× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Iftar of harmony in Jabi
google_news print-icon

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

জবিতে-সম্প্রীতির-ইফতার-
পশ্চিম আকাশে সূর্য ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসে ইফতারের প্রস্তুতি নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী মিথিলা দেবনাথ ঝিলিক বলেন, ‘ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ার পরেও সহপাঠী এবং সিনিয়র ভাই-বোনদের থেকে ইফতারের দাওয়াত পেয়ে খুব ভালো লাগে। একসঙ্গে বসে ইফতার করার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিত্র ফুটে ওঠে।’

রাজধানীর পুরান ঢাকায় মাত্র সাড়ে সাত একরের ক্যাম্পাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এই স্বল্প পরিসরের মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী, ৭০০ শিক্ষক আর হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়মিত চলাচল। আয়তনে ছোট হলেও নিত্যদিন এখানে সৃষ্টি হয় নতুন স্মৃতির গল্প। যানজট, কোলাহল ও ব্যস্তময় এই শহরের ক্যাম্পাসে ভাই-বন্ধু-শিক্ষকের সাক্ষাতে মিলে দুদণ্ড শান্তি।

ক্যাম্পাস ছোট হওয়ায় প্রায় সবার সঙ্গেই প্রতিদিন সবার দেখা হয়৷ আর এভাবেই প্রাণোচ্ছল থাকে ক্যাম্পাস। তার মধ্যে আবার সংযুক্ত হয়েছে রমজানের ইফতার। রমজানে প্রতিদিন পশ্চিম আকাশে সূর্য ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ইফতারির প্রস্তুতি। খোপে খোপে বসে ক্যাম্পাসে ইফতারের প্রস্তুতি নেন জবি শিক্ষার্থীরা।

অন্যবারের থেকে এবারের রমজান মাসটি জবি শিক্ষার্থীদের জন্য একটু ব্যতিক্রম। কারণ এবারেই প্রথম রমজানের মধ্যে একাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ফলে প্রায় সব শিক্ষার্থীই অবস্থান করছেন ক্যাম্পাসে। আর সারা দিন রোজা রেখে ইফতারের আনন্দময় ক্ষণটি প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে ক্যাম্পাসে ইফতারের আসর বসান শিক্ষার্থীরা। আর এই ইফতারের ছোট বড় আসরে মুখরিত হয়ে উঠছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান।

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

ক্যাম্পাসের খোপে খোপে বসে ইফতারের প্রস্তুতি নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শান্ত চত্বর, মুক্তমঞ্চ, কাঁঠালতলা, রফিক ভবনের প্রতিটি তলার বারান্দা, বিবিএ ভবনের নিচতলায় পুরোটাজুড়ে, বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ, পোগোজ স্কুলের খেলার মাঠ ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আঙিনায় জমে উঠে ইফতারের মহোৎসব। তন্মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণোচ্ছল পরিবেশ দেখা যায় শহীদ মিনারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের ওপর থেকে দেখলে মনে হয় এ যেন ভ্রাতৃত্বের এক অনন্য বন্ধন।

ক্যাম্পাসের জুনিয়র-সিনিয়র সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মেলবন্ধনে প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে ইফতার আয়োজন। রোজা শুধু মুসলমানদের ইবাদত হলেও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে থাকেন অন্য ধর্মাবলম্বী বন্ধুরাও।

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের উপর থেকে দেখলে মনে হয় এ যেনো ভাতৃত্বের এক মেলবন্ধন। ছবি: নিউজবাংলা

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা যতই কাছাকাছি আসে আস্তে আস্তে ততই জড়ো হতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এরপর বন্ধুরা মিলে বাহারি পদের খাবার নিয়ে সাজানো হয় ইফতারের আসর। সবার উদ্দেশ্য, বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দঘন পরিবেশে ইফতার করা। তাই ইফতারের আয়োজনে কী থাকছে সেটা এখানে গৌণ। সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত।

ক্যাম্পাসে ছোট ছোট দলে ছড়িয়ে আড্ডা-গল্পের পাশাপাশি তারা ইফতারের আয়োজনে ব্যস্ত। মাগরিবের আজানের আগ পর্যন্ত প্রতিটি দল তাদের সামনে ইফতারি নিয়ে বসে থাকে। সচরাচর তাদের ইফতারির মধ্যে থাকে মুড়ি, আলুর চপ, পিঁয়াজু, ডিমের চপ, জুস, বেগুনি, জিলাপি, শরবত, খেজুর, বুন্দিয়া, নানা রকম মৌসুমি ফল-ফলাদি। এ ছাড়া থাকে পুরান ঢাকার খাবারের কোনো বিখ্যাত পদ।

