× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Iftar of harmony in Jabi
google_news print-icon

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

জবিতে-সম্প্রীতির-ইফতার-
পশ্চিম আকাশে সূর্য ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসে ইফতারের প্রস্তুতি নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী মিথিলা দেবনাথ ঝিলিক বলেন, ‘ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ার পরেও সহপাঠী এবং সিনিয়র ভাই-বোনদের থেকে ইফতারের দাওয়াত পেয়ে খুব ভালো লাগে। একসঙ্গে বসে ইফতার করার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিত্র ফুটে ওঠে।’

রাজধানীর পুরান ঢাকায় মাত্র সাড়ে সাত একরের ক্যাম্পাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এই স্বল্প পরিসরের মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী, ৭০০ শিক্ষক আর হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়মিত চলাচল। আয়তনে ছোট হলেও নিত্যদিন এখানে সৃষ্টি হয় নতুন স্মৃতির গল্প। যানজট, কোলাহল ও ব্যস্তময় এই শহরের ক্যাম্পাসে ভাই-বন্ধু-শিক্ষকের সাক্ষাতে মিলে দুদণ্ড শান্তি।

ক্যাম্পাস ছোট হওয়ায় প্রায় সবার সঙ্গেই প্রতিদিন সবার দেখা হয়৷ আর এভাবেই প্রাণোচ্ছল থাকে ক্যাম্পাস। তার মধ্যে আবার সংযুক্ত হয়েছে রমজানের ইফতার। রমজানে প্রতিদিন পশ্চিম আকাশে সূর্য ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ইফতারির প্রস্তুতি। খোপে খোপে বসে ক্যাম্পাসে ইফতারের প্রস্তুতি নেন জবি শিক্ষার্থীরা।

অন্যবারের থেকে এবারের রমজান মাসটি জবি শিক্ষার্থীদের জন্য একটু ব্যতিক্রম। কারণ এবারেই প্রথম রমজানের মধ্যে একাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ফলে প্রায় সব শিক্ষার্থীই অবস্থান করছেন ক্যাম্পাসে। আর সারা দিন রোজা রেখে ইফতারের আনন্দময় ক্ষণটি প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে ক্যাম্পাসে ইফতারের আসর বসান শিক্ষার্থীরা। আর এই ইফতারের ছোট বড় আসরে মুখরিত হয়ে উঠছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান।

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

ক্যাম্পাসের খোপে খোপে বসে ইফতারের প্রস্তুতি নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শান্ত চত্বর, মুক্তমঞ্চ, কাঁঠালতলা, রফিক ভবনের প্রতিটি তলার বারান্দা, বিবিএ ভবনের নিচতলায় পুরোটাজুড়ে, বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ, পোগোজ স্কুলের খেলার মাঠ ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আঙিনায় জমে উঠে ইফতারের মহোৎসব। তন্মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণোচ্ছল পরিবেশ দেখা যায় শহীদ মিনারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের ওপর থেকে দেখলে মনে হয় এ যেন ভ্রাতৃত্বের এক অনন্য বন্ধন।

ক্যাম্পাসের জুনিয়র-সিনিয়র সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মেলবন্ধনে প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে ইফতার আয়োজন। রোজা শুধু মুসলমানদের ইবাদত হলেও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে থাকেন অন্য ধর্মাবলম্বী বন্ধুরাও।

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের উপর থেকে দেখলে মনে হয় এ যেনো ভাতৃত্বের এক মেলবন্ধন। ছবি: নিউজবাংলা

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা যতই কাছাকাছি আসে আস্তে আস্তে ততই জড়ো হতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এরপর বন্ধুরা মিলে বাহারি পদের খাবার নিয়ে সাজানো হয় ইফতারের আসর। সবার উদ্দেশ্য, বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দঘন পরিবেশে ইফতার করা। তাই ইফতারের আয়োজনে কী থাকছে সেটা এখানে গৌণ। সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত।

ক্যাম্পাসে ছোট ছোট দলে ছড়িয়ে আড্ডা-গল্পের পাশাপাশি তারা ইফতারের আয়োজনে ব্যস্ত। মাগরিবের আজানের আগ পর্যন্ত প্রতিটি দল তাদের সামনে ইফতারি নিয়ে বসে থাকে। সচরাচর তাদের ইফতারির মধ্যে থাকে মুড়ি, আলুর চপ, পিঁয়াজু, ডিমের চপ, জুস, বেগুনি, জিলাপি, শরবত, খেজুর, বুন্দিয়া, নানা রকম মৌসুমি ফল-ফলাদি। এ ছাড়া থাকে পুরান ঢাকার খাবারের কোনো বিখ্যাত পদ।

