× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
The engineer returned the car
google_news print-icon

গাড়ি ফেরত দিলেন সেই প্রকৌশলী

গাড়ি-ফেরত-দিলেন-সেই-প্রকৌশলী-
ঈদের ছুটির আগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরিবহন শাখায় ‘পাজেরো স্পোর্ট’ ব্র্যান্ডের গাড়িটি ফিরিয়ে দেন সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রাধিকার ছাড়াই অনেক কর্মকর্তার গাড়ি ব্যবহার নিয়ে নিউজবাংলায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর এক সাবেক কর্মকর্তা গাড়ি ফেরত দিয়েছেন। অনেক কর্মকর্তা গাড়ি ব্যবহারের পদ্ধতি বদলে ফেলেছেন।

অবশেষে সেই গাড়িটি ফেরত দিয়েছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার। ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে (২৮ এপ্রিল) তিনি ইইডির পরিবহন শাখায় ‘পাজেরো স্পোর্ট’ ব্র্যান্ডের গাড়িটি বুঝিয়ে দেন।

বুধবার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরিবহন শাখার একাধিক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবহন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী জার্জিস ইউ রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাড়িটি অফিস চত্বরে আছে।’

কবে গাড়িটি ফেরত দেয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নে তিনি কোনো জবাব দিতে রাজি হননি। বলেন, ‘গাড়িসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই না। আপনি দয়া করে প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে যোগাযোগ করেন।’

বুলবুল আখতার অবসর নিয়েছেন ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী শেষ কর্মদিবসে তার গাড়িটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পরিবহন শাখায় বুঝিয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু সে নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এতদিন অবৈধভাবে ব্যবহার করছিলেন ‘পাজেরো স্পোর্ট’ ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়িটি।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনগুলোর সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহের কাজ করে থাকে। এ ছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি সুবিধা সরবরাহের কাজও তারা করে।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল নিউজবাংলায় ‘শিক্ষা প্রকৌশলের গাড়ি ব্যবহারে যথেচ্ছাচার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়, যেখানে গাড়ি ব্যবহারের প্রাধিকার নেই, এমন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার গাড়ি ব্যবহারের তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর শিক্ষা প্রশাসনে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাধিক প্রকৌশলী নিউজবাংলাকে জানান, প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর গাড়ি ব্যবহারের প্রাধিকার নেই ইইডির এ রকম একাধিক কর্মকর্তা এখন আর নিয়মিতভাবে সেই সব গাড়ি ব্যবহার করছেন না। গাড়ি ব্যবহার করলেও তা তারা করছেন অফিস সময়ে যাতায়াতের জন্য। এবং যাতায়াত শেষে গাড়িগুলো আবার অফিস প্রাঙ্গণে তাদের গাড়িচালকদের দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এতদিন তারা অফিস শেষেও গাড়িগুলো তাদের বাসার গ্যারেজে রাখতেন। কেউ কেউ আবার সেই সব গাড়ি ব্যবহার না করে এখন উবার ও সিএনজিতেও যাতায়াত করছেন।

সূত্র আরও জানায়, রিপোর্ট প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর পর থেকেই শিক্ষা প্রকৌশলের ক্ষমতাধর কয়েকজন কর্মকর্তা গাড়ি ব্যবহারে সর্তক হয়ে যান।

ইইডির ‘ক্ষমতাধর’ কর্মকর্তারা গাড়ি ব্যবহারে সর্তক হলেও অন্য দপ্তরের (শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন অন্য দপ্তর এবং পরিকল্পনা কমিশন) কর্মকর্তারা আগের মতোই গাড়িগুলো ব্যবহার করছেন বলেও জানান ইইডির পরিবহন শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘ইইডির কর্মকর্তারা সতর্ক হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা প্রশাসনের অন্য দপ্তরের ক্ষমতাধর কর্মকর্তারা আগের মতোই গাড়িগুলো ব্যবহার করছেন। তারা কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না।’

এ বিষয়ে জানতে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) শাহ্ নইমুল কাদেরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

আরও পড়ুন:
শিক্ষা প্রকৌশলের গাড়ি ব্যবহারে যথেচ্ছাচার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Protest of the published news and statement of the reporter