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শান্ত চত্বর, মুক্তমঞ্চ, কাঁঠালতলাসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আঙিনায় জমে ওঠে ইফতারের মহোৎসব। ছবি: নিউজবাংলা

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের সঙ্গে আয়োজন করছেন এসব আসরের। অনেক সময় সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে করা হয়েছে ইফতারের এ আয়োজন। আর ইফতারের পর সারা দিনের ক্লান্তি আর অবসাদ কাটাতে আড্ডায় মুখর হয়ে ওঠে আসরগুলো। শিক্ষার্থীদের ছোট-বড় অসংখ্য ইফতারের আসরে প্রতিদিন আনন্দমুখর হয়ে ওঠে জবি ক্যাম্পাস। এ যেন এক আত্মিক মিলনমেলা।

ক্যাম্পাসে ইফতারের অনুভূতি জানিয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইউছুব ওসমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার কারণে গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সবাই বাড়িতে ছিল। আর আমরা যারা ঢাকায় ছিলাম রুমেই ইফতার করতাম। এ বছর ক্যাম্পাস খোলা থাকায় সব বন্ধুরা মিলে একত্রে ইফতার করতে পারতেছি। এতে পরিবার থেকে দূরে থাকার বিষাদ কিছুটা হলেও কম হচ্ছে।’

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থী সাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘রমজানের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সম্প্রীতি প্রয়োজন। সব শ্রেণি-ধর্ম-বর্ণ-জাত বিভেদ ভুলে গিয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ্য সম্প্রীতি মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে ইফতারে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে প্রাণের জবি ক্যাম্পাসে। সাম্প্রদায়িক শক্তির মুখে একমুঠো ছাই ফেলে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় ক্যাফেটেরিয়া থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রাঙ্গণে, চোখ বুলিয়ে যাওয়ার মতো অনাবিল দৃশ্য ভুলবার নয়। এভাবেই জমকালো ইফতারের মাধ্যমেই বন্ধুত্বের বন্ধন হোক অটুট, সেই প্রত্যাশা।’

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহরাব হোসেন অপি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী পরিবার ছাড়া ঢাকায় থাকে। ক্যাম্পাস খোলা থাকায় পরিবারের সঙ্গে একত্রে ইফতার করাটাও হচ্ছে না। এ জন্য আমরা যারা বন্ধু-বান্ধব আছি, তারা সব সময় একসঙ্গে আমাদের পরিবারের মতো ক্যাম্পাসে ইফতার করার চেষ্টা করি।

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ছামিরা ইসলাম ছনি বলেন, ‘ইফতারের সময়ে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ দেখে বিমোহিত হয়ে গেলাম। সবাই দলে দলে ইফতার নিয়ে বসে আছে। এ সৌন্দর্য অন্য রকম। আমরাও ব্যস্ত হয়ে পড়লাম ইফতার তৈরি করা নিয়ে। ইফতার পরিবেশন ও শরবত বানানোর সময় বারবার মনে হচ্ছিল যেন নিজের পরিবারের সঙ্গেই আছি। বাড়ির বাইরে রোজা ও ইফতারের এই প্রথম অভিজ্ঞতা।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ইফতারের এই সুন্দর আয়োজন সত্যি মনোমুগ্ধকর ও আনন্দের। পরিবারের সঙ্গে ইফতার খুব মিস করছি, তবে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতারও খুব উপভোগ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে বন্ধুরা মিলে ইফতার করার এই মুহূর্তটা খুব মিস করব।’

সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী মিথিলা দেবনাথ ঝিলিক বলেন, ‘ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ার পরও সহপাঠী এবং সিনিয়র ভাই-বোনদের থেকে ইফতারের দাওয়াত পেয়ে খুব ভালো লাগে। একসঙ্গে বসে ইফতার করার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিত্র ফুটে ওঠে।’

