খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গত মার্চে স্থগিত পরীক্ষাও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস জানান, মাস্টার্সের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা ছাড়াও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের স্পেশাল টার্মের পরীক্ষা গ্রহণেরও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব না হলে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরও জানান, কর্তৃপক্ষের গঠন করা একটি সাধারণ ও একটি টেকনিক্যাল কমিটি এ লক্ষ্যে কাজ করছে। পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতিসহ খুঁটিনাটি বিষয়ে কমিটির সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে এসব পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন ২৫ মে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গত ৩০ মে অ্যাকাডেমিক প্রধানদের সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনার আলোকে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নাসিফ আহসান জানান, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের সব ডিসিপ্লিনের মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ১ জুলাই শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চারুকলা স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম জানান, চারুকলার তিনটি ডিসিপ্লিনের স্থগিত মাস্টার্স পরীক্ষা শুরুর বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। যেকোনো দিন তারিখ জানানো হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) একটি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালককে মারধর করেছেন কয়েকজন ঠিকাদার। নগরের টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের চারতলায় রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঠিকাদাররা প্রকল্প পরিচালকের কক্ষের টেবিল ও বাইরের নামফলক ভাংচুর করেন।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, স্বচ্ছতার মাধ্যমে হওয়া টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কাজ না পেয়ে ঠিকাদাররা ওই হামলা চালিয়েছেন।
সূত্র বলছে, চট্টগ্রাম নগরীর সড়ক উন্নয়নে ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে এখন ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্টের (ইজিপি) মাধ্যমে ২২০ কোটি টাকার দরপত্র প্রক্রিয়ার মূল্যায়ন চলছে। নানা কারণে হামলাকারীরা সেই প্রক্রিয়ায় কাজ পাচ্ছেন না। তাতে ক্ষুব্ধ ছিলেন তারা।
হামলার শিকার মো. গোলাম ইয়াজদানী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী। তাকে গত বছরের ১৪ আগস্ট ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
চসিক সূত্র বলেছে, রোববার নগরের আন্দরকিল্লায় পুরোনো নগর ভবনে সাধারণ সভা হয়। সেই সভা শেষ করে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে টাইগারপাসে অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ে নিজের দপ্তরে আসেন প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানী। তিনি দপ্তরে ঢোকার পর পরই ৮-১০ জন ঠিকাদার অনুমতি ছাড়াই তার কক্ষে ঢুকে তর্ক জুড়ে দেন। একপর্যায়ে তারা অতর্কিতভাবে প্রকল্প পরিচালকের ওপর হামলা চালান। ঠিকাদাররা তাকে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। অফিস সহকারী তিলক দে প্রকল্প পরিচালককে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। হামলার পর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন ওই ঠিকাদাররা।
রোববার সন্ধ্যায় প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নামফলক ভেঙে ফেলা হয়েছে। কার্যালয়ের এখানে-ওখানে ভাঙা কাচ। এ সময় মো. গোলাম ইয়াজদানী বলেন, ‘আমি ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। এ নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাচ্ছি না।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের প্রকল্প পরিচালককে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম সিটির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘হামলাকারী ঠিকাদারদের মধ্যে মো. সাহাবুদ্দিন, মো. ফেরদৌস, হাবিব, সুভাস, কঙ্কন, নাজিম ও ফিরোজ ছিলেন। এই সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
হামলার বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই অ্যাকশনে যাচ্ছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে কারা ছিলেন। ছবি বের করছি। সাহাবুদ্দিন নামে একজনের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজ দেয়া হচ্ছে। এখানে তো মামার বাড়ির কোনো আবদার নেই। নিয়ম অনুযায়ী যদি এই ঠিকাদাররা কাজ না পান আমাদের কী করার আছে? আমরা মামলা করব।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি রোববার সিটি করপোরেশনে যাইনি। হামলার অভিযোগ সঠিক নয়।’