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য কিশোরগঞ্জের উপপরিচালক (বীজ বিপণন) এ কে এম মনিরুজ্জামান। ছবি: নিউজবাংলা
এ কে এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে দাবি করা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নয়। তাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। 

ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ডিলারকে মারধরের অভিযোগ’ শিরোনামে গত ৪ ডিসেম্বর নিউজবাংলায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের উপপরিচালক (বীজ বিপণন) এ কে এম মনিরুজ্জামান।

গত ৭ ডিসেম্বর এ কে এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে দাবি করা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নয়। তাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লিখিত ‘অসত্য’ প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এ কর্মকর্তা।

তার দাবি, বীজ বিতরণে অনিয়ম ও টোকেনের মিথ্যা গল্প বলা হয়েছে। কোনো ডিলারকে মারধর বা ঘুষ লেনদেনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত প্রতিবেদন সংক্রান্ত সব তথ্য এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। প্রতিবেদনে ডিলার ও কর্মকর্তাদের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই।

তা ছাড়া অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করেছেন বীজ বিতরণে অনিয়ম বা টোকেনের গল্প কাল্পনিক। বীজ বিতরণে অনিয়মের তথ্য এবং তার স্বাক্ষরিত বিশেষ টোকেনের ছবি এ প্রতিবেদকের সংরক্ষণে রয়েছে।

আরও পড়ুন:
ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ডিলারকে মারধরের অভিযোগ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ: কিশোরগঞ্জের সেই কৃষি কর্মকর্তা বদলি 
কিশোরগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চান জামায়াতের মতিউর

মন্তব্য

শিক্ষা
Death toll rises to four in cylinder explosion in Mirpur

মিরপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে চার

মিরপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে চার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ফাইল ছবি
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, মিরপুর থেকে গত ২৪ নভেম্বর গ‍্যাস বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছিল। তাদের মধ্যে আবদুল খলিল, রুমা আক্তার ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। আজ সকালের দিকে আবদুল্লাহ নামে আরেক কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল। 

রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের পাঁচ নম্বর এভিনিউর একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে প্রাণ হারানো মোহাম্মদ আবদুল্লাহর (১৩) শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

এ কিশোর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছিল।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, মিরপুর থেকে গত ২৪ নভেম্বর গ‍্যাস বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছিল। তাদের মধ্যে আবদুল খলিল, রুমা আক্তার ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। আজ সকালের দিকে আবদুল্লাহ নামে আরেক কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

তিনি জানান, আর দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে স্বপ্নার শরীরের ১৪ শতাংশ ও একই পরিবারের আবদুল খলিলের ছেলে ইসমাইলের শরীরে ২০ শতাংশ দগ্ধ। এদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

গত ২৪ নভেম্বর গভীর রাতে সিলিন্ডারে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজনসহ সাতজন দগ্ধ হন।

তাদের মধ্যে শাহজাহান মিয়া নামের একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। তার শরীরের ছয় শতাংশ দগ্ধ ছিল।

আরও পড়ুন:
মিরপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ: তিনজন আটক
মিরপুরে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২ পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ
রূপগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ
সিএনজি রিফুয়েলিংয়ের সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মাইক্রোচালক নিহত
মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশন চালু এক কোটি ২৫ লাখে

মন্তব্য

শিক্ষা
Pesticide factory fire in Mymensingh under control

ময়মনসিংহে কীটনাশক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

ময়মনসিংহে কীটনাশক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ময়মনসিংহে কীটনাশক কারখানায় ধরা আগুন। ছবি: নিউজবাংলা
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বেলা পৌনে ১১টার দিকে শিল্প এলাকার একটি কীটনাশক কারখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

ময়মনসিংহ নগরের মাসকান্দায় বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় শুক্রবার একটি কীটনাশক কারখানায় ধরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।

বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ আগুন লাগে। বাহিনীর ১১টি ইউনিটের চেষ্টায় একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বেলা পৌনে ১১টার দিকে শিল্প এলাকার একটি কীটনাশক কারখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

‘দীর্ঘ দুই ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘এখনও ধোঁয়া বের হচ্ছে। তাই ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

‘এ আগুনে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে টায়ার কারখানায় আগুন
কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজে আগুন, ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে আগুন
জাহাজে আগুন নাশকতা হতে পারে: বিএসসি
শুক্রাবাদে গ্যাসের আগুনে স্বামীর পর প্রাণ গেল স্ত্রীর

মন্তব্য

শিক্ষা
The BNP leader at the press conference with a check of Tk 10 lakh

১০ লাখ টাকার চেক হাতে সংবাদ সম্মেলনে সেই বিএনপি নেতা

১০ লাখ টাকার চেক হাতে সংবাদ সম্মেলনে সেই বিএনপি নেতা রোববার সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতার গচ্ছিত রাখা ১০ লাখ টাকার চেক তুলে ধরেন বিএনপির সদ্য সাবেক নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন। ছবি: নিউজবাংলা
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা সামসুল আলম খানের কাছে ধারের টাকা ফেরত পেতে ফোন করেছিলাম। আমার ও বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মোবাইল ফোনে সেই কথোপকথনের অডিও এডিট করে ফেসবুক ও মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত থেকে ওই দুই নেতার কথোপকথনের ‌এক মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

এর আগে উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে থানায় মামলা করেন সৌখিন। ওই মামলায় আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছেন বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত এই নেতা। রোববার দুপুরে বদলগাছী সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বেলাল হোসেন সৌখিন বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এডিট করা ফেক মোবাইল কল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে আমার এবং বিএনপির ইমেজ ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।’

সৌখিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিগত ২০১৩ সালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক দুটি মামলা করে। একটি বিস্ফোরক ও আরেকটি দ্রুত বিচার আইনে। আমাকে গ্রেপ্তার করা হয় ক্লিনহার্ট অপারেশনে। সেখানে আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয় শুধু বিএনপির রাজনীতি করার জন্য।’

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম খানের সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ এডিট করা ফেক মোবাইল রেকর্ড।’

তিনি বলেন, ‘কল রেকর্ডটি আগস্ট মাসের। প্রকৃত তথ্য এই যে, শামসুল আলম খান ইতোপূর্বে তার একটি ব্যাংক চেক গচ্ছিত রেখে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। সেটির নম্বর: ঈউ/অ- ২৮৮৫০৯২ (ডাচ বাংলা ব্যাংক)। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এভাবে আরও অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা ধার করেছেন বলে লোকমুখে জেনেছি।

‘অতি সম্প্রতি জানতে পারি যে তিনি কিছু কিছু পাওনাদারকে ধারের টাকা পরিশোধ করছেন। এ কারণে আমি তার কাছে আমার পাওনা টাকার জন্য কল করেছিলাম। এছাড়া পাওনা টাকা নেয়ার জন্য তার সামনা-সামনি হলে তিনি আমাকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভয় দেখাতেন। আমি গত ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিস্ফোরক মামলার বিবাদী হওয়ার কারণে আগস্ট মাসের কল রেকর্ডটি নতুন করে এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। বাস্তবে আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত শামসুল আলম খানের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।’

সৌখিন আরও বলেন, ‘পাওনা চাওয়া সংক্রান্ত কল রেকর্ডটি এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়। সেটি আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে। শুধু আমাকে এবং আমার দল বিএনপিকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেক কল রেকর্ডটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

‘আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সে সঙ্গে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান বলেন, ‘ঘটনার দিন নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছে টাকা দাবি করা হয়।’

আরও পড়ুন:
মামলা থেকে বাঁচাতে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবি, অডিও ভাইরাল

মন্তব্য

শিক্ষা
Protest of the published news and statement of the correspondent

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তা ফাহিমা আক্তার নিউজবাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছেন। ফাইল ছবি
১০ নভেম্বর ফাহিমা আক্তার ফাহিম স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে দাবি করা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নয়, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ছাড়াও তার বক্তব্য ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ছাড়া প্রচার করা হয়েছে। 

‘কিশোরগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে গত ৮ নভেম্বর নিউজবাংলায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলার সদর উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা ফাহিমা আক্তার ফাহিম।

১০ নভেম্বর ফাহিমা আক্তার ফাহিম স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে দাবি করা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নয়, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ছাড়াও তার বক্তব্য ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ছাড়া প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখিত ‘অসত্য প্রতিবেদন’টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

তার দাবি, প্রদর্শনী বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের ধার্যকৃত উপকরণের সম্পূর্ণ অংশই কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে। অনাবাদি পুষ্টি বাগান প্রকল্পের প্রদর্শনীতে কীটনাশক সরবরাহ না করে টাকা আত্মস্যাৎ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রদর্শনীতে কীটনাশক সরবরাহের কোনো বরাদ্দ বা পদ্ধতি এই প্রকল্পে নেই।

প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের দুটি মডেল গ্রামের একটি সুন্দিরবন ব্লকে পাঁচজন কৃষকের বাড়িতে এবং অন্যটি মহিনন্দ ব্লকের পাঁচজন কৃষকের বাড়িতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যার সুফল কৃষকেরা পাচ্ছেন। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মডেল গ্রামের অস্তিত্ব নেই বলে সংবাদে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ‘প্রদর্শনী সফলভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কৃষক ভাইদেরকে পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে উপযুক্ত সময়ে প্রদর্শনীর উপকরণ সরবরাহ করা হয়। মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের প্রদর্শনীর স্থাপনা তৈরির কাজ সম্পন্ন করে কৃষক ভাই মাত্র মাশরুম উৎপাদনে যাচ্ছে, এমতাবস্থায় প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেছে বিবেচনায় নিয়ে অর্থ আত্মসাতের বর্ণিত বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

‘কৃষকগণ বলেছেন, কৃষি বিভাগের বিভিন্ন প্রদর্শনী আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে তাদের সুবিধাজনক সময়ে তারা বাস্তবায়ন করেন। প্রদর্শনী স্থাপন এবং সুফল ভোগ একটি চলমান যুগপৎ প্রক্রিয়া। কৃষকগণ প্রদর্শনীর সুবিধা পাচ্ছেন এবং পাবেন, যা পূর্বেই উপজেলা কৃষি অফিস তাদেরকে অবহিত করে রাখেন।’

প্রতিবেদকের বক্তব্য

কিশোরগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সব তথ্য এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

প্রতিবেদনে প্রদর্শনীর তালিকাভুক্ত কৃষক এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই।

অভিযুক্ত ওই কৃষি কর্মকর্তা প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করেছেন, দুটি মডেল গ্রাম প্রদর্শনী তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। কৃষক তার সুফল ভোগ করছেন। এখানে বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। তার তথ্যচিত্র প্রতিবেদকের সংরক্ষণে রয়েছে।

২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর একটি মডেল গ্রামের জন্য ২ লাখ ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। এরপর ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আরেকটি মডেল গ্রামের জন্য বরাদ্দ আসে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এ দুটি প্রদর্শনীতে বরাদ্দের চার লাখ ২২ হাজার টাকা উত্তোলন করে একটিও বাস্তবায়ন করেননি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তার বক্তব্য সংগ্রহের পর তড়িঘড়ি করে সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা শুরু করেন তিনি।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, সুন্দিরবন ব্লকের মডেল গ্রামের প্রদর্শনী বরাদ্দ পাওয়া হাবিবুর রহমানসহ প্রত্যেক কৃষককে সব উপকরণ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাস্তবে সেখানে কোনো কার্যক্রম তখন শুরুই হয়নি। এ ছাড়া মহিনন্দ ব্লকে গিয়ে দেখা যায়, তড়িঘড়ি করে সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।

ওই গ্রামের রফিকুল ইসলাম, ইসরাফিল, হাবুল মিয়া, হাদিস আর জাবিরকে দিয়ে করানো হচ্ছে মডেল গ্রামের প্রদর্শনী। তাদের মধ্যে রফিকুল, হাবুল আর ইসরাফিলের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা জানিয়েছেন, সপ্তাহখানেক আগে মডেল গ্রামের প্রদর্শনী পেয়েছেন। এ বিষয়ে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি এবং অফিসের রেজিস্টারে স্বাক্ষরও নেয়া হয়নি।

