× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
আবার শুরু হচ্ছে স্কুল কলেজের এমপিওভুক্তি
google_news print-icon

আবার শুরু হচ্ছে স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্তি

আবার-শুরু-হচ্ছে-স্কুল-কলেজের-এমপিওভুক্তি
নতুন অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের যে প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছে, তাতে নতুন প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ২০০ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৫০ কোটি টাকা।

নতুন অর্থবছরে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য আসছে সুখবর। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার প্রক্রিয়া আবার শুরু হচ্ছে। ২০১৯ সালে ২ হাজার ৬২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্ত করার পর গত বছর আর তা করা হয়নি।

এমপিওভূক্তির প্রক্রিয়া আবার শুরু হচ্ছে বলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন।

নতুন অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের যে প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছে, তাতে নতুন প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ২০০ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৫০ কোটি টাকা।

এমপিও হলো মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশ, যার মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করে সরকার।

বেশির ভাগ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়ে ঘাটতি থাকার কারণে শিক্ষকদের কাছে এমপিওভুক্তি একটি কাঙ্ক্ষিত বিষয়। গত ২৯ মে এমপিওভুক্তির নীতিমালা সংশোধন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তবে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আলাদাভাবে উল্লেখ করেননি নতুন প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য অর্থ বরাদ্দের কথা। মন্ত্রণালয় তাদের মোট বরাদ্দ থেকে খাত অনুযায়ী বরাদ্দ ঠিক করবে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, আগামী অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন নন-এমপিও বেসরকারি স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত করার জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার চাইলে এ বরাদ্দ বাড়াতেও পারে।

আর কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরাও শুনেছি প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে বরাদ্দ রেখেছে। বাজেট পাসের পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। আমরা চাই মুজিববর্ষেই এমপিওভুক্তির বাইরে থাকা সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী এমপিওভুক্ত করা হোক।’

সর্বশেষ সরকার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে ২০১৯ সালে। ওই বছরের ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে চূড়ান্ত বাছাইয়ে ২ হাজার ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ছাড়পত্র পায়। এরপর আবার ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর ছয়টি এবং ১৪ নভেম্বর একটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়।

দেশে এ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়েছে এমন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। আর এমপিওভুক্ত হয়নি এখনও প্রায় ৭ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও করার জন্য গত ২৯ মে সংশোধিত এমপিও নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধিত নীতিমালায় এমপিওভুক্তির জন্য তিনটি শর্ত দেয়া হয়েছে।

শর্তগুলো হলো: শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থী সংখ্যা এবং পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার। এই তিন বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ এবং পাসের হারে ৪০ নম্বর রাখা হয়েছে। আগের নীতিমালায় প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির মেয়াদের ওপর ২৫ নম্বর ছিল, যা সংশোধিত নীতিমালায় বাদ দেওয়া হয়েছে।

২০২১ সালের নীতিমালায় কোন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম কতজন শিক্ষার্থী থাকতে হবে, তা বেঁধে দেয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, নিম্নমাধ্যমিকে শহরে ১২০ ও মফস্বলে ৯০, মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪২০ ও মফস্বলে ৩২০, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২২০ এবং ডিগ্রি কলেজে স্নাতকে শহরে ৪৯০ ও মফস্বলে ৪২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। পাসের হার স্তরভেদে ৪৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ করা হয়েছে।

গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন, তাতে শিক্ষা খাতে ৭১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৬৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ৫ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে বরাদ্দের দাবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Ex camp leader arrested for beating police in Chittagong police station

চট্টগ্রামে থানায় পুলিশকে মারধর, সাবেক শিবির নেতা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে থানায় পুলিশকে মারধর, সাবেক শিবির নেতা গ্রেপ্তার

