কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন।
তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মোছাম্মৎ রোখসানা বেগম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমতিক্রমে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২১ এর ১০ (১) ধারা অনুসারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেনকে কৃড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হলো।
উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর হবে, তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একই বিষয়ে দুই শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমপিও কাঠামো অনুযায়ী একজন মৌলভী শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই বিদ্যালয়ে আট বছর ধরে দুজন মৌলভী শিক্ষক বেতন উত্তোলন করছেন।
তেঁতুলিয়ার ফকিরপাড়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটেছে এমন ঘটনা। শিক্ষক দুজন হলেন আইবুল হক ও জাহাঙ্গীর হোসেন। এ পর্যন্ত তারা ৪২ লাখ টাকা বেতন উত্তোলন করেছেন বলে বিদ্যালয় সুত্র জানিয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তবে শিক্ষা অধিদপ্তরের মুদ্রণ ত্রুটির কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধানশিক্ষক আজিজুল হক।
বিদ্যালয় সুত্র জানায়, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৭ সালে আইবুল হককে সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০৪ সালে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক হিসেবে দায়িত্বও পালন করেন তিনি। পরে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবেও কিছুকাল দায়িত্ব পালন করতে হয় তাকে।
একসময় সামাজিক বিজ্ঞানে ৩ জন শিক্ষক থাকায় আইবুল হক কোন বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, তা নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাঝে দ্বিধার সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে ২০০৯ সালে ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষকের তালিকা চাওয়া হলে আইবুল হককেও মৌলভী শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়।
২০১৫ সাল থেকে দুজনই মৌলভী শিক্ষক (এমআরটি) হিসেবে বেতন তুলছেন। এর মধ্যে টাইম স্কেলের জন্য আইবুল হক আবেদন করলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে তাকে মৌলভী শিক্ষকের পদ পরিবর্তন করার নির্দেশনা দেয়। কিন্তু সে নির্দেশনা উপেক্ষা করেই তিনি প্রতি মাসে বেতন তুলছেন।
চলতি বছরের এমপিও শিট অনুযায়ী আইবুল হক ২৬,৭৯০ টাকা এবং জাহাঙ্গীর হোসেন ২৩,৩৩৪ টাকা করে প্রতি মাসে বেতন তুলছেন।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ নিয়োগের মাধ্যমে ২০০৯ সালে আমি মৌলভী শিক্ষক (এমআরটি) হিসেবে নিয়োগ পেয়ে শিক্ষকতা করে আসছি। আমি আইবুল হককে বলেছিলাম, আপনার পদ সংশোধন করে নেন। কিন্তু তিনি সে সময় আমাকে বলেন যে এটা প্রধানশিক্ষকের ব্যাপার।’
বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষক আইবুল হক বলেন, ‘আমি মৌলভী শিক্ষক নই। বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করি আমি। আমার পদ সংশোধনের জন্য এর মধ্যে আমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় শিক্ষক দানিয়েল হোসেন বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম বৈধ শিক্ষক। আমি মনে করি ফকিরপাড়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয়ে মৌলভী শিক্ষকের পদ যেহেতু একটি, তাই একজন মৌলভী শিক্ষকের বেতন হওয়া উচিত।’
প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক বলেন, ‘আমাদের ভুল হয়েছে। আট বছর ধরে শিক্ষক আইবুল হক তার পদ সংশোধনের তেমন কোনো চেষ্টা করেননি। তবে এ বছর আমরা তার পদ সংশোধনের আবেদন করেছি। আমরা ভুল সংশোধনের চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিন আকতার বলেন, ‘নথিপত্র না দেখে এবং তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না।’
আরও পড়ুন:নোয়াখালীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের ছবি তুলে নকল সরবরাহের অভিযোগে একটি স্কুলের দপ্তরিকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ওই কক্ষে দায়িত্বরত দুই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বুধবার সদর উপজেলার চর মটুয়া ইউনিয়নের পানামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ।
সাজাপ্রাপ্ত নূর করিম উপজেলার চর কাউনিয়া গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। তিনি শান্তির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অফিস সহকারী নূর করিমকে টয়লেটে প্রশ্নোত্তর লিখতে দেখে কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য বিষয়টি মোবাইল ফোনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। ইউএনও’র নির্দেশে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ। এ সময় নুর করিমের মোবাইল ফোনে পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর পাওয়া যায়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ বলেন, ‘নূর করিম প্রথম পরীক্ষা থেকেই এভাবে প্রশ্নের ছবি তুলে সমাধান করতেন। তার মোবাইল ফোনে আগে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর ছবি ও উত্তর পেয়েছি। তবে তার সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও উত্তর সংবলিত লিখিত কাগজ আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।’
ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মোবাইল ফোনে পরীক্ষার প্রশ্নের ছবি তুলে নকল সরবরাহের অভিযোগ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকার করেন নুর করিম। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। প্রশ্ন সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলা করায় দুই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।’
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েবের বিরুদ্ধে গুরুতর বিভিন্ন অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।
বুধবার দুপুরে রেজিস্ট্রারকে শোকজের চিঠি দেন উপাচার্য। চিঠিতে রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে অসহযোগিতা, দায়িত্বে অবহেলা, উপাচার্যের সঙ্গে অসৌজন্যতা ও সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে না থাকাসহ গুরুতর ৮টি অভিযোগ এনে সাত দিনের মধ্যে চিঠির লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে দেয়া অপর একটি অবহিতকরণ চিঠিতে রেজিস্ট্রারকে ১ জুন থেকে অধ্যাপক ও সমমানের কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্ধকৃত ফাঁকা বাসাগুলোর একটিতে উঠে সর্বক্ষণ ক্যাম্পাসে অবস্থানের জন্য বলা হয়েছে।
কারণ দর্শানো নোটিশের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, ‘এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা নিজেরাই এগুলোর সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের গতি বৃদ্ধি করবো।’
তার বিচরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে চাননি রেজিস্ট্রার।
উপাচার্য স্বাক্ষরিত ওই কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান। উপাচার্যের অনুরোধ সত্ত্বেও এ সময়গুলোতে রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন না, যা অসৌজন্যমূলক ও শিষ্টাচারবহির্ভূত।
উপাচার্যের বাসভবনে ওঠার সময় প্রয়োজনীয় জনবল রদবদল করতে উপাচার্যকে সহযোগিতা করেননি রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব। উপাচার্য বাসভবনে উঠার পর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হলে তাতেও উপস্থিতত থাকেননি তিনি, যা সৌজন্যতার মধ্যে পড়ে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
শোকজের চিঠিতে উপাচার্য আরও অভিযোগ করেন, ‘আপনি কখন অফিসে আসেন, কখন অফিস ত্যাগ করেন, বিষয়টি আপনি কখনোই উপাচার্যকে অবহিত করেন না। প্রায়ই মধ্যাহ্নবিরতির পর অফিসে অবস্থান করেন না। এমনকি প্রায়ই কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকেন। ৮ মে-ও আপনি কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।’
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করে থাকেন, কিন্তু অনেক আবেদনই রেজিস্ট্রার যথাসময়ে উপস্থাপন করেন না বা যথাযথ ব্যবস্থা নেন না। এমনকি, কোনো কোনো আবেদন উপাচার্যের কাছে উপস্থাপনই করেন না।
এ ছাড়া প্রায়ই যথাসময়ে উপাচার্যের দপ্তরে নথি পৌঁছানো হয় না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নথি উপস্থাপন করার জন্য বারবার নির্দেশনা দিলেও রেজিস্ট্রার তা এড়িয়ে যান। গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে উপাচার্য কোনো নথি দেখতে চাইলেও তিনি তা সরবরাহ করেন না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত উপাচার্য অনুমোদন দেয়ার পরও সেগুলোর চিঠি জারি ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে দেরি করেন। সেই সঙ্গে জারি করা চিঠি যথাসময়ে বিতরণ করার ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা নেন না রেজিস্ট্রার।
তার এসব কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৬ ও কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) বিধির পরিপন্থী হওয়ায় কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে নোটিশে।
এদিকে, শোকজের সঙ্গে দেয়া অপর চিঠিতে রেজিস্ট্রারকে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে থাকার কথা বলে উপাচার্য লেখেন, রেজিস্ট্রার ক্যাম্পাস কোয়ার্টারে অবস্থান না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে যেমন ব্যাঘাত ঘটছে, তেমনি সরকারও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে অধ্যাপক ও সমমানের কর্মকর্তাদের ফাঁকা বাসার যেকোনো একটি পছন্দ করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
এসব বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞার সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ড. সালাউদ্দিন আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ‘উপাচার্য স্যার মিটিংয়ে আছেন’ বলেন জানান তিনি।
আরও পড়ুন:গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফাকে ওই কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ।
কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে সোমবার দুপুরের দিকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। এমন অভিযোগ এনে একই দিন থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। ওই মামলার আসামি হিসেবে ওই শিক্ষককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মামলা হওয়ার পর ভিকটিম শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
খুলনার কয়রায় উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক অধ্যাপককে কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ড. মো. নজরুল ইসলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক। আর অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ। তিনি মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের মহারাজপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বাড়িসংলগ্ন রাস্তায় প্রথমে হামলা এবং পরে তার বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয় ড. নজরুল ইসলামের ওপর।
