করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা সরকারের। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেয়া হতে পারে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পাবলিক পরীক্ষা দুটি নেয়া হবে শুধু গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক তিন বিষয়ে। এরই মধ্যে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও তৈরি করা হয়েছে।
পরীক্ষা কীভাবে নেয়া হবে এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিসহ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার নানা বিষয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
নিউজবাংলা: নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে, আবশ্যিক বিষয়গুলোতে (বাংলা, ইংরেজি, গণিত) কেন পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না?
নেহাল আহমেদ: আমরা এখন কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নেই। আমরা করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আছি। এই বিষয়টি মাথায় রাখলেই আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বাংলা, ইংরেজি, আইসিটি-এই বিষয়গুলো আছে। যদি আমরা পরীক্ষা নিই, তাহলে এক দিনে এই বিষয়গুলোতে সব শিক্ষার্থীই অংশ নেবে।
উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, ঢাকা কলেজে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থীর সিট পড়ে, সেখানে যখন সব শিক্ষার্থী আসবে তাদের সঙ্গে ৫ থেকে ৬ হাজার অভিভাবক আসবেন, তখন ১০-১২ হাজার জনের একটা মব তৈরি হবে। এই পরিস্থিতিতে তখন আমাদের পক্ষে কি স্বাস্থ্যবিধি মানা আদৌ সম্ভব? আমাদের তো বারবার স্বাস্থ্যবিধি এবং করোনাকালের বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে।
আবশ্যিক বিষয়সমূহ যেহেতু প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আছে, তাই আমরা এগুলো বাদ দিয়েছি যেন স্বাস্থ্যবিধিটা যথাযথভাবে মানা যায়। আমাদের এখনকার পরিকল্পনা অনুযায়ী বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার দিন শুধু বিজ্ঞানের পরীক্ষার্থীরা আসবে, মানবিকের দিন মানবিকের শিক্ষার্থীরা, ব্যবসায় শিক্ষার দিন ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা। এতে একটি ব্যাচের সঙ্গে আরেকটি ব্যাচের দেখা হবে না।
এর ফলে যেখানে একটি সেন্টারে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী আসত, সেখানে এই ব্যবস্থাপনায় তা নেবে আসবে ১ হাজারে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধিটা মানা সম্ভব হবে। এ কারণেই কিন্তু আমরা আবশ্যিক বিষয়সমূহ বাদ দিয়েছি।
নিউজবাংলা: পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি কেমন হবে?
নেহাল আহমেদ: পরীক্ষার মূল্যায়ন নিয়েও শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। গত বছর আমরা কোনো পরীক্ষা না নিয়েই এইচএসসির সম্পূর্ণ রেজাল্ট দিয়েছি। আমরা যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেব না, সে ক্ষেত্রে আমরা গত বছরের মতো সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করব।
একজন শিক্ষার্থী যখন ফল হাতে পাবে, তখন সে দেখবে তার সব বিষয়ে ফল আছে। এর মধ্যে আমরা শুধু তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা নেব। তিন বিষয়ের ফল আসবে পরীক্ষা থেকে আর বাকিগুলো আসবে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে।
নিউজবাংলা: পরীক্ষার নম্বর বণ্টন কেমন হবে?
নেহাল আহমেদ: ইতোমধ্যে আমাদের প্রশ্ন তৈরি হয়ে গেছে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর প্রশ্ন করা হয়েছে। ধরুন, যে প্রশ্নপত্রটি দেয়া হবে সেখানে ১০টা প্রশ্ন আছে। সাধারণত শিক্ষার্থীকে আগে ৭-৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো। পরীক্ষার সময়ও যেহেতু কমানো হবে, অর্থাৎ ৩ ঘণ্টার পরীক্ষা দেড় ঘণ্টায় নেব, তাই আমরা শিক্ষার্থীদের ২-৩টা প্রশ্নের উত্তর দিতে বলব। এটি বিষয় অনুযায়ী ভেরি করবে। এ বিষয়ে আমাদের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বসবেন। অর্থাৎ উত্তর দেয়ার শিক্ষার্থীদের অপশন অনেক বেশি থাকবে।
নিউজবাংলা: চতুর্থ বিষয় নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাই?