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শান্ত চত্বর, মুক্তমঞ্চ, কাঁঠালতলাসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আঙিনায় জমে ওঠে ইফতারের মহোৎসব। ছবি: নিউজবাংলা

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের সঙ্গে আয়োজন করছেন এসব আসরের। অনেক সময় সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে করা হয়েছে ইফতারের এ আয়োজন। আর ইফতারের পর সারা দিনের ক্লান্তি আর অবসাদ কাটাতে আড্ডায় মুখর হয়ে ওঠে আসরগুলো। শিক্ষার্থীদের ছোট-বড় অসংখ্য ইফতারের আসরে প্রতিদিন আনন্দমুখর হয়ে ওঠে জবি ক্যাম্পাস। এ যেন এক আত্মিক মিলনমেলা।

ক্যাম্পাসে ইফতারের অনুভূতি জানিয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইউছুব ওসমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার কারণে গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সবাই বাড়িতে ছিল। আর আমরা যারা ঢাকায় ছিলাম রুমেই ইফতার করতাম। এ বছর ক্যাম্পাস খোলা থাকায় সব বন্ধুরা মিলে একত্রে ইফতার করতে পারতেছি। এতে পরিবার থেকে দূরে থাকার বিষাদ কিছুটা হলেও কম হচ্ছে।’

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থী সাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘রমজানের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সম্প্রীতি প্রয়োজন। সব শ্রেণি-ধর্ম-বর্ণ-জাত বিভেদ ভুলে গিয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ্য সম্প্রীতি মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে ইফতারে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে প্রাণের জবি ক্যাম্পাসে। সাম্প্রদায়িক শক্তির মুখে একমুঠো ছাই ফেলে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় ক্যাফেটেরিয়া থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রাঙ্গণে, চোখ বুলিয়ে যাওয়ার মতো অনাবিল দৃশ্য ভুলবার নয়। এভাবেই জমকালো ইফতারের মাধ্যমেই বন্ধুত্বের বন্ধন হোক অটুট, সেই প্রত্যাশা।’

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহরাব হোসেন অপি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী পরিবার ছাড়া ঢাকায় থাকে। ক্যাম্পাস খোলা থাকায় পরিবারের সঙ্গে একত্রে ইফতার করাটাও হচ্ছে না। এ জন্য আমরা যারা বন্ধু-বান্ধব আছি, তারা সব সময় একসঙ্গে আমাদের পরিবারের মতো ক্যাম্পাসে ইফতার করার চেষ্টা করি।

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ছামিরা ইসলাম ছনি বলেন, ‘ইফতারের সময়ে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ দেখে বিমোহিত হয়ে গেলাম। সবাই দলে দলে ইফতার নিয়ে বসে আছে। এ সৌন্দর্য অন্য রকম। আমরাও ব্যস্ত হয়ে পড়লাম ইফতার তৈরি করা নিয়ে। ইফতার পরিবেশন ও শরবত বানানোর সময় বারবার মনে হচ্ছিল যেন নিজের পরিবারের সঙ্গেই আছি। বাড়ির বাইরে রোজা ও ইফতারের এই প্রথম অভিজ্ঞতা।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ইফতারের এই সুন্দর আয়োজন সত্যি মনোমুগ্ধকর ও আনন্দের। পরিবারের সঙ্গে ইফতার খুব মিস করছি, তবে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতারও খুব উপভোগ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে বন্ধুরা মিলে ইফতার করার এই মুহূর্তটা খুব মিস করব।’

সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী মিথিলা দেবনাথ ঝিলিক বলেন, ‘ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ার পরও সহপাঠী এবং সিনিয়র ভাই-বোনদের থেকে ইফতারের দাওয়াত পেয়ে খুব ভালো লাগে। একসঙ্গে বসে ইফতার করার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিত্র ফুটে ওঠে।’

আরেক সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থী অমিত পাল বলেন, ‘রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকায় ক্যাম্পাসে সময় কাটছে। অন্য ধর্মের হওয়া সত্ত্বেও সহপাঠী, সিনিয়র বড় ভাই-বোনদের থেকে প্রতিদিনই ইফতারের দাওয়াত পাই। এ যেন ভ্রাতৃত্বের এক বন্ধন। অসাম্প্রদায়িকতার এক দৃষ্টান্তমূলক প্রতিফলন। এবারের রমজানে অনেক ইফতারের দাওয়াত পেয়েছি।