গুরুতর আহত অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার উদ্দেশে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী অধ্যাপক নজরুল জানান, শুক্রবার কয়রা উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। তিনি সেখানে নিয়োগবিধি অনুযায়ী ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষ পদে লিখিত পরীক্ষায় কেউ পাস করেনি। তারপরও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ তার পছন্দের প্রার্থী মাদ্রাসাটির উপাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে নিয়োগ দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। এ সময় অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বিধি মোতাবেক নিয়োগ পরীক্ষার ফল অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে চান।
এরপর তিনি নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধির গাড়িতে করে ফেরার পথে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে পৌঁছলে তাদের গাড়ি থামিয়ে প্রথমে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ ওই শিক্ষককে চড় মারেন এবং তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। এ সময় ওই অধ্যাপককে ফেলে রেখে ডিজির প্রতিনিধি চেয়ারম্যানের কথামতো নিয়োগের কাগজে স্বাক্ষর করে চলে যান।
কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা ২০-২৫ জন লোক তাকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামায়। এরপর চেয়ারম্যানের বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালানো হয়। তারা জোরপূর্বক নিয়োগের কাগজে তার স্বাক্ষরও নিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে জানতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে এর আগে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হামলা বা নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। নিয়োগ পরীক্ষা শেষে তিনি আমার বাড়িতে নাশকতা করতে এসেছিলেন। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনেছি। অধ্যাপক নজরুল এখন ঢাকায় ফেরার পথে আছেন। তার ওপর হামলার বিষয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএমএস দোহা বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি শুনেছি। হামলার শিকার ওই শিক্ষক দ্রুতই অভিযোগ দায়ের করবেন। অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ তার শৈশবের স্মৃতি জড়ানো বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রামের সরকারি মুসলিম হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক মোহাম্মদ ইসহাকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই প্রবীণ শিক্ষক শনিবার মারা যাওয়ার খবর পেয়ে চট্টগ্রাম সফররত তথ্যমন্ত্রী তার প্রিয় শিক্ষকের বাসভবনে ছুটে যান। তিনি প্রয়াত শিক্ষকের মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ড. হাছান এক শোকবার্তায় বলেন, ‘১৯৬৫ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মুসলিম হাইস্কুলে শিক্ষকতা করা মোহাম্মদ ইসহাক ছিলেন অত্যন্ত শিক্ষিত, প্রজ্ঞাবান, নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্সের পর লেবাননের বৈরুতে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন মোহাম্মদ ইসহাক।
‘শিক্ষকতায় আসা এই মানুষটি চাইলে তৎকালীন সিভিল সার্ভিসের একজন সেরা অফিসার হতে পারতেন। কিন্তু শিক্ষকতার মাধ্যমে দেশ ও জাতির সেবাকেই জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। আদর্শ শিক্ষকের অনন্য উদাহরণ হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
১৯৭৮ সালে এসএসসির পর স্কুলজীবন শেষে বহু বছর পেরিয়ে গেলেও শত ব্যস্ততার মধ্যেও মন্ত্রী হাছান মাহমুদ মাঝেমধ্যেই তার প্রিয় শিক্ষক মোহাম্মদ ইসহাককে দেখতে গেছেন।
১৯৩৯ সালের ১৭ জুন নোয়াখালীর রামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ ইসহাক। তিন দশকের শিক্ষকতা জীবনে তিনি চট্টগ্রামের সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে ইংরেজির প্রবাদপ্রতিম শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন:কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানি মামলায় কারাগারে থাকলেও সেই সময়ের বেতন-ভাতা গ্রহণ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুকুজ্জামান দাড়িয়া। দীর্ঘ এক যুগ ঘটনাটি আড়ালে থাকলেও সম্প্রতি তা আলোচনায় এসেছে।
অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন উপাচার্যের (ভিসি) সঙ্গে মো. ফারুকুজ্জামান দাড়িয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় তিনি বরখাস্ত হননি। যদিও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি বিধিমালায় উল্লেখ রয়েছে, কোনো কর্মকর্তা কারাগারে থাকলে সেই সময়ের জন্য তাকে বরখাস্ত করতে হবে।
আদালতের নথিপত্র, মামলার এজাহার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর মো. ফারুকুজ্জামান দাড়িয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়। মামলায় অভিযোগ ছিল, এক কলেজ ছাত্রীকে তিনি প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন। ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে তিনি নিজের বাড়ির ছাদে গিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন।