আরেক সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থী অমিত পাল বলেন, ‘রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকায় ক্যাম্পাসে সময় কাটছে। অন্য ধর্মের হওয়া সত্ত্বেও সহপাঠী, সিনিয়র বড় ভাই-বোনদের থেকে প্রতিদিনই ইফতারের দাওয়াত পাই। এ যেন ভ্রাতৃত্বের এক বন্ধন। অসাম্প্রদায়িকতার এক দৃষ্টান্তমূলক প্রতিফলন। এবারের রমজানে অনেক ইফতারের দাওয়াত পেয়েছি।

জবিতে সম্প্রীতির ইফতার

‘প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে একেক দিন কোনো না কোনো ইফতার আয়োজন লেগেই থাকে। বিভাগের সিনিয়র-জুনিয়র, ব্যাচমেট, জেলা ছাত্র কল্যাণ ছাড়াও অনেক মাধ্যমে ইফতার আয়োজন করা হয়ে থাকে৷ এভাবে পুরো রমজান মাসই একের পর এক সংগঠনের ইফতার আয়োজন চলতেই থাকে। এতে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস৷ ইফতারের সময় ক্যাম্পাসে ইফতারের মাধ্যমে যেন নিজের পরিবারের অভাবটা পূরণ হয়।’

এ ছাড়া প্রথম রোজা থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে৷ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শরবত ও সাতটি আইটেমের সমন্বয়ে ৪০ টাকা মূল্যের ইফতার প্যাকেজ রমজান মাসব্যাপী চালু থাকবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ক্যাফেটেরিয়ার মধ্যেই ইফতার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরও পড়ুন:
ইফতারি খেয়ে বিচারকসহ অসুস্থ ৩০, কারাগারে ৩
জাপার ইফতারে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সেনাপ্রধানের ইফতার
আলেম-এতিমদের সঙ্গে বিএনপির ইফতার, থাকছেন না খালেদা
রমজানে জবির ক্লাসের সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Army is working to ensure security during Durgotsav Army Chief

দুর্গোৎসবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান

দুর্গোৎসবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ফাইল ছবি
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে জেলায় জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন থেকে পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সদা তৎপর রয়েছে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নির্ভয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, এই উৎসবে নিরাপত্তা বিধানে সেনাবাহিনী মাঠে আছে। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শনিবার দুর্গাপূজা উদযাপনে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এসব কথা বলেন সেনাবাহিনী প্রধান। তিনি সেখানে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।

সেনাপ্রধান এ সময় উপস্থিত মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে জেলায় জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন থেকে পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সদা তৎপর রয়েছে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রত্যেক বাংলাদেশি অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করবেন। পাশাপাশি তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন:
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
সশস্ত্র বাহিনীর ৩০ ডিসপেনসারি উদ্বোধন সেনাপ্রধানের
কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণের উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান
লেফটেন্যান্ট তানজিমের আত্মত্যাগ সেনাবাহিনী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে: সেনাপ্রধান
আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করছে: সেনাপ্রধান

মন্তব্য

শিক্ষা
Ijtema ground prepared in Thakurgaon formalities started on Thursday

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রস্তুত ইজতেমার মাঠ, বৃহস্পতিবার শুরু আনুষ্ঠানিকতা

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রস্তুত ইজতেমার মাঠ, বৃহস্পতিবার শুরু আনুষ্ঠানিকতা জেলার গোবিন্দনগরে ঠাকুরগাঁও-রুহিয়া সড়কের পাশে প্রয়াত আনোয়ার হোসেন লাল মিয়ার পুরাতন ইটভাটা মাঠে বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। ছবি: নিউজবাংলা
ঠাকুরগাঁও জেলা ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ইজতেমার অনুমতিপত্র পেয়েছি। ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুকিম মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ ১২ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হবেন।’

ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা ইজতেমার মাঠ প্রস্তুত হয়েছে। ইজতেমাকে ঘিরে এরই মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন এসে ইজতেমার মাঠে মিলিত হচ্ছেন।

জেলার গোবিন্দনগরে ঠাকুরগাঁও-রুহিয়া সড়কের পাশে প্রয়াত আনোয়ার হোসেন লাল মিয়ার পুরাতন ইটভাটা মাঠে বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। শনিবার জোহরের নামাজের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ইজতেমার অনুমতিপত্র পেয়েছি। ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুকিম মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ ১২ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হবেন।