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

‘প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে একেক দিন কোনো না কোনো ইফতার আয়োজন লেগেই থাকে। বিভাগের সিনিয়র-জুনিয়র, ব্যাচমেট, জেলা ছাত্র কল্যাণ ছাড়াও অনেক মাধ্যমে ইফতার আয়োজন করা হয়ে থাকে৷ এভাবে পুরো রমজান মাসই একের পর এক সংগঠনের ইফতার আয়োজন চলতেই থাকে। এতে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস৷ ইফতারের সময় ক্যাম্পাসে ইফতারের মাধ্যমে যেন নিজের পরিবারের অভাবটা পূরণ হয়।’

এ ছাড়া প্রথম রোজা থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে৷ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শরবত ও সাতটি আইটেমের সমন্বয়ে ৪০ টাকা মূল্যের ইফতার প্যাকেজ রমজান মাসব্যাপী চালু থাকবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ক্যাফেটেরিয়ার মধ্যেই ইফতার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরও পড়ুন:
ইফতারি খেয়ে বিচারকসহ অসুস্থ ৩০, কারাগারে ৩
জাপার ইফতারে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সেনাপ্রধানের ইফতার
আলেম-এতিমদের সঙ্গে বিএনপির ইফতার, থাকছেন না খালেদা
রমজানে জবির ক্লাসের সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Millions of people in Chittagong in procession on the occasion of Miladunnabi on the holy Eid

ঈদে মিলাদুন্নবী: চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে লাখো মানুষ

ঈদে মিলাদুন্নবী: চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে লাখো মানুষ চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে অংশ নেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম নগরীর বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে এই জুলুসের সূচনা করেন আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রহ.)। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ১২ রবিউল আউয়াল জুলুসের আয়োজন করে আসছে। এতে প্রতি বছর চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকা থেকে কয়েক লাখ মানুষ এতে অংশ নেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে চট্টগ্রামে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী আনন্দ উৎসব জশনে জুলুস।

নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে জশনে জুলুসের আনন্দযাত্রা শুরু হয়।

জামেয়া মাদ্রাসার মাঠ পেরিয়ে সড়কের দিকে আসতেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় জশনে জুলুস।

আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই জুলুস নগরীর মুরাদপুর, চকবাজার, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, ওয়াসা, জিইসি প্রদক্ষিণ করে ফের মুরাদপুর হয়ে বিবিরহাট মাদ্রাসা ময়দানে এসে শেষ হয়।

এরপর মাহফিল ও জোহরের নামাজের পর দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

জুলুসে আসা চট্টগ্রাম হাটহাজারী এলাকার শামিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রতি বছর ১২ রবিউল আউয়াল নবী করিম (সা.)-এর পৃথিবীতে আগমন উপলক্ষে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। দূরদুরান্ত থেকে নবী প্রেমিকরা জুলুসে অংশগ্রহণ করতে আসেন। আমি গত ১৫ বছর ধরে নিয়মিত জুলুসে অংশগ্রহণ করি।’

জুলুস আয়োজকদের মধ্যে গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক জুলুসে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত পরিমাণ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। জুলুসে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে বিশেষ মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

বুধবার রাত থেকেই চট্টগ্রাম ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জামেয়া ময়দানে এসে জড়ো হতে থাকেন ভক্তরা। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা মানুষ বিবিরহাট, মুরাদপুর থেকে জুলুসে যোগ দেন।

জুলুস উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন এলাকা সেজেছে রঙিন সাজে। নানা ব্যানার-ফেস্টুন ও আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে সড়কের দুই পাশ।

৫১তম জুলুসে নেতৃত্বদানকারী তাহের শাহর জন্য সাজানো হয় বিশেষ গাড়ি। সেই গাড়িতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শামসুদ্দিন, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান।

এদিকে জুলুসে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে বিশেষ নির্দেশনা দেয় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। নির্দেশনায় সকাল আটটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন রোডের মুখে রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে কোথাও যান চলাচল সীমিত, আর কোথাও বন্ধ রাখা হয়েছে।

১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম নগরীর বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে এই জুলুসের সূচনা করেন আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রহ.)। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ১২ রবিউল আউয়াল জুলুসের আয়োজন করে আসছে। এতে প্রতি বছর চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকা থেকে কয়েক লাখ মানুষ এতে অংশ নেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Today is Miladunnabi on the holy Eid

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী আজ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী আজ
হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে থাকেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ বৃহস্পতিবার, ১২ রবিউল আউয়াল। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর শুভ আবির্ভাব ঘটে।

হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।

মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এই যুগকে বলা হতো ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’-এর যুগ।

তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।

মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ২৫ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভ করেন।

পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না।’

এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এই দিনের (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী) গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাপক। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।

এদিকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানব কল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবনের ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Quota announcement for 2024 Hajj

২০২৪ সালের হজের জন্য কোটা ঘোষণা

২০২৪ সালের হজের জন্য কোটা ঘোষণা ফাইল ছবি
মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৯ হাজার ৯৬৮ জন এবং বেসরকারিভাবে এক লাখ ১৩ হাজার ৪০০ জন হজ করতে পারবেন।

২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে কতজন মুসল্লী হজে যেতে পারবেন, তা জানিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, সরকারিভাবে কতজন ও বেসরকারি এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে কতজন হজে যাবেন, সেই কোটাও নির্ধারণ করেছে সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৯ হাজার ৯৬৮ জন এবং বেসরকারিভাবে এক লাখ ১৩ হাজার ৪০০ জন হজ করতে পারবেন।

বুধবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ আগামী বছরের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক বাংলাদেশকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে।

সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের বরাদ্দ করা হজযাত্রীর কোটা বিভাজনের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৯৬৮ জন হজযাত্রী এবং তাদের সঙ্গে ২৩০ জন গাইড থাকবেন। ফলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট হজে যাবেন ১০ হাজার ১৯৮ জন।

অন্যদিকে বেসরকারিভাবে হজযাত্রী এক লাখ ১৩ হাজার ৪০০ জন এবং গাইড ও মোনাজ্জেম থাকবেন ৩ হাজার ৬০০ জন। তাই বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে মোট এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ করতে সৌদি আরব যেতে পারবেন।

চলতি বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ কোটার মধ্যে ১৫ হাজার জনের সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাদ বাকি ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের বরাদ্দ ছিল। তবে সেই কোটা পূরণ করতে পারেনি।

আরও পড়ুন:
বেঁচে যাওয়া টাকা হাজিদের ফেরত দিচ্ছে মন্ত্রণালয়
এখন হজযাত্রীদের লাগেজটাও টানতে হয় না

মন্তব্য

শিক্ষা
Permission to export 3950 tonnes of hilsa to India before Durga Puja

পূজার আগে ভারতে ৩৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি

পূজার আগে ভারতে ৩৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুধবার ৭৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অনুমোদিত একেকজন রপ্তানিকারক ৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুধবার ৭৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তাতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অনুমোদিত একেকজন রপ্তানিকারক ৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।

তবে ইলিশ রপ্তানিতে ৮টি শর্ত দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- রপ্তানির অনুমতিপ্রাপ্ত পণ্যগুলোর একটি ম্যানুয়াল পরিদর্শন করবে শুল্ক কর্তৃপক্ষ; প্রতিটি চালান শেষ হওয়ার পরে পুরো রপ্তানি নথি অবশ্যই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে; কেউ অনুমোদিত পরিমাণের বেশি ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে না; অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং সাব-কন্ট্রাক্টিংয়ের মাধ্যমে ইলিশ রপ্তানি করা যাবে না।

দুর্গাপূজা সামনে রেখে এর আগে পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানিয়েছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা।

চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর কলকাতার মাছ আমদানিকারকদের সমিতি কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে এই আবেদন জমা দেয়। আবেদনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসে ৪ সেপ্টেম্বর।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত বছর পূজা উৎসব উপলক্ষে ২ হাজার ৯০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে রপ্তানি করা হয়েছিল ১ হাজার ৩০০ টন ইলিশ।

আগের বছরগুলোতেও একই ঘটনা ঘটেছে। অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বরিশাল থেকে রাতেই ভারতের পথে ১৯ টন ইলিশ
ইলিশ ধরা বন্ধ ১২ অক্টোবর থেকে

মন্তব্য

শিক্ষা
Saudi has decided the dress code for women to perform Umrah

ওমরাহ পালনে নারীদের পোশাকবিধি নির্ধারণ করল সৌদি

ওমরাহ পালনে নারীদের পোশাকবিধি নির্ধারণ করল সৌদি প্রতীকী ছবি
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, নারীর পরণের পোশাকটি হতে হবে ঢিলেঢালা এবং নিশ্চিত করতে হবে এটি যেন পুরো দেহকে ঢেকে ফেলে। ওমরাহ পালনকালে কোনো ধরনের অলংকার পরা যাবে না।

মক্কায় ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য পোশাক-সম্পর্কিত নিয়ম ঘোষণা করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে, নারী ওমরাহ পালনকারীরা ওমরাহ পালনের সময় তাদের পছন্দমতো পোশাক পরতে পারবেন। তবে কিছু নীতি মেনে চলতে হবে।