আসামি ছাড়িয়ে নিতে না পারায় থানার ভেতর ঢুকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের মারধরের অভিযোগে ছাত্রশিবিরের সাবেক এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম মো. রায়হান (২৬)।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভবনের ভেতরে এই ঘটনা ঘটেছে। রায়হান হাটহাজারী কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। বর্তমানে তিনি কোনো পদে নেই, জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, গত মঙ্গলবার হাটহাজারীতে সহপাঠীদের হাতে এক স্কুলছাত্র খুন হয়। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই আসামিদের ছাড়িয়ে নিতে রাতে থানায় এসে তদবির করতে থাকেন রায়হান। হুমকিও দেন। পরে গতকাল বুধবার দুপুরে তিন আসামিকে আদালতে পাঠানোর জন্য থানা-পুলিশ প্রস্তুতি নেওয়ার সময় রায়হান ছবি ও ভিডিও করতে থাকেন। পুলিশ বারণ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে যান তিনি। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের মারধর, ধাক্কাধাক্কি ও কাজে বাঁধা দেন। অন্য পুলিশ সদস্যরা দ্রুত এসে রায়হানকে ধরে ফেলেন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কাজী তারেক আজিজ আরও বলেন, ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাকসু) নির্বাচন শেষে ভোট গণনার সময় এক নম্বর গেটে এলাকায় বিএনপি-ছাত্রদল এবং জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির মুখোমুখি হলে তাদের সরাতে গিয়ে ইটপাটকেলে মাথায় আঘাত পান তারেক আজিজ। এই ঘটনায় করা মামলায় রায়হানকে গতকাল বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
EC will not yield to any pressure CEC

ইসি কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না: সিইসি

ইসি কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না: সিইসি

নির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত (টিওটি) প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই)-এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য সিইসি এ কথা বলেন।
এ এম এম নাসির উদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের উদ্দেশে করে বলেন, ‘এই ম্যাসেজটা আপনাদের দিতে চাই যে, আপনারা কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। সম্পূর্ণভাবে আইন অনুযায়ী নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনও কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। তা ছাড়া আমরাও আপনাদের অন্যায় কোনো আদেশ দেব বা হুকুম দেব না। আপনারা ধরে রাখতে পারেন, রিলেভেন্ট টু ইলেকশন (নির্বাচন সম্পর্কিত) যে আইন প্রচলিত আছে সেই আইন অনুযায়ী আমাদের নির্দেশনা যাবে বা আপনারা সেভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। একটা সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারার চেষ্টা করবেন।’
সিইসি বলেন, আমরা কামনা করি, আপনারা আইনসম্মতভাবে, নিরপেক্ষভাবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে (প্রফেশনালি) কাজ করবেন। আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। এই দেশের এই দুরবস্থার মূল কারণ হলো, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকা। যে জাতি আইনের প্রতি যতটা শ্রদ্ধাশীল, সেই জাতি তত সভ্য। সভ্য দুনিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে। আমাদের এই কালচারটা কাল্টিভেট করতে হবে।’

সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা চাই সর্বস্তরের মানুষ আইন মেনে চলবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে এবং সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করবে। যে গন্ডির মধ্যে আমার কাজ থাকবে সেখানেই আমি আইনকে বাস্তবায়ন করব। আমরা চাইব আপনারা আইনদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন।’

সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনের মধ্যে সমন্বয়টা একটা বড় জিনিস। আপনারা যেহেতু উপজেলা পর্যায়ে নিয়োজিত আছেন। সমন্বয়ের দায়িত্বটা মূলত আপনাদের উপরে নির্ভর করে। সুতরাং নির্বাচনের সময়ও এই সমন্বয়টা খুবই জরুরি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিসাইডিং অফিসার ও কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের সাথে সমন্বয় করতে হবে। জেলার যে ইলেকশন মনিটরিং সেল থাকবে ওটার সাথে সমন্বয়। এই সার্বিক সমন্বয়টা আপনাদের খুব সিরিয়াসলি করতে হবে। এই দায়িত্বটা আপনাদের কাঁধে নিতে হবে। যেকোনো ক্রাইসিস হলে আপনারা চেষ্টা করবেন শুরুতেই যাতে এটার সমাধান করা যায়।

