বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেয়েও বিভাগ পরিবর্তনের কারণে ইনডেক্সধারী মাদ্রাসা শিক্ষকরা বদলি হতে পারছেন না। এ নিয়ে শিক্ষকরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করেও সমস্যার সমাধান পচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, ‘অনেকেরই চাকরির অভিজ্ঞতা ৩ থেকে ৫ বছর এবং অনেকে ৩-৪টি ইনক্রিমেন্ট পেয়েছেন। তাদের এ ইনক্রিমেন্ট বহাল না থাকলে আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির শিকার হবেন। তা ছাড়া চাকরির সময়কালে জ্যেষ্ঠতা এবং অবসরকালীন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নীতিমালায় ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের ট্রান্সফারের কথা বলা হলেও আমরা ট্রান্সফার হতে পারছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.emis.gov.bd) এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.memis.gov.bd) দুটিতে ডেটালিংক না থাকায় আগের ইনক্রিমেন্ট বহাল রেখে সরাসরি এমপিওভুক্তি করা যাচ্ছে না। তাই মাদ্রাসায় আবার নতুন করে এমপিওভুক্ত হতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নীতিমালায় বিষয়গুলো (ইনডেক্সধারীদের ট্রান্সফার) নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা আছে। তবুও শিক্ষকদের এ সমস্যা নিয়ে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এর সমাধানে কাজ করছে।’
ইনডেক্স জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে করা কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উন্নয়ন) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা একটি সমাধানে আসতে পারব।’
জানা গেছে, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের জন্য এনটিআরসিএ-এর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিধিমতে ইনডেক্স নম্বর দিয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পর এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে এমপিওভুক্ত বিভিন্ন মাদ্রাসায় চূড়ান্ত নিয়োগের সুপারিশ করে। কিন্তু সেসব প্রতিষ্ঠানে আগের ইনডেক্স নিয়ে যোগদান করতে পারছেন না তারা।
পার্বত্য এলাকায় শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ এলাকায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা, প্রতিষ্ঠানের ধরন, কী ধরনের লেখাপড়ার প্রয়োজন এগুলো যাচাই করা হবে। এরপর পার্বত্য এলাকার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নে একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে। যার ভিত্তিতে পার্বত্য এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নেবে সরকার।
সরকারের এ উদ্যোগের কথা নিউজবাংলাকে জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রূপক রায়।
জানতে চাইলে পার্বত্য এলাকার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নে গঠিত কমিটির সভাপতি ও মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল ///খবির চৌধুরী বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা কারণে এখনও পার্বত্য এলাকায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে রয়েছে। এর থেকে উত্তরণে আমরা বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এর অংশ হিসেবে পার্বত্য এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তিসহ শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য একটি নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
শিক্ষাবিদরা বলছেন, সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে পার্বত্য এলাকার শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আসবে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিক আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের এ উদ্যোগ অবশ্যই ইতিবাচক। তবে এটা যে শুধু পার্বত্য এলাকার জন্য দরকার তা কিন্তু নয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা ও পরিবেশ রয়েছে, এগুলো চিহ্নিত করে মাউশির একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম নেয়া উচিত। পার্বত্য এলাকা এর মধ্যে অন্যতম।
‘পার্বত্য এলাকার জীবনাচরণের যে বৈচিত্র্য রয়েছে, তা কখনই ঢাকার শিক্ষার্থীদের মতো হবে না। এই যে পরিবর্তিত পরিবেশ, সেখানে শিক্ষাকে সংযুক্ত করতে হলে অবশ্যই আলাদা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
এ উদ্যোগ শুধু পার্বত্য এলাকায় নয়, দেশের অন্য জায়গাতেও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তারিক আহসান।
একই ধরনের মন্তব্য করেন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ একরামুল কবির। তিনি বলেন, এ উদ্যোগ অবশ্যই ইতিবাচক। কেননা যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা কারণে শুধু পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীরা এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাদের সমানভাবে এগিয়ে নিতে এ উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং পার্বত্য এলাকায় শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আসবে।
জানা যায়, সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ১২ সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে মাউশি। এতে সভাপতি হিসেবে আছেন মাউশির পরিচালক (কলেজ ও সাধারণ প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। আর সদস্যসচিব হিসেবে আছেন মাউশির উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আনিকা রাইসা চৌধুরী। আরও আছেন মাউশির উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, উপপরিচালক (কলেজ-১) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, উপপরিচালক (কলেজ-২) মো. এনামুল হক হাওলাদার, উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন, উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মোনালিসা খান, উপপরিচালক (শারীরিক শিক্ষা) আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া, উপপরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন) সেলিনা জামান, উপপরিচালক (প্রশাসন, সেসিপ) প্রফেসর ড. সামসুন নাহার, উপপরিচালক (ইকুইটি, সেসিপ) মো. আমিনূল ইসলাম, উপপরিচালক (প্রোগ্রাম, সেসিপ) শিপন কুমার দাস।
আরও পড়ুন:নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী ভোটার তালিকা হালনাগাদে সরকারি, বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১৬ মে‘র স্মারকপত্রে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ২০২২ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করা হল।
জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের এবং বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন নিবন্ধনের জন্য তাদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ১৪০টি উপজেলা বা থানার তথ্যসংগ্রহ করা হবে। অবশিষ্ট উপজেলা বা থানার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার বা জেলা নির্বাচন অফিসাররা স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।
শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করার জন্য তাগাদা দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যেন দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, সেদিকে নজর দিতে শিক্ষকদের অনুরোধ করেন তিনি।
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) মঙ্গলবার শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে বাংলাদেশ। বর্তমান প্রজন্মের মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন।
‘বিকল্প সুযোগের স্বল্পতা থাকায় বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষায় অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী। তবে বিপুল শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থান সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে শিক্ষকদের সেদিকে মনোযোগী হতে হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘শিক্ষকতা একজন মানুষকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে, যা অন্য পেশায় সম্ভব নয়। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মনমানসিকতা বুঝে পাঠদান করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গলবার। তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিতর্কিত দুই প্রার্থীসহ আওয়ামীপন্থী নীল দলের তিনজন জিততে পারেননি।
মঙ্গলকার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট এক হাজার ৪৭০ জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৩৪৬ শিক্ষক ভোট দেন।
ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ মঙ্গলবার বিকেলে ভোটের ফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলে দেখা যায়, ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নীল দলের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৩২ জন। বাকি তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের প্যানেল থেকে।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফুর রহমান বলেন, গণতান্ত্রিক এবং বন্ধুত্বসুলভ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই।
সাদা দলের প্যানেল থেকে মাত্র তিনজন প্রার্থী ছাড়া বাকিদের হেরে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূলত দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা, শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে জুনিয়র শিক্ষকরা শিক্ষক নেতাদের পেছনে ঝুঁকে থাকা এবং মানসিক চাপের কারণে এই ফল।
এদিকে নির্বাচনে হেরে যাওয়া নীল দলের তিন প্রার্থীর মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল। তারা হলেন-ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক মো. আকরাম হোসেন।
যৌন হয়রানির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নীল দল থেকে তাদের মনোনয়ন দেয়ায় দলের একটি অংশের মধ্যে শুরু থেকেই চাপা ক্ষোভ ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নীল দলের এক শিক্ষক বলেন, এই দুই বিতর্কিত শিক্ষকের পরিবর্তে শক্তিশালী প্রার্থী দিলে নীল দল প্রায় পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হতে পারতো।
নীল দলের প্যানেল থেকে হেরে যাওয়া অন্য প্রার্থী হলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
এদিকে সাদা দল থেকে নির্বাচিতরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান (৭৭৭ ভোট), পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম (৬৩৫ ভোট) এবং প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ (৬২৭ ভোট)।
নীলদলের প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা হলেন- পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া (৯১২ ভোট), পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইসতিয়াক মঈন সৈয়দ (৮৩১ ভোট); টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া (৮২৫ ভোট), রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক লাফিফা জামাল (৮১৩ ভোট), অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জিয়াউর রহমান (৮০২ ভোট), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল বাছির (৭৭৭ ভোট), উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মিহির লাল সাহা (৭৭৫ ভোট), গণিত বিভাগের অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার (৭৭৪ ভোট), ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক আবদুস ছামাদ (৭৬৫ ভোট), কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু (৭৫৯ ভোট)।
আরও রয়েছেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা (৭৪১ ভোট), প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসান (৭৩৯ ভোট), অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মাদ আবদুল মঈন (৭৩৯ ভোট), পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন (৭১১ ভোট), আইন বিভাগের অধ্যাপক সীমা জামান (৭০৬ ভোট), সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন (৬৯৮ ভোট), অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের অধ্যাপক নিসার হোসেন (৬৯৮ ভোট), ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ (৬৮৮ ভোট), প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ফিরোজ জামান (৬৮২ ভোট), আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তৌহিদা রশিদ (৬৭৩ ভোট), অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান (৬৭৩ ভোট), ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক এস এম আবদুর রহমান (৬৭২ ভোট), ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খান (৬৬৭ ভোট), ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান (৬৬৪ ভোট), মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান (৬৬০ ভোট)।
নীলদল থেকে নির্বাচিত বাকিরা হলেন- ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (৬২৭ ভোট), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুর রহিম (৬৪৬ ভোট), ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজা ইয়াসমীন (৬৪১ ভোট), ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সিকদার মনোয়ার মুর্শেদ ওরফে সৌরভ সিকদার (৬২০ ভোট), ইসলাম শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুর রশীদ (৬১৮ ভোট), শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম (৬১৩ ভোট) এবং ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম (৬০৯ ভোট)।
আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য তিনটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট দেয়ার বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতির নেতারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পিএইচডি অর্জনের জন্য তিনটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট দেয়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বাস্তবায়ন অনুবিভাগের মাধ্যমে জারি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অনুরূপ ইনক্রিমেন্টের বিষয়ে একই বছরের ২৯ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইনক্রিমেন্টের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে বর্তমানে তা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে চলতি বছরের ১৮ মে ইউজিসির এক চিঠিতে জানানো হয়।
জবির শিক্ষক সমিতির নেতারা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয় হল গবেষণার তীর্থস্থান। জ্ঞান আহরণ, নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি ও বিতরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ। নিরন্তর গবেষণা নতুন উদ্ভাবনের দ্বার উন্মোচিত করে এবং পিএইচডি গবেষণা এই দ্বার উন্মোচনের কলাকৌশল শিক্ষণের প্রধানতম সোপান হিসেবে কাজ করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা জানান, আমরা মনে করি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ ও শেখ হাসিনা ঘোষিত জ্ঞানভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রবর্তনে দেশে একটি গবেষণাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং গবেষণা মনস্ক বিজ্ঞানী তৈরির জন্য এই প্রণোদনা দেয়া খুব জরুরি ও অত্যাবশ্যক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপেক্ষা করে শুধু সরকারি কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি হতাশাজনক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
জবির শিক্ষক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইউজিসি শিক্ষকদের সম্মান রক্ষায় বিষয়টি সুরাহা না করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইনক্রিমেন্ট দেয়ার সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনাসংক্রান্ত চিঠি পাঠানোর বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছে।
আরও পড়ুন:ব্রিটিশ কাউন্সিলের টিএমটিই প্রকল্পের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষকদের তৃতীয় গ্রুপের ইংরেজি প্রশিক্ষণের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হয়েছে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানা যায়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং দ্য ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘ট্রেইনিং অফ মাস্টার ট্রেইনার্স ইন ইংলিশ (টিএমটিই)’ প্রকল্পের অধীনে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষকরা ১৪ সপ্তাহ এ প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষকদের সনদ দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর তৃতীয়বারের মতো এই গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। ঢাকা, গাজীপুর, শেরপুর, যশোর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী ও মৌলভীবাজারের প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) এই প্রশিক্ষণ হয়।
ঢাকা পিটিআইতে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম।
টিএমটিই প্রকল্পে মূলত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই হাজারের বেশি শিক্ষককে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষাদান কৌশল শেখাতে এটি বড় আয়োজন।
এবার ১০টি জেলা থেকে চার শরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় সংখ্যায় শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি ‘চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ নামে পরিচিত হবে। এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে ইতোমধ্যে মানববন্ধনও করেছে চাকরিপ্রার্থীরা।
জানতে চাইলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরামের সভাপতি এম এ আলম বলেন, ‘এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মহোদয় বলেছিলেন মার্চেই চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এখনও তা করা হলো না। এ জন্য আমরা ইতোমধ্যে মানববন্ধন করেছি ও স্মারকলিপি দিয়েছি। শিগগিরই চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই মাস আগে বেসরকারি স্কুল-কলেজে শূন্য পদের তালিকা চেয়ে জেলাপ্রশাসক বরাবর চিঠি দেয় এনটিআরসিএ। কিন্তু হঠাৎ করে আবারও তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যে সব শিক্ষক যোগদান করেননি, সেখানে আবার সুপারিশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ জন্য চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ পিছিয়ে যায়। এ ছাড়া এবার ই-রিকুইজিশন এর মাধ্যমে শূন্য পদের তালিকা আনার সিদ্ধান্তও চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিলম্বের অন্যতম কারণ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অনেক প্রতিষ্ঠান ভূল চাহিদা দেয়ায় সুপারিশপ্রাপ্ত অনেক শিক্ষক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারেনি। চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যেন এ সমস্যা সৃষ্টি না হয়, এ জন্য আমরা প্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন করার উদ্যোগ নিয়েছি, যা শেষ হবে আগামী ৩১ মে। এর পর অনলাইনে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শূন্য পদের তালিকা চাইব। এরপরই চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’
কবে নাগাদ চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দিন-তারিখ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। তবে আমরা আশা করছি আগামী জুলাইয়ের মধ্যে চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে।’
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান মার্চের শেষে ‘চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন।
গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগে গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ওই বিজ্ঞপ্তির আওতায় ফল প্রকাশ হয় গত বছরের ১৫ জুলাই। সেখান থেকে ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় ২০ হাজার ৯৯৬ এবং সংরক্ষিত ২ হাজার ২০৭ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা ছিল।
গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয় দুই দফায়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গন।
সশরীরে ক্লাস প্রথম চালু হয় মাধ্যমিক স্কুলে। এরপর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। সবার পর সশরীরে ক্লাস শুরু হয় প্রাথমিকে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস।
২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। গত ২ মার্চ থেকে আবার শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস। আর করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর প্রাক-প্রাথমিকে ক্লাস শুরু হয় ১৫ মার্চ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য