মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেয়েও যোগদান না করা শূন্য পদগুলোয় আবারও সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ নামে পরিচিত হবে।
জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে মিলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন। এখন প্রশাসনিক কিছু কাজ শেষে চলতি মাসেই দ্বিতীয় ধাপে সুপারিশের ঘোষণা দেয়া হবে।
রোববার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির শূন্য পদগুলো পূরণে আমরা দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনও পেয়েছি।’
কবে নাগাদ সুপারিশ করা হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘চলতি মাসের ১৬ তারিখে এনটিআরসিএর বোর্ড মিটিং রয়েছে। মিটিংয়ে ফল প্রকাশের সম্ভাব্য দিন এবং সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। আশা করছি, চলতি মাসেই তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করা সম্ভব হবে।’
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করা ৩৪ হাজার ৭৩ শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। এরপর আরেক দফায় গত ১ মার্চ আরও ১১৬ শিক্ষককে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ ২০ হাজার ৯৯৬টি।
এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। আর ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদ রিট মামলায় অংশ নেয়াদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।
৫১ হাজার ৭৬১টি পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও গত বছরের ১৫ জুলাই সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীকে। তাদের মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জন এবং নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জনকে সুপারিশ করা হয়।
৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি নারী কোটায় প্রার্থী না পাওয়ায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফল দেয়নি এনটিআরসিএ।
আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য তিনটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট দেয়ার বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতির নেতারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পিএইচডি অর্জনের জন্য তিনটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট দেয়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বাস্তবায়ন অনুবিভাগের মাধ্যমে জারি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অনুরূপ ইনক্রিমেন্টের বিষয়ে একই বছরের ২৯ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইনক্রিমেন্টের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে বর্তমানে তা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে চলতি বছরের ১৮ মে ইউজিসির এক চিঠিতে জানানো হয়।
জবির শিক্ষক সমিতির নেতারা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয় হল গবেষণার তীর্থস্থান। জ্ঞান আহরণ, নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি ও বিতরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ। নিরন্তর গবেষণা নতুন উদ্ভাবনের দ্বার উন্মোচিত করে এবং পিএইচডি গবেষণা এই দ্বার উন্মোচনের কলাকৌশল শিক্ষণের প্রধানতম সোপান হিসেবে কাজ করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা জানান, আমরা মনে করি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ ও শেখ হাসিনা ঘোষিত জ্ঞানভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রবর্তনে দেশে একটি গবেষণাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং গবেষণা মনস্ক বিজ্ঞানী তৈরির জন্য এই প্রণোদনা দেয়া খুব জরুরি ও অত্যাবশ্যক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপেক্ষা করে শুধু সরকারি কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি হতাশাজনক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
জবির শিক্ষক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইউজিসি শিক্ষকদের সম্মান রক্ষায় বিষয়টি সুরাহা না করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইনক্রিমেন্ট দেয়ার সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনাসংক্রান্ত চিঠি পাঠানোর বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছে।
আরও পড়ুন:ব্রিটিশ কাউন্সিলের টিএমটিই প্রকল্পের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষকদের তৃতীয় গ্রুপের ইংরেজি প্রশিক্ষণের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হয়েছে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানা যায়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং দ্য ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘ট্রেইনিং অফ মাস্টার ট্রেইনার্স ইন ইংলিশ (টিএমটিই)’ প্রকল্পের অধীনে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষকরা ১৪ সপ্তাহ এ প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষকদের সনদ দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর তৃতীয়বারের মতো এই গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। ঢাকা, গাজীপুর, শেরপুর, যশোর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী ও মৌলভীবাজারের প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) এই প্রশিক্ষণ হয়।
ঢাকা পিটিআইতে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম।