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহমানেল মাছউদ, নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ, নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

বেগম তাহমিদা আহমদ বলেন, আমরা সাহসী হব, তবে অতি সাহসী না। অতীতে অতি উৎসাহী হয়ে অনেকে অনেক কিছু করেছেন। এবার এসব করা যাবে না।

তিনি বলেন, আগের প্রশিক্ষণ ভুলে গিয়ে এখন যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সেটি নিতে হবে। আগের নির্বাচন আমরা সবাই মিলে নষ্ট করেছি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আপনাদের প্রতি ম্যাসেজ হচ্ছে সামনের নির্বাচন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। সঠিক কাজ করবেন, ইসি আপনাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলক কোনো কাজ করলে সাংঘাতিক পেরেশানিতে পড়বেন। আর সঠিকভাবে কাজ করার জন্য যা যা সহায়তা লাগে তা আমরা দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। চাকরির মান-মর্যাদা রক্ষার জন্য এবং অস্তিত্বের প্রশ্নে আমাদের না করার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনের একটা আবহ সৃষ্টি করতে হবে।’

মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, সুশৃঙ্খল পরিবেশ ভালো নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য। মোবাইল কোর্ট আয়নার মতো স্বচ্ছ হতে হবে। পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। এখন থেকে মোবাইল কোর্ট রেগুলার করতে হবে। এই নির্বাচনে যারা ভালো দায়িত্ব পালন করবে তাদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন মাঠে যারা আছেন তারা যেন তাদের আচরণবিধি মেনে চলেন। প্রশাসন কঠোরভাবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাবে। এবারের নির্বাচনে সমন্বিতভাবে মাঠ প্রশাসন যে, একটা দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারি তা আমরা দেখিয়ে দেব।’

মন্তব্য

শিক্ষা
Public opinion must be developed to create a tobacco free society primary and mass education advisor

তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে জনমত গড়ে তুলতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে জনমত গড়ে তুলতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে জনমত ও জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা, ‘তরুণ চিকিৎসকদের ভূমিকা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, একজন ধূমপায়ী চিকিৎসক রোগীকে ধূমপানে বাঁধা দিলে তিনি গ্রহণ করবেন না। তাই চিকিৎসকদেরকে ধূমপান পরিহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ও এসেম্বলিতে তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময়েও এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এ সময় উপদেষ্টা তামাকমুক্ত বিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কর্মসূচি পরিচালক শেখ মোমেনা মনি, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার সরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান, সিটিএফকে, বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. ফারজানা রহমান মুনমুন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
In Pabna 20 people were injured in the clash between the two sides due to a dispute a year ago

পাবনায় এক বছর আগের বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

পাবনায় এক বছর আগের বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

পাবনার ফরিদপুর উপজেলার মধ্য পুংগলী গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মধ্য পুংগলী গ্রামে হাজী গোষ্ঠী ও বাদশাহ গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়া নিয়ে সামনের চেয়ার নিয়ে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। সেই পুরনো বিরোধের জের ধরে আজ সকালে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে আহত ২০ জনকে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে ফরিদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ফরিদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আজম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোন পক্ষ থানায় এখনো অভিযোগ দেয়নি।

মন্তব্য

শিক্ষা
Main accused of rape of girl arrested in Sirajganj

সিরাজগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. নাইম হোসেনকে (২০) কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করেছে রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১ ও ১২)।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে র‍্যাব-১২ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।

গ্রেফতারকৃত নাইম হোসেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টায় র‌্যাব-১২ ও র‌্যাব -১১ এর যৌথ অভিযানিক দল তিতাস থানার জিয়ারকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

র‌্যাব -১২ এর উপ অধিনায়ক মো. আহসান হাবিব বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকে নাইম পলাতক ছিল। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর কুমিল্লার তিতাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা।

