× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
If you are a student of RU in the practice of family rules it is a new time to enter
google_news print-icon

‘পারিবারিক নিয়ম চর্চায়’ রাবির ছাত্রী হলে প্রবেশের নতুন সময়

পারিবারিক-নিয়ম-চর্চায়-রাবির-ছাত্রী-হলে-প্রবেশের-নতুন-সময়
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের হলে প্রবেশের সময় নিয়ে বৈষম্য থাকা উচিত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য জানিয়েছেন, পারিবারিক শৃঙ্খলার চর্চা ক্যাম্পাসে বজায় রাখতে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলে রাতে প্রবেশের নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। রাত ৯টা থেকে কমিয়ে সেটি করা হয়েছে রাত সাড়ে ৮টা।

হল প্রাধ্যক্ষরা মিটিং করে গত ৯ মে এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে ছাত্রীদের হলে প্রবেশ করতে হবে। এর আগে এই সময়সীমা ছিল সন্ধ্যা ৭টা, যা নিয়ে ছাত্রীদের আন্দোলনের পর তা রাত ৯টা করা হয়েছিল।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রদের হলে প্রবেশের কোনো সময়সীমা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন শিক্ষার্থীদের অনেকেই। তারা বলছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের হলে প্রবেশের সময় নিয়ে এমন বৈষম্য থাকা উচিত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য জানিয়েছেন, পারিবারিক শৃঙ্খলার চর্চা ক্যাম্পাসে বজায় রাখতে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের ছাত্রীরা সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে। সে সময়ে ছাত্রীদের হলে প্রবেশের সময়সীমা ছিল সন্ধ্যা ৭টা। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সান্ধ্য আইন ‘শিথিল’ করে হলে প্রবেশের শেষ সময় করা হয় রাত ৯টা।

কোনো ছাত্রীর কাজ থাকলে নির্ধারিত সময়ের পরেও হলে প্রবেশ করতে পারবে- এমনটাও জানিয়েছিল রাবি কর্তৃপক্ষ।

তবে গত ৯ মে এই সময়সীমা আধাঘণ্টা কমিয়ে দিয়েছে সব হলের প্রাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

‘পারিবারিক নিয়ম চর্চায়’ রাবির ছাত্রী হলে প্রবেশের নতুন সময়

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী কঙ্গনা সরকার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মুক্তচর্চার জায়গায় এমন কোনো ধরনের আইন থাকা উচিত নয়। কারণ এখানে ছেলে-মেয়েদের সমান অধিকার থাকা উচিত। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাজ করা উচিত। সেটি না করে তারা বরং ছাত্রীদের ওপর অন্যায় নিয়ম আরোপ করছে। এসব আইন জেলখানার কয়েদিদের আইনের মতো।’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাত রীতা বলেন, ‘একই ক্যাম্পাসে ছেলে-মেয়ে সবার সমান অধিকার থাকা উচিত। এমন একমুখী আইন আমি সমর্থন করি না।

‘এর আগে আন্দোলনের ফলে সময় রাত ৯টা পর্যন্ত ছিল। এখন হুট করে আবার সেটি কমিয়ে সাড়ে ৮টা কেন করা হলো? এর মানে হলো যে প্রশাসন চাইলে যেকোনো ধরনের নিয়ম তারা পরিবর্তন করতে পারে। এসব হয়রানিমূলক কোনো নিয়ম থাকা উচিত নয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান রাজু বলেন, ‘আবাসিক হলের সময়সীমার বিষয়ে আসলে ছাত্রীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। তবে হলে প্রবেশের সময়সীমা আরও বাড়ানো দরকার।’

তবে নতুন বিজ্ঞপ্তিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, ভুলে তা নোটিশ আকারে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রীদের আবাসিক হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও তাপসী রাবেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ফেরদৌসী মহল।

