× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
কলিমুল্লাহর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন
google_news print-icon

কলিমুল্লাহর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন

কলিমুল্লাহর-মানসিক-সুস্থতা-নিয়ে-প্রশ্ন
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটায় অনলাইনে ক্লাস নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ।
একজন শিক্ষক তো কখনই এ ধরনের (রাত সাড়ে তিনটায় ক্লাস নেয়া) কাজ করতে পারেন না। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এটা কীভাবে করেন, তা আমার জানা নেই: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ।

রাত সাড়ে তিনটায় অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর ক্লাস নেয়ার ঘটনায় তার বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভিভাবক সংস্থার প্রধান বলেছেন, ‘সব কিছুর একটা সীমা থাকে।’

কলিমুল্লাহ বেগম রোকেয়ায় চার বছর উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করলেও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ প্রশ্ন তুলেছেন কলিমুল্লাহর মানসিক সুস্থতা নিয়ে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে যোগ দেয়ার পর থেকে গত চারটি বছর ধরে কলিমুল্লাহর নানা উদ্ভট কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বারবার।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান না, তার মাকে করেছেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্য, একের পর এক স্বজনকে বসিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা পদে। আর এর মধ্যে দিনে ২২ ঘণ্টা কাজ করার দাবি, সব শেষ অনিয়মের তদন্ত ঠেকাতে হাইকোর্টে করেছেন রিট।

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, ছাত্রদের একটি বড় অংশ কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। তার অনুপস্থিতিতে সেখানে প্রশাসনিক কার্যক্রম গত চার বছরে ব্যাহত হয়েছে নানাভাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্যকে নিয়োগ দেয়ার পর কলিমুল্লাহর উপস্থিতি কার্ড নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজনও করা হয়েছে।

কলিমুল্লাহর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ বলেছেন, কলিমুল্লাহ যা করেছেন, সেটা কোনো সুস্থ মানুষ করতে পারেন না

উপাচার্য হিসেবে কলিমুল্লাহর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৩ জুন। তার আগে বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার আগে আগে অনলাইনে তার ক্লাস নেয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনার ঝড়।

কেন এই কাজ করতে গেলেন তিনি, তার কোনো ব্যাখ্যা দেননি। গত দুই দিন ধরে তাকে ফোন করে হয়রান হয়েছে নিউজবাংলা। একাধিক নম্বর থেকে কল করেও তার সাড়া মেলেনি।

অন্যদিকে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলছেন, কলিমুল্লাহর সমস্যা তার ব্যক্তিত্বে।

গত ৯ জুন রাত সাড়ে ৮টায় কলিমুল্লাহ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ‘পলিটিক্যাল থট’ কোর্সের ক্লাস নেবেন বলে জানান। এরপর রাত ৩টা ২০ মিনিটে গুগল মিটে ক্লাস শুরু করেন। ক্লাস শেষ হয় ৩টা ৫৫ মিনিটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একজন শিক্ষক এত রাতে ক্লাস নিতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবকিছু তো আইনে লেখা থাকে না। এটা তো ম্যাটার অফ প্রপার সেন্স। এ ঘটনা শুনে আমি হেসেছি। সবকিছুরই একটা লিমিট থাকে।’

তিনি বলেন, ‘এত রাতে পড়াশোনা হয় কি না, এটাই প্রশ্ন। আমি তো কখনও শুনিনি এত রাতে কোনো শিক্ষক ক্লাস নেন। আমি মনে করি, এটা তার ব্যক্তিত্বের সমস্যা। এ ধরনের ঘটনা প্রত্যাশিত নয়।'

‘কী এমন ঘটনা ঘটল যে রাত তিনটায় ক্লাস নিতে হবে? ইটস নট এ গুড প্র্যাকটিস’-বলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।

কলিমুল্লাহর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ মনে করেন অধ্যাপক কলিমুল্লাহ সব সীমা অতিক্রম করেছেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘একজন শিক্ষক তো কখনই এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এটা কীভাবে করেন, তা আমার জানা নেই।’

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে নয়, একজন সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ এত রাতে ক্লাস নেবেন, এটা ভাবা যায় না। শিক্ষক হিসেবে আমি লজ্জিত।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এগুলো তো মন্তব্যের বাইরে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জন্য অশোভন ও দুঃখজনক। এত তো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভাবমূর্তি নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্যরা তো হবেন পথপ্রদর্শক। তারা যদি এমন অশোভন ও হাস্যকর কাজ করেন, তাহলে তো শুধু তারাই ব্যর্থ নন, এতে প্রতিষ্ঠানও হেয় হয়।’