আরও পড়ুন:কক্সবাজার বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পর্যটকদের লাগেজ বা মালামাল বেশি থাকলে কৌশলে চাঁদা দাবি করেন তিনি। না দিলে শুরু করেন তল্লাশির নামে হয়রানি, যা নিয়ে বিব্রত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই তাজ।
২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর ছুটি না নিয়ে ৫ লাখ টাকাসহ গোপনে বাড়ি যাচ্ছিলেন কক্সবাজার কোর্ট পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রবিউল ইসলাম। ওইদিন বিমানবন্দরে স্ক্যানারে ওই টাকাসহ ধরা পড়েন তিনি। এরপর রবিউলের পুরো টাকাকে ৫০ হাজার দেখিয়ে বাকিটা আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ ওঠে তাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করেছে জেলা পুলিশ, কিন্তু এসআই তাজের বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যার ফলে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, তাজের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযোগ আসছে। যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করছেন তিনি।
ভুক্তভোগী ঢাকাগামী যাত্রী সামিয়া ও তাসনিম জাহিদ দম্পতি জানান, যাবার পথে অতিরিক্ত লাগেজ থাকার অজুহাতে তাদেরকে বিমানবন্দরের গেটেই হয়রানি শুরু করেন এসআই তাজ। এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
জসিম মাহমুদ নামের আরেক যাত্রী জানান, টাকা না দেয়ায় প্রায়ই তাজের হয়রানির শিকার হতে হয় তার।
অভিযোগ উঠেছে শুধু পর্যটক নয়, স্থানীয় বাসিন্দা,রাজনৈতিক নেতারাও তাজের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কয়েকদফা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোনো সুরাহা আসেনি। এর আগে এসব ঘটনায় মুচলেকাও দিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এসআই তাজ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক ফজলে রাব্বী বলেন, ‘ আমি বিষয়টি শুনেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে টেঁটা বিদ্ধ করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ওলি মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে। তিনি ওই এলাকার মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে এবং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।
রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম জানান, সাবেক ইউপি সদস্য অলি মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার ইকবাল হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তবে অলি মিয়া বাড়িতে থাকতেন না। একজনের জানাযা নামাজে শরিক হতে দীর্ঘদিন পর তিনি নিজ বাড়িতে আসেন।
পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ তাতোয়াকান্দি গ্রামে ওলি মিয়াকে একা পেয়ে হামলা চালায়। অলি মিয়া দৌড় দিলে হামলাকারীরা তার দিকে টেঁটা ছুড়ে মারে। টেঁটা তার মুখ ও গলায় বিদ্ধ হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।
ইকবাল ও তার সমর্থকরা চলে গেলে স্থানীয়রা ওলি মিয়াকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, ইকবালের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস চলাচলের প্রতিবাদে সোমবার থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম রোববার দুপুরে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শনিবার রাতে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে যৌথ সভায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট শুরু হবে।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জকিগঞ্জ সড়কে বিআরটিসির চারটির বেশি বাস চলাচল না করা ও প্রতিটি বাসে দিনে সর্বোচ্চ চারটি ট্রিপ দেয়ার দাবি জানিয়ে ১১ ও ২৩ জানুয়ারি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি দেয়া হয়, কিন্তু তাদের এ দাবি মানা হয়নি।
চলতি মাসে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরটিসির এসি ও নন এসি বাস চলাচল শুরু হয়।