টিএমটিই প্রকল্পে মূলত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই হাজারের বেশি শিক্ষককে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষাদান কৌশল শেখাতে এটি বড় আয়োজন।
এবার ১০টি জেলা থেকে চার শরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় সংখ্যায় শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি ‘চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ নামে পরিচিত হবে। এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে ইতোমধ্যে মানববন্ধনও করেছে চাকরিপ্রার্থীরা।
জানতে চাইলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরামের সভাপতি এম এ আলম বলেন, ‘এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মহোদয় বলেছিলেন মার্চেই চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এখনও তা করা হলো না। এ জন্য আমরা ইতোমধ্যে মানববন্ধন করেছি ও স্মারকলিপি দিয়েছি। শিগগিরই চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই মাস আগে বেসরকারি স্কুল-কলেজে শূন্য পদের তালিকা চেয়ে জেলাপ্রশাসক বরাবর চিঠি দেয় এনটিআরসিএ। কিন্তু হঠাৎ করে আবারও তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যে সব শিক্ষক যোগদান করেননি, সেখানে আবার সুপারিশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ জন্য চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ পিছিয়ে যায়। এ ছাড়া এবার ই-রিকুইজিশন এর মাধ্যমে শূন্য পদের তালিকা আনার সিদ্ধান্তও চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিলম্বের অন্যতম কারণ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অনেক প্রতিষ্ঠান ভূল চাহিদা দেয়ায় সুপারিশপ্রাপ্ত অনেক শিক্ষক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারেনি। চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যেন এ সমস্যা সৃষ্টি না হয়, এ জন্য আমরা প্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন করার উদ্যোগ নিয়েছি, যা শেষ হবে আগামী ৩১ মে। এর পর অনলাইনে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শূন্য পদের তালিকা চাইব। এরপরই চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’
কবে নাগাদ চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দিন-তারিখ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। তবে আমরা আশা করছি আগামী জুলাইয়ের মধ্যে চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে।’
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান মার্চের শেষে ‘চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন।
গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগে গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ওই বিজ্ঞপ্তির আওতায় ফল প্রকাশ হয় গত বছরের ১৫ জুলাই। সেখান থেকে ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় ২০ হাজার ৯৯৬ এবং সংরক্ষিত ২ হাজার ২০৭ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা ছিল।
গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয় দুই দফায়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গন।
সশরীরে ক্লাস প্রথম চালু হয় মাধ্যমিক স্কুলে। এরপর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। সবার পর সশরীরে ক্লাস শুরু হয় প্রাথমিকে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস।
২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। গত ২ মার্চ থেকে আবার শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস। আর করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর প্রাক-প্রাথমিকে ক্লাস শুরু হয় ১৫ মার্চ।
আরও পড়ুন:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। সেই হিসাবে প্রতি পদের জন্য লড়ছেন ২৯ জন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় প্রথম ধাপে ২২টি জেলার মধ্যে ১৪টির সব উপজেলা এবং ৭টি জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এদিন ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১০০ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
আর প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে আগামী ৩ জুন। ওই দিন বন্যার কারণে সিলেট জেলার স্থগিত পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় ধাপে যেসব জেলায় পরীক্ষা
দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, খুলনা, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, বরিশাল ও রংপুর জেলার সব উপজেলায় পরীক্ষা হবে।
নওঁগা জেলার সদর, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, রানীনগর, পোরশা, সাপাহার উপজেলা; নাটের জেলার বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, গুরুদাশপুর, লালপুর; সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, সদর ও তাড়াশ উপজেলা; কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, সদর ও মিরপুর; ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু, সদর, কালীগঞ্জ; যশোর জেলার অভয়নগর, চৌগাছা, সদর, বাঘারপাড়া; সাতক্ষীরা জেলার সদর, দেবহাটা, কলারোয়া, কালীগঞ্জ; বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া, শরণখোলা; জামালপুর জেলার সদর, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ; ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা, সদর, নান্দাইল, ফুলপুর, তারাকান্দা, ত্রিশাল উপজেলা; নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি, মদন, মোহনগঞ্জ, সদর, পূর্বধলা