কলিমুল্লাহর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজকে হেয় করেছেন অধ্যাপক কলিমুল্লাহ

কলিমুল্লাহর আরও যত কাণ্ড

নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল ক্যাম্পাসে যাননি। অথচ ২০১৮ সাল থেকে প্রতি শিক্ষাবছরে তার নামে বিভিন্ন বিভাগের বেশ কিছু কোর্স বরাদ্দ ছিল। তিনি দুটি অনুষদের ডিন, একটি ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান, দুটি বিভাগের প্রধান ছিলেন।

এখনও তিনি অন্তত ১২টি বিভাগের বিভিন্ন কোর্স পড়ানোর দায়িত্বে আছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, একজন শিক্ষকের জন্য নিয়মিত ১০টি কোর্স নেয়াই কঠিন। কারণ প্রতিটি কোর্সে কমপক্ষে ৪০টি ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, টিউটোরিয়াল, মিডটার্ম পরীক্ষা নেয়াসহ উত্তরপত্র মূল্যায়ন ইত্যাদি করতে হয়। অথচ তিনি উপাচার্য পদে থেকে দিনের পর দিন ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থেকেও এই বিপুলসংখ্যক কোর্স নিচ্ছেন। বিষয়টি অবিশ্বাস্য।

কর্মচারী দিয়ে পরীক্ষা নেন উপাচার্য

তিনি দুই-একটি ক্লাস নিলেও পরীক্ষা নিয়েছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দিয়ে। কোনো কোনো কোর্সে একটি ক্লাস নিয়ে কোর্স শেষ করেছেন। পরে শিক্ষার্থীদের ৭৫ শতাংশ উপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষা নিয়েছেন।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে লোকপ্রশাসন বিভাগে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষেই ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেছেন। সব সেমিস্টারেই তাকে অনুপস্থিত দেখানো হলেও কলিমুল্লাহর কোর্সে তাকে উপস্থিত দেখানো হয়েছে।

উপস্থিতি, ইনকোর্স, টিউটোরিয়াল ও মিডটার্মে তাকে নম্বরও দেয়া হয়েছে। এমনকি মিডটার্মের লিখিত পরীক্ষায় ২৫-এ পেয়েছেন ২৭।

এ ছাড়া পরপর দুইবার ফেল করা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রকে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে উপাচার্য পরীক্ষার ফরম পূরণ করিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

একটি ক্লাস নিয়েই কোর্স শেষ

লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ২য় বর্ষের ২য় সেমিস্টারে এমন ঘটনা ঘটেছে। কলিমুল্লাহ নিয়েছেন মাত্র একটি ক্লাস, যা নেয়া হয় প্রশাসন ভবনের সিন্ডিকেট রুমে রাত ১১টায়। তবে একটি ক্লাস নিলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখানো হয়েছে ৭৫ শতাংশ।

আরেকটি কোর্সে নিয়েছেন তিনটি ক্লাস।

দুর্নীতির অভিযোগ

কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির ৪৫টি অভিযোগ আছে। ইউজিসির তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পর দ্বিতীয় তদন্ত চলছে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় কমিটি।

কলিমুল্লাহর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন
অধ্যাপক কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসির তদন্ত দল

প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ১০তলা ভবন ও একটি স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণকাজে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। এর জন্য উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই কমিটির প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।

ওই কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশে কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে করা হয় আরও একটি কমিটি।

সেই কমিটির তদন্ত ঠেকাতে গত ২৭ মে হাইকোর্টে রিট করেছেন কলিমুল্লাহ।

কলিমুল্লার রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও

গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা পড়ার পর ৪ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে তিনি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে দোষারোপ করেন।

তার অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্রয়-প্রশ্রয় ও আশকারায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে।

সেদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে কলিমুল্লাহর বক্তব্য খণ্ডন করে বলেন, ‘মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কলিমুল্লাহ যে বক্তব্য রেখেছেন তা শুধু অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনকই নয়, নিতান্তই রুচিবিবর্জিত।’