নেহাল আহমেদ: বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। বিশেষ করে এটা নিয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা রয়েছে। অনেকেই চতুর্থ বিষয় পরিবর্তন করার জন্য বোর্ডে যোগাযোগ করছেন। এ সুযোগ এখন আর নেই। অনেক অভিভাবক এসে বলছেন, আমার ছেলে বা মেয়ে তো মেডিক্যালে পড়বে, জীববিজ্ঞানে যদি নম্বর না থাকে, তাহলে তো সে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না। ওনাদের উদ্দেশে বলছি, কারও চতুর্থ বিষয় হয়তো জীববিজ্ঞান, কারও গণিত। দুই বিষয়েই কিন্তু তারা নম্বর পাবে। একটা আসবে পরীক্ষা থেকে আর একটা আসবে সাবজেক্ট ম্যাপিং থেকে।
শিক্ষার্থীর হাতে যখন নম্বরপত্রটা পৌঁছাবে, তখন সে দেখবে প্রতিটা বিষয়ে নম্বর পেয়েছে। কারণ আমরা একটা কমপ্লিট নম্বরপত্র তৈরি করে শিক্ষার্থীদের হাতে দেব। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভয়েরও কোনো কারণ নেই। কারণ তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের নম্বর আসবে পরীক্ষা থেকে আর বাকিগুলো সাবজেক্ট ম্যাপিং থেকে। তাই আমি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করতে চাই, চতুর্থ বিষয় নিয়ে বুয়েট কিংবা মেডিক্যালে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না।
নিউজবাংলা: সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাই।
নেহাল আহমেদ: গত বছর আমরা এইচএসসিতে যে ফলটা দিয়েছিলাম, সেখানে আমরা জেএসসি থেকে ২৫ শতাংশ নম্বর নিয়েছিলাম আর এসএসসি থেকে ৭৫ নম্বর নিয়েছিলাম। তারপর সেটাকে সমন্বয় করে ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন করা হয়েছিল। এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য কোন পরীক্ষা থেকে কত শতাংশ নম্বর নেয়া হবে, তা নির্ধারণ করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
এসএসসির জন্য শুধু জেএসসি পরীক্ষাকেই ব্যবহার করব সাবজেক্ট ম্যাপিং করার ক্ষেত্রে।
নিউজবাংলা: অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কে জানতে চাই।
নেহাল আহমেদ: আমরা এখন শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছি। যেগুলো তৈরি করেছে জাতীয় কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। যেহেতু আমরা ক্লাসগুলো নিতে পারিনি, তাই এই অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতির সুযোগ পাবে।
অ্যাসাইনমেন্টে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডে জমা থাকবে। আমাদের যদি পরীক্ষা না নেয়ার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে আমরা অ্যাসাইনমেন্ট থেকে কিছু নম্বর নেয়ার চিন্তাভাবনা করতে পারি। অ্যাসাইনমেন্টের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই সব বিষয়ের সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করব। আর অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে যদি অভিযোগ ওঠে তাহলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা নেব। অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যেন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারে এবং পড়াশোনার মধ্যে থাকে।
নিউজবাংলা: এসএসসির ক্ষেত্রে কি অবজেকটিভ থাকবে?
