সাড়ে চার বছর বয়সী আরৌশি হোসেনকে স্কুলে ভর্তি করা হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাবা আশিক হোসেন ও মা তামান্না আক্তার ভাবছেন, তাদের মতো সাধারণ শিক্ষা নয়, মেয়েকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াবেন। সন্তানের ইংরেজি ভাষায় ভিত গড়তেই এই সিদ্ধান্ত তাদের।
কেন মেয়েকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াবেন, এমন প্রশ্নে মা তামান্না নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলার পাশাপাশি প্রত্যেকের দ্বিতীয় একটি ভাষাজ্ঞান থাকা উচিত। যেহেতু ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা, তাই ইংরেজির আলাদা একটি গুরুত্ব আছে।’
চার বছরের স্বরিৎ ঋতি ভোর এখনও স্কুলে যায়নি। তার মা নাহিদা খানমও ঠিক করে রেখেছেন সন্তানকে ইংরেজি মাধ্যমেই ভর্তি করাবেন।
নাহিদা বলেন, ‘আমাদের মতো মেয়ে যেন ইংরেজিতে দুর্বল না হয়, এ জন্য তাকে ইংরেজিতেই পড়াব। এতে বড় হয়ে কর্মক্ষেত্রে সে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে বলে আশা করছি।’
বাংলাদেশে তরুণদের ইংরেজি ভাষায় দুর্বলতা নতুন কোনো তথ্য নয়। কেবল ইংরেজিতে কথোপকথন ভালো, এই বাড়তি যোগ্যতায় ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে হাজার হাজার কর্মী দেশের পোশাক খাতে কাজ করছে।
আবার বহুজাতিক অনেক কোম্পানি বা উচ্চ বেতনের বেসরকারি কোম্পানিতে হাজারও তরুণ আবেদনই করেন না ইংরেজির দুর্বলতায়।
গৃহবধূ তামান্না আক্তার বলেন, ‘আমাদের বাংলা মাধ্যমের স্কুল খারাপ, তা বলছি না। তবে সেগুলোর চেয়ে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে তুলনামূলকভাবে ইংরেজি ভাষায় জোর দেয়া হয়।
‘ছোট থেকে একজন শিক্ষার্থী সেই ভাষাটা রপ্ত করতে পারলে কাজ এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাড়তি সুযোগ পাবে।’
ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড সেভেনে পড়ছে তানহা বিনতে রহমান। সে দেশের বাইরে গিয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চায়। ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা নিতে তার সমস্যা হচ্ছে না, বরং আগ্রহ বাড়ছে।
অভিভাবকদের আগ্রহ বাড়তে থাকায় বড় শহরগুলোর পাশাপাশি মফস্বল শহরেও এখন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গড়ে উঠছে। আর শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়ে চলছে। উচ্চবিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের মধ্যেও সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যমে পাঠানোর প্রবণতা বাড়ছে।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য বলছে, ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে ২০১৬ সালে গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্র ছিলেন, এমন তথ্য আসার পর বেশ কিছু স্কুল বন্ধ হয়ে যায়।
ব্যানবেইসের প্রধান পরিসংখ্যানবিদ শেখ মো. আলমগীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমলেও শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত বেড়েছে। গত তিন বছরে আমাদের হিসাবে শিক্ষার্থী বেড়ে দেড় গুণ হয়েছে।’
তবে নার্সারি ও কেজি শ্রেণিতে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলো ব্যানবেইসের হিসাবে নেই। ফলে একেবারে শিশু শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত, সে তথ্য দিতে পারছে না তারা।
ইংরেজি মাধ্যমে আগ্রহ বাড়ছে কেন
বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক কাজী তায়েফ সাহাদাত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক কারিকুলামের কারণে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বব্যাপী। মহামারির সময়টার দিকে তাকালেই আপনি বুঝতে পারবেন কেন অভিভাবকরা ইংরেজি মাধ্যমে পড়াতে বেশি আগ্রহী।
‘কঠিন সময়ে এক দিনের জন্যও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোর ক্লাস বন্ধ হয়নি। রুটিন অনুযায়ী অনলাইনে ক্লাস চলছে। এর বিপরীতে অন্য মাধ্যমের স্কুলগুলোর দিকে তাকালেই আপনি বাস্তব চিত্র পেয়ে যাবেন।’
ইংলিশ মিডিয়াম সানবিমস স্কুলের শিক্ষক উজ্জ্বল কুমার সরকার বলেন, ‘ইংলিশ মিডিয়ামের কারিকুলামকে সারা বিশ্বেই স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গণ্য করা হয়। কোনো মা-বাবা যদি তার সন্তানকে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান, তাহলে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। এ ছাড়া কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরাই এগিয়ে থাকেন।’
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমে যারা পড়ছে, তারা তো বাংলা মাধ্যম থেকে অবশ্যই ভালোই শিখছে। আর এখন তো পৃথিবীটা ইংরেজির ওপরই চলছে। এটাই তো বাস্তবতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোটা আমাদের সমাজের একটা আভিজাত্যের অংশ বলে মনে করা হয়। ইংরেজি ভাষা শিখলে ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার পথ সুগম হয়। এখন এ কারণে অনেক অভিভাবক চান তার সন্তান যেন ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক ও ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘উচ্চশিক্ষায়, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে লেখাপড়ার মাধ্যম ইংরেজি। আর শুদ্ধ করে ইংরেজি বলতে ও লিখতে পারার পারদর্শিতা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।
‘আবার ইংরেজি মাধ্যমের কারিকুলামের সঙ্গে উন্নত বিশ্বের কারিকুলামের মিল থাকায় এখানকার শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেশি।’
ইংরেজি মাধ্যমেও দুই ভাগ
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ ও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন বা এডেক্সেল—এই দুটি বোর্ডের অধীনে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোর পরীক্ষা হয়।
