× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Recruitment of 45000 teachers First stage examination begins
google_news print-icon

৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুরু

৪৫-হাজার-শিক্ষক-নিয়োগ-প্রথম-ধাপের-পরীক্ষা-শুরু
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ফাইল ছবি
এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। সেই হিসাবে প্রতি পদের জন্য লড়ছেন ২৯ জন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। সেই হিসাবে প্রতি পদের জন্য লড়ছেন ২৯ জন।

শুক্রবার বেলা ১১টায় প্রথম ধাপে ২২টি জেলার মধ্যে ১৪টির সব উপজেলা এবং ৮টি জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানান, প্রথম ধাপে পরীক্ষা হবে ২২ জেলায়। এর মধ্যে ১৪ জেলার সব ও ৮ জেলার আংশিক পরীক্ষা হবে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে ২০ মে। এ ধাপে ৩০ জেলার মধ্যে ৮ জেলার সব ও ২২ জেলার আংশিক পরীক্ষা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষা হবে ৩ জুন। এ ধাপে পরীক্ষা হবে ৩১ জেলায়। এর মধ্যে ১৭ জেলার সব ও ১৪টিতে হবে আংশিক পরীক্ষা।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এতে অনুমোদিত শিক্ষকের পদ ৪ লাখ ২৮ হাজার ৭০১টি। এবারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন।

‘তিন ধাপে মোট এক হাজার ৮১১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্যই ৩ ধাপে আয়োজন করা হয়েছে।’

যেসব জেলায় পরীক্ষা হচ্ছে

আজ চাঁপাইনবাগঞ্জ, মাগুরা, শেরপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, লালমনিরহাট জেলার সব উপজেলায় পরীক্ষা হচ্ছে।

আর সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া, বেলকুচি, চৌহালী, কামারখন্দ, কাজিপুর, যশোরের ঝিকরগাছা, কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা, ময়মনসিংহের ভালুকা, ধোবাউড়া, ফুলবাড়ীয়া, গফরগাঁও, গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোণার আটপাড়া, বারহাট্টা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ভৈরব, হোসেনপুর, ইটনা, করিমগঞ্জ, কটিয়াদী, টাঙ্গাইলের সদর, ভুয়াপুর, দেলদুয়ার, ধনবাড়ী, ঘাটাইল, গোপালপুর, কুমিল্লার বরুড়া, ব্রাক্ষ্মণপাড়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, সদর, মেঘনা, দাউদকান্দি, নোয়াখালীর কবিরহাট, সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, সুবর্ণচর উপজেলায় পরীক্ষা হচ্ছে।

গত ১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় এপ্রিলে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।

ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

এ সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে সাড়ে ৩২ হাজার জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রাক-প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০টি এবং প্রাথমিকে ৬ হাজার ৯৪৭টি শূন্য পদের কথা উল্লেখ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক পদে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ১৩তম গ্রেডে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হবে। এই গ্রেড অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন হবে ১১ হাজার থেকে ২৬ হাজার ৫৯০ টাকা।

নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং করোনার কারণে সাধারণ ছুটি শুরুর তারিখ অর্থাৎ চলতি বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর, তারা আবেদন করতে পারবেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।

আরও পড়ুন:
প্রাথমিকে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, পরীক্ষা শুক্রবার
প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হতে পারে ৮ এপ্রিল
প্যানেলভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে অনশন
অ্যাডহক নিয়োগসহ স্বাধীনতা শিক্ষক সমিতির ৯ দাবি
শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পেলেন আরও ১১৬ জন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
What is the logic of failing to change the role after the exam
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসির ফল

পরীক্ষার পর রোল পরিবর্তনে ফেল, যৌক্তিকতা কতটুকু!

পরীক্ষার পর রোল পরিবর্তনে ফেল, যৌক্তিকতা কতটুকু! ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। ছবি: সংগৃহীত
ফেল করা শিক্ষার্থীদের অনেকের দাবি, প্রবেশপত্রে থাকা রোল নম্বরই তারা পরীক্ষার খাতায় লিখেছিলেন। অথচ ফল প্রকাশের তারা জানতে পারেন যে প্রবেশপত্র ও রোল নম্বর বদলে গেছে। নতুন প্রবেশপত্র অনুযায়ী তাদেরকে ফল নিতে হয়েছে। আর রোল নম্বর পাল্টে যাওয়ায় তাদেরকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ২৮৬টি কলেজের ৭৫ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। পাসের হার ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তবে অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের একটি অংশের অভিযোগ, শিক্ষাবোর্ডের প্রযুক্তিগত ত্রুটি বলি হয়েছেন তারা। ফল প্রকাশের আগ মুহূর্তে নতুন করে রোল নম্বর নির্ধারণ করায় তাদের ফল পাল্টে গেছে।