‘এ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া থেকে তাবলিগের ৮ জনের একটি প্রতিনিধি দল ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হয়েছে। আগামীকাল ফজরের পর বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ইজতেমাকে ঘিরে মুসল্লিদের মাঝে উদ্দীপনা রয়েছে। সবার সহযোগিতায় মাঠ ও ইজতেমার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’

এ সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘ইজতেমা চলাকালীন প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্তের পরে বয়ান করা হবে। মুসল্লিদের যাতে ইজতেমা মাঠে কোনো অসুবিধা না হয়, এর জন্য পানিসহ প্রয়োজনীয় সকল বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

‘শুক্রবার জুমার নামাজে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি দল ইজতেমায় অংশগ্রহণ করার কথা আছে। এ ছাড়াও জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দলের রাজনীতিক নেতারাও উপস্থিত হবেন। ইজতেমা মাঠর সার্বিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে ঠাকুরগাঁও প্রশাসন সহযোগিতা করবে।’

আরও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফ জওয়ান আটক
সংখ্যালঘুরা আমাদের আমানত: ফখরুল
বন্ধুকে খুন করে গায়ে রক্ত নিয়ে ঘুরছিলেন যুবক
সাপের ছোবলে প্রাণ গেল দুই স্কুল শিক্ষার্থীর
দেশসেরা চরভিটা স্কুলপ্রধানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

মন্তব্য

শিক্ষা
Import export closed on October 9 12 in Benapole during Durga Puja

দুর্গাপূজায় বেনাপোলে ৯-১২ অক্টোবর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

দুর্গাপূজায় বেনাপোলে ৯-১২ অক্টোবর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ৯ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে বেনাপোল শুল্ক ভবন ও বন্দরে পণ্য উঠানামা, খালাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা চার দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে বেনাপোল শুল্ক ভবন ও বন্দরে পণ্য উঠানামা, খালাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘শারদীয় দূর্গাপূজার সরকারি ছুটির কারণে ৯ অক্টোবর বুধবার থেকে ১২ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তাই এ সময় বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে ইলিশের চালান গ্রহণ করা হবে। ১৩ অক্টোবর রোববার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।’

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, ‘দুর্গাপূজার ছুটির কারণে চারদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন পত্র দিয়ে আমাদেরকে অবহিত করেছে।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজীব নাজির বলেন, ‘দুর্গাপূজার ছুটির বিষয়টি ওপারের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এপারের বন্দরে পণ্য উঠানামা, খালাস ও পণ্যের শুল্কায়ন কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসের পর ভারতীয় ট্রাক দেশে ফিরে যেতে পারবে।’

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ ভুইয়া বলেন, ‘পূজার ছুটিতে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময় দুদেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।’

আরও পড়ুন:
৫ অর্থবছর পর বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
‘অতিরিক্ত শুল্ক আদায়’, বেনাপোলে আটকা পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক
ভাঙা কাঁচে কেটেছে হাত, বেনাপোলে যাত্রীদের পেটাল পুলিশ
বেনাপোল বন্দরে ৫ দিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদের ছুটিতে বেনাপোলে যাত্রীর ভিড়, পেট্রাপোলে ভোগান্তি

মন্তব্য

শিক্ষা
Janaza of Ruhul Amin Ghazi held at Jatiya Press Club

জাতীয় প্রেস ক্লাবে রুহুল আমিন গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত

জাতীয় প্রেস ক্লাবে রুহুল আমিন গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত ছবি: সংগৃহীত
জানাজার আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রয়াত রুহুল আমিন গাজী গণতন্ত্র এবং মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। তার মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি এবং তার পরিবার ও সতীর্থদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর জানাজা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

জানাজায় অংশ নেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের সংগঠন প্রেসক্লাব, ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফইউজে’র নেতা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রধান ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের গণমাধ্যম কর্মীরা জানাজায় শরিক হন।

জানাজার আগে রহুল আমিন গাজীর ছেলে আদনান আবরার বলেন, ‘তিনি সবসময় সত্য কথা বলার চেষ্টা করতেন। তিনি দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন- সবসময় এ কথা বলতেন। আর কোনোদিন আমার বাবা আমাকে ডাকবেন না। আপনারা আমার বাবাকে ক্ষমা করবেন।’

উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রয়াত রুহুল আমিন গাজী গণতন্ত্র এবং মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। তার মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি এবং তার পরিবার ও সতীর্থদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের উন্নয়নে রুহুল আমিন গাজীর পরামর্শ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা তার পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হলাম।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য রুহুল আমিন গাজী যে লড়াই করে গেছেন আমরা সে পথ অনুসরণ করব। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব। গণমাধ্যমকেও ফ্যাসিবাদমুক্ত রাখব।’

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. জাহিদ বলেন, ‘ভালো লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। মহান রাব্বুল আলামিন রুহুল আমিন গাজী ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক। আমিন।’

কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

জানাজা শেষে রুহুল আমিন গাজীর মরদেহ চাঁদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন:
চলে গেলেন সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী

মন্তব্য

শিক্ষা
Saiful Islam joins as Director General of Islamic Foundation

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান সাইফুল ইসলামের

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান সাইফুল ইসলামের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক হিসেবে মঙ্গলবার সকালে যোগদান করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম। ছবি: ইসলামিক ফাউন্ডেশন
ইফার সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যোগদানের পর সকাল ১০টায় নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ইফার প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। ওই সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও উপপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।’

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক হিসেবে মঙ্গলবার সকালে যোগদান করেছেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম।

ইফার সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যোগদানের পর সকাল ১০টায় নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ইফার প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। ওই সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও উপপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

‘সাইফুল ইসলাম সফলভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।’

এর আগে সোমবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলামকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন:
শিল্পকলার মহাপরিচালক হলেন সৈয়দ জামিল আহমেদ
র‌্যাবের নতুন মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক
নির্বাচন সামনে রেখে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত বিজিবি: মহাপরিচালক
ভিকি-কৃতি সেরা

মন্তব্য

শিক্ষা
Removal of Khatib Ruhul Amin of Baitul Mukarram

বায়তুল মুকাররমের খতিব রুহুল আমিনকে অপসারণ

বায়তুল মুকাররমের খতিব রুহুল আমিনকে অপসারণ বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ। ফাইল ছবি
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বায়তুল মুকাররমের খতিব রুহুল আমিন তার দায়িত্বে অনুপস্থিত থাকেন। তার অনুপস্থিতিতে নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেয়া হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কয়েকজন আলেমকে।

গত শুক্রবার হঠাৎ করে জুমার নামাজ পড়ানোর জন্য মসজিদে আসেন মুফতি মো. রুহুল আমিন। পরে মুসল্লিরা তার পেছনে নামাজ পড়তে না চাইলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন মুসল্লি ও সদ্য সাবেক খতিবের সমর্থকরা। এই সংঘর্ষের সময় মসজিদের ভেতরের দরজার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বেশকিছু মুসল্লি মসজিদ থেকে বের হতে গিয়ে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত হন।

আরও পড়ুন:
বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
বায়তুল মোকাররমে খতিব নিয়োগ দেয়া হয়নি

মন্তব্য

শিক্ষা
Clash in Baitul Mukarram more than fifty injured

বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শুরুর আগে খতিব ওয়ালিউর রহমান খান বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন তার অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মুকাররম মসজিদে প্রবেশ করে খতিবের মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে মিম্বরের কাছে বসে থাকা মুসল্লি ও খাদেমের ওপর হামলা চালান। হামলা-সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।

জুমার নামাজের আগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বর্তমান খতিব ওয়ালিউর রহমান ও সাবেক খতিব রুহুল আমিনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খতিব ওয়ালিউর রহমান মুসল্লিদের উদ্দেশে খুতবা (বক্তব্য) দেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ শুরুর আগে খতিব ওয়ালিউর রহমান খান বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন তার অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মুকাররম মসজিদে প্রবেশ করে খতিবের মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে মিম্বরের কাছে বসে থাকা মুসল্লি ও খাদেমের ওপর হামলা চালান। হামলা-সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।

নামাজ পড়তে আসা আবদুল হামিদ বলেন, ‘সাবেক এই ইমাম যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বসে সমস্যার সমাধান করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে লোক এনে হামলা চালান। এটা সত্যিই লজ্জাজনক।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এটি বড় কোনো ঘটনা নয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

তিনি জানান, বায়তুল মুকাররম উত্তর গেট ও পল্টন মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ইউএনবির প্রতিবেদক।

মন্তব্য

p
উপরে