কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন।
তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মোছাম্মৎ রোখসানা বেগম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমতিক্রমে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২১ এর ১০ (১) ধারা অনুসারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেনকে কৃড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হলো।
উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর হবে, তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন।
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। সেই হিসাবে প্রতি পদের জন্য লড়ছেন ২৯ জন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় প্রথম ধাপে ২২টি জেলার মধ্যে ১৪টির সব উপজেলা এবং ৭টি জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এদিন ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১০০ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
আর প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে আগামী ৩ জুন। ওই দিন বন্যার কারণে সিলেট জেলার স্থগিত পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় ধাপে যেসব জেলায় পরীক্ষা
দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, খুলনা, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, বরিশাল ও রংপুর জেলার সব উপজেলায় পরীক্ষা হবে।
নওঁগা জেলার সদর, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, রানীনগর, পোরশা, সাপাহার উপজেলা; নাটের জেলার বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, গুরুদাশপুর, লালপুর; সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, সদর ও তাড়াশ উপজেলা; কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, সদর ও মিরপুর; ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু, সদর, কালীগঞ্জ; যশোর জেলার অভয়নগর, চৌগাছা, সদর, বাঘারপাড়া; সাতক্ষীরা জেলার সদর, দেবহাটা, কলারোয়া, কালীগঞ্জ; বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া, শরণখোলা; জামালপুর জেলার সদর, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ; ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা, সদর, নান্দাইল, ফুলপুর, তারাকান্দা, ত্রিশাল উপজেলা; নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি, মদন, মোহনগঞ্জ, সদর, পূর্বধলা উপজেলা; কিশোরগঞ্জ জেলার সদর, কুলিয়ারচর, মিঠামইন, নিকলী, পাকুন্দিয়া, তাড়াইল; টাঙ্গাইল জেলার কালীহাতি, মধুপুর, মির্জাপুর, নাগরপুর, সফিপুর, বাসাইল উপজেলা; রাজবাড়ি জেলার কালুখালি, গোয়ালন্দ; কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার, হোমনা, লাকসাম, লালমাই, সদর দক্ষিণ, মনোহরগঞ্জ, মুরাদনগর, নাঙ্গলকোট, তিতাস উপজেলা; নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, কোম্পানীগঞ্জ, হাতিয়া উপজেলা; পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর, নেছারাবাদ, সদর; পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, মির্জাগঞ্জ, সদর, রাঙ্গাবালি, দুমকি উপজেলা; সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, শাল্লা, সদর, তাহিরপুর উপজেলা; হবিগঞ্জ জেলার সদর, লাখাই, মাধবপুর, নবীগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা; কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী, রাজারহাট, রাজিবপুর, রৌমারী, উলিপুর উপজেলা; গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পরীক্ষা হবে।
গত ১২ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০-এর প্রথম পর্বে ২২ জেলার লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪০ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
গত ১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় এপ্রিলে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এ সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে সাড়ে ৩২ হাজার জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রাক-প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০টি এবং প্রাথমিকে ৬ হাজার ৯৪৭টি শূন্য পদের কথা উল্লেখ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক পদে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ১৩তম গ্রেডে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হবে। এই গ্রেড অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন হবে ১১ হাজার থেকে ২৬ হাজার ৫৯০ টাকা।
নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং করোনার কারণে সাধারণ ছুটি শুরুর তারিখ অর্থাৎ চলতি বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর, তারা আবেদন করতে পারবেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ কমিটি সংশোধন করা হয়েছে। এতে জেলা সদরের পিটিআই, সুপারিনটেনডেন্টকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সই করা প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
গত ১২ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০-এর প্রথম পর্বে ২২ জেলার লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪০ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
সিলেট জেলা বাদে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে আগামী ২০ মে আর তৃতীয় ধাপে ৩ জুন।
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আগামী ২৬ জুনের মধ্যে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ- এনটিআরসিএ।
বুধবার এনটিআরসিএর পরিচালক (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) কাজী কামরুল আহছানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তৃতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় যারা এমপিও পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন, কিন্তু পদ সংক্রান্ত জটিলতা, জাতীয়করণ, ভুল চাহিদা ইত্যাদি কারণে এমপিওভুক্ত হতে পারেননি কিংবা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারেননি, তাদেরকে আগামী ২৬ জুন বিকেল ৫টার মধ্য ছক অনুসারে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণসহ আবেদনপত্র পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।
আরও বলা হয়, আবেদনপত্রের সঙ্গে এনটিআরসিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত নিয়োগ সুপারিশপত্র, যে আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন সে আবেদনপত্র বা এপ্লিকেন্টস কপি এবং এনটিআরসিএ’র নিবন্ধন সনদের কপি দাখিল করতে হবে। যারা এ বিষয়ে আগে এনটিআরসিএ-তে আবেদন করেছেন, তাদেরকেও ছক অনুযায়ী তথা প্রমাণসহ পুনরায় আবেদন করতে হবে।
যারা নন-এমপিও পদে আবেদন করে নন-এমপিও পদে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এ ধরণের আবেদন করার প্রয়োজন নেই বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
গত ৩১ জানুয়ারি তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৭৩টি পদে বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।
গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
আরও পড়ুন:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সব শিক্ষকের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এ আহ্বান জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ড. রোজিনা পারভীনের রুহের মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বোনম্যারো ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রোজিনা পারভীন মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি যেন শিক্ষকদের স্বাস্থ্যবিমার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়, সে বিষয়ে আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।’
ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম, লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন:নেত্রকোণা শহরের মোক্তারপাড়ায় দাবি আদায়ে প্রায় আধাঘণ্টা সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেছে আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
প্রধান শিক্ষক নিয়োগসহ পাঁচদফা দাবিতে তারা মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ২০ মিনিট ধরে বিক্ষোভ করে। তাতে ওই সড়কে যান চলাচল ব্যহত হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রানী সরকার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষার্থী জানায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রায়ই বিদ্যালয়ে যান না। এ কারণে বিভিন্ন ক্লাসও অনিয়মত হয়ে পড়েছে। এছাড়া টয়লেট এবং শ্রেণিকক্ষগুলো ঠিকমতো পরিস্কার হয় না, টিফিন দেয়া হয় নিম্নমানের। এসব কিছুর জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিকে দায়ি করছে তারা।
সহকারী প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রানী সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে এসে আমাদের কাছে কিছু দাবি-দাওয়া তুলেছে। আমরা তা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে স্টাফ মিটিংয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
তিনি জানান, এই আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিক আকলিমা খাতুন বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। শিক্ষার্থীরা ঠিক কী কারণে বিক্ষোভ করেছে জানি না। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না। তবে আগের দিন তারা সিলেবাস কমিয়ে দেবার দাবি করেছিল। আমি তা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে ২০ মে। এ জন্য প্রবেশপত্র সংগ্রহের অনুরোধ জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে রোববার এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, আবেদনকারীর নিজ নিজ জেলায় ২০ মে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার্থীরা admit.dpe.gov.bd- ওয়েবসাইটে Username এবং Password দিয়ে অথবা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সাল দিয়ে লগ ইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রার্থীদের অবশ্যই প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশা এবং পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।
দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা যেখানে
দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, খুলনা, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর জেলার সব উপজেলায় পরীক্ষা হবে। অন্য ২২ জেলায় পরীক্ষা হবে নির্ধারিত উপজেলায়।
সেসব উপজেলার মধ্যে রয়েছে নওঁগা জেলার সদর, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, রানীনগর, পোরশা, সাপাহার উপজেলা; নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, লালপুর; সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, সদর ও তাড়াশ উপজেলা; কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, সদর ও মিরপুর; ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ড, সদর, কালিগঞ্জ; যশোর জেলার অভয়নগর, চৌগাছা, সদর, বাঘারপাড়া; সাতক্ষীরা জেলার সদর, দেবহাটা, কলারোয়া, কালিগঞ্জ; বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া, শরণখোলা; জামালপুর জেলার সদর, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ; ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা, সদর, নান্দাইল, ফুলপুর, তারাকান্দা, ত্রিশাল উপজেলা; নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি, মদন, মোহনগঞ্জ, সদর, পূর্বধলা উপজেলা; কিশোরগঞ্জ জেলার সদর, কুলিয়ারচর, মিঠামইন, নিকলী, পাকুন্দিয়া, তাড়াইল; টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী, মধুপুর, মির্জাপুর, নাগরপুর, সফিপুর, বাসাইল উপজেলা; রাজবাড়ী জেলার কালুখালী, গোয়ালন্দ; কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার, হোমনা, লাকসাম, লালমাই, সদর দক্ষিণ, মনোহরগঞ্জ, মুরাদনগর, নাঙ্গলকোট, তিতাস উপজেলা; নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, কোম্পানীগঞ্জ, হাতিয়া উপজেলা; পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর, নেছারাবাদ, সদর; পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, মির্জাগঞ্জ, সদর, রাঙ্গাবালি, দুমকি উপজেলা; সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, শাল্লা, সদর, তাহিরপুর উপজেলা; হবিগঞ্জ জেলার সদর, লাখাই, মাধবপুর, নবীগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা; কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী, রাজারহাট, রাজীবপুর, রৌমারী, উলিপুর উপজেলা; গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল সরকারি শিক্ষক পদের প্রথম ধাপের পরীক্ষা হয়। যার ফল প্রকাশ হয়েছে ১২ মে। এতে ৪০ হাজার ৮৬২ প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাকাডেমিকস (বিএসপিইউএ) ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের কর্মশালার আয়োজন করেছে।
বিএসপিইউএ দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের সংগঠন।
শনিবার রাজধানীর হোটেল ট্রপিক্যাল ডেইসিতে আলোচনা সভা ও কর্মশালা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্ঞানমনস্ক শিক্ষার পরিবেশের বিকল্প নেই।
সভায় বক্তারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সুষম সমন্বয়, মেধার সঠিক মূল্যায়ন, কল্যাণমূলক গবেষণা এবং শিক্ষার্থীদের সঠিক কর্মদক্ষতা গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
আলোচনা সভার পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক কর্মক্ষেত্রে নিজেকে কীভাবে তৈরি করা হবে এর ওপর একটি কর্মশালা হয়। এতে বেসরকারি বিদ্যালয়ের ৭০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য এবং বিএসপিইউএর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য ড. এইচ এম জহিরুল হক, স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য ড. আনোয়ারুল কবির, উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ড. ইয়াসমিন আরা লেখা এবং আইসিডিডিআরবি মানবসম্পদ প্রধান মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসনের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য