এক্স পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও জানায়, নারীর পরণের পোশাকটি হতে হবে ঢিলেঢালা এবং নিশ্চিত করতে হবে এটি যেন পুরো দেহকে ঢেকে ফেলে। ওমরাহ পালনকালে কোনো ধরনের অলংকার পরা যাবে না।

সৌদি আরবে চলমান ওমরাহর মৌসুমকে কেন্দ্র করে এ নিয়মগুলো ঘোষণা করা হলো।

এক প্রতিবেদনে গালফ নিউজ জানিয়েছে, দুই মাস আগে শুরু হওয়া এ বছরের মৌসুমে প্রায় এক কোটি মুসলিম ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় ভ্রমণ করবেন বলে আশা করছে সৌদি সরকার। হজের ঠিক পরপরই ওমরাহ মৌসুম শুরু হয়। করোনা মহামারির কারণে তিন বছর হজ পালনে বিধিনিষেধ থাকার পর এ বছর প্রায় ১৮ লাখ মুসল্লী হজে অংশ নেন।

তিন বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে হজ ও ওমরাহ, উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিনিষেধ এ বছর তুলে নেয়া হয়। গত কয়েক মাসে ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক বিদেশি মুসলিমদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা চালু করেছে সৌদি আরব।

যারা শারীরিক ও আর্থিকভাবে হজ পালনে সক্ষম নন, সাধারণত তারাই সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে যান।

এবার ওমরাহ যাত্রীদের ভিসা সহজ করেছে সৌদি আরব। ব্যক্তিগত, ভিজিট ও ট্যুরিস্ট ভিসাধারী ব্যক্তিরা এখন চাইলেই ওমরাহ পালন ও আল রাওদা আল শরিফা (রিয়াজুল জান্নাহ) পরিদর্শন করতে পারবেন। ওখানেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কবর রয়েছে। রিয়াজুল জান্নাহ পরিদর্শনের জন্য এখন অনলাইনে ই-অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারছেন ওমরাহ পালনকারীরা।

এ ছাড়া ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ওমরাহ ভিসাধারীরা এখন চাইলে স্থল, আকাশ বা সমুদ্র- যেকোনো পথেই সৌদি আরব ভ্রমণ করতে পারবেন এবং যেকোনো বিমানবন্দর থেকে ফিরে যেতে পারবেন।

সম্প্রতি নারীদের ওমরাহ বা হজের জন্য পুরুষ সঙ্গী বা ‘মাহরাম’ সঙ্গে নিয়ে আসার বাধ্যবাধকতাও প্রত্যাহার করেছে দেশটি।

আরও পড়ুন:
ট্রানজিট নিয়ে ওমরাহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা
নারীদের জন্য বিশেষ বাস চালু করল ফেনী পৌরসভা

মন্তব্য

শিক্ষা
Holy Eid Miladunnabi 28 September

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ২৮ সেপ্টেম্বর 

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ২৮ সেপ্টেম্বর  প্রতীকী ছবি
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ আবদুল হামিদ জমাদ্দার।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ আবদুল হামিদ জমাদ্দার। খবর বাসসের

সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে শুক্রবার কোথাও ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার পবিত্র সফর মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Be careful about destroying religious harmony PM

ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার গণভবনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: পিআইডি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিতে আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। আমরা আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।’

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিতে আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। আমরা আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।’

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গণভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: বাসস

সরকার প্রধান দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো পদক্ষেপ এবং জাতির অগ্রগতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার সম্পর্কে সবাইকে সব সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্মার্ট সরকার, স্মার্ট দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সোসাইটি নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আরও এগিয়ে যাবে। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইতোমধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান সংশোধন করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ জনগণের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব স্বাধীনভাবে পালন করবে।

তিনি বলেন, ‘সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে সব ধর্মের অধিকার রক্ষা ও ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা সংক্রান্ত সব অনুচ্ছেদ বাতিল করেছিলেন। জিয়া সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেন, যেই অনুচ্ছেদ আমাদের ধর্মীয় নিরপেক্ষতাকে নিশ্চিত করেছিল।’

প্রধানমন্ত্রী হিন্দু সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘দেশটি সবার। কারণ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন:
কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা করতে পারে ঢাকা-ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা-মোদি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুক্রবার
ভূমি অধিগ্রহণে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ দাবির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির মামলায় জামিন মেলেনি চাঁদের
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: রাজশাহীর চাঁদ কিশোরগঞ্জ কারাগারে

মন্তব্য

p
উপরে