বিএনপি উকিল আব্দুস সাত্তারকে টিস্যু পেপারের মতো ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইলে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার সমর্থনে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রোববার তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আহমদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি তাকে (উকিল আব্দুস সাত্তার) টিস্যু পেপারের মতো ছুড়ে ফেলে দিয়েছে ডাস্টবিনে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়ালেন। সাত্তার ভাই আমাদের দলের কেউ নন। তার সুহৃদ আমরা। তাকে বিএনপি লাথি মেরেছে। তাই তার পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি, আপনারাও তার পাশে থাকবেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি একটি বিচিত্র দল। একটি মানুষ পাঁচবার এমপি হলো, জীবনের অনেক কিছু দিল। আর তাকে এভাবে ফেলে দিলো। এক ছাগলের তিন বাচ্চা। দুইটা দুধ খায়, আর একটা লাফায়। বাংলাদেশে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা হচ্ছে বিএনপি।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সংরক্ষিত এমপি উন্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সিনিয়র সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি প্রমুখ।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরে পৌঁছেছে রাশিয়ার দুটি জাহাজ। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় জাহাজ দুটি মোংলা বন্দরে ভেড়ে।
ভানুয়াতুর পতাকাবাহী ‘এমভি আনকা সান’ জাহাজটি বন্দরের ৭ নম্বর এবং লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ‘এমভি স্পোডিল্লা’ জাহাজটি বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করেছে।
জাহাজ দুটি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং নভরসতি বন্দর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল বহন করে এনেছে।
আরও পড়ুন: আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা: রূপপুরের পণ্যসহ রুশ জাহাজকে ভিড়তে মানা
‘এমভি আনকা সান’ জাহাজে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৯৭৯ প্যাকেজের ১৪০০ দশমিক ৪২ টন মেশিনারি এসেছে। এছাড়া ‘এমভি স্পোডিল্লা’ জাহাজে এসেছে ৪৩৬ প্যাকেজের ৫১৮ দশমিক ৪২১ টন মেশিনারি পণ্য।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহীন মজিদ বলেন, ‘রাশিয়া থেকে আসা জাহাজ দুটিতে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক হাজার ৯শ’ টন মেশিনারি এসেছে। এসব মেশিনারি দুই দিনের মধ্যে খালাস করে সড়ক পথে রূপপুরের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থেকে শহিদুল আলম নামে এক ব্যক্তির মাথা বিচ্ছিন্ন দেহ ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে ১৬ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বহেরার চালা এলাকা থেকে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ৪১ বছর বয়সী আব্দুল কুদ্দুস টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানাধীন ভাবনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, ২০০৪ সালে ধামরাই থানাধীন গোয়াড়ীপাড়ায় একটি অফিস ভাড়া নিয়ে বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামক একটি সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন ৩৪ বছর বয়সী শহিদুল আলম ও তার বন্ধু আব্দুল কুদ্দুসসহ কয়েকজন।
সঞ্চয়, ঋণদান ও ফিক্সড ডিপোজিট কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল তারা। প্রতিষ্ঠানে লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় একসময় তাদের অ্যাকাউন্টে সদস্যদের সঞ্চয়ের বেশকিছু টাকা জমা হয়। সেই টাকা ও প্রতিষ্ঠানটির লোভে শহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী টাঙ্গাইলের সন্ত্রাসী রাজা মিয়াকে নিয়ে শহিদুলকে হত্যার পূর্ণ ছক আঁকে আব্দুল কুদ্দুস। ২০০৬ সালের ২০ মে শাহিন নামের একজনের জন্য পাত্রী দেখতে যাওয়ার কথা বলে বন্ধু শহিদুলকে মাইক্রোবাসে তুলা হয়। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানাধীন বেতুলিয়া গ্রামে নিয়ে সন্ত্রাসী রাজা মিয়াসহ সাহেদ, আব্দুল কুদ্দুস ও বিষ্ণু সুইপার গলায় রশি পেচিয়ে, রুমাল দিয়ে মুখ চেপে ধরে শহিদুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় গোপন করার উদ্দেশে গলা কেটে নিথর দেহ থেকে শহিদুলের মাথা আলাদা করে ফেলা হয়। পরে সাটুরিয়ায় মাথা বিচ্ছিন্ন দেহ ও টাঙ্গাইলের নাগরপুরে খণ্ডিত মাথা ফেলে দেয়া হয়।
এ ঘটনার পরদিন সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আ. জলিল অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তিনি আরও জানান, এ মামলায় ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, মামলা হওয়ার পর থেকেই হত্যায় জড়িত আব্দুল কুদ্দুস পলাতক ছিল। সে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে আপন মামাতো ভাইয়ের নাম, বাবার নাম ও মায়ের নাম ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। সেখানে আব্দুল কুদ্দুস তার মামাতো ভাইয়ের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরি গ্রহণ করে বসবাস করে আসছিল। সে তার বাবার নাম রহম আলী বলে পরিচয় দিত।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল কুদ্দুসকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য