নেহাল আহমেদ: আগের মতো সবকিছুই থাকবে। তবে প্র্যাকটিকালের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যে নোটবুক তৈরি করত, সেখানে আগে ৫ নম্বর ছিল। সেটাকে আমরা ২৫-এ ট্রান্সফার করব। আর এমসিকিউতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ছিল ২৫ নম্বর। সেখানে সবগুলোই দিতে হতো। এখন আমরা শিক্ষার্থীদের অপশন বাড়িয়ে দেব। যেমন, তারা এখন ২৫টার মধ্যে যেকোনো ১২টার উত্তর দেবে। এটা মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষার ক্ষেত্রেও করব।
নিউজবাংলা: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
নেহাল আহমেদ: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কেবি) কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তার এই পদক্ষেপে সংহতি জানিয়ে কলেজের অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। শনিবার কলেজ প্রাঙ্গণে অনশন করেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, কেবি কলেজে বোমা হামলার হুমকি, শিক্ষকদের শারীরিক নির্যাতনের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে তারা এই আমরণ অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক বি. এম. আব্দুল্লাহ রনি জানান, দুপুর ১২টার দিকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে অধ্যক্ষ ঘোষণা দেন, কলেজ ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চলমান হুমকি এবং বহিরাগতদের অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে তিনি আমরণ অনশনে বসবেন। তখন অন্যান্য শিক্ষকরা একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলে আমরা অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেব।’
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দিনদুপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় নগদ ৬০ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম আরকান চৌধুরী (২৫)। তিনি কাঞ্চনা ইউনিয়নের মনুফকিরহাট জাফর চৌধুরীবাড়ি এলাকার মো. জাকির হোসেনের ছেলে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মনুফকিরহাট জাফর চৌধুরীবাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আরকান চৌধুরী ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। শনিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাঞ্চনা মনুফকিরহাট হাটের জলদাশপাড়া ব্রিজের ওপর গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা অভি চৌধুরীর কাছ থেকে নগদ ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন ছিনতাইকারীরা। অভি কাঞ্চনা শাখার কেন্দ্র ব্যবস্থাপক। পরে এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন ব্যাংক কর্মকর্তা।
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় ধনু নদে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্পিডবোট উল্টে শিশুসহ ৪ জন নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর উষা মনির (৪) তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। শনিবার ধনু নদের চরপাড়া এলাকায় ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
খালিয়াজুরী থানার ওসি মকবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল অন্যদের লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নিখোঁজ রয়েছেন, গাজীপুর ইউনিয়নের বয়রা গ্রামের নবাব মিয়ার মেয়ে শিরিন আক্তার (১৮), আন্ধাইর গ্রামের স্বপন মিয়ার মেয়ে লায়লা (৭) ও সামসু মিয়ার মেয়ে সামিয়া (১১)।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীর সমাজের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভুলুয়া নদীর তীব্র ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে গেছে কয়েক হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি ও কয়েক একর কৃষি জমি। ভাঙন রোদে ভূলুয়া নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীর সমাজের ভূলুয়া নদীর পাড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন- চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হুমায়ুন কবির, মীর সমাজ জামে মসজিদের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ, স্থানীয় বাসিন্দা জহির উদ্দীন, শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম, আজিমা বেগম, কুলছুম ও রাবেয়া বেগম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার সিমান্তের চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীর সমাজের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ভূলুয়া নদী। নদীটির সুবর্ণচর অংশে চর জেগে ওঠায় রামগতির অংশে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মীর সমাজের কয়েক হাজার পরিবার নদীভাঙনের মুখে