ফেল করা শিক্ষার্থীদের অনেকের দাবি, প্রবেশপত্রে থাকা রোল নম্বরই তারা পরীক্ষার খাতায় লিখেছিলেন। অথচ ফল প্রকাশের তারা জানতে পারেন যে প্রবেশপত্র ও রোল নম্বর বদলে গেছে। নতুন প্রবেশপত্র অনুযায়ী তাদেরকে ফল নিতে হয়েছে। আর রোল নম্বর পাল্টে যাওয়ায় তাদেরকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ৫৬ পরীক্ষার্থী। পাস করেন মাত্র ১৬ জন। তাদের একজন কাকন আক্তার তার নতুন রোল নম্বরে অনলাইনে অনুসন্ধান করে দেখেন, নিজের নামের পরিবর্তে সুসং দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের মাজহারুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীর নাম আসে।

একই ঘটনা ঘটেছে ওই কলেজের ইসরাত জাহান জেরিনসহ নতুন রোল পাওয়া ৫১ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে। ভালুকার মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বাটাজোর সোনার বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গফরগাঁও উপজেলার হুরমত উল্লাহ কলেজসহ আরও কয়েকটি কলেজের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

পরীক্ষায় প্রবেশপত্রের রোল নম্বর জটিলতার বিষয়টি নিয়ে পরদিন সোমবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালামের কাছে যান কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সেখানে তারা দাবি করেন, কলেজগুলো কারসাজি করে এমনটি করেছে। শতভাগ পাস করানোর জন্য কিছু শিক্ষার্থীকে গ্যারান্টি দিয়ে এনে ভর্তি করে তাদের শুধু পাস করানো হয়েছে। বাকিদের ফেল করানো হয়ে থাকতে পারে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এরপর শিক্ষা বোর্ডের সামনে মানববন্ধন করেন অকৃতকার্য এসব শিক্ষার্থী।

বাস্তবেই এ বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফল পরিবর্তন হয়েছে নাকি বিষয়টি অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের বোঝার ভুল- এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে নিউজবাংলা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব জনবল সংকট রয়েছে। এ অবস্থায় এই বোর্ডের কাজটি করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর শিক্ষা বোর্ড। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ফল প্রকাশের আগমুহূর্তে ধরা পড়ে জটিলতা। পরীক্ষার খাতায় লেখা বিভিন্ন শিক্ষার্থীর রোল নম্বরে অন্য শিক্ষার্থীর ফল আসতে থাকে। এমন অবস্থায় বিষয়টি সমাধানে কাজ করে শিক্ষা বোর্ড। পরে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও খাতার সঙ্গে মিল করে ফল তৈরি করা হয়।

তবে এমনটা মানতে নারাজ ফেল করা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা মনে করেন, খাতায় লেখা রোল নম্বর এবং পরে ফলাফলের জন্য দেয়া অন্য রোল নম্বরের জন্যই ভুল ফল এসেছে। তাই আবারও খাতা দেখে সুষ্ঠুভাবে ফল তৈরি করে তা প্রকাশ করতে হবে। নয়ত অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে বোর্ডের সামনে লাগাতার মানববন্ধন করা হবে।

পরীক্ষার পর রোল পরিবর্তনে ফেল, যৌক্তিকতা কতটুকু!

এদিকে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, একটি মহল অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়ে ক্ষেপিয়ে তুলছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা জানি যে কোন রাজনৈতিক নেতা এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীকে নিয়ে রাজনীতি করছে। এক রাজনৈতিক নেতা বোর্ডে একটি কাজে সুপারিশ করেছিলেন। সেটি না মানায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের উস্কে দেয়া হচ্ছে। এসব বিষয় ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাকেও জানানো হয়েছে।’

তবে শিক্ষার্থীরা বাইরের কারও ইন্ধনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী কাকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খাতায় লেখা রোল নম্বরে ফল প্রকাশ না করে নতুন রোল নম্বরে প্রকাশ করার কারণেই ফেল করেছি। আমার আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে পাস করব। কারও ইশারায় আমরা ক্ষুব্ধ হয়ে মানববন্ধন করিনি। আমাদের খাতাগুলো নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে আবারও দেখে ফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।’

একই কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজ উদ্দিন সুমন বলেন, ‘এমন ফলাফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আমাদের দায়ী করেছেন। অথচ এসব বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। ফেল করা শিক্ষার্থীরা আসলেই ফেল করেছে কিনা, তা বোর্ডই ভালো বলতে পারবে।’

একই বক্তব্য দিয়েছেন মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আতাউর রহমান জুয়েল।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. সামছুল ইসলাম বলেন, ‘৮ হাজারের মতো শিক্ষার্থীর রোল নম্বর ডুপ্লিকেশন হয় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। পরে সূক্ষ্মভাবে বিষয়টি তদারকি করে ফল প্রকাশের এক মাস আগে নতুন প্রবেশপত্র পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে। রোল নম্বর পরিবর্তনের সঙ্গে ফলের কোনো সম্পর্ক নেই।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. গাজী হাসান কামালের সঙ্গে কথা বলে নিউজবাংলা। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে। ফল প্রস্তুত করা হয় রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে। এ জন্য রোল নম্বর প্রয়োজন নেই। যেগুলোতে সমস্যা হয়েছে, সেগুলো খুব সতর্কতার সঙ্গে করা হয়েছে। ফল সঠিক রয়েছে। তারপরও লিখিতভাবে আবেদন করলে পুনরায় খাতা দেখে সমাধান করা হবে।’

আরও পড়ুন:
চায়ের দোকান করেও জিপিএ-৫ পেলেন স্মৃতি
এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষা করা যাবে যেভাবে
রাজশাহী বোর্ডে এগিয়ে মেয়েরা, কমেছে পাস ও জিপিএ ৫
ফরিদপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল: শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
সিলেটে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

মন্তব্য

শিক্ষা
How can HSC result be rechecked?

এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষা করা যাবে যেভাবে

এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষা করা যাবে যেভাবে ফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত ভিকারুননিসার ছাত্রীরা। ফাইল ছবি
উদাহরণ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বোর্ডের কোনো পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর 123456 হলে এবং পরীক্ষার্থী আবেদন করতে চাইলে মেসেজ অপশনে RSC dha 123456 লিখে সেন্ড করতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে, তা এবং একটি PIN প্রদান করা হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC space Yes space PIN space Contact Number (যেকোনো মোবাইল অপারেটর) লিখে সেন্ড করতে হবে 16222 নম্বরে।’

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে রোববার। এ পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীরা ২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে তাদের ফল পুনঃনিরীক্ষা করতে পারবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত রোববারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধু টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল ফোন থেকে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে প্রথমে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখতে হবে। পরে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে সেন্ড করতে হবে 16222 নম্বরে।

উদাহরণ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বোর্ডের কোনো পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর 123456 হলে এবং পরীক্ষার্থী আবেদন করতে চাইলে মেসেজ অপশনে RSC dha 123456 লিখে সেন্ড করতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে, তা এবং একটি PIN প্রদান করা হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC space Yes space PIN space Contact Number (যেকোনো মোবাইল অপারেটর) লিখে সেন্ড করতে হবে 16222 নম্বরে।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘পুনঃনিরীক্ষণের ক্ষেত্রে একই এসএমএসের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে কমা দিয়ে বিষয়/পত্রের কোডগুলো আলাদা করে লিখতে হবে। যেমন: পদার্থ ও রসায়ন দুটি বিষয়ের/পত্রের জন্য আপনার টেলিটক প্রিপেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC space dha space Roll Number space 174, 175, 176 লিখতে হবে।’

এতে আরও বলা হয়, প্রতি পত্রের জন্য আবেদন ফি নেয়া হবে ১৫০ টাকা। দ্বিপত্র বিশিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে উভয় পত্রেই আবেদন করতে হবে। ম্যানুয়াল কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, এগিয়ে মেয়েরা
এইচএসসিতে পাসের হার কমেছে
ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে শতভাগ জিপিএ-৫
পাসে এগিয়ে ছাত্রীরা
এইচএসসি ও সমমানে পাস ৭৮.৬৪%

মন্তব্য

শিক্ষা
Faridpur HSC exam failure Student commits suicide

ফরিদপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল: শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ফরিদপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল: শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
সদরপুর থানা ওসি মামুন আল রশিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় সাদিয়া আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

রোববার দুপুরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের সতারো রশি গ্রামে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। সাদিয়া আক্তার উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের আলী হোসেনের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সাদিয়া সদরপুর সরকারি কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরিক্ষা অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে জেনে নিজের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেয় সাদিয়া। পরে প্রতিবেশীরা তাকে সদরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে সদরপুর থানা ওসি মামুন আল রশিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সিলেটে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
দিনাজপুরের ১৬ কলেজে ৪৬ পরীক্ষার্থী, সবাই ফেল
বরিশালে পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৫, এবারও মেয়েরা এগিয়ে
কুমিল্লায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, এগিয়ে মেয়েরা
এইচএসসিতে পাসের হার কমেছে

মন্তব্য

শিক্ষা
All 46 HSC students from 16 colleges in Dinajpur failed

দিনাজপুরের ১৬ কলেজে ৪৬ পরীক্ষার্থী, সবাই ফেল

দিনাজপুরের ১৬ কলেজে ৪৬ পরীক্ষার্থী, সবাই ফেল উত্তর লক্ষিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ফটক। ছবি: নিউজবাংলা
দিনাজপুরে ৬৭১টি কলেজের মধ্যে ১৬টি কলেজের সকলেই অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘অকৃতকার্য হওয়া কলেজগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দিনাজপুরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছর অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার (এইচএসসি) ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে রোববার। এই বোর্ডে ৬৭১টি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ১৬টি কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৬ জন। ফলাফলে ১৬টি কলেজের সকলেই অকৃতকার্য হয়েছে।

রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর সাজ্জাদ আলী এ তথ্য জানান।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে অনুযায়ী, এই শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার ৬৭১টি কলেজের মোট ১ লাখ ১২ হাজার ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৮২ হাজার ৫৭৯ জন। এই বোর্ডে পাশের হার ৭৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

তবে, ৬৭১টি কলেজের মধ্যে ১৬টি কলেজের কেউই পাশ করতে পারেনি। এইচএসসি পরীক্ষায় ১৬টি কলেজের মোট ৪৬ জন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন।

কলেজগুলো হলো কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার মোহানগঞ্জ আদর্শ কলেজ (১১ জন), একই জেলার উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল ও কলেজ (৪ জন), রৌমারি উপজেলার দাঁতভাঙ্গা মডেল কলেজ (১ জন), নাগেশ্বরী উপজেলার সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজ (১ জন) ও ভুরুঙ্গামারি উপজেলার মেইডাম কলেজ (১ জন), লালমনিহাট জেলার আদিতমারি উপজেলার বেহলাবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ (৫ জন), একই জেলার আদিতমারি উপজেলার কুমরিরহাট এসসি স্কুল এন্ড কলেজ (২ জন), কালিগঞ্জ উপজেলার দুহুলি এসসি হাই স্কুল ও কলেজ (১ জন), দক্ষিণ ঘানাসিয়াম স্কুল ও কলেজ (১ জন), দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার বেপারিতলা আদর্শ কলেজ (৫ জন) ও ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর লক্ষিপুর হাই স্কুল ও কলেজ (১ জন), ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়লহাট জনতা স্কুল ও কলেজে (৫ জন), সদর উপজেলার কদমরাসুল হাট স্কুল এন্ড কলেজ (৪ জন) ও পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ আদর্শ কলেজ (১ জন), গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ফকিরহাট মহিলা কলেজ (২ জন), নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গলমুন্ডা আদর্শ কলেজ (১ জন)।

১৬টি কলেজের ফলাফল শূন্যের বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘অকৃতকার্য হওয়া কলেজগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
এইচএসসি ও সমমানে পাস ৭৮.৬৪%
প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর
এইচএসসির ফল আজ, জানা যাবে যেভাবে
২৬ নভেম্বর এইচএসসির ফল প্রকাশ
এইচএসসির উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়ন!

মন্তব্য

শিক্ষা
Barisal board passing rate is 8065 this year also girls are ahead

বরিশালে পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৫, এবারও মেয়েরা এগিয়ে

বরিশালে পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৫, এবারও মেয়েরা এগিয়ে
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন বলেন, ‘বিগত দিনের ধারাবাহিকতায় এবারেও ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো ফলাফল করেছে। আর জিপিএ-৫ এর দিক থেকে এবারেও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছে।’

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা গত বছরের চেয়ে কমেছে অনেকটাই। তবে শতভাগ বা পূর্ণ নম্বরের পরীক্ষার হিসেব কষলে ২০১৯ সালের পর এবারে বরিশাল বোর্ডে ফলাফলের পরিসংখ্যান অনেকটা ভালোই হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন।

তিনি জানান, ২০১৯ সালে যেখানে গড় পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৬৫, সেখানে এবারে গড় পাশের হার ৮০ দশমিক ৬৫। যদিও গতবছর পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘হিসেবে বিগত দিনের থেকে ফলাফল অনেক ভালো হয়েছে এবার। আর এজন্য শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রচেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আর গোটা দেশের মধ্যে যদি বরিশাল বোর্ড শীর্ষে থাকে তাহলে তো আমাদের জন্য খুবই আনন্দের কথা।’

তিনি জানান, গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭ হাজার ৩৮৬ জন, তবে এবারে পেয়েছে তার প্রায় অর্ধেক ৩ হাজার ৯৯৩ জন। তবে ২০১৯ সালের থেকে দ্বিগুনেরও বেশি এবারের সংখ্যা, ওই সালে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ২০১ জন।

শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন বলেন, ‘বিগত দিনের ধারাবাহিকতায় এবারেও ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো ফলাফল করেছে। আর জিপিএ-৫ এর দিক থেকে এবারেও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছে।’

এদিকে তিন বিভাগে পাসের হার মিলেয়ে দেখা যায় মেয়েরা ৮৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ পাস করেছে, যেখানে ছেলেদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

উল্লেখ্য, এ বছর ১৩১টি কেন্দ্রে ৩৩৫টি কলেজের ৬৮ হাজার ৩৯৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬৭ হাজার ৪৬৫ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৫৪ হাজার ৪১৩ জন শিক্ষার্থী। আর মোট কলেজের মধ্যে ১৩টির শতভাগ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে এবং ২৮৯ কলেজের ৫০ শতাংশের ওপরে পরীক্ষার্থী পাস করেছে। আর বোর্ডের মধ্যে শুধুমাত্র পটুয়াখালী জেলার মাত্র ১ টি কলেজে পাসের হার ৫ শতাংশের নীচে রয়েছে, তবে কোনো কলেজ নেই যেখানে কেউ পাশ করেনি।

এছাড়া এ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে ১২ জন মেয়ে ও ২৯ জন ছেলে পরীক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বন করায় বহিষ্কার হয়েছে।

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর
এইচএসসির ফল আজ, জানা যাবে যেভাবে
২৬ নভেম্বর এইচএসসির ফল প্রকাশ
এইচএসসির উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়ন!
অধ্যক্ষের ‘গাফিলতিতে’ এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া হলো না ফারিয়ার

মন্তব্য

শিক্ষা
The pass rate in Comilla is 7534 percent girls ahead

কুমিল্লায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, এগিয়ে মেয়েরা

কুমিল্লায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, এগিয়ে মেয়েরা কুমিল্লা বোর্ডে শতভাগ পাস করা সোনার বাংলা কলেজে রোববার এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে অংশগ্রহণ করে এক লাখ ১০ হাজার ৬৫৫ জন। সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৩ হাজার ৩৭০ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ৬৫৫ জন।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত দুই বছরের তুলনায় এবারের পাসে হার কম। ঘোষিত ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছে মেয়েরা।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আসাদুজ্জামান রোববার বিকেল ৩টায় এ তথ্য জানান।

ফলাফল শিটের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে অংশগ্রহণ করে এক লাখ ১০ হাজার ৬৫৫ জন। সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৩ হাজার ৩৭০ জন, যা মোট ফলের ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এবারের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ৬৫৫ জন, যা মোট ফলের ছয় দশমিক ৭৮ শতাংশ।

কুমিল্লা বোর্ডে ২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৫ হাজার ২৪ জন। এ ছাড়া ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ ছিল ১৪ হাজার ১৬২ জন।

এ বছর ৪৬ হাজার ৯৮৫ জন ছেলে ও ৬৩ হাজার ৬৭০ জন মেয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭৭ জন ছেলে ও ৪৯ হাজার ১৯৩ জন মেয়ে পাস করেছে। জিপি-৫ পেয়েছে দুই হাজার ১৩২ জন ছেলে ও তিন হাজার ৫২৩ জন মেয়ে শিক্ষার্থী।

মন্তব্য

শিক্ষা
HSC pass rate has dropped

এইচএসসিতে পাসের হার কমেছে

এইচএসসিতে পাসের হার কমেছে ঢাকার একটি কলেজে এইচএসসির ফলের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে।

রোববার বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফল প্রকাশ করা হয়। খবর ইউএনবির

ফলাফলে দেখা গেছে, সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী। শুধু ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

৯টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডের ৭৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডের ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডের ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং যশোর বোর্ডে পাসের হার ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় সেখানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বোর্ড চেয়ারম্যানরা ছিলেন।

গত ১৭ আগস্ট দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট।

এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে ১১টি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন।

আরও পড়ুন:
ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে শতভাগ জিপিএ-৫
পাসে এগিয়ে ছাত্রীরা
এইচএসসি ও সমমানে পাস ৭৮.৬৪%

মন্তব্য

p
উপরে