‘পারিবারিক নিয়ম চর্চায়’ রাবির ছাত্রী হলে প্রবেশের নতুন সময়
হলে প্রবেশের সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবিতে ২০২১ সালের নভেম্বরে আন্দোলন করেন ছাত্রীরা। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘মূলত ওটা কোনো বিজ্ঞপ্তি নয়। এর আগে আমরা মেয়েদের ৬টি হলের প্রাধ্যক্ষরা বসেছিলাম যে ছুটির পর এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যায় কি না। এ নিয়ে আমরা ছুটির পর হলের মেয়েদের সঙ্গেও কথা বলব এমনটাই বলা হয়েছিল প্রভোস্টদের। কিন্তু ভুলক্রমে এক হলের প্রভোস্ট নোটিশ আকারে দিয়ে দিয়েছেন।

‘আগামীতে সব হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে একটি কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সান্ধ্য আইন হিসেবে ওইভাবে মানুষের ওপর চাপায়ে দিতে চাই না আমরা। প্রত্যেকটা ছেলে-মেয়ের নিরাপত্তার বিষয়টা সবার আগে। এখন হাজার ব্যবস্থাও যদি আমরা করি তার মধ্যেও অনেক কিছুই ঘটতে পারে।

‘ছেলে-মেয়ের বাবা-মাও যেমন করে চায় যে একটা সময় পর্যন্ত বাইরে থেকে তারা লেখাপড়ায় ব্যস্ত হোক। আমরাও স্বাভাবিক অর্থে সেইটাই চাচ্ছি। সাধারণত সাড়ে আটটার ভেতরে আমরা আমাদের বাইরের কাজগুলো শেষ করি। লাইব্রেরি বন্ধ হয়ে যায়, সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমরা যদি পড়ার টেবিলে ফিরতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

‘তাই বলে আমরা তাদের শৃঙ্খলিত করব এমনটা না। স্বাধীনতার যুগে কাউকে শৃঙ্খলিত করা কেউই পছন্দ করবে না। আমরা চাই নিয়মের ভেতরেই জীবনটা গড়ে নিতে।’

ছেলেদের হলে প্রবেশের নির্ধারিত সময় নাই, অথচ মেয়েদের সময়সীমা কেন নির্ধারণ করা হলো?

‘পারিবারিক নিয়ম চর্চায়’ রাবির ছাত্রী হলে প্রবেশের নতুন সময়

এ প্রশ্নে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘এটি এখন স্বাভাবিক প্রশ্ন, সবাই করতে পারে। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতটাও আমি একটু ভাবতে অনুরোধ করব। বাবা-মায়ের চাইতে তো দুনিয়াতে প্রিয় মানুষ কেউ নেই। একটা বাবা-মাকেও যদি ভাবতে বলি তারা কী বলবেন সেটাও ভাবতে হবে। তারা আমাদের কাছে ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে যে উদ্বিগ্ন থাকেন, আল্লাহ না করুক ছেলে-মেয়েদের যদি একটু কিছু হয় ওই বিষয়টা তো আমরা কোনোভাবেই এক শ ভাগ নিশ্চিত করতে পারি না।

‘ছেলে-মেয়েরা কে কোথায় যাচ্ছে সেটা তো বলতে পারি না। আমরা বাবা-মায়েদের কথা ভেবে, অনেক বাবা-মায়ের সঙ্গে আমাদের কথাও হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।’

জরুরি পরিস্থিতি বা প্রয়োজনে সময়সীমার বিষয়টা বিবেচনা করা হবে জানিয়ে উপ-উপাচার্য সুলতান বলেন, ‘কারও জরুরি প্রয়োজন হলে কেউ এতটা অমানবিক হবে না যে জরুরি বিষয়টা বুঝবে না। সেদিকটাও অবশ্যই বিবেচনায় থাকবে। এটি শৃঙ্খলিত করা নয়। পারিবারিকভাবেও আমরা যেমন নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে থাকি এখানেও সেটা।’

এটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন নয়, পারিবারিক নিয়ম বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এমন নিয়ম চলে আসছে। এটি তো আইন নয়, এটি পারিবারিক নিয়ম। নানা দিক বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই চলছে। এটা পারিবারিক নিয়ম-কানুনের মতো করেই চালু ছিল, যখন আমরা ৭৮ সালে ছাত্র ছিলাম, তখনও।’

তবে এই পারিবারিক নিয়ম কেবল ছাত্রীদের জন্যই কেন? জানতে চাইলে তিনি জানান, মেয়েদের নিয়েই অভিভাবকরা বেশি চিন্তিত থাকেন। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ও ছাত্রীদের হলে ফেরার সময় নিয়ে ‘পারিবারিক নিয়মটি’ জারি করেছে।

আরও পড়ুন:
রাবিতে এ বছর ‘সেকেন্ড টাইম’ ভর্তির সুযোগ
দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে তারাবি পড়ানোর আহ্বান
রাবিতে প্রক্টরের সামনে ছাত্রীকে পরিবহন কর্মচারীর ধাক্কা
রাবির ১৭ হলে ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা
ছাত্রলীগের দখলদারত্বের বদলে রাবিতে হল সংসদ চালুর দাবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Chuet is closed indefinitely and students are instructed to vacate the hall
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ
বৃহস্পতিবার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভায় চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।

চুয়েটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপাচার্যের সভাপতিত্বে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

২২ এপ্রিল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে বাসের ধাক্কায় নিহত হন চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী। এরপর থেকে ১০ দাবিতে চারদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় দুপুরের দিকে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন:
বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

মন্তব্য

শিক্ষা
Indefinitely closed exams in Jabi classes are online
তাপপ্রবাহ

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ, ক্লাস অনলাইনে

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ, ক্লাস অনলাইনে ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র তাপদাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরার জন্য সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।

দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় অনলাইনে ক্লাস চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার তীব্র দাবদাহে করণীয় নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে সকল ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘অনলাইনে ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র তাপদাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরার জন্য সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল দুপুরে বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে উপাচার্যের ডাকা জরুরি সভায় প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ২২ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে তাপমাত্রা না কমায় তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে সারা দেশের সব স্কুল-কলেজে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও সশরীরে ক্লাস স্থগিত করে অনলাইনে ক্লাস চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অধিভুক্ত সব কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মন্তব্য

শিক্ষা
Kabir Vice Chancellor Treasurer and Proctor Office Tala Jhulal Teachers Association

কুবির উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টর কার্যালয়ে শিক্ষক সমিতির তালা

কুবির উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টর কার্যালয়ে শিক্ষক সমিতির তালা তিন কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষক সমিতি। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘আমরা আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। সে সময় শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই কার্যালয়গুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

প্রশাসনিক ভবনে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের দপ্তরে তালা লাগানো আছে।

দপ্তর থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার সকাল থেকে দপ্তরে আসেননি।

এই বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘আমরা আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। সে সময় শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।’

শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি হলো- গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্যের উপস্থিতিতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও কিছু অছাত্র কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলায় নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সাময়িক বহিষ্কারপূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার ও জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় মদদ দানকারী প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, অধ্যাপক গ্রেড-১ ও অধ্যাপক গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদসমূহে ডিন নিয়োগ এবং ইতোমধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসকল বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের প্রত্যাহার করা, শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে আইন বহির্ভূত অবৈধ শর্ত আরোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ণ করার মাধ্যমে যে সীমাহীন বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে দ্রুততম সময়ে সেসবের নিষ্পত্তিকরণ, ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা রহিত করে পূর্বের নীতিমালা বহাল রাখা এবং ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর উপাচার্যের কক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং ছাত্রলীগের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা নিয়ে কর্মসূচি দেয় শিক্ষক সমিতি।

মন্তব্য

শিক্ষা
The security guard is accused of harassing the family in front of the teacher in EB

