে নিলেও শুক্রবার সন্ধ্যার আগে তীব্র স্রোতে ভবনটি ভেঙে পড়ে নদীতে। নিলাম বিজ্ঞপ্তির অল্প সময় অর্থাৎ ৪-৫ দিনে ভবনটি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ভবনটি রক্ষায় অন্তত ১৫ দিন আগে কর্তৃপক্ষের নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয়া উচিত ছিল।
তিনি জানান, এখন নিলামে নির্ধারিত অর্থ পরিশোধে তাকে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এ জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবক রফিকুল ইসলাম জানান, গত ১৫ দিন আগেও বিদ্যালয় থেকে নদীর দূরত্ব ছিল প্রায় দেড় শ মিটার। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙন তীব্র হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিদ্যালয়টি যমুনার গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
যমুনার ভাঙনে কাউয়াবাধাসহ দক্ষিণে চৌমোহন, পশ্চিমে কোচখালী, মানিকচর ও গুপ্তমনি গ্রামের রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি ও ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়েছে। অথচ ভাঙন রোধে জিও ব্যাগে বালুর বস্তা ফেলেই দায় সারে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শনে এসে আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি ভাঙনে প্রতিবছর নিঃস্ব মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করলেও তাদের খোঁজ রাখেনি কেউ।
যমুনার ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী হাজারো মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে বলে জানান ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। কিন্তু ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় না। এবারও ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের ওপরই ভরসা করে আছি। জনগণের জানমাল রক্ষায় দ্রুত পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর’ অভিযোগ তুলেছেন সংগঠনের একই শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফৌজিয়া জাফরিন প্রিয়ন্তী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘আমার অপরাধ ছিল আমি তার কুপ্রস্তাব মেনে নেইনি। ভেঙে গেল ৭ বছরের ভাই-বোনের সম্পর্ক। একমাত্র ছাত্রী হলে ছাত্রলীগ থেকে ৩০০ মেয়ে সিট পেলেও আমাকে সে হলে উঠতে দেয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেয়ার পর শুক্রবার রাতে এই নেত্রী নিজের টাইমলাইনে এক পোস্টের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলে ধরেন।
ফৌজিয়া বলেন, ‘আমার জন্য তার অনেক বড় ভাইরা বললেও তিনি কানে তোলেননি। কারণ তার তো আর আমাকে কর্মী হিসেবে প্রয়োজন নেই। এখন তিনি নেতা, প্রয়োজন মেটাতে পারলেই কেবল প্রয়োজন বোধ করবেন। বাংলাদেশের এমন কোনো হল আছে কি যেখানে কোনো গেস্ট গিয়ে একদিন থাকতে পারে না? কিন্তু এই আমি প্রিয়ন্তী হলে একদিন গিয়েছিলাম দেখতে যে হলে থাকার কেমন অনুভূতি। কিন্তু এই আকতার জানতে পেরে প্রভোস্ট ম্যামকে চাপ দিয়ে সেই রাতেই আমাকে হল থেকে বের হতে বাধ্য করে।’
‘আমার কি অপরাধ ছিল? ১৪ সাল থেকে প্রতিদিন আট-দশ ঘন্টা ইভেন আরও বেশি পরিশ্রম করে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কমিটিতে এসেছি। আমাকে হলে উঠতে দেওয়া হয়নি। এর পেছনের প্রধান কারণ হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার। আমার দীর্ঘ আরাধ্য ও প্রতীক্ষার হল থেকে, আমার প্রাপ্য অধিকার থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছে।’
প্রিয়ন্তী ফেসবুকে আরও লিখেন, ‘দীর্ঘ ৭ বছর তার পিছনে হেঁটেছি। আপনি তার কয় দিনের কর্মী সেটা আগে ভাবুন। আমার মাদারীপুরের তিনজন ক্যান্ডিডেট ছিল। কিন্তু তার মধ্যে থেকে তাকে বেছে নিয়েছিলাম নেতা হিসেবে। তার জন্য কত কিছু করছি যা লিখে বলা সম্ভব না। আল্লাহ মনের আশা পূরণ করলেন, কিন্তু তারপর থেকে আকতার ভাইয়ের আসল রূপ বের হতে থাকলো।
‘লেখক দাদার বাসা থেকে যেদিন ফুল দিয়ে নিচে নামলাম তার সাথে, সেদিন সকল পোস্টেড নেতার সামনে বসে আমাকে আর জিনিয়া আফ্রিনকে উদ্দেশ করে বলল- কোন হাইকমান্ডের ফোনে সে হল কমিটি দিবে না; দরকার হয় সে সাবেক হয়ে যাবে। সে নেতা হয়ে গেছে। তার নামের আগে সাবেক লেখা থাকবে তার সমস্যা নেই। আগে তার কর্মী হতে হবে, তাকে নেতা মেনে ধারণ করতে হবে। তবেই সেই হলের নেত্রী বানাবে। আমরা অবাক হয়ে রইলাম। হলের কথা কই থেকে আসলো? নেতা হল ১০ দিন মাত্র তখন। সেদিনের পর থেকে তার বিভিন্ন আবদার রাখতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তার সাথে আমার দীর্ঘ ৭ বছরের রাজনীতিকে সে মুহুর্তেই অস্বীকার করেছে।’
এ বিষয়ে ফৌজিয়া জাফরিন প্রিয়ন্তী নিউজবাংলাকে বলেন, কুপ্রস্তাব বলতে বুঝাতে চেয়েছি, তাঁর মতো করে চলতে হবে। সে যেখানে যেতে বলবে সেখানে যেতে হবে, যা করতে বলবে তা করতে হবে। আমি তো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম কোনো কিছুই বাদ দিতাম না। কিন্তু এর বাইরে সে কী বুঝাইছে আশা করি আপনাদের এটা আর ডিটেইলস-এ বলতে হবে না।’
এদিকে এ পোস্ট দেয়ার পর থেকে চাপের মুখে পড়েছেন বলে জানান এই নেত্রী। বলেন, ‘পোস্ট দেওয়ার পর আকতার হোসাইন আমাকে কল দিয়ে বলেন- যা করলি অনেক ভালো করলি। আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম- আপনি আমার সঙ্গে অন্যায় করেননি? তখন তিনি বলেন- হ্যাঁ, আমি অন্যায় করেছি। কিন্তু তুই এটা এ সময়ে তুলে না ধরলেও পারতি।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনকে কল দেয়া হলেও তিনি সংযোগ কেটে দেন।
প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফল রোববার প্রকাশ করা হবে।
শনিবার বিকেলে জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবেন।
গত ২ জুন ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের জন্য নির্ধারিত এই ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ৯৩০টি। এর বিপরীতে ৩০ হাজার ৬৯৩ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সে অনুযায়ী প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৩৩ শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ। ১৯২১ সালের এই দিনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত এই বিদ্যায়তনে। দিবসটি উদযাপনে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন: ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’।
১৯২১ সালের ১ জুলাই ছাত্রছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার দুয়ার। তৎকালীন ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশ সরকারের পরিত্যক্ত ভবন ও ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনগুলোর সমন্বয়ে গড়ে ওঠে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল ৬০ জন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৮৪টি বিভাগ, ৬০টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র এবং ছাত্রছাত্রীদের ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল ও ১৩৮টি উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার ১৫০ জন। পাঠদান ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৮ শিক্ষক।
এদিকে ১০২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শুক্রবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১০টার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ শোভাযাত্রা সহকারে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে সমবেত হবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোর পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, কেক কাটা এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং পরিবেশিত হবে।
সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন: ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া সহযোগিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য