আরও পড়ুন:
রাত সাড়ে ৩টায় ক্লাস নিয়ে বিতর্কে কলিমুল্লাহ
তদন্ত স্থগিত চেয়ে ভিসি কলিমুল্লাহর রিট
বেরোবি উপাচার্যের দুর্নীতি: ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ইউজিসির
কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে ২৯ অভিযোগের তদন্তে রংপুরে ইউজিসি
ভিসি কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে ১১১ দুর্নীতির ‘শ্বেতপত্র’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
No one could pass the HSC examination in 3 institutions of two upazilas of Panchagarh

পঞ্চগড়ের দুই উপজেলার ৩ টি প্রতিষ্ঠানে কেউ এইচএসসি পরীক্ষার পাস করতে পারেননি

পঞ্চগড়ের দুই উপজেলার ৩ টি প্রতিষ্ঠানে কেউ এইচএসসি পরীক্ষার পাস করতে পারেননি

এইচ এসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে, পঞ্চগড় জেলার তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি।

বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশ হলে এ তথ্য জানা যায়, পঞ্চগড় জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে।

পঞ্চগড় জেলার মোট ৩৮টি কলেজ এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন ৬৭১২ জন, তাদের মধ্যে ২৮৯৯ পাস করেন, ফেল করেন ৩৮১৩ জন, জিপিএ -৫-১১৩ জন,পাশের পার্সেন্ট ৪৩.১৯%

মাদরাসা ১৬টি কলেজ, ৪০০ জন শিক্ষার্থী, পাস করেন ২১৩ জন, ফেল করেন ১৮৭ জন, জিপিএ -৫ -১ জন, পাসের পার্সেন্টেজ ৫৩.২৫%

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—বোদা উপজেলার বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাড়েয়া মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজ। প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, যার মধ্যে ৪ জন অনুপস্থিত ছিল। মাড়েয়া মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ জন, আর আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজ থেকে অংশ নেয় ৪ জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে ২ জন অনুপস্থিত ছিল।

মাড়েয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ সপেন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, আমাদের কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত হয়নি। কয়েক বছর ধরে নেই কোনো শিক্ষক। এজন্য একজন পরীক্ষায় অংশ নিলেও পাস করতে পারেনি।

বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নার্গিস পারভিন মৌসুমী বলেন, ভর্তি হওয়ার পরে সবার বিয়ে হয়ে গেছে, এ জন্য কেউ পাস করতে পারেনি।

আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ হাসান আলী বলেন, আমাদের কলেজের চারজনের মধ্যে দুজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। দুজনে পাস করার কথা ছিল। আমরা বোর্ড চ্যালেঞ্জ করব।

ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি সেসব প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হবে। এই ফলাফলের কারণ খুঁজে বের করে এখান থেকে কিভাবে উত্তরণ করা যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Rajshahi has the lowest pass rate in seven years

সাত বছরে সর্বনিম্ন পাসের হার রাজশাহীতে

সাত বছরে সর্বনিম্ন পাসের হার রাজশাহীতে

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডেও ফল বিপর্যয় ঘটেছে। চলতি বছর এই বোর্ডে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, চলতি বছর রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৭৭ হাজার ৭৪২ জন। আরও জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ হাজার ১৩৭ জন।

এ বছর রাজশাহী বোর্ডে ছাত্রদের পাসের হার ৫০ দশমিক ৬৯ শতাংশ, আর ছাত্রীদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এছাড়া ছাত্রদের মধ্যে ৪ হাজার ৪৫৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন, আর ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৮২ জন।

এর আগে ২০২৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ২০২৩ সালে ছিল ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ৭৬ দশমিক ৩৮ শতংশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

এ বছর দেশের ৯টি সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদরাসা বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

মন্তব্য

শিক্ষা
In two colleges of Gaibandha 100 of the students failed the examination 6

গাইবান্ধার দুই কলেজে শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য, পরিক্ষার্থী ৬

গাইবান্ধার দুই কলেজে শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য, পরিক্ষার্থী ৬

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার দুই কলেজে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব পরিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছেন। মোট ৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও একজনও পাস করতে পারেননি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

বৃহস্পতিবার পরিক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর একাধিক মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঘাগোয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মাত্র ৫ জন শিক্ষার্থী। অপরদিকে, সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মাত্র ১ জন। কিন্তু দুই কলেজের কেউই পাস করতে পারেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে অনুপস্থিতি, শিক্ষক সংকট, পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাব এবং প্রশাসনিক নজরদারির ঘাটতির কারণে এ ধরনের ফলাফল হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার প্রান্তিক এলাকার ছোট কলেজগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে পাঠদানের মান কমে যাওয়ায় এমন বিপর্যয় ঘটছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতনজনরা।