পড়ে। ইতোমধ্যে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনো ৪০টির মতো বসতবাড়ি হুমকির মুখে আছে। এছাড়া কয়েক একর কৃষি জমি ভূলুয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পাশেই রয়েছে, উত্তর চর আফজাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরআফজল মীর সমাজ নুরানী মাদ্রাসা, চরআফজল মীর সমাজ জামে মসজিদসহ অন্তত ১০ হাজার মানুষের বসবাস। এসব মানুষগুলো রয়েছে চরম উদ্বিগ্ন উৎকণ্ঠায়। বক্তারা আরও বলেন, ভুলুয়া নদীর ওই স্থানে দ্রুত ব্লক বাঁধ নির্মাণ না করলে অল্প সময়ের মধ্যে মীর সমাজটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তাই তারা দ্রুত নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খান বলেন, সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে ওই স্থানে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেবেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দিন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা যান চ্যানেল এস-এর সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম শিবলী।
নবনির্বাচিত ডাকসু নেতা ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর মধুমিতা রোডের শিবলীর বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা মৃতের পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তরিকুল শিবলীর পরিবারের হাতে নগদ দুই লাখ টাকা তুলে দেন।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ডাকসুর নব-নির্বাচিত ভিপি ও শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, ডাকসু জিএস এস এম ফরহাদ, পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ ও শিবিরের গাজীপুর মহানগর সভাপতিসহ অন্যান্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ডাকসুর নবনির্বাচিত জিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ লেখেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের দিন সংবাদ কাভার করতে গিয়ে ইন্তেকাল করেছেন তরিকুল শিবলী ভাই। তিনি রেখে গেছেন দুই সন্তান। বড় সন্তান আয়াতের বয়স চার বছর এবং ছোট সন্তান আজমীনের বয়স দেড় বছর।’
ফরহাদ আরও লেখেন, চার বছর বয়সী আয়াত দীর্ঘ আলাপের ফাঁকে আমাকে বলছে- ‘আমার বাবাকে আল্লাহ নিয়ে গেছেন এবং আল্লাহ বাবাকে সুন্দর একটা জায়গায় রেখেছেন। যেহেতু বাবা আসবেন না, তাই আমি ও আমার মা ছোট বোন আজমীনের খোঁজখবর রাখবো, আদর করবো।’ অবুঝ শিশুর মুখে এমন ভারি কথা!
তিনি জানান, আমরা পরিবারের সঙ্গে প্রাথমিক সাক্ষাতে ছোট্ট দুই শিশুর খরচের জন্য ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আপাতত দুই লাখ টাকা পৌঁছে দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা সব প্রয়োজনে সাধ্যমতো পরিবারটির পাশে থাকবো। বাবা হারানো ছোট শিশুদের জন্য দোয়া চাই।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বিভিন্ন অপরাধ প্রবণ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
শনিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. দুলাল মিয়া (২৭), গোলাম রাব্বি ওরফে বাপ্পি (১৯), মো. শাকিল হাওলাদার (২৫), মো. বাপ্পি (৩০), মো. হৃদয় হোসেন (৩০), মো. বিজয় (১৮), মো. ইজাজুল হোসেন (১৮), মো. কামাল হোসেন (৩২), মো. বাবু ওরফে ছোট বাবু (৩০) ও মো. সুমন (৩২)।
এতে বলা হয়, গত শুক্রবার দিনব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদপুর থানার বিভিন্ন স্থান থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থাকা দুটি সামুরাই উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে নিয়মিত মামলার আসামি, দস্যুতা মামলার আসামি, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী।
গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রাজধানীর বনানীর একটি বাসা থেকে চুরি যাওয়া ২৪ লাখ সাড়ে ৮৪ হাজার টাকা, মোটরসাইকেল এবং দুইটি মোবাইল ফোনসহ মো. কাউছার আহমেদ (২২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গত শুক্রবার রাত পৌঁনে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির বনানী থানা পুলিশ।
শনিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী মুস্তাজিরুল শোভন ইসলামের বনানীর বাসায় চুরি হয়। হ্যান্ড সুটকেসে থাকা ব্যবসায়িক কাজের জন্য রাখা ৩০ লাখ টাকা চোর চুরি করে নিয়ে যায়। পরে ১১ সেপ্টেম্বর ভিক্টিম মুস্তাজিরুল বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।
এতে আরও বলা হয়, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তকারী দল দ্রুত চুরির সাথে জড়িত ব্যক্তির পরিচয় ও অবস্থান শনাক্ত করে। পরবর্তীতে মানিকগঞ্জে অভিযান চালিয়ে কাউছারকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির ঘটনা স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মন্তব্য