তিনি আরও বলেন, আসামি গ্রেফতারের জন্য আমরা শুরু থেকেই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিলাম। শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। নাইমকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, কিশোরী সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানাধীন কর্ণসুতী দাখিল মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ৭ম শ্রেণির একজন ছাত্রী। রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সে কর্ণসুতী দাখিল মাদ্রাসায় যায়। বিকালে মাদ্রাসা ছুটি হলেও বাড়িতে ফিরে না আসলে তার পরিবার কর্নসুতী দাখিল মাদ্রাসাসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়ী ও আশেপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। খোঁজাখুজি করার সময় অজ্ঞাত একজন ব্যক্তি পরিবারকে ফোন দিয়ে জানায় যে, মেয়েটি সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সংবাদ পেয়ে পরিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌঁছে আশঙ্কাজনক দেখতে পেয়ে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কিশোরী মেয়েটি মাদ্রাসা হতে কলম কেনার জন্য রাস্তা দিয়ে দোকানের দিকে যাওয়ার সময় সিএনজি নিয়ে পূর্ব থেকে লুকিয়া থাকা কয়েকজন তার সামনে এসে দাঁড়ায় এবং মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক তাকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে দ্রুত গতিতে জামতৈল রেলগেটের দিকে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে উপজেলা সেন্ট্রাল পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে ডেরা ফাস্ট ফুড এ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে নিয়ে রেস্টুরেন্টের পূর্ব সাইডে ডান পার্শ্বের কেবিনে বসার লম্বা সোফার উপর মুখ চেপে ধরে মো. নাইম হোসেন জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। ওই সময় তার সহযোগী বন্ধুরা রেস্টুরেন্টের ভিতরের গেটে পাহারা দেয় এবং কান্নাকাটি বাহির থেকে কেউ যেন শুনতে না পারে সে জন্য উচ্চস্বরে গান বাজায়।

মন্তব্য

শিক্ষা
Internship student of Bakrbir dies after being injured in a road accident in Thailand

থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাকৃবির ইন্টার্নশিপ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাকৃবির ইন্টার্নশিপ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পশুপালন অনুষদের ইন্টার্নশিপ শিক্ষার্থী ও শাহজালাল হলের আবাসিক ছাত্র জাকারিয়া হোসাইন সাঈদ দেশে ফিরে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

জানা যায়, ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে তিনি ৫ আগস্ট থেকে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। গত ১৪ অক্টোবর সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় সাঈদসহ বাকৃবির আরো দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পরে তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনতি হলে সাঈদকে দেশে নিয়ে আসা হয়।

দেশে ফেরার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার গভীর রাতে (প্রায় রাত ৩টা ৩০ মিনিটে) নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আজ আসরের নামাজের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বাকৃবির পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমীন বলেন, আমাদের সন্তানতুল্য এক ছেলে কে হারালাম। এই শোকের মুহূর্তে শান্তনা দিয়েও সহ্য করা যাচ্ছে না কারণ যে ক্ষতি হয়েছে টা অপূরণীয়। সাঈদের জানাজার নামাজ আজকে বাদ আসর দিগারকান্দা ফিশারিজ মোড়ে ঈদগায় অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আজকের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রেখেছি যেন সবাই জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারে।

জাকারিয়া হোসাইন সাঈদের মৃত্যুতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে গভীর শোক নেমে এসেছে। সহপাঠী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়েছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Controversial officials cannot be entrusted with voting

বিতর্কিত কর্মকর্তাদের ভোটের দায়িত্ব দেয়া যাবে না

বিতর্কিত কর্মকর্তাদের ভোটের দায়িত্ব দেয়া যাবে না

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বিতর্কিত কর্মকর্তাদের ভোটের দায়িত্ব দেয়া যাবে না।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেলা ১টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন একটি বৃহৎ কর্মযজ্ঞ। সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য কমিশনে যারা কাজ করবে তারা কারা। কারণ কমিশনের নিজস্ব জনবল নেই। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে