মানবসম্পদ উন্নয়নে গুণগত শিক্ষার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বঙ্গভবনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে আসেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং। এ সময় এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এসব তথ্য জানান।
গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কারিকুলাম প্রণয়নের পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাতের সময় অ্যাকাডেমিক ও উন্নয়নসহ সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করতে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
ওই সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:নির্বাচনে অংশ নেয়া ছাড়া বিএনপির সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শুক্রবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির সামনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সমাবেশের আয়োজন করে মহিলা আওয়ামী লীগ।
নির্বাচন ছাড়া বিএনপির সব পথ বন্ধ উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘গত রমজান থেকেই বিএনপির প্রার্থীরা তাদের এলাকায় নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আসলে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া তাদের কোনো পথ খোলা নেই। এখন হয়তো পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছেন।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপি অহেতুক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বিএনপির কর্মকাণ্ড মানুষ ভুলে নাই। তাদের নেতা নাই। নেতৃত্বশূন্য দল বিএনপি। তাই এখন পানি ঘোলা করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে। কোনো লাভ হবে না, বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে।’
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সমাবেশের সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম। এ সময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকিসহ মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
দেশের এক হাজার মাদ্রাসা ও শতাধিক ইসলামি বক্তার বিভিন্ন তথ্য দিয়ে ‘ধর্ম ব্যবসায়ীদের’ দুর্নীতির তদন্তের আহ্বান জানানো গণকমিশনের আইনি ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার দুপুরে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গণকমিশনের আইনি কোনো ভিত্তি নেই। তারা একটি বই প্রকাশ করেছে ২ হাজার দিন সন্ত্রাস নামে। বইয়ের ভেতরে কী লিখেছে, তা আমি জানি না। এগুলো আমাদের দেখতে হবে।
‘তারা কাদের নামে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দায় দিয়েছেন এগুলো আমরা কেউই কোনো তদন্ত করিনি। সুতরাং এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। তারা দিয়েছেন। আমরা না দেখে বলতে পারব না। দেখে বলতে হবে।’
গণকমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে হেফাজত আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে। তারা আন্দোলনে নামলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইন কেউ হাতে নিলে আমাদের যা করণীয়, সেটাই করব। এটা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি।
‘আমরা একটি কথা জোর দিয়ে বলতে চাই, যে অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই, সে অভিযোগ আমরা আমলে নিই না।’
প্রেক্ষাপট
গত ১১ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে শ্বেতপত্র ও সন্দেহভাজন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা হস্তান্তর করে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’।
কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্যসচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ তালিকা হস্তান্তর করে।
গণকমিশনের তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে ১১৬ জনের নাম রয়েছে। শ্বেতপত্র ও তালিকাটি একই সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও দেয়া হয়েছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে গঠন করা হয় গণকমিশন।
এর আগে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক শ্বেতপত্রটির মোড়ক উন্মোচন করা হয় ১২ মার্চ।
আরও পড়ুন:রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা এক যাত্রীকে ১.২৫৮ কিলোগ্রাম স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার করেছে কাস্টম হাউসের ঢাকার প্রিভেন্টিভ টিম।
গ্রেপ্তার যাত্রীর নাম ওমর ফারুক। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার সময় এয়ার এরাবিয়ার জি-৯৫১৮ ফ্লাইটে বিমানবন্দরে নামার পর লাগেজ স্ক্যানের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এয়ারপোর্ট কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রী ওমর ফারুক গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তার লাগেজ স্ক্যান করা হয় এবং তাকেও আর্চওয়ে দিয়ে পার করানো হয়। স্ক্যানের সময় ফারুকের লাগেজ ও প্যান্টের পকেটের ভেতর স্বর্ণের ইমেজ পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে কাস্টম ব্যাগেজ কাউন্টারে ফারুকের লাগেজ খুলে ৮টি, প্যান্টের পকেট থেকে ২টি স্বর্ণের বারসহ ৯৮ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। যার ওজন ১.২৫৮ কেজি এবং বাজারমূল্য প্রায় ৯৩ লাখ টাকা।’
এ ঘটনায় ফৌজদারি মামলাসহ ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে কাস্টম আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে দরপত্র জমা দেয়ার সময় আটক করা হয়েছে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই)। তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তরের পাশাপাশি অভিযোগ দেয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে।
অভিযুক্ত পুলিশের নাম কামরুল হাসান। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়।
নগর ভবনের কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার ডিএসসিসির মালিকানাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২, ব্লক-এ, ব্লক-বি, ব্লক-সি এর বেইজমেন্টগুলোতে কার পার্কিংয়ের দরপত্র দাখিলের তারিখ ছিল।
এএসআই কামরুল এ সময় দরপত্র জমা দিতে যান। উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনার পর তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিএমপি সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ। কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ‘টেন্ডার ফেলে’ আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার এসআই দীপক বালা নিউজবাংলাকে বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে দুপুরের পরে আমাদের কাছে কামরুলক হাসানকে হস্তান্তর করা হয়। সিনিয়র স্যাররা বিষয়টি দেখছেন। তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে শুনেছি।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে বিষয়ে আমি জানি না।
আরও পড়ুন:সংবাদপত্রশিল্প অত্যন্ত খারাপ সময় পার করছে। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে এই শিল্পে একটা বেদনাদায়ক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদপত্রশিল্পকে বাঁচাতে হলে কর ছাড়ের সুবিধা দিতে হবে। তা না হলে এ শিল্প বাচঁবে না।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আলোচনায় সংবাদপত্রশিল্পে বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধ, করপোরেট কর ও অগ্রিম কর কমানো, আমদানি করা নিউজপ্রিন্টের মূল্য সংযোজন কর–ভ্যাট কমানো, যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ ও বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দেন সাংবাদিকরা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার।
চ্যানেল আইয়ের পরিচালক (বার্তা) শাইখ সিরাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আসন্ন বাজেটে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি সারের সঙ্গে খাদ্যপণ্যে ব্যাপক ভর্তুকি দেয়ার প্রস্তাব করেন।
যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা রোধে বাজেটে পৃথক বরাদ্দের প্রস্তাব করেন সমকাল ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান বলেন, ‘সংবাদশিল্প অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় কঠিন সময় পার করছে।’ সংবাদপত্রশিল্পে পঞ্জিভূত বকেয়া বিজ্ঞাপনের বিলের টাকা দ্রুত ছাড়ের দাবি জানান তিনি।
সংবাদপত্রশিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য করপোরেট করহার ১০ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ২ শতাংশ ও আমদানি করা নিউজপ্রিন্টের মূল্য সংযোজন কর কমানোর দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, ‘সংবাদশিল্প গভীর সংকটের দিকে যাচ্ছে। কর ছাড় না দিলে এই শিল্প বাঁচবে না।’
বিদ্যুতের দাম সহনীয় মাত্রায় কমানোর প্রস্তাব করেন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকার একটি চারতলার বাসার ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে নিচে পড়ে তরুণের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণের নাম মো. কাওছার। তার বয়স ২০ বছর।
তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা সদরের ইসলামপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা তল্লা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত পৌনে আটটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাওছারের প্রতিবেশী আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিকেলের দিকে বাসার ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে অসাবধানতাবশত চারতলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:পরিবারভিত্তিক কৃষিজমির পরিমাণ ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির কর মওকুফের বিধান রেখে ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
পরে সচিবালয়ে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আগের একটি অধ্যাদেশকে পরিমার্জন করে নতুন আইন করা হচ্ছে। নতুন আইন পাস হলে কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি ও পরিবারভিত্তিক কৃষিজমির পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত ট্যাক্স দিতে হবে না।
‘তবে জমি ২৫ বিঘার ওপরে থাকলে সব জমির জন্য ট্যাক্স দিতে হবে। তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিলে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হারে জরিমানা করে আদায় করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি করবরস্থান, শ্মশান, মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ, মন্দির, গির্জা বা সর্বসাধারণের প্রার্থনার স্থানকে ভূমি উন্নয়ন করের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কবরস্থানকে ট্যাক্স দিতে হবে।’
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘পারিবারিক কবরস্থানের রেকর্ড ব্যক্তিনামে থাকে। এলাকাবাসী মিলে মসজিদের পাশে যে কবরস্থান করে সেটি মসজিদের নামে হওয়ায় সেটির কর দিতে হবে না।’
একজনের নামে ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি থাকলে সরকার তা নিয়ে নেবে বলে আগের যে অধ্যাদেশ ছিল, সেটি পরিমার্জন করে নতুন আইন করা হবে বলেও জানান সচিব। বলেন, ‘৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি একজনের নামে রাখা না গেলে রপ্তানিমূলক কৃষিপণ্য বা অন্য কোনো প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প হয়, তবে সে ক্ষেত্রে ৬০ বিঘার বেশি জমি রাখা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘পল্লি এলাকায় বাস্তুভিটা হিসেবে ব্যবহারের জন্য কোনো খাস জমি পাওয়া গেলে সরকার ভূমিহীন, মুক্তিযোদ্ধা বা তার পরিবার, ভূমিহীন কৃষক ও তাদের পরিবারকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে লিজ দেবে। তবে কাউকে ৫ শতাংশের বেশি লিজ দেয়া যাবে না।’
এই আইন পাস হলে পাঁচ বছরের চুক্তি করে জমি বর্গা দিতে হবে। বর্গাদার মারা গেলে তার ওয়ারিশদারের ওপর বর্গার চুক্তি বর্তাবে।
এই আইনের আদেশ লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হবে হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্তব্য