মূলত যাদের দিয়ে মডেল গ্রামের প্রদর্শনী বাস্তবায়ন দেখানো হচ্ছে তারা মডেল গ্রামের বরাদ্দপ্রাপ্ত কৃষকই না। এ ছাড়াও ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি স্পন ও মাশরুম উৎপাদন প্রদর্শনীর জন্য ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। বছরের শুরুতে বরাদ্দ আসলেও কাজ শুরু হয় অক্টোবর শেষ সাপ্তাহে। সেখানেও বরাদ্দের পুরো টাকা পাননি কৃষক।

আরও পড়ুন:
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
আরও তিন জেলায় ২০০ সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চান জামায়াতের মতিউর
বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার 
নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিমের বাড়িতে যাচ্ছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা

মন্তব্য

শিক্ষা
Allegation of misappropriation of allocated money Kishoreganj agriculture officer transferred 

বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ: কিশোরগঞ্জের সেই কৃষি কর্মকর্তা বদলি 

বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ: কিশোরগঞ্জের সেই কৃষি কর্মকর্তা বদলি  বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তা ফাহিমা আক্তার। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদও বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কিশোরগঞ্জে কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মো: ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে এ বদলি করা হয়।

প্রকল্পগুলোর প্রদর্শনী নামমাত্র বাস্তবায়ন, কোথাও আবার বাস্তবায়ন না করেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

আদেশের এক কপি এসেছে এ প্রতিবেদকের হাতে।

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদও বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তার নাম ফাহিমা আক্তার, যিনি ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর থেকে সদর উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।

এর আগে একই উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা পদে ছিলেন তিনি।

এ কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে ‘কিশোরগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। তাকে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় বেশির ভাগ প্রদর্শনীতে মোট বরাদ্দের ৩০ শতাংশও কৃষক পাননি।

ওই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অভিযোগ, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ছয়টি প্রকল্প থেকে (ফ্রিপ প্রকল্প, ময়মনসিংহ প্রকল্প, পার্টনার, অনাবাদি, রাজস্ব প্রকল্প ও মাশরুম উৎপাদন প্রদর্শনী) কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেন ফাহিমা।

আরও পড়ুন:
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চান জামায়াতের মতিউর
বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার 
নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিমের বাড়িতে যাচ্ছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা
ইটনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
কাশিমপুর কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তার

মন্তব্য

শিক্ষা
Allegation of misappropriation of farmers allocation money That agriculture officer transferred

কৃষকের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: সেই কৃষি কর্মকর্তা বদলি

কৃষকের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: সেই কৃষি কর্মকর্তা বদলি সুমন কুমার সাহা ২০২৩ সালের ১৭ মে থেকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। ছবি: নিউজবাংলা
বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তার নাম সুমন কুমার সাহা, যিনি ২০২৩ সালের ১৭ মে থেকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। 

প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে বিল ভাউচার, কোথাও কোথাও নামমাত্র বাস্তবায়ন, কোথাও আবার কৃষকের ফসলি জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রদর্শনী দেখিয়ে বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠা কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে এ বদলি করা হয়।

এ আদেশের এক কপি এসেছে এ প্রতিবেদকের হাতে।

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদও বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তার নাম সুমন কুমার সাহা, যিনি ২০২৩ সালের ১৭ মে থেকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।

এ কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে গত ২ নভেম্বর ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। এরপর ৩ নভেম্বর তাকে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

তাড়াইল উপজেলায় পাঁচটি প্রকল্পে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুমন সাহা প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষি কর্মকর্তার দাবি, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সব উপকরণ বিতরণ করেন তিনি। যদিও তার এমন দাবি নাকচ করেছেন সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের ভাষ্য, কোনো প্রদর্শনীর বরাদ্দের পরিমাণ জানেন না তারা।

আরও পড়ুন:
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরাদ্দের টাকায় অনিয়মের অভিযোগ
১৬ বছরে বঞ্চিত ২৫শ’ কর্মকর্তার ‘সুবিধা’ চেয়ে আবেদন
কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’
তাড়াইলে বজ্রপাতে প্রাণ গেল জেলের
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

মন্তব্য

p
উপরে