পরবর্তীতে ছাত্রীর মা ১ অক্টোবর থানায় তার মামলা দায়ের করেন। পরদিন ওই মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে ২১ দিন কারাগারে ছিলেন। পরে জামিন পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অসুস্থ থাকার কথা বলে সনদ দাখিল করে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন।
মামলার বাদী বলেন, ‘বেতন-ভাতা গ্রহণের ঘটনাটি জানতে পেরে ২০১৪ সালে আমি সাবেক উপাচার্য ফায়েক উজ্জামানের কাছে তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ দিয়েছিলাম। তিনি সেটা আমলে নেননি। বরং অভিযুক্ত মো. ফারুকুজ্জামান দাড়িয়াকে সহায়তা করেছিলেন। কারণ তাদের দুজনের বাড়িই এক জেলায়।
‘এখন ড. ফায়েক উজ্জামান উপাচার্য পদে নেই। তাই বিচার পাওয়ার ভরসায় ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন, ইউজিসি ও বর্তমান উপাচার্যের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত কর্মকর্তার তথ্য গোপন করা এবং বিষয়টি জেনেও তার বিরুদ্ধে বিধি অনুয়ায়ী ব্যবস্থা না নেয়ায় সাবেক উপাচার্য ড. ফায়েক উজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘এই সপ্তাহে ইউজিসি এ বিষয়ে আমাদের একটি চিঠি দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যানেল আইনজীবীর মতামত চেয়েছি। তাদের পরামর্শ পাওয়ার পর ইউজিসিতে বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হবে।’
রেজিস্ট্রার বলেন, ‘ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ ও ইউজিসির চিঠি পাওয়ার পর আমরা প্রকৌশলী মো. ফারুকুজ্জামান দাড়িয়ার নথিপত্র যাছাই করেছি। তাতে অভিযোগের সঙ্গে মিল পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ছাত্রীর মা জানান, ফারুকুজ্জামান দাড়িয়ার নামে এমন আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ২০১২ সালে খালিশপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা, কোটালীপাড়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা, ২০১৩ সালে খালিশপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা, ২০১৪ সালে খুলনার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুর্নীতি মামলা, ২০১৫ সালে খুলনা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুর্নীতি মামলা, ২০১৬ সালে খুলনা থানায় চাঁদাবাজি মামলা, খালিশপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা, ২০১৭ সালে হরিণটানা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা উল্লেখযোগ্য।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রকৌশলী মো. ফারুকুজ্জামান দাড়িয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘২০১২ সালে আমি খালিশপুরে গণপূর্ত থেকে বরাদ্দ নেয়া একটি বাড়ির নিচতলায় থাকতাম। যে ছাত্রীর মা অভিযোগ দিয়েছেন তারা ওই বাড়ির দোতলায় গণপূর্ত থেকে বরাদ্দ নিয়ে থাকতেন। সরকারি বাড়ির পুরোটাই তারা দখলে দিতে চাচ্ছিল। সেজন্য আমাকে হয়রানি করতে হঠাৎ করে উদ্দেশ্যমূলক একটি মিথ্যা মামলা দেয়। ওই মামলাটি এখন হাইকোর্টের আন্ডারে আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি জেলে ছিলাম এটা সত্য। তবে ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের ছুটির বন্ধ চলছিল। বাকি কয়েকদিন কার্যদিবস চলেছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছুটি মঞ্জুর করেছে বলেই বেতন-ভাতা পেয়েছিলাম।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আপন বোনের সঙ্গে আমার জমিজমা নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। ওই বোনের বর আমার প্রতিপক্ষকে দিয়ে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করছে। ওই মহিলা সম্প্রতি যেসব অভিযোগ দিচ্ছেন, তা আমার বোনের বরের ইন্ধনে দেয়া হচ্ছে।’
অধ্যাপক ফায়েক উজ্জামান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক। বর্তমানে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান পদে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ২০১০ সালের ২৮ নভেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।
তখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক মো. শাইফুদ্দিন শাহ। ২০১২ সালের অক্টোবরে তার মেয়াদ শেষ হলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ফায়েক উজ্জামান। ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি পূর্ণ উপাচার্যের দায়িত্ব পান। সেখান থেকে পরপর দুই মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যান তিনি।
উপাচার্য পদে দ্বিতীয় মেয়াদে ড. ফায়েক উজ্জামানের বিরুদ্ধে অহরহ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত চলমান।
রেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ডিসিপ্লিনে (বিভাগ) ওয়ালিউল হাসানাত নামে একজন অধ্যাপকের নিয়োগে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ রয়েছে সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে ইউজিসির চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে ওই শিক্ষককের নিয়মবর্হিভূত নিয়োগের ব্যাপারটি জানিয়ে তা তদন্ত করার অনুরোধ জানানো হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৫ জুন ইউজিসি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বর্তমানে তদন্তটি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফায়েক উজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য