দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক বাছাইয়ের ফল রোববার প্রকাশ করা হবে। আর যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ১ সেপ্টেম্বর থেকে।
শনিবার রাতে অনলাইনে অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত বিশ্বদ্যিালয়গুলোর উপাচার্যদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, ‘প্রাথমিক বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা আজ প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক আবেদনে যারা নির্বাচিত হবেন শুধু তাদেরকে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানানো হবে। এরপর ১ সেপ্টম্বর থেকে চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে।’
গুচ্ছ পদ্ধতির সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যাবে, সেগুলো হলো: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই স্মরণসভা আয়োজনে ব্যয় হবে পাঁচ কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। একইসঙ্গে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অথবা সুবিধাজনক সময়ে স্মরণ সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা এই স্মরণসভা বাস্তবায়নের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
উপদেষ্টা স্মরণসভা সম্পর্কিত সব কর্মকাণ্ড সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য তার পক্ষ থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছেন। স্মরণসভাটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
সূত্র জানায়, সময় স্বল্পতার কারণে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অভিজ্ঞ ও প্রয়োজনীয় ক্ষমতাসম্পন্ন এক বা একাধিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হবে।
তবে সরাসরি ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা অনুযায়ী অনুষ্ঠান আয়োজন ও এ সংশ্লিষ্ট কার্যাদি সম্পাদনের জন্য এ বিভাগের ক্রয়ের আর্থিক ঊর্ধ্বসীমার মধ্যে তা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে এ বিধিমালায় বর্ণিত মূল্যসীমার মধ্যে ক্রয়ের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সুপারিশক্রমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগ করে ক্রয় কাজ সম্পাদন করার জন্য বৈঠকে অনুমোদন চাওয়া হয়। উপদেষ্টা কমিটি তা অনুমোদন দিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটি আয়োজনে প্রয়োজনীয় অর্থ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের রাজস্ব বাজেটে সংকুলান না হওয়ায় অতিরিক্ত অর্থ চেয়ে ইতোমধ্যে অর্থবিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ থেকে জেদ্দা ও মদিনা রুটে টিকিটের দাম কমিয়েছে।
পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য আগে দু’টি নির্দিষ্ট ফেয়ার ক্লাস বা রিজার্ভেশন বুকিং ডেজিগনেটর (আরবিডি) ব্যবহার করা হতো। এবার ওমরাহ যাত্রীদের টিকিট পাওয়া সহজ করতে চলমান দুটি বুকিং ক্লাসের পরিবর্তে সব বুকিং ক্লাস বা আরবিডি উন্মুক্ত করা হয়েছে। তা সব ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলে উন্মুক্ত রয়েছে।
বিমান কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের সুবাদে এখন ওমরাহ যাত্রীরা সাধারণ যাত্রীদের মতো যে কোনো আরবিডিতে ওমরাহ টিকিট কিনতে পারবেন। আর যেসব ওমরাহ যাত্রী আগে টিকিট কিনবেন তারা সর্বনিম্ন ভাড়ার সুবিধা পাবেন।
এছাড়াও যেসব যাত্রী ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে মদিনায় যাবেন তাদের জন্য আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দেয়া হচ্ছে।
দেশের অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে সব সংকট সমাধানে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজিএমইএ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম।
বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী গার্মেন্ট শিল্পে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। তবে সব জায়গায় তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপির স্থানীয় নেতাসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা সার্বক্ষণিক আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। কোথাও কোথাও তারা পাহারা দিচ্ছেন।’
তারা বলেন, ‘বিএনপির স্থানীয় নেতারা আমাদের জানিয়েছেন যে দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তারা গার্মেন্টস শিল্প রক্ষায় এগিয়ে এসেছেন।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং গার্মেন্টস শিল্পের নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে কথা বলবেন বলে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।
এ সময় বিজিএমইএ নেতাদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে সব সংকট সমাধানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিজিএমইর সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, সহ-সভাপতি রকিবুল আলম, পরিচালক শোভন ইসলাম, নুরুল ইসলাম ও আবসার হোসেন, সাবেক সভাপতি এস এম ফজলুল হক, কাজী মুনির, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, আবুল কালাম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:চাঁদপুরে অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন ব্যাংকটির ক্যাশিয়ার। মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজার শাখায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ব্যাংকটির ওই শাখার ব্যবস্থাপক ইউসুফ মিয়া সোমবার বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত দীপংকর ঘোষ ছেংগারচর বাজার শাখার অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামের বলাই ঘোষের ছেলে।
দীপংকর ঘোষ ২০১৯ সালে অগ্রণী ব্যাংকের মতলব উত্তর থানার ছেংগারচর বাজার শাখায় যোগদান করেন। তিনি ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের পাশে একটি ভাড়া বাসায় একাকী থাকতেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার দীপংকর ঘোষ কর্মস্থলে না এলে তার মোবাইল ফোনে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক কল করেন। ফোনে দীপংকর ঘোষ বলেন, ‘বাবা অসুস্থ, আসতে দেরি হবে।’
ব্যাংক থেকে পরে আবারও দীপংকর ঘোষের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে তার প্রকৃত অবস্থান জানার জন্য দীপংকরের স্ত্রী আঁখি সাহার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী দুপুর ১২টার সময় অফিসের উদ্দেশে ঢাকার বাসা ত্যাগ করেছেন।’
তবে বিকেল হয়ে গেলেও দীপংকর ব্যাংকে না যাওয়ায় ব্যাংকের ভল্ট খোলা সম্ভব হয়নি। পরে তার কার্যকলাপে সন্দেহ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক।
দীপংকর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং ব্যাংকের ভল্টে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ যথাযথ আছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ৩০ আগস্ট মতলব উত্তর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
১ সেপ্টেম্বর জিডির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মিস্ত্রি দিয়ে ভল্ট খোলা হয়। পরে গণনা করে ভল্টে ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা পাওয়া যায়। তবে ক্যাশে এক কোটি দুই লাখ ৯৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা থাকার কথা ছিল। অর্থাৎ গণনার সময় ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা কম পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি লিমিটেড ছেংগারচর বাজার শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেছি। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে অডিট করে গেছেন। থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।’
মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন জানান, ব্যাংকের ক্যাশিয়ার দীপংকর ঘোষ ও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও থানার ওসি আরও জানান, অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। বর্তমানে থানা ও ব্যাংকের উদ্যোগে ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
চট্টগ্রামে সরকারি খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদসহ তাদের পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করতে যারা সহযোগিতা ও উৎসাহিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি মামলা করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৯তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
কমিশনার বলেন, খাস ও ব্যক্তিগত পাহাড়ের কোনো ধরনের ক্ষতি করা যাবে না। অবৈধ বসতি উচ্ছেদসহ স্থায়ীভাবে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে।
এজন্য জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, রেলওয়ে, ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যে আন্তঃদপ্তর আলোচনা করে উচ্ছেদ-পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের নির্দেশনা দেন তিনি।
তোফায়েল ইসলাম বলেন, সরকারি, ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন সংস্থার পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে হবে। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে পাহাড় মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মালিকানাধীন পাহাড় থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করার পর যাতে বেদখল না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদসহ পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিছিন্নকরণ কার্যক্রমের অগ্রগতি কতটুকু তা ১৫ দিন পর পর প্রতিবেদন আকারে জানাতে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেন বিভাগীয় কমিশনার।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপ ডিক ডারবিন।
মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে বাসস জানায়, হুইপ সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে সিনেটে ফ্লোর নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে কয়েক দশক ধরে হয়রানির শিকার হওয়া ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানান।
ডারবিন তার মন্তব্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দেয়া ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির বিকাশে ড. ইউনূসের জীবনব্যাপী কাজ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
তিনি ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের লক্ষ্যে তার প্রথম বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে বক্তব্য শুরু করেন।
ডিক ডারবিন বলেন, ‘আমি আজ তাকে (ড. ইউনূস) আমার পূর্ণ সমর্থন দিতে যাচ্ছি। আমি তাকে বিশ্বাস করি। আমি ২০ বছর আগেও করেছি এবং আজও করছি। আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও তাকে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করছি।
‘আমি ড. ইউনুসকে চিনি। তিনি তার হৃদয়ে বাংলাদেশি জনগণের জন্য সর্বোত্তম কল্যাণ লালন করেন এবং এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।’
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। তার ক্ষমতাচ্যুতির কয়েকদিন পর অধ্যাপক ড. ইউনূস নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের শপথ নেন।
ডারবিন বলেন, ‘গত মাসে আমার বিস্ময়ের কথা কল্পনা করুন..., জনগণের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে হাসিনা অবশেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। যে ছাত্ররা বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছে তারা দাবি করে যে তাদের দেশের নেতা হবেন কেবলমাত্র ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই একই অর্থনীতির অধ্যাপক, যার সঙ্গে ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে আমার দেখা হয়েছিল।
’আমি তার সৌভাগ্যের কথা শুনে তাকে (ড. ইউনূস) ফোন করি। তিনি উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে দেশের মানুষ এখন এই ঐতিহাসিক সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত।’
ডারবিন জুলাই মাসে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানির নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশে তিন সহকর্মীর নেতৃত্ব দেন। এতে তিনি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ড. ইউনূসের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে এবং তার বিরুদ্ধে আনা সন্দেহজনক অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
ড. ইউনূসকে হয়রানি বন্ধ করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়ে ডারবিন ও তার সহকর্মীদের একটি চিঠি পাঠানোর পর এই বিবৃতি দেয়া হয়।
এ গ্রীষ্মের শুরুতেও ডারবিন সিনেট ফ্লোরে এক বক্তব্যে ড. ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ ১০০ জনেরও বেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক প্রচারণার নিন্দা জানিয়েছেন।
ডারবিন ২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ড. ইউনূসকে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন। পরে ২০১৩ সালে ইউনূসকে এই পদক প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন:সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষাকে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী করেছে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের স্পষ্টভাবে নিন্দা জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি
উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিবাদের ভাষাকে আরও শক্তিশালী করেছি। আমরা প্রতি মুহূর্তে যা বলছি তা খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আমরা আশা করি ভারত বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।’
সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের স্বার্থে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। কারণ এতে কোনো লাভ হয় না। বরং সম্পর্কের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
‘তাদেরকে পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই। এসব ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। আমি কখনও কাউকে বলতে শুনিনি যে এটি ভারতের জন্য সুফল বয়ে আনে।’
বাংলাদেশ সরকার এর আগে ভারত সরকারকে এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সীমান্ত হত্যাকাণ্ড তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার স্বর্ণা দাশ নামে এক কিশোরী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে বাংলাদেশ এ ধরনের নির্মম ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সরকার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, সীমান্ত হত্যার এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, ১৯৭৫ এর বিধানের লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য