এছাড়াও স্থানীয় অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ বলছেন, বছরের পর বছর শিক্ষক সংকট ও একাডেমিক দুর্বলতার কারণে উপজেলার অনেক কলেজেই এখন শিক্ষার মান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।

গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘কোনো কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দুই প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের সন্তোষজনক জবাব না পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য

শিক্ষা
Ghazaria Gaffar College passed a student

গজারিয়ার গাফফার কলেজে পাশ করেছে এক শিক্ষার্থী!

গজারিয়ার গাফফার কলেজে পাশ করেছে এক শিক্ষার্থী!

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গজারিয়া উপজেলায় সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে বালুয়াকান্দি ডা.আব্দুল গাফফার স্কুল এন্ড কলেজ। ভয়াবহ ফলাফল বিপর্যয়ে পড়া এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাশ করেছে মাত্র একজন শিক্ষার্থী।

খবর নিয়ে জানা যায়, বালুয়াকান্দিতে অবস্থিত ডা. আব্দুল গাফফার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭জন শিক্ষার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে প্রতিষ্ঠানটি থেকে শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাসের হার মাত্র ৫.৮৮ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির এমন ফলাফলে সমালোচনামুখর অভিভাবক শ্রেণি।

স্থানীয় বাসিন্দা সোলায়মান জানান, চলতি বছর ১৭জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও তাদের মধ্যে ১৪ জনই অনিয়মিত শিক্ষার্থী। নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৩ জন। মাত্র ৪জন জনবল নিয়ে কোনরকমে কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। মানবিক বিভাগের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ইয়াসিন ব্যতীত এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে কেউ পাশ করতে পারেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন আলী বলেন, ' প্রতিষ্ঠানটির স্কুল শাখা অত্যন্ত ভালো। তবে কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত নয় সেজন্য কলেজ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এসব সীমাবদ্ধতার সাথে লড়াই করে কোনো রকমের টিকে আছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে'।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ বশির উল্লাহর মোবাইলে কল করা হলে তিনি বলেন, ' আমি এখন ব্যস্ত আছি এ বিষয় নিয়ে কয়েকদিন পরে আপনাদের সাথে কথা বলব'।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত নয় সেজন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী স্বল্পতাসহ নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফলাফল খারাপের বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সাথে বসব’।

মন্তব্য

শিক্ষা
Zero pass in HSC in 10 colleges of Nilphamari

নীলফামারীর ১০ কলেজে এইচএসসিতে শূন্য পাস

নীলফামারীর ১০ কলেজে এইচএসসিতে শূন্য পাস

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নীলফামারী জেলার ১০টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মহা. তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, বোর্ডের অধীনে নীলফামারীর ১০টি কলেজের ৪০ জন শিক্ষার্থীর কেউই উত্তীর্ণ হয়নি।

কলেজগুলো হলো, নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ সৃজনশীল কলেজের মানবিক বিভাগের ১ জন, সৈয়দপুর উপজেলার সাতপাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ১ জন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়নখাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ৮ জনের মধ্যে ৫ জন ফেল ও ৩ জন অনুপস্থিত, জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জন ফেল ও ৩ জন অনুপস্থিত, একই উপজেলার চেওড়াডাঙ্গী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ৯ জনের মধ্যে ৬ জন ফেল ও ৩ জন অনুপস্থিত, গোলমুন্ডা আদর্শ কলেজের মানবিক বিভাগের ৩ জন, ডিমলা উপজেলার জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ১ জন ও মানবিক বিভাগের ১ জন,একই উপজেলার নাউতারা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ৩ জন,ডিমলা সীমান্ত কলেজের মানবিক বিভাগের ২ জন এবং গয়াখড়িবাড়ি মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগের ৩ জনের মধ্যে ২ জন ফেল ও ১ জন অনুপস্থিত।

নীলফামারী জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর (২০২৫) জেলায় ৯৩টি কলেজের ১২ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৭ হাজার ৫২৪ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৮১ জন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Chittagong Board GPA 5 has decreased by more than half

চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ কমেছে অর্ধেকের বেশি

৬ বছরের মধ্যে পাসের হার সর্বনিম্ন
চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ কমেছে অর্ধেকের বেশি