ইবিতে শিক্ষকের সামনেই পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে

ইবিতে শিক্ষকের সামনেই পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে ফাইল ছবি
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, প্রক্টর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের প্রতিও অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের পারিবারকে হয়রানি ও অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন, তার স্বামী ও সন্তানকে হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম আব্দুস সালাম ওরফে সেলিম।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, প্রক্টর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের প্রতিও অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়।

অভিযোগে বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ছেলে সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তার স্বামী। এ সময় মেইন গেট অতিক্রমকালে উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তাদেরকে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে চরমভাবে অপমান করেন। স্বামীর সামনে তাকেও অপমানজনক কথাবার্তা বলেন সালাম।

সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সম্মানার্থে আমি এতদিন ধৈর্য ধরে ছিলাম। ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এর একটা বিচার করবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় তারা বিষয়টি নিয়ে কোন সম্মানজনক সমাধানের ব্যবস্থা করে নাই। এটা শিক্ষক সমাজের জন্য অপমান ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা।

তিনি বলেন, ওইদিন আমার স্বামী সন্তানকে নিয়ে তার মায়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় মেইন গেটে নিরাপত্তা কর্মকর্তা তাকে থামিয়ে অকারণে আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কথাবার্তা বলেন। এ নিয়ে প্রক্টরের কাছে মৌখিকভাবে জানালেও কোনো সম্মানজনক সমাধান পাইনি।

অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা সালাম বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের সাথে কথা বললে আসল সত্য সামনে আসবে। ইদের পর বহিরাগতদের চাপে মেইনগেটে অনেক ভিড় থাকে। ম্যামের স্বামী বাইক নিয়ে ঢোকা বা বের হওয়ার সময় বাইকের হর্ন বাজিয়ে মেইনর গেটে উপস্থিত দারোয়ানদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে মেইনগেট খুলে দিতে বলেন। ছোট গেট দিয়েও তিনি বাইক নিয়ে যেতে পারতেন। তার স্বামীর সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি। বিষয়টা সঠিক তদন্ত করা হোক।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলা হচ্ছে। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব করে যাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়েছি। শিক্ষকের বিষয় যেহেতু সেনসিটিভ। অভিযোগটি শিগগিরই উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তিনিই যা ব্যবস্থা নেয়ার নেবেন।

আরও পড়ুন:
অধ্যাপক ছাড়াই চলছে ইবির ৩৬ বিভাগের ১৪টি
ইবি উপাচার্যকে ব্যতিক্রমী ঘুষের প্রস্তাব
সরকারি চাকুরেদের সম্পদের তথ্য জমা বাতিল হলে দুর্নীতি বাড়বে

মন্তব্য

শিক্ষা
Resignation of the house tutor in Kubi

কুবিতে এবার হাউস টিউটরের পদত্যাগ

কুবিতে এবার হাউস টিউটরের পদত্যাগ মু. আলী মুর্শেদ কাজেম
এ ছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে প্রায় ১৩ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। এবার নতুন করে পদত্যাগ করছেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরাও।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের হাউস টিউটরের পদ ছাড়লে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. আলী মুর্শেদ কাজেম।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান।

পদত্যাগপত্রে মুর্শেদ কাজেম উল্লেখ করেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা, পদোন্নতিতে অযাচিত শর্তারোপ ও জৈষ্ঠতা লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সম্মানিত সাধারণ শিক্ষকদের উত্থাপিত সব ন্যায্য দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে বর্তমানে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।

এ ছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে প্রায় ১৩ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। এবার নতুন করে পদত্যাগ করছেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরাও।

মন্তব্য

শিক্ষা
Summer vacation in Rabi is delayed in coordination with Eid ul Azha

রাবিতে গ্রীষ্মের ছুটি পিছিয়ে ঈদুল আজহার সঙ্গে সমন্বয়

রাবিতে গ্রীষ্মের ছুটি পিছিয়ে ঈদুল আজহার সঙ্গে সমন্বয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুনর্বিন্যস্ত ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ ৯ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত এবং অফিসসমূহ ৯ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ৩০ জুন থেকে ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মের ছুটি পিছিয়ে ঈদুল আজহার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে বুধবার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রণব কুমার পান্ডে।

জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মাবকাশ ৫ থেকে ৯ মে এবং ১৬ থেকে ২৪ জুন ঈদ-উল-আযহার ছুটি পূর্বনির্ধারিত ছিল, কিন্তু চলমান তাপদাহের কারণে পানি সংকটের আশঙ্কা এবং শিক্ষার্থীদের এতদসংক্রান্ত নানাবিধ অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ছুটিসমূহ পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুনর্বিন্যস্ত ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ ৯ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত এবং অফিসসমূহ ৯ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ৩০ জুন থেকে ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়াও গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত ২ মে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে বিভাগসমূহ প্রয়োজনবোধে ৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আরও পড়ুন:
পিএসসির সদস্য হলেন রাবি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে রাবি শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সুপারিশ
রাবিতে সংঘর্ষ: তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য এক বছরেও অজানা
রাবির হলে গরুর মাংস সমাচার
দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে তারাবি পড়ার আহ্বান

মন্তব্য

শিক্ষা
This is the resignation of Kubirs assistant proctor

এবার কুবির আরেক সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

এবার কুবির আরেক সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ কুবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘একজন সহকারী প্রক্টর নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে অপদস্থ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। তাই আমি এ দায়িত্ব পালনে বিব্রতবোধ করছি। পাশাপাশি আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচারের দাবি জানিয়ে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রক্টরিয়াল বডি থেকে আরও এক সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগকারী শিক্ষক হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো এক পদত্যাগপত্র থেকে বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়।

পদত্যাগপত্রে আনিছুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস কমিটির সদস্য আবু ওবায়দা রাহিদ অনুমতি ছাড়াই আমাদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নির্মিতব্য সংরক্ষিত কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আসন বিন্যাস পরিকল্পনা করেন এবং তা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেন। অনুমতি ছাড়া ল্যাবে প্রবেশ ও আসন পরিকল্পনা করার কথা জানতে চাইলে তিনি আমার সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেন।

‘পরবর্তী সময়ে ঈদ ছুটি শেষে অনুমতি নেয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তিনি ক্যাম্পাসে গোল চত্বরে শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে বিভিন্নভাবে অপমানসূচক কথাবার্তা বলতে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে স্লেজিং করতে থাকেন। ওই সময় উপস্থিত তিন শিক্ষক তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তিনি আমার দিকে বারবার তেড়ে আসতে থাকেন।’

পদত্যাগপত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী সময়ে সমঝোতা বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও একজন অধ্যাপকের সামনে তিনি আমাকে মারতে উদ্যত হন এবং আমার পরিবার নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলেন, কিন্তু ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও ওই সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’

কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘একজন সহকারী প্রক্টর নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে অপদস্থ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। তাই আমি এ দায়িত্ব পালনে বিব্রতবোধ করছি। পাশাপাশি আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচারের দাবি জানিয়ে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’

এর আগে গত ০৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ০৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভুঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন।

এ ছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় ‘অ্যাজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগ’ দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যের পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। সবশেষ ২০ মার্চ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অর্ণব বিশ্বাস, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জয় চন্দ্র রাজবংশীসহ মোট চার হলের চারজন হাউজ টিউটর পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন:
মিরাজের ১০ টাকার ইফতারি
প্রক্টর প্রভোস্টকে অব্যাহতির আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ স্থগিত
কুবি ভিসির নামে আবারও ভুয়া অ্যাকাউন্ট
৭ দাবি বাস্তবায়নে ক্লাস বর্জন কুবি শিক্ষক সমিতির
কুবি ভিসির নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট

মন্তব্য

p
উপরে