এডেক্সেলের সেশন শুরু হয় মে-জুন আর ক্যামব্রিজের সেশন শুরু হয় অক্টোবর-নভেম্বর ও মে-জুন মাসে। বাংলাদেশে ইংরেজি মাধ্যমের সব পরীক্ষা ও ফলাফল তৈরি করে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। এখানে পড়াশোনার পুরোটাই হয় ইংরেজি ভাষায়।
ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সংখ্যা কত
ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে দেশে ১৫৯টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নিবন্ধন ছিল। এতে শিক্ষার্থী ছিল ৫৪ হাজার ৫০৭ জন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ও লেভেলের ৬৪টি, এ লেভেলের ৫৪টি এবং জুনিয়র লেভেলের ৪১টি ছিল।
২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৪৫টিতে। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৭ হাজার ৮০৯ জন।
১৪৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘ও লেভেলের ৩৪টি, ‘এ’ লেভেলের ১৩টি এবং জুনিয়র লেভেলের ১৮টি।
২০২০ সালেও বন্ধ হয়ে যায় তিনটি স্কুল। তবে বাড়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা। ওই বছর ১৪২টি স্কুলে পড়ত ৭৮ হাজার ২০১ জন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘ও’ লেভেলের ৩১টি, ‘এ’ লেভেলের ১৫টি এবং জুনিয়র লেভেলের ১৬টি।
তবে এ পরিসংখ্যানের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যাসোসিয়েশন। তারা জানায়, সারা দেশে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৩৫০ (কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো এ হিসাবের অন্তর্ভুক্ত নয়)। সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় তিন লাখ।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইংরেজি মাধ্যমের কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে, যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখ।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক হিসেবে শিক্ষার্থীদের যেভাবে পার্টটাইম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই তাদের সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগের কথা ভাবছে সরকার।
গতকাল শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিভিন্ন উন্নত দেশের মতো ৫ আগস্টের পরে ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক হিসেবে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অনুরূপভাবে আমরা সরকারের বিভিন্ন অফিসে পার্টটাইম চাকরিতে নিয়োগ দিতে চাই শিক্ষার্থীদের।
বিভিন্ন দপ্তরে কিছু পদে ফুল টাইমে স্থায়ী নিয়োগ দরকার হয় না। তাই পার্টটাইমে নিয়োগ দিলে সরকারের ব্যয়ও কমবে, একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদেরও আর্থিক সচ্ছলতা আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি এবং কীভাবে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।’
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে ধরা পড়েছে ৫০ কেজি ওজনের বড় আকৃতির একটি বাঘাড় মাছ।
গতকাল শনিবার বিকেলে পদ্মা নদীর কলাবাগান এলাকায় জেলে সিদ্দিকুর রহমানের জালে মাছটি ধরা পড়ে। নিলামে ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে তার কাছ থেকে মাছটি কিনে নেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা।
জানা গেছে, জেলে সিদ্দিকুর রহমান তার সঙ্গীদের নিয়ে দুপুরে পদ্মায় মাছ ধরতে যান। তারা নদীতে জাল ফেলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে জালে একটি বড় বাঘাড় মাছ আটকা পড়ে। বিক্রির জন্য তিনি দৌলতদিয়া মাছ বাজারে নিয়ে যান। সেখানে রেজাউলের আড়তে উন্মুক্ত নিলামে ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে ৭৭ হাজার ৫০০ টাকায় স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা মাছটি কিনে নেন।
চাঁদনী অ্যান্ড আরিফা মৎস্য আড়তের মালিক চান্দু মোল্লা বলেন, বড় বাঘাইড় মাছটি নিলামে উঠলে আমি ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করি। মাছটি আমার আড়ৎ ঘরে এনে ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রেখেছি। এটি বিক্রির জন্য এখন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভিডিও দেওয়া হয়েছে। কেজিপ্রতি অল্প কিছু টাকা লাভ হলেই মাছটি বিক্রি করে দেব।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কোনো গোপন বৈঠক হয়নি। এটা জাস্ট সৌজন্য সাক্ষাৎ। আর গোপন বৈঠক হলে তো প্রেস রিলিজ দিতাম না। আমরাতো সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে সেটি জানিয়েই প্রেস রিলিজ দিয়েছি।’
গতকাল শনিবার বিকালে খুলনার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আপনারা প্রতিটি মন্ত্রণালয় ভিত্তিক দপ্তরগুলো ধরে ধরে রিপোর্ট করুন। কোথায় কি সংস্কার প্রয়োজন দেখিয়ে দিন।’
আগামী নির্বাচন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনই শুধু নয়, ভবিষ্যতের সব নির্বাচন হবে উৎসবমুখর।’
জনগণ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারে সেজন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
খুলনার ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, খুলনাকে বাদ দিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। স্টেডিয়ামের উন্নয়ন সাপেক্ষে খুলনায় যাতে আবারো আন্তর্জাতিক মানের খেলা শুরু করা যায় সে ব্যাপারেও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
কোরবানির ঈদে টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আবারও তিন দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক দুদিন ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি থাকছে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। এটি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর।
জানা গেছে, আগামী ৬ জুলাই রোববার পবিত্র আশুরা পালিত হবে। এদিন সরকারি ছুটি থাকবে। এর আগের দুদিন অর্থাৎ ৪ ও ৫ জুলাই (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে তিন দিন টানা ছুটি পাবেন তারা। সোমবার (৭ জুলাই) কাজে ফিরবেন তারা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ২৭ জুন শুক্রবার থেকে পবিত্র মহররম মাস গণনা করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৬ জুলাই (রোববার) পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