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) পাসের হার বিগত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এবারের পাসের হার ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। যা গত বছরের তুলানায় ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। গতবছর পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ।

এছাড়া এবার জিপিএ-৫ কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭ জন। যা গতবার পেয়েছিল ১০ হাজার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী। ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর গড়ে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে ফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ এবং সচিব এ কে এম সামছু উদ্দিন আজাদ।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ২ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ৫৩ হাজার ৫৬০ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৪৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ; ছাত্রীদের পাসের হার ৫৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে পাসের হার ৭০ দশমিক ৯০ শতাংশ। জেলায় পাসের হার ৪৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

এছাড়া তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটিতে পাসের হার ৪১ দশমিক ২৪ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে ৩৫ দশমিক ৫৩ এবং বান্দরবানে ৩৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৪৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার সবচেয়ে বেশি ৭৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৫৫ দশমিক ৩০ শতাংশ ও মানবিক বিভাগে পাসের হার ৩৭ দশমিক শূন্য ৮০ শতাংশ।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী ফলাফলের বিষয়ে বলেন, এবার মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা ছিল খাতার মূল্যায়ন যেন মেধার ভিত্তিতে হয়। শিক্ষার্থী খাতায় লিখে যে নম্বরটি পাবে, সেটাই যেন মারকিং করা হয়। অতি মূল্যায়নের সুযোগ ছিল না। আমি পরীক্ষার পর সব প্রধান নিরীক্ষকদেও ডেকে এটাই বুঝিয়েছিলাম; রুব্রিক্স পদ্ধতিতে যেন খাতা কাটা হয়। তাছাড়াও জুলাই আন্দোলনের জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় বিঘ্ন ঘটেছিল। যা সার্বিক ফলাফলে প্রভাব পড়েছে বলেন তিনি।

মন্তব্য

শিক্ষা
3 97 CGPA in DU masters result

ঢাবির মাস্টার্সের ফলাফলে ৩.৯৭ সিজিপিএ

মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হলেন কোটালীপাড়ার ইমরান হোসেন
ঢাবির মাস্টার্সের ফলাফলে ৩.৯৭ সিজিপিএ

ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের আরবি বিভাগ থেকে মাস্টার্সের ফলাফলে ৩.৯৭ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করলেন ইমরান হোসেন। একই সাথে অসামান্য সাফল্যের জন্য ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ইমরান হোসেন।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডিনস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের হাত থেকে ইমরান হোসেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।

ইমরান হোসেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ডহরপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

ইমরান হোসেন ঢাবির আররি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। স্নাতকে তিনি ৩.৮৫ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে পঞ্চম হন। এবার মাস্টার্সের ফলাফলেও তিনি ৩.৯৭ সিজিপিএ পেয়ে যৌথভাবে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছেন।

ইমরান হোসেন ২০১৬ সালে বলুহার ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও ২০১৮ সালে ঢাকা মাদ্রাসা ই আলিয়া থেকে আলিম পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগে ভর্তি হন।

এছাড়া তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বাঁশবাড়িয়া মাদ্রাসা থেকে ২০০৯ সালে কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন। এসময় গওহরডাঙ্গা আঞ্চলিক বোর্ড ১০ম স্থান অর্জণ করেন।

ঢাকার ফরিদাবাদ মাদ্রাসা থেকে দাওরা হাদিস সম্পন্ন করেন। এছাড়া ঢাকার মাদ্রাসাতুস সালমান থেকে মুফতি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইমরান হোসেন বলেন, ১৪ বছর আগে বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়ায় ভেবেছিলাম লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। তখন ছোট ভাই রেজোয়ান ইসলাম পরিবারের হাল ধরে আগলে রাখেন। পরিবারের সকলের সহযোগিতার জন্য আমার লেখাপড়া অব্যাহত থাকে এবং এই ফলাফল অর্জনে সক্ষম হই।

কোটালীপাড়া সাংবাদিক ফোরামের আহবায়ক মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল বলেন, একটি কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা ইমরান হোসেনের এই ফলাফল সত্যিই আমাদের জন্য গর্বের। ইমরান হোসেন কোটালীপাড়ার মুখ উজ্জ্বল করেছে। পরবর্তী প্রজন্ম ইমরান হোসেনের এই ফলাফলে অনুপ্রাণিত হবে।

মন্তব্য

p
উপরে