উপজেলা; কিশোরগঞ্জ জেলার সদর, কুলিয়ারচর, মিঠামইন, নিকলী, পাকুন্দিয়া, তাড়াইল; টাঙ্গাইল জেলার কালীহাতি, মধুপুর, মির্জাপুর, নাগরপুর, সফিপুর, বাসাইল উপজেলা; রাজবাড়ি জেলার কালুখালি, গোয়ালন্দ; কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার, হোমনা, লাকসাম, লালমাই, সদর দক্ষিণ, মনোহরগঞ্জ, মুরাদনগর, নাঙ্গলকোট, তিতাস উপজেলা; নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, কোম্পানীগঞ্জ, হাতিয়া উপজেলা; পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর, নেছারাবাদ, সদর; পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, মির্জাগঞ্জ, সদর, রাঙ্গাবালি, দুমকি উপজেলা; সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, শাল্লা, সদর, তাহিরপুর উপজেলা; হবিগঞ্জ জেলার সদর, লাখাই, মাধবপুর, নবীগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা; কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী, রাজারহাট, রাজিবপুর, রৌমারী, উলিপুর উপজেলা; গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পরীক্ষা হবে।
গত ১২ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০-এর প্রথম পর্বে ২২ জেলার লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪০ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
গত ১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় এপ্রিলে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এ সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে সাড়ে ৩২ হাজার জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রাক-প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০টি এবং প্রাথমিকে ৬ হাজার ৯৪৭টি শূন্য পদের কথা উল্লেখ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক পদে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ১৩তম গ্রেডে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হবে। এই গ্রেড অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন হবে ১১ হাজার থেকে ২৬ হাজার ৫৯০ টাকা।
নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং করোনার কারণে সাধারণ ছুটি শুরুর তারিখ অর্থাৎ চলতি বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর, তারা আবেদন করতে পারবেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ কমিটি সংশোধন করা হয়েছে। এতে জেলা সদরের পিটিআই, সুপারিনটেনডেন্টকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সই করা প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
গত ১২ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০-এর প্রথম পর্বে ২২ জেলার লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪০ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
সিলেট জেলা বাদে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে আগামী ২০ মে আর তৃতীয় ধাপে ৩ জুন।
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আগামী ২৬ জুনের মধ্যে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ- এনটিআরসিএ।
বুধবার এনটিআরসিএর পরিচালক (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) কাজী কামরুল আহছানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তৃতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় যারা এমপিও পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন, কিন্তু পদ সংক্রান্ত জটিলতা, জাতীয়করণ, ভুল চাহিদা ইত্যাদি কারণে এমপিওভুক্ত হতে পারেননি কিংবা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারেননি, তাদেরকে আগামী ২৬ জুন বিকেল ৫টার মধ্য ছক অনুসারে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণসহ আবেদনপত্র পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।
আরও বলা হয়, আবেদনপত্রের সঙ্গে এনটিআরসিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত নিয়োগ সুপারিশপত্র, যে আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন সে আবেদনপত্র বা এপ্লিকেন্টস কপি এবং এনটিআরসিএ’র নিবন্ধন সনদের কপি দাখিল করতে হবে। যারা এ বিষয়ে আগে এনটিআরসিএ-তে আবেদন করেছেন, তাদেরকেও ছক অনুযায়ী তথা প্রমাণসহ পুনরায় আবেদন করতে হবে।
যারা নন-এমপিও পদে আবেদন করে নন-এমপিও পদে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এ ধরণের আবেদন করার প্রয়োজন নেই বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
গত ৩১ জানুয়ারি তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৭৩টি পদে বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।
গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
আরও পড়ুন:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সব শিক্ষকের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এ আহ্বান জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ড. রোজিনা পারভীনের রুহের মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বোনম্যারো ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রোজিনা পারভীন মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি যেন শিক্ষকদের স্বাস্থ্যবিমার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়, সে বিষয়ে আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।’
ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম, লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য