উল্লেখ্য, এবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন ছুটি ভোগ করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এর আগে গত পবিত্র ঈদুল ফিতরে সরকারি ছুটি ছিল ৯ দিন।
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া এলাকার বেগুনবাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন একটি টিস্যু ব্যাগ ও স্কিন প্রিন্টিং কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।
খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কেরানীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা কাজল মিয়া জানান, আমরা সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে খবর পাই এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কারখানার মালিক মোঃ হাফিজ দাবি করেন, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে তার আল্লাহর দান স্কিন প্রিন্ট’ নামের কারখানার মেশিনপত্র, উৎপাদিত টিস্যু ব্যাগ, অফিস কক্ষ, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, আগুনে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার কর্মীদের তৎপরতায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
ঘটনার সময় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। পানি বাহী গাড়ি ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প ব্যবহার করে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও প্যাকেজিংকরণে অংসঙ্গতি থাকায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ শনিবার দুপুরে ভৈরব শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন
কিশোরগঞ্জ জেলার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রট আরিফুল ইসলাম।
এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো.আশরাফুল ইসলাম তালুকদার, জেলা স্যানেটারি কর্মকর্তা সংকর দাস প্রমুখ। এসময় ভৈরব থানা পুলিশ ও ভৈরব ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে ভৈরব শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার বুশরা ফুড এন্ড বেভারেজ মালিক
আব্দুল কাদিরকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া নকল চিপস উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা, একই এলাকার চাদনী বেকারির মালিক রুমান মিয়াকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পচা বিস্কুট ও কেক উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা, এছাড়া ঘোড়াকান্দা এলাকার মালেক এন্ড কোং ফুড প্রডাক্টসের মালিক মো.গোলাম রহমানকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মনাক্কা, চানাচুর খাদ্য উৎপাদন ও মোড়ক তৈরিতে অংসঙ্গতি থাকার দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম জানান, ভৈরব শহরের দুটি প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য ও নকল পণ্য উৎপাদন ও বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকায় প্রতিষ্ঠান দুটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মালেক ফুড প্রোডাক্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মনাক্কা ও চেনাচুর উৎপাদনের দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই ধরণের অভিযান অব্যাহৃত থাকবে বলে তিনি জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান দলের ১৬ দফা ঘোষণা করেছেন। শনিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে এই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।
১৬ দফা ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রীয় সংস্কার, বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক(পিআর) নির্বাচন গ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সংবিধানের নির্দেশিকা নীতিগুলোর মধ্যে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন, সংসদের উভয় প্রস্তাবিত কক্ষে আনুপাতিক ভোটদান (পিআর) পদ্ধতি চালু এবং বৈষম্যহীন শোষণ নিপীড়ন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী মাসে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভবিষ্যতের স্বৈরতন্ত্রকে রোধ করতে দলটি দ্রুত, মৌলিক সংস্কার, জনপ্রশাসন পুনর্গঠন, নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য এবং ‘পতিত ফ্যাসিবাদের’ সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত কর্মকর্তাদের অপসারণের আহ্বান জানিয়েছে।
দুর্নীতির বিচার, পলাতকদের ফিরিয়ে আনা, পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধার এবং চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদ এবং হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও জোর দেওয়া হয়েছে ঘোষণাপত্রে।
ঘোষণাপত্রে ভারতের সঙ্গে সকল চুক্তি প্রকাশ এবং যেকোনো ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। এটি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের আগে সকল স্তরের স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার এবং একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এই ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।
দলটি চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, ঋণ খেলাপি এবং অপরাধীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার এবং ধর্ম ও রাষ্ট্রের প্রতি বিরূপ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যেরও আহ্বান জানিয়েছেন দলটি।
ইসলামী আন্দোলন সার্বভৌমত্ব রক্ষা, নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং টেকসই শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনসহ শাসনব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে ইসলামী মূল্যবোধ অনুশীলনের আহ্বান জানানো হয়েছে ঘোষণায়।
মন্তব্য