× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Initiative to form a permanent education commission
google_news print-icon

স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের উদ্যোগ

স্থায়ী-শিক্ষা-কমিশন-গঠনের-উদ্যোগ
‘স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের জন্য আইনি কাঠামো তৈরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। এ কমিশন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক বিষয়াদি দেখভাল করবে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, প্রাথমিক, কারিগরি ও মাদরাসা স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এ জন্য এরই মধ্যে শুরু হয়েছে কমিশনের আইনি কাঠামো চূড়ান্ত করার কাজ। আইনি কাঠামো চূড়ান্ত হওয়ার পরই শুরু হবে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া।

রোববার শিক্ষা কমিশনের আইনগত কাঠামো তৈরির প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক ও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নিরীক্ষা ও আইন শাখার অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার বলেন, ‘স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের জন্য আইনি কাঠামো তৈরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। এ কমিশন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক বিষয়াদি দেখভাল করবে।’

কমিশন শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কমিশনের কাজের পরিধির বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা সম্ভব না। আইনগত কাঠামো চূড়ান্ত হলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের আদলে স্থায়ী জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে। এ কমিশনের কাজের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকবে সব ধরনের শিক্ষক নিয়োগ। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’ (এনটিআরসিএ) বিলুপ্ত হতে পারে।

জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষানীতির-২০১০ এর আলোকে এই শিক্ষা কমিশন গঠনের আইনগত কাঠামো তৈরির জন্য ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি কমিশন গঠনের আইনি কাঠামো তৈরি করছে। এ নিয়ে কমিটি বেশ কয়েক দফা সভাও করেছে।

গঠিত কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে আছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নিরীক্ষা ও আইন শাখার অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। আর সদস্য হিসেবে আছেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (অডিট ও আইন) মাহমুদুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব, পরিচালক (মনিটরিং ও মূল্যায়ন) ড. উত্তম কুমার দাশ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. জাহাঙ্গীর আলম, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মো. জিয়াউল আহসান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের যুগ্ন সচিব (প্রশাসন) জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সচিব অধ্যাপক এ. কে. এম. মনিরুল ইসলাম।

এর আগে গত ২৮ জুলাই রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ওয়েবিনারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা, ইউজিসি সক্ষমতা আইন, শিক্ষা কমিশন নিয়ে আরও বেশি কাজ করা হচ্ছে, যেন শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন না থাকে।

এর আগে ২০১৯ সালে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের আইনের খসড়া তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএকে। তারা খসড়া তৈরি করে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Primary Assistant Teacher Recruitment Three Division Test Today

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: তিন বিভাগের পরীক্ষা আজ

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: তিন বিভাগের পরীক্ষা আজ নিয়োগ পরীক্ষার একটি কেন্দ্র। ফাইল ছবি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের সামগ্রী এরই মধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা হবে শুক্রবার।

জেলা পর্যায়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের সামগ্রী এরই মধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পাদনের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি আর কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন:
একই ভবনে স্কুল ও পুলিশ ক্যাম্প, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
ক্রীড়ায় পিছিয়ে নেই কুবির মেয়েরা
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর
আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউতে পাস ৬ হাজার ২২৯ জন
এআই প্রযুক্তি শিক্ষায় ডিজিটালাইজেশনে ভূমিকা রাখবে: পিয়ারসন এডুকেশন

মন্তব্য

শিক্ষা
3164 non cadre candidates recommended in 41st BCS

৪১তম বিসিএসে নন ক্যাডারে ৩১৬৪ জনকে সুপারিশ

৪১তম বিসিএসে নন ক্যাডারে ৩১৬৪ জনকে সুপারিশ
সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের রোল নম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কোন পদে কতজন নিয়োগ পাচ্ছেন তা-ও জানানো হয়েছে এই তালিকায়।

৪১তম বিসিএসের নন ক্যাডার থেকে সবমিলিয়ে ৩ হাজার ১৬৪ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের রোল নম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কোন পদে কতজন নিয়োগ পাচ্ছেন তা-ও জানানো হয়েছে এই তালিকায়।

এর আগে গত ৩ আগস্ট প্রকাশ করা হয় ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ৫২০ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে সবচেয়ে বেশি ৮৮৮ জনকে সুপারিশ করা হয় শিক্ষা ক্যাডারে। এছাড়া প্রশাসন ক্যাডারে ৩২৩, পুলিশে ১০০, পররাষ্ট্রে ২৫, স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন ১০৮, ডেন্টিস্ট ১৭১, কৃষি ক্যাডারে ২৩০, বন ক্যাডারে ৩৬, পশুসম্পদ ক্যাডারে ৭৬, তথ্য ক্যাডারের তিন পদে ৩৮, কর ক্যাডারে ৬০ ও অন্যান্য ক্যাডারে ৪৬৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

তখন নন ক্যাডারে ৯ হাজার ৮২১ জন প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করে পিএসসি।

৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর। তাতে আবেদন পড়ে চার লক্ষাধিক। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। তাতে উত্তীর্ণ হওয়া ২১ হাজার ৫৬ জন উত্তীর্ণ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গত বছরের ১০ নভেম্বর ওই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। তাতে উত্তীর্ণ হন ১৩ হাজার প্রার্থী। সবশেষে মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয় চলতি বছরের ২৬ জুন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Simultaneous resignation of 30 teachers of Khukribi

খুকৃবির ৩০ শিক্ষকের একযোগে পদত্যাগ

খুকৃবির ৩০ শিক্ষকের একযোগে পদত্যাগ
এসব শিক্ষকদের দাবি, খুকৃবির চলমান সঙ্কট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঠানো হয়। ওই নির্দেশনা মেনে নিয়েছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ওই নির্দেশনা হুবহু না মেনে নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ৩৮ জন শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে গেছে।

বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন খুকৃবির (খুকৃবি) ৩০ জন শিক্ষক। এর মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন বিভাগীয় প্রধান, চারজন হল প্রাধ্যক্ষ এবং তিনজন আইকিউএসি সেলের প্রধান।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে শিক্ষক সমিতির কাছে তারা নিজেদের পদত্যাগের বিষয়টি অবহিত করেন। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্রগুলো জমা দিতে যান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি থেকে সবার পদত্যাগপত্র নিয়ে আসা হয়েছিল। এতগুলো পদত্যাগপত্র নিতে ঝামেলা হওয়ায় একটি ফরোয়াডিং লেটার দিয়ে পদত্যাগপত্রগুলো পাঠাতে বলা হয়েছে।’

মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। এ নিয়ে শিক্ষকদের দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হয়। এর আগে গত অক্টোবরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দ্রুত পাওয়ার দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন করেছিলেন তারা। এবার শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

শিক্ষকদের দাবি, খুকৃবির চলমান সঙ্কট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঠানো হয়। ওই নির্দেশনা মেনে নিয়েছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ওই নির্দেশনা হুবহু না মেনে নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ৩৮ জন শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে গেছে।

খুকৃবির শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বিদ্যুৎ মাতুব্বর বলেন, ‘৩২ জন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মানায় বিভিন্ন পদের ৩০ জনই শিক্ষক সমিতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ওই পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে- এমন অভিযোগে ৭৩ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তের প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশনা দেয়া হয়। গত জুন মাসে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নিয়োগের ব্যাপারটি পুনরায় তদন্ত করার জন্য আবেদন করেন শিক্ষকরা। আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৬ নভেম্বর পুনরায় তদন্তের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ওই নির্দেশনা পরিপালন করে অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার মধ্যে ছিল- খুকৃবির প্রথম ও সাবেক উপাচার্য মো. শহীদুর রহমান খানের ছেলে-মেয়েসহ ৬ স্বজনের নিয়োগ বাতিল করা। এর মধ্যে একজন শিক্ষক এবং ৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।

নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের জন্য আগের যে নির্দেশনা ছিল তার মধ্যে শুধু সাবেক উপাচার্যের মেয়ে ছাড়া সবার ক্ষেত্রে তা স্থগিত করা হয়। তবে নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিল হলেও ২৪ শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত ও এক শিক্ষকের পদোন্নতি বাতিল, একজন শিক্ষকের পদাবনতি করা হয়। আর অন্য ৪৬ জন শিক্ষক ও ৩ কর্মচারীর নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়।

যে ২৪ জন শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত রাখা হয়, তার মধ্যে রয়েছেন ২০ জন প্রভাষক ও ৪ জন সহকারী অধ্যাপক। ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্টিকেলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কমপক্ষে একটি আর্টিকেল প্রথম লেখক হিসেবে প্রকাশ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা পুরোপুরি পরিপালন করার দাবি করছেন শিক্ষকরা।

খুকৃবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা পরিপালনের জন্য তা সিন্ডিকেটের ১৪তম সভায় তোলা হয়। গত ১৮ নভেম্বর ওই সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় যাদের চাকরি বাতিলের কথা বলা হয়েছিল তারা উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন। এ কারণে ওই ব্যাপারটি নিয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। নির্দেশনার অন্য দুটি সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট সভা নিজেদের মতো করে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হলো, কোনো কিছু পাস করতে হলে তা সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার মধ্যে চারটি ধারা ও চারটি উপধারা ছিল। যে নির্দেশনায় চাকরি বাতিলের কথা বলা হয়েছিল, মামলা থাকায় সেখানে সিন্ডিকেট সদস্যরা কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। দুটি নির্দেশনা বাদে অন্য সবগুলো নির্দেশনা হুবহু পরিপালন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুল আলমের পদাবনতির ব্যাপারটিতে তদন্তের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কারণে তিনি সব শিক্ষকদের বুঝিয়ে পদত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’

খুকৃবির প্রথম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মো. শহীদুর রহমান খান বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। তার চার বছর মেয়াদে অনুমোদন পাওয়া ৪৪৭ পদের মধ্যে ছেলে-মেয়ে, শ্যালক, ভাতিজাসহ ৪২৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বাড়াতে চার বছরে পাঁচ অনুষদের ৪৩ বিভাগ চালু করা হয়।

নিয়োগে অনিয়ম দেখে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্য। চিঠিতে তারা লিখেছিলেন, ‘খুকৃবিতে নিয়োগের শুরু থেকেই অস্বচ্ছতা ও আত্মীয়করণ দেখা যাচ্ছে। বিষয়টির যথাযথ তদন্ত করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অদক্ষ জনবল ও আত্মীয়করণের হাত থেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।’

নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ২০২০ সালের নভেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি করে ইউজিসি। এক বছরের বেশি সময় পর তদন্ত কমিটি ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩ আগস্ট উপাচার্যের ছেলে-মেয়েসহ ৯ স্বজন ও ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। এর আগে অনিয়ম হওয়ায় কয়েক দফা নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি।

আরও পড়ুন:
শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, যাতায়াত সমস্যায় চবি শিক্ষকরাও
স্ত্রীর অভিযোগে শিক্ষককে ক্লাস-প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সরাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
মাদারীপুরে মাদ্রাসার ৪ ছাত্রকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ
শিক্ষক সংকটে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষকের বেতের আঘাতে শিশুর চোখ নষ্ট, ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

মন্তব্য

শিক্ষা
Two Ansar members were dismissed in Chabi on charges of eve teasing

চবিতে ‘মেয়েদের ওয়াশরুমে গিয়ে বসে থাকা’ ২ আনসার সদস্য বরখাস্ত

চবিতে ‘মেয়েদের ওয়াশরুমে গিয়ে বসে থাকা’ ২ আনসার সদস্য বরখাস্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির চট্টগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের চবি থেকে প্রত্যাহারপূর্বক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চবির ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইনস্টিটিউটে দায়িত্ব পালন করা ওই দুজনকে বহিষ্কার করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন মো. আশিকুর রহমান ও মো. আনিসুর রহমান।

বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব।

এ বিষয়ে ছাত্রীরা অভিযোগপত্রে লেখেন, আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ সেশনের ছাত্রী। সম্প্রতি আমাদের কয়েকজন ছাত্রী ফরেস্ট্রিতে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছি।

অভিযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তারা (অভিযুক্ত দুই আনসান সদস্য) অপ্রস্তুত অবস্থায় মেয়েদের ছবি তোলেন, ইচ্ছাকৃত মেয়েদের ওয়াশরুমে বসে থাকেন, ফরেস্ট্রির রাস্তায় মেয়েদের দিকে বাজেভাবে তাকান, মেয়েদের দেখলে শিস দেন, গান গায় এবং ডিউটি বাদ দিয়ে একাডেমিক ভবনে ঘোরাফেরা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ বলেন, ‘ছাত্রীরা অভিযোগ দিয়েছে কিছুদিন আগের একটা অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের অনুমতি ছাড়া তারা (অভিযুক্ত দুই আনসান সদস্য) ছবি তুলেছেন৷

‘এ ছাড়া তাদের একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে লেডিস ওয়াশরুমের আশেপাশে দেখেছে৷ এটা নিয়ে আজ ছাত্ররা দুই আনসার সদস্যকে আটকিয়ে রেখে আমাদের খবর দেয়। ছাত্রীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দুই আনসার সদস্যকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করে জেলা কমান্ড্যান্ট বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।’

বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির চট্টগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের চবি থেকে প্রত্যাহারপূর্বক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
চবি চলচ্চিত্র সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি
অবরোধের সমর্থনে চবির প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদলের তালা
চবির উদ্ভিদ উদ্যানে ৮ ফুট লম্বা অজগর
চবি ক্যাম্পাসে সাবেক কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার
চবির অডিও কেলেঙ্কারি: সিন্ডিকেটে শাস্তি কার্যকরের সিদ্ধান্ত

মন্তব্য

শিক্ষা
Sacked teacher for selling math test questions

গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি করে বরখাস্ত শিক্ষক

গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি করে বরখাস্ত শিক্ষক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল। ছবি: সংগৃহীত
অভিভাবকরা বলেন, ‘গত ২৩ নভেম্বর শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল তার মোবাইল নম্বর কাগজে লিখে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে অভিভাবকদের ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন। আমরা কয়েকজন অভিভাবক ওই নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করি। তখন ৫ শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে গণিতের প্রশ্ন পাওয়া যাবে বলে টুটুল স্যার আমাদের প্রস্তাব দেন।’

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার গণিতের প্রশ্ন ফাঁস করে বিক্রি করার দায়ে ইমাম হোসেন টুটুল নামের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।

ইমাম হোসেন টুটুল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের ১১ নম্বর দক্ষিণ বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

এ বিষয়ে অবিভাবক রিনা বেগম ও কুমকুম বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২৩ নভেম্বর দুপুরে চারুকারু পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল তার মোবাইল নম্বর কাগজে লিখে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে অভিভাবকদের ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন। আমরা কয়েকজন অভিভাবক ওই নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করি। তখন ৫ শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে গণিতের প্রশ্ন পাওয়া যাবে বলে টুটুল স্যার আমাদের প্রস্তাব দেন। কয়েকজন টাকা দিয়ে পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যায় (২৫ নভেম্বর) গণিতের প্রশ্ন নেন ওই শিক্ষকের কাছ থেকে। কিন্তু শিক্ষকের এ ধরনের কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে আমরা কয়েকজন মিলে এ সংক্রান্ত কয়েকটি কল রেকর্ড টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠিয়ে দেই।’

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ বলেন, ‘আমরা ২৫ নভেম্বর রাতেই টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল-মামুন ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাই। পরে ওই রাতেই ইউএনও এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে ওই তিন শ্রেণির গণিত প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয় বলে আমরা জানতে পারি।’

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর নতুন প্রশ্নে ৩ নম্বর ক্লাস্টারের ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ওই ক্লাস্টারভূক্ত ২৬টি বিদ্যালয়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছিল।’

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার পর ইউএনও এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে প্রশ্ন বিক্রির সত্যতা মিলেছে। তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ধারা ২০১৮-এর ৩ (বি) ধারায় অভিযুক্ত করে শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুলকে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুলের মোবাইল নম্বরে বারবার কল করা হলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য

শিক্ষা
Seminar at AIUB on Challenges of Online Journalism

অনলাইন সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ বিষয়ে এআইইউবিতে সেমিনার

অনলাইন সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ বিষয়ে এআইইউবিতে সেমিনার
সেমিনারে ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে মাল্টিটাস্কিং শেখার ওপর বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, ‘এখন আর আগের মতো শুধু রিপোর্টিং, এডিটিং বা শুধু ক্যামেরার কাজ জানাটা যথেষ্ট নয়। আজকের যুগের সাংবাদিকদেরকে এগুলো সবই একসঙ্গে জানতে হবে। নইলে, অনলাইনের এই যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।’

সাংবাদিকতায় বৈশ্বিক ও দেশীয় প্রবণতা ও চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলোকে মোকাবিলা করার উপায় নিয়ে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে (এআইইউবি) একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ‘দ্য ট্রেন্ডস অব কনটেম্পরারি জার্নালিজম: লোকাল গ্লোবাল ইন্টারঅ্যাকশন’ শীর্ষক শিরোনামের এ সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া ও ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগ।

সেমিনারের মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- এআইইউবির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম এবং মিডিয়া ও ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ মাসুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফরোজা সোমা।

গণমাধ্যমের ওপর প্রযুক্তির প্রভাবের গুরুত্ব তুলে ধরে এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এ পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করতে হবে। এজন্য অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে নতুন নতুন প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

সেমিনারের বক্তা কালের কণ্ঠের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী মিডিয়ার রূপান্তর এবং সাংবাদিকদের নতুন দক্ষতা বিকাশ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ধীরে ধীরে দর্শক এবং পাঠকের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ মিডিয়া, মাল্টিমিডিয়া স্টোরি টেলিং এবং ডিজিটাল স্টোরি টেলিং এখন জায়গা করে নিচ্ছে।

ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম বাংলাদেশের সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন শিল্পে প্রযুক্তি কীভাবে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে- সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে মাল্টিটাস্কিং শেখার ওপর বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, ‘এখন আর আগের মতো শুধু রিপোর্টিং, এডিটিং বা শুধু ক্যামেরার কাজ জানাটা যথেষ্ট নয়। আজকের যুগের সাংবাদিকদেরকে এগুলো সবই একসঙ্গে জানতে হবে। নইলে, অনলাইনের এই যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।’

আরও পড়ুন:
‘বাণিজ্য বাদেও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব রাখতে মরিয়া চীন’

মন্তব্য

শিক্ষা
DU admission fee increased by Tk 50 application starts on 18 December

ঢাবিতে ভর্তি ফি বাড়ল ৫০ টাকা, আবেদন শুরু ১৮ ডিসেম্বর

ঢাবিতে ভর্তি ফি বাড়ল ৫০ টাকা, আবেদন শুরু ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
সভায় ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১ মার্চ এবং চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে। আবেদনের শেষ সময় ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এ ছাড়া গতবারের চেয়ে ৫০ টাকা বাড়িয়ে এবার আবেদন ফি করা হয়েছে ১০৫০ টাকা।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ইউনিটে ভর্তির তারিখও চূড়ান্ত করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক এ.এস.এম মাকসুদ কামাল সভার সভাপতিত্ব করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ইউনিটের মাধ্যমে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটগুলো হচ্ছে- কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট; বিজ্ঞান ইউনিট; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এবং চারুকলা ইউনিট।

সভায় ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১ মার্চ এবং চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চ।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

সকল ইউনিটের পরীক্ষা সকাল এগারোটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা ইউনিট ব্যতীত অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রসমূহ হচ্ছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুধুমাত্র চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চারুকলা ইউনিটের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিটের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।

ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২১ সন পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২৩ সনের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য এ যোগ্যতা ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং চারুকলা ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।

